Strawberry and Tomato

22/06/2025

09/06/2025

Golpo ki caw??

09/06/2025

Kmn acho Sobai

26/04/2025

ায়াবিনীর_প্রেমে
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা
#পর্ব:৬

** পূর্ব দিগন্তে সূর্যের আলো দেখা দিচ্ছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুরু হয়ে গেছে। সকালের মিষ্টি আবহাওয়ার দেখা মিলেছে। পাখির কলকাকলি আর মিষ্টি গান আহ্বান জানিয়েছে সকাল হয়ে গেছে। সূর্যের আলো যেন জীবনের প্রেরণা, যা আমাদের জীবনের চলার পথ আলোকিত করে।

" বেঘোরে বেডের উপর ঘুমিয়ে রয়েছে রিফাত। উনমুক্ত শরীর দেখা যাচ্ছে । ঘরে এসি চলছে। তাই কোমর পর্যন্ত কম্বল দিয়ে ঢাকা তার।

" লিপি বেগম ঘুম থেকে উঠে কিচেনে চলে গেছেন। আজ অনেক বেলা হয়ে গেছে তার। প্রায় সকল দিনই তার খুব ভোরে উঠা হয়। একটু হাঁটা হয় কিন্তু আজ উঠেই নাস্তা বানানোর জন্য লেগে পড়তে হয়েছে। লিপি বেগমের সাথে হেলপিং হেন্ড রয়েছে দুইজন। তারা তাকে কাজে সাহায্য করছে।

" একটু দ্রুত কাজ করো তোমরা। বেলা নয়টা ত্রিশ বাজে। একটু পরই রিফাত আর আলিয়া খেতে আসবে।[ লিপি ]

" ঠিক আছে ম্যাম।

________________________________________
" আ্যলার্ম এর শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো রিফাতের। সকাল দশটা। দাঁত ব্রাশ করতে করতে রিফাত তুপশাকে এসএমএস দেয়,

" গুড মর্নিং। উঠে ব্রেকফাস্ট করে নিয়ো। তারপর আমায় একটা কল দিয়ো। বায়। এই বলে রিফাত ব্রেকফাস্ট করতে গেল।

" দুপুর ১২ টা। টুং করে রিফাতের ফোনে একটা এসএমএস আসলে। রিফাত দেখলো এটা আর কেউ নয় ওই অচেনা সেই ছেলেটির এসএমএস।

" ফোনের স্ক্রিনে ফেসে উঠলো,

" আজ বিকেল ৪ টায় আসিস কিন্তু, আবার ভয় পেয়ে বসে থাকিসনা যেন। [ অচেনা ছেলেটি ]

" আমিতো আসবো। কিন্তু তুই তোর মায়ের সাথে আজ একটু আাসার আগ পর্যন্ত থাকিস। আজ কোন মায়ের কোল খালি হতে পারে। বাই দা ওয়ে আসিস। [ এই বলে রিফাত ফোনটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো]

"তারপর তোয়ালে নিয়ে লং সাওয়ার নিতে গেলো।
রিফাত নিতান্তই একজন বাথরুম সিঙ্গার। সাওয়ার নিতে নিতে রিফাত গান ধরলো।

“তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো
ভোরের রং রাতে মিশে কালো
কাঠ গোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো।

তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো
ভোরের রং রাতে মিশে কালো
কাঠ গোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো।

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা..
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

তোমায় ঘিরে এতগুলো রাত অধীর হয়ে জেগে থাকা
তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা ।
আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে
ভালোবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা ।

তোমায় ঘিরে এতগুলো রাত অধীর হয়ে জেগে থাকা
তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা ।
আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে
ভালোবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা ।

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।”

গান শেষ হওয়া মাত্রই ওয়াশরুমের দরজায় টোঁকা পড়ে।

" এই ভাইয়া ঈশিতা আপু এসেছে। তোর সঙ্গে কথা বলবে তাড়াতাড়ি বের হ। [ আলিয়া ]

" ওই বা*ল*টা*র আবার কি দরকার। আমি তাড়াতাড়ি বের হতে পারবো না। ওকে চলে যেতে বল।[ রিফাত ]

" কিন্তু ভাইয়া ই.. সম্পূর্ন কথা শেষ করার আগেই রিফাত বললো

" বেশি কথা পছন্দ না আমার জানিস তো। যা বলেছি তাই কর"[রিফাত ]
"আচ্ছা [ আলিয়া ]

* দীর্ঘ পয়তাল্লিশ মিনিট সাওয়ার নেয়ার পর রিফাত তোয়ালে পড়ে বের হলো।

" রুমে আসা মাত্রই রিফাত হতভাগ।

" এই অসভ্য মেয়ে এখান থেকে যা বলছি। কোন সাহসে আমার বেডরুমে আমার পারমিশন ছাড়া ঢুকিস।
গেট আউট। [ রিফাত ]

"ঈশিতা গভীর মনযোগে রিফাতকে দেখছে। খালি গায়ে প্রস্থ বক্ষের উপর দুটো তিল। পা ভর্তী লোম। চুলগুলো চুপসে পানি পড়ছে। ঠোঁট দুটো গোলাপি। রিফাতের কথাগুলো ঈশিতার কান পর্যন্তও পৌঁছালো না।

" এর মধ্যেই ঠাস ঠাস দুটো চড় মারার শব্দ হলো। ঈশিতা হতভম্ব হয়ে গাল চেপে দাঁড়িয়ে আছে।
" রিফাত বললো গেট আউট। আই ক্যান নট সি ইউ এনিমোর, স্টুপিড! এই বলে রিফাত ঈশিতাকে ধাক্কা দিয়ে রুমের বাহিরে বের করে দেয় এবং দরজা লক করে দেয়।

" ধাক্কা সামলাতে না পেরে ইশিতা পড়ে যায় ফ্লোরে। ফলে, তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। টাইলস এর উপর পড়ায় ইশিতা গুরুতর আঘাত পায় এবং মূহুর্তেই জ্ঞান হারায়।আলিয়া এরকম পরিস্থিতি দেখে দৌড়ে এসে বাড়ির সকলকে ডাকতে থাকে।

" তুপশা রিফাত কে এসএমএস করে। রিফাত দেখলো একটা চিরকুট "একদিন ঠিক ওই আকাশের তাঁরার মতো হারিয়ে যাবো"

"ছুঁতে কভু পারবেনা"

"অনেক দূরে হারিয়ে যাবো"

"কেউ তোমাকে আর জোড় করবে না" 🫠❤️‍🩹

ায়াবিনীর_প্রেমে
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

[ চলবে। সবাই রেসপন্স করবেন। ]
পেজের লিন্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিঙ্ক :

https://facebook.com/groups/942557450516785

আইডি লিঙ্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451
★ আপনাদের জীবনের কোনো গল্প থাকলে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
[ হেপি রিডিং ]

14/04/2025

ায়াবিনীর_প্রেমে
#পর্ব_৫
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

" ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে আসলো একটি ছেলের কন্ঠ।

"হ্যালো।

"হুম, কে বলছেন?

" আপনি কি রিফাত খান।

" হ্যাঁ, কি চাই?

" তুপশা আপনার কি হয়?

" বউ কেনো?

" ও শুধু আমার। ওর দিকে নজর দিবি না।

" কে তুই? ঠিক মতো কথা বল।

" আমি কে জানার দরকার নেই। যেটা বলছি মনে রাখিস।

" আরে ভাই, তুই কে?

" আমি কে সেটা জানার প্রয়োজন নেই তোর।

" ও আচ্ছা। শোন তুপশা আমার বউ, ওকে আমি যা করি তাতে তোর দরকার নেই।

" বেশি করবি না একদম।

" ধুর, তোদের মতো ছেলেদের আমি ঠ্যাং ভেঙ্গে চলে আসি। ফালতু বকবক করিস না!

" আচ্ছা, তাহলে কাল দেখা কর বিকেলে। দেখব কে কাকে কি করে!

" আচ্ছা। কোথায় দেখা করবি?

" ত্রিশ গোডাউন করি।

" আচ্ছা আসিস কিন্তু। বিকেল ৪ টায় আমি থাকব।ওকে টাটা।

" এই বলে রিফাত কল কেটে দেয়।
" কল রেখে রিফাত সিগারেট ধরায়। সিগারেট এর ধোয়া টানতে টানতে ভাবে কার এতো সাহস যে তাকে হুমকি দেয়।
___________________________________________
"সন্ধ্যা নেমেছে ধরনী ধীরে ধীরে আকাশের লাল আভা থেকে অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে আজানের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পাখিরাও তাঁদের গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে। বাহিরে হালকা বাতাস দেখা দিচ্ছে এ যেনো কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস।

" চা নিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করছে রিফাত। হঠাৎ মেসেজের টুংটাং শব্দে বেশ বিরক্ত হলো রিফাত। কিন্তু যখন স্ক্রিনে ভেসে এলো তুপশার এসএমএস তখনই আবার বিরক্তিটা নিমিষেই মিলিয়ে যায়।

" কি করো জান। [ তুপশা ]
" বসে আছি, তুমি কি করো?[ রিফাত]
" এইতো বসে। নাস্তা করছো?
"হুম। তুমি করছো?
" হ্যাঁ।
" আচ্ছা তুপশা শোনো আমি একটু বিজি পরে কথা হবে।
" ওকে। ঠিক আছে। টাটা
" টাটা
____________________________

★ ঘড়িতে রাত ১২ টা। সবে মাত্র বাসায় ঢুকলে রিফাত। বাহিরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।বাসার সবাই ঘুমাচ্ছে। রিফাত বেডরুমে যেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর লং সাওয়ার এ যায়। রাতে রিফাতের সাওয়ার নেয়া নতুন নয়। লং সাওয়ার শেষ করে এক কাপ কফি নিয়ে বেলকনিতে যায় রিফাত। হালকা বাতাস ও ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি + কানে ইয়ার ফোন ও পছন্দের গান+ গরম গরম কফি। বেপারটা বেশ জমে যায়। কফির কাপে চুমুক দিয়ে রিফাত গাইতে থাকে,
Teri khataa hai mere jiyaa
Un pe bharosa kyuun tune kiya
Sab jhoothe jhoothe vaade the unke
Chal peechhe peechhe aayaa tu jin ke
Wo piyaa aaye naa
Piyaa aaye na wo piyaa aaye naa
Ab sab hi un khwaabon ki tu dagar chhod de
Ab sab hi un khwaabon ko tu khud hi tod de
Woh piya aaye na

Teri khataa hai mere jiyaa..

Har khataa kee hotee hai koi na koi sazaa
Gham likhe hon kismat mein to ban hee jaatee wajah
Ab sabhi gham ashqon mein simat se gaye
Ab sabhi aansoo palkon se lipat se gaye
Woh piya aaye na..
Sach lagaa thaa jo be-vajah hum ko
wo bharam ho gaya hai
Mod aane the jis fasaane mein
Wo khatam ho gayaa
Bhoole hum bhoole wo
Kaise sab se kahein baat ye..
Ab chalo hum dheere dheere bihal se gaye
Ab chalo hum jaise bhi ho sambhal se gaye
Woh piya aaye na.. wo o.. piya aaye na..
Teri khata hai mere jiya
Un pe bharosaa kyun tune kiyaa
★ বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমে আসছে। রিফাতও ঘুমানোর জন্য বেড রুমের দিকে পা বাড়ায়।

" বিছানায় শুয়ে আপন মনে রিফাত বিরবির করে বলছে, বালের এই ওয়েদারে বউ ছাড়া ঘুমানো যায়। আমার কষ্ট আব্বু আম্মু বুঝলো না। বুঝলে বউটাকে এনে দিতো। এই বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে কোল বালিস জড়িয়ে শুয়ে পড়ে রিফাত। আর মনে মনে আওরায় আর কতদিন এই ভাবে নকল বউ নিয়ে ঘুমাবো।
" মামু এভাবেই কাটবে কি তবে!
[ চলবে। সবাই রেসপন্স করবেন। ]
পেজের লিন্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিঙ্ক :

https://facebook.com/groups/942557450516785

আইডি লিঙ্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451
★ আপনাদের জীবনের কোনো গল্প থাকলে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
[ হেপি রিডিং ]

09/04/2025

ায়াবিনীর_প্রেমে
# পর্ব_৪
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

" রাত দশটা শাহিন মিঞা সবে মাত্র বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বসেছেন। তুপশা শাহিন মিঞার পাশে ঘুরঘুর করছে।

" কিরে কিছু বলবি? [ শাহিন ]

" হ্যাঁ, আসলে বা -বাবা। এতটুকু বলে তুপশা ঢোক গিলে।

" কি বলবি? বল।

" একটা অপরিচিত নাম্বার দিয়ে ক- কল আসে। একটা ছে- ছেলে ক- কল দিয়েছিলো।

" ওহ্ তারপর। ছেলেটি কে?

" চি- চিনি না। তোমায় খুজছিলো। কল করতে বলছে তোমায়। কথাগুলো তুপশা এক নিশ্বাসে বললো।

" ওহ্ নাম্বার টা দে।

" ওকে। ০১৯৪.....৩২

" আচ্ছা। তুই যা এবার।

______________________________
" সবাই রাতের খাবার খেয়ে আড্ডাতে বসেছে।

" আচ্ছা, তুপশা ওই নাম্বারে কল দিতে ভুলেই গেছি। এখন দেই। কি বল! [ শাহিন মিঞা ]

" হুম আব্বু দেও।

" আচ্ছা। রিং হচ্ছে। ওপাশ থেকে একটা পুরুষালি কন্ঠ স্বরে ভেসে উঠলো।

" আসসালামু আলাইকুম।

" ওয়ালাইকুম সালাম।

" কিছু না মনে করলে জানতে পারি আপনি কে?

" আমি শাহিন মিঞা। আপনি নাকি আমায় কল করে খুঁজছিলেন।

" ওহ্ হ্যাঁ। আসলে আংকেল আমি আপনার ছেলের বয়সি। কিছু জরুরি কথা ছিলো যা ফোনে বলা সম্ভব নয়। আপনি চাইলে আপনার বাসায় আসতাম।

" আচ্ছা। কবে আর কখন আসবেনা?

" কালকে বিকেলে।

" আচ্ছা। বরিশাল বিএম কলেজের পিছনে বাসা।

" আচ্ছা আংকেল। ভালো থাকবেন রাখি।

" আচ্ছা।

" কলটি কেটে ফেনটি সাইডে রাখলেন শাহিন মিঞা।

" কি বললো আব্বু?

" দেখা করতে চায়, জরুরি কথা আছে।

" ওহ্।

" হুম, তুই এবার সুয়ে পড় যা।

" আচ্ছা, বলে তুপশা ঘুমোতে চলে গেলো।

_____________________________________

"রাত বারোটা রিফাত শুয়ে আছে আর সিগারেট খাচ্ছে।

" এর মধ্যেই ঈশিতার কল আসে, রিফাত ফোনের দিকে তাকিয়ে স্কিনে ঈশিতার নাম্বার দেখে ফোনরা সাইলেন্ট করে সাইডে রেখে দেয়।

" ফালতু বকবকানি শুনতে ইচ্ছে হয় না রিফাতের।।

" এভাবেই একের পর এক সিগারেট খেতে খেতে আর গান শুনতে শুনতে পার হয়ে যায় রাত তিনটা। অবশ্য রিফাতের জন্য এটা নতুন নয়।

" রিফাত ওয়াশরুমে যায় তারপর এসে শুয়ে পড়ে।

_______________________________________

" নিত্যদিনের মতোই তুপশা সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়তে যায়। পড়া শেষে আবার স্কুলে যায়। এভাবেই চলতে থাকে দিনটা।

" স্কুল শেষ করে বাড়ি ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লো তুপশা।

" এর মধ্যেই কলিং বেল বাজলো, তুপশা দরজা খুলতে যায়। দরজা খুলে দেখে একজন লোক দাড়ানো হালকা খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। শ্যাম বর্ণের।

" আসসালামু আলাইকুম। [ তুপশা ]

" ওয়ালাইকুম সালাম। [ লোকটি ]

" কাকে খুঁজছেন।

" আসলে আমি কালকে কল করেছিলাম। তুমিতো তুপশা তাই না।

" হুম, ও আচ্ছা ভিতরে আসুন।

" আচ্ছা।

" হুম, এখানে বসুন আমি বাবাকে ডেকে দিচ্ছি।

" আচ্ছা।

" আব্বু কালকে যে লোকটি আসার কথা বলেছিলো সে এসেছে।

" আচ্ছা। আমি দেখছি এই বলে শাহিন মিঞা সোফা রুমে প্রবেশ করলেন।

" আসসালামু আলাইকুম। [ লোকটি]

" ওয়ালাইকুম সালাম

" কেমন আছেন?

" আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি?

" আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

" তোমার নাম কি, তাই তো জানা হলো না?

" আমার নাম রাফিন।

" ওহ্ আচ্ছা। এর মধ্যেই আয়শা বেগম নাস্তা দিয়ে যান। শাহিন মিঞা বলেন, রাফিন আগে একটু নাস্তা করে নেও তারপর আস্তে আস্তে কথা বলি।

" আরেহ্ আংকেল এগুলোর তো দরকার ছিলো না।

" আরেহ্ নেও তো তুমি।

" আচ্ছা।

" কি কথা বলবে?

" আমার বাবা এই শহরের বিজনেস ম্যান মিজান চৌধুরী।

" ওহ্ আচ্ছা।

" হ্যাঁ। আব্বু একদিন আপনার সাথে দেখা করতে চায়।

" ওহ্। কবে আর কোন জায়গায়?

" পরশু দিন। বরিশালে।

" আচ্ছা।

" রাফিন তারপর চলে যায়।

_____________________________________

" রিফাত তুপশাকে কল করছে কিন্তু কল রিসিভ হচ্ছে না।

" কিছুক্ষন পর তুপশা কল রিসিভ করলো আর ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো

" হ্যালো

" এতক্ষন কি করছো তুই?

" কে?

" তোর জামাই। কই ছিলি?

" ঘুমে। এতো রাতে কল করেছ কেন?

" আমি তোর বেলকনিতে। তাড়াতাড়ি দরজা খোল। নাহলে তোর খবর আছে।

" তুপশা ধাপ করে বিছানা থেকে উঠে বলে কি?

" হুম। তাড়াতাড়ি দরজা খোল লোকজন দেখলে তোর ই সমস্যা হবে।

" খু খু খু খুলছি। তুপশা দরজা খুলে দেয়।
দরজা খুলা মাত্রই রিফাত দরজা বন্ধ করে দেয় আর বলে।

" আস্তে বউ কথা বলে না, ভোর হওয়ার আগেই চলে যাবো।

" এখানে এ এ এসেছেন কেনো?

" বউ এর কাছে আসে কিসের জন্য। গাধা তাও জানো না।

" থামুন কেউ দেখলে খবর আছে আমার।0

" চুপ কেউ দেখবে না।

" তুপশা আর রিফাতকে আটকায় না কারন, আটকাতে গেলে বড় ঝামেলা হবে।

" এখন শুধু রোমান্স করবো এই বলে রিফাত তুপশার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দেয়। তুপশাও আর বাঁধা দিতে পারেনা। কারন সেও রিফাতকে ভালোবেসে ফেলেছে, আর এখন সে চেঁচামেচি করলে যদি বড়ো সমস্যা হয়। তুপশা রিফাতের রাগ সম্পর্কে ভালোই অবগত।


" ভোর চারটা, রিফাত তুপশাকে বলে

" আমি এবার যাবো। ঘুমিয়ে পড়। আবার কাউকে বলদের মতো সব বলিস না।

" আ আ আচ্ছা। চলে যান।

" হুম। তারপর রিফাত তুপশাকে কিস করে বলে যাই ঘুমা তুই।

" তুপশা বলে হুম।

" রিফাত চলে যাওয়ার পর তুপশা সব কাহিনি ভাবে আর চোখের জল ফেলে। সে কি অনেক বড় ভূল করে ফেললো নাকি!
_________________________________

" বাসায় এসে অর্ণব ঘুমিয়ে পড়েছিলো এখন বাজে সকাল দশটা। আলিয়া রিফাতকে ডাকছে ঘুম ভাঙ্গেতে।

" ওই ভাইয়া ওঠ তাড়াতাড়ি। নাস্তা করবি না।

" হুম, আর একটু ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো।

" আচ্ছা। এভাবেই কেটে যায় বিশ মিনিট রিফাতের ওঠার নাম নেই। আলিয়া আবার ডাকলো ওই ওঠ নাস্তা করবি না। অনেক ডাকাডাকির পড়ে রিফাত উঠে ফ্রেশ হতে গেলো।

" খাবার টেবিলে রিফাত, আলিয়া ও লিপি বেগম।

" কাল রাতে কোথায় ছিলি? [ লিপি ]

" বউয়ের কাছে, কেন বলেই তো গিয়েছি।

" লিপি বেগম আর কিছু বললেন না। কারন তার ছেলের কথার ঠিক নেই কি বলতে কি বলে দেয়।

" এর মধ্যেই রিফাতের কল আসে........

[ চলবে, সবাই রেসপন্স করবেন ধন্যবাদ। ]

আইডি লিঙ্ক : https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451

পেজের লিঙ্ক : https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিঙ্ক : https://facebook.com/groups/942557450516785

09/04/2025

★আজ সন্ধ্যা ৭ টায় আসবে।
ায়াবিনীর_প্রেমে
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

★সবাই রেসপন্স করবেন, ধন্যবাদ।🥹

08/04/2025

ায়াবিনীর_প্রেমে
#পর্ব_৩
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

"আমি শশুর, আপনার হবু মেয়ের জামাই" ( রিফাত)

"বাঁদর ছেলে, এই মাঝরাতে কি"?

'একটু বউকে দেখতে এসেছিলাম!"

"যাও এখান থেকে। বেয়াদব ছেলে"। [ এই বলে শাহিন মিঞা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়]

" ওই শশুর দরজা খুলুন।

" ভিতর থেকে কোনো শব্দ আসে না।

" সকাল হয়ে গেছে। শাহিন মিঞা ঘরের দরজা খুলেন আর বিরবির করে বলেন,

" বাঁদরটা গেলো।"

" কিন্তু এর মধ্যেই তার ভাবনায় ঘি ঢেলে দেখা মিললো রিফাত এর। কি শশুর, ভাবছিলেন চলে যাব? এমনটা হবে না, আাপনার মেয়েকে বলে দিয়েন " সাজান জি ঘার আয়ে" গান বাজাতে বাজাতে বিয়ে করবো।

" বেয়াদব ছেলে। আজকে তোমার বাবার কাছে যাবো, কি শিক্ষা দিয়েছে শুনবো।

" রিফাত ভেংচি কেটে চলে যায়।

" বেয়াদব! দেখবে কি করি আজ।

" রিফাত তাকে পাত্তা না দিয়ে চুল ঝাঁকড়াতে ঝাঁকড়াতে চলে যায়।

__________________________________

" শাহিন মিঞা বসে আছেন জাকির খানের বাসায়। রিফাতকে কল দেওয়া হয়েছে সে কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বাসায় আসছে।

" আমার ছেলেটা বড্ড দুষ্ট। আদরের ছেলে বুঝেনই তো। ওর ভুল হয়েছে। আমি ওর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। ( জকির )

" আপনার ছেলে রাতের বেলায়ও জ্বালায়। এরপরও বলেন ক্ষমা করতে। এরপর এমন করলে পুলিশে দিবো।

" আপনি পানি খান। প্লিজ মাথা ঠান্ডা করুন। ( লিপি)

" আমার মাথা ঠান্ডা আছে। আপনার সেই কুলাঙ্গার ছেলেকে এবার ডাকুন।

" হেই ড্যাড, আই এম হিয়ার। হোয়্যাটস দা প্রবলেম? আরেহ্ শশুর আপনি এখানে কেন?

" কি করেছো তুমি? রাতে কেন ডিসট্রাব করেছো?

" আসলে ড্যাড, আমি বউকে দেখতে গিয়েছি। উনিই অমন করলেন।

" বেয়াদব ছেলে মেরে তোর দাঁত ফেলে দিবো। [ আদরের ছেলেকে কঠোর কথা শোনাতে কষ্ট হয় জাকির খান এর]

" রিফাত সামনে থাকা টেবিল জোরে ঘুসি মেরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

" জাকির খান দেখেও ছেলেকে আটকান না।

" শাহিন মিঞা শুধু বলেন, এইবার কিছু করলাম না, পরের বার এমন হলে আইনি ব্যবস্থা নিবো। এই বলে শাহিন মিঞা ঘর থেকে বের হয়ে যান।

" জাকির খান ও লিপি বেগম তার যাওয়ার দিকে দৃষ্টি করে রাখেন।

_________________________________

" বিকেলে বাহিরে বসে সিগারেট খাচ্ছে রিফাত আর আড্ডা দিচ্ছে। এর মধ্যেই দেখা মিললো তুপশার। তুপশা প্রাইভেট পড়ে বাসায় যাচ্ছিলো। রিফাত তুপশাকে দেখে ডাক দেয়।

" ওই বউ দাড়াও।

" ক ক কি হয়েছে! আমায় ডাকছেন কেন?

" তোকে আদর করবো তাই। শোন এইদিকে।

" বাজে কথা বলবেন না।

" এদিকে আসো কিউট ডাইনি টা।

" কে কিউট ডাইনি? রাগান্বিত স্বরে বললো তুপশা।

" তুই পিচ্চি শোন। তোর ওই বুড়ো বাবাটাকে বলিস তার সামনে তোকে কিস করবো আর তুলে নিয়ে যাবো। সে যেনো পারলে আটকায়।

" তুপশা আর কিছু না বলে হাঁটা দেয়।

____________________________________

" রাত বারোটা রিফাত এখন বাসায় ডুকলো। সেই সকালে বেরিয়েছে। মাত্র আসলো। লিপি বেগম রিফাতের জন্য অপেক্ষা করছিলো।

" এতক্ষণে আসার সময় হলো, সেই সকালে বেরিয়েছিস। তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে আয় খেয়ে নে।

" আচ্ছা আম্মু।

" রিফাত ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে আসে। তুমি খেয়েছো আম্মু?

" না, তোর জন্য অপেক্ষা করেছি।

" কি বলো, কেন খাও নি, তাড়াতাড়ি বসো।

" তুই আগে খেয়ে নে।

" না তুমিও বসো।

" আচ্ছা।

" খেতে থাকলো দুজন। রিফাতের খাওয়ার শেষ পর্যায় এর মধ্যেই লিপি বেগম বলেন।

" ওই মেয়ের পিছনে ঘুরতে তোর বাবা বারন করেছে। ওই মেয়ের সাথে আমাদের যায় না। আর ঘুরবি না কেমন!

" দেখো আম্মু, আজ পর্যন্ত আমার যা ভালো লেগেছে তাই করেছি। কারো বারণ শুনিনি। সো, যাই বলো কাজ হবে না। আমি আমার মতো।

" কি আর বলবো তোকে। বলে লিপি বেগম দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলেন।

" তুপশা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এখনো বই পড়ছে। আয়শা বেগম তুপশার রুমে আসেন।

" এখন শুয়ে পড়, আবার কাল সকালে পড়বি।

" আচ্ছা আম্মু।

" হুম, যা আমি লাইট ওফ করে দেই।

" আচ্ছা, তুপশা শুয়ে পড়ে। আয়শা বেগম লাইট ওফ করে দিয়ে চলে যান।

" তুপশা বিছানার এপাশ ওপাশ করছে। ঘুম আসছে না তার। রিফাতের কথা মাথয় ঘুরছে। আসলেই কি তাকে ভালোবাসে রিফাত! সে ও কি ভালোবেসে ফেলেছে? এই ভাবতে ভাবতে তুপশা ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক লগইন করে। তারপর রিফাতের ছবি বের করে দেখতে দেখতে ছবি বুকে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে।

" সকাল হয়ে গেছে, আয়শা বেগম তুপশাকে ডাকছেন। এই তুপশা ওঠ। আজ তো নতুন বাসায় যেতে হবে।

" তুপশা ঘুম ঘুম স্বরে বললো, হুম আম্মু উঠছি।

" তুপশা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে নতুন বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।

" আগেই সব জিনিস এনে রাখা হয় বাসায়, কিন্তু টুকিটাকি কাজ গুলোতে তুপশা আয়শা বেগমের সাথে সাহায্য করে।

" সন্ধ্যা সাতটা। সব ঠিকঠাক করে গোসল করে খেতে খেতে সাতটা বেজে গেছে।

" তুপশা শুয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো অপরিচিত নাম্বারে তিনটি মিস কল দেওয়া। নাম্বারটি রিফাতেরও নয়।

" এর মধ্যেই ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠে আবার সেই নাম্বার। আবারও কল দিচ্ছে। তুপশা কলটা ধরে কানের কাছে নিলো। ওইদিক থেকে একটি পুরুষালি কন্ঠ ভেসে আসলো।

" হ্যালো, শাহিন মিঞার নাম্বার এটা?

" জ্বি, না, আমি তার মেয়ে। কেন?

" আসলে তাকে একটু দরকার।

" আচ্ছা বাবা আসলে কল দিবো।

" ওকে। তোমার নাম কি?

" তুপশা।

" আচ্ছা। মনে করে কল দিও।

" আচ্ছা।

[ চলবে, সবাই রেসপন্স করবেন ধন্যবাদ। ]

পেজের লিন্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিঙ্ক :

https://facebook.com/groups/942557450516785

আইডি লিঙ্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451

08/04/2025

#জমিদার_বাড়ি
#পর্ব_১৪
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

" আমি খাবো না। [ অতসী ]
" ভেবে নে একবার, আর পাবি না।
" আমি খাবো না নিয়ে যান।
" লোকটি কিছু বললো না অতসীর হাত মুখ বেঁধে দিয়ে চলে গেল।

" বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়ার দেখা নেই। অভি অতসীকে খুঁজে যাচ্ছে পাগলের মতো। এই ঝুম বৃষ্টিতেও অভি পাগলের মতো অতসীকে খুঁজছে। কিন্তু অতসীর দেখা কোথাও পাওয়া গেলো না।

" সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলো অতসীর খোঁজ না পেয়ে অভি রাস্তায় বসে পড়লো নিজের চুল দু-হাত দিয়ে টানটে টানটে কান্না করতে থাকলো আর বললো কেন আমি ওকে একা রেখে গেলাম। এই নগরী যেন শান্ত হয়ে গেছে, প্রকৃতিও যেও কিছু হারানোর শোক অনুভব করছে।

" রাত বারোটা বাজে, অভি রাস্তার মোড়ের কোনে একটি বেঞ্চে বসে রয়েছে। আর আনমনে ভাবছে অতসীর কথা আর বিরবির করছে, অতসী তুমি কোথায়? আমি তোমায় পাচ্ছি না খুঁজে! এর মধ্যেই অভির ফোনে একটা কল আসে। নাম্বারটা অপরিচিত। অভি কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একটি কন্ঠ ভেসে আসে। লোকটি বলে
" অতসী আমার কাছে আছে। যদি বাঁচাতে চাস পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দেখা কর। সময় এক ঘন্টা।

" কো কো কোথায় দেখা করবো? [ অভি ]
" উওর বাড্ডা ১৬৫ নম্বর ৫ তলির মোড় দেখা কর।
" আচ্ছা। শুনো অতসী ঠিক আছে?

" এর মধ্যেই কল কেটে যায়। অভি দেড়ি না করে তাড়াতাড়ি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে গন্তব্যে রওয়ানা দেয়।

" অভিকে যে জায়গায় টাকা রাখার কথা বলা হয়েছিল ওখানে অভি টাকা রেখে দেয়। এর মধ্যে অভির ফোনে কল আসে ওপাশ থেকে লোকটি বলে

" তোর বাসার রোডে অতসীকে ছেড়ে দিয়েছি।

" তারপর কলটি কেটে যায়। অভি তাড়াতাড়ি করে চলে যায়। অতসীর হাত-মুখ চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তার এক পাশে পড়ে আছে।

" অভি তাড়াতাড়ি দৌড়ে অতসীর কাছে যায় হাত মুখের বাঁধা খুলে দিয়ে অতসীর দুই বাহু ধরে ঝাকিয়ে বলে।

" ঠিক আছো তুমি।

" হ্যাঁ ঠিক আছি। আপনি ঠিক আছেন তো।

" হ্যাঁ আমি ঠিক আছি বলে অতসীকে জড়িয়ে ধরে। আর বলে জানো আমি তোমায় কতো খুঁজেছি। পাগলের৷ মতো হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমায় পাইনি।

" অতসী বলে সরি।

" আচ্ছা এবার বাসায় চলো বাকিটা বাসায় গিয়ে বলবে।

" আচ্ছা।

______________________________________

" অতসী বসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসলো। এর মধ্যেই অভি সুন্দর করে ভাত বেড়ে নিয়ে এসেছে অতসীর জন্য।

অতসী: এগুলো করলেন কখন।

অভি: তুমি যখন ফ্রেশ হতে গিয়েছো পাশের দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসলাম। আজ একটু কষ্ট করে এগুলোই খাও।

অতসী: ধুর, আপনিও না।

অভি: হুম এবার অনেক হয়েছে, হা করো।

অতসী : হুম।

অভি: ওখানে খুব কষ্ট হয়েছে তাই না।

অতসী : একটু। আচ্ছা আপনিও খান না। শুধু তো আমাকেই খায়িয়ে চলছেন।

অভি: আমিও খাচ্ছি। আগে তোমায় খায়িয়ে নেই।

অতসী: না, আপনিও খান বলছি! নাহলে রেগে যাবো।

অভি: আচ্ছা আমার রাগি রানি আমিও খাচ্ছি।
______________________________

এভাবেই কেটে গেল ২ মাস।
" আজকাল অতসীর শরীর ভালো যাচ্ছে না। মাথা ব্যাথা, বমি, গা গুলানো, শরীর দূর্বল লাগা শুরু করেছে। চেহারায় ও বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। কিছু খেতে পারছেনা বেশ কিছুদিন ধরে। অভিও ভাবছে আজ অতসীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবে।

অভি: অতসী আজ তোমাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাবো।

অতসী: কেনো?

অভি: কিছু খেতে পারছো না, অসুস্থ তাই। শোনো বিকেল ৫ টায় ডাক্তার বসবে। তুমি রেডি হয়ে থেকো। আমি অফিস থেকে এসে নিয়ে যাবো।

অতসী: আচ্ছা।
অভি: হুম। সাবধানে থেকো। আমি আসি।

"এই বলে অভি আফিস এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলো।

_______________________________________

" বিকেল ৪টা। অভি অতসীকে কল করলো দুটো রিং হতেই ওপাশ থেকে অতসী বললো
" হ্যালো
" হুম, অতসী।
" জ্বি বলুন
" খেয়েছো দুপুরে।
" হুম, আপনি?
" হ্যাঁ খেয়েছি। শোনো আর ৩০ মিনিট এর মধ্যে আমি এসে পড়বো। তুমি বোরখা পরে রেডি হয়ে নাও।
" আচ্ছা ঠিকাছে। তাহলে রাখি?
" হুম।

____________________________________
ফোন রেখে অতসী রেডি হয়ে নিলো। এর মধ্যে কলিং বেল বেজে ওঠে। অতসী খুলে দেখলো অভি।

" তুমি রেডি তো? ( অভি)
" হুম। এখনই বের হবেন।
" হ্যাঁ, তাহলে চলো।
তারপর নিজেদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দুজন বেরিয়ে পড়লো। অভি একটি রিক্সা ডাকলো। রিক্সা ওয়ালা মামা অভির পরিচিত।

" মামা AMZ হসপিটালে যাবেন। ( অভি)
" হুম মামা ওঠেন।
" আচ্ছা মামা। আস্তে চালাবেন।
" আচ্ছা মামা। কোনো সুখবর নাকি?
" অভি মুচকি হেসে বললো হসপিটালে গিয়ে বোঝা যাবে।
" তাহলে মামা আজকে বকশিস দিতে হবে।
" আচ্ছা মামা দিবো।

________________________________

" দেখতে দেখতে হসপিটাল এর সামনে চলে আসলো। অভি ভাড়া মিটিয়ে অতসী কে সঙ্গে নিয়ে হসপিটালের ভিতরে পা বাড়ালো। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরই অতসীর সিরিয়াল এলো।

" ডক্টর আবিদা খাতুনের চেম্বারে বসে আছে অভি ও অতসী।

" কি সমস্যা রুগীর? ( ডক্টর আবিদা খাতুন)
" কিছুদিন যাবত গা গুলিয়ে বমি হচ্ছে। মাথা ঘুরছে। কিছু খেতে পারছি না। ( অতসী)
" প্রেগনেন্সি টেস্ট করেছেন?
" হুম, কিন্তু পজিটিভ আসে নি।
" আচ্ছা কিছু টেস্ট দিচ্ছি এগুলো করিয়ে আনুন।
" ওকে।
______________________________________
" টেস্ট এর রিপোর্ট নিয়ে ডক্টর এর চেম্বার এ বসে অভি ও অতসি।
★ কী হতে চলছে কোন সুখবর নাকি? জানতে ফলো করে পাশে থাকুন ধন্যবাদ।

[ চলবে, সবাই রেসপন্স করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ ]

পেইজের লিংক : https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিংক :
https://facebook.com/groups/942557450516785

আইডির লিংক : https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451
[ আপনাদের জীবনের কোনো গল্প থাকলে আইডিতে যোগাযোগ করতে পারেন। ]

08/04/2025

" ওই শশুর দরজা খুলুন।

" ভিতর থেকে কোনো শব্দ আসে না।

" সকাল হয়ে গেছে, শাহিন মিঞা ঘরের দরজা খুলেন আর বিরবির করে বলেন

" বাঁদরটা গেলো,

" কিন্তু এর মধ্যেই তার ভাবনায় ঘি ঢেলে দেখা মিললো রিফাত এর। কি শশুর, ভাবছিলেন চলে যাবো, এমনটা হবে না, আাপনার মেয়েকে বলে দিয়েন " সাজান জি ঘর আয়ে" গান বাজাতে বাজাতে বিয়ে করবো।

#গল্প_ফ্যাক্ট
ায়াবিনীর_প্রেমে
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা
★আজকে সন্ধ্যা ৭ টায় গল্প আসবে।

08/04/2025

আজকে বিকেল ৫ টায় গল্প আসবে।

#জমিদার_বাড়ি
#শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা

07/04/2025

ায়াবিনীর_প্রেমে
#লেখেনিতে_শাহিনা_ছিদ্দিকা_তুপশা
#পর্ব_২

____________________________________

" আলিয়া ও রাজ ওখান থেকে চলে যায়, রিফাত তুপশার একদম কাছে এসে বসে।

" তুপশা একটু করে সরে যায়।

" ওই দূরে যাবে না একদম, তোমার ওজন বেশি না ওই পঞ্চাশই হবে! আর আমার কতো জানো? আশি। বেশি নড়াচড়া করলে একদম কোলে তুলে নিয়ো বসবো।

" তুপশা চোখ রাঙায়।

" চোখ রাঙিয়ে লাভ নেই, ওই চোখের মায়ায় আমি পড়ে যাই! কিন্তু ভয় লাগে না।

" এখানে কি আপনার? আর সেইদিন আমাকে বকা দিলেন এখন কেন পিছনে পিছনে ঘুরেন। আপনার গার্ল ফ্রেন্ড দেখলে আপনার খবর আছে।

" এতো বেশি কথা বলো কেনো? এই মেয়েদের একটা সভাব বোঝে কম চিল্লায় বেশি।

" আমি বলে দিবো ঈশিতা আপুর কাছে বলবো দাড়ান।

" বেশি কথা বলবে না, ক্লাসে যাও আর কোনো ছেলের সাথে কথা বলবে না। মাইন্ড ইট! আমার কাছে কিন্তু সব ইনফরমেশন আসবে অ্যান্ড তোমার শাস্তি ও হবে বুঝলে।

" নিজের চরকায় তেল দেন, আমার কথা আপনাকে ভাবতে হবে না। এই বলে তুপশা ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়।

" রিফাত বসে বসে আনমনে ভাবতে থাকে,

মায়া?
"মায়া একটি কঠিন জিনিস....
মানুষ অপমান ভূলে যায়, অধিক অত্যাচার ভূলে যায়,
এমনকি ভালোবাসাও ভূলে যায়......
কিন্তু কারোর মায়ায় পড়লে..
তাকে ভূলে থাকা যায় না...

" তুপশা কয়দিন আগেও অচেনা ছিলো, অথচ আজ কত আপন। কিভাবে এত মায়ায় জড়ালো সে?

" দুপুর বারোটা, তুপশার স্কুল ছুটি হয়ে যায়। তুপশা স্কুল থেকে আলিয়ার সঙ্গে বের হয়ে দেখলো, প্রতিদিনের মতোই রাজ ভাইয়া দাঁড়ানো কিন্তু তার সঙ্গে রিফাত ও আছে। তুপশা সাত পাঁচ না ভেবে আলিয়াকে বলে আচ্ছা আমি বাসায় যাই, থাক তাহলে।

" তুপশা যেই রিফাতের সামনে দিয়ে গেলো রিফাত পিছন থেকে তুপশার হাত ধরলো।

" ওই কোথায় যাও, আমিতো এখানে!

" আমি বাসায় যাবো, আমার হাত ধরলেন কেন ছাড়ুন।

" কেন? আমি হাত ছাড়বো না!

" দেখুন বাবা এসে আমায় আপনার সঙ্গে দেখলে খবর আছে আমার!

" সালা, শশুর টাকে নিয়ে পড়েছি বেশ ঝামেলায়।

" এই আমার বাবা আপনার শশুর কিভাবে?

" এইযে তুমি যেভাবে আমার বউ।

" ছাড়ুন আমাকে।

" এর মধ্যেই দেখা মিললো শাহিন মিঞার,

" তুপশা তুমি এই ছেলেটির সঙ্গে কেন? আর ও কেন তোমার হাত ধরে আছে।

" আ আ আসলে বা বাবা ভুল হয়েছে। আ আমাকে বাসায় নিয়ে চলো।

" ওই থামো পাগলি, আসলে শশুর কাহিনি টা আমি বলছি। আমার বউটা বড্ড পাঁজি হয়ে গেছে। দেখুন না আমি বলছি একটু আমার সঙ্গে থাকো তারপর বাসায় যাবে, কিন্তু সে বাসায় যাবে তো যাবে। তাই হাত ধরে রেখেছি।

" এই অসভ্য ছেলে আমার মেয়ের হাত ধরার কে তোমায় সাহস দিলো, এই বলে শাহিন মিঞা রিফাতের কাছ থেকে তুপশাকে ছাড়িয়ে নেয়। আর বলে আর যদি দেখেছি পুলিশ দিবো। তার আগে ভালো হও।

" আরে শশুর।

" শাহিন মিঞা কোনো কথা না বলে তুপশাকে নিয়ে গাড়িতে উঠেন।

" তুপশা তোমার থেকে এটা আশা করিনি। এরপর যেন ওই ছেলের সঙ্গে না দেখি।

" আচ্ছা বাবা।

" হুম আর শোন আমরা এই মাসেই বাসা পাল্টাবো আর নতুন স্কুলে ভর্তি করাবো।

" তুপশা মাথা নাড়ায়।

" গাড়িতে বসে কেউ আর একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না।

" গাড়ির তার আপন বেগে চলতে চলতে বাসার সামনে থামলো।

" তুপশা পা বাড়ায় বাসার দিকে, আয়শা বেগম দরজার সামনে দাড়িয়ে আছেন মেয়ের অপেক্ষায়।

" এত দেড়ি হলো কেনো? (আয়শা)

" তুপশা ভিতরে যাও, আমি বলছি ( শাহিন)

" তুপশা নিজের রুমে প্রবেশ করলো, জামাকাপর ছেড়ে শুয়ে পড়লো।

" তন্দ্রা মগ্ন তুপশা এর মধ্যেই আয়শা বেগম ডাক দিলেন, উঠে খেয়ে নে।

" ঘুম ঘুম ঘুমকাতুরে কন্ঠে তুপশা জবাব দিলো আচ্ছা।

" সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছে, খাওয়ার সময় আলোচনা করা হলো আর তিনদিন পর নতুন বাসায় উঠবেন। একটা বাসার খোজ নেওয়া হয়েছে।

________________________________

" আলিয়া খাওয়া শেষে রেস্ট নিচ্ছিলো।

" ওই আলু আমার ঘরে আয় তো ( রিফাত)

" আসতেছি।

" ওই লোকটা এতো খাচ্চোর কেন রে? বউটাকে তো একটু সময়ই আমার কাছে রাখতাম।

" তোর জন্য আমার পাখিটার কষ্ট হবে দেখিস।

" চিন্তা করিস না, বিয়ে করে একবারে নিয়ে আসবো।

" থাম, কেনো ডেকেছিস বল তাড়াতাড়ি।

" আমার বউটার নাম্বারটা দে তো।

' কেন? কি করবি?

" দে, প্রেম করবো।

" আচ্ছা। 017......25

" ওকে, এবার যা।

___________________________________

" রাত বারোটা, বাহিরে মৃদু বাতাস বহিছে। তুপশা ঘুমে বিভোর। এর মধ্যেই রিফাত তুপশাকে কল দেয়। তুপশার ফোন পাশেই ছিলো। ঘুম ঘুম চোখে তুপশা দেখলো আননোন নাম্বার থেকে বার বার কল দিচ্ছে।

" হ্যালো, কে? ( তুপশা)

" আমি বউ।

"আপনি আমার নাম্বার কিভাবে পেলেন।

" বউ এর নাম্বার আমার কাছে থাকবেনা তো কার কাছে থাকবে।

" কি চাই আপনার? কল দিয়েছেন কেন?

" কথা বলবো। কি করে আমার জানটা।

" আপনি এবার থামুন, আপনার জন্য এখন বাবা আমার স্কুল চেঞ্জ করবে বাসা চেঞ্জ করবে।

" আরেহ্, আমার জানটা রাগ করে কেনো! শোনো ওই শশুর যাই করুক না কেনো লাভ নেই। Very soon আমি তোমাকে আমার কাছে নিজে আসবো বেবি।

" আর কল দিবেন না। বলে তুপশা কল কেটে দেয় আর ফোন অফ করে ঘুমায়।

________________________________

" ওই, দরজা খুলুন। ওই শশুর।

" কে, এতো রাতে?

[চলবে, সবাই রেসপন্স করবেন ধন্যবাদ ]

পেজের লিঙ্ক : https://www.facebook.com/profile.php?id=61553788723357

গ্রুপের লিঙ্ক :
https://facebook.com/groups/942557450516785/

আইডির লিঙ্ক :
https://www.facebook.com/profile.php?id=100092758449451

[ আপনাদের জীবনের কোনো গল্প থাকলে আইডিতে যোগাযোগ করতে পারেন। ]