আমরা পুলিশ পরিবার

আমরা পুলিশ পরিবার We are a police family.

* ডিবি (পশ্চিম) কর্তৃক গত ১০/০৯/২০২৫ খ্রি. তারিখ উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও আইএমইআই বিবরণী*
22/09/2025

* ডিবি (পশ্চিম) কর্তৃক গত ১০/০৯/২০২৫ খ্রি. তারিখ উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও আইএমইআই বিবরণী*

ডাকাতি মামলার আসামী গ্রেফতার সহ মামলার রহস্য উদঘাটনে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার  শ্রেষ্ঠ অফিসার এর 🤲❤️🤲 কুমিল্লা জে...
22/09/2025

ডাকাতি মামলার আসামী গ্রেফতার সহ মামলার রহস্য উদঘাটনে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার শ্রেষ্ঠ অফিসার এর 🤲❤️🤲 কুমিল্লা জেলার

মাননীয় পুলিশ সুপার স্যার এর নিকট হইতে পুরুষ্কার গ্রহন
দোয়া রহিল এস আই তারেক আকাশের জন্য, কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে সবসময় ❤️❤️

19/09/2025

বাস্তব ঘটনালম্বনে রহস্য উম্মোচন!ফেরিওয়ালা সেজে ১বছর পর ক্লুলেস খু*নে*র রহস্য উদ্ধার!যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী বউবাজার ...
19/09/2025

বাস্তব ঘটনালম্বনে রহস্য উম্মোচন!

ফেরিওয়ালা সেজে ১বছর পর ক্লুলেস খু*নে*র রহস্য উদ্ধার!
যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী বউবাজার এলাকার একটি মেস থেকে উদ্ধার হলো রিপন নামের এক যুবকের লা*শ। কয়েকদিন আগে মৃ*ত্যুবরণ করার ফলে প্রচন্ড গরমে লাশটি ফুলে, পঁচে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিলো। তালাবদ্ধ মেস থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর সবাই ধরে নিয়েছিল লোকটি হয়তো আত্মহত্যা করেছে, অথবা প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে মা*রা গেছেন।

রিপনের মা ও বোনও বললেন তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কি আর করা, পুলিশ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলো এবং পোস্টমর্টেম শেষে মৃতদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করলো।

সময় গড়িয়ে প্রায় এক বছর পর ডাক্তারী রিপোর্ট এলো পুলিশের হাতে। রিপোর্টে লেখা— “এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, ভিকটিমককে গলা টি*পে শ্বা*সরোধ করে হ*ত্যা করা হয়েছে।”

এবার নড়েচড়ে বসলো পুলিশ। রিপনের বোনকে বিষয়টা জানালে তারা জানায় তার ভাই হ*ত্যা*কান্ডের বিচার চান। রিপনের বোন বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে থানায় হ*ত্যা মামলা দায়ের করলেন। তদন্তের দায়িত্ব পড়লো আমার বন্ধু ও ব্যাচমেট চৌকষ ও নবীণ অফিসার এসআই বিলাল আল-আজাদের উপর।

এসআই বিলাল প্রথমেই খুঁজতে থাকলেন রিপনের রুমমেটদের। কিন্তু এক বছরে বাসায় ভাড়াটিয়া পাল্টে গেছে বহুবার। প্রতিবেশীরাও কিছু মনে করতে পারছে না। খুঁজতে খুঁজতে জানা গেলো রিপনের এক রুমমেট মোরসালিন নামের এক তরুণ পাশের গ্যারেজে কাজ করত। সেখান থেকে সূত্র মেলে তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলা। এতোবড় বরিশাল জেলায় মোরসালিন নামের কত মানুষ আছে তার হিসাব আছে?

তখন প্রযুক্তিও এতো আপডেট হয়নি। বিলাল প্রথমে খুঁজতে থাকে এমন একটি গ্যারেজ যেখানে মোরসালিন নামের কেউ কাজ করে। এমন কয়েকটা গ্যারেজ বের করে মোরসালিন নামের একজন পাওয়া গেলো যার বাড়ি বরিশাল জেলায়।

নামটা শুধু মোরসালিন বাড়ি বরিশাল এর বাইরে আর কিছু জানা নেই। সরাসরি গিয়ে তাকে খুঁজে পেলে সে হয়তো পালিয়ে যাবে তাই ভিন্ন কৌশল নিলেন এসআই বেলাল। গুলিস্তান থেকে তিন হাজার টাকার জুতা-স্যান্ডেল কিনে ফেরিওয়ালা সেজে রওনা হলেন বরিশালে।

চেহারায় আনলেন ব্যাপক পরিবর্তন। লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত এসআই বিলালের কাঁধে পুরনো ব্যাগ ভর্তি জুতা নিয়ে বরিশালের পথে প্রান্তরে গ্রামে গঞ্জে ঘুরে হাঁক ডাকছেন— “এই কম দামে জুতা নেন, এই স্যান্ডেল নেন!”

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে ছয়জন ‘মোরসালিন’- কে খুজে পেলেন। কয়েকদিন ধরে কখনো জুতা, কখনো খেলনা বিক্রি করতে করতে সবার বাড়ি চষে ফেললেন। এক সময় যার খুঁজে নাম খুজে পেলেন পেলেন কিন্তু তার বাড়িতে তালা ঝুলছে। অবশেষে জানা গেল একজন ব্যক্তি মোরসালিনকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন।

গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হলো, কিন্তু তদন্তে দেখা গেল সে অরিজিনাল মোরসালিন নয়।

প্রথম টার্গেট মিস হলেও হাল ছাড়েনি এসআই বিলাল আল আজাদ। নতুন কিছু ক্লু পাওয়ায় তদন্তে নতুন মোড় নিলো।

রাত তখন সাড়ে তিনটা। এক সম্ভ্রান্ত বাড়ির চারদিকে উঁচু দেয়াল, গেটে অ্যালার্ম সিস্টেম, মালিকের কাছে বৈধ আ*গ্নে*য়া*স্ত্র সেই বাড়িতেই কাজ করছে মোনসালিন! পরিস্থিতি কঠিন ভয়ানক, আভিযানিক টীমের গা শিরশির করছে, পায়ের নিচে শুকনো পাতা পড়লেও যেন শব্দ না হয় সেভাবে পা টিপে টিপে চলছে সবাই। সবাই সতর্ক পজিশন।।

কলিং বেল দিলে আসামি পালাতে পারে। তাই এসআই বিলাল ও তার আভিযানিক দল সরাসরি দেয়াল টপকে ঢুকে পড়লেন বাড়ির ভেতর। সেখানে দেখা গেলো মোরসালিন রাত জেগে প্লাস্টারের কাজ করছে সেখান থেকেই চিলের মত ছোঁ দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে দ্রুত থানায় নিয়ে আসা হয়।

রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মোরসালিন জানাল— সে রিপনের রুমমেট ছিল। বাসা ভাড়া পরিশোধ না করায় একদিন রিপন তাকে বাসা ছাড়তে বলে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তখন সে রিপনের গলা টিপে ধরে। রিপন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আর আর জেগে ওঠেনি। মৃ*ত্যু*র পর মোরসালিন বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে আইনের আওতায় এনেছে।

এসআই বিলাল আল-আজাদ বলেন—
“রিপন হত্যার রহস্য ভেদ করা আমার কাছে ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। অনেক বাঁধা-বিপত্তি আসলেও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাইনি। মনে শুধু একটাই ছিল আমাকে অবশ্যই সফল হতে হবে।”।।।।।।

এই মামলায় কোনো সাক্ষী ছিল না, কোনো ক্লুও ছিল না। এক বছর পর ডাক্তারি রিপোর্ট এলে শুরু হয় প্রকৃত তদন্ত। ছদ্মবেশে বরিশালে গিয়ে দিনের পর দিন ফেরিওয়ালা সেজে ঘুরে রহস্য উম্মোচন করে রাতের অন্ধকারে দেয়াল টপকে আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিলাল আল আজাদের বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তে খুনিকে আইনের মুখোমুখি করার জন্য তদন্ত, গ্রেফতার করে আদালতে চার্জশীট দাখিলের পর্যায়ক্রমিক বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল আপনাদের কেমন লেগেছে?
©®
নতুন নতুন গল্প পেতে ফ্লো দিয়ে রাখুন, পেজে কে কোথা থেকে জয়েন করেছেন জানাবেন।

গতকাল রাতে বৃষ্টি শুরু হইছে জুয়ারী ধরতে গেসি রাস্তায় গাড়ি রাইখ্যা ১ কিলো হাইটা। তারাকান্দায় এইডাই আমার শেষ অভিযান যদিও। ...
16/09/2025

গতকাল রাতে বৃষ্টি শুরু হইছে জুয়ারী ধরতে গেসি রাস্তায় গাড়ি রাইখ্যা ১ কিলো হাইটা। তারাকান্দায় এইডাই আমার শেষ অভিযান যদিও। আমরা ৭/৮ জন। জুয়ার আসর বসছে একটা বাড়িরে সামনে গাছ তলায়। আসেপাশে ধানক্ষেত। জুয়া খেলায় হানা দিতেই আমরা ৩ জনকে ধরছি। আমি যাঁরে ধরতে গেসি তার লুঙ্গী গেসে খুইল্যা। সে লুঙ্গী থুইয়াই ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে ৩ বার কাদার মইধ্যে নাকানি চুবানি খাইছে। পরে লুঙ্গী কাদা মাখা হওয়ায় আমি এইডা আরো কাদা দিয়া মাইখ্যা রাইখ্যা আসছি৷ এখন প্রশ্ন হইছে ও কি লুঙ্গী নিতে পরে আইছে নাকি এমনি করেই বাড়িতে গেসে আর বাড়িতে যদি যাইয়াই থাকে তাইলে বউ কি আস্ত রাখছে! 😶
©®

সামান্য কয়েক ফোটা বৃষ্টির ভয়ে সবাই যখন বাড়ীর ভিতরে বসে আছে, তখন ছাতা হাতে বাবার লা°শের পাশে দাড়িয়ে আছে শুধু মেয়েটা। যাতে...
14/09/2025

সামান্য কয়েক ফোটা বৃষ্টির ভয়ে সবাই যখন বাড়ীর ভিতরে বসে আছে, তখন ছাতা হাতে বাবার লা°শের পাশে দাড়িয়ে আছে শুধু মেয়েটা। যাতে বাবার গায়ে এক ফোটাও পানি না পড়ে।

সারাজীবন সম্পদ করে যাবেন শুধু বংশের বাতি ছেলে সন্তানের জন্য। আর, আপনার গায়ে যাতে ফুলের আঁচড় না লাগে, তার দায়িত্ব আপনার মেয়ে সন্তানের। 😢😥

রাতে পুলিশ চেকপোষ্টে তল্লাশির জন্য যখন গাড়ি থামানো হয়,তখন যাত্রীরা এতোটাই বিরক্তবোধ করে যে,মনে হয় পুলিশ নয় ডা-কা-ত গাড়ি ...
14/09/2025

রাতে পুলিশ চেকপোষ্টে তল্লাশির জন্য যখন গাড়ি থামানো হয়,তখন যাত্রীরা এতোটাই বিরক্তবোধ করে যে,মনে হয় পুলিশ নয় ডা-কা-ত গাড়ি থামিয়েছে ডা-কা-তি করার জন্য।

অথচ যখন অপ্রত্যাশিত ঘটনার স্বীকার হন,তখন আপনি সবার আগে পুলিশকেই খোঁজেন।
আপনাদেরই নিরাপত্তার জন্য সাময়িক সময় বিলম্ব আপনাদের সহ্য হয়না।আর তাই বিপদে পড়লেও হায় হায় করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।

একজন সুনাগরিকের উচিৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা।

নিরাপদ রাষ্ট্র গড়তে সর্বপ্রথম যেটা জরুরী সেটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে এবং বাধাহীনভাবে পালন করতে দেওয়া।

দেশটা হোক সুন্দর 🇧🇩 নিরাপদ থাকুক সবাই ।

 #মেইনরাস্তায় অটোরিকশা বন্ধে আপনার মতামত কি?সব দিক বিবেচনায় এই অটোরিকশা মেইনরোডে বন্ধ কর‍তে সুন্দর সমাধান কি?
12/09/2025

#মেইনরাস্তায় অটোরিকশা বন্ধে আপনার মতামত কি?
সব দিক বিবেচনায় এই অটোরিকশা মেইনরোডে বন্ধ কর‍তে সুন্দর সমাধান কি?

কোতয়ালী মডেল থানার চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়ের হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে।কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর...
12/09/2025

কোতয়ালী মডেল থানার চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়ের হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে।

কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কালীয়াজুড়ি এলাকার আমিরুল ইসলাম রনির ভাড়া বাসায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২), তার ছোট মেয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী), বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম (৩৪), ছোট ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) প্রায় ০৪ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। গত ০৭.০৯.২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২) এর বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম রাত ১০:৪৫ ঘটিকায় বাসায় এসে দেখেন বাড়ির মূল দরজা সামান্য খোলা। তিনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার মা ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফতেমা (৫২) ও ছোট বোন ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) এর ঘরের লাইট বন্ধ দেখতে পান। তার মা ও বোন তাদের নিজস্ব রুমে শুয়ে আছে মনে করে তাদেরকে না ডেকে মোঃ তাজুল ইসলাম সামনের রুমে বসে থাকেন। অতঃপর ভিকটিমের ছোট ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) ঘন্টাখানেক পর বাসায় ফিরে খাবারের জন্য প্রথমে তার ছোট বোন ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) কক্ষে গিয়ে ডাক দিলে কোন সাড়া-শব্দ না পেলে তার হাত ধরে ডাকলে বুঝতে পারেন তার শরীর ঠান্ডা। পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম তার মায়ের কাছে গিয়ে মাকে ডাকলে তার মায়ের কোন সাড়া-শব্দ না পেলে মায়ের পা ধরে ডাকলে তার শরীরও ঠান্ডা অনুভূত হয়। পরবর্তীতে মোঃ তাজুল ইসলাম মায়ের শরীরের উপরে থাকা বিছানার চাদর ধরে টান দিলে মায়ের মুখ ফুলা ও মুখ থেকে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে তার মা ও ছোট বোন মৃত। অতপর জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভিকটিমদ্বয়ের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করত: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মরদেহ ০২ (দুই) টি প্রেরণ করে।

ঘটনাস্থলে সিআইডি ও কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শন করে এবং সিআইডি আলামত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বাদী মোঃ তাজুল ইসলাম ( ফয়সাল (৩৪) এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩৬, তারিখ-০৮.০৯.২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-১০৯/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়।

এটি একটি আলোচিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার এর নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এর একটি চৌকশ টিম কাজ শুরু করে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী মোঃ মোবারক হোসেন (২৯) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, মাতা- খদিজা বেগম, সাং-কাবিলপুর (হাজী আব্দুল হাকিমের বাড়ি), থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা: বর্তমান ঠিকানা কাজী বাড়ি, বাগিচাগাঁও, কুসিককে গত ০৮.০৯.২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাওয়া প্রস্তুতিকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মোবারক হোসেন-কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মেয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে কথিত জ্বীনে ধরায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার মেয়েকে বাবুস সালাম জমিরিয়া মাদরাসা এর ইলিয়াস হুজুরের কাছে ঝাড়-ফুক করার জন্য যেতেন। সেখানে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন এর সাথে পরিচয় হলে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা আসামীকে তার বাসায় মেয়েকে এসে ঝাড়-ফুক দিতে বলেন। আসামী মোঃ মোবারক হোসেন কয়েকবার ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি-কে ঝাড়-ফুক করে আসে। আনুমানিক এক মাস যাবত আসামী ভিকটিমের বাসায় আসা-যাওয়া করত। ঘটনার দিন সকাল ০৮:৩০ ঘটিকায় আসামী মোঃ মোবারক হোসেন একটি কমলা রংয়ের শপিং ব্যাগ ও একটি কালো রংয়ের ব্যাগ নিয়ে ভিকটিমের বাসায় প্রবেশ করে। অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ঝাড়-ফুক করে বাসায় পানি ছিটায়। অনুমান ১১:২৩ ঘটিকায় বাসার বাহিরে যায় অতঃপর পুনরায় ১১:৩৪ ঘটিকায় ভিকটিমের বাসায় ফিরে দেখে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার রুমে শুয়ে আছেন। আসামী মোঃ মোবারক হোসেন সরাসরি ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর রুমে গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর মা তাহমিনা বেগম ফাতেমা দেখে ফেলেন এবং তিনি আসামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রথমে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ও তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে আসামী মোবারক হোসেন ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা-কে তার রুমে নিয়ে গিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর রুমে প্রবেশ করে আবার ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি-কে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আসামী মোবারক ভিকটিমের বাড়িতে থাকা ০৪ (চারটি) মোবাইল ও ০১ (একটি) ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

আসামীর কাছে থেকে চোরাইকৃত ০৪ (চারটি) মোবাইল ও ০১ (একটি) ল্যাপটপ, মোবাইল ও ল্যাপটপের চার্জার উদ্ধার করে। এছাড়া আসামী ভিকটিমের বাসায় কমলা রংয়ের যে ব্যাগটি নিয়ে প্রবেশ করে তা আসামীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থান ও তার অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মত্মগোপনে ছিল। তবে তথ্য প্রযুক্তি, পুলিশের কৌশল, পেশাদারিত্ব ও অপরাধ দমনে দৃঢ় সংকল্পের কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামী মো: মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মাকে হত্যাকান্ডের মতো নৃশংস ঘটনায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

Address

ঢাকা
কুমিল্লা

Telephone

+8801814398300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমরা পুলিশ পরিবার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share