রাখির রাজ্য

রাখির রাজ্য একটি বইয়ের রাজ্যে বানাতে এতো আয়োজন.......

বইটা কালকে একদিনে পড়ে শেষ করছি। বলা বাহুল্য দুপুরে ভাত খাইনি একটানা পড়ে গেছি। তো আমি হচ্ছি অলস একটা মেয়ে। হ্যাঁ খুবই অলস...
09/11/2025

বইটা কালকে একদিনে পড়ে শেষ করছি। বলা বাহুল্য দুপুরে ভাত খাইনি একটানা পড়ে গেছি। তো আমি হচ্ছি অলস একটা মেয়ে। হ্যাঁ খুবই অলস সব ক্ষেত্রেই। কোন বই আমি ১ মাস লাগিয়ে দেই পড়তে, কোন বই একদিন, আবার কোন বই এক বসায় মাত্র ঘন্টা দুয়েক। আবার পড়ার অনেক দিন পরে রিভিউ করি বইয়ের। তবে হ্যাঁ সব বই আমি তৃপ্তি নিয়েই পড়ি। বাংলা রিডিং এর মতো পড়ে যাই ব্যাপার এমন না। লেখক আসলে কি বুঝাতে চেয়েছে, কি তুলে ধরেছে, কোন প্রাসঙ্গিক এ লিখেছে লাইনগুলো, শব্দগুলো সব নিয়ে ভাবি। কেমন করে কথা বললো। এবং বইটা সম্পর্কে আমার যে মত বাহ যা বুঝেছি অন্যরা বইটা নিয়ে কি বুঝেছে বা তাদের কি ধারনা সেগুলো ওহ জানার চেষ্টা করি। বই নিয়ে বই গ্রুপে তাদের সাথে কথা বলি৷ আলোচনা করি।
এবার বলি এক বসায় শেষ করার কাহিনী। এক বসায় বলতে এক দিন দিয়েছি। তাও অন্য কাজ তো করেছি টুকটাক। বইটা থ্রিলার জনরার বই। আর থ্রিলার মানেই হচ্ছে একধরনের রোমাঞ্চ, আতঙ্ক। That's why ছেড়ে উঠার মতো বই না। একদম সি আইডি যেভাবে পেছনে লেগে থাকে। কিন্তু কনসেপ্ট দ্রুত বুঝেছি সহজ সাবলীল তো। শরৎবাবু অথবা বিভূতিবাবু হলে এই বই টেনে নিয়ে কিছু দিনে যেতাম। একদিনে কখনো শেষ করতে চাইতাম না। আস্তে ধীরে ফিল নিয়ে পড়তাম।
যাইহোক আমি সবসময়ই বই আস্তে ধীরে ফিল নিয়ে পড়ি দ্রুত পড়িনা।

তো এখন আপনি কি বই পড়ছেন?
চা কিন্তু খেয়ে শেষ করেছি।

🎬 ১. মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০)“দাদা, আমি বাঁচতে চাই!”— নীতা (সুহাসিনী গাঙ্গুলি)➡️ এই সংলাপটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম বি...
03/11/2025

🎬 ১. মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০)
“দাদা, আমি বাঁচতে চাই!”
— নীতা (সুহাসিনী গাঙ্গুলি)
➡️ এই সংলাপটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম বিখ্যাত; দেশভাগ-পরবর্তী সংগ্রামী নারীর হৃদয়ের আর্তনাদ।
“তুই বাঁচবি, নীতা… তুই বাঁচবি।”
— শান্তি (নীতার ভাই)
➡️ মর্মস্পর্শী প্রতিধ্বনি — একরকম আত্মার চিৎকার।
🎬 ২. সুবর্ণরেখা (১৯৬২)
“দেশভাগ শুধু জমি ভাগ নয়, মানুষের মনও ভাগ হয়ে গেছে।”
➡️ দেশভাগের করুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে এই সংলাপে।
“আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা আসলে বেঁচে নেই।”
➡️ পরবাসী মানুষের অস্তিত্ব সংকটের কথা।
🎬 ৩. কোমল গান্ধার (১৯৬১)
“এই জীবনের মঞ্চেই যদি নাটক না করি, তবে আর কোথায়?”
➡️ জীবনের সঙ্গে শিল্প ও সংগ্রামের সম্পর্ক নিয়ে দার্শনিক উক্তি।
“আমরা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছি, তবুও খুঁজে ফিরছি।”
➡️ বিভাজনের পর মানুষে মানুষে দূরত্বের অনুভব।
🎬 ৪. অযান্ত্রিক (১৯৫৮)
“গাড়িটা লোহার নয়, আমার প্রাণের অংশ।”
➡️ ভীমের মুখে এই সংলাপ — যন্ত্রের ভেতরেও মানুষের আবেগের উপস্থিতি।
🎬 ৫. তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)
“তিতাস শুধু নদী নয়, আমাদের জীবনের ধারা।”
➡️ নদী, জীবন, ও গ্রামীণ বাঙালির অস্তিত্ব একাকার হয়ে যায় এখানে।

আজ ঋত্বিক ঘটকের শততম জন্মবার্ষিকী। উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর মধ্যে আরও একটি জীবন্ত নক্ষত্র ঋত্বিক ঘটক।

#রাখিররাজ্য

03/11/2025

বৃষ্টিস্নাত বিকেল।
রাস্তার ধারে টিনের চালের নিচে ছোট্ট চায়ের দোকানটা আজ যেন আরও আপন হয়ে উঠেছে। বাইরে ঝুম বৃষ্টি, টুপটাপ শব্দে বাজছে ছাদের তাল। দোকানের ভেতরে ধোঁয়া ওঠা চায়ের গন্ধে মিশে আছে ভেজা মাটির সুবাস।
আমি বসে আছি কোণের বেঞ্চে, হাতে একটা পুরনো বই। পাতার ভাঁজে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে দাগ রেখে যায়, তবু পড়া থেমে থাকে না। শব্দ আর বৃষ্টির সুর মিলেমিশে এক অদ্ভুত শান্তি তৈরি করেছে। চায়ের কাপে ধোঁয়া উঠছে, দূরে হালকা কুয়াশায় মিশে যাচ্ছে গাড়ির হর্ন, পথচারীর ছাতার শব্দ।
এই মুহূর্তে মনে হয়, পৃথিবী থেমে গেছে — শুধু আমি, বই, আর বৃষ্টি।
সবচেয়ে সুন্দর একাকিত্ব, যা চায়ের গন্ধে ভিজে আছে। ☕🌧️📖

নভেম্বর রেইন শুরু হয়ে গেছে।

#রাখিররাজ্য #কবিতা #বৃষ্টি

📚 শুভেচ্ছা “Soikot’s Book Nook”-কে 🌿সাহিত্যের নীরব উঠোনে যে মানুষটি প্রতিদিন বইয়ের গন্ধে ও ভাবনার আলোয় নিজেকে ও অন্যকে জ...
01/11/2025

📚 শুভেচ্ছা “Soikot’s Book Nook”-কে 🌿
সাহিত্যের নীরব উঠোনে যে মানুষটি প্রতিদিন বইয়ের গন্ধে ও ভাবনার আলোয় নিজেকে ও অন্যকে জাগিয়ে রাখছেন, তাঁর এই এক হাজার পাঠপ্রেমীর মাইলফলক সত্যিই এক অনন্য অর্জন।
হাজার জন পাঠক মানে হাজারটি হৃদয়, যারা শব্দের জগতে বিশ্বাস রাখে, যারা ভাবনার শিকড় খোঁজে মুদ্রিত অক্ষরে।
Soikot’s Book Nook কেবল এক পৃষ্ঠা নয়—এ যেন এক আশ্রয়, যেখানে বই কথা বলে, কবিতা নিঃশ্বাস নেয়, আর সাহিত্য হয়ে ওঠে জীবনের প্রতিদিনের সঙ্গী।
অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো—
আপনার বুকনুক আরও আলো ছড়াক, আরও পাঠক খুঁজে পাক নিজের প্রিয় আশ্রয়। 🌸

#রাখিররাজ্য

🌾 “বিভূতিভূষণ : প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়া” 🌾একদিন ঠিক এমনই এক নরম বিকেল ছিল— সূর্যের আলো গাছের পাতায় ঝরছে শান্ত ছায়ার ...
01/11/2025

🌾 “বিভূতিভূষণ : প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়া” 🌾
একদিন ঠিক এমনই এক নরম বিকেল ছিল— সূর্যের আলো গাছের পাতায় ঝরছে শান্ত ছায়ার মতো, দূরে কোথাও গাঙপাড়ের কাশফুলে বাতাসের দোলা। সেই দিনেই, ১ নভেম্বর ১৯৫০, নিঃশব্দে পথ ধরলেন বিভূতিভূষণ— যেন প্রকৃতিরই কোনো সন্তান আপন ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি জন্মেছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪-এ, এক অতি সাধারণ পরিবারে। কিন্তু তাঁর হৃদয় ছিল অসাধারণ— পৃথিবীর প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি শিশিরবিন্দুতে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের সৌন্দর্য।
তাঁর কলমে গ্রামবাংলা জেগে উঠেছিল মাটির গন্ধে, গরিব মানুষের মৃদু হাসিতে, আর শিশুর স্বপ্নময় চোখে। “পথের পাঁচালী”-তে অপু আর দুর্গার সঙ্গে তিনি আমাদের শেখালেন — জীবনের আনন্দ কেবল প্রাচুর্যে নয়, থাকে নিঃস্বতারও মর্মে।
তাঁর মৃত্যু ছিল ঠিক তাঁর গল্পগুলোর মতো — নিঃশব্দ, বিনয়ী, অথচ গভীর। কোনো আড়ম্বর নয়, কোনো হাহাকার নয়। যেন বনপথে হেঁটে যেতে যেতে একসময় থেমে গেলেন, বাতাসে ভেসে উঠলো বাঁশপাতার মৃদু সুর, আর প্রকৃতি ফিসফিসিয়ে বললো—
“এসো, এবার বিশ্রাম নাও।”
মৃত্যুর পরেও তিনি থেকে গেলেন মাটির ঘ্রাণে, নদীর জলে, শিশুর চোখে, পল্লিগীতির নিঃশ্বাসে।
বিভূতিভূষণ মানে কেবল এক নাম নয়— তিনি বাংলার আত্মা, যিনি মৃত্যুকেও রূপ দিয়েছেন এক শান্ত, অনন্ত নিদ্রায়।

#রাখিররাজ্য #কবি #কবিতা #বাংলা

According to the Greek mythology the Dryads where the tree nymphs who were  born on and who died with the tress witch we...
28/10/2025

According to the Greek mythology the Dryads where the tree nymphs who were born on and who died with the tress witch were there dwelling.

গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, ড্রায়াডরা ছিল বৃক্ষ-পরী (গাছের অপ্সরা), যারা গাছের সঙ্গে জন্ম নিত এবং গাছের সঙ্গেই মৃত্যুবরণ করত—গাছই ছিল তাদের বাসস্থান।

যারা দুঃখে আছেন খুব এবং নিজের জীবন নিয়ে হতাশায় আছেন মৃ*ত্যু নিয়ে ভাবছেন তারা বিখ্যাত Romantic  কবি John Keats এর এই কবিত...
28/10/2025

যারা দুঃখে আছেন খুব এবং নিজের জীবন নিয়ে হতাশায় আছেন মৃ*ত্যু নিয়ে ভাবছেন তারা বিখ্যাত Romantic কবি John Keats এর এই কবিতাটা পড়তে পারেন— জীবনকে ভালো লাগবে।
No, no, go not to Lethe, neither twist
Wolf’s-bane, tight-rooted, for its poisonous wine;
Nor suffer thy pale forehead to be kiss’d
By nightshade, ruby grape of Proserpine;
Make not your rosary of yew-berries,
Nor let the beetle, nor the death-moth be
Your mournful Psyche, nor the downy owl
A partner in your sorrow’s mysteries;
For shade to shade will come too drowsily,
And drown the wakeful anguish of the soul.
But when the melancholy fit shall fall
Sudden from heaven like a weeping cloud,
That fosters the droop-headed flowers all,
And hides the green hill in an April shroud;
Then glut thy sorrow on a morning rose,
Or on the rainbow of the salt sand-wave,
Or on the wealth of globed peonies;
Or if thy mistress some rich anger shows,
Emprison her soft hand, and let her rave,
And feed deep, deep upon her peerless eyes.
She dwells with Beauty—Beauty that must die;
And Joy, whose hand is ever at his lips
Bidding adieu; and aching Pleasure nigh,
Turning to poison while the bee-mouth sips:
Ay, in the very temple of Delight
Veil’d Melancholy has her sovran shrine,
Though seen of none save him whose strenuous tongue
Can burst Joy’s grape against his palate fine;
His soul shall taste the sadness of her might,
And be among her cloudy trophies hung.

কবিতার বিশ্লেষণ (Analysis):
১️⃣ প্রথম স্তবক:
কবি সতর্ক করেছেন —
যখন মন খারাপ, তখন যেন কেউ আ*ত্ম*হ*ত্যা, বি*ষ পান বা হতাশায় ডুবে যাওয়ার মতো কাজ না করে।
তিনি বলেছেন— “Go not to Lethe” (Lethe হল গ্রীক পুরাণের বিস্মৃতির নদী, যেখানে দুঃখ ভোলা যায়)।
কবি বোঝাতে চেয়েছেন, দুঃখ থেকে পালানো নয়, বরং সেটাকে বুঝে নেওয়াই জীবনের সৌন্দর্য।
২️⃣ দ্বিতীয় স্তবক:
কিটস বলেন, দুঃখ যখন হঠাৎ নেমে আসে, তখন প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিকে তাকাও —
ভোরের গোলাপ, রামধনু, বৃষ্টির ফোঁটা, কিংবা প্রিয়জনের চোখে হারিয়ে যাও।
এই সৌন্দর্যেই জীবনের আসল অর্থ ও অনুভূতি লুকানো।
দুঃখকে অনুভব কর, কারণ এর ভেতর দিয়েই সত্যিকারের আনন্দের স্বাদ মেলে।
৩️⃣ তৃতীয় স্তবক:
শেষ স্তবে কিটস বলেন —
দুঃখ ও আনন্দ একে অপরের সঙ্গী।
“Beauty that must die” — সুন্দর সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী, তাই তার মৃত্যুতেই আছে বিষাদ।
আনন্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে দুঃখের বীজ, আর দুঃখের মধ্যেও লুকিয়ে আছে সৌন্দর্য।
যে এই গভীর মিলনকে বোঝে, সে-ই সত্যিকারের “melancholy” অনুভব করতে পারে।
🌙 ভাবার্থ (Theme & Meaning):
জীবনের আনন্দ ও দুঃখ অবিচ্ছেদ্য।
দুঃখ থেকে পালানো নয়, বরং তাকে উপলব্ধি করতে শেখাই জীবনের সত্য।
প্রকৃতি ও প্রেমের মধ্যে দুঃখের রূপও সুন্দর।
কিটসের “beauty and transience” বা সৌন্দর্যের ক্ষণস্থায়ীতার দার্শনিক ভাব স্পষ্ট এই কবিতায়।
🕊️ মূল বক্তব্য:
“দুঃখ জীবনের শত্রু নয়; বরং তা-ই আমাদের শেখায় জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।”

#রাখিররাজ্য #কবিতা

ROM is called the paradise because it is beautiful with its immortal works of art and its pleasant climate. রোম: দ্যা ইট...
27/10/2025

ROM is called the paradise because it is beautiful with its immortal works of art and its pleasant climate.

রোম: দ্যা ইটারনাল সিটি
রোমকে “ইটারনাল সিটি” বলা হয় তার অমর ইতিহাস এবং চিরন্তন সাংস্কৃতিক মহিমার জন্য। হাজার বছরের পুরনো এই নগরী প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্র হিসেবে অগণিত ঘটনা, যুদ্ধ, সাফল্য ও শিল্পের সাক্ষী। রোমের প্রতিটি রাস্তা, চৌরাস্তা ও ভবন যেন ইতিহাসের একটি জীবন্ত পাতা।
প্যানথিয়ন, কলোসিয়াম, ফোরাম—এসব স্থাপনা শুধু আর্কিটেকচারের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মানুষের ইতিহাস ও আবিষ্কারের গল্পও বলে। ভ্যাটিকান শহর এবং সেন্ট পিটারস বাসিলিকা রোমের ধর্ম, শিল্প ও মানবিক চেতনার উচ্চতম প্রকাশ।
“ইটারনাল সিটি” নামের মাধ্যমে রোম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সময় বদলায়, সভ্যতা আসে যায়, কিন্তু ইতিহাস, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মর্যাদা চিরকাল অম্লান থাকে। তাই রোম শুধু একটি শহর নয়—এটি এক জীবন্ত কিংবদন্তি, যা আজও, আগামীকালও, চিরকাল বেঁচে থাকবে।

রোম: স্বর্গের নগরী
রোমকে অনেকেই স্বর্গ বা “paradise” হিসেবে আখ্যায়িত করেন তার অমর শিল্প, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। নগরীর প্রতিটি কোণায় আছে চিত্রকলা, ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ, যা প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত অম্লান। কলোসিয়াম, প্যানথিয়ন, ভ্যাটিকান শহর—প্রতিটি দর্শনীয় স্থান যেন মানুষের চোখকে আনন্দে ভাসায়।
রোমের মৃদু ও আনন্দদায়ক আবহাওয়া, সরু গলি, উন্মুক্ত চৌরাস্তা আর সবুজ উদ্যান শহরটিকে আরও স্বর্গীয় করে তোলে। শুধু চোখ নয়, মনে ও হৃদয়েও রোমের সৌন্দর্য এক ধরনের শান্তি ও আনন্দ সৃষ্টি করে, যা একজন ভ্রমণকারীকে স্বর্গের অনুভূতি দেয়।
সুতরাং, রোমকে “প্যারাডাইস” বলা হয় না শুধু তার সৌন্দর্যের জন্য, বরং এটি মানুষের শিল্প, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে মিলিত আনন্দের স্থল হিসেবে।

#রাখিররাজ্য

Actaeon (অ্যাক্টেয়ন) — গ্রিক পুরাণের এক বিখ্যাত চরিত্র, যিনি ছিলেন এক তরুণ শিকারি (hunter) এবং Artemis দেবীর (শিকার, চন...
27/10/2025

Actaeon (অ্যাক্টেয়ন) — গ্রিক পুরাণের এক বিখ্যাত চরিত্র, যিনি ছিলেন এক তরুণ শিকারি (hunter) এবং Artemis দেবীর (শিকার, চন্দ্র ও সতীত্বের দেবী) সঙ্গে জড়িত এক করুণ ঘটনার নায়ক।
🏹 Actaeon-এর পরিচয়
Actaeon ছিলেন থিবস (Thebes) শহরের রাজা Cadmus-এর নাতি এবং Aristaeus-এর পুত্র।
তিনি একজন দক্ষ শিকারি ছিলেন এবং তার প্রিয় কাজ ছিল হরিণ শিকার করা।
তার শিক্ষক ছিলেন Chiron, সেই অর্ধমানব অর্ধঘোড়া (centaur), যিনি বহু বীরযোদ্ধাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
🌕 ঘটনার সারাংশ
একদিন Actaeon জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে Artemis দেবীকে হঠাৎ স্নানরত অবস্থায় দেখে ফেলে।
Artemis ছিলেন সতীত্বের দেবী, এবং কেউ তাকে এভাবে দেখতে পারবে না—এটা ছিল কঠোর নিষেধ।
দেবী ক্রুদ্ধ হয়ে Actaeon-কে বললেন:
“যেহেতু তুমি আমাকে ন*গ্ন অবস্থায় দেখেছ, আর কখনো কাউকে তা বলতে পারবে না।”
এবং সাথে সাথে তাকে একটি হরিণে (stag) রূপান্তর করে দেন।
🦌 তার করুণ মৃত্যু
রূপান্তরের পর Actaeon পালাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু নিজের পোষা শিকারি কুকুরগুলোই তাকে চিনতে না পেরে তাকে ছিঁড়ে ফেলে হত্যা করে।
এভাবে এক নিষ্পাপ কৌতূহলের কারণে তার মৃত্যু হয় — যা প্রায়শই গ্রিক পুরাণে “মানব অহংকার বা সীমা লঙ্ঘনের শাস্তি” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
💭 প্রতীকী মানে
Actaeon-এর গল্পটি শুধু একটি দুঃখজনক পুরাণ নয়, বরং এতে গভীর প্রতীক আছে:
সীমা অতিক্রম করলে শাস্তি অনিবার্য।
দেবতাদের প্রতি সম্মান ও ভক্তি বজায় রাখা জরুরি।
কৌতূহল কখনো কখনো ধ্বংস ডেকে আনে।
চিত্রশিল্প, সাহিত্য ও অপেরায় Actaeon-এর গল্প বহুবার এসেছে — বিশেষ করে Ovid-এর “Metamorphoses” গ্রন্থে এটি অন্যতম বিখ্যাত রূপান্তর কাহিনি।

24/10/2025

বলেন এটা কার লেখা?

#কবি #কবিতা

শুভ সকাল প্রিয় বন্ধুরা আজ শুক্রবার  ২৪ই অক্টোবর , ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, নবান্নের দিন।
24/10/2025

শুভ সকাল প্রিয় বন্ধুরা
আজ শুক্রবার
২৪ই অক্টোবর , ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, নবান্নের দিন।

🌼 জীবনানন্দ দাশের কোন মৃ*ত্যু দিন নেই। প্রতিদিন তাকে স্মরণ করার দিন। নক্ষত্রেরা মরে না আমাদের কাছে। কিন্তু জীবনানন্দ দাশ...
22/10/2025

🌼 জীবনানন্দ দাশের কোন মৃ*ত্যু দিন নেই। প্রতিদিন তাকে স্মরণ করার দিন।
নক্ষত্রেরা মরে না আমাদের কাছে। কিন্তু জীবনানন্দ দাশ নিজেই বলেছেন নক্ষত্রের ওহ মরে যেতে হয়।
বাংলা কবিতার এক চিররহস্যময় নাম — জীবনানন্দ দাশ।
বাংলা সাহিত্যে আধুনিক কবিতার যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর হাতে, তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, নীরবতা, সময়, একাকিত্ব ও জীবনের গভীর বোধ অনন্যভাবে ফুটে উঠেছে।
🕊️ জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশাল
🕯️ মৃত্যু: ২২ অক্টোবর ১৯৫৪, কলকাতা
কলকাতার বালিগঞ্জে ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আজকের এই দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর মৃ*ত্যু আজও এক রহস্য হয়ে আছে — দুর্ঘটনা না আ*ত্মহত্যা, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক চলমান।
📖 তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে —
ঝরাপালক
ধূসর পাণ্ডুলিপি
মহাপৃথিবী
সাতটি তারার তিমির
রূপসী বাংলা
🌿 “বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।”
এই একটি পঙ্‌ক্তির মধ্যেই লুকিয়ে আছে তাঁর সমগ্র কবিতাজীবনের সৌন্দর্য আর মর্মস্পর্শী গভীরতা।
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি বাংলা কবিতার নীরব জ্যোতির্ময় কবি।
#কবিতার #কবি #রাখিররাজ্য #

Address

Bagerhat

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রাখির রাজ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category