News of Alfadanga - নিউজ অব আলফাডাঙ্গা

News of Alfadanga - নিউজ অব আলফাডাঙ্গা আলফাডাঙ্গার সব খবর, সবার আগে জানতে পেজটিতে লাইক দিন। আলফাডাঙ্গার সব খবর সবার আগে পেতে পেজটি লাইক ও ফলো দিন। ধন্যবাদ।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণাস্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মোতাবেক ফরিদপুরের আ...
28/06/2025

আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মোতাবেক ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি এবং আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ.কে.এম কিবরিয়া স্বপন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কমিটিগুলোর কার্যক্রমে স্থবিরতা এবং সাংগঠনিক ত্রুটির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্তস্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফরিদপুর জেলার আওতাধীন আল...
23/06/2025

আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফরিদপুর জেলার আওতাধীন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দ্রুতই একটি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হবে বলে দলীয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ কমিটি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে এবং মাঠপর্যায়ে বিএনপির কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত করবে।

বিলুপ্ত কমিটির কেউ পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত দলীয় পরিচয়ে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা সোহরাব হোসেন বুলবুল গ্রে/প্তারস্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ইউ...
13/06/2025

আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা সোহরাব হোসেন বুলবুল গ্রে/প্তার

স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলকে গ্রে/প্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রে/প্তার করা হয়।

একইদিন সকালে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'ভোরে পুলিশ তার বাড়ি থেকে সোহরাব হোসেনকে গ্রে/প্তার করে। বর্তমানে তিনি থানা হেফাজতে আছেন।'

কোন মামলায় গ্রে/প্তার দেখানো হতে পারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি; পূর্বেও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।' আদালতে পাঠানোর পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের পানি, সেচ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্পাদক। তার সঙ্গে পলাতক সাবেক মন্ত্রী (মৎস ও প্রাণি সম্পদ) আব্দুর রহমানের ব্যাপক ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাছাড়া টিআর, কাবিখা, বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সোহরাব হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেন স্থানীয় একজন ব্যক্তি। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এক বক্তৃতায়__ সোহরাব হোসেন বুলবুলকে গণ/ধো/লাই দেওয়ার ঘোষণা দেন।

কৃষকলীগ নেতা বুলবুলকে অ/স্ত্র/ধারী, ভোট ডা/কাত উল্লেখ করে নাসিরুল ইসলাম বলেন, '৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আলফাডাঙ্গায় অ/স্ত্র মিছিল হয়েছে। সেই মিছিলে এই ইউনিয়নের ভোট ডা/কাত সোহরাব হোসেন বুলবুল ছিলেন। কিন্তু মামলা থেকে তার নামটি কৌশলে বাদ হয়ে গেল।'

এসময় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই বুলবুলকে গ্রে/প্তার করতে হবে। তাকে গ্রে/প্তার না করা পর্যন্ত আপনারা ঘরে ফিরে আসবেন না।'

📢 আজ আলফাডাঙ্গায় বিশেষ তাফসীর মাহফিল 📢আজ শুক্রবার, ১৩ জুন, দুপুর ২টা থেকে📍 আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্...
13/06/2025

📢 আজ আলফাডাঙ্গায় বিশেষ তাফসীর মাহফিল 📢

আজ শুক্রবার, ১৩ জুন, দুপুর ২টা থেকে
📍 আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
তাফসীর পেশ করবেন—

🕌 আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার
🎤 মুফতি আমির হামজা (দা.বা.)

💬 শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কুরআনের আলোকে জীবন গঠনের মহামূল্যবান বয়ান শুনতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে।

🕋 আসুন, কুরআনের বাণীতে আলোকিত হই।

11/06/2025

ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, স শ স্ত্র মহড়া ও হুম কি দাতাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানের প্রধান টার্গেট ইনামুল, মাহবুব, তারিকুল পলাতক রয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

11/06/2025

আলফাডাঙ্গায় ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের ধরতে রাতভর পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৭

স/শ/স্ত্র মহড়া: ফরিদপুরে যুবদল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগেরফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপু...
10/06/2025

স/শ/স্ত্র মহড়া: ফরিদপুরে যুবদল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে যুবদল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে স/শ/স্ত্র মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, সোমবার (৯ জুন) বিকেল ও মঙ্গলবার (১০ জুন) কামারগ্রামে দেশীয় অ/স্ত্র/শ/স্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুবদলের দুই নেতাকে লা/ঞ্ছি/ত করা হয় এবং প্রাণ/না/শের হু/ম/কি দেওয়া হয়।

লা/ঞ্চি/ত ও হু/ম/কির শিকার যুবদল নেতারা

স্থানীয় কাঞ্চন একাডেমির পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন কামারগ্রাম ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শাহেদ ও গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ঐশিক। এসময় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইনামুল হাসান, তার ভাই মাহবুব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য তারিকুল ইসলাম মেম্বার এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাউসার হোসেন টিটোসহ দলবল নিয়ে হাজির হন।

তারা হঠাৎ মব তৈরি করে দুই যুবদল নেতাকে লা/ঞ্ছিত করেন। ঘটনার পর শাহেদ ও ঐশিক আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ ও হু/ম/কি

পরদিন (১০ জুন) দুপুরে ইনামুল হাসানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী হেলমেট পরে এবং হকি/স্টিক, রা/মদা, টাটা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রসহ স/শ/স্ত্র অবস্থায় আবারো জড়ো হয়।
প্রথমে তারা কাঞ্চন একাডেমির মাঠে অবস্থান নেয়। এরপর শাহেদ ও ঐশিকের বাড়িতে গিয়ে তাদের খুঁজতে থাকে। না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সামনে নানা রকম হু/মকি দিয়ে আসে। পরে একইভাবে ছাত্রদল নেতা রিবন খানের বাড়িতেও যায় তারা।

শাহেদের বক্তব্য

ভুক্তভোগী যুবদল নেতা শাহেদ বলেন,

"আমরা দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ ইনামুল এসে বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের এলাকা, এখানে বিএনপি চলবে না।’ আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আরও ক্ষি/প্ত হন এবং মব তৈরি করে আমাদের লা/ঞ্ছিত করে। পরদিন তারা বাড়িতে গিয়ে গু/ম কিংবা খু/ন করে লা/শ গু/ম করে দেওয়ার হু/মকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তার অভাবে পলাতক।"

থানা-পুলিশের নির্লিপ্ততা

আলফাডাঙ্গা পৌর যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান জানান,

“আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিবারগুলো আ/তঙ্কে আছে। এত বড় ঘটনার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযুক্তরা দিব্যি প্রকাশ্যে ঘুরছে।”

অথচ আলফাডাঙ্গা থানার ওসি শাহজালাল আলম বলেন,

“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।”

কে এই ইনামুল হাসান?

ইনামুল হাসান এক সময় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। তবে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়েও পরাজিত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,

তার বিরুদ্ধে বি/স্ফো/রক, না/শক/তা, জমি দখল, নারী কে/লেঙ্কা/রি, সরকারি বরাদ্দ লুটপাট, জু/য়ার আসর চালানোর অভিযোগ আছে।

সরকারের গৃহহীন প্রকল্প, শিশু কার্ড, ভাতাভোগী তালিকা নিয়েও দুর্নীতি করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

তার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট আলফাডাঙ্গায় শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দাবিতে আয়োজিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ককটেল বি/স্ফো/রণ ও ভা/ঙচু/রে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইনামুল ছিলেন ৬৫ নম্বর আসামি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তরিকুল ইসলাম ছিলেন ৬৬ নম্বর। কিছুদিন পলাতক থাকার পর বর্তমানে তারা আবার এলাকায় সক্রিয়।

সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন বৈঠকে ফরিদপুরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইনামুল ও তরিকুল। স্থানীয়রা বলছেন, এ থেকেই তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দম্ভের উৎস বোঝা যায়।

আলফাডাঙ্গা থানা থেকে নাটকীয় পালানোর পর আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিনের আত্মসমর্পণস্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ...
13/05/2025

আলফাডাঙ্গা থানা থেকে নাটকীয় পালানোর পর আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিনের আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রায় ১৮ ঘণ্টা পলাতক থাকার পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে একটি মাইক্রোবাসযোগে বোনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আলফাডাঙ্গা থানায় হাজির হন। থানা পুলিশের কঠোর চাপ এবং পরিবারের সহযোগিতার ফলেই তার এই আত্মসমর্পণ সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (১২ মে) দুপুরে আলফাডাঙ্গা বাজারে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান—একটি টিনের দোকান থেকে তাকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ।

তবে গ্রেপ্তারের প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মাথায়, যোহরের নামাজ ও দুপুরের খাবারের সময়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে থানার নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান নাসিরউদ্দিন। অনুমান করা হচ্ছে, তিনি গতকাল (১২ মে) বেলা ২টা থেকে সোয়া ২টার মধ্যে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় থানা পুলিশ ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে এবং নাসিরউদ্দিনকে পুনরায় গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তাকে আত্মসমর্পণে রাজি করান।

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

‘সাংবাদিক’ দাবি ‘প্রতারক লিটনের’, গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিলেন আদালতআদালতে আনা হলে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। বলেন, ‘আমি...
08/05/2025

‘সাংবাদিক’ দাবি ‘প্রতারক লিটনের’, গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিলেন আদালত

আদালতে আনা হলে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। বলেন, ‘আমি সাংবাদিক। আমি কেন হত্যা মামলার আসামি হলাম? আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’ তবে আদালত তার এসব কথা আমলে না নিয়ে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মো. জাভেদ। তার মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

Walton

মামলার বাদী সিকদার লিটন নিজেকে নিহতের খালাতো ভাই পরিচয় দেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম হওয়ায় তা নজরে আসে ভুক্তভোগী জাভেদের পরিবারের। তাদের অজান্তে এমন মামলা হওয়ায় অবাক পরিবারটি। নিরুপায় হয়ে নিহত জাভেদের ভাই মাঈনুদ্দীন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যা তদন্ত করছে থানা পুলিশ।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, ‘জিডির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুতই রিপোর্ট আদালতে দাখিল করব।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, ‘তদন্ত শেষের দিকে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে সিকদার লিটনের করা ওই মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে এই মামলাকে পুঁজি করে বেশ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও প্রতিপক্ষদের আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে লিটনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। তিন মাসে শুধু তার বিকাশে লেনদেন হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ টাকা।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের খুরকি গ্রামের আব্দুল সোবহানের ছেলে জাবেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে ১৩ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ বিষয়ে জাবেদের পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করেনি। অথচ লিটন নিজেকে জাবেদের খালাতো ভাই দাবি করে ঢাকার আদালতে একটি সিআর মামলার আবেদন করেন। এমন ঘটনা জানাজানি হলে নিহত জাবেদের ভাই মাইনুদ্দিন মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডিতে মাইনুদ্দিন উল্লেখ করেন, সিকদার লিটন নামের ব্যক্তির সঙ্গে নিহত জাবেদের পরিবারের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। এমনকি তাকে কোথাও কোনো মামলার আবেদন করার অনুমতি, সম্মতি বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া হয়নি।

সিকদার লিটন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ তার নামে দুটি মামলা রয়েছে— ঢাকার ভাটারা ও মোহাম্মদপুর থানায়।

আলফাডাঙ্গার স্থানীয়রা বলছেন, সিকদার লিটন আপাদমস্তক একজন প্রতারক। যেখানে যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে সুবিধা নেওয়া যায় সেটাই করেন। কখনো এমপির এপিএস, কখনো ব্যবসায়ী, কখনো সরকারি কর্মকর্তা, কখনও সাংবাদিক পরিচয় দেন তিনি। এসব পরিচয়ের আড়ালে মূলত তিনি ভয়ংকর প্রতারক। প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত সিকদার লিটনের অত্যাচারে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে গ্রামবাসী।

নিজের মা-বাবা মারা গেলেও তাদের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। এমনকি নিজের শ্বশুর জাপান মুন্সির নামে হয়রানিমূলক পাঁচটি মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন তিনি। ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুর হোসেনের এপিএস পরিচয় দিতেন সিকদার লিটন। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।

সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছিলেন। এবার আদালতের সামনে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালতকে বিভ্রান্তি করারও চেষ্টা করেন তিনি। বুধবার (৭ মে) ভাটারা থানার একটি হত্যা মামলায় সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। সকালে তাকে আদালতে আনা হলে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। বলেন, ‘আমি সাংবাদিক। আমি কেন হত্যা মামলার আসামি হলাম? আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’ তবে আদালত তার এসব কথা আমলে না নিয়ে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মামলা ভিন্নখাতে নিতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকতে পারেন লিটন। যাতে ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলাকে বিতর্কিত করা যায়। যা ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী লীগ সরকারকে সুবিধা দেওয়া চেষ্টা। সিকদার লিটন বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের ফাঁসাচ্ছে। তার এমন হীন-চরিতার্থ যাতে সফল না হয় সেটা দায়িত্বশীলদের দেখতে বলছেন তারা।

লিয়াকত সিকদারের ক্যাশিয়ার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনছার আলী গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত স...
01/05/2025

লিয়াকত সিকদারের ক্যাশিয়ার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনছার আলী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদারের অন্যতম সহযোগী ও ক্যাশিয়ার সৈয়দ আনছার আলী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার লালবাগের বুয়েট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন— র‍্যাব-১০’র অভিযানিক দল আনছার আলীকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার র‌্যাব থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আনসার আলীর বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাজড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আতর আলী।

জানা গেছে, সৈয়দ আনসার আলী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সরকারি কলেজের প্রভাষক পদে চাকরি পান। তবে কোনোদিন কলেজে ক্লাস নিতে যেতেন না কিন্তু প্রতিমাসে বেতন তুলতেন। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত সিকদারের অন্যতম সহযোগী ছিল এই আনছার আলী। লিয়াকত সিকদারের অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ ও সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব ছিল তার। তাকে ক্যাশিয়ার হিসেবে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন— সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আনসার আলী সরকারি কলেজের প্রভাষক ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত সিকদারের অন্যতম ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও চাকরি বাণিজ্যে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল তার। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাজারো বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছিল এই আনসার আলী। অনেকে চাকরির আশায় টাকা দিয়ে চাকরি তো দূরে থাক টাকাও ফেরত পাননি। এমন অনেকে নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, লালবাগ থেকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার সৈয়দ আনছার আলী ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার একটি প্রতারণা মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একসঙ্গে আদালত তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল ভয়ঙ্কর এই প্রতারক। গ্রেপ্তারের পর তাকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ‘আসামি আনছার আলীকে র‌্যাব আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আদালতের মাধ্যমে হয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ছাত্ররাজনীতিকে পুঁজি করে হাজার কোটির মালিক:

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত সিকদারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তার স্ত্রী মাহমুদা আলী সিকদার এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডির ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। ছাত্ররাজনীতিকে পুঁজি করে ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ পান লিয়াকত সিকদার। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সুবাদে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ভবন ও খাদ্য ভবনে তার আধিপত্য বেশি ছিল। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে কাজ আদায় করেছেন। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকেই কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতা ছাত্রলীগকে সব সময় ‘তুরুপের তাস’ মনে করতেন। ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতার অনেকের কাছেই লিয়াকত সিকদার ভবিষ্যৎ নেতা বানানোর কারিগর হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই সকাল-বিকাল অনেক ছাত্রনেতাই তার বাসায় যেতেন। সালাম করে দোয়া নিয়ে আসতেন।

জানা গেছে, গত এক দশকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও প্রভাবশালী যত ইউনিট কমিটি হয়েছে, তার সবই লিয়াকতের ইশারায়। বদৌলতে বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। ছাত্রলীগের যখন যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ইউনিট কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু দাপ্তরিক প্যাডে স্বাক্ষর করাই ছিল তার কাজ।

ছাত্রলীগের দাপটে লিয়াকত সিকদার রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গাড়ি, প্লটের মালিক হওয়া এবং ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিত্তশালী হয়ে উঠেছেন। গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজসহ ক্রীড়া পরিষদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন টেন্ডারের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল।

এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে রয়েছে কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডি নামে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পাওয়ার কানেকশন নামে রাজধানীর আকরাম টাওয়ারে একটি ফ্লোরে অফিস করতেন। এই অফিস থেকে মূলত বিদ্যুৎ ভবনের টেন্ডার বাগিয়ে নিতেন তিনি। ঢাকার সেগুনবাগিচায় রয়েছে লিয়াকতের সুরম্য ফ্ল্যাট।

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ক্যাশিয়ার ও ভাগ্নে 'ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার' গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিবেদকসাবে...
20/04/2025

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ক্যাশিয়ার ও ভাগ্নে 'ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার' গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ক্যাশিয়ার ও ভাগ্নে ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের আদালতপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোতোয়ালি থানায় হওয়া একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি এই ইব্রাহিম শেখ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নাশকতা, হত্যা চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তাঁতীলীগের সদস্য এই ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার বলেন, ‘দুপুর দেড়টার দিকে শহর থেকে ইব্রাহিম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হওয়া দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় ২৯ নম্বর আসামি এই ইব্রাহিম ওরফে কলম । সে একজন পেশাদার জুয়াড়ি, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী । তার বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে কি-না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

যে মামলায় ইব্রাহিম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আজই তাকে আদালতে পাঠাবো। একই সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিএমপি কমিশনার (বর্তমানে কারান্তরীণ) আছাদুজ্জামান মিয়ার লোকাল ক্যাশিয়ার ছিলেন এই ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার। আছাদুজ্জামান মিয়ার হয়ে এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যহার করত সে। অন্যের জমি-দোকান দখল, সালিসের নামে টাকা আদায়, চাঁদাদাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। তাছাড়া পুলিশে চাকরি, বদলি এসব দেখভাল করতে ইব্রাহিম শেখ। আছাদুজ্জামান মিয়া তাকে ভোট কারচুপির মাধ্যমে জোর জবরদস্তি করে স্থানীয় আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বানিয়েছিলো। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে তাকে বরখাস্ত হতে হয়েছিল।

সূত্র বলছে, সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার হয়ে ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার এলাকায় জমি দখলসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল । আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে ভিন্নমত পোষণকারীদের ওপর দমন পীড়নের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল এই কলম মেম্বার । মূলত আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদ দেখভাল করত সে । আছাদুজ্জামান মিয়ার গ্রেপ্তারের পর তার সম্পদ বাঁচাতে ও হাতবদল মাঠে ছিল ইব্রাহিম শেখ। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া মৌজায় ইব্রাহিম শেখ কলমের নামে ১৬০ শতাংশ জমি আছে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা। এই জমির প্রকৃত মালিক সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এছাড়াও ‘সবুজ ছায়া’ নামে ইব্রাহীম শেখ একটি ঋণদান সংস্থার মালিক। যেখানে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে তার। কিন্তু দৃশ্যত তার কোনো ব্যবসা নেই। সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ অর্থেই এই সুদের প্রতিষ্ঠানটি (সবুজ ছায়া) পরিচালিত হতো।

এদিকে অনুসন্ধান বলছে, ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে ঢাকার খিলগাঁওয়ে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় ১৪৪ নম্বর আসামি সে। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা এই মামলাটি গত ২০ জানুয়ারি হয়। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলন দমন করতে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহের গুরুতর অভিযোগ ও রয়েছে ইব্রাহিম শেখ কলমের বিরুদ্ধে ।

30/03/2025

𝗘𝗶𝗱 𝗠𝘂𝗯𝗮𝗿𝗮𝗸 || ঈদ মোবারক || عيد مبارك 🌙
‎تَقَبَّلَ اللّهُ مِنَّ وَ مِنْكُمْ || তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম...

"ঈদ মানে খুশি। ঈদ বয়ে আনে আনন্দ, মুছে দেয় দূরত্ব। ঈদ মানে হাজারও দুঃখ-কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি।"

Address

Alfadanga, Faridpur, Dhaka
Alfadanga

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when News of Alfadanga - নিউজ অব আলফাডাঙ্গা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category