20/06/2025
নিষ্ঠুর পৃথিবী বাঁচতে দিলনা হতভাগা শিশু রাহিমকে!
আব্দুর রাহিম। ১০ বছরের এক ফুটফুটে শিশু। হতদরিদ্র সংসারে দিন মজুর বাবা আর গৃহিনী মায়ের আদর স্নেহে শৈশবের ৮ বছর পার হলেও দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২ বছর আগে বিচ্ছেদ হয় রাহিমের পিতা-মাতার দাম্পত্য জীবন। শিশু রাহিমের পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত মফিজ আলী মিয়ার ছোট পুত্র দিন মজুর আসাদ আলী। রাহিমের ছোট আরেক ভাইকে সাথে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন আসাদ আলী। আর এদিকে শিশু রাহিমকে সাথে নিয়ে একই এলাকা পশ্চিমপাড়া বন্দের বাড়িতে রাহিমের নানার বাড়িতে থেকে অনিশ্চিৎ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন রাহিমের মা। অনেক আগেই মারা যান রাহিমের নানা। রাহিমের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অন্য কোথাও বিয়ে না করে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ নেন রাহিমের মা। সেই থেকে পিতা ও মাতার আদর বঞ্চিত শিশু রাহিম নানীর আশ্রয়ে নানাবাড়িতে দিন-যাপন করতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধা থেকে রাহিমের কোনো খোঁজ পাননি রাহিমের নানি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিয়েও কোনো সন্ধান মেলেনি রাহিমের। পরদিন সকালে রাহিমের নানার বাড়ির পশ্চিমদিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে জাফর খালের কচুক্ষেতে শিশু রাহিমের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু রাহিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক দেখায় শিশু রাহিমের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শিশু রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পিতা ও মাতার আদর বঞ্চিত নানির আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা হতভাগা শিশু রাহিমের এই হত্যাকান্ডের সাথে তাহলে কে বা কারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে বের করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নিষ্ঠুর পৃথিবী বাচঁতে দিল না শিশু রাহিমকে তবে রাহিম হত্যায় জড়িতদের বিচার হউক এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।
লেখক
এম এ করিম
সরাইল প্রতিনিধি
দৈনিক নয়াদিগন্ত।