04/07/2025
আশুরার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“আমি আশা করি, আল্লাহ তা'আলা এই দিনে রোজা রাখার বিনিময়ে গত এক বছরের গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন।”(মুসলিম)
কিন্তু শুধুমাত্র ১০ মুহাররম রোজা না রেখে, ৯ ও ১০ (রাখাটাই উত্তম) অথবা ১০ ও ১১ মুহাররম রোজা রাখা উত্তম।
(ইহুদীদের অনুসরণ এড়ানোর জন্য)
রাসূলুল্লাহ ﷺ মদীনায় এসে দেখতে পেলেন, ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা রাখছে। জিজ্ঞেস করলে তারা বলল:
“এই দিন আল্লাহ তাআলা মূসা (আঃ)-কে ফিরআউনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ফিরআউনকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন।”
তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন:
"আমরা মূসার অধিক হকদার", এবং তিনি নিজেও রোজা রাখেন ও সাহাবিদেরও রোজা রাখতে বলেন।
দেখেন, আল্লাহর রাসূল তার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ইহুদিদের বিরোধিতা করেছেন। অথচ আমরা মনেপ্রাণে ইহুদি খ্রিস্টানদের সংস্কৃতি লালন করছি, জন্মদিন, এই উৎসব, সেই উৎসব আরো কত কি! যাইহোক,
আরেকটি হাদিসে এসেছে,
যে ব্যক্তি আশুরার দিনে নিজের পরিবার-পরিজনের ভালো খাবারের আয়োজন করবে, আল্লাহ তার জন্য পুরো বছরেই ভালো খাবারের করবেন।
আমরা চাইলে এই আমলটিও করতে পারি!
এছাড়াও, এক সাহাবি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলেন:
‘রমজান মাসের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা কোনটি?’
রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন:
‘আল্লাহর মাস মুহাররমের রোজা।’
কেন এই মাসে রোজার এত ফজিলত?
মুহাররম হলো চারটি হারাম মাসের একটি। (হারাম শব্দের দুইটি অর্থ নিষিদ্ধ এবং সম্মানিত। এখানে হারাম বলতে সম্মানিত বুঝানো হয়েছে)
এই মাসে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত এবং সাওয়াবের সুযোগ বেশি থাকে।
তাই আমরা এই মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখব, আমল করব এবং নিজেদেরকে গুনাহ থেকে বিরত রাখব। আর অবশ্যই আশুরার দিন রোজা রাখবো।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুক, আমিন।
(C)