
02/08/2025
লাল আইসক্রিম আর ছেলেবেলার দুপুর
— স্মৃতিচারণমূলক ছোটগল্প
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামছে। চারপাশে গরম আর রোদে ঝিম ধরা পাড়া। তখন ছিল ৫০ পয়সার জগত। পকেটে যদি একটা আধলা টাকা থাকত, মনে হতো নিজেই বুঝি একেকটা রাজা!
স্কুল শেষে ধুলো মাখা চেহারা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, চোখে একরাশ খুশি—মাঠ নয়, সোজা হাটা হতো পাড়ার ছোট আইসক্রিম দোকানের দিকে। সবার আগেই চোখ যেত সেই লাল রঙের বরফের আইসক্রিমটার দিকে, যেটার দাম ছিল মাত্র ৫০ পয়সা। কেউ বলত "লালি", কেউ বলত "লাল বরফ", কেউবা "আইস ললি"।
ছোট্ট একটা কাঠের বক্সে করে চাচা মাথায় নিয়ে ঘুরে ঘুরে মহল্লায় বিক্রি করতে এই রঙিন আইসক্রিমগুলো, আর দোকানদার চাচা হাসিমুখে বলতেন,
— "এই যে, লালটা আবার শেষ হয়ে যাবে, তাড়াতাড়ি নে!"
আইসক্রিমটা মুখে দিলেই ঠোঁট লাল হয়ে যেত, জিভেও রঙ লেগে থাকত অনেকক্ষণ। ঠান্ডায় দাঁত শিরশির করত, তবু সেটা ছিল এক অদ্ভুত আনন্দ। আইসক্রিম শেষ হলে কাঠিটা নিয়ে খেলা শুরু হতো—জলে ভাসানো, কলমের ভ্যান তৈরি, আবার কেউ সেটার মাথায় পেন্সিল চাপিয়ে বানিয়ে ফেলত "আইসক্রিম বন্দুক"!
কখনো কখনো যদি বাড়ি থেকে ১ টাকা পাওয়া যেত, দুইটা লাল আইসক্রিম খাওয়ার সেই গর্বিত অনুভূতির কোনো তুলনা ছিল না। বন্ধুরাও তাকিয়ে থাকত, “তুই দুইটা খাস!”
এখন অনেক দামি আইসক্রিম আসে, ফ্লেভার, প্যাকেট, ব্র্যান্ড—সব আছে। কিন্তু সেই ৫০ পয়সার লাল আইসক্রিমের মতো শান্তি আর কখনো মেলে না।
মনে হলো আজকে দুবাইতে আবার সেইদিনের আইস্ক্রিম ফিরে পেলাম, তাই স্মৃতিচারন করলাম। কতই না ভালো ছিলো সেইদিন💔
তবে আজকের আইস্ক্রিম ফ্রি ছিলো