19/01/2025
কিডনি রোগীরা কি খাবেন বা খাবেন নাঃ
কিডনির রোগীভুক্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিডনি রােগীর সমস্যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
এই দুটি রোগের প্রাদুর্ভাব যত সমাজে বাড়ছে তেমনি কিডনি রোগীর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ রোগে রক্তে লবণ ও পানির ভারসাম্য বিনষ্ট হয়, রক্তে অ্যাসিড ও ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোন খাবার খাওয়া যাবে আর কোন কোন খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে,তা জানতে হবে।
টকজাতীয় ফল যেমনঃ
কমলা, তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যান্য সাইট্রাস ফল যেমন লেবু, মাল্টা, আমলকী কম খেতে হবে।
শাকের মধ্যে লালশাক, ধনেপাতা, পালংশাক, মুলাশাক, পুঁইশাক খাওয়া যাবে না।
তবে ডাঁটাশাক, হেলেঞ্চাশাক, কচুশাক খাওয়া যাবে।
ফলের মধ্যে আপেল, পেয়ারা খাওয়া যাবে।
লাউ,ঢেঁড়স,মুলা, পেঁয়াজ, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, ব্রকলি, ফুলকপি, শসা (যাহা বিচি যুক্ত ব্যতীত) খাওয়া যাবে।
অ্যাসিডযুক্ত খাবার যেমন কলিজা, শিমের বিচি, বরবটি, ছোলা, শুঁটকি, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিৎ না।
খাওয়া যাবে না কোল্ড ড্রিংকস। যেসব ফল খাওয়া যাবে, সেসবের রস বা জুসও খাওয়া যাবে। চা, কফি কম খাওয়া উচিত।
সামুদ্রিক মাছ ব্যতীত, মাছ, ডিমের সাদা অংশ,মুরগির মাংস—এ–জাতীয় প্রোটিন খাওয়া যাবে। গরু বা খাসির মাংস না খাওয়া ভালো।
রুটি, পরিমাণমতো ভাত, চিড়া খাওয়া যাবে।
ঘন ডাল ব্যতিত, ডালের পানি খেতে পারবেন।
বেশী পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন, টমেটো, ডাবের পানি, কলা কম খেতে হবে। কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন নুডলস, পাস্তা খাওয়া যাবে।
তেলেভাজা খাওয়া উচিৎ না।যেমন পিয়াজু, বেগুনি।
খাদ্যতালিকা মেনে চললে কিডনি রোগীরা সুস্থ–স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে যথাসময়ে ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়া উচিৎ।