MSN Entertain

MSN Entertain শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু নিজেকে সময় দেয়ার প্রচেষ্টা

So nice
01/04/2025

So nice

09/03/2025

সাহস ও ন্যায়বিচারের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ 🔹
🛡️ সাহসী কিশোরের বিচার 🛡️
একদিন নবিজি (সা.)-এর দরবারে একটি ঘটনা নিয়ে লোকেরা এল।

একজন ধনী কুরাইশ বংশের ছেলে একজন সাধারণ মানুষের সম্পদ চুরি করেছিল।

কুরাইশদের লোকেরা নবিজির (সা.) কাছে এসে বলল,

"হে রাসূল! এই ছেলেটি সম্মানিত কুরাইশ গোত্রের। আপনি কি দয়া করে এর শাস্তি মাফ করে দিতে পারেন?"

নবিজি (সা.) রাগে লাল হয়ে গেলেন এবং বললেন,

"তোমরা কি আল্লাহর বিধান নিয়ে তামাশা করছ? আল্লাহর বিধান সকলের জন্য সমান। যদি আমার মেয়ে ফাতিমাও চুরি করত, তবে আমিও তার হাত কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিতাম!"

সবাই চুপ হয়ে গেল।

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, নবিজি (সা.) কারো প্রতি পক্ষপাত করতেন না, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিজের প্রিয়জনকেও ছাড় দিতেন না।

09/03/2025

নবিজির (সা.) ধৈর্য ও বিনয় 🔹
🕌 বৃদ্ধার ঘৃণা ও নবিজির (সা.) ভালোবাসা 🕌
মক্কায় এক বৃদ্ধা ছিলেন, যিনি নবিজি (সা.)-কে খুব অপছন্দ করতেন। তিনি নবিজির (সা.) দাওয়াত শুনতে চাইতেন না এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দিতেন।

প্রতিদিন নবিজি (সা.) যখন রাস্তা দিয়ে যেতেন, বৃদ্ধা তাঁর মাথায় ময়লা, ধুলো বা আবর্জনা ফেলতেন।

কিন্তু নবিজি (সা.) কখনো বিরক্ত হননি, কখনো কটু কথা বলেননি। বরং তিনি ধৈর্য ধরতেন এবং চুপচাপ নিজের কাপড় পরিষ্কার করে রাস্তা দিয়ে চলে যেতেন।

একদিন নবিজি (সা.) লক্ষ্য করলেন, বৃদ্ধা তাঁর দিকে কোনো ময়লা ফেলছেন না!

তিনি ভাবলেন, "এমন কী হলো যে, আজ বৃদ্ধা আসেননি?"

তিনি খোঁজ নিলেন এবং জানলেন, বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

নবিজি (সা.) তখন তাঁর বাড়িতে গেলেন এবং বিনয়ের সঙ্গে বললেন,

"মা, শুনলাম আপনি অসুস্থ। কেমন আছেন?"

বৃদ্ধা বিস্মিত হয়ে নবিজির (সা.) দিকে তাকিয়ে রইলেন।

তিনি ভাবতেই পারেননি যে, যাঁকে তিনি প্রতিদিন অপমান করতেন, সেই নবিজি (সা.) তাঁর খবর নিতে এসেছেন!

কিছুক্ষণ চুপ থেকে বৃদ্ধা কাঁদতে শুরু করলেন। তিনি বললেন,

"হে মুহাম্মাদ! তুমি সত্যিই মহান। আমি তোমাকে বিনা কারণে কষ্ট দিয়েছি, অথচ তুমি আমার খোঁজ নিতে এসেছ! নিশ্চয়ই তোমার ধর্ম সত্য। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, এবং তুমি তাঁর নবী!"

এইভাবেই নবিজির (সা.) ধৈর্য ও ভালোবাসা একজন মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে এল।

13/02/2025

মৃত্যুশয্যায় কন্যার কান্না থামানোর অলৌকিক মুহূর্ত---------
নবিজি (সা.) যখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, তখন ফাতিমা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বাবার পাশে বসেছিলেন।

তিনি বাবার হাত ধরে বললেন, "হে আমার বাবা! আপনি এত অসুস্থ কেন?"

নবিজি (সা.) কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলেন, তারপর আস্তে করে ফাতিমার কানে কিছু বললেন।

ফাতিমা (রা.) তখনই কান্নায় ভেঙে পড়লেন!

এরপর নবিজি (সা.) আবার তাঁর কানে কিছু বললেন।

এবার ফাতিমা (রা.) হেসে উঠলেন!

পরে আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, "হে ফাতিমা! নবিজি (সা.) তোমার কানে কী বলেছিলেন?"

ফাতিমা (রা.) বললেন,

"প্রথমবার তিনি বললেন, তিনি খুব শিগগিরই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবেন। তাই আমি কেঁদে ফেললাম।"

"তারপর তিনি বললেন, আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে অনুসরণ করব (অর্থাৎ, তিনিও খুব তাড়াতাড়ি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবেন)। তখন আমি খুশি হয়ে হাসলাম, কারণ আমি জানলাম, বাবার সঙ্গে আবার মিলিত হবো।"

🔹 এই কথার কয়েক মাস পরেই ফাতিমা (রা.) ইন্তেকাল করেন, এবং তাঁর বাবার সঙ্গ লাভ করেন।

💡 আমাদের শেখার বিষয়
✅ বাবা-মায়ের উচিত তাঁদের মেয়েদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা।
✅ কন্যারা পরিবারের জন্য সম্মানের প্রতীক, তাদের যত্ন নিতে হবে।
✅ নবিজি (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, কন্যাদের প্রতি ভালোবাসা দেওয়া এবং মর্যাদা দেওয়া ইসলামের শিক্ষা।
✅ সন্তানের কষ্টে অভিভাবকদের হৃদয় ব্যথিত হয়, কিন্তু তাদের জন্য সর্বোত্তম দোয়া করাই হলো বাবা-মায়ের দায়িত্ব।

13/02/2025

ব্যবসার সময় নবিজির সততা ==============
মক্কার বাজার ছিল সরগরম। লোকজন ব্যস্ত তাদের কেনাবেচায়। এক কোণে এক তরুণ ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর পোশাক সাধারণ, কিন্তু চেহারায় এক অদ্ভুত নূর ছিল। তিনি আর কেউ নন, আমাদের প্রিয় নবিজি মুহাম্মাদ (সা.)।

তাঁর সামনে একটি কাপড়ের গাঁটরি রাখা ছিল, আর লোকজন আসছিল তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। হঠাৎ এক বৃদ্ধ লোক এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন,

"হে তরুণ! তুমি কি কাপড় বিক্রি করছো?"

নবিজি (সা.) হাসিমুখে বললেন, "হ্যাঁ, চাচা। তবে আপনি দেখে নিন, পছন্দ হলে তবেই নিন।"

বৃদ্ধ লোকটি কাপড় দেখে খুব খুশি হলেন এবং দাম ঠিক করলেন। কিন্তু তিনি যখন কাপড়ের গুণমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইলেন, নবিজি (সা.) নিজে থেকে বললেন,

"চাচা, এই কাপড় বেশ ভালো, তবে একটি জায়গায় হালকা দাগ আছে। আপনি যদি চান, আমি দাম কিছুটা কমিয়ে দেব।"

বৃদ্ধ লোকটি বিস্মিত হয়ে বললেন,

"তুমি কি মজা করছো? অন্য দোকানদাররা তো পণ্য লুকিয়ে রাখে, আর তুমি নিজেই ত্রুটি বলে দিচ্ছো!"

নবিজি (সা.) মৃদু হেসে বললেন,

"সততা ব্যবসার প্রাণ। আমি চাই না আপনি না জেনে কিছু কিনুন এবং পরে মনে করুন যে আপনাকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে।"

এই সততায় বৃদ্ধ লোকটি এতটাই মুগ্ধ হলেন যে তিনি বললেন,

"তুমি অবশ্যই আল্লাহর পাঠানো একজন বিশেষ মানুষ! তোমার সততাই তোমাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। আমি তোমার কাছ থেকেই কিনব!"

এই ঘটনা থেকেই নবিজিকে (সা.) "আল-আমিন" (বিশ্বাসী) এবং "আস-সাদিক" (সত্যবাদী) নামে ডাকা শুরু হয়।

💡 আমাদের শেখার বিষয়
✅ ব্যবসায় সবসময় সত্য কথা বলা উচিত।
✅ ক্রেতাদের ধোঁকা না দিয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত।
✅ সততা মানুষকে অন্যদের কাছে সম্মানিত করে।
✅ ইসলাম আমাদের সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হতে শেখায়।

#ব্যবসারসততা #সততারশিক্ষা

এই গল্পটি কেমন লাগল? 😊

12/02/2025

তায়েফের নির্মম অত্যাচার, তবুও নবিজির (সা.) ক্ষমা 🌿
মক্কার কাফেররা যখন নবিজিকে (সা.) চরমভাবে বিরক্ত করতে লাগল, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, মক্কার বাইরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবেন। তাই তিনি গেলেন তায়েফ নগরীতে।

তায়েফ ছিল তখনকার এক সমৃদ্ধ শহর, যেখানে বসবাস করত সাকিফ গোত্রের মানুষ। নবিজি (সা.) আশা করেছিলেন, হয়তো তারা সত্য গ্রহণ করবে এবং ইসলামকে সমর্থন দেবে।

কিন্তু হলো উল্টো!

যখন নবিজি (সা.) তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিলেন, তারা উপহাস করল, বিদ্রূপ করল, এমনকি তাঁর প্রতি অত্যাচার করল।

তাঁকে শহর থেকে বের করে দেওয়া হলো, পথে ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে পাথর ছুঁড়ানো হলো।

নবিজি (সা.) আহত হলেন, তাঁর পা থেকে রক্ত ঝরতে লাগল।

তিনি একটি বাগানে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। ক্লান্ত শরীরে তিনি একটি গাছের নিচে বসলেন, রক্ত ঝরছে, চোখে জল।

ঠিক তখনই জিবরাইল (আ.) এলেন এবং বললেন,

"হে রাসূল! আল্লাহ চাইলে এই পাহাড়ের দুই পাশ একত্রিত করে এই জালিমদের ধ্বংস করে দিতে পারেন। আপনি শুধু আদেশ করুন।"

এমন নির্যাতনের পরও নবিজির (সা.) উত্তর কী ছিল জানেন?

তিনি হাত তুললেন কিন্তু বদলা নেওয়ার জন্য নয়, বরং দোয়ার জন্য!

তিনি বললেন,

"হে আল্লাহ! এরা জানে না, তাই আমাকে কষ্ট দিয়েছে। তুমি এদের হেদায়াত দাও। হয়তো এদের মধ্য থেকেই কেউ একদিন ইসলাম গ্রহণ করবে!"

সুবহানাল্লাহ! এত কষ্ট পাওয়ার পরও তিনি বদলা নিলেন না, বরং ক্ষমা করলেন!

🌟 মক্কা বিজয়ের দিন: চূড়ান্ত ক্ষমা 🌟
বছরের পর বছর মক্কার মুশরিকরা নবিজিকে (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের নির্যাতন করেছে। তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে, তাঁর ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়েছে।

তবুও, যখন নবিজি (সা.) দশ হাজার সাহাবি নিয়ে মক্কা বিজয় করলেন, তখন সবাই ভাবছিল, আজ হয়তো নবিজি (সা.) প্রতিশোধ নেবেন!

কিন্তু নবিজি (সা.) কী করলেন?

তিনি কাবার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,

"আজ তোমরা কী মনে করো, আমি তোমাদের সাথে কী করব?"

মক্কার লোকজন কাঁপছিল ভয়ে!

তারা বলল, "আপনি মহানুভব, আপনি তো আমাদের ভাইয়ের সন্তান!"

তখন নবিজি (সা.) বললেন,

"আজ আমি তোমাদের জন্য বলছি, যা ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের বলেছিলেন—
‘আজ তোমাদের কোনো শাস্তি নেই। যাও, তোমাদের সবাইকে আমি ক্ষমা করে দিলাম!’"

এই ছিল নবিজির (সা.) ক্ষমার অসাধারণ দৃষ্টান্ত!

💡 আমাদের জন্য শিক্ষা
✅ যারা আমাদের কষ্ট দেয়, তাদের জন্য বদলা না নিয়ে দোয়া করা উচিত।
✅ প্রতিশোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা করা হলো উত্তম গুণ।
✅ ইসলাম শান্তি ও ভালোবাসার ধর্ম।
✅ নবিজি (সা.) আমাদের ক্ষমার সর্বোত্তম উদাহরণ শিখিয়েছেন।

📢 হ্যাশট্যাগস ( #)
#ক্ষমারদৃষ্টান্ত

31/01/2025

🌙 নামাজের সময় নবিজির সিজদা দীর্ঘ হলো কেন? 🌙
একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছিলেন। মুসল্লিরা সবাই খেয়াল করলেন, আজ নবিজির সিজদা অনেক দীর্ঘ হচ্ছে!

তাঁরা ভাবলেন, হয়তো কোনো বিশেষ কারণে নবিজি (সা.) আল্লাহর দরবারে আরও বেশি সময় কাটাচ্ছেন।

নামাজ শেষে একজন সাহাবি কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

"হে আল্লাহর রাসূল! আজ আপনার সিজদা এত দীর্ঘ হলো কেন?"

রাসূলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি হেসে বললেন,

"আমার প্রিয় নাতি হাসান (বা হুসাইন) আমার পিঠে উঠে খেলছিল। আমি চাইলাম না সে পড়ে গিয়ে কষ্ট পাক, তাই অপেক্ষা করলাম যতক্ষণ না সে নিজে থেকে নেমে আসে।"

সুবহানাল্লাহ! এমন ভালোবাসা, এমন ধৈর্য শুধুমাত্র আমাদের নবীজির মধ্যেই বিদ্যমান ছিল।

#নবিজিরভালোবাসা

ChatGPT can make mistakes. Check important in

31/01/2025

নবিজির অপূর্ব সৌন্দর্য----

(১)একদিন এক বৃদ্ধা মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন। তাঁর চেহারা তখন ক্লান্ত, চোখে গভীর দুঃখের ছাপ। তিনি নবিজির দিকে তাকিয়ে বললেন,

"হে আল্লাহর রাসূল! আমি শুনেছি, জান্নাতে বৃদ্ধারা প্রবেশ করবে না!"

এই কথা শুনে নবিজি (সা.) হেসে দিলেন। তাঁর হাসি ছিল যেন চাঁদের আলোয় উজ্জ্বল এক দীপ্তি। তাঁর দাঁতগুলো মুক্তার মতো ঝকঝক করছিল। তিনি মৃদু স্বরে বললেন,

"হ্যাঁ, জান্নাতে বৃদ্ধারা প্রবেশ করবে না। কারণ, আল্লাহ তাঁদের সবাইকে নতুন করে যুবতী করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন!"

মহিলা অবাক হয়ে নবিজির কথা শুনলেন, তারপর তিনি খুশিতে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি নবিজির প্রতি ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে গেলেন।

অপর বর্ণনায় এসেছে-

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সৌন্দর্য ছিল অদ্বিতীয়। তাঁর মুখ ছিল দীপ্তিময়, যেন পূর্ণিমার চাঁদ। সাহাবীরা বলতেন,

"আমরা যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মুখের দিকে তাকাতাম, তাহলে মনে হতো তিনি চাঁদের মতো জ্যোতির্ময়!"

একবার এক সাহাবি বললেন,

"আমি চাঁদ আর রাসূলের (সা.) মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছি— আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, রাসূলুল্লাহর মুখের উজ্জ্বলতা চাঁদের আলো থেকেও অধিক সুন্দর!"

তাঁর চোখ ছিল কালো ও গভীর, তাঁর চুল ছিল নরম এবং মাঝে মাঝে কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছাতো। তাঁর গায়ের রঙ ছিল উজ্জ্বল, আর তাঁর হাসি ছিল প্রশান্তির বার্তা।

রাসূলুল্লাহ (সা.) শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের নয়, বরং চরিত্রের সৌন্দর্যের এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন। তাঁর নম্রতা, দয়া, ভালোবাসা ও করুণা ছিল সবচেয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্য, যা তাঁকে সকলের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ বানিয়েছে।

#নবিজিরসৌন্দর্য #শান্তিরবার্তা

29/01/2025

নবীজী (সা.)-এর কাঁধে এক বিশেষ চিহ্ন
একদিন, সিরিয়ার এক বিখ্যাত খ্রিস্টান পাদ্রী বাহীরা নবীজি (সা.)-কে ছোটবেলায় দেখেছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন, এই শিশু কোনো সাধারণ মানুষ নয়।

তিনি নবীজীর (সা.) কাঁধের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, সেখানে একটি বিশেষ চিহ্ন আছে! এটি ছিল নবী হওয়ার একটি নিদর্শন, যা পূর্বের ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ ছিল।

পাদ্রী বাহীরা বললেন, “এই শিশুটিই সেই শেষ নবী, যার আগমনের কথা আমাদের গ্রন্থে লেখা আছে!”

তিনি তখন নবীজী (সা.)-কে সতর্ক করে বললেন, “এই শিশুটির প্রতি নজর রাখো। ইহুদিরা যদি জানতে পারে যে সে নবী হবে, তবে তারা তাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।”

এই চিহ্নের কথা নবীজীর (সা.) সাহাবীরাও জানতেন। তাঁরা একে “খাতামুন নবুয়াহ” (শেষ নবী হওয়ার চিহ্ন) বলে ডাকতেন।

🔹 এই বিশেষ চিহ্ন ছিল:

নবীজীর (সা.) দুই কাঁধের মাঝে সামান্য উঁচু মাংসপিণ্ডের মতো।
এটি ছিল ছোট্ট একটি তিলের মতো, চারপাশে ছোট ছোট লোম ছিল।
গল্পের শিক্ষা:
✅ নবীজি (সা.) পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থে ঘোষিত নবী ছিলেন।
✅ আল্লাহ তাঁর নবীকে সবসময় রক্ষা করেন।
✅ সত্য সন্ধানীরা নবীজীর পরিচয় বুঝতে পারতেন।






29/01/2025

নবীজীর (সা.) চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার অলৌকিক ঘটনা
একদিন, কুরাইশ নেতারা নবীজি (সা.)-কে চ্যালেঞ্জ করল, “যদি তুমি সত্য নবী হও, তবে আমাদের জন্য এমন কিছু দেখাও, যা আমরা আগে কখনো দেখিনি।”

নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, যেন তিনি এমন একটি নিদর্শন দেখান যা মানুষকে সত্যের পথ দেখাবে।

হঠাৎ, আল্লাহর কুদরতে চাঁদ দু’ভাগ হয়ে গেল! এক অংশ এক পাশে, আরেক অংশ অন্য পাশে দেখা গেল!

সেখানে থাকা লোকেরা বিস্মিত হয়ে গেল, কিন্তু কুরাইশ নেতারা বলল, “এটি নিশ্চয়ই কোনো জাদু!”

কিন্তু যে কাফেলা দূর থেকে আসছিল, তারাও জানাল যে তারা আকাশে এই অলৌকিক ঘটনা দেখেছে! তখনও কিছু অবিশ্বাসী বলল, “এটি কেবলমাত্র মুহাম্মদের জাদু!”

তবুও কিছু লোক এই ঘটনাকে সত্য মেনে ইসলাম গ্রহণ করল।

🔹 কোরআনে এই ঘটনার উল্লেখ আছে:
"কিয়ামত এসে গেছে, আর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। কিন্তু তারা (কাফেররা) যদি কোনো নিদর্শন দেখে, তাহলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এটা তো চিরাচরিত জাদু।’" (সুরা আল-কামার: ১-২)

গল্পের শিক্ষা:
✅ নবীজি (সা.) আল্লাহর এক মহান নবী।
✅ কিছু লোক সত্য দেখেও অস্বীকার করে।
✅ ইসলাম গ্রহণ করতে হলে খোলা মন থাকতে হয়।






29/01/2025

গল্প: নবীজী (সা.) ও এক ছোট ছেলের প্রতিশ্রুতি

একদিন, এক ছোট ছেলে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। নবীজি (সা.) হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ সেই ছেলেটিকে দেখে থামলেন। তিনি লক্ষ্য করলেন, ছেলেটির চোখে কৌতূহল আর মুখে একরাশ আশা।

নবীজি (সা.) মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি এখানে কেন দাঁড়িয়ে আছো?"

ছেলেটি বলল, "আমার মা আমাকে বলেছিলেন, এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে তিনি এসে আমাকে একটা খেজুর দেবেন। তাই আমি অপেক্ষা করছি।"

নবীজি (সা.) শুনে মৃদু হেসে বললেন, "তোমার মা কি সবসময় কথা রাখেন?"

ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, "হ্যাঁ, আমার মা কখনো মিথ্যা বলেন না।"

ঠিক তখনই ছেলেটির মা চলে এলেন। নবীজি (সা.) তাঁকে বললেন, "তুমি কি সত্যিই তোমার ছেলেকে খেজুর দিতে এসেছো?"

তিনি বললেন, "হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি তাকে কিছু না দিতাম, তবে সে হতাশ হতো।"

নবীজি (সা.) বললেন, "সন্তানদের সাথে প্রতিশ্রুতি রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা যা দেখে, তাই শেখে। যদি আমরা তাদের সাথে প্রতারণা করি বা কথা না রাখি, তাহলে তারাও বড় হয়ে প্রতারণা শিখবে।"

এই কথা শুনে সেই মা বুঝতে পারলেন, একজন শিশুকে ছোট বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তা রক্ষা করা উচিত।

গল্পের শিক্ষা:
✅ শিশুদের সামনে কখনো মিথ্যা বলা উচিত নয়।
✅ প্রতিশ্রুতি দিলে তা রাখা জরুরি।
✅ ছোটরাও সততা শিখতে পারে যদি আমরা সততা অনুশীলন করি।





27/01/2025

গল্প: ব্যবসায় নবীজীর সততা

নবী করিম (সা.) তরুণ বয়সে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য মক্কার মানুষ তাঁকে “আল-আমিন” বা বিশ্বস্ত বলে ডাকত।

একদিন নবীজী (সা.) মক্কার বাজারে একটি ব্যবসা করছিলেন। একজন ক্রেতা এসে তাঁর পণ্য কেনার জন্য দরদাম করতে লাগল। নবীজী (সা.) পণ্যের সঠিক দাম বললেন এবং পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে সৎভাবে সব কথা জানালেন।

ক্রেতাটি পণ্যটি খুবই পছন্দ করেছিল, কিন্তু একটু দ্বিধায় ছিল। নবীজী (সা.) তখন বললেন, “যদি তুমি এই পণ্যটি পছন্দ না করো, তবে আমি তোমাকে জোর করছি না। তবে আমি তোমাকে আশ্বস্ত করছি, এটি সঠিক মানের পণ্য এবং এতে কোনো প্রতারণা নেই।”

ক্রেতাটি বলল, “আপনার কথায় যে সততার ছাপ রয়েছে, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমি এটি কিনতে প্রস্তুত।”

অন্য একদিন, নবীজী (সা.)-এর পণ্যগুলির মধ্যে একটি সামান্য ত্রুটি ছিল। তিনি নিজেই ক্রেতাকে সেই ত্রুটি সম্পর্কে জানালেন এবং বললেন, “এই পণ্যে এমন একটি ত্রুটি রয়েছে যা আমি লুকাতে চাই না। যদি এটি তোমার জন্য উপযুক্ত হয়, তবে তুমি কিনতে পার। না হলে অন্য কিছু দেখে নাও।”

ক্রেতাটি অত্যন্ত অবাক হয়ে বলল, “হে মুহাম্মদ, এমন সততার সঙ্গে ব্যবসা করার মতো লোক আমরা আগে দেখিনি। আমি এই পণ্যটি কিনব এবং আমি আজ থেকে আপনার মতো সততার আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করব।”

গল্পের শিক্ষা:
এই ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যায় যে ব্যবসায় সৎ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র লাভের জন্য মিথ্যা বলা বা প্রতারণা করা কখনো একজন ব্যবসায়ীকে মানুষের শ্রদ্ধা বা আল্লাহর সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে না। নবীজীর (সা.) সততা ব্যবসা এবং জীবনে সাফল্যের পথ দেখায়।







Address

Barek Building
Agrabad
4100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MSN Entertain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MSN Entertain:

Share