MSN Entertain

MSN Entertain শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু নিজেকে সময় দেয়ার প্রচেষ্টা

29/01/2025

গল্প: নবীজী (সা.) ও এক ছোট ছেলের প্রতিশ্রুতি

একদিন, এক ছোট ছেলে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। নবীজি (সা.) হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ সেই ছেলেটিকে দেখে থামলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন, ছেলেটির চোখে কৌতূহল আর মুখে একরাশ আশা।

নবীজি (সা.) মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি এখানে কেন দাঁড়িয়ে আছো?"

ছেলেটি বলল, "আমার মা আমাকে বলেছিলেন, এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে তিনি এসে আমাকে একটা খেজুর দেবেন। তাই আমি অপেক্ষা করছি।"

নবীজি (সা.) শুনে মৃদু হেসে বললেন, "তোমার মা কি সবসময় কথা রাখেন?"

ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, "হ্যাঁ, আমার মা কখনো মিথ্যা বলেন না।"

ঠিক তখনই ছেলেটির মা চলে এলেন। নবীজি (সা.) তাঁকে বললেন, "তুমি কি সত্যিই তোমার ছেলেকে খেজুর দিতে এসেছো?"

তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি তাকে কিছু না দিতাম, তবে সে হতাশ হতো।"

নবীজি (সা.) বললেন, "সন্তানদের সাথে প্রতিশ্রুতি রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা যা দেখে, তাই শেখে। যদি আমরা তাদের সাথে প্রতারণা করি বা কথা না রাখি, তাহলে তারাও বড় হয়ে প্রতারণা শিখবে।"

এই কথা শুনে সেই মা বুঝতে পারলেন, একজন শিশুকে ছোট বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তা রক্ষা করা উচিত।

গল্পের শিক্ষা:
✅ শিশুদের সামনে কখনো মিথ্যা বলা উচিত নয়।
✅ প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখা জরুরি।
✅ ছোটরাও সততা শিখতে পারে যদি আমরা সততা অনুশীলন করি।





27/01/2025

গল্প: ব্যবসায় নবীজীর সততা

নবী করিম (সা.) তরুণ বয়সে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য মক্কার মানুষ তাঁকে “আল-আমিন” বা বিশ্বস্ত বলে ডাকত।

একদিন নবীজী (সা.) মক্কার বাজারে একটি ব্যবসা করছিলেন। একজন ক্রেতা এসে তাঁর পণ্য কেনার জন্য দরদাম করতে লাগল। নবীজী (সা.) পণ্যের সঠিক দাম বললেন এবং পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে সৎভাবে সব কথা জানালেন।

ক্রেতাটি পণ্যটি খুবই পছন্দ করেছিল, কিন্তু একটু দ্বিধায় ছিল। নবীজী (সা.) তখন বললেন, “যদি তুমি এই পণ্যটি পছন্দ না করো, তবে আমি তোমাকে জোর করছি না। তবে আমি তোমাকে আশ্বস্ত করছি, এটি সঠিক মানের পণ্য এবং এতে কোনো প্রতারণা নেই।”

ক্রেতাটি বলল, “আপনার কথায় যে সততার ছাপ রয়েছে, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমি এটি কিনতে প্রস্তুত।”

অন্য একদিন, নবীজী (সা.)-এর পণ্যগুলির মধ্যে একটি সামান্য ত্রুটি ছিল। তিনি নিজেই ক্রেতাকে সেই ত্রুটি সম্পর্কে জানালেন এবং বললেন, “এই পণ্যে এমন একটি ত্রুটি রয়েছে যা আমি লুকাতে চাই না। যদি এটি তোমার জন্য উপযুক্ত হয়, তবে তুমি কিনতে পার। না হলে অন্য কিছু দেখে নাও।”

ক্রেতাটি অত্যন্ত অবাক হয়ে বলল, “হে মুহাম্মদ, এমন সততার সঙ্গে ব্যবসা করার মতো লোক আমরা আগে দেখিনি। আমি এই পণ্যটি কিনব এবং আমি আজ থেকে আপনার মতো সততার আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করব।”

গল্পের শিক্ষা:
এই ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যায় যে ব্যবসায় সৎ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র লাভের জন্য মিথ্যা বলা বা প্রতারণা করা কখনো একজন ব্যবসায়ীকে মানুষের শ্রদ্ধা বা আল্লাহর সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে না। নবীজীর (সা.) সততা ব্যবসা এবং জীবনে সাফল্যের পথ দেখায়।







27/01/2025

গল্প: যুদ্ধক্ষেত্রে নবীজীর দয়া

একবার, নবী করিম (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা একটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছিল। যুদ্ধ চলাকালীন শত্রুপক্ষ অনেক শক্তিশালী ছিল এবং তারা মুসলমানদের পরাজিত করার জন্য কঠোরভাবে আক্রমণ করছিল। তবুও নবীজী (সা.) সবসময় যুদ্ধের সময় কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলার আদেশ দিয়েছিলেন।

যুদ্ধ শুরুর আগে নবীজী (সা.) তাঁর সৈন্যদের বললেন, “মনে রেখো, আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। তোমরা কখনো যুদ্ধের উত্তেজনায় নিরপরাধ মানুষ, শিশু, বৃদ্ধ বা নারীদের হত্যা করবে না। গাছপালা ধ্বংস করবে না এবং কোনো পশুকে কষ্ট দেবে না। যুদ্ধ শুধু শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য, কিন্তু আমাদের মন দয়া ও সহানুভূতিতে পূর্ণ রাখতে হবে।”

যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে একজন শত্রুসৈনিক নবীজী (সা.)-এর দিকে তলোয়ার নিয়ে এগিয়ে এল। নবীজী (সা.) তখন নিরস্ত্র ছিলেন। শত্রুসৈনিক বলল, “এখন তোমাকে কে বাঁচাবে, হে মুহাম্মদ?”

নবীজী (সা.) শান্তভাবে বললেন, “আমার রক্ষক হলেন আল্লাহ।”

ঠিক তখনই শত্রুসৈনিক হঠাৎ তার হাত থেকে তলোয়ার ফেলে দিল। নবীজী (সা.) তলোয়ারটি তুলে নিলেন। তিনি চাইলে তাকে হত্যা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং তিনি তাকে ক্ষমা করে বললেন, “তোমার উচিত অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। যাও, আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম।”

শত্রুসৈনিক এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে বলল, “আপনার মতো দয়ালু ব্যক্তি আর কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি সত্য নবী এবং আমি ইসলামের পথ গ্রহণ করছি।”






27/01/2025

গল্প: বিড়ালটির জন্য নবীজীর ভালোবাসা

একদিন নবী করিম (সা.) সাহাবীদের সঙ্গে বসে ছিলেন। সেই সময় একটি বিড়াল তাঁর পায়ের কাছে এসে বসে পড়ল। নবীজী (সা.) বিড়ালটিকে খুব মমতা দিয়ে আদর করলেন এবং নিজের লোমশ চাদরটি তার জন্য বিছিয়ে দিলেন। বিড়ালটি সেই চাদরে শুয়ে রইল।

একটু পর সময় হল সালাত আদায়ের। নবীজী (সা.) উঠে দাঁড়াতে গেলেন। কিন্তু দেখলেন, বিড়ালটি তাঁর চাদরের ওপর ঘুমিয়ে আছে। তিনি বিড়ালটির শান্ত ঘুম ভাঙাতে চাইলেন না। তাই, তিনি সাবধানে চাদরের সেই অংশ কেটে ফেললেন, যেখানে বিড়ালটি শুয়ে ছিল, এবং সালাত আদায় করতে গেলেন।

সাহাবীরা অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি তাঁদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করলেন। তাঁরা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো আমাদের জন্য একজন মহান আদর্শ। এমন দয়া আমরা আগে কখনো দেখিনি।”

নবীজী (সা.) হাসিমুখে বললেন, “প্রাণীদের প্রতি দয়া করো। তারা আমাদের প্রতি নির্ভরশীল। যারা পৃথিবীর প্রাণীদের প্রতি দয়া দেখায়, আসমানের মালিক আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া দেখান।”

এই ঘটনার পর থেকে সাহাবীরা সবসময় প্রাণীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতেন।






27/01/2025

গল্প: নবীজীর প্রাণীদের প্রতি দয়া

একদিন, নবী করিম (সা.) মদিনার একটি বাগানে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি দেখলেন, একটি উট গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। উটটি খুব ক্লান্ত এবং দুর্বল দেখাচ্ছিল। তার শরীরে দাগ দেখা যাচ্ছিল, যা প্রমাণ করছিল যে তাকে অনেক পরিশ্রম করানো হয়েছে এবং ভালোভাবে খাওয়ানো হয়নি।

উটটি নবীজীকে দেখেই চোখ দিয়ে জল ফেলতে লাগল, যেন সে তার কষ্টের কথা নবীজীকে বলতে চাইছে। নবী করিম (সা.) উটটির কাছে গেলেন, তার মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলেন। উটটি যেন একটু শান্ত হলো।

নবীজী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, “এই উটের মালিক কে? কে এর দেখাশোনা করে?”

এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল, এটি আমার।”

নবীজী (সা.) কিছুটা কঠোর হয়ে বললেন, “তুমি কি আল্লাহর এই সৃষ্টি সম্পর্কে কোনো ভয় করো না? দেখো, এই উটটি আমাকে বলছে যে তুমি তাকে বেশি কাজ করাও, কিন্তু তাকে ঠিকমতো খেতে দাও না। মনে রেখো, আল্লাহ তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল। যদি তুমি এর দেখাশোনা না করো, তবে কিয়ামতের দিন এর বিষয়ে তোমার জবাব দিতে হবে।”

এ কথা শুনে উটের মালিক কাঁদতে শুরু করল এবং বলল, “হে নবীজী, আমি ভুল করেছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আজ থেকে এই উটের যত্ন নিব এবং কখনো তাকে কষ্ট দেব না।”

নবীজী (সা.) তাকে পরামর্শ দিলেন, “প্রাণীদের সাথে দয়া ও সহানুভূতির আচরণ করো। মনে রেখো, যারা পৃথিবীর প্রাণীদের প্রতি দয়া দেখায়, আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন।”






26/01/2025

গল্প: নবীজীর দয়ালু হাসি

একদিন মদিনার বাজারে ছোট্ট এক ছেলে একটি পাখি ধরে বিক্রি করার জন্য দাঁড়িয়েছিল। পাখিটি খাঁচার ভেতরে আটকে গিয়েছে এবং ছেলেটি পাখিটিকে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে চাচ্ছিল।

ঠিক সেই সময় নবী করিম (সা.) বাজার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনি ছেলেটিকে দেখতে পেলেন এবং খাঁচার ভেতরে আটকে থাকা পাখিটিকে দেখে থেমে গেলেন। নবীজীর মনের গভীরে পাখিটির জন্য মায়া জন্ম নিল।

তিনি ছেলেটির কাছে গিয়ে বললেন, “হে ছোট্ট বন্ধু, তুমি কি এই পাখিটিকে বিক্রি করতে চাও?”

ছেলেটি উত্তরে বলল, “হ্যাঁ, আমি কিছু অর্থ পেলে খুব খুশি হব।”

নবীজী (সা.) তখন পকেট থেকে কিছু অর্থ বের করে ছেলেটিকে দিলেন এবং খাঁচাটি কিনে নিলেন। তারপর তিনি খাঁচার দরজা খুলে দিয়ে পাখিটিকে মুক্ত করে দিলেন। পাখিটি উড়াল দিয়ে আকাশের দিকে চলে গেল।

ছেলেটি বিস্মিত হয়ে নবীজীর দিকে তাকিয়ে বলল, “হে মুহাম্মদ (সা.), আপনি পাখিটিকে কেন মুক্ত করে দিলেন? আপনি তো এটিকে নিজের কাছে রাখতে পারতেন!”

নবীজী মৃদু হেসে বললেন, “এই পাখিটিও আল্লাহর সৃষ্টি, এবং আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। এর স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া আমাদের জন্য ঠিক নয়। আমি চাই এটি তার নিজের মতো করে আকাশে উড়তে থাকুক।”

ছেলেটি নবীজীর দয়ার কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে বলল, “আপনি সত্যিই মহান। আমি ভবিষ্যতে আর কোনো প্রাণীকে বন্দি করব না।”







26/01/2025

গল্প: সত্য কথা বলার শিক্ষা

একদিন, মক্কার একটি ছোট ছেলেকে তার মা বললেন, “তোমাকে যদি একদিন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যেখানে সত্য কথা বললে বিপদে পড়ার ভয় থাকে, তুমি কি সত্য বলবে?”

ছেলেটি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, “আমি জানি না, মা। সত্য কথা বললে যদি কেউ আমাকে শাস্তি দেয়?”

মা বললেন, “আমি তোমাকে নবী করিম (সা.)-এর একটি গল্প বলি। এটি শুনলে তুমি বুঝবে কেন সবসময় সত্য বলা উচিত।”

একবার, মক্কার লোকেরা নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে বলল, “হে মুহাম্মদ! আমরা জানি, তুমি কখনো মিথ্যা বল না। তুমি যদি বলো, আকাশে সূর্য নেই, আমরা সেটাও বিশ্বাস করব।”

তারা নবীজীকে পরীক্ষা করার জন্য একটি কঠিন প্রশ্ন করল, কিন্তু নবীজী (সা.) মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সত্যটাই বললেন। তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি, এমনকি শত্রুর সঙ্গেও। এই কারণে তাঁকে সবাই “আল-আমিন” বা “বিশ্বস্ত” বলে ডাকত।

ছেলেটি বলল, “নবীজী কখনো মিথ্যা বলেননি? এমনকি বিপদে পড়ার ভয় থাকলেও?”

মা বললেন, “হ্যাঁ, আর তাঁর এই গুণের কারণে আল্লাহ তাঁকে নবী হিসেবে মনোনীত করেছেন। তুমি যদি সবসময় সত্য বলো, সবাই তোমাকে বিশ্বাস করবে এবং ভালোবাসবে।”

ছেলেটি উত্তেজিত হয়ে বলল, “আমি কখনো মিথ্যা বলব না, মা! আমি নবীজীর মতো হতে চাই।”







26/01/2025

গল্প: নবীজীর স্ত্রীদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ

একদিন, নবী করিম (সা.) তাঁর স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.)-এর সাথে বসে কথা বলছিলেন। তিনি আয়েশার প্রতি এত ভালোবাসা ও যত্নশীল ছিলেন যে, তাঁর প্রতিটি কথায় ভালোবাসার ছাপ ফুটে উঠত।

একবার আয়েশা (রা.) নবীজীর কাছে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাকে সত্যি ভালোবাসেন?”

নবীজী (সা.) মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, “আয়েশা, আমার ভালোবাসা তোমার জন্য ঠিক সুতোর মতো – যা কখনো ছিঁড়ে না।”

এ কথা শুনে আয়েশা (রা.) খুশি হলেন, কিন্তু কিছুদিন পরে তিনি রাগান্বিত হলেন এবং নবীজীর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেলেন।

নবীজী (সা.) তখন ধৈর্য ধরে তাঁর কাছে গেলেন এবং মৃদু কণ্ঠে বললেন, “আয়েশা, তুমি কি আমার ওপর রাগ করেছ?”

আয়েশা বললেন, “হ্যাঁ, তবে আমি আপনাকে এখনও ভালোবাসি। কিন্তু কখনো কখনো মনের মধ্যে দুঃখ জমে যায়।”

নবীজী (সা.) তাঁর রাগ দূর করতে বললেন, “আয়েশা, তুমি যদি রাগ করো, তবে আমি ধৈর্য ধরে তোমার কথা শুনব। কারণ, ভালোবাসা মানেই একে অপরকে বোঝা।”

এরপর নবীজী তাঁর স্ত্রীকে শান্ত করার জন্য এক মজার গল্প শোনালেন। তিনি তাঁর সময়ের দুঃখ-কষ্টের কথা শেয়ার করে বললেন, “আল্লাহ আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষায় ফেলেন, যাতে আমরা আরও শক্তিশালী হতে পারি।”

এই কথাগুলো শুনে আয়েশা (রা.) হাসলেন এবং বললেন, “আপনি সবসময় আমার কষ্ট বুঝতে পারেন। এটাই আপনাকে এত ভালোবাসার কারণ।”

নবীজীর এই ধৈর্য এবং ভালোবাসার উদাহরণ আমাদের দেখায়, কিভাবে পরিবারে বোঝাপড়া ও সহমর্মিতা তৈরি করতে হয়।









26/01/2025

গল্প: নবীজীর পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ব

নবী করিম (সা.) ছিলেন একজন আদর্শ স্বামী এবং পিতা। তাঁর পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের অসংখ্য উদাহরণ আছে। একবার, হজরত ফাতিমা (রা.), নবীজীর প্রিয় কন্যা, তাঁর পিতার সঙ্গে দেখা করতে এলেন।

ফাতিমা (রা.) এসে দেখলেন যে নবীজী (সা.) সাহাবীদের সঙ্গে বসে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন। তিনি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে রইলেন এবং অপেক্ষা করলেন। নবীজী (সা.) যখন তাঁকে দেখলেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি ফাতিমার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানালেন।

নবীজী (সা.) ফাতিমার হাত ধরে বললেন, “আমার কন্যা, তুমি আমার হৃদয়ের অংশ। তুমি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়।” তিনি তাঁকে নিজের আসনে বসালেন এবং তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন।

একদিন, ফাতিমা (রা.) তাঁর জীবনের দুঃখের কথা শেয়ার করলেন। তিনি বললেন, “আমার ঘরের কাজগুলো অনেক কঠিন হয়ে গেছে, এবং আমি শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।”

নবীজী (সা.) গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বললেন, “আমার প্রিয় কন্যা, আমি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব যা তোমার কষ্ট লাঘব করবে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে। এতে তোমার ক্লান্তি দূর হবে।”

ফাতিমা (রা.) তাঁর পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। তিনি বুঝলেন, তাঁর পিতা শুধু একজন মহান নবীই নন, বরং একজন দায়িত্ববান পিতা, যিনি তার পরিবারের প্রতি সর্বদা যত্নবান।

এই গল্পে আমরা দেখতে পাই, নবীজী (সা.) তাঁর পরিবারের প্রতি কতটা যত্নবান ছিলেন।










25/01/2025

নবীজীর পরিবার এবং তার দায়িত্ব

একদিন, নবী করিম (সা.) মদিনায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর স্ত্রী, হজরত আয়েশা (রা.), ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও সতী। তিনি নবীজীর পাশে সবসময় ছিলেন, কিন্তু একদিন এক বিশেষ ঘটনা ঘটল।

নবীজী (সা.) একদিন হজরত আয়েশাকে বললেন, "আজ তুমি কি কিছু নতুন রান্না করতে চাও?" হজরত আয়েশা খুশি হয়ে বললেন, "অবশ্যই, আপনি যা চান আমি তাই বানাব।"

কিছু সময় পর, আয়েশা (রা.) একটি সুস্বাদু খাবার তৈরি করে নবীজীর কাছে নিয়ে গেলেন। কিন্তু সে খাবারটি খেয়ে নবীজী কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। হজরত আয়েশা মনে করলেন, হয়তো রান্নায় কোনো ত্রুটি ছিল, তাই তিনি একটু ভয় পেলেন। তিনি নবীজীকে বললেন, "হে রাসূলুল্লাহ! আপনি খেতে পারছেন না? কিছু ভুল হয়েছে কি?"

নবী করিম (সা.) ধৈর্যের সাথে বললেন, "না, কিছু ভুল হয়নি। তবে মনে রেখো, একজন স্বামী কখনোই তার স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। তোমার রান্না ভালো, এবং আমি সবসময় আল্লাহর রহমত আশা করি।"

এই ঘটনার পর, হজরত আয়েশা (রা.) এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে নবীজীর সাথে তার সম্পর্ক দেখলেন। নবীজী (সা.) সবসময় তার স্ত্রীর জন্য সদয় ছিলেন, কখনো কোনো অভিযোগ করতেন না, বরং তাদের সংসারে সদ্ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করতেন। তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিলেন এবং তাদের জন্য সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন।

একদিন, হজরত আয়েশা (রা.) একান্তে নবীজীর কাছে বললেন, "হে রাসূলুল্লাহ, আপনি কখনোই আমাদের জন্য কোন অভিযোগ বা অনুযোগ করেননি। আপনি সর্বদা আমাদের দেখাশোনা করেছেন।" নবীজী (সা.) স্নেহপূর্ণভাবে উত্তর দিলেন, "একজন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য, এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সেটা করা উচিত।"

এভাবে, নবী করিম (সা.) তার পরিবারকে ভালবাসা, দয়া এবং দায়িত্বশীলতার উদাহরণ দিয়েছিলেন।

18/09/2024
25/05/2024
08/09/2023
ছোটবেলার আমি
05/07/2023

ছোটবেলার আমি

Address

Barek Building
Agrabad
4100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MSN Entertain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MSN Entertain:

Videos

Share