24/05/2025
আমার একটা নিজের সংসারের খুব শখ, সম্পূর্ণ আমার অধিকার থাকবে যে সংসারে।
যদি কখনো মাঝরাতের ঝুম বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে খিচুরী খেতে, তবে বিনা দ্বিধায় যা করা যাবে,
কিংবা কোন সন্ধ্যাবেলায় যদি ইচ্ছে করে ফুচকা খেতে, তা যেন বানিয়ে খেতে পারি, কোন কৈফিয়ত দেয়া ছাড়া।
যেখানে কখনো হিসেব দিতে হবে না যে, চিনি কেন মাসের আগে শেষ হয়ে গেল,তেল কেন বেশী খরচ করি।
যেখানে কোনো নতুন রেসিপি বানানোর সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় যে, যদি ভাল না হয়, অপচয়ের অপবাদ গায়ে মাখতে হবে।
সকালের ঘুম দেরিতে ভাংলে কিংবা দুপুরের ঘুম সময়মতো না ভাঙলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে না।
যেখান সাধারন অসুস্থতার সময় কিংবা পিরিয়ড এর যন্ত্রণাময় দিনগুলোতে কাজ একটু কম করলে, কেউ মুখ কালো করে কথা শোনাবে না।
শশুর বাড়িতে নিজের বাবা মা কে চাইলেই যেনো যখন তখন দাওয়াত করে এনে খাওয়াতে পারি,,,নিজের মনের মতো করে যেনো একটু আপ্যায়ন করতে পারি,,,কাওকে যেনো বলতে না হয় বাজার করে আনেন এটা আনলেন না কেনো,নিজেই জেনো মন ইচ্ছা মতো বাজার করতে পারি,,,
কারো মুখ কালা জেনো দেখতে না হয়,,,
নিজের আত্মীয় স্বজন কে জেনো নিজের মনের মতো করে আপ্যায়ন করতে পারি চাইলেই ,,চাইলেই যেখানে কিনা দুই ব্যাবহার করতে পারবেনা ,,,,
আমার আত্মীয় স্বজন কে এক গামলা ভর্তি জোল করে এক গামলা ভর্তি সবজি দিয়ে মাছ রান্না করে দিয়ে বলবে খাও,,তার সাথে নিজের মেয়ে মেয়ের শশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজন কে আলাদা ভাবে রান্না করে দিবে পিয়াজ দিয়ে আলাদা করে ভুনা করে খাওয়াবে ,,একি জায়গায় এরকম দুই ব্যাবহার জেনো না করতে পারে এমন একটা সংসার চাই আমি ,,,
প্রতিটি মেয়ের মনের ভেতর আজীবন লালিত হয়, নিজস্ব একটা সংসারের, Universal Truth এর মতো সত্যি এটা। অধিকাংশ মেয়েই সেটা পায় না, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এমন,যেখানে আলাদা সংসার করাটা বাঁকা চোখে দেখা হয়।
দাম্পত্য জীবনে প্রাইভেসি টা অনেক বড় জিনিস, যেটা অধিকাংশ মেয়েই পায় না।
স্বামীদের দায়িত্ব এখানে বিশাল, সদ্য পরিবার ছেড়ে আসা মেয়েটা তার সবটুকু ছেড়ে আপনার কাছেই কিন্তু আসে, আর আপনি, পরিবারের সবার সাথে বসে তাকে জাজ করেন ( অবশ্য সবাই এমন না)
প্রতিটি মেয়ের যেন নিজের একটা সংসার হয়, খুব করে চাই আমি, এই বৃষ্টি মুখর বিকেলের প্রার্থনায়।