11/09/2025
ডাকসু নিয়ে উল্লাসের কিছুই নেই,
কারন কেউ কেউ যা ভাবেন যেমন আমি বলছি
ডাকসু নির্বাচনের শিক্ষা
ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সবাই দেখেছে—এ নির্বাচন ছিলো এক প্রহসন। ছাত্রশিবিরকে জিতিয়ে আসলে একটি ফাঁদ পাতা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো—আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ইসলামপন্থিরা যেন বয়কট না করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা প্রতীক)–এর প্রার্থীদের তো কেন্দ্রেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু আজ কেউ কথা বলছে না, কারণ শিবির জিতেছে। আমরা খুশি হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। তবে এর আড়ালে কী খেলা হচ্ছে, সেটা না বুঝলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
যদি কোনো ইসলামপন্থি দল ডাকসু নির্বাচনে জিততে না পারত, তবে আজ সবাই আন্দোলন করত, আর জাতীয় নির্বাচন বয়কটের ডাক দিত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আগেই হিসাব কষে নিয়েছে। তাই শিবিরকে জিতিয়ে দেখানো হলো—ইসলামপন্থিদের অবস্থান আছে; আর হাতপাখাকে এত নিচে নামিয়ে দেওয়া হলো যেন মনে হয়, তাদের কোনো ভোটই নেই ।
(অথচ তারাও তাদের পার্থীদের সম্মিলিত ভোটের সংখায় প্রায় ১০,৮৪৮(দশ হাজার আটশত আট চল্লিশ ভোট পেয়েছে) যা প্রশংসনীয় ভোট নতুন হিসেবে।
যে কথা বুজার সেটা হলো ভোট শূণ্যতা দেখানো
এতে জামায়াত ভাববে—আমরাই যথেষ্ট শক্তিশালী, ইসলামী আন্দোলনের দরকার নেই। আমরা একাই জাতীয় নির্বাচনে লড়ব। কিন্তু তখন যদি ঐক্য না থাকে, ইসলামপন্থিরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। কমিশন তখন ইসলামপন্থিদের হাতে কলা ধরিয়ে দেবে—এটাই বাস্তবতা।
মনে রাখবেন—বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি—সবাই চায় জামায়াত আর ইসলামী আন্দোলনের ঐক্য ভেঙে যাক। তারা হয়তো জামায়াতকে সাময়িক কিছু সুবিধা দেবে—মিডিয়া, প্রশাসন, আইনশক্তি—সবকিছু দিয়ে। যেন জামায়াত মনে করে—আমরাই সব। অথচ এটাই হবে সবচেয়ে বড় ফাঁদ।
ঐক্য ভেঙে গেলে শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থিদের জন্য অপেক্ষা করবে শুধু আফসোস।
আমার অনুরোধ
জামায়াতের ভাইয়েরাঃ
আপনারা দয়া করে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য বজায় রাখুন। মনে রাখবেন, ঐক্য থাকলে কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না।
ঐক্য থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী জাতীয় সংসদে ইসলামপন্থিরাই প্রবেশ করবে, আর ইসলামের কণ্ঠস্বরই সেখানে প্রতিধ্বনিত হবে।