Najmun Nahar Samiya

Najmun Nahar Samiya হৃদয়ে অনুভূত প্রতিটি অনুভুতি, শব্দে তা হয়ে ওঠে কবিতা।

 #জ্বীনের_বিয়ে_পর্ব_২নাজমুন নাহার সামিয়া আমি যেনো এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম।আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। পরেরদিনের ঘটনা।ছাত্...
29/05/2025

#জ্বীনের_বিয়ে_পর্ব_২
নাজমুন নাহার সামিয়া

আমি যেনো এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম।আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

পরেরদিনের ঘটনা।ছাত্রীনিবাসের সকালটা যেমন হবার কথা, তেমনই ছিল।হালকা রোদ, পোকাদের একটানা শব্দ, কারো হাই, কেউ চুল আচড়াচ্ছে, কেউবা ফোনে স্ক্রল করছে ফেসবুকের টাইমলাইন। আমি একটু দেরিতে উঠলাম। সাধারণত রাত জেগে পড়ি, তাই সকালটা আমার অলস কাটে।
আজকেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁত ব্রাশ করছিলাম, হঠাৎ তৃষা চিৎকার করে উঠলো

-তোর গলায় এটা কী?

আমার ব্রাশের গতি থেমে গেল। আয়নায় তাকিয়ে চমকে উঠলাম। গলায় একটা পাতলা সোনালী চেইন। নিচে ঝুলছে একটা ছোট্ট তাবিজ, ধাতব রঙের।
তৃষা আবার জিজ্ঞেস করলো, গলায় কৌতূহল নিয়ে

তুই এটা পরলি কখন?
আমি বললাম-
আমি তো পরিনি কিছু।আমার মনে নেই একদম। সত্যি বলতে আমার কিছুই মনে নেই।

ইশরাত হেসে উঠলো।আরে রাতে কেউ বিয়ে করে দিয়ে গেছে বুঝি?

সবাই হাসছিল, কিন্তু আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমি চেইনটা খুলে হাতে নিলাম। ঠান্ডা ধাতব খাপের ভেতর থেকে তাবিজটা খুলতেই ভেতরে ভাঁজ করা ছোট্ট একটা কাগজ পেলাম। ধীরে ধীরে ভাঁজ খুলে দেখি— ক্ষুদ্র, সূক্ষ্ম আরবি হরফে লেখা—
“নিকাহ কবুল” — "نکاح قبول"
আমার গলা শুকিয়ে গেল। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি ফিসফিস করে বললাম— এটা কীভাবে সম্ভব? আমি তো কোথাও যাইনি গতকাল… আমি তো ঘুমিয়েই ছিলাম।
ঠিক তখনই মনে পড়ে গেল। রাতে কিছু অস্পষ্ট দৃশ্য… লাইট নিভে গিয়েছিল… হঠাৎ করে অন্ধকারে ডুবে গেছিল চারপাশ… একটা ঠান্ডা নিঃশ্বাস ঠিক আমার গলার পেছনে… একটা কণ্ঠস্বর— "তুমি আমার, এখন থেকে… শুধু আমার।"

একটা ছায়ামূর্তি বসেছিল আমার পাশের খালি বিছানায়। তার আঙুল ছুঁয়েছিল আমার কপাল। তারপর চুলে বিলি কেটে খুব ধীরে কিছু পড়ছিল… আলো নিভে গিয়েছিল, অথচ সুইচ আমি টিপিনি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম… কিন্তু ঘুমটা যেন খুব অদ্ভুত, ভারী… স্বপ্নের মতো, তবু স্বপ্ন নয়।
আমি কি আদৌ ঘুমিয়েছিলাম? নাকি কোনও অন্য জগতে পা দিয়েছিলাম?
আরও একটা ব্যাপার মনে পড়ল— গত কয়েকদিন ধরে আমার স্বপ্নে একটা লোক আসছে। লম্বা কালো পাঞ্জাবি পরে থাকে, মুখ দেখা যায় না, শুধু চোখ… দুই চোখ জ্বলজ্বল করে। সে কোনো কথা বলে না… শুধু তাকিয়ে থাকে। অথবা ফিসফিস করে— "তুমি আমার… তুমি আমার হবেই।"
আগে এসব স্বপ্ন বলে হেসে উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু আজ… আমার গলায় তাবিজ… আর তাতে সেই লেখা— “নিকাহ কবুল”
এর ব্যাখ্যা কী?
আমি বিছানায় চুপ করে বসে থাকলাম। চারপাশে তখন আর কারও হাসি নেই। সবার চোখে একটাই প্রশ্ন— যদি এটা স্বপ্ন না হয়… তবে সত্যিটা কী?
সেদিন থেকেই আমি আর আগের মতো ছিলাম না। মাঝরাতে হঠাৎ ফিসফিস আওয়াজ শুনতাম। আলো নিভে যাওয়া দেখতাম। আয়নায় কারো দাঁড়িয়ে থাকা… এসব যেন আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
আর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার— চেইনটা আমি যতবার খুলে ফেলি, যত দূরেই ছুঁড়ে ফেলি, পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি… সেটা আবার আমার গলায় ঝুলে আছে।
তাবিজটা খুলে দেখলে এখনো সেই একই লেখা: “নিকাহ কবুল”
সেই সকাল থেকেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ঘুম থেকে উঠে দেখি শরীরটা ভেঙে পড়েছে। মাথা দপদপ করছে, শরীর গরমে জ্বলছে অথচ ঠাণ্ডায় কাঁপছি। নিজের শরীরের সাথে নিজের আত্মা যেন তাল মিলাতে পারছে না।
আমার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল, গলা কাঁপছিল। মুখে জ্বরের ঘোর, কিন্তু ভিতরে এক অবর্ণনীয় ভয়। যেন কোনো অদেখা আতঙ্ক আমার আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রুমমেটরা বলেছিল, হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আমি তখন কাঁপা গলায় বলেছিলাম— না, কেউ আমার কাছে আসবে না। আমি একা থাকতে চাই। প্লিজ।
আমার চোখের চাহনি দেখে ওরা ভয় পেয়ে গেছিল। একসময় সবাই আমার থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। আমার দরজা তখন প্রায়শই ভিতর থেকে বন্ধ থাকতো।
কিন্তু কেউ জানতো না… আমি আর একা নই।
দরজার ওপাশে, অন্ধকার ঘরের কোণায়, খাটের পাশে একটা ছায়া ধীরে ধীরে নড়ে। ঘরের বাতাসে ভেসে বেড়ায় এক অদ্ভুত গন্ধ… আমার ঠোঁট কাঁপে, কিন্তু আমি চিৎকার করি না।
কারণ আমি জানি— চিৎকার করে লাভ নেই। যে এসেছে… সে কেবল মন এর আওয়াজ শুনতে পায়।

চলবে'''

নোয়াখালির হাতিয়ার উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তলিয়ে গেছে নিঝুম দ্বীপ। সকাল থেকেই নিঝুমদ্বীপের চারপাশের নদ...
29/05/2025

নোয়াখালির হাতিয়ার উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তলিয়ে গেছে নিঝুম দ্বীপ।
সকাল থেকেই নিঝুমদ্বীপের চারপাশের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিঝুমদ্বীপের ৯টি ওয়ার্ডের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, বিপাকে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।😭😭
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রহম করুন
#বন্যা

 #জ্বীনের_বিয়ে_পর্ব_১নাজমুন নাহার সামিয়া জ্বিনের বিয়ে – পর্ব ১(গল্পটি ২০ বছরের তরুণী ফারজানাকে ঘিরে। সে ঢাকার মগবাজার এল...
28/05/2025

#জ্বীনের_বিয়ে_পর্ব_১
নাজমুন নাহার সামিয়া

জ্বিনের বিয়ে – পর্ব ১
(গল্পটি ২০ বছরের তরুণী ফারজানাকে ঘিরে। সে ঢাকার মগবাজার এলাকার একটি পুরোনো, তিনতলা মেসে থাকে। তার পরিবার থাকে চট্টগ্রামের হালিশহরে।)
সন্ধ্যা নেমে এসেছে। জানালার বাইরে রোদ পড়ে গেছে অনেক আগেই। কাকের ডাক থেমে গেছে যেন ঘণ্টাখানেক আগে। সারা পাড়াটা যেন হঠাৎ নিঃশব্দ হয়ে গেছে। দূরে কোনো এক মসজিদ থেকে ভেসে আসছে মাগরিবের আজানের করুণ সুর—জীবনের ভেতর কিছু একটা যেন দোল খায় সে সুরে।
মেসের ঘরটা ছোট, মেঝেতে পুরোনো মোজাইক, দেয়ালে ফাটল। জানালায় পাতলা পর্দা, বাতাসে দুলছে ধীরে ধীরে। এক কোণে একটা সস্তা কাঠের আলমারি, তার পাশেই আয়নাওলা একটা ছোট টেবিল।
ফারজানা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ঘন কালো চুল আঁচড়াচ্ছিল ধীরে ধীরে। আয়নার কাঁচটা একটু ঝাপসা, মাঝেমাঝেই ধুলো জমে যায়। কিন্তু আজ তার চুল আঁচড়ানোর সময় হঠাৎ থমকে গেল হাত। কাঁচের এক কোণায়, একেবারে নিচের দিকে, কিছু একটা নড়ল যেন।তার চোখ স্থির হয়ে গেল সেখানে।একটা কালো ছায়া।
না, কোনো স্পষ্ট অবয়ব না, শুধু একটা গাঢ় অন্ধকার। যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে ঠিক তার পেছনে, কিন্তু আয়নায় প্রতিফলন দেখাচ্ছে খুব অস্পষ্টভাবে, কুয়াশার মতো।
ফারজানা মুহূর্তেই ঘুরে তাকাল পেছনে।
শূন্য।
ঘরে কেউ নেই। রুমমেটরাও বাইরে গেছে, কেউ এখনো ফেরেনি।
সে নিঃশব্দে ফিরে তাকায় আয়নার দিকে। আবারও — শুধু সে, তার নিজের প্রতিফলন।
কিন্তু বুকের ভিতরটা কেমন ধুকপুক করছে।
এই প্রথম না, কয়েক দিন ধরেই এমন হচ্ছে।
রাতে ঘুমাতে গেলে হঠাৎ যেন কারো নিঃশ্বাসের শব্দ, ঘুমের মধ্যেও জেগে ওঠার মতো অনুভূতি—জানালার পর্দা নড়ে ওঠে কোনো বাতাস ছাড়াই, কলের পানি টুপটাপ পড়ে—আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার—
কেউ যেন তাকিয়ে থাকে।
অদৃশ্য কোনো চোখ, যেন প্রতিটি মুহূর্তে নজর রাখছে তার উপর।
প্রথমে ভেবেছিল—ভ্রম।
রুমমেটদের বলেছিল একদিন।
তারা বলেছে-
“তুই বেশি ওয়েব সিরিজ দেখিস ফারজানা, মাথায় উঠে গেছে সব।
এটা বলে রুমমেট রিমি, হেসে।
এইসব বাজে জিনিস নিয়ে ভাবিস না। মেসে এত মেয়ে থাকে, যদি কিছু হতো আমরা কি টের পেতাম না?—বলেছিল মিথিলা।
কিন্তু ফারজানা জানে, এ কেবল কল্পনা না। তার ত্বকে, তার নিশ্বাসে, তার ঘাড়ের পেছনে—একটা অস্তিত্ব সব সময় থাকে।
আর সেটা মানুষ নয়।
সেদিন রাত তখন ঠিক ২টা। ঘড়ির কাঁটা একটানা টিক টিক করে চলছে। বাইরের শীতল বাতাস জানালার কাচে ধাক্কা মারছে, আর দূরে কোথাও শেয়ালের কান ফাটানো ডাক ভেসে আসছে। চারপাশের নিস্তব্ধতা এতটাই ঘন হয়ে উঠেছে যেন তা ছুঁয়ে ফেলা যায়।
হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল ফারজানার।
সে ধীরে ধীরে চোখ খুললো। ঘুম ভাঙার কারণ বুঝতে পারছিল না প্রথমে। শরীরটা ভারী লাগছিল। যেন অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল সে। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর, হঠাৎ চোখ পড়লো ঘরের দরজার দিকে। সেটা আধা খোলা।
তার বুক ধক করে উঠলো।
“আমি তো নিজের হাতে লক করেছিলাম..ফিসফিস করে বললো সে।
সে ধীরে ধীরে উঠে বসল। শরীরটা ঠান্ডায় কাঁপছে না, কাঁপছে ভয়ে। ঘরের ভেতরের বাতাসে একটা অদ্ভুত গন্ধ—পঁচা কিছু একটা, কেমন যেন ভেজা মাটির মতো গন্ধ। কিন্তু তার চেয়েও ভয়ংকর ছিল বাতাসের ভার। যেন কেউ বসে আছে বুকের উপর। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
ঠিক তখনই, কোথাও থেকে ভেসে এলো এক কণ্ঠস্বর—
গভীর, শীতল, পুরুষালী এক আওয়াজ।
তুমি আমার।
তুমি শুধু আমার।
কেউ তোমার দিকে তাকাতে পারবে না।
এক ঝটকায় উঠে বসল ফারজানা। ঘরের আলো জ্বলছে, ঘড়ির কাঁটা চলছে, কিন্তু ঘরটা নিঃসাড়, নিস্তব্ধ। কোথাও কেউ নেই। কিন্তু... সেই কণ্ঠস্বরটা? কে ছিল?
সে ধীরে ধীরে জানালার দিকে তাকালো।
তার চোখ এক মুহূর্তে স্থির হয়ে গেল।
জানালার কাচে ভেসে উঠেছে এক জোড়া লাল চোখ। জ্বলজ্বলে, বিদ্বেষে ভরা, ঠিক যেন মানুষের নয়। সে চোখের দৃষ্টি তার বুকের ভেতর কাঁপিয়ে দিল।
ফারজানা চিৎকার করে উঠলো —
কে?কে ওখানে?
কোনো জবাব এলো না।
তবে এক অদ্ভুত জিনিস ঘটলো ঠিক তখনই—ঘরের বাতাস যেন হঠাৎ আরও শীতল হয়ে উঠলো, যেন কারও নিঃশ্বাস ঘাড়ের পেছনে লাগছে।
তারপর, একটুকরো বাতাস ঘরজুড়ে ছড়িয়ে গেল।
আর সেই সাথে নিভে গেল ঘরের সব আলো।
ঘরটা ডুবে গেল গভীর অন্ধকারে।

নির্দিষ্ট মানুষটাকে না পেলে জীবনে আর কোন মানুষ পাওয়ার ইচ্ছে হয় না😢💔
28/05/2025

নির্দিষ্ট মানুষটাকে না পেলে জীবনে আর কোন মানুষ পাওয়ার ইচ্ছে হয় না😢💔

নদীর স্রোত হয়ে ভেসে যেতে চাই যেথায় আছো তুমি🥰
28/05/2025

নদীর স্রোত হয়ে ভেসে যেতে চাই যেথায় আছো তুমি🥰

যখন তুমি কোনো ফালতু কথা বলে পেলো তখন আমার মন মেজাজ সাথে সাথে চেঞ্জ হয়ে যায়। একটু আগে যে তোমার সাথে কত মধুর সম্পর্ক ছিলো ...
27/05/2025

যখন তুমি কোনো ফালতু কথা বলে পেলো তখন আমার মন মেজাজ সাথে সাথে চেঞ্জ হয়ে যায়। একটু আগে যে তোমার সাথে কত মধুর সম্পর্ক ছিলো আমি সেটাও ভুলে যাই।আমার মন তখন হিংস্র থেকে হিংস্রতর হতে থাকে। ঘৃনায় মনটা ভরে উঠে।রাগটা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। আমি নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। সাধারণত মানুষের রাগ কিছুক্ষনের মধ্যে চলে যায়।ঔ বিষয়টা ভুলে নতুন করে শুরু করতে পারে।কিন্তু আমি পারিনা। আমার মনের ভেতর অজানা ঘৃণা সৃষ্টি হয়। যাদি সাথে সাথে আমার কাছে সরি বলতে থাকে তখন আমার রাগটা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এ রাগ দেখতে মনে হয় ভাংবেনা তারপরও আমি জানি এ রাগ আস্তে আস্তে কমতে থাকে।আর যদি সে মানুষ টা নিজের ভুল স্বিকার না করে আবার তর্ক করতে আসে আমাকে দোষারোপ করে যদিও আমার দোষ আছে তখন তাকে খুন করতে ইচ্ছে হয়। তার প্রতি অকৃত্রিম ঘৃণা জন্মায়। এ ঘৃনা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে সেটার কোনো শেষ নেই। এর একটাই সমাধান আমার কাছে সরি বলা বা ক্ষমা চাওয়া। যতক্ষণ না আমার রাগ ভাঙে যদিও আমার দোষ আছে।

14/05/2025

I got 10 reactions and comments on one of my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

 #চৌকিদার_ও_জ্বীনের_কাহিনিগল্প: চৌকিদার ও জ্বীনের কাহিনি কলমে: সামিয়া স্থান : গ্রামের রাস্তা চরিত্র : সামিয়া, সাকিব, চৌক...
10/05/2025

#চৌকিদার_ও_জ্বীনের_কাহিনি
গল্প: চৌকিদার ও জ্বীনের কাহিনি
কলমে: সামিয়া
স্থান : গ্রামের রাস্তা
চরিত্র : সামিয়া, সাকিব, চৌকিদার, পূর্না
সময় : রাত ১১ টা

আমি আর হৈমন্তী কয়েকদিনের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি। রাত এগারোটার সময় আমরা বাস থেকে নেমে পড়ি। রাত এগারোটা মানে গ্রামে গভীর রাত।তার উপর আবার শীত কাল। আশেপাশে কোনো গাড়ির চিহ্ন ও নেই। হৈমন্তী বললো—

হৈমন্তী — এত রাতে গাড়ি পাওয়া আর সাপের পা দেখা সমান। গাড়ি পাবেনা এত রাতে। সময় নষ্ট না করে বরং হাঁটা শুরু করো।

এত রাতে গাড়ি পাওয়া মুশকিল আমিও জানি।তাই সময় নষ্ট না করে আমি আর হৈমন্তী টর্চের আলো দিয়ে এগোতে থাকি। আমাদের বাড়ি গ্রামের প্রায় শেষ মাথায়। অনেক পথ হাঁটতে হবে। আমরা জমিনের আল পথ দিয়ে হেঁটে চলছি। ধান নেই জমিতে। কোথাও কোনো আলো নেই। নির্জন পথ। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা দূরে আলোর চিহ্ন দেখতে পাই। হৈমন্তী আমাকে বলে

হৈমন্তী— হয়তো কারো বাড়িতে আলো জ্বলছে।
সাকিব: হতে পারে। এগোতে থাকি দেখা যাক কিসের আলো।

আমরা দুজন আবার চুপচাপ হাঁটতে শুরু করি। অনেকক্ষন হঁটার আমরা সেই আলোর কাছাকাছি চলে এসেছি। ওটা একটা পোড়া বাড়ি ছিলো। পোড়াবাড়ির বারান্দাতেই আলো জ্বলছিলো। এই খোলা মাঠে পোড়া বাড়ি এলো কোথা থেকে সে কথা আর ভাবলাম না। হয়তো আগে এসব মাঠ ছিলোনা।

বাড়িটা এত বেশি বিধ্বস্ত না। মোটামুটিই আছে।

আমরা দুজন সেখানে পৌঁছে দেখলাম একজন লোক পোড়াবাড়ির বারান্দায় বসে আছে। বয়স ৫০-৫৫ হবে। আমাদের দেখতে পেয়ে উনি উঠে দাঁঠালেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম

সাকিব — এত রাতে সবাই ঘুমাচ্ছে আপনি কেনো জেগে আছেন?
লোক— আমি যদি সবার মতো ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে সবাইকে পাহারা দিবে কে?
সাকিব — মানে বুঝলাম না
লোক— আমি এই গ্রামের চৌকিদার। আমার নাম শমসের বাহাদুর।

নামটি শুনে আমার সঙ্গীনি বলে উঠলো

হৈমন্তী— শমসেরের বাহাদুর নামের আরও একজন চৌকিদারের কথা আমি শুনেছি। আমার দাদির কাছ থেকে। তিনি অনেক আগে মারা গিয়েছেন।

চৌকিদার — এক নামের কতজন থাকতে পারে। তার কোনো হিসেব আছে?
হৈমন্তী— তা ঠিক বলেছেন।

চৌকিদার — আপনারা কোথায় যাচ্ছেন?
সাকিব — আমরা চর চান্দিয়া গ্রামেই আসছি।
চৌকিদার — রাত তো অনেক হয়েছে আপনারা এখানে বসতে পারেন কোনো সমস্যা নেই।

তার কথামতো আমরা দুজনেই রাজি হলাম। অনেক ঠান্ডা লাগছে। আশেপাশে কোনো গাছপালা নেই খোলা মাঠ এই জন্য বাতাস হুহু করে আসতে লাগলো।

আমরা বারান্দার ভেতর প্রবেশ করলাম। কাঠের বেঞ্চির উপর বসলাম আমরা। চৌকিদার সাহেব আমাদের কে জিজ্ঞেস করলেন

চৌকিদার — ঠান্ডা লাগছে?
হৈমন্তী মাথা নেড়ে উত্তর দিলো হ্যাঁ

চৌকিদার — কাঁচা সুপারির পান খেতে দিচ্ছি আপনাদের।
সাকিব — না আমি পান খাইনা।
হৈমন্তীকে ইঙ্গিত করে বললাম ও খায় পান।
চৌকিদার — আরে খান শরীর গরম হবে। কাঁচা সুপারি খেলে গরমে ঘামাতে শুরু করবেন।
চৌকিদারের মিনতিতে আমি কাঁচা সুপারির পান খেলাম
হৈমন্তীকে অনুরোধ করতে হলোনা। সে এমনিতেই অভ্যস্ত।

চৌকিদার সাহেব আমাদের বললেন
— রাত তো অনেক হলো। প্রয়ায় সাড়ে বারোটা বেজে গেছে। চারদিকে অন্ধকার ও এত রাতে কিভাবে যাবেন। তারচেয়ে বরং এখানে বসে থাকুন। গল্প গুজব করি।
আমি চৌকিদার কে বললাম

— আপনি ভূতের গল্প পারেন?
চৌকিদার — হ্যাঁ পারি তবে এটা গল্প নয় সত্য কাহিনি।

কাঁচা সুপারি খেয়ে আমার গা ঘামতে শুরু করলো। আমার মাথা ঘুরছে। আমি হৈমন্তীর কাঁধে মাথা রাখলাম। দু এক সেকেন্ড পর চৌকিদারকে বললাম

কি হলো গল্প বলুন।
চৌকিদার — হ্যাঁ হ্যাঁ বলছি।

আমার বয়স তখন ২৩ বছর। আমি ২০ বছর বয়স থেকেই কিন্তু এখানে নিযুক্ত আছি। আমাদের পাশের গ্রামে একটা অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে ছিলো।

কি তার গায়ের রং। রাতের বেলা জ্যাৎস্নার মতো জ্বলতো।তাহার চুল ছিলো রেশমি সুতোর মতো চকচকে ঝরঝরে।
হাতের আঙুল ছিলো চিকন লম্বা লম্বা। কি যে সুন্দর। তাহার দাঁত যেনো আল্লাহ নিজের হাতে থরে থরে সাজিয়েছে। কি তাহার হাঁসি। মেয়েটির নাম ছিলো পূর্না।

মেয়েটার বয়স ছিলো ২০ বছর। আমাদের পাশের গ্রামেরই মেয়ে। কিন্তু আমি জানতাম না মেয়েটার বাড়ির ঠিকানা।
এত কিছু জেনেও লাভ নেই। আমি যে মেয়েটাকে ভালোবাসতাম এটাই বড় কথা।

হৈমন্তী — কেনো আপনি কি পূর্নাকে মোটেও চিনতেননা?

চৌকিদার — পূর্না তার পরিবার সম্পর্কে আমাকে বলেছিলো। তার পরিবারে নাকি মা ছাড়া কেউ নেই।
সাকিব — তারপর শুরু করুন।

চৌকিদার — হ্যাঁ বলছি। একদিন রাতে এখানে মেয়েটি আমার সাথে দেখা করতে আসে। আমরা অনেক্ষন কথা বলি। পূর্নার হঠাৎ জ্বর আসে।তখন গ্রামের মন্দিরে কেউ পূজো দিচ্ছে। রাত বেশি না। ভালো মেয়ে। একদম সুস্থ ছিলো। পূর্না আমাকে বলে

পূর্না— বাহাদুর আমার গা জ্বালা পোড়া করছে। জ্বর আসছে আমার। (কাঁতরাতে কাঁতরাতে বললো)

বাহাদুর — তুমি এই বেঞ্চিটার উপর বসো। দেখি আমি কি করা যায় ঘাবড়ে যেওনা।

ক্রমশ পূর্না নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। পূর্নার দুধে আলতা গায়ের রং কালো হতে শুরু করলো। আমি কালো জ্বরের কথা মাথায় আনলাম। আমি দ্রুত তাকে কোলে করে হাসপাতালের উদ্দেশ্য ছুটলাম। আমাদের এদিকে খুব কাছেই একটা হাসপাতাল আছে।
পথে আমি দেখতে পেলাম বড় একটা পলিথিন আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছে। কোনো বাতাস নেই। পলিথিন সোজা হয়ে মানুষের মতো হাঁটছে। এত বড় পলিথিন আমি কোনোদিন দেখিনি। আমি আর না ভেবে যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালের দিকে এগোতে থাকি।

একটু এগোতে দেখি একটা মুরগি। তার সাথে কতগুলো ছোট ছোট বাচ্চা মুরগি।

আমি বলতে থাকলাম এত রাতে মুরগী কোথা থেকে আসলো। আমাকে দেখে মুরগী টা ঝোপের আড়ালে চলে গেলো।

একসময় হাসপাতালে পৌঁছে যাই। পূর্নার শরীর কালো হয়ে গেছে। ডাক্তার ওকে নিয়ে ভেতরে যায়।

আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি। হঠাৎ আমার চোখ পড়লো একটা রুমের দিকে। ওখানে মর্গ লেখা। আমি আগে কোনোদিন মর্গ দেখিনি শুধু নাম শুনেছি। আমি কৌতূহল বশত মর্গের দিকে এগোতে থাকি। মর্গের দরজা বন্ধ।
কিছুক্ষণ পর আমার পেছনে কারো হাঁটার শব্দ শুনতে পাই। পেছে তাকিয়ে দেখি

দুজন লোক লাশ নিয়ে মর্গে প্রবেশ করছে। তারা আমকে বললো

এখান থেকে চলে যাও।

এই কথা বলে তারা দরজা খুললো
দরজা খুলতে ক্যাঁত করে শব্দ হলো। মনে হচ্ছে অনেক দিন ধরে এটা খোলা হয়নি। মানুষ দেখতে পেয়ে আমিও তাদের সাথে যাই। প্রথমে বারণ করলো ঠিকই কিন্তু তাদের সাথে যাওয়ার পর কিছুই বলছেনা।

আমি অবাক হয়ে যাই ভেতরে দেখি সেই পলিথিন টা হাঁটছে। খসখস আওয়াজ হচ্ছে পলিথিনের।
আমাদের দেখে পলিথিনটা উদাও হয়ে যায়। আমি কিছুটা ভয় পেয়েছি।
লাশ যাকে এনেছে তার চেহারার সাথে পূর্নার অনেকটা মিল রয়েছে। আমি কান্না করতে করতে দৌঁড়ে বাইরে চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। আমার মনে পড়লো আমি তো পূর্নাকে একা রেখে এসেছি। দৌড়ে বের হয়ে আসতেই দেখি খটাক করে দরজা বন্ধ হয়ে গেলো। পলিথিনটা ভেতরে হাঁটছে। আমার পাশে চারদিক ঘিরে খসখসে আওয়াজ করে পলিথিন টা দৌড়াচ্চে। আমি ভয়ে জ্ঞান হারাই।

চোখ খুলে দেখি আমি হাসাপাতালের বেডে শোয়া। পূর্না আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। পূর্না আমাকে বললো

পূর্ণা— আমি এখন সুস্থ। তোমাকে আমি দেখতে না পেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি। পরে দেখি তুমি পরিত্যক্ত মর্গটার পাশে পড়ে আছো।

আমি অবাক হয়ে বললাম
— পরিত্যক্ত মর্গ?

একজন ডাক্তার বলে উঠলো —

— হ্যাঁ ওটা ১১ বছর ধরে বন্ধ আছে।

আমি কাউকে কিছু বললাম না। শুধু নিজে নিজে ভাবলাম ওই লোক দুটো আর পলিথিনের রহস্য। পূর্ণাকেও কিছু বলিনি সে ভয় পাবে।

আমি আর পূর্না হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়ি বাড়ির উদ্দেশ্য। আমরা প্রায় আমার টং ঘরের কাছে চলে আসি।
দূর থেকে টং ঘরের আলো দেখা যাচ্ছে ।আমরা শুধু হাঁটতেই থাকি কিন্তু আলোর কাছে পৌঁছাতে পারছিনা। রাত ১১ টা বেজে গেছে। পূর্ণাকে বাড়ি যেতে হবে।
সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে এখনো আলোর কাছে পৌঁছাতে পারিনি। এভাবে দেখতে দেখতে ১ টা বেজে গেছে এখনো পৌঁছাতে পারিনি আমি ভয়ে ঘামতে শুরু করি। খোলা মাঠ একটা অশ্বত্থ গাছ ছাড়া কিছুই নেই চাঁদের আলোয় সবই দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ সামনে দেখি
বড় পলিথিন টা আমার সামনে। আমার আশেপাশে দৌড়াচ্ছে।আমি চিৎকার করছি কিন্তু আমার আওয়াজ বের হচ্ছে না। আমি হাত দিয়ে পলিথিন টা ছিঁড়ে ফেলি। পলিথিন টা মাটিতে পড়ে যায়। সাধারণ পলিথিনের মতো হয়ে যায়।

পেছনে দেখি পূর্নাও নেই। আমি পেছনের দিকে দৌড়াতে থাকি। অশ্বত্থ গাছে একটা আলো জ্বলছে। আমি তাকাতেই দেখি পূর্ণা অশ্বত্থ গাছে বসে আছে। আমি তাকে বললাম —

একি তুমি ওখানে কি করছো?
তুমি তো গাছে উঠতে পারোনা।
পূর্নার পা ঝুলছে গাছের ডালে।
সে ভয়ংকর ভাবে হাসছে। তার কি ভয়ংকর হাসি।

পূর্না আমাকে হাত দিয়ে পলিথিনের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমি তাকাতেই পূর্ণা এক লাফ দিয়ে পলিথিনের পাশে চলে আসে।
তার শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়
পূর্ণা আগের মতো সুন্দরী নেই। তার শরীর কালো হয়ে গেছে। চুল গুলো বাঁকা বাঁকা সাদা সাদা ছোট ছোট। মাথার মাঝখানে মোটা এক দলা সিঁদুর। ভয়ংকর ভাবে হাসছে। হাসি যেনো থামছেইনা। আমি বললাম

পূর্না তুমি এরকম হয়ে গেলে কেনো? কে তোমাকে এরকম করেছে?
তুমি পূর্না নও। আমার পূর্ণা কোথায়? বলো আমার পূর্ণা কোথায়?

ভয়ংকরী পূর্ণা বললো আমি বসুধা। আমিই পূর্না। হাহাহাহাহা।

তুই প্রতিদিন রাতে এখানে একা একা বসে থাকতি। আমি তোকে দেখতাম। তোকে আমার পছন্দ হয়ে যায়। আমার
একটা ছেলে আছে। যে পলিথিনটাকে তুই দেখেছিলি সেটাই আমার ছেলে। কিন্তু তুই তো এখন আমার ছেলেকে মেরে পেললি। আমার ছেলে তোর কোনো ক্ষতি করেনি।
আমি অসুস্থ হওয়াতে আমার ছেলে আমাকে দেখতে এসেছে পলিথিনের রুপ ধরে।

যখন কেউ মন্দিরে পূজো দেয় তখন আমি আমার আসল রুপে ফিরে আসি। তখন আমার কোনো শক্তি থাকেনা। আমি হিন্দু। একটু আগে আমি অসুস্থ হইনি আমার শক্তি চলে গেছিলো। তখন চারদিকে অনেক গীতা পাঠ শুনেছি আমি। আমি কি ধরা পড়ে গেছি নাকি সেটা দেখার জন্য আমার ছেলে এসেছিলো। কিন্তু তুই তো আমার ছেলেকে মেরে ফেললি।

এখন আমিও তোকে আমাদের জগতে নিয়ে আসবো হাহাহাহা এই বলে পূর্ণা মানে বসুদা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার আর কিছু মনে নেই।

রোদের আলো পড়ে আমার মুখে।আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি এই বাড়ির পাশে পড়ে আছি। অশ্বত্থ গাছটাও আছে স্বাভাবিক ভাবে। পাখি কিচিরমিচির করছে।

চৌকিদার সাহেব এবার থামলেন।

দেখুন সাকিব সাহেব অশ্বত্থ গাছটা এখনো আছে। ঐ যে দাঁড়িয়ে আছে।শীতের হাওয়ার ঝিরিঝিরি করে অশ্বত্থ গাছের পাতা নড়ছে।

আমার স্ত্রী ভয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলো।

আমি তাকে বললাম —
আরে ভয় পেওনা আমিতো আছি।

অথচ আমিও ভেতরে ভেতরে ভয় পাচ্ছি।

দেখতে দেখতে প্রায় সকাল হয়ে যাচ্ছে। চৌকিদার সাহেব বললো

আমি একটু বাড়িতে যাই আপনারা বসুন। আবার চলে আসছি।

আমরা অনেকক্ষন অপেক্ষা করলাম চৌকিদার সাহেব আসলেননা।হৈমন্তী আমাকে বললো

চলো আমরা চলে যাই। উনি মনে হয় বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
হ্যাঁ চলো সকাল হয়ে গেছে।

আমরা দুজন হাঁটা শুরু করি একটু যাওয়ার পর দেখা হয় আমাদের দূরসম্পর্কের এক দাদুর সাথে।

সাকিব — নমস্কার কেমন আছেন দাদু

দাদা — আরে তোমরা কোথা থেকে আসছো?
সাকিব — ঢাকা থেকে বাড়িতে যাচ্ছি।
দাদা — রাতে কোথায় ছিলে?
সাকিব — শমসের বাহাদুর চৌকিদারের পোড়া বাড়ির বারান্দায়।

দাদা অবাক হয়ে বললো

শমসের বাহাদুর?

সাকিব — হ্যাঁ কেনো? আপনি চিনেননা?
দাদা — তুমি কি পাগল হয়ে গেছো?
সাকিব — কেনো?
দাদা— ঐ চৌকিদার তো প্রায় ৩০ বছর আগে মারা গিয়েছে। কিভাবে মারা গেছে কেউই জানেনা। সকালে জমিদার বাড়ির সামনে তার লাশ পাওয়া যায়।

হৈমন্তী আর আমি বললাম ঐ যে দেখুন তার পোড়া বাড়িতে এ আলো জ্বলছে।

আমরা পেছনে তাকাতে ই দেখি সেখানে কোন আলো নেই। পোড়া বাড়ি নেই। শুধু অশ্বত্থ গাছটা দাঁড়িয়ে আছে। আমি আর হৈমন্তী ভয় পেয়ে যাই। আমি মনে মনে বললাম

কাল সারারাত কার সাথে ছিলাম।
আমরা কথা না বাড়িয়ে দ্রুত বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করি।পথেই আমরা একটা রিক্সা পাই। ওটাতে করে বাড়িতে চলে আসি।

উপন্যাসের শেষটুকু ছিলো সবচেয়ে সুন্দর। কিন্তু লেখার আগে  কালি ফুরিয়ে গেলো ঠিক সেখানেই। 🥀💔😥
09/04/2025

উপন্যাসের শেষটুকু ছিলো সবচেয়ে সুন্দর। কিন্তু লেখার আগে কালি ফুরিয়ে গেলো ঠিক সেখানেই।
🥀💔😥

কবিতা:বিদ্রোহী গাজার শিশু কলমে:নাজমুন নাহার সামিয়া আমার নাম রাইহান গাজা আমার ঘর।জন্মেছিলাম আগুনের মাঝে, কাঁটার উপর। আমার...
07/04/2025

কবিতা:বিদ্রোহী গাজার শিশু
কলমে:নাজমুন নাহার সামিয়া

আমার নাম রাইহান
গাজা আমার ঘর।
জন্মেছিলাম আগুনের মাঝে,
কাঁটার উপর।
আমার খেলনা, বোমার টুকরো, বারুদের ধোঁয়া,
আমার লোরি, ড্রোনের শব্দ, রক্তের ছোঁয়া।
মা বলেছিলো, স্বপ্ন দেখিস।
আমি স্বপ্ন দেখেছি।
ইসরাইল সে স্বপ্নকে গুলি করেছে।
আমার স্কুল নেই, খাতা পুড়েছে আগুনে,
আমার বন্ধুরা ঘুমিয়ে আছে কবরের বাগানে।

তারা বলে, আমি সন্ত্রাসী।
আমার দোষ কী?
আমি শুধু বাবার কোলে ঘুমাতে চেয়েছি।
আমার দোষ, আমি ফিলিস্তিনি।
আমি মুসলিম, আমি মাথা নত করিনি।
তাই আজ আমি শত্রু।
হে ইসরায়েল! শুনে রাখো এই শিশুর কণ্ঠ, তোমার বুলেট থামাতে পারবে না আমার লণ্ঠন।
আমার রক্তে জন্ম নেবে হাজারো ফিলিস্তিন,
তারা দেবে উত্তর।
আগুনে, শপথে, আয়াতে-হাসিন।
আমরা খেলি না আর খেলনা নিয়ে,
আমরা গড়ে তুলি বিদ্রোহের ঢেউ।
আমরা শিশু, কিন্তু চোখে ঝড় ওঠে,
তোমার জালিম সিংহাসনও একদিন ডুবে যাবে লোহিত স্রোতে।
আমার কান্না নয়, আমার চিৎকার শোন,
আমরা আল্লাহর সৈনিক।
আমরা হারি না কখনো।
আমার বুক ভাঙে না, মাথা নত হয় না,
আমার নাম গাজার শিশু।
বিদ্রোহ আমার রক্তে লেখা!

25/03/2025

লেখায়ঃ সংগৃহীত
কন্ঠে : Najmun Nahar Samiya
ভিডিওঃ- Rajon'S art work
#পরিণীতা

অভ্রনীল আমি সত্যিই সারাটা জীবন তোমার সাথে থাকতে চাই 😭 তুমি শুধু একবার মেনে নাও যে আমি শুধু তোমার 😥🥀💔
11/03/2025

অভ্রনীল আমি সত্যিই সারাটা জীবন তোমার সাথে থাকতে চাই 😭 তুমি শুধু একবার মেনে নাও যে আমি শুধু তোমার 😥🥀💔

Address

Feni
Barisāl

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Najmun Nahar Samiya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share