16/05/2025
আজ জুমার দিন — রহমত, বরকত আর মাগফিরাতের পবিত্র একটি সুযোগ।
আসুন আজকের এই ফজিলতপূর্ণ দিনে অন্তত একজন মানুষের খোঁজ নিই।
একজনকে জিজ্ঞেস করি —
“আপনার কি খেতে মন চাচ্ছে?”
হয়তো সে লজ্জায় কিছু বলবে না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রতিদিন এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে বেড়ায়।
যদি আমাদের সামর্থ্য থাকে, তাহলে আজ কাউকে একটা কাপড় কিনে দিই।
একটা ছোট্ট পাঞ্জাবি, একটা শাড়ি, বা একটা নতুন জামা — এই ছোট্ট উপহার হয়তো কারো ঈদের আনন্দ এনে দিতে পারে।
আমাদের চারপাশেই অনেক মানুষ আছে —
যারা দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারে না,
যারা বাচ্চাকে নতুন জামা কিনে দিতে পারে না,
যাদের মুখে হাসি নেই, কিন্তু দোয়ার অভাব নেই।
আসুন, জুমার দিনের উসিলায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।
আমি নিজেও চাই তাদের পাশে দাঁড়াতে,
চাই কোনো শিশুর মুখে হাসি ফুটাতে,
চাই কোনো বাবার চোখে স্বস্তির জল দেখতে —
কিন্তু এখনও আমার সেই সামর্থ্য আসেনি।
তবুও, এই মনের আবেগ আর ভালোবাসার টান আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিই।
হয়তো আপনাদের কেউ তা বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ, আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে খাদ্য দান করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের খাদ্য দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে পানি পান করায়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে শরাব দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে বস্ত্র দান করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবুজ পোশাক পরাবেন।”
— (তিরমিজি)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাধ্যমতো দান করার শক্তি দিন।
ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
কারণ, আপনি জানেন না — আপনার একটা ছোট কাজ, কারো জন্য হতে পারে দোয়ার দরজা।
আসুন, আজ জুমার দিনকে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যও স্মরণীয় করে রাখি।
---
#মানুষমানুষেরজন্য #জুম্মা #পরোপকার