26/09/2025
পাহাড় নিয়ে যে ষড়যন্ত্র তা দেশীয় নয় আন্তর্জাতিক। বেশ কিছুদিন ধরে ধর্ষণ কান্ড নিয়ে চলা ঘটনা আর ত্রিপুরার রাজপ্রধান প্রদ্যোত মানিক্য বর্ম স্টেটমেন্ট সম্পর্কিত। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মদদে আজকের তিন পার্বত্য জেলায় ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা যারা নিজেদের বাংলাদেশী মনে করি একটু পড়া উচিত এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে দাবিগুলোর আদায়ে রাজপথে সোচ্চার হওয়া উচিত
২.১) সারা দেশের ৫০ টি জাতিকে বাংলাদেশী স্বীকৃতি দিয়ে স্ব স্ব জাতির নাম উল্লেখপুর্বক সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাহাড়ের জাতিসত্তার আলাদা চিহ্নিতকরণে বাঙালী /অবাঙালী শব্দ ব্যবহার করতে হবে এবং বির্তকিত উপজাতি/অউপজাতি/ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী /আদিবাসী/সেটলার বাঙালি শব্দ চয়ন বাতিল করতে হবে।
২.২) পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমি সমস্যা নিরসনে পাহাড়ের ভুমি সুষমন্টন করতে ভুমি আইন সংশোধন করতে হবে। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করণে ভুমিহীন বাঙ্গালি- অবাঙ্গালীদের ভুমি প্রদান নিশ্চিতকরণ ও স্থায়ী বন্দোবস্ত করতে হবে।
২.৩) পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতির নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণে প্রত্যেক জাতির মাঝে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সকল ধরনের বরাদ্দ জনসংখ্যা অনুপাতে জাতিগত করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত কল্পে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়নকার্য ত্বরান্বিত করতে সংসদীয় আসন ৩ (তিন) থেকে ৯ (নয়) টি তে উন্নিত করতে হবে।
২.৪) পার্বত্য খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান জেলা সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারী ও এনজিও প্রতিষ্ঠানে পাহাড়ের বসবাসরত স্থানীয় বাঙালি-অবাঙালি নাগিরকদের সম হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
২.৫) পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগোষ্ঠীর মাঝে জাতিগত বিভাজন, বৈষম্য সৃষ্টিকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি(শান্তি চুক্তি) বাতিল করতে হবে, দেশের সার্বভৌমত্ব অখন্ডতার স্বার্থে যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিস্বত্তার অংশগ্রহণ ভিত্তিতে নতুন আঞ্চলিক পরিষদ পূর্ণগঠন করতে হবে।
২.৬) পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতিসত্বার সংস্কৃতি,ভাষা,কৃষ্টি রক্ষায় সকল জাতিসত্তার মাঝে আলাদা আলাদা বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
২.৭) পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রতিটি উপজেলায় ১ (এক) করে মান সম্মত প্রযুক্তিগত ও কারিগরি নির্ভর স্পেশালাইজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
২.৮) পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি জেলার প্রান্তিক এলাকায় বসবাসরত অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে রেশন কার্ড চালু করতে হবে। ৫% কোটা চালু ব্যবস্থা করতে হবে। কোটা পাওয়ার যোগ্য কিনা বিবেচনা জন্য বাঙালি/অবাঙালি সম্মিলিত যাচাই-বাছাই করণ কমিটি গঠন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে কেউ কোটা পদ্ধতি ব্যবহার করে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি আবেদন করলে,ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনকারী পত্রটি যাচাই-বাছাই করণ কমিটি কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যদি আবেদনকারী ব্যক্তি কোটা প্রযোজ্য বলে গণ্য করা হয়।সেই ক্ষেত্রে ব্যক্তি আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারবে।
২.৯) পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান জেলার স্থানীয় বসবাসরত বাঙালি/অবাঙালি জনগোষ্ঠী নিয়ে আলাদা দক্ষ মাউন্টেন/পর্বত পুলিশ বাহিনী গঠন করতে হবে। ঐ পুলিশ বাহিনী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
২.১০) পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করতে হবে।
২.১১) পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী দমন ও সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সামরিক কমিশন গঠন করতে হবে।
২.১২) পার্বত্য চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান জেলায় দায়িত্ব পালনকারী সকল নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ সুযোগ,সুবিধা দিতে হবে।