20/06/2024
সাংবাদিক রাজু জটিলরোগে আক্রান্ত
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি রাজু হোসেনের শরীরে ৩টি বøক ধরা পড়েছে। এতো অল্প বয়সে এমন জটিলরোগে আক্্রান্ত হয়ে পড়লো। খবরটা শুনেই সহকর্মীরা কিংকবÍব্যবিমুড় হয়ে পড়ে। যার কলমের কতোজন সমাজে নানা ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,যার লেখার মাধ্যমে কতো অসহায় মানুষ সহায়তা পেয়েছে। বিগত প্রায় ৪ মাস যাবত মায়ের চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল এবং বাড়িতে দৌড়াদৌড়ি করছে। মায়ের শরীরে জটিলরোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজের ব্যবহৃত বাইকটি অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছে। মা পাগল সাংবাদিক রাজু নিজের স্ত্রী-শিশু সন্তানের কথা ছিন্তা না করে মায়ের সুচিকিৎসা করতে ব্যবস্থ। বিগত দুই ঈদে হাসপাতালের বারান্দা সময় পার করতে হচ্ছে। মা এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। অপারেশনের স্থানে ইনফেকশন হয়েছে। এরি মাঝে রাজু নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লো। মায়ের মতো ওপেন হার্ট র্সাজারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন হার্ট ফাউন্ডেশনের ডাক্তার। ১৯জুন রাতে ফোন দিলে রাজু বলে উঠে ভাই ৩টি বøকই ৯০% এর উপরে। মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বোশান্ত হয়ে আছে। নিজের চিকিৎসা করবো কী দিয়ে। আগে মা সুস্থ হোক তার পর আমার চিকিৎসার বিষয় সিদ্ধান্ত দিবো। একজন জাতির বিবেক,কলমযুদ্ধার রক্তক্ষরন কথা সত্যেই মর্মদায়ক। ইচ্ছে করছে তাকে নিয়ে একটা লেখা উপহার দিবো। কিন্তু লেখার ভাষাটা সত্যেই হারিয়ে ফেলছি। কারন রাজু সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন মানবিক ব্যক্তি। যখনি কেউ বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে খবর পেয়েছে,তাৎক্ষনিক ছুটে যায় সেখানে। চেষ্টা করে বিপদ থেকে উদ্ধার করার। ২০২২ সালে ১৪ই অক্টোবর আমি যখন রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুব অসুস্থ হয়ে যাই। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে প্্েরস ক্লাব গ্রæপে সহকর্মীদের সহযোগীতা চাই। মুহুর্তের মধ্যে আমার বাসার সামনে হাজির হয়ে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। ওই সময় যদি রাজু আমার পাশে না দাড়াঁলে হয় তো আমার হাসপাতালে যাওয়া হতো না। গেলেও ভালো কোন চিকিৎসা হতো না। কারন হাসপাতালের নতুন স্টাফরা তো কেউ আমাকে ছিনেও না। তার মাঝে রাত অনেক বেশি। শুধু আমার বেলা নয় রাজু চরম বিপদে সহকর্মী,আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধীদেও পাশে দাড়িয়েছে। আজ রাজু জটিলরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। মহান আল্লাহ তার ভাগ্যে কি রেখেছে কেউ বলতে পারবে না। তবে মহান আল্লাহ দরবারে দোয়া চাই, আল্লাহপাক যেনো ভাইটির জটিল রোগ থেকে সুস্থতা দান করে। আমিন
লেখাটি লেখেছেন: বেলায়েত হোসেন বাচ্চু