Sacrifice /আত্মত্যাগ

Sacrifice /আত্মত্যাগ فداك ابي وامي وروحي يا رسول ﷲ( ﷺ)
আমার পেইজে সবাইকে অভিনন্দন ❤️🇧🇩
(2)

13/09/2025
09/09/2025
09/09/2025
05/09/2025

মাশা-আল্লাহ

05/09/2025
05/09/2025
28/08/2025

বুখারীর হাদিসের আলোকে নূর নবীজির ﷺ শুভাগমনে জশনে ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ পালনের তাৎপর্য

কোরআন ও হাদিসের আলোকে নূর নবীজির শুভাগমনে জশনে ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের তাৎপর্য রয়েছে। একটা হাদিস যথেষ্ট প্রচারিত হয় রবিউল আওয়াল মাস এলে-থুয়াইবা* ছিলেন আবু লাহাবের দাসী। আবু লাহাব তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে দুধ পান করিয়েছিলেন। আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করার পর, তার এক আত্মীয় স্বপ্নে তাকে দেখেন—সে ছিল ভয়ানক স্বপ্ন।
সে তাকে (আবু লাহাবকে) জিজ্ঞাসা করল: ‘তুমি কেমন আছো?’
আবু লাহাব বলল: ‘তোমাদের পরে আমি কোনো ভালো কিছু পাইনি—তবে এই ব্যতিক্রম যে, আমি এই অংশে (সে তার আঙুলের বুড়ো আঙুল ও তার পাশের আঙুলের মধ্যবর্তী স্থান দেখিয়ে বলল) পানি পান করতে পারি। এটি আমি পেয়েছি *থুয়াইবাকে মুক্ত করে দেয়ার কারণে। চলুন, এ ব্যাপারে ছহীহ্ বুখারী শরীফের ৪৯১০নং হাদীস শরীফের ব্যাখা প্রসঙ্গে আলোচনায় অবতীর্ণ হই।
------------------------------------------------------------------------
১।ছহীহুল বুখারী শরীফের ২য় খন্ড ৭৬৪পৃষ্ঠার ৪৯১০নং হাদীস শরীফের শেষাংশে বর্নিত রয়েছে

*قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لِأَبِي لَهَبٍ، كَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا، فَأَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ، أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ حِيبَةٍ، فَقَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ قَالَ أَبُو لَهَبٍ: لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ خَيْرًا، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعِتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ.*

যদি আপনি এর ব্যাখ্যা বা অনুবাদ চান, জানাতে পারেন।

অর্থ- হযরত উরওয়াহ বলেন- ছুওয়াইবা ছিল আবু লাহাবের দাসী। (নবীজির মীলাদ শরীফ তথা জম্নের খবর শুনে খুশী হয়ে) আবু লাহাব তাকে মুক্ত করে দিয়েছিল। আবু লাহাব যখন মারা গেল তখন তার জনৈক আত্বীয় তাকে স্বপ্নে ভীষন খারাপ অবস্থায় দেখতে পেল এবং জিগেস করলো? তোমার সাথে (কবরের মধ্যে) এখন কিরুপ আচরন করা হচ্ছে? আবু লাহাব বললো- যখন হতে তোমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি (কবরের মধ্যে) ভীষন আযাবে লিপ্ত আছি। কিন্তু ছুওয়াইবাকে মুক্ত করার কারনে আমাকে পানি পান করতে দেওয়া হচ্ছে।

২।এই হাদীস শরীফের ব্যাখা প্রসঙ্গে শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইমাম ইবনু হাজার আসক্বলানী রহিমাহুল্লাহ উনার ফাতহুল বারী শরহে বুখারী কিতাবে এবং আল্লামা ইমাম বদরুদ্দীন আইনী রহিমাহুল্লাহ
উনার উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী কিতাবের ২য় খন্ড ৯৫পৃষ্ঠায় লিখেছেন-

*إِنَّ الْعَبَّاسَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ: لَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ رَأَيْتُهُ فِي مَنَامِي بَعْدَ حَوْلٍ فِي شَرِّ حَالٍ، فَقَالَ: مَا لَقِيتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً، إِلَّا أَنَّ الْعَذَابَ يُخَفَّفُ عَنِّي كُلَّ يَوْمِ اثْنَيْنِ، قَالَ: ذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ بَشَّرَتْ أَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِهِ، فَأَعْتَقَهَا.*

অর্থ- হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর
আমি তাকে স্বপ্নে দেখেছি যে, সে খুব খারাপ অবস্থায়
আছে। অতঃপর সে বলল- তোমাদের ছেড়ে আসার পর আমি কোন শান্তি পাইনি। তবে প্রতি সোমবার আমার শাস্তি কিছুটা কমানো হয়। কারন নবীজিপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সোমবারে মীলাদ শরীফ তথা জন্ম গ্রহন করেছেন। আর আবু লাহাবের দাসী ছুওয়াইবা নবীজিপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্ম গ্রহণের সুসংবাদ আবু লাহাবকে দিলে সে তাকে খুশী হয়ে মুক্ত করে দিয়েছিল।

৩।এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, কাফিরদের তো নেককাজের কোনো প্রতিদান পরকালে দেওয়া হবেনা কারন তাদের ঈমান নেই। তাহলে আবু লাহাবকে সৎকাজের প্রতিদান কিভাবে দেওয়া হল?
এর জবাবে আল্লামা ইমাম কিরমানী রহিমাহুল্লাহ তিনি বলেন-

*اَلْعَمَلُ الصَّالِحُ وَالْخَيْرُ الَّذِي يَتَعَلَّقُ بِالرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَخْصُوصٌ فِي ذَلِكَ، كَمَا أَنَّ أَبَا طَالِبٍ أَيْضًا يَنْتَفِعُ بِتَخْفِيفِ الْعَذَابِ.*

অর্থ- কাফিরদের সৎকাজ যেগুলো নবীজিপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত,
সেগুলোর প্রতিদান দেওয়া হয় যেমন আবু তালিব
(নবীজির খেদমত করার কারণে) কম শাস্তি ভোগের
মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে।

৪।
ঐ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনুয জাযরী রহিমাহুল্লাহ তিনি বলেন-

*فَإِذَا كَانَ أَبُو لَهَبٍ الْكَافِرُ الَّذِي نَزَلَ الْقُرْآنُ بِذَمِّهِ جُوزِيَ فِي النَّارِ بِفَرَحِهِ لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا حَالُ الْمُسْلِمِ الْمُوَحِّدِ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَشْرِهِ مَوْلِدَهُ، وَبَذْلِ مَا تَصِلُ إِلَيْهِ قُدْرَتُهُ فِي مَحَبَّتِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ لَعَمْرِي إِنَّمَا يَكُونُ جَزَاءُ مَنْ اللَّهِ الْكَرِيمِ أَنْ يُدْخِلَهُ بِفَضْلِهِ جَنَّاتِ النَّعِيمِ.*

অর্থ- কাফির আবু লাহাব যার নিন্দায় ক্বুরআন শরীফের একটি সুরা (সুরা লাহাব) অবতীর্ন
হয়েছে। সে যদি নবীজির আগমন বা জম্নের খুশী উদযাপন করার কারনে কবরে কম
শাস্তি ভোগ করে, তাহলে উম্মতে মুহাম্মাদীর
মধ্যে সে মুসলিম ব্যক্তির কী প্রতিদান
হতে পারে? যে নবীজির আগমনে খুশী উদযাপন করে বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে এবং এই উপলক্ষে নবীজির মহব্বতে তার সামর্থ অনুযায়ী খরচ
করে। নিশ্চই মহান আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে তার প্রতিদান হল- মহান আল্লাহপাক তাকে জান্নাতুন নায়ীমে প্রবেশ করাবেন। সুবহানাল্লাহ

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

❏ الإِمَامُ شَمْسُ الدِّينِ الدِّمَشْقِيُّ
❏ المُؤَرِّخُ الشَّهِيرُ العَلَّامَةُ يَعْقُوبُ
❏ الإِمَامُ ابْنُ الجَوْزِيِّ
❏ الإِمَامُ ابْنُ دَحْيَةَ
❏ الإِمَامُ السُّهَيْلِيُّ
❏ الإِمَامُ ابْنُ كَثِيرٍ
❏ الإِمَامُ ابْنُ حَجَرٍ العَسْقَلَانِيُّ
❏ الإِمَامُ القُسْطَلَانِيُّ
❏ الإِمَامُ جَلَالُ الدِّينِ السُّيُوطِيُّ
❏ الإِمَامُ جَمَالُ الدِّينِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بنُ عَبْدِ المَلِكِ القَطَّانِيُّ
❏ الإِمَامُ عَبْدُ الحَقِّ المُحَدِّثُ الدِّهْلَوِيُّ

وَغَيْرُهُمْ كَثِيرٌ مِمَّنْ ذَكَرُوا هَذِهِ القِصَّةَ فِي كُتُبِهِمْ.
ইমাম বুখারী ছাড়াও উক্ত ঘটনাটি অনেক ওলামায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন। যেসকল ইমাম এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন তাদের কয়েকজন হলেন-

❏ ইমাম শামসুদ্দিন দিমিস্কি
❏ বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব
❏ ইমাম ইবনে জাওযী
❏ ইমাম ইবনে দাহইয়া
❏ ইমাম সুহাইলী
❏ ইমাম ইবনে কাছির
❏ ইমাম ইবনে হজর আসকালানী
❏ ইমাম কুস্তালানী
❏ ইমাম জালালুদ্দিন মুয়ূতী
❏ ইমাম জামাল উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল মালিক আল কাতানী
❏ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন।

মিলদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে আবু লাহাবের আযাব লাঘব উক্ত ঘটনা সমর্থনে মুহাদ্দিসে কেরামের বিবৃতি তুলে ধরা হলঃ

ইমাম শামসুদ্দিন দামিস্কি বলেনঃ

*قَدْ صَحَّ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ يُخَفَّفُ عَنْهُ عَذَابُ النَّارِ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، لِإِعْتَاقِهِ ثُوَيْبَةَ سُرُورًا بِمِيلَادِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَنْشَدَ:*

*إِذَا كَانَ هَذَا كَافِرًا جَاءَ ذَمُّهُ
*وَتَبَّتْ يَدَاهُ فِي الْجَحِيمِ مُخَلَّدًا

*أَتَى أَنَّهُ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ دَائِمًا*
*يُخَفَّفُ عَنْهُ لِلسُّرُورِ بِأَحْمَدَا*

*فَمَا الظَّنُّ بِالْعَبْدِ الَّذِي طُولَ عُمْرِهِ
*بِأَحْمَدَ مَسْرُورًا وَمَاتَ مُوَحِّدًا*

এটি প্রমাণিত যে আবু লাহাবের (পারলৌকিক) আগুনে জ্বলবার শাস্তি প্রতি সোমবার লাঘব করা হয়, কেননা সে মহানবী (ﷺ)-এর বেলাদতে খুশি হয়েছিল এবং তার দাসী সোয়াইবিয়াকে মুক্ত করে দিয়েছিল (বেলাদতের সুসংবাদ দেয়ার জন্যে)। আবু লাহাবের মতো অবিশ্বাসী, যার চিরস্থায়ী আবাস দোযখ এবং যার জন্যে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়েছে, সে যদি আযাব থেকে তাখফিফ (নিষ্কৃতি) পায় প্রতি সোমবার, তাহলে ভাবুন সেই মো’মেন ব্যক্তির কী শান যিনি সারা জীবন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদতে খুশি প্রকাশ করেছিলেন এবং আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস নিয়ে ইন্তেকাল করেছেন।

(ইমাম দামেশকী কৃত ‘মওরিদ আস-সাফা ফী মওলিদ আল-হাদী’।
ইমাম সৈয়ুতী প্রণীত ‘হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ’, ৬৬ পৃষ্ঠা।)

বিখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা ইয়াকুব তাঁর কিতাবে লিখেন-

قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: *رَأَيْتُ أَبَا لَهَبٍ فِي النَّارِ، يَصِيحُ: العَطَشَ، العَطَشَ، فَيُسْقَى مِنَ المَاءِ فِي نُقْرِ إِبْهَامِهِ، فَقُلْتُ: بِمَ هَذَا؟ فَقَالَ: بِعِتْقِي ثُوَيْبَةَ، لِأَنَّهَا أَرْضَعَتْكَ.*

অর্থ : নবীয়ে আকরাম (ﷺ) বলেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও ! পানি দাও ! অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে | আমি বললাম, কি কারনে এ পানি দেয়া পাচ্ছো ? আবু লাহাব বললো, আপনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে হযরত সুয়াইবা (রা.) উনাকে মুক্ত করার কারনে এই ফায়দা পাচ্ছি ! কেননা তিনি আপনাকে দুগ্ধ মুবারক পান করিয়েছেন !"
[তারীখে ইয়াকুবী ১:৩৬২ ]

كتاب البداية والنهاية - ت التركي

[ابن كثير]

كتاب سيرة رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر حواضنه ومراضعه عليه الصلاة والسلام

قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لِأَبِي لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ خَيْبَةٍ فَقَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ خَيْرًا غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا مِنَ الْأَصَابِعِ.

وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّ الرَّائِيَ لَهُ هُوَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ سَنَةٍ مِنْ وَفَاةِ أَبِي لَهَبٍ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، وَفِيهِ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: إِنَّهُ لَيُخَفَّفُ عَلَيَّ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالُوا: لِأَنَّهُ لَمَّا بَشَّرَتْهُ ثُوَيْبَةُ بِمِيلَادِ ابْنِ أَخِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَعْتَقَهَا مِنْ سَاعَتِهِ فَجُوزِيَ بِذَلِكَ لِذَلِكَ.

*كتاب البداية والنهاية - ابن كثير
(تُর্কী সংস্করণ)*
*সিরাতু রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم অধ্যায়*
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুধ-মা ও পালক-মা বিষয়ে উল্লিখিত বর্ণনা*

উরওয়া (রহ.) বলেন:
*"থুয়াইবা* ছিলেন আবু লাহাবের দাসী। আবু লাহাব তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে দুধ পান করিয়েছিলেন।
আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করার পর, তার এক আত্মীয় স্বপ্নে তাকে দেখেন—সে ছিল ভয়ানক স্বপ্ন।
সে তাকে (আবু লাহাবকে) জিজ্ঞাসা করল: ‘তুমি কেমন আছো?’
আবু লাহাব বলল: ‘তোমাদের পরে আমি কোনো ভালো কিছু পাইনি—তবে এই ব্যতিক্রম যে, আমি এই অংশে (সে তার আঙুলের বুড়ো আঙুল ও তার পাশের আঙুলের মধ্যবর্তী স্থান দেখিয়ে বলল) পানি পান করতে পারি। এটি আমি পেয়েছি *থুয়াইবাকে মুক্ত করে দেয়ার কারণে*।’”

সুহায়লি ও অন্যান্যরা উল্লেখ করেছেন:
*এই স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন আবু লাহাবের ভাই আব্বাস (রা.)*।
এটি ছিল *বদরের যুদ্ধের এক বছর পর*, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পরে।
আবু লাহাব আব্বাসকে বলেছিলেন:
“আমার উপর *প্রতিটি সোমবার* কিছুটা শাস্তি হালকা করা হয়।”
(সাহাবিরা বলেন): কারণ, *যখন থুয়াইবা তাকে তার ভাতিজা মুহাম্মদের জন্মের সুসংবাদ দিয়েছিলেন, তখন সে তাকে সঙ্গে সঙ্গে মুক্ত করে দিয়েছিল।*
*আর এই মুক্তির কারণে সে কিছুটা প্রতিদান পেয়েছে।*

ইমাম সুহাইলী লিখেন :
وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ الْعَبَّاسَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ رَأَيْتُهُ فِي مَنَامِي بَعْدَ حَوْلٍ فِي شَرِّ حَالٍ، فَقَالَ: مَا لَقِيتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً إِلَّا أَنَّ الْعَذَابَ يُخَفَّفُ عَنِّي فِي كُلِّ يَوْمِ إِثْنَيْنِ، وَذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ بَشَّرَتْ أَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِهِ، فَأَعْتَقَهَا۔

অর্থ: হযরত ইমাম সুহাইলী উল্লেখ করেন যে, হযরত আব্বাস (র) বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর তাকে আমি স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে ! সে বললো, [হে ভাই হযরত আব্বাস] আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোন শান্তির মুখ দেখি নাই।
তবে হ্যাঁ, প্রতি সোমবার যখন আগমন করে তখন আমার থেকে সমস্ত আযাব লাঘব করা হয়, আমি শান্তিতে থাকি। হযরত আব্বাস (র.)বলেন, আবু লাহাবের এ আযাব লাঘব হয়ে শান্তিতে থাকার কারণ হচ্ছে, হুজুর পাক (ﷺ) এর বিলাদত শরীফ এর দিন ছিলো সোমবার ! সেই সোমবারে প্রিয় নবী (ﷺ)-এর বিলাদতের সুসংবাদ নিয়ে আবু লাহাবের বাঁদী সুয়াইবা (রা.)। তিনি আবু লাহাবকে খবরটি জানালেন তখন আবু লাহাব মিলাদুন্নবীর সংবাদ শুনে খুশি হয়ে হযরত সুয়াইবা (রা.)-কে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয় !"

(ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী শরহে বুখারী, ৯: ১১৮, ইমাম বদরুদ্দিন আঈনীঃ ওমদাতুল কারী শরহে বুখারী, ২: ২৯৯, ইমাম কাস্তালানী : মাওয়াহেবুল লাদুননিয়াহ ১ম খন্ড ! ইমাম যুরকারীঃ জুরকানী শরহে মাওয়াহেব, ১: ২৬০।)

❏ ইমাম ইবনুজ জাওযী বলেন-

قَالَ ابْنُ الْجَزَرِيِّ: *فَإِذَا كَانَ هَذَا أَبُو لَهَبٍ الْكَافِرُ الَّذِي نَزَلَ الْقُرْآنُ بِذَمِّهِ جُوزِيَ فِي النَّارِ بِفَرَحِهِ لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ، فَمَا حَالُ الْمُسْلِمِ الْمُوَحِّدِ مِنْ أُمَّتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، الَّذِي يَسُرُّ بِمَوْلِدِهِ، وَيَبْذُلُ مَا تَصِلُ إِلَيْهِ قُدْرَتُهُ فِي مَحَبَّتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ لَعَمْرِي، إِنَّمَا يَكُونُ جَزَاؤُهُ مِنَ اللَّهِ الْكَرِيمِ أَنْ يُدْخِلَهُ بِفَضْلِهِ الْعَمِيمِ جَنَّاتِ النَّعِيمِ.*

(المصدر: *موَاهِبُ اللَّدُنِّيَّة*)

ﺝ ১ ০ ﺹ২৭ ﺯﺭﻗﺎﻧﻰ ﺝ ০১ ﺹ১৩৯ )

"যে কাফের আবু লাহাবের বিরোদ্ধে আল-কুরআন নাজিল হয়েছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহাবও যদি হুজুর (ﷺ) এর মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশি হওয়াতে সুফল পায়, তাহলে তাঁর উম্মতের মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে (ﷺ) আনন্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে,
তার অবস্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে যে, তিনি সর্বব্যাপী অনুগ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন।’
(ইবনে জাওজী, বয়ানুল মিলাদুন্নবী ইমাম কুস্তালানীঃ মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১:২৭, যুরকানীঃ যুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১: ১৩৭)

͏❏ ইবনে কাছির উপরোক্ত হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, "এমন জঘন্য কাফের যার দোষ বর্ণনায়(আল-কুরআনে) এসেছে যে, তার হাত ধ্বংস হয়েছে, তার স্থায়ী নিবাস চির জাহান্নাম। আহমদ (ﷺ) এর আবির্ভাবে খুশী হয়ে সর্বদা সোমবার আসলে তার (মত কাফির) থেকে (যদি) আজাব হালকা করা হয়, তবে কিরূপ ধারণা হতে পারে সে ব্যক্তির ব্যাপারে, যার জীবন আহমদ (ﷺ) বিষয়ে আনন্দিত ছিল এবং তাওহীদবাদী হয়ে ইন্তেকাল করেছেন?

❏ ইমাম শিহাব উদ্দিন আহমদ কাস্তালানী বর্ণনা করেন, আবু লাহাবের আযাদকৃত দাসী সুয়াইবাহ তাকে (হুযুর ﷺ)-কে দুধ পান করিয়েছেন। যাকে আবু লাহাব তখনই আযাদ করেছিলো তখন তিনি তাকে হুযুর (ﷺ) এর বেলাদত শরীফের শুভ সংবাদ শুনিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, একদা আবু লাহাবকে তার মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখা গিয়েছিলো। [হযরত আব্বাস (রা.) এক বছর পর স্বপ্ন দেখেছিলেন] তখন তাকে বলা হলো “তোমার কি অবস্থা?” সে বলল, দোজখেই আছি। তবে প্রতি সোমবার রাতে আমার শাস্তি কিছুটা শিথিল করা হয়; আর আমি আমার এ আঙ্গুল দুটির মধ্যে চুষে পানি পানের সুযোগ পাই। আর তখন সে তার আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ইশারা করলো। আর বলল, আমার শাস্তির শিথিলতা এ জন্য যে, সুয়াইবা (রা.) যখন আমাকে নবী (ﷺ) এর বেলাদতের সুসংবাদ দিয়েছিলো, তখন তাকে আমি আযাদ করে দিয়েছিলাম এবং তিনি হুযুর (ﷺ) কে দুগ্ধপান করিয়েছেন।

❏ ইমাম শিহাব উদ্দিন আহমদ কাস্তালানী আরো বলেন-

এতদভিত্তিতে, আল্লামা মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে জাযরী বলেন, যখন ঐ আবু লাহাব কাফির, যার তিরস্কারে কোরআনের সূরা নাযিল হয়েছে। মিলাদুন্নবী (ﷺ) এ আনন্দ প্রকাশের কারণে জাহান্নামে পুরস্কৃত হয়েছে। এখন উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঐ একত্ববাদী মুসলমানের কি অবস্থা? যে নবী করীম (ﷺ) এর বেলাদতে খুশি হয় এবং হুযুর (ﷺ) এর ভালবাসায় তার সাধ্যনুযায়ী খরচ করে। তিনি জবাবে বলেন- আমার জীবনের শপথ! নিশ্চয়ই পরম করুণাময় আল্লাহ তাকে আপন ব্যাপক করুণায় নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
(কুস্তালানী, মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াঃ হুযুর (ﷺ) এর "দুগ্ধপান শীর্ষক অধ্যায়", যুরকানী, ১:২৫৮-২৬২)

শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী বলেন,

ﺟﻨﺎﻧﺠﻪ ﺩﺭ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻣﺪﻩ ﺍﺳﺖ ﻭﺩﺭﻳﻨﺠﺎ ﺳﻨﺪﺍﺳﺖ ﻣﺮﺍﻫﻞ ﻣﻮﺍﻟﻴﺪ ﺭﺍﻛﻪ ﺩﺭﺷﺐ ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﻭﺭ ﻛﻨﻨﺪ ﻭﺑﺬﻝ ﺍﻣﻮﺍﻝ ﻧﻤﺎﻳﻨﺪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻛﻪ ﻛﺎﻓﺮ ﺑﻮﺩ ﻭﻗﺮﺍﻥ ﺑﻤﺬﻣﺖ ﻭﻯ ﻧﺎﺯﻝ ﺷﺪﻩ ﺟﻮﻥﺑﺴﺮﻭﺭ ﺑﻤﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﻭ ﺑﺬﻝ ﺷﻴﺮ ﺟﺎﺭﻳﻪ
ﻭﻯ ﺑﺠﻬﺔ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺟﺰﺍ ﺩﺍﺩﻩ ﺷﺪ ﺗﺎﺣﺎﻝ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﻛﻪ ﻣﻤﻠﻮﺳﺖ ﺑﻤﺤﺒﺖ ﻭﺳﺮﻭﺭ ﻭﺑﺬﻝ ﻣﺎﻝ ﺩﺭ ﻃﺮﻳﻖﻭﻯﺟﻪ ﺑﺎﺷﺪ ﻭﻟﻴﻜﻦ ﺑﺎﻳﺪﻛﻪ ﺍﺯ ﺑﺪﻋﺘﻬﺎ ﻛﻪ ﻋﻮﺍﻡ ﺍﺣﺪﺍﺙ ﻛﺮﺩﻩ ﺍﻧﺪﺍﺯ ﺗﻐﻨﻰ ﻭﺍﻻﺕ ﻣﺤﺮﻣﻪ ﻭ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺧﺎﻟﻰﺑﺎﺷﺪ ০ ( ﻣﺪﺍﺭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻮﺕ ﺝ ২ ০ ﺹ২৬ )

*বাংলায় উচ্চারণ:*

জনাঞ্জে দর হাদীস আমদে আস্ত ও দর ইনজায় সানাদ আস্ত মারাহিল-এ মাওয়ালিদ রা কে দর শব-এ মীলাদে হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারুর কানান্দ ও বাযলে আমওয়াল নমায়ান্দ।
ইয়ানী আবু লাহাব কে কাফির বুদ ও কুরআন বামাযম্মাতে উ নাযিল শুদেহ, চুন বসরুর বামীলাদে হযরত ও বাযলে শীরে জারিয়্যাহ উ বজিহাতে হযরত জাজা দাদে শুদ—তা হালে মুসলমান কে মামলুসত বামহাব্বাত ও সারুর ও বাযলে মাল দর তরীকে উ যাহে বাশাদ।

ওলেকিন বায়াদ কে আজ বিদআতহা কে আওয়াম ইহদাস কার্দা আন্দ—আন্দাযে তুঘান্নী ও আালাতে মুহাররামা ও মুনকারাত—খালী বাশাদ।

السنة للمروزي [محمد بن نصر المروزي]
وَجَدْتَ؟ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً غَيْرَ أَنِّي سَقَيْتُ فِي هَذِهِ مِنِّي - فِي الثَّغْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ وَبَيْنَ الَّتِي تَلِيهَا - بِعِتْقِي ثُوَيْبَةَ

كتاب إرشاد الساري لشرح صحيح البخاري - ط العلمية
[القسطلاني]
٦٧ - كتاب النكاح ٢٠ - باب ﴿وأمهاتكم اللاتي أرضعنكم﴾ ويحرم من الرضاعة ما يحرم من النسب
,. قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لأَبِي لَهَبٍ كَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتِ النَّبِيَّ ﷺ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ حِيبَةٍ، قَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ قَالَ أَبُو لَهَبٍ: لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ
الحديث ٥١٠١ - أطرافه في: ٥١٠٦، ٥١٠٧، ٥١٢٣، ٥٣٧٢

عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا لَهَبٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهُ يُقَالُ لَهَا ثُوَيْبَةُ، وَكَانَتْ قَدْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ ﷺ، فَرَأَى أَبَا لَهَبٍ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ فَسَأَلَهُ: مَا وَجَدْتَ؟ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي تَحْتَ إِبْهَامِهِ، فِي عِتْقِي ثُوَيْبَةَ.

---

📚 সূত্র:

এই বর্ণনাটি ইমাম আবদুর রায্জাক তাঁর "মুসান্নাফ" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
---
📖 বাংলা অনুবাদ:

জয়নাব বিনতে আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আবু লাহাব তার একটি দাসীকে মুক্ত করে দিয়েছিল, যার নাম ছিল সাওয়াইবা। তিনি নবী করিম ﷺ-কে দুধ পান করিয়েছিলেন। আবু লাহাবের মৃত্যুর পর, তার এক আত্মীয় তাকে স্বপ্নে দেখেন এবং জিজ্ঞেস করেন: "আপনি কী পেয়েছেন?" তিনি বলেন: "তোমাদের পরে আমি কোনো শান্তি পাইনি, তবে এই অংশে আমাকে পানি পান করানো হয়।" তিনি তার বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচের গর্তের দিকে ইঙ্গিত করেন। "এটি আমি সাওয়াইবাকে মুক্ত করার কারণে পেয়েছি।"

---এই বর্ণনাটি একটি স্বপ্নের ঘটনা, যা আবু লাহাবের মৃত্যুর পর তার আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা যায়। এটি প্রমাণ করে যে, নবী করিম ﷺ-এর জন্মের সংবাদে খুশি হয়ে এবং সেই উপলক্ষে সাওয়াইবাকে মুক্ত করে দেওয়ার কারণে, আল্লাহ্‌ তা'আলা তাকে কিছুটা স্বস্তি প্রদান করেছেন। তবে এটি একটি স্বপ্নের বর্ণনা, যা সরাসরি শরীয়তের দলিল নয়, তবে এটি নবী করিম ﷺ-এর মর্যাদা ও মহত্বের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
---
এই বর্ণনাটি নবী করিম ﷺ-এর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার গুরুত্বকে তুলে ধরে, যা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।

مستخرج أبي عوانة - ط المعرفة [أبو عوانة]

قَالَ عُرْوَةُ: وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ مَوْلَاةً لِأَبِي لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ رَأَى أَبَا لَهَبٍ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ، فَسَأَلَهُ مَا وَجَدْتَ؟ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي فِي النُّقْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ، وَالَّتِي تَلِيهَا بِعِتْقِي ثُوَيْبَةَ

المصنف - عبد الرزاق - ط التأصيل الثانية [عبد الرزاق الصنعاني]
١٧٥٥٥] عبد الرزاق، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهَا، يُقَالُ لَهَا: ثُوَيْبَة، وَكَانَتْ قَدْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم -، فَرَأَى أَبَا لَهَبٍ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ، فَسَأَلَهُ مَا وَجَدَ؟ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي تَحْتَ إِبْهَامَه، فِي عَتْقِي ثُوَيْبَةَ.

المنامات لابن أبي الدنيا [ابن أبي الدنيا]

٢٦٣ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، نا أَبُو بَكْرِ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، نا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَ مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: " رَأَى أَبَا لَهَبِ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً غَيْرَ فِي هَذِهِ , وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي فَوْقَ الْإِبْهَامِ بِعَتَقَيْ ثُوَيْبَةَ , وَكَانَتْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا سَلَمَةَ
এই বর্ণনাটি *"المنامات"* গ্রন্থে *ইবনু আবি الدنيا* (رحمه الله) সংকলিত করেছেন।

*
হাদিস নম্বর ২৬৩:

আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন আবু বকর, তিনি বলেন, আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন আবু বকর ইবনু সহল তামীমী, তিনি বলেন, আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাজ্জাক, তিনি বলেন, আমাদেরকে খবর দিয়েছেন মা‘মার, তিনি বলেছেন, যুহরী, তিনি উরওয়ার সূত্রে, তিনি জয়নব বিনতে আবি সালামাহ থেকে, তিনি উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন:

*তিনি বলেন:*
*“আবু লাহাবকে তার পরিবারের কেউ একবার স্বপ্নে দেখলেন। তখন তিনি (আবু লাহাব) বললেন: ‘তোমাদের পর থেকে আমি কোনো শান্তি পাইনি, শুধু এই জায়গায় পাই (এবং তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপরের কুঁচকানো জায়গার দিকে ইঙ্গিত করলেন)। এটি আমি সাওয়াইবাকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে পেয়েছি। আর সাওয়াইবা ছিলেন সেই মহিলা, যিনি নবী ﷺ এবং আবু সালামাকে দুধ পান করিয়েছিলেন।’”*

---

شرح السنة للبغوي [البغوي، أبو محمد]

، قَالَ عُرْوَة: وثُوَيبَةُ مولاة لأبي لَهب، كَانَ أَبُو لَهب أعْتقهَا، فأرضعتِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهب أريَهُ بعضُ أَهله بشرِّ حيبةِ، قَالَ لَهُ: مَاذَا لقيتَ؟ قَالَ أَبُو لَهب: لم ألقَ بعدكم غير أَنِّي سُقيتُ فِي هَذِه بعتاقتي ثويبة.
قيل فِي قَوْله: «سُقيِتُ فِي هَذِهِ» أَرَادَ الوقبة الَّتِي بَين الْإِبْهَام والسَّبابة.
وَابْنَة أَبِي سَلمَة اسْمهَا دُرة.
قَوْله: بشرِّ حيبة بِالْحَاء، أَي: بشر حَال، يقَالَ: فلَان

উরওয়া (রহঃ) বলেন: *সাওয়াইবা ছিলেন আবু লাহাবের একজন দাসী। আবু লাহাব তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন, আর তিনি নবী মুহাম্মদ ﷺ-কে দুধ পান করিয়েছিলেন। যখন আবু লাহাব মারা যান, তখন তার এক আত্মীয় তাকে স্বপ্নে দেখেন—খুবই খারাপ অবস্থায়। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কী পেয়েছেন?" তিনি (আবু লাহাব) বললেন: 'তোমাদের পরে আমি কোনো শান্তি পাইনি, তবে এই অংশে (নিজের আঙুলের দিকে ইশারা করে) আমাকে পানি পান করানো হয়, কারণ আমি সাওয়াইবাকে মুক্ত করেছিলাম।'*

"সুকীতু ফি হাযিহি" (এই অংশে আমাকে পানি পান করানো হয়) কথাটি দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মাঝের গর্তে।

উল্লেখ্য, আবু সালামার কন্যার নাম ছিল "দুররাহ"।

আর "বিশার হাইবাহ" শব্দটি "حاء" (ح) অক্ষর দিয়ে, যার অর্থ হলো—*"খারাপ অবস্থা"*।

حديث أبي اليمان [الحكم بن نافع البهرانى]

قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلاةُ أَبِي لَهَبٍ، كَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ بِشَرِّ خَيْبَةٍ، فَقَالَتْ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ: لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ رَخَاءً، غَيْرَ أَنِّي قَدْ سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ، وَأَشَارَ إِلَى النُّقَيْرَةِ الَّتِي بَيْنَ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا مِنَ الأَصَابِعِ

السنن الكبرى - البيهقي - ت التركي [أبو بكر البيهقي]

قال عُروةُ: وثوَيبَةُ مَولاةُ أبى لَهَبٍ، كان أبو لَهَبٍ أعتَقَها فأَرضَعَتِ النَّبِىَّ - صلى الله عليه وسلم -، فلَمّا ماتَ أبو لَهَبٍ أُرِيَه بَعضُ أهليه فى النَّومِ بشَرِّ حِيبَةٍ (١)، فقالَ له: ماذا لَقيتَ؟ فقالَ أبو لَهَبٍ: لَم ألقَ بَعدَكُم رَخاءً غَيرَ أنِّى سُقيتُ فى هذه مِنِّى بعَتاقَتى ثُوَيبَةَ وأَشارَ إلَى النَّقيرَةِ التى بَينَ الإبهامِ والَّتى تَليها مِنَ الأصابعِ (٢). رَواه البخارىُّ فى "الصحيح" عن أبى اليَمانِ، وأَخرَجَه مسلمٌ مِن وجهٍ آخَرَ عن الزُّهرِىِّ (٣).
١٤٠٣٩ - أخبرَنا أبو الحَسَ

البعث والنشور للبيهقي ت حيدر [أبو بكر البيهقي]

قَالَ عُرْوَةُ: وَثُوَيْبَةُ مَوْلَاةُ أَبِي لَهَبٍ، كَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ بِشَرِّ حِيبَةٍ فَقَالَ لَهُ: مَاذَا لَقِيتَ؟ فَقَالَ أَبُو لَهَبٍ: «لَمْ نَرَ بَعْدَكُمْ رَجَاءً غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ وَأَشَارَ إِلَى النَّقِيرَةِ الَّتِي بَيْنَ الْإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي الصَّحِيحِ عَنْ أَبِي الْيَمَانِ

جمع الجوامع المعروف بـ «الجامع الكبير» [الجلال السيوطي]

٦٦٦/ ٢ - "عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا لَهَبٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهُ يُقَالُ لَهَا: ثُوَيبةُ وَكَانَتْ قَدْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - فَرَأَى أَبَا لَهَبٍ بَعْضُ أَهَلِهِ فِي النَّوْمِ فَسَألَهُ مَا وَجَدَ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي وَأَشَارَ إِلَى النَّقْرَةِ الَّتِي تَحْتَ إِبْهَامِهِ فِي عِتْقِي ثُوَيْبَةَ".
عب (٢).

*كنز العمّال في سُنن الأقوال والأفعال - ط الرسالة*
*٤٢٩١٩ - عن زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ: أَنَّ أَبَا لَهَبٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهُ يُقَالُ لَهَا ثُوَيْبَةُ، وَكَانَتْ قَدْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -، فَرَأَى أَبَا لَهَبٍ بَعْضُ أَهْلِهِ فِي النَّوْمِ، فَسَأَلَهُ: مَا وَجَدْتَ؟ فَقَالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ إِلَّا أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي، وَأَشَارَ إِلَى النُّقْرَةِ الَّتِي تَحْتَ إِبْهَامِهِ، فِي عِتْقِي ثُوَيْبَةَ. (عَبْدُ الرَّزَّاق)*
*أخرجه عبد الرزاق (٩/٦٢)*

*কানযুল উম্মাল* (কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল - ইমাম আল-মুত্তাকী আল-হিন্দী, হাদিস: ৪২৯১৯)

*জয়নব বিনতে আবি সালামা* (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
আবু লাহাব তার এক দাসীকে মুক্ত করে দেয়, যার নাম ছিল *থুয়াইবা*। তিনিই ছিলেন সেই মহিলা, যিনি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দুধ পান করিয়েছিলেন।

এরপর আবু লাহাবকে তার পরিবারের কেউ স্বপ্নে দেখল এবং তাকে জিজ্ঞেস করল:
“তুমি কেমন আছো?”

সে বলল:
*“তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর আমি কিছুই পাইনি (অর্থাৎ কষ্ট ও আযাব ছাড়া কিছু নেই), তবে এই একটুকু পেয়েছি—আমার এই আঙ্গুলের নিচের গর্ত (বুড়ো আঙুলের নিচে) থেকে আমার জন্য পানি বের হয়।"*
এটি তিনি থুয়াইবাকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিদানে পাচ্ছেন।

*তথ্যসূত্র:*
এটি আব্দুর রাজ্জাক (মুসান্নাফ), খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ৬২ -এ বর্ণিত।

*উপকার:*
এটি প্রমাণ করে যে, এমনকি একজন কাফিরও যদি রাসুল (সা.)-এর জন্মে খুশি হয়ে কোনো সদকাহ বা ভালো কাজ করে, তাহলে সে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে। তবে ঈমান ছাড়া চূড়ান্ত মুক্তি সম্ভব নয়।

مسند الشاميين للطبراني [الطبراني]
: قَالَ عُرْوَةُ: وثُوَيْبَةُ مَوْلَاةُ أَبِي لَهَبٍ، وَكَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا، فَأَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

الصحيح من الأخبار المجتمع على صحته - مخطوط [أبو بكر الجوزقي]
قَالَ عُرْوَةُ في حَدِيثِهِ: و ثُوَيْبَةُ مَوْلَاةٌ لِأَبي لَهَبٍ، أَعْتَقَهَا (¬١٦)، وأَرْضَعَتْ رسُولَ الله صَلَّى اللهُ عليهِ وسَلَّمَ، فلمَّا مَاتَ رَأَى أَبَا لَهَبٍ بعضُ أَهْلِهِ في النَّومِ، فَسَأَلَهُ

مَا وَجَدْتَ؟ فَقالَ: مَا وَجَدْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ مِنِّي - فِي (١) النُّقْرَةِ الَّتِي في (٢) الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا - بِعِتْقِي ثُوَيْبَةَ». [خ¦٥١٠١]

*
*كافر يخفف عنه بفرحه بمولد النبيﷺ:

"....فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ حِيبَةٍ ، قَالَ لَهُ : مَاذَا لَقِيتَ ؟ قَالَ أَبُو لَهَبٍ : لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ، غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ." رواه البخاري
---
*বাংলা অনুবাদ:*

একজন কাফিরের (আবু লাহাব) শাস্তি হালকা করা হয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্মে আনন্দ প্রকাশ করার কারণে।

"…আবু লাহাব যখন মারা যায়, তখন তার এক আত্মীয় তাকে স্বপ্নে দেখেন অত্যন্ত খারাপ অবস্থায়। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন: ‘তুমি কেমন আছো?’
আবু লাহাব উত্তর দিল: ‘তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে আমি কোনো শান্তি পাইনি, তবে শুধু এটুকু—আমি এই (সোমবার) দিনে পানি পান করানো হয়, কারণ আমি থুয়াইবাকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলাম (নবীর জন্মে আনন্দ প্রকাশ করে)’।”

*
قال الحافظُ ابنُ حَجَرٍ في الفتح:
"وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ العَبَّاسَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ، رَأَيْتُهُ فِي مَنَامِي بَعْدَ حَوْلٍ فِي شَرِّ حَالٍ، فَقَالَ: مَا لَقِيتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً، إِلَّا أَنَّ العَذَابَ يُخَفَّفُ عَنِّي كُلَّ يَوْمِ اثْنَيْنِ. قَالَ: وَذَلِكَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَكَانَتْ ثُوَيْبَةُ بَشَّرَتْ أَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِهِ، فَأَعْتَقَهَا."

*

হাফিয ইবনে হাজর (রহ.) ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেন:
সুহাইলী উল্লেখ করেন, আব্বাস (রাযি.) বলেন: যখন আবু লাহাব মারা গেল, তখন এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখলাম—সে খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি কেমন আছো?"
সে বলল: “তোমাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর আমি কোনো প্রশান্তি পাইনি, তবে শুধু সোমবার দিনে আমার আযাব কিছুটা লাঘব করা হয়।”
আব্বাস বলেন: “কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার জন্মগ্রহণ করেন এবং তার জন্মের সুসংবাদ আবু লাহাবকে দিয়েছিল থুয়াইবা। এ খবরে খুশি হয়ে সে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল।”

*উপকার:*
একজন কাফির, যেমন আবু লাহাব, নবীর জন্মদিনে খুশি হয়ে একটি দাসী মুক্ত করার কারণে প্রতিদানস্বরূপ সোমবার তার আযাব কিছুটা হালকা করা হয়। তাহলে একজন মুসলিম যদি ঈমান ও মহব্বতের সঙ্গে নবীজীর জন্ম উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করে, তাহলে সে কতই না বেশি সওয়াব পেতে পারে!

وَقَالَ الْحَافِظُ شمس الدين ابن ناصر الدين الدمشقي فِي كِتَابِهِ الْمُسَمَّى "مَوْرِدُ الصَّادِي فِي مَوْلِدِ الْهَادِي": قَدْ صَحَّ أَنَّ أبا لهب يُخَفَّفُ عَنْهُ عَذَابُ النَّارِ فِي مِثْلِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ لِإِعْتَاقِهِ ثويبة سُرُورًا بِمِيلَادِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَنْشَدَ:
إِذَا كَانَ هَذَا كَافِرًا جَاءَ ذَمُّهُ ... وَتَبَّتْ يَدَاهُ فِي الْجَحِيمِ مُخَلَّدَا
أَتَى أَنَّهُ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ دَائِمًا ... يُخَفَّفُ عَنْهُ لِلسُّرُورِ بِأَحْمَدَا
فَمَا الظَّنُّ بِالْعَبْدِ الَّذِي طُولَ عُمْرِهِ ... بِأَحْمَدَ مَسْرُورًا وَمَاتَ مُوَحِّدَا



মহান আল্লাহপাক সবাইকে ছহীহ বুঝ দান করুন।

-

28/08/2025

#মীলাদুন্নবী পর্ব:(২)
হযরত আদম (আঃ)এর সৃষ্টির চৌদ্দ হাজার বৎসর পূর্বে নুরে মুহাম্মদী তথা আল্লাহর নবির নূর আল্লাহর কাছে বিদ্যমান ছিল।
তারপর হযরত আদম (আঃ)এর সাথে দুনিয়াতে আগমন করেন।
তাঁর থেকে হযরত শীষ,হযরত ইদ্রিস,হযরত নূহ,হযরত ইবরাহিম,হযরত ইসমাইল (আঃ)প্রমুখ পায়গম্বর ও নেককারদের মাধ্যমে হযরত আব্দুল্লাহ( রা.)এর ললাটে স্থানান্তর হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) যখন চব্বিশ বছরে উপনিত হয় তখন হযরত আবদে মুনাফের ভাগ্যবর্তী মহিলা বিবি হযরত আমেনা( রা.) এর সাথে তাঁর বিবাহ হয়।
ইতিমধ্যে ওরাকা ইবনে নাওফেল এর বোন ফাতিমা (যাকে উম্মে কিতাল বলা হতো) বিবাহের প্রস্তাব দেন কিন্তু না করে দিলেন।
রজব মাসের প্রারম্ভে এই বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং ঐদিনের মিনার নিকটে শিয়া আবু তালেব নামক স্থানে স্বামী-স্ত্রীর সাক্ষাত হয়।
পহেলা রজব শুক্রবার রাতে নবী করীম সা.এর নূর হযরত আব্দুল্লাহ হতে বিনি আমেনার রেহেম শরীফে স্থান লাভ করেন।
হযরত আমেনাকে বিয়ের পরদিন হযরত আব্দুল্লাহ নিজ গৃহে ফিরানোর পথে ওরাকা ইবনে নাওফেলের বোন
ফাতিমার সাথে সাক্ষাত হয় তখন ফাতিমা হযরত আব্দুল্লাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
কারণ জিঙ্গাসা করা হলে
তিনি বলেন-
قد فارقك النور الذي كان معك بالأمس
فليس لي بك اليوم حاجة
انما أردت ان أكون النور فيّ فابي الله
(مواهب الدنية)
অর্থাৎ- গতকাল আপনার ললাটে যে নূর ছিল আজ সে নূর আপনার থেকে বিদায় নিয়েছে।সুতরাং আজ আপনাকে আর কোন প্রয়োজন নেই।আমার ইচ্ছা ছিল সেই নূর আমার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হোক।
(মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া)

(এখানে শেষ লাইনটির কথার অর্থ হল
আপনার কপালে নূর দেখার কারণে আমি চেয়েছিলাম সে নূরের মালিক আমি হতে!
আমি বিশ্ব জগতের সেরা জীবের মা হতে কিন্তু তা হয়নি )

***মিশকাত শরীফে বর্ণিত একটি হাদিস শরীফে নবী করীম সা. ইরশাদ করেন-
وأنا رؤيا أمي التي رأت انها خرج نور من بطنها واضائت لها قصور الشام
আমার জন্মকালীন তন্দ্রাবস্থায় আম্মাজান দেখেছিলেন-একটি নূর তাঁর গর্ভে হতে বের হয়ে সিরিয়ায় প্রাসাদসমূহ পর্যন্ত আলোকিত করেছে।

হযরত বিবি আমেনা (রা.)গর্ভে সেই নূর ধারণ করার দুই মাস পরেই সিরিয়া থেকে আসার পথে হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) ইন্তেকাল করেন- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
এইভাবে প্রিয় নবী জন্মের আগেই ইয়াতিম হয়ে যায়।গর্ভের প্রায় নয় মাস অতিক্রান্ত হবার পর
৫৭০ খিষ্টাব্দে, রবিউল আউয়ালের১২তারিখ,সোমবার,
সোবহে সাদিকের সময় সৃষ্টিকূলের সেরা নবি হযরত মুহাম্মদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়াতে তশরীফ আনায়ন করেন।
মারহাবা! মারহাবান বিকা ফিদ-দুনয়া!
ইয়া নবী আল্লাহ্ !

Address

Kaderia Road, Ratnapur, Baharchada
Banskhali

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sacrifice /আত্মত্যাগ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sacrifice /আত্মত্যাগ:

Share