08/06/2025
ওলামা বাজার মাদ্রাসার চামড়ার ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও প্রচার হওয়ার কারণে বিভিন্ন দিক থেকে ফোন আসতেছে অনেকেই বাস্তবতা জানতে চাচ্ছে এবং অনেকের মাঝে বিভ্রান্তীও ছড়াচ্ছে বা ছড়ানো হচ্ছে, এজন্য নিচের এই তথ্যগুলো প্রদান করা হলো-
-------------------------------------------------------------------------
গতকাল ঈদুল আযহার দিন মাগরিবের আগেই ফেনীর এক ব্যবসায়ীর সাথে মাদ্রাসার দায়িত্বশীল হযরতগণের এই মর্মে চুক্তি হয়েছে যে ,মাদ্রাসার ৮০০চামড়া সবগুলোই সে নিবে, প্রতি পিস ৪৭০ করে, মাগরিবের পর থেকে সে চামড়াগুলো নেওয়ার জন্য গাড়ি পাঠাবে পাঠাচ্ছে এইভাবে বারবার সে কথা দিয়েছে, এমনকি যখন তার গাড়ি পাঠাতে দেরি হচ্ছে , মাদ্রাসার মুহতারাম দায়িত্বশীলগণ অনবরত যোগাযোগ করতেছেন তখন সে এক পর্যায়ে বললো ,আপনাদের সাথে চামড়া কেনার চুক্তি যখন হয়েছে সেটার রিক্স আমি নিব, আমি অবশ্যই যে কোন মূল্যে চামড়াগুলো আনার ব্যবস্থা করব, এদিকে ওই লোকটি মাদ্রাসার পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি এবং মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের হিতাকাঙ্খী ও দানশীল ব্যক্তি, এজন্য মাদ্রাসার মুহতারাম দায়িত্বশীলগণ আর অন্য কোনো ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলার জরুরত মনে করেননি, দায়িত্বশীলদের মধ্যে কয়েকজন এই চামড়াগুলো না নেওয়ার কারণে সারারাত মাদ্রাসার অফিসেই নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছেন,
এভাবে রাত গড়িয়ে যখন ঘড়ির কাঁটা একটা- দুইটা অতিক্রম করেছে তখন ওই ব্যবসায়ী বলে - আমি একটা গাঢ়ির ব্যবস্থা করেছি সেটা আসতেছে আপনারা আরো দুই তিনটা গাড়ি ব্যবস্থা করে মালগুলো পাঠিয়ে দেন ফেনীতে, অতঃপর সেভাবেই করা হলো- তাদের একটা গাড়ি আর মাদ্রাসা থেকে কয়েকটি গাড়ি দিয়ে চামড়াগুলো ফেনিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের কয়েকজন দায়িত্বশীল উস্তাজ স্বশরীরে ফেনীতে তাদের দোকানে গিয়েছে, উনারা যাওয়ার পর সেখানের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক দেখেছেন, বিভিন্ন মাদ্রাসার মুহতামিমগণ অসহায় অবস্থায় চামড়া নিয়ে পেরেশানি করতেছেন ,কেউ ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না এবং কেউ বিক্রি করতে পারতেছে না,
কিন্তু দুঃখের কথা হলো ওই ব্যবসায়ী সবগুলো চামড়া নেওয়ার ওয়াদা বারবার করলেও আমাদের দায়িত্বশীলগণ মাদ্রাসায় চলে আসার পরে এক গাড়ির মাল রেখেছে, বাকি গাড়িগুলোর চামড়া মাদ্রাসায় রিটার্ন পাঠিয়েছে ,সে অপারগতা প্রকাশ করেছে যে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে তার দোকানে ধারনক্ষমতার বাহিরে মাল এসে গেছে ,শ্রমিক পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই এবং লবণও পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই, সব ফুরিয়ে গিয়েছে এই বলে অপারগতা প্রকাশ করে মালগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে,
যে গাড়ির মাল সে রেখেছে সেখানে ৩০০ চামড়া ছিল
----- --------------------------------------
এই দুর্দশা ও চরম ভোগান্তি আমাদের ফেনী শহরেরও অনেক মাদ্রাসায় হয়েছে, এমন কি আমাদের সোনাগাজিতেও কয়েকটি বড় মাদ্রাসায় এই চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে