24/02/2024
কবিতা:পর্ত্যাবর্তন
সাইমুন ইসলাম
মাঝে মাঝে আল্লাহর করিও স্মরণ,
একদিন অন্তকালে করিবে বরণ।
তাই তাহায় সতত রেখো মনে,
কালের মূল্য দিও প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
অতীতের ডাইরীতে দৃষ্টি রাখো ফের,
ঢের পাপে ঢাকা তাহা, পাচ্ছো কি তুমি টের।
আহাঃ কি কলুষিত, কত নগণ্য,
কত মলিন, কত জঘন্য ।
ভাবনাতেও যেন হচ্ছে ঘৃণা,
এসকল তো আমারই চিরচেনা।
এই মলিনতার অধ্যায়ে আছে কত কি,
বলিলেই নহে শেষ, আরো কত বাকী।
কত গরিব কাঙালের, ধণ করেছি লুট,
রিক্ত সেই জনগুলো, পড়িলো এসে পায়ে,
অনুনয় করিলো ঝুঁকে,
বলিলো বাবু, অসহায়কে করেন করুণা।
আমি
লাথি তুলিয়া বুকে,
হাত তুলিয়া গায়ে,
বলিয়াছিলাম তাহাদিগ, খোলা চোখ দেখিয়া ছুট।
কত বোনের সম্ভ্রম করেছি হানী,
সংখ্যায় বলিলে কম নহে,
১০০ হয়েছে তাহা জানি,।
কত নির্লজ্জ! তাহা নহে মানি,
করেছি আমি পৈশাচিক আনন্দ, আমি সজ্ঞানী
কত মায়ের বুকের মানিক কেড়ে, বুক করিয়াছি খালি।
উল্লাসঘোরে মেতে,
হস্তদ্বয় জোড় করে বাজিয়েছি তালি।
দাম্ভিকতায় বলে উঠিলাম,এইতো অমিত্র করিলাম দমন।
কাহার বড় বীরত্ব, সমাজ করিতে শোধন।
যতই করিবে প্রয়াস,অন্তরায় হয়ে থাকিবে রোধন।
সেদিন দুঃখীনি মা গুলো, ডুকরে কেঁদেছিলো,
খোদার তরে করিলো ফরিয়াদ,তুলিয়া দু হাত,
বলেছিলো, চূর্ণ করো জালিমের,যত জুলুমাত।
কত দুর্বল পিষ্ট করিয়াছি পদতলে,
রায় দিয়েছি আত্মপক্ষে, আত্ম ক্ষমতাবলে।
কত ভাইকে রেখেছি করিয়া ভীত শঙ্কিত,
কতক বাবা কে করিয়াছি গুম।
অসহায় সন্তান প্রতীক্ষার প্রহর গুনে,
বাবা আসবে কবে?,রাত কাটায় নির্ঘুম.।
কতক জনে পড়ছে আমার,প্রতারণার জালে,
মুষ্টি ভরে ঘুষ নিয়েছি, হাওয়া লাগিয়ে পালে।
মুষ্টিমেয় ঘুষের বলে, যোগ্য দিলাম বঞ্চিত,
পকেট হচ্ছে নিত্য ভারী, সম্পদে সব সঞ্চিত।
আরো কত, বলিলে আসবে আরো শত শত,
এই পাপের বর্ধন, অন্তঃকরণের ক্ষত।
অনেক হয়েছে,
এইবার একটু থামেন।
পরকাল চিন্তায় মগ্নতায় নামেন।
রবের হবে সেইদিন পাকড়াও,
পাপিষ্ঠদের জন্য হবে ভয়াবহতা,
প্রতিটি মুহূর্ত,ইয়া নাপসীর উদ্বিগ্নতা ,।
জাহান্নাম হবে সেদিন পূর্ণ্য,
যাহাদের নেক আমল শূন্য,পাপে পরিপূর্ণ।
কাজেই শেষ পর্ত্যাবর্তন হোক রবের পথে
রবের ক্ষমাশীলতা অপার,
রব করিবেন বান্দায় মার্জনা উদারতার সাথে।