মাসিক আত-তাওহীদ

মাসিক আত-তাওহীদ মাসিক আত-তাওহীদআল-জামিয়া মার্কেট (3য় ত?

প্রতিষ্ঠাতা: আলহাজ মুহাম্মদ ইউনুস (রাহ.)
সম্পাদক: আল্লামা মুফতী আবদুল হালীম বুখারী
সহকারী সম্পাদক: ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
দফতর সম্পাদক: মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মু. সগির আহমদ চৌধুরী

14/12/2023
التحذير من البيانات التافهة والإصغاء إليهابسم الله الرحمن الرحيمالحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده، وعلى ...
04/12/2023

التحذير من البيانات التافهة والإصغاء إليها
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبي بعده، وعلى آله وصحبه الغر المحجلين، ومن تبعهم بإيمان وإحسان إلى يوم الدين، وبعد!
فقد أخذني الأسف والعجب الشديدان وجرحت مشاعري حين سمعت بيانين أولهما عزيزي الأغر / عبيد الله عبد المجيد عبر الشبكة العنكبوتية، أما أولها فيتعلق بي، والآخر بالحادثة الإرهابية الواقعة بجامعة فتية الإسلامية (في بنغلاديش) مع اعترافي وتقديري بجدارته العلمية وذكائه الباهر اضطررتُ إلى أن أكتب انطباعي حول ما قال العزيز الموصوف عن أوضاعي الحالية، فأقول بكل صراحة أن ما أبرزَ في بيانه يخالف الواقع مخالفة تامّة، حيث أنّني وإن كنتُ مبتلى بأمراض جسمانية متنوعة ما زلتُ - ولله الحمد والشكر - صحيح الدماغ، سليم العقل، وراجح الفكر، أُدبّر الأمور كلها بنفسي، أدير شئون الجامعة والأسرة والمجتمع، وأقوم بتدريس الكتب، وأكتب بقلمي، وألقي الخطاب والخُطب.
فتلك القرارات التي اتخذت برئاستي حول الجامعة الإسلامية فتية کرئیس مجلس الشورى ورئيس هيئة اتحاد المدارس الأهلية والمشرف الأعلى للجامعة الموصوفة فقد اتخذت بالآراء الجماعية لأعضاء مجلس الشورى للجامعة، وهيئة الاتحاد - حسب القانون - فإدعاء العزيز أنها غير مقبولة، مردود لا يعبأ به أنا بدوري أوصي العزيز بالتواصي بالحق لا بالباطل، وأما بيانه الآخر ففيه تشجيع للإرهاب والفساد، حيث انتقد فيه نقدًا فاحشًا لفقيه الملة أستاذنا المفتي عبد الرحمن نوّر الله مرقده وفضيلة المفتي عبد الحليم البخاري رحمه الله (الرئيس السابق) والرئيس الحالي الشيخ عبيد الله حمزة المظلوم بأسلوب غير حيادي لا يليق بمتخرج واعٍ مثل صاحب هذه البيانات التافهة، أسأل الله - جل شانه - له السداد وتوفيق الرجوع إلى الحق والتعاون على البر والتقوى، إنه ولي التوفيق، وارجو من متخرجي جامعة فتية ومن يحبها عدم الاعتناء بنشرته، وصلى الله تعالى على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم.

كتبه بخطه
العبد الحقير محمد سلطان ذوق الندوي عفا الله عنه
19/05/1445 هـ

03/12/2023

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা সাহেবের বিরোধীদের কয়েকটি ‘গুরুতর’ অভিযোগ নিয়ে কিছু প্রশ্ন
এক.
(তিনি ‘সুদখোর।’ কারণ তিনি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশসহ কয়েকটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য। এবং তিনি পটিয়া মাদ্রাসার ভেতরে ইসলামি ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো:
—ইসলামি ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান হলে বা ইসলামি ব্যাংকিংয়ে উপদেষ্টা হিসেবে জড়িত থাকলে তাকে ‘সুদখোর’ বলা যাবে কি? বাংলাদেশের কোনো দারুল ইফতা কি এমন ফতোয়া দিয়েছে?
—তিনি সুদখোর হলে দেওবন্দি আলিমদের মধ্যে যাঁরা এই সেক্টরে জড়িত ছিলেন বা আছেন—সবাই কি ‘সুদখোর’ ছিলেন বা আছেন? (মুফতি তাকি উসমানি, মুফতি আবদুর রহমান, মাওলানা আবদুল হালিম বুখারী, মুফতি শাসমুদ্দিন জিয়া—একই সূত্রে তারাও ত ‘সুদখোর’ হয়ে যাচ্ছেন, কী বলেন?)
—ইসলামি ব্যাংকের এটিএম বুথ স্থাপনে যদি সুদি লেনদেন হয়, তাহলে ইসলামি ব্যাংকে যে কয়েক দশক ধরে মাদ্রাসার একাউন্ট রয়েছে, এ থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে—তা কেন সুদি লেনদেন হচ্ছে না?
—ধরে নিলাম, ইসলামি ব্যাংক সুদি ব্যাংক, তবে কেন সেই ব্যাংকের একাউন্ট ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুদ খেতে কেন এত উতলা হচ্ছেন?
দুই.
(তার ঈমানে ‘সমস্যা’ রয়েছে বা কেউ কেউ এককাঠি সরেশ হয়ে বলেছে, তিনি ‘কাফির-মুশরিক-ইহুদি’। কারণ তিনি মক্কায় সৌদি সরকারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি ইন্টারফেইথ সম্মলনে অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে বিশ্বের অনেক নামকরা আলেম অংশগ্রহণ করেছেন। এবং সেই সম্মেলনে কী হয়েছিল, তা ওবাইদুল্লাহ সাহেব নিজেই আত-তাওহীদে কলাম লিখে স্পষ্ট করেছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো—
—এই ঘটনা ২০০৮ সালের। যখন তিনি মাদ্রাসার তেমন কোনো বড় দায়িত্বেও ছিলেন না। তিনি স্রেফ মাদ্রাসার পরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে মক্কায় গিয়েছেন। এই ঘটনায় তাকে দায়ী করার আগে তৎকালীন মুহতামিম সাহেবকে কেন দায়ী করা হবে না?
—ইন্টারফেইথে বিশ্বাসীদের ঈমান নেই মর্মে যে ফতোয়া পটিয়া মাদ্রাসার দারুল ইফতা থেকে দেওয়া হয়েছে, তাতে ইন্টারফেইথের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সে হিসেবে কি ওবাইদুল্লাহ সাহেবকে ইন্টারফেইথে বিশ্বাসী বলা যায়?
—যদি তা-ই হয়, তবে জামিয়ার প্রধান মুফতি হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেব হুজুর কেন এই ফতোয়া দেওয়ার পরও বছর দুয়েক হামজা সাহেবের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একটি কথাও বলেননি এবং এখনও বলছেন না?
—দেওবন্দি অনেক আলিমই তো বিভিন্ন ইন্টারফেইথ কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। ভারতের মাওলানা আরশাদ মাদানী, মাওলানা মাহমুদ মাদানীসহ আরও অনেকেই তো বিধর্মীদের সঙ্গেও অংশ নিয়েছেন। সেখানে হামজা সাহেব তো মুসলিম স্কলারদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন কেবল? তারাও কি কাফির-মুশরিক হয়ে গেছেন?
তিন.
(তিনি ‘ইহুদি-খ্রিষ্টানদের দালাল’। কারণ তিনি ‘ইসলামে মানুষের মৃতদেহের মর্যাদা’ বিষয়ে একটি ইংরেজি বই লিখেছেন এবং সেটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্চাসেবী সংগঠন রেডক্রস প্রকাশ করেছে। এবং সেটির সুবাধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতবাসের একটি প্রতিনিধিদল তার মাধ্যমে পটিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছিল।)
এখন প্রশ্ন হলো:
— ‘ইসলামে মানুষের মৃতদেহের মর্যাদা’— এই বইটি পশ্চিমাদের কাছে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দিক তুলে ধরে লেখা হয়েছে। এই বইয়ের কোন অংশটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলবেন কি?
—রেডক্রস পুরো বিশ্বের সব দেশেই স্বীকৃত একটি সংগঠন। মুসলিম বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেয়, যেখানে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের কার্যক্রম নেই। তো এই সংস্থা থেকে বই প্রকাশে কীভাবে তিনি ‘দালাল’ হলেন, বুঝিয়ে বলবেন?
—আমেরিকা যাওয়া খারাপ বুঝলাম, কিন্তু সেখানে কী কী ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র করে এসেছেন, তার কি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে?
—দেওবন্দসহ অসংখ্য বড় বড় কওমি মাদ্রাসায় বিদেশী কূটনীতিকরা বিভিন্ন সময় এসেছেন, তখনও কি তারা দালাল হয়ে গেছেন?
—২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাটহাজারি মাদ্রাসায় হেফাজত নেতাদের সঙ্গে মার্কিন দুই কূটনীতিক বৈঠক করেছিলেন এবং ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে লালখান বাজার মাদ্রাসায় অষ্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এসে সরাসরি বৈঠক করেছেন। তো তাদেরও কি ইহুদি-খৃষ্টানদের ‘দালাল’ বলবেন?
—মরহুম আবদুল হালীম বুখারী সাহেব হুজুর যে হাজি সাহেব হুজুরের আমলের জনৈক কূটনীতিক ডগলাসের পটিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন নিয়ে গল্প বলতেন, তা কি মিথ্যা? তারাও কি নাউজুবিল্লাহ ‘দালাল’ ছিলেন?
— মনে রাখবেন, এখানে আমি উচিত-অনুচিতের প্রশ্ন করিনি। বরং বলেছি, পরিস্থিতির কারণে বা বিশেষ হেকমতের দৃষ্টিকোণ থেকে এমন কাজ কি দেওবন্দি কোনো মাদ্রাসায় আগে কখনো হয়নি? তাহলে হামজা সাহেবকে কেন একা দোষারোপ করবেন?
চার.
(তিনি ‘সরকারের দালাল এবং র-এর এজেন্ট’। কারণ তিনি সাংসদ আবু রেজা নদভীর ‘পরামর্শে’ মাদ্রাসা চালিয়েছেন। ‘সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে’ মোদিবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘বহিষ্কার’ করেছেন এবং ইফতা ‘বন্ধ’ করেছেন। তার সঙ্গে ভারতীয় দূতবাসের ‘যোগাযোগ’ রয়েছে।)
এখন প্রশ্ন হলো:
—মোদিবিরোধী আন্দোলন, বহিষ্কার ও ইফতা বন্ধের ঘটনা ২০২১ সালের। তখন তিনি নায়েবে মুহতামিম ছিলেন। মুহতামিম ছিলেন আল্লামা বুখারী সাহেব হুজুর। তার নির্দেশ ছাড়া বা তার বিরুদ্ধে গিয়ে বা মাদ্রাসার অন্যান্য উস্তাদদের বিরুদ্ধে গিয়ে এককভাবে কি তিনি ছাত্র বহিষ্কার করেছিলেন বা অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলেন? নাকি মুহতামিমসহ সবার সম্মতি নিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল?
—তিনি যদি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে তখন মুহতামিম ও অন্যান্য উস্তাদরা কোথায় ছিলেন? আর যদি তা না হয়ে থাকে, তবে তিনি একা কেন এই ঘটনায় দায়ী হবেন?
—বুখারী সাহেব হুজুরের আমলেও তো প্রশাসনকে তালিকা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ১৩/১৪ সালে হেফাজত আন্দোলনে মাদ্রাসার যেসব ছাত্র সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল, তাদের তালিকাও পুলিশকে দেওয়ার কথা আমরা শুনেছি এবং ভুক্তভুগীদের কষ্টও নিজ চোখে দেখেছি। তবে তিনিও কি তাহলে সরকারের ‘দালাল’ ছিলেন নাউজুবিল্লাহ।
—হেফাজতের সঙ্গে পটিয়া, দারুল মাআরিফ ও বসুন্ধরার বিরোধ হয়েছিল মূলত ২০১০ সালে। একদম প্রতিষ্ঠার সময়ে। কীভাবে মুরব্বিদের ‘আবাসা গ্রুপ’ ও ‘সরকারের দালাল’ বলে অপদস্থ করা হয়েছিল— সেই গল্প কি আপনি জানেন? কারা করেছিল জানেন? কেন পটিয়াকেন্দ্রীক মুরব্বিরা বারবার হেফাজতের আন্দোলনে অনীহা দেখিয়েছেন জানেন? এসব ঐতিহাসিক বাস্তবতা না জেনে হেফাজতবিরোধিতা মানে ইসলামবিরোধিতা বা সরকারের দালালি বলছেন না তো?
—হাটহাজারী বা হেফাজতের সঙ্গে বিরোধ পটিয়ার মুরব্বিরা কখনোই চাননি। তবে উনারারই সব সময় পটিয়ার মুরব্বিদের অবমূল্যায়ন করেছেন। ১০ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত পটিয়া, বসুন্ধরা ও দারুল মাআরিফের কাউকে কি হেফাজতের কমিটিতে রাখা হয়েছে? এরপরের কমিটিগুলোতে সহসভাপতি, সদস্য ও সহ-সেক্রেটারির মতো নামস্বর্বস্ব পদ ছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে? দেখাতে পারবেন?
—আবু রেজা নদভী এমপি ও এস আলম মাসুদ সাহেবের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যদি নিন্দনীয় হয়, তবে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি, সিডিএর এমএ সালাম ও শামসুল হক চৌধুরী এমপির সহায়তা নেওয়া এবং তাদের সঙ্গে বৈঠক করা কেন নিন্দনীয় নয়?
পাঁচ.
(তিনি ‘জালিম ও পাপী’। কারণ তিনি উস্তাদদের ‘জুলুম’ করেছেন। তাদের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করেছেন। উস্তাদদের ‘ন্যায্য’ অধিকার বাতিল করেছেন। ছাত্রদের প্রতি ‘জুলুম-সেতম’ করেছেন। বানিয়ে জামিয়ার ব্যাপারে ‘বেয়াদবিমূলক’ কথা বলেছেন। বানিয়ে জামিয়ার পরিবারকে ‘অবমূল্যায়ন’ করেছেন। অসংখ্য ‘মিথ্যাচার’ করেছেন। কারও সঙ্গে ‘পরামর্শ’ করেননি। সময় মতো শূরা করেননি। জামিয়া রোড ও আন্দরকিল্লার ব্যবসায়ীদের ‘অসন্তুষ্ট’ করেছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো:
—তিনি যদি উস্তাদদের সঙ্গে জুলুম করে থাকেন, তবে তিনি কি ক্ষমাও চাননি? কিন্তু তাকে সুযোগ না দিয়ে ছাত্রদের মাধ্যমে বিশৃংখলা করিয়ে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে?
—তিনি ক্ষমার অযোগ্য হলে কি ছাত্রদের মাধ্যমে বিশৃংখলা করিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে জোর করে বের করে দেওয়া জায়েজ?
—তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি সময় মতো শূরা করেন নি। তবে এটি তো তখন বলতে পারতেন, যখন তার দেওয়া তারিখের পর বিশৃংখলা হতো। এখন তো শূরার ৫ দিন আগেই আপনারা জোর করে তাকে বের করে দিয়েছেন? কোন মুখে আপনার শূরা করেনি বলে অভিযোগ করেন?
—উস্তাদদের ২৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে খাবার কমানো কি জুলুম? ছাত্রদের জন্য ক্যান্টিন বানিয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার নিষেধ করা, বাটন মোবাইল অনুমতি দিয়ে এন্ড্রয়েড নিষেধ করা কি জুলুম?
—প্রশ্নপত্র কঠিন করা, ছাত্রদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পড়াশোনায় কড়াকড়ি করা কি জুলুম? শুবাজাতে যোগ্য শিক্ষক রেখে সেগুলোর গতি বাড়ানো এবং উন্নতি করা কি অন্যায়?
—অন্যায়ভাবে জামিয়ার সম্পদ জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে দোকানপাঠের ভাড়া বাড়ানো কি অন্যায়? যেখানে সেসব দোকানের আশেপাশের দোকানগুলো তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে?
—বানিয়ে জামিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন বলা হচ্ছে, তবে এতোদিনেও কেন তার সেসব কথার একটিও কলরেকর্ড ফাঁস করতে পারেননি? বা কোনো উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেন নি কেন?
—বরং আমরা তো তাকে বক্তৃতায় সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেখেছি। তাকে জুলুম করে বের করে দেওয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে একটু টু শব্দও তাকে করতে দেখিনি আমরা। কাউকে দোষারোপ করেননি। কারও বিরুদ্ধে বিষোদগার করেননি। কারও বিরুদ্ধে একটি বক্তৃতাও ত দিতে দেখলাম না?
—তিনি যে ক্ষমতার জন্য ‘লালায়িত’ বলছেন, এই এক মাসে তার কোনো কাজেই তো প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি ত প্রশাসনের কাছে বৈধ মুহতামিম। তবুও তো তিনি প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করেননি। আপনাদের কথা মতে, তিনি সরকারের দালাল হয়ে থাকলে, কেন তিনি সরকারের সহযোগিতায় জোর করে দখল করেননি। বরং এখনো কেন আপসের কথাই বলছেন?
—বিপরীতে আপনারা কী করেছেন? পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি? এটা ঠিক, ওটা গুজব! ছাত্র ও সাহেবজাদাদের ইশারায় কথায় কথায় বিবৃতি দেওয়ায় কি জামিয়ার মানসম্মান বেড়েছে? ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস ও অপরাধ করে যাওয়া ফেক আইডিগুলোকে তিরষ্কার করবেন দূরে থাক, উল্টো বগলদাবা করে ঘুরে বেড়ানোয় কি জামিয়ার শান বেড়েছে?
—পরীক্ষার প্রশ্ন সহজ করার ঘোষণা দেওয়া, মোবাইল ব্যবহারে অঘোষিত অনুমতি দেওয়া, ছাত্রদেরকে দিয়ে ছাত্রদের টর্চার করার সুযোগ দেওয়ায় কি ‘জুলুম-সেতম’ থেকে মুক্তি মিলেছে?
—উস্তাদদেরকে ছাত্রদের কথায় উটবস করানো, তাদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা, উস্তাদকের ছাপ দেওয়া, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে কসম করে পোস্ট দেওয়ানো—এগুলো কি ইনসাফ এবং জামিয়ার সুষ্ঠু পরিবেশের নমুনা?
ছয়.
(তিনি ‘অবৈধভাবে মুহতামিম হয়েছেন’। কারণ তিনি মুহতামিম হওয়ার আগে বানিয়ে জামিয়ার পরিবারের সমর্থন নিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে জওক সাহেব হুজুর, এমপি শামসুকে মেনেজ করেছেন। ছাত্রদের অনুপস্থিতিতে শূরা করেছেন। এমপির সহায়তায় হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেব হুজুরের মাধ্যমে শূরার অন্যতম সদস্য আরশাদ রাহমানীর অনুপস্থিতিতে তাড়াতাড়ি শূরা করেছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো:
—বানিয়ে জামিয়ার পরিবার যদি এখলাসের সঙ্গে তাকে সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাকে বিভিন্ন বড় বড় ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে থাকেন এবং মাদ্রাসার কল্যাণকামনা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবে এখন কেন তিনি খারাপ হয়ে গেলেন? স্বার্থের দ্বন্দ্ব না তো?
—দাবি মতে জওক সাহেব ও এমপি শাসমু সাহেবকে মেনেজ করে যদি মুহতামিম বানানো হয়, তবে শূরায় কী হয়েছিল? শূরার সদস্যদের অধিকাংশ কি তাকে মুহতামিম বানানোর বিরুদ্ধে ছিলেন? যদি তা-ই হয়, তবে তাদের তালিকা দেন? আর যদি নাই হয়, তবে সেই শূরাকে অবৈধ বলছেন কেন?
—হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেব হুজুর তার মুহতামিমিকে পাকাপোক্ত করতে সবই করলেন। বানিয়ে জামিয়ার পরিবারও সবই করলো। এখন কেন তাহলে অবৈধতার কথা আসছে? এক বছর ধরে সেই দাবি কই ছিল? আর তিনি অবৈধ হয়ে থাকলে আপনারা তাকে সাবেক মুহতামিমই বা কেন বলছেন, তিনি তো তাহলে মুহতামিমই ছিলেন না?
—শূরার একজন বা দুইজন সদস্য অনুপস্থিত থাকলে কোন আইনে তা অবৈধ হয় জানাবেন? আর কোন আইনে মাদ্রাসা খোলা রেখে ছাত্রদের মর্জি মতো মুহতামিম বানাতে হবে—দেখাবেন?
—ধরে নিলাম, অধিকাংশ শূরা সদস্য, জামিয়ার মুরব্বি উস্তাদ ও স্থানীয় এমপি উপস্থিত থাকার পরও তার মুহতামিমি অবৈধ, তবে আপনারা যে ছাত্রদের পাহারায় শূরা প্রধান, অধিকাংশ শূরা সদস্যকে না রেখে বাইরের কয়েকজনকে এনে শূরা করলেন, তা কীভাবে বৈধ হয় জানাবেন?
—এমপির সহায়তায় যদি তখন মুহতামিম হওয়া অবৈধ হয়, তবে আপনারা যে এক মাস যাবৎ এমপির সমর্থন ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করছেন, তা কেন বৈধ হবে?
সাত.
(তিনি ‘বিতর্কিত। তাই তিনি সরে দাড়াচ্ছেন না কেন’। বা কেউ কেউ বলেছে, ‘একবার বের করে দেওয়ার পর ঢুকতে চাওয়া আকাবিরদের তরিকা নয়’। কারণ তিনি ‘বিতর্কিত’ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। এবং আমাদের আকাবিরদের মধ্যে যাদের এভাবে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে, তারা আর আসতে চেষ্টা করেননি। ওয়াকফ দেওবন্দ, বসুন্ধরা, রাহমানিয়া, দারুল মাআরিফ করেছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো—
—তিনি যে বিতর্কিত—তার একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কি এখনো পেশ করতে পেরেছেন? তার কোনো দোষ কি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দেখাতে পেরেছেন? তাহলে তাকে কেন বিতর্কিত বলবেন? তার ওপরের অভিযোগগুলোর কারণে যদি বলেন, তবে আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন?
—তিনি কি কোনো আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত? কোনো নৈতিক স্খলনের সঙ্গে জড়িত? কোনো এমন অযোগ্যতা পেয়েছেন, যার কারণে পিটিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া যায়? থাকলে নিরপেক্ষভাবে প্রমাণ দিন?
—তিনি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেননি; বরং তাকে জোর করা হয়েছে। আপনাকে জোর করে যদি আপনার ঘর থেকে বের করে দেয়, আপনি মানবেন? কোন যুক্তিতে তার সম্মতি ছাড়া কথিত অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করা হয়েছিল কথিত শূরায়?
—তিনি যদি বিতর্কিত হন, তবে বর্তমান মজলিসে এদারি যাঁদের বলছেন, তাঁরাও কি কম বিকর্তিত হয়েছেন? তারা কি হুমকি/ধমকির মুখে সাক্ষর করেননি? ভিডিও দেখেননি? তারা কি অন্যায় অব্যহতিপত্রে সাক্ষর করেননি? তারা কি ছাত্রদের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি? তারা কি একটি টু শব্দ করেছেন এত বড় অন্যায়ের বিরুদ্ধে? তাহলে তাদেরও তো সরে যাওয়া দরকার, নাকি?
—কোন মুখে বলেন যে—তিনি অন্য একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছেন না কেন? অপরদিকে সন্ত্রাসীদের কাজকে ঠিক বলছেন? লজ্জা করে না? তিনি মাদ্রাসা অনেক প্রতিষ্ঠা করেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু কোন কারণে তার ন্যায্য দাবি ছেড়ে দেবেন—যখন তার পক্ষে একটি নিয়মতান্ত্রিক শূরা রয়েছে, শূরা প্রধান রয়েছেন, অধিকাংশ শূরা সদস্য রয়েছেন, প্রশাসনের কাছেও তিনিই বৈধ মুহতামিম এবং ইত্তিহাদুল মাদারিসের প্রায় সব মাদ্রাসা, মাদ্রাসার ফাজেলরা, মাদ্রাসার অনেক উস্তাদ-ছাত্রও তাকেই সমর্থন করছেন?
—আচ্ছা, যাদের বড় বড় মাদ্রাসা থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে, তারা যে ফিরে আসেননি—এটি কি আকাবিরদের তরিকা? এটি কি দেওবন্দি আদর্শ? এ কেমন আদর্শ—অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও কি দেওবন্দি আদর্শ পরিপন্থী?
—যাদের বের করে দেওয়া হয়েছে, তাদের কি এভাবে হেয় করে মারধর করে বের করা হয়েছে? তাদের পরিবারকে কি আক্রমণের বস্তু বানানো হয়েছিল? তাদের মান-সম্মান নিয়ে কি ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল? তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছিল? কীভাবে আপনি এমন অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন?
—মাদ্রাসার একজন পরিচালককে ছাত্রদের কোলে তুলে হেনস্থা করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া দুনিয়ার কোন আইনে বৈধ—জানাবেন?
আট.
(তিনি ইত্তেহাদকে পটিয়া থেকে বের করে পটিয়ার মরকজিয়ত ‘নষ্ট’ করছেন। কারণ তিনি ইত্তিহাদের গাড়ি ও কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন। এবং পটিয়া বাদ দিয়ে মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।)
এখন প্রশ্ন হলো:
—এক মাস ধরে কারা পটিয়া মাদ্রাসা জিম্মি করে রেখেছে? ছাত্ররা কীভাবে মাদ্রাসা জিম্মি করে রাখে? আপনারা কেন ইত্তিহাদের মাদ্রাসাগুলোর আস্থা অর্জন করতে পারলেন না? তাদেরকে আপনাদের কাছে টানতে পারলেন না কেন?
—আজকের বৈঠকে যে তিনশতাধিক মাদ্রাসার দায়িত্বশীল উপস্থিত হলেন, তারা কি ন্যায়-অন্যায় বোঝেন না? তারা কেন আপনাদের সমর্থন করছেন না? তারা কেন আপনাদের কাছে আসছেন না? কেন আপনাদের নিরাপদ মনে করছেন না?
—এক মাস যাবৎ সব কাগজপত্র, গাড়ি—সবই তো মাদ্রাসায় ছিল। আপনারা যদি ইত্তিহাদের সর্বেসর্বা হয়ে থাকেন, তবে কেন তখন তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণের নেননি? কেন আপনাদের পাঠানো চিঠিগুলোর কোনো জবাব মাদ্রাসাগুলো দিচ্ছে না?
—ইত্তিহাদের সভাপতি ও সম্পাদক যদি নির্দেশ দেন, তবে গাড়ি ও ফাইলপত্র নিতে অসুবিধা কোথায়? আপনারা তো বিকল্প কোনো সভাপতি-সম্পাদকও বানাননি? এখন সহ-সভাপতির সাইন দিয়ে বিবৃতি দিলে কি তা সভাপতি ও সম্পাদকের বিবৃতির সামনে টিকে?
—ইত্তিহাদ যদি পটিয়ায় রাখতে চাইতেন, তবে ইত্তিহাদভুক্ত মাদ্রাসাগুলো যখন ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় প্রতিবাদ করেছে, তখন তাদের প্রস্তাবকে কেন গুরুত্ব দেন নি? কেন তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও ট্রল করা হয়েছে? জবাব আছে?
—একটি অবরুদ্ধ মাদ্রাসায় কীভাবে একটি বোর্ডের কার্যালয়ের কাজ পরিচালনা করা হবে বলেন? যেখানে সভাপতি ও সম্পাদককে ঢুকতে দেবে দূরের কথা, তাদের আশেপাশের মানুষকেও হেনস্থা করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে?
—এবার আপনারাই বলুন, কারা ইত্তিহাদকে পটিয়া থেকে বের করার আয়োজন সম্পন্ন করেছে? কোনো আলোচনায় কারা রাজি হয়নি? কারা সমঝোতার পথ বারবার নাকচ করেছে?
—ইত্তিহাদের আজকের বৈঠকেও পটিয়ার বর্তমান ‘পরিচালনা কমিটি’র ব্যাপারে একটি টু শব্দ করেন নি ওবায়দুল্লাহ সাহেব। কোনো অভিযোগ দেননি। বরং সমঝোতার কথা বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসানের কথা বলেছেন, সুন্দর একটি সমাধানের কথা বলেছেন। এত নোংরা ভাষায় তাকে আঘাত করা হয়েছে, হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কিন্তু তিনি একটি প্রতিবাদ পর্যন্ত করলেন না।
এখন বলেন, তার বিরুদ্ধে চালানো আপনাদের প্রোপাগাণ্ডায় আমরা আর কতদিন বিভ্রান্ত হবো? নাকি আপনারা এবার একটু আল্লাহর ওয়াস্তে থামবেন? মনে হচ্ছে, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ সাহেবের শরাফত, সবর ও হেকমতের কাছে ইতিমধ্যেই আপনাদের নৈতিক পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
আল্লাহ আমাদের ন্যায়-অন্যায় বোঝার তৌফিক দিন। হিংসুক, মিথ্যুক, ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসী, অপপ্রচারকারীদের হাত থেকে আমাদের সব উস্তাদকে হেফাজত করুন। পটিয়া মাদ্রাসাকে সব বিতর্ক থেকে মুক্ত করুন এবং অনিষ্টকারীদের হাত থেকে হেফাজত করুন।

Ezazul Hoque

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিআঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি যৌথ-অধিবেশন অনুষ্ঠিত------------------------------------------------...
02/12/2023

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের জরুরি যৌথ-অধিবেশন অনুষ্ঠিত
----------------------------------------------------------------------
পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা, দোষীদের তদন্তপূর্বক শাস্তি এবং মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইত্তেহাদ

আজ ২রা ডিসেম্বর ২০২৩ (শনিবার) সকাল ১০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মিয়াখান নগরস্থ জামিয়া মোজাহেরুল উলুমে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এর সাধারণ পরিষদ, মজলিসে শূরা ও পরীক্ষা কমিটির এক জরুরি যৌথ-অধিবেশন বোর্ডের সম্মানিত সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার পৃষ্ঠপোষক ও মজলিসে শূরার সভাপতি আল্লামা সুলতান যওক নদভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন মাদরাসার তিন শতাধিক প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, মজলিসে শূরার সদস্য ও দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা সুলতান যওক নদভী বলেন, আমি পটিয়ার সন্তান, মুরব্বিদের সোহবত ও সান্নিধ্যে পেয়েছি। আল-হামদু লিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা ইত্তেহাদের মহাসচিব ও পটিয়া মাদরাসার বৈধ মুহতামিম। সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদেরকে উদ্দেশে করে বলেন, ২৮ অক্টোবর পটিয়া মাদরাসায় সংঘটিত হামলার ঘটনা নজিরবিহীন, এ ঘটনা পটিয়া মাদরাসার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভূলণ্ঠিত করেছে। মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে, এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণে তাঁকে সহযোগিতা করুন এবং পটিয়া মাদরাসার হেফাজতে সকলে কাজ করুন।

পটিয়া মাদসার মজলিসে শূরার সদস্য ও সুলতান আহমদ নানুপুরী (রহ.)-এর সাহেবজাদা আল্লামা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী বলেন, আমার আব্বাজান বলেছেন, মাদরাসার জিম্মাদারি থেকে কাউকে বহিষ্কারের জন্য নৈতিক স্খলন, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও যোগ্যতার অভাব থাকতে হবে। কিন্তু মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার অপরাধ কী? আমি এখানে মাওলানা ওবায়দুল্লাহর পক্ষে কথা বলতে আসিনি, আমি একজন মুজলুমের পক্ষে এসেছি। দোষীদের শাস্তি না হলে কওমি মাদরাসাসমূহ ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, পটিয়ার ঘটনা এখতেলাফ নয়, এটা হিংসুকদের হিংসা; এটা মেনে নেওয়া যায় না।

বোর্ডের সহ-সভাপতি ও জামিয়া ইসলামিয়া টেকনাফের মুহতামিম আল্লামা কেফায়েতুল্লাহ শফিক পটিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কুতুবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক (রহ.)-এর আমলে অনুমোদিত বোর্ডের একটি উর্দু সংবিধানের পুরোনো কপি উঁচিয়ে বলেন, ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় দফতর হবে পটিয়ায়, কিন্তু মজলিসে শূরা প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় দফতর পটিয়া মাদরাসার বাইরেও হস্তান্তর করতে পারবে।

জামিয়া সিলোনিয়া ফেনীর নায়েবে মুহতামিম আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ কাসেমী বলেন, কওমি মাদরাসাসমূহ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটা দুষ্কৃতিকারী মহল উস্তাদদের সাথে বেয়াদবি নিজেদেরকে বিপ্লবী বলে জাহের করছে। এদেরকে এখনই রুখে না দিলে কওমি মাদরাসাসমূহ ধ্বংস হয়ে যাবে। পটিয়ার ঘটনায় উস্তাদদের সাথে বেয়াদবির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে, যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ইন্দন যুগিয়েছে তারা যত বড়ো ব্যক্তিই হোক না কেন তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ইত্তেহাদের জরুরি এ অধিবেশনে এক প্রস্তাবে সর্বসম্মতিক্রমে ২৮শে অক্টোবর পটিয়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা ও মহাপরিচালককে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করা হয় এবং উক্ত ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে ৩রা নভেম্বর ২০২৩ পটিয়াস্থ ডাক বাংলোয় অনুষ্ঠিত পটিয়া মাদরাসার মজলিসে শূরার সিদ্ধান্তসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অধিবেশনে সিদ্ধান্ত হয় যে, চট্টগ্রাম শহরে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ইত্তেহাদের যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ও যথানিয়মে বোর্ড পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এবং অস্থায়ী কার্যালয় নির্ধারণ ও পরীক্ষা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে ক্ষমতা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম শহরে নিজস্ব জমিতে ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় দফতর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাশ হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সদস্য মাদরাসাসমূহের প্রতিনিধি ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্যোগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার একটি তহবিলও গঠিত হয়। অন্য এক প্রস্তাবে বোর্ডের নীতি-শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে মুফতি হাফেজ আহমদুল্লাহ সাহেবকে অব্যহতি দিয়ে তদস্থলে আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলীলকে মনোনীত করা হয়।

বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযার স্বাগত বক্তব্যের শুরু হওয়া অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জামিয়া মোজাহের উলুমের মহাপরিচালক আল্লামা লোকমান হাকিম, ইত্তেহাদের সহ-সভাপতি ও জামিয়া পটিয়ার মজলিসে শূরার সদস্য আল্লামা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ শফীক, আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আল-মোবারক, ফেনী সিলোনিয়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা সাইফুদ্দীন ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মজলিসে শূরার সদস্য আল্লামা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী ও আল্লামা হাসান মুরাদাবাদী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ইত্তেহাদের সহ-সভাপতি আল্লামা ফুরকান উল্লাহ খলীল, আল্লামা হাফেজ সালাহুল ইসলাম, আল্লামা মুসলিম উদ্দীন, আল্লামা আফসার উদ্দীন চৌধুরী, আল্লামা মুফতি এনামুল হক, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মুহসিন শরীফ ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

আনজুমনে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ (কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এর মজলিসে উমূমী, মজলিসে শূরা ও কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির ...
29/11/2023

আনজুমনে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ (কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এর মজলিসে উমূমী, মজলিসে শূরা ও কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটির জরুরি অধিবেশন।
তারিখ : ২/১২/২৩
রোজ : শনিবার।
সময় : সকাল ১০ টায়।
স্থান : জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া
মোজাহেরুল উলূম, চট্টগ্রাম।
আল্লাহ তায়ালা কল্যাণের ফয়সালা করুন।

দেশবাসী, আলিম ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস (...
05/11/2023

দেশবাসী, আলিম ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এর সভাপতি আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভীর দৃষ্টি আকর্ষণ

পটিয়া শূরা অধিবেশনে গৃহীত রেজুলেশন
04/11/2023

পটিয়া শূরা অধিবেশনে গৃহীত রেজুলেশন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিমঅবগতিপত্রআল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সম্মানিত শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ!আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমা...
31/10/2023

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

অবগতিপত্র

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সম্মানিত শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ!
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
আপনাদের সদয় অবগতির জন্যে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কয়টি কথা লিখতে বাধ্য হলাম। আপনারা সকলেই জানেন যে, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি বিদ্যাপীঠ। বিশ্বব্যাপী এর খ্যাতি ও সুনাম রয়েছে। আমি এই প্রতিষ্ঠানেরই সন্তান। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কুতুবে জামান হযরত মুফতী আজীজুল হক (রহ.) প্রথম শিক্ষক ও প্রথম শায়খুল হাদীস আল্লামা আহমদ (ইমাম সাহেব হুজুর রহ.), শায়খুল আরব ওয়াল আজম হযরত আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস (রহ.), হযরত মাওলানা উবাইদুর রহমান (নায়েব সাহেব হুজুর রহ.), হযরত বোয়ালভী সাহেব (রহ.), হযরত গাজী সাহেব (রহ.), হযরত মীর সাহেব হুজুর (রহ.) ও হযরত কদীম সাহেব হুজুর (রহ.)-সহ আকাবির আসাতিযার স্নেহ-মমতায় আমার জীবন গর্বিত ও হৃদয়জগত আলোকিত। বাল্যকাল থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। যা এখনো পর্যন্ত অবিচল। অনুরূপভাবে মরহুম আসাতিযায়ে কেরামের ফ্যামিলি ও সদস্যদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও স্নেহ-মমতা বিদ্যমান। পটিয়া মাদরাসার ধূলিকণার সাথে আমার হাজারো স্মৃতি অম্লান ।

প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা!
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ পটিয়া মাদরাসার গর্ব করার মতো ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে সংযোজিত হলো। এর জন্য যারাই দায়ী আল্লাহপাক তাদের বিচার করুন। আমি যেহেতু আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি, মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পদাধিকারবলে শূরা কমিটির স্থায়ী সভাপতি, সেহেতু দেশ-বিদেশের অনেক হিতাকাঙ্ক্ষী জানতে চান, এই ক্রান্তিলগ্নে আমার অবস্থান কী? কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতা ও অমানবিকতা আমাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও বাকরুদ্ধ করেছিলো, কিছু বলার শক্তি ও ভাষা আমার ছিলো না, বিধায় কাউকে কিছু বলতে ও লিখতে পারিনি। আজ নিজেকে সামলে নিয়ে আমার অবস্থান ব্যক্ত করার প্রয়াস পাচ্ছি। আমি সবসময় সুলহ-সন্ধিকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। মুহতামিম মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনলাইনে ভাইরাল নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শূরার জরুরি বৈঠক বসার প্রস্তুতি চলছিলো। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে সময় নির্ধারণ করা যায়নি।

বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার দিবাগত রাত্রে কতিপয় সিনিয়র শিক্ষকের উসকানি ও আশ্রয়-প্রশ্রয়ে একদল সশস্ত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী জামেয়ায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, মুহতামিম মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযাকে অমানবিক পন্থায় হেনস্থা করে তাদের লিখিত তথাকথিত ইস্তফানামায় জোরপূর্বক দস্তখত নিয়ে রাতের অন্ধকারে জামেয়া থেকে বের করে দিয়েছে, তা ইতোমধ্যে আপনারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন নিশ্চয়ই। এরপর ২৯ অক্টোবর ২০২৩ রোববার বাদে মাগরিব শূরার নামে যে বৈঠক করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক। উক্ত বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেগুলোও সর্বোতভাবে অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। কেননা ১. ইত্তেহাদের সংবিধান অনুযায়ী (ধারা নং: ৯/জ) শূরার স্থায়ী সভাপতি তথা ইত্তেহাদের সভাপতি মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে শূরা ঢাকার একমাত্র অধিকার রয়েছে মুহতামিম সাহেবের। ২. হযরত বোখারী সাহেব (রহ.)-এর আমলে গঠিত সর্বশেষ শূরা কমিটিতে হযরত মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও হাটহাজারীর কারও নাম নেই বিধায় তাঁদেরকে শূরার সদস্য আখ্যায়িত করা যায় না। তাছাড়া তিনজন ছাড়া ওই বৈঠকে শূরার অন্য কোনো সদস্য উপস্থিত হননি। ৩. সন্ত্রাসীবেষ্ঠিত অবৈধ বৈঠকে ওবাইদুল্লাহ হামযার কথিত ইস্তফানামা গ্রহণ ও পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ গঠন দুটোই অবৈধ।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী!
পটিয়া মাদরাসায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কারও সাথে বৈরিতা যেমন নেই, তেমনি কারও প্রতি বিশেষ আকর্ষণও নেই। তবে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে এবং যে ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে এর বিচার হওয়া জরুরি। অনুরূপভাবে উসকানিদাতা শিক্ষকবৃন্দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামযার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগমালার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করাও জরুরি; যাতে কিছুটা হলেও মাদরাসার দুর্নাম ঘুছে যায়। এই লক্ষ্যে অচিরেই শূরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ !

দোয়াপ্রার্থী
(আল্লামা) মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী
31/10/2023

মাসিক আত-তাওহীদঅক্টোবর ২০২৩
11/10/2023

মাসিক আত-তাওহীদ
অক্টোবর ২০২৩

মাসিক আত-তাওহীদসেপ্টেম্বর ২০২৩
11/09/2023

মাসিক আত-তাওহীদ
সেপ্টেম্বর ২০২৩

আগস্ট ২০২৩
31/07/2023

আগস্ট ২০২৩

মাসিক আত-তাওহীদমার্চ ২০২৩
04/03/2023

মাসিক আত-তাওহীদ
মার্চ ২০২৩

Address

আল-জামেয়া মার্কেট (৩য় তলা), ১৬০, আন্দরকিল্লা
চট্টগ্রাম
৪০০০

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাসিক আত-তাওহীদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাসিক আত-তাওহীদ:

Share