𝕋𝕙𝕦𝕚 𝕄𝕠𝕟𝕘 𝕃𝕚𝕗𝕖 𝔻𝕒𝕚𝕣𝕪, Bandarban (2025)

05/06/2025

এই গোণোধরা সমাজে আর কত বিভক্ত হবো আমরা...?
যেখানে পায়ের তলায় মাটি নেই,মাথার উপর ছাদ নেই। নেই কোন রাজনৈতিক সচেতনতা। যাদের অনুপ্রেরণায় অধিকার হারা মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য সোচ্চার হয়েছি। তারাও আজ স্বার্থ কোষাগারের। তারা আজ বিভাজনের।
এই বিভাজনের কথা যদি বলি তাহলে আমার ছোট বেলা মায়ের মুখে শোনা "এক বৃদ্ধ দম্পতি" গল্প কথা মনে পড়ে যায়।
গল্পটি এমন-----

একদা ঐ বৃদ্ধ দম্পতি দীর্ঘ বছর সংসার জীবন অতিবাহিত হতে চলে এসেছে। কিন্তু তাদের কোন সন্তান পায়নি। লোকে অনেকে বলে যে,সংসারের শান্তি প্রতীক নাকি সন্তান-সন্ততি। কিন্তু তাদের কোন সন্তান পায়নি।

একদিন তারা একে অপরের প্রতিজ্ঞা করে বললো আমরা এত দীর্ঘ বছর এসেছি আমাদের ঘরে কোন সন্তান ছিল না। আমাদের বিচ্ছেদ তো দূরে কথা আমরা কখনো তা ভাবেনিই।লোকে যতই আমাদের বন্ধনকে বিছিন্ন করতে চাও না কেন আমরা কখনো বিভাজন হবো না।

এমন সময় এক দুষ্ট বালক বৃদ্ধ দম্পতি কথোপকথন শুনে ফেলে। আর স্থির করলো ঐ বৃদ্ধ দম্পতিদেরকে পরীক্ষা করবে।

একদিন ঐ দম্পতি কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর সুযোগে ঐ দুষ্ট বালক প্রথমে বৃদ্ধ মহিলা কাছে যায় এবং বলে.....

দাদী আপনারা তো দীর্ঘ বছর পার করে এসেছেন। দাদু সম্পর্কে সব জানেন? বা ওনার শরীরে সব জায়গা দেখেছেন...?
দাদী বললো নাহ!আমি শুনেছি তিনি (দাদু) নাকি পূর্বে জন্মে নাকি কুমির ছিল। তাই এখনো ওনার পাছায় ছোট্ট একটা কাটা লেজ আছে, সেটা আমাবস্যা মধ্য রাতে হলে খুব সামান্য একটু বের হয় । বিশ্বাস নাহলে আপনি আমাবস্যা রাতে দাদু যখন ঘুমাবেন মধ্য রাতে হাত দিয়ে দেখেন।

অন্য দিকে দুষ্ট বালক বৃদ্ধ স্বামী কাছে গিয়ে ঠিক একই মিথ্যা কথা বলে। দাদু... আপনি দীর্ঘ বছর সংসার করেছেন অথচ আপনি দাদী সম্বন্ধে জানে না। দাদী নাকি রাক্ষস (চুং) জীবন থেকে মানুষ হয়েছে। তাই স্বভাব এখনো আমাবস্যা রাত হলে মধ্য রাতে চুং এর মত শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। বিশ্বাস হলে একদিন আপনি আমাবস্যা রাতে ঘুমের ভান করে থাকেন।

ঠিক আমাবস্যা রাতে বয়স্ক স্ত্রী বালকের কথা ঠিক কিনা শরীরে পাছায় হাত দেয়,ঠিক ঐ সময়ের বৃদ্ধ স্বামী বৃদ্ধ স্ত্রী এর হাতে স্পর্শে জোড়ে জোড়ে চুংমা...চুংমা....চুংমা....বলে চিৎকার করে। অন্যদিকে বৃদ্ধ স্ত্রীর মুইগ্যং....মুইগ্যং.....মুইগ্যং...... (কুমির) বলে দুজনের চিৎকার করে। তারপরদিন তাদের সংসার ছাড়ার জন্য সামাজিকগত ভাবে গ্রামের কারকারী (গ্রাম প্রধান) সহ বিভিন্ন গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরবর্গ এক বিচারিক বসে। এবং এই পুরো ঘটনা ঐ দুষ্ট বালক সব কিছু খুলে বলে। এবং তাদের সংসারও কোন ভাঙ্গা হলো না।

গল্পে মুল বাণী [খ্রেং ক্রিগে ক্যা ওয়ংরে]

দেয়ালে ফাটল সুযোগ দিলে ফাটবে। আর কত দেয়াল ফেটে যাবে...?

এই বিভাজন সৃষ্টি বিরুদ্ধে যারা মুখে বলে তারা বেশি সৃষ্টি করে। সব কিছু স্বার্থ হাসিলের উপর মানুষ বাচে।
আমি যখন পিসিপি করতাম আমাকে অনেকে বলে আমাকে ব্যবহার করে অর্থাৎ আমাদের মাথা বিক্রি করে তারা কোটি পতি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি গাধা তা কখনো সেভাবে ভাবেনি।
কিন্তু আজ আমি অনুভব করলাম। তারা মুলত জুম্ম জনগণের অধিকারে কথা মুখে বোম ফুটে কিন্তু নিজের স্বার্থ হাসিল ছাড়া কিছু নেই।

22/05/2025

২২শে মে ২০২২ সাল আজ আমার কারা বাসে প্রথম দিন।
এটা নিয়ে ছোট একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।

21/05/2025

২১ শে মে ২০২২ সাল

ঠিক এই দিনে, এই সময়ে "আয়না ঘরে" বসে পিঠে,কোমর,হাতে,পায়ের, মুখে শরীরে সর্বাঙ্গে কালো ছাপ আর ব্যাথা যন্ত্রণা দিন কাটরাছিলাম। শরীরে ব্যাথা চাইতে মনের বড় আঘাত তা দ্বিগুন ছিল। ছিল নানান প্রশ্ন...প্রশ্নগুলো আজই উত্তর মিলেনি। কেনই বা মিলবে...? আমাকে উত্তর বিহীন যে প্রশ্নগুলো করে অমানবিকভাবে শারিরীক নির্যাতন করলো,তাতে মনে হলো এই দেশে জন্ম নেয়া আমার এক মাত্র অপরাধ ছিলো।

হয়তো তাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্যের কারণে সে দিনে এমন তান্ডব চালিয়ে ছিল। তবে আমি আমার অবস্থান থেকে সদা সত্য তথ্য দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের শোনার কথা মতে সন্তুষ্ট উত্তর না পেয়ে প্রশ্ন করতে করতে এক পর্যায়ে আমাদের জাতীয় সংগীত "আমার সোনা বাংলা,আমি তোমায় ভালবাসি" গাইতে হলো। মানে আমি যে, এই দেশে নাগরিক তারা মানতে পারছিল না😭।

আমার উপরে এমন অমানবিক অত্যাচার হয়েছিলো এর এক মাত্র দায় আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য পরিবেশনকারীরা। অর্থাৎ বিগত ১৬ বছরে তান্ডব পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগের কিছু তথাকথিত দেশপ্রেমিক। আমি জানি, কারা এমন ভুল তথ্য দিয়েছে..? আমি তাদের নাম বলবো না। কারণ আমার মধ্যে প্রতিশোধ পরায়ণ নেই। আমার পরিবার এমন শিক্ষা দেয়নি। যা তারা দূর্বলের উপর শক্তি প্রয়োগ করে আমার জীবনটাকে তেজপাতা করে ছেড়েছিল।

আমি যে বেঁচে আছি এই নিয়ে সত্যি অবাক লাগে। অবাক লাগেরই কথা। একজন নিরপরাধ মানুষকে কোন তথ্যের ভিক্তিতে উল্টো ঝুলিয়ে কখনো নিযার্তন করা হয়, এমন দৃশ্যতো সিনেমা পর্দায় দেখেছি। বাস্তবে আমি আমার জীবনে ভুলেও রাস্ট্রে দ্রোহীতা কার্যে এমন কার্যকলাপ করেছি বলে কখনো মনে হয়নি।

ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা প্রেমিক। ফুটবল,ভলিবল,ক্রিকেট সহ নানান খেলা আমার প্রিয়। তার মধ্যে ক্রিকেট হলো আমার ফেভারিট খেলা। এই খেলা যখন বিশ্ব কাপ,এশিয়া কাপ, সহ যখন বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সাথে খেলে তখন বরাবরের মত হাতের কাজ,ভাতের প্লেট ফেলে নিজের দেশের হয়ে খেলা দেখি এবং কতবার যে হারার ম্যাচেও শেষ বল পর্যন্ত প্রার্থনা করি। যাতে আমাদের বাংলাদেশ জিতে। এবং সারা বিশ্বের সোনার বাংলা উচু স্থান লাভ করে।

কিন্তু এই যে প্রাণের বাংলাদেশের শাসক তো আমি যে,এই দেশের নাগরিক সেটা স্বীকার করতেও হয়তো কার্পন্য করে। তাইতো সন্দেহ থেকে দেশের জাতীয় সংগীত পর্যন্ত গাইতে হলো। ছোটবেলা স্কুলে যখন পরি তখন ক্লাসে ক্যাপ্টেন হওয়া এসেম্বলিতে শপথ বাক্য পড়ায় ঠিক এমন সুর ও নির্ভুল সাথে "

‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো। দেশের প্রতি অনুগত থাকিবো। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে প্রভু, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

এই শপথগুলো তখনি মনে হলো আমাদের একাডেমিক শিক্ষাতে এমন শপথ গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে গেছে😭।

সে দিনের ঘটনা থেকে অনুমান করে যা পেয়েছি তাদের ভাষায় আমি নাকি সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তি বাহিনী সদস্য বা তাদের সহৃযোগি। বাস্তবে আমার সাথে কোন সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ আছে এমন প্রমাণও নেই, থাকবেও না। হ্যাঁ আমি তখন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) এক কনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম। তাই বলে অস্ত্রধারীদের সাথে সখ্যতা থাকবে এমন তথ্য কারা দিয়েছিলো। যারা দিয়েছে তারাই আমার যে অভ্যাস "সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো" বলার মধ্যে আঘাত পাওয়া দূর্নীতিবাজ, ক্ষমতা অপব্যহারকারী এবং কট্টরপন্থী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সে দিন থেকে মনে হলো বাংলাদেশে ভূ-রাজনৈতিকে সঠিক দর্শন চর্চা হয় না। আমরা এই দেশে সকল মতাদর্শকে সম্মান সহিত সকল সমালোচনা গুরুত্ব দিতে হবে। তখন আমরা নতুনত্ব বাংলাদেশ খুজে পাবো।

আমার এই বিশেষ দিনের প্রিয় লাল সবুজের যেন সব সময় বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিতে সঠিক লালন পালন করুক।

19/05/2025

"১৯শে মে আমার জীবনে এক কালো অধ্যায় শুরু"

যে কারণে এই দিনটিকে কালো অধ্যায় বলেছি, আজ থেকে ৩ বৎসর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে ১৯শে মে অর্থাৎ রাত পেরোলেই ২০শে মে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী ছাত্র সমাজে এক নব সূচনা রচনা করা দিন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে দিনটি আমার জীবনের সব থেকে কালো দিন হয়েছিলো। কে জানতো? সে দিনে এমন বর্বরতা ঘটনা ঘটবে। অশুভ শক্তিরা আমাকে আগে থেকে বিভিন্ন রকমে চোখ রাঙিয়ে ছিল। কিন্তু কে জানতো আমার সে দিনের শাসক গোষ্ঠীর কালো ছায়াগুলো ওত পেতে থাকবে...? কি অন্যায় করেছিলাম...? কি এমন কার্যকলাপ জড়িত ছিলাম..? যাহ্ শাসক গোষ্ঠী আমাকে সেনা অফিসারে মত হত্যা মামলায় ফাঁসাতে বাধ্য হলো..! ছোট বেলা বাবা-মাকে শখের বশত বলতাম বড় হয়ে দেশের একজন সেনাবাহিনীতে দায়িত্বশীল সদস্য হবো। কিন্তু সেই স্বপ্নের পেশা টা একদিন এমন মিটিয়ে দিবে কখনো কল্পনা করেনি।

কি দোষ ছিল আমার...? প্রশ্নগুলো আজও ঘুরপাক খাচ্ছে। যাক সে দিনের আনুমানিক দুপুর ০২ঃ৩০ মিনিটে হঠাৎ আমাদের মোটরবাইক আটকানো হলো, এবং প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি কি টিএমপ্রু মারমা..? (তখন আমার ফেইসবুক প্রোফাইল নাম টিএমপ্রু ছিল)। আমরাও স্বাভাবিক ভাবে নিজেদের নাম,পরিচয় দিলাম। পরে দেখি আমাদের কে নাকি উপরে কর্তা কথা বলতে চাই। কিছু বুঝে উঠার আগে আমাদেরকে সেখানে নিয়ে যায় এবং আমরাও সেখানে গেলাম এবং আমাদের যে যার পরিচয় দিলাম। তখনি বুঝতে বাকি নেই, টার্গেট করে ওনারা বসে আছে আগে থেকে। কারণ আমি আগে টুকটাক ফেইসবুকে লিখতাম হয়তো কে জানতো এ দেশের লেখার অধিকার,রাজনৈতিক করা অধিকার যে নেই।
একটা বিষয় শাসক গোষ্ঠীর কাছে প্রশ্ন করতে চাই, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)কে কি কোন নিষিদ্ধ করেছেন...?
যদি না করেন তবে কেন অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন সাথে সমানে সমান দেখায় না...? এখনো আমাদের পাহাড়ে পিসিপির কর্মী হলে কোন নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মী মত ঘুরে বেড়াই😭। যাক লেখা প্রসঙ্গত আসি, সর্ব প্রথম প্রশ্ন ছিলো এমন "পিসিপি করো...?" করলে এমন ভাব যাহ্ জঙ্গী কোন সংগঠন মত চোখে মুখে😭..! এই রকম নানা জিজ্ঞেসাবাদের নামে দুপুর ৩ টা থেকে টানা ৩ ঘন্টা অমানবিক নির্যাতনে স্বীকার হয়। পরে ৩ দিন আয়না ঘরে বন্দি থাকার পরে ২২ মে আনুমানিক ভোর ৪-৫ টা থানায় সোর্পদ করলে কারাগারে কারাবাসে শুরু হয়। দীর্ঘ ১০ মাস কারাবন্দী পর ১৫ই মার্চ অর্থাৎ আমার জন্মদিনের কারা মুক্তি হলেও আবার জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায়😭। তখন মনে মনে প্রশ্ন করলাম...? কি অপরাধ আমাদের..? ১০ মাস আগে যে প্রশ্ন, ঠিক ১০ মাস পরেও একই প্রশ্ন। আবারও তিনদিন পর অর্থাৎ ১৮ মার্চ পূর্ণরূপে নতুন জীবন ফিরে পায়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাস অন্ধকার জগৎতে থাকায় জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি😭। তাই আমি এখন বাকরূদ্ধ, আমি অন্ধ। রাস্ট্র চাইনা এই দেশের ভিন্ন মতাদর্শ থেকে সমালোচনা করুক। এই দেশ যে বর্ণবাদী সে দিনে স্পষ্ট হয়ে গেলাম। সাম্প্রতিক কালে চিংমা খেয়াং এর ছেলে, কিংবা জেলে নিহত ছেলে-মেয়েরা কি আদৌ এই দেশ ও দেশের শাসকের প্রতি কি রূপে দেখবে...? কিংবা আমার সাথে যাহ্ হয়েছে,আমি হয়তো ভুলে যাবো এই রকম বি-মাতা সূলভ আচারণ কিন্তু আমার উত্তরসূরিদের আমার উপর যে অন্যায় অত্যাচার তারা কি কখনও জানতে চাইবে না...?

আমরা যেমন আমাদের আগে প্রজন্ম মুখে কিংবা ইতিহাঁসে পাতায় ৭২'র সংবিধান প্রণয়ন সময়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এক হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের পাহাড়ে অবিসংবাদিত নেতা অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের প্রথম সাংসদ প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা (এম.এন.লারমা) কে বাঙালি হয়ে যাওয়া।

ফলপ্রসূত তা বাস্তবে রূপ নিতে ১৯৮৯ সালের ৪ঠা মে লংগদু গণহত্যা মত ইতিহাঁসে বহু ঘটনা জন্ম নিয়েছিল। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাকায় রাজপথে জন্ম নেয়া সে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাত পোহালে ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী। এই সংগঠনের সাথে আমার শৈশবে বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যখন থেকে প্রতিবাদ নামক শব্দটি বুঝতে শিখেছি তখন থেকে এই পাঠশালায় আমাকে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ গড়া সাহস তৈরি করেছে। আমি এই পাঠশালায় ২০০৭ অর্থাৎ ১/১১ সময়েরও মার খেতে দেখেছি, এর আগে বিএনপি শাসনামলেও মার খেতে দেখেছি। ২০০৮ পরবর্তী আওয়ামী লীগে তান্ডবও দেখেছি এবং নিজের স্বয়ং ভোগে আসছি। তারপরও এই সংগঠন আপোষহীন ভাবে লড়াই জাড়ি রেখেছেন। তাই এই সংগঠন শুধু মাত্র সংগঠন নয়,পাহাড়ের প্রতিটি ছাত্র সমাজ এই সংগঠনের পাঠশালায় অধ্যয়ন-অনুশীলন এবং তা বাস্তবে বাস্তবায়নে দাবি রাখে।

যদিও আমি এখন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কোন সদস্য নয়,তবুও প্রাক্তন হিসেবে এই সংগঠনের সাফল্য কামনা করি।

18/05/2025

১৯ শে মে আমার জীবনের এক কালো অধ্যায়।

𝕋𝕙𝕦𝕚 𝕄𝕠𝕟𝕘 𝕃𝕚𝕗𝕖 𝔻𝕒𝕚𝕣𝕪

05/06/2025

22/05/2025

21/05/2025

19/05/2025

18/05/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category