Albi Ruhi

Albi Ruhi আসসালামু আলাইকুম
আলবি রুহি পেজে সবাইকে স্বাগতম ��
প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও উপভোগ করতে আমাদের সাথে থাকুন।

ইলিউসিন ইন্ডিকা ঘাস (Elymus indica) একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন ঘাস, যা বহু দেশে আয়ুর্বেদ ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি...
22/06/2025

ইলিউসিন ইন্ডিকা ঘাস (Elymus indica) একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন ঘাস, যা বহু দেশে আয়ুর্বেদ ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত বনজ এলাকা, রাস্তার ধারে ও খোলা মাঠে জন্মায়। নিচে এর কিছু উপকারিতা দেওয়া হলো:

ইলিউসিন ইন্ডিকা ঘাসের উপকারিতা:
1. জ্বর নিরাময়:
ইলিউসিন ইন্ডিকার পাতার রস হালকা জ্বর উপশমে ব্যবহৃত হয়।
2. রক্ত পরিষ্কারকারী:
এই ঘাসের রস শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে, যা রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
3. বমিভাব ও বমি বন্ধে:
বমিভাব কমাতে এই ঘাসের রস উপকারী হতে পারে।
4. অম্লতা ও গ্যাস্ট্রিক:
এর পাতা বা কাণ্ড থেকে তৈরি রস পেটে অম্লতা কমাতে সাহায্য করে।
5. ত্বকের সমস্যা:
ইলিউসিন ইন্ডিকার পেস্ট বা রস ত্বকের ছোটখাটো চুলকানি বা ফুসকুড়িতে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
6. মূত্রবর্ধক:
এটি একটি প্রাকৃতিক ডাইউরেটিক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ নিঃসরণে সহায়তা করে।
7. কৃমিনাশক:
ছোটদের কৃমি সমস্যায় ইলিউসিন ইন্ডিকা ব্যবহার করা হয় লোকজ চিকিৎসায়।
সাবধানতা:
গর্ভবতী নারীরা এই ঘাস ব্যবহার করা যাবে না
#ঔষধিগাছ #উদ্ভিদ #উপকারিতা

18/06/2025

ছোট থেকে আমার ব্রেনে সবসময় ঘুরত “ কেন নামাযের নিষিদ্ধ সময় আছে ?

অনেক খুজাখুজির পর যা উত্তর পেলাম!!
সূর্য সহ মহাজাগতিক সবকিছুতে থাকে কসমো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড, আমাদের পৃথিবীতে আছে জিওম্যা্গনেটিক ফিল্ড, আর আমাদের শরীরে আছে বায়ো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড। সিজদায় এসব ম্যা্গনেটিক ফিল্ড এর ক্রিয়া ঘটে, ফলে যদি শরীরে বিশেষ করে ব্রেন যেটা ঠিক কপালের পিছনে থাকে (একে ফ্রন্টাল লোব বলে এবং তা দেহের বৃদ্ধি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র) তাতে কোন আধান ঘাটতি( হতাশা) বা আধিক্য( উত্তেজনা) থাকলে সেটা পুরণ বা নিস্ক্রিয় করে দেয়। ফলে আমরা দীর্ঘক্ষণ সিজদা করার পর মাথা খুব হালকা আর মনে প্রশান্তি অনুভব করি। কিন্তু যখন সূর্যদয়, সূর্যাস্ত ও সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখন কসমো ম্যা্গনেটিক ফিল্ড ও জিও ম্যা্গনেটিক ফিল্ড (সূর্যের কাছে দূরের অবস্থানের কারণে) বায়ো ম্যা্গনেটিক ফিল্ডের ক্ষতি হবে এমন অবস্থায় থাকে। তাই তখন দীর্ঘক্ষণ সিজদা করলে মেজাজ খিটখিটে, ক্লান্তি আর মাথা ঘুরা ভাব লাগে। তাই দিনের এই তিন সময়েই নামায পড়া নিষিদ্ধ বা হারাম বলা হয়েছে।

রেফারেন্স বই- সিজদাহর বিজ্ঞান।

(সংগৃহীত,)

আমরাই হয়ত শেষ প্রজন্ম যারা জোনাকি দেখতে পাচ্ছি।এমন একটি বেদনাদায়ক পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভেজা মাটি, ঝোপঝাড়, পতিত ...
16/06/2025

আমরাই হয়ত শেষ প্রজন্ম যারা জোনাকি দেখতে পাচ্ছি।
এমন একটি বেদনাদায়ক পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভেজা মাটি, ঝোপঝাড়, পতিত জমি এবং বনাঞ্চল ছাড়া জোনাকি বাঁচতে পারে না। তার ওপর আলোক দূষণ, যার ফলে এরা সঙ্গী খুঁজে পায় না। ফলে দ্রুত বিলুপ্তির পথে চলছে জোনাকি।

বাংলাদেশেও এখন জোনাকি খুব কম দেখা যায়। চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে অল্প কিছু দেখা যায়। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী, জোনাকিদের 'বিপন্নপ্রায়' তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

তাই, যদি জোনাকি দেখলে উপভোগ করে নিন। ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানপ্রিয়।




(সংগৃহীত)

রসায়নের এক বিশেষ নিয়মে অবলোহিত আলো ফেলেই ক্যানসার কোষ নির্মুল করেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল।গল্পের নায়ক অ্যামিন...
15/06/2025

রসায়নের এক বিশেষ নিয়মে অবলোহিত আলো ফেলেই ক্যানসার কোষ নির্মুল করেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল।

গল্পের নায়ক অ্যামিনোসায়ানিন নামের এক রঞ্জক। শরীরের ভেতর ছবি তুলতে হাসপাতালে হরহামেশাই এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।

যখন এই রঞ্জকের ওপর অবলোহিত আলো ফেলা হয়, এর পরমাণুগুলো উচ্চ কম্পাঙ্কে কাঁপতে থাকে। সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন বার! পরমাণুর এই কম্পনেই ক্যানসারের কোষগুলো ছিঁড়ে যায়। তবে আশেপাশের সুস্থ কোষগুলোর কোনো ক্ষতি হয় না।

ল্যাবে এই পদ্ধতিতে মানবদেহে ৯৯% স্কিন ক্যানসার ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। ইঁদুরেরও টিউমার সেরে উঠেছে এই প্রক্রিয়ায়।

নেই কাটাছেঁড়ার ঝামেলা, নেই কেমোথেরাপির ঝুঁকি। আবার অ্যামিনোসায়ানিনও FDA কর্তৃক অনুমদিত। ফলে নিঃসন্দেহে ক্যানসার চিকিৎসায় বিল্পব এনে দিতে পারে এই পদ্ধতি। বিজ্ঞানপ্রিয়।



(সংগৃহীত)

একটা ব‍্যাপার খেয়াল করছেন?এই দেশে ব্ল্যাক ম্যাজিক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।নতুন নতুন তান্ত্রিক জন্ম নিচ্ছে।সোশ্যাল মিডিয়...
14/06/2025

একটা ব‍্যাপার খেয়াল করছেন?

এই দেশে ব্ল্যাক ম্যাজিক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

নতুন নতুন তান্ত্রিক জন্ম নিচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি হাসছেন।
বন্ধুদের সঙ্গে ছবি দিচ্ছেন।
ছেলেমেয়েকে কোলে নিয়ে পোস্ট করছেন।
লোকেশন দিচ্ছেন – কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন…

আর এদিকে?

একজন তান্ত্রিক আপনার ছবিটা জুম করে সেভ করছে।
একটা মোমবাতি জ্বলছে।
একটা কালি পড়ছে ছবির ওপরে।
শুরু হচ্ছে মন্ত্র।

আপনার জানা ছাড়াই, আপনার লাইফে প্রবেশ করছে অশুভ শক্তি।

হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন।

আপনার ছবি দিয়েই চলে তাদের পাওয়ার প্র‍্যাকটিস।

পরে বলে বেড়ায় — এই লোকটার লাইফ আমি ধ্বংস করছি। আমার চেয়ে বড় তান্ত্রিক আর কেউ নাই।

শুধু তাই না।

আপনার যদি কোনো শত্রু থাকে
তাহলে যে কোনো সময় আপনার উপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করিয়ে দিতে পারে।

কিন্তু বিষয় হচ্ছে এগুলা বাড়ছে কেন?

এর পেছনে আছে AI এর অদৃশ্য থাবা।
চুপিচুপি হাজার হাজার মানুষের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে AI।

বিজ্ঞাপন তৈরি হচ্ছে এখন AI দিয়ে।
মডেলিং পেশা – ধীরে ধীরে ভ‍্যানিশ হবে।
ভিডিও প্রোডাকশন – কমে যাচ্ছে।
এক সময়ের হাই-ভ্যালু পেশাগুলো ধীরে ধীরে মুছে যাবে।

অলরেডি বাংলাদেশেই অনেক কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন তৈরি করছে AI ভিডিও দিয়ে।

যারা তাল মেলাতে পারছে না, তারা ভেঙে পড়ছে।
হতাশা, হিংসা, ঈর্ষায় আক্রান্ত হয়ে তারা খুঁজছে শর্টকাট।

আর শর্টকাট মানেই — অবৈধ পথ। অন্ধকার পথ।

কারণ একটাই
দিনশেষে খেতে তো হবেই।

সামনে কী অপেক্ষা করছে?

ভবিষ্যতে এইসব প্রাচীন নিষিদ্ধ পেশা আরও বেড়ে যাবে।

যারাই একটু ভালো থাকবে, তাদেরকে টার্গেট করা হবে।
তাদের সুখ, শান্তি, ক্যারিয়ার — সবকিছুতেই বাঁধা আসবে।

আর আমাদের সমাজে?
অন্যের ক্ষতি করা অনেকের কাছে এক ধরনের বিনোদন।

আমরা হাডুডুর জাতি।
কাউকে আটকে দিতে পারলেই মনে করি — আমরা জিতেছি!

আপনার করণীয় কী?

- আপনার পার্সোনাল লাইফ, পার্সোনাল রাখুন
- অপ্রয়োজনে ছবি, তথ্য, রিলেশন শেয়ার করবেন না
- নিজেকে AI-যুগের জন্য তৈরি করুন
- জীবনের অস্বাভাবিক ছন্দপতন হলে খোঁজ খবর নিন। কোনো শত্রুর কালো নজরে পড়েন নি তো?

ভালো থাকা এখন আর শুধু পরিশ্রমের ফসল না,
এটা এখন একটা চ্যালেঞ্জ।

একটা যুদ্ধ।

নিজেকে রক্ষা করার যুদ্ধ।

আপনি সচেতন থাকলেই বাঁচবেন।

না হলে, কে কখন আপনার পেছনে অদৃশ্য ছুরি চালাবে, টেরও পাবেন না।

আমি কোথায়?উত্তর: বাংলাদেশে।বাংলাদেশ কোথায়?উত্তর: এশিয়াতে।এশিয়া কোথায়?উত্তর: পৃথিবীতে, যার ব্যাস প্রায় ১২,৭৪২ কিলোমি...
14/06/2025

আমি কোথায়?
উত্তর: বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ কোথায়?
উত্তর: এশিয়াতে।

এশিয়া কোথায়?
উত্তর: পৃথিবীতে, যার ব্যাস প্রায় ১২,৭৪২ কিলোমিটার (৭,৯২৬ মাইল)।

পৃথিবী কোথায়?
উত্তর: ৪.৬ বিলিয়ন বছর পুরনো সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ।

সৌরজগত কোথায়?
উত্তর: এটি অবস্থিত মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির এক প্রান্তে, 'Orion Arm' নামক অঞ্চলে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আনুমানিক ১০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন তারা রয়েছে।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কোথায়?
উত্তর: এটি "লোকাল গ্রুপ" নামে পরিচিত একটি গ্যালাক্সি গুচ্ছে (galaxy group) অবস্থিত, যেখানে আরও ৫০টির মতো গ্যালাক্সি আছে।

লোকাল গ্রুপ কোথায়?
উত্তর: এটি অবস্থিত "ভিরগো সুপারক্লাস্টার"-এর একটি অংশ হিসেবে, যা হাজার হাজার গ্যালাক্সির সমন্বয়ে গঠিত।

ভিরগো সুপারক্লাস্টার কোথায়?
উত্তর: এটি "লেনিয়া কিয়া সুপারক্লাস্টার" (Laniakea Supercluster)-এর একটি শাখা, যার ব্যাস প্রায় ৫২০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ!

তাহলে এই সুবিশাল গ্যালাক্সি, ক্লাস্টার, সুপারক্লাস্টার—সবই কি মহাবিশ্ব?
উত্তর: মোটেই না। এগুলো মহাবিশ্বের খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, আমরা পুরো মহাবিশ্বের মাত্র ৪-৫% বুঝতে পেরেছি। বাকি ৯৫% হলো ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি—যা এখনো রহস্যের অন্ধকারে আচ্ছন্ন।

ভাবুন তো!
আমি, একটি মানুষ, একটি দেশ, একটি মহাদেশ, একটি গ্রহ, একটি তারামণ্ডল, একটি গ্যালাক্সি, একটি ক্লাস্টার, একটি সুপারক্লাস্টার... এভাবে একের পর এক মহাবিশ্বের স্তরের মধ্যে এক বিন্দু!

এই অসীম বিস্তারের মাঝে আমার অস্তিত্ব কতটুকু ক্ষুদ্র, আর সেই ক্ষুদ্র আমি যদি চিন্তা করি কে এই সব কিছুর বলা চলে:

> “যিনি এই অনন্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, তিনি কতই না মহান!”

( সংগৃহীত )

যেদিন ফিতনায় পৃথিবী কেঁদেছিলোযখন কিছু সাহাবাগণ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ব্যাপারে ভয় পেতে থাকলেন...
12/06/2025

যেদিন ফিতনায় পৃথিবী কেঁদেছিলো

যখন কিছু সাহাবাগণ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ব্যাপারে ভয় পেতে থাকলেন—যে খারিজীরা তাঁকে হত্যা করে ফেলবে। তো, তাঁরা উছমানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানালেন, যাতে তাঁর জীবন রক্ষা পায়। তারপর ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) সেখানে প্রবেশ করলেন।

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে বললেন,
“দেখো ও ইবনু উমার! তারা কি বলছে! পদত্যাগ করতে (খলিফা থেকে) বলছে যাতে নিজেকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারি। তারা বলছে, পদত্যাগ করতে (খলিফা থেকে) যাতে নিজেকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারি।”

তখন জবাবে ইবনু উমার জিজ্ঞেস করলেন,
“আপনি যদি এখন সরে দাঁড়ান, তবে কি আপনি দুনিয়াতে চিরঞ্জীব হয়ে যাবেন?”

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“না।”

তিনি (ইবনু উমার) তখন জিজ্ঞেস করলেন,
“আপনি যদি (খলিফা থেকে) পদত্যাগ করেন, তবে কি সেটা তাদের আপনাকে হত্যা করার উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেবে?”

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“না।”

তিনি (ইবনু উমার) জিজ্ঞেস করলেন,
“তারা কি আপনার জন্য জান্নাত অথবা জাহান্নামে থাকবে?”

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“না।”

এরপর তিনি (ইবনু উমার) বলে উঠলেন,
“আমি কোনো মানে দেখি না যে, যে চাদরটি আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) আপনার উপর পরিয়েছেন, সেটা আপনি সরিয়ে ফেলবেন, যার ফলে এটা সুন্নাত হয়ে পরবে (সদা থাকার জন্যে)। আমি কোনো মানে দেখি না যে, আপনি এই সুন্নাতকে প্রশ্রয় দেবেন। জনগণ যখনই শাসকের উপর ক্ষিপ্ত হয়, তারা তার পতন চায়।”

তিনি জানতেন যে শাসকের পদত্যাগ (খলিফা থেকে) হত্যা থেকেও বড় বিপর্যয়ের কারণ হবে। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর অনুসরণ তাঁকে সাহায্য করলো মৃত্যু বরণ করতে, যা ছিলো কম বিপর্যয়; বরং বড় বিপর্যয় রোধে—মুসলিম শাসকের পতন। এবং যা পরবর্তীতে সুন্নাত হয়ে যা ছিলো। এটি উছমান ও তাঁর ফকীহ ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)–এর সিদ্ধান্ত ছিলো।

কিছু সাহাবা (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) উছমানের সাথে সেসময় ছিলেন যখন তিনি সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন (যখন তাঁর গৃহ ঘেরাও করা হয়)। গৃহের প্রবেশপথ একটি ছিলো। তো গৃহের উঠানে হাকডাক উঠতে দেখলে উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বের হয়ে আসেন। তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়।

তিনি বললেন,
“কোনো সন্দেহ নেই, এই লোকগুলোই আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো!”

তাঁরা (সাহাবীগণ) উত্তর দিলেন,
“ইয়া আমীরুল মু’মিনীন, আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট!”

তখন উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“তোমরা কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি তো রাসূলুল্লাহ ﷺ–কে বলতে শুনেছি, মুসলিমদের রক্ত তিনটি পরিপ্রেক্ষিতে ছাড়া হালাল নয়—ইসলাম ত্যাগ করা, বিবাহিত অবস্থায় ইহসানের পর ব্যভিচার, অথবা মানুষ হত্যা করলে! (সুনান আন-নাসাঈ ৪৭২১). ওয়াল্লাহি, আমি কেহ জাহেলি অবস্থায় ব্যভিচার করিনি, না মুসলিম অবস্থায়; আমার ধর্ম ত্যাগের ইচ্ছা নেই, না আমি কাউকে হত্যা করেছি! তবুও কেন তারা আমাকে হত্যা করতে চাচ্ছে?”

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ফিতনাবাজদের প্রতি খেয়াল করলেন না; তিনি তাদের ওপর হুজ্জত কায়েম করতে চাইলেন — দলিল-প্রমাণ দিয়ে তাদের ভ্রান্তি বুঝিয়ে যাতে তারা ভুল থেকে ফিরে আসে।

তারপর তিনি (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আনসুদুকুম বিল্লাহ্ (আল্লাহর ওয়াস্তে), তোমাদের অ মধ্যে যারা সাক্ষী ছিলে সেদিন যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর পদচারণায় হেরা পর্বত কেঁপে ওঠে, তখন তিনি ﷺ বলেছিলেন: ‘শান্ত হও হে হেরা! তোমার উপর এখন একজন নবী, একজন সিদ্দীক (আবু বকর) ও একজন শহীদ; আমি ছিলাম তাঁর সাথে।’” সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সাক্ষী ছিলেন।

এরপর তিনি (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আনসুদুকুম বিল্লাহ্, তোমাদের মধ্যে যারা ছিলেন সেদিন যখন রিদওয়ানের বায়াআত হত, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে মক্কার মুশরিকদের কাছে পাঠাচ্ছিলেন, তিনি বলেছিলেন: ‘এটি আমার হাত, এবং এটি উছমানের হাত।’ তিনি আমার জন্য বায়াআত নিয়েছিলেন।”

এরপর তিনি (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আনসুদুকুম বিল্লাহ্, তোমাদের মধ্যে যারা সাক্ষী ছিলেন সেদিন যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন: ‘কে আছে যে মসজিদে নববীর সম্প্রসারণের জন্য ঐ ঘরটি কিনবে—যা পরবর্তীতে মসজিদের বর্ধনে ব্যবহৃত হবে—তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবো?’ আমি তা কোনো জন্য আমার সম্পদ দিয়ে কিনেছিলাম।”

তখন উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন সাক্ষী।

তারপর তিনি (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আনসুদুকুম বিল্লাহ্, তোমাদের মধ্যে যারা ছিলেন সেদিন যখন তাবুকের যুদ্ধ পরিচালনার এত সেনা প্রস্তুতির জন্য (দানকারীদের মধ্য থেকে) বলেছিলেন—‘কে আছে দান করবে যা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে?’ আমি উছমান, আমার নিজস্ব অর্থ দিয়ে অর্ধেক সেনা প্রস্তুত করেছিলাম।”

এ সময়ও দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আনসুদুকুম বিল্লাহ্, তোমাদের মধ্যে যারা সাক্ষী ছিলেন সেদিন যখন আমি রাওয়াহর পানি কিনে মুসাফিরদের বিতরণ করেছিলাম।”

সেখানেও কেউ ছিল যারা স্বীকার করেছেন।

উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ফিতনাবাজদের বোঝাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ফিতনাবাজেরা ইতিহাসকার দলিল দেখে শান্ত হয় না, তারা ভুল ব্যাখ্যাতেই অটল থাকে—নিজেদের নফসের অনুসরণ করে, এবং তাদের মতো খাটো জ্ঞানের লোকদের কাছ থেকেই ইলম নেয়।

যখন উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) দেখেন তাঁরা তাকে হত্যা নিয়ে দৃঢ়, তখন তিনি বলেন,
“হে মানুষ! তোমরা আমাকে হত্যা করতে চাও, যদিও আমি তোমাদের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, সাহায্যকারী ও মুসলিম ভাই; মুসলিমদের খলিফাকে হত্যা করা জায়েয নয়, না একজন মুসলিম ভাইকে হত্যা করা।”

তিনি আরও বললেন,
“আমাকে হত্যা করো না, কারণ আমি একজন বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, সাহায্যকারী, মুসলিম ভাই! ওয়াল্লাহি, আমি তোমাদের জন্য ভাল চাই (যতদূর পারি)। আমি সঠিক হই বা ভুল—যদি তোমরা আমাকে হত্যা করে, দেখো—তোমরা আর জামায়াতের নামাজ পড়বে না, না যুদ্ধে যাবে।”

তিনি তাঁদের সতর্ক করলেন হত্যার পরিণতি সম্পর্কে—তাদের একটিও সম্মান বা বুদ্ধি ছিল না!

সাহাবা (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) মুসলিমদের রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন, তবে উছমান তাতে সম্মতি জানাননি। এক সাহাবি বললেন,
“আপনি অনুমতি দেন, আমরা প্রতিরক্ষা করব।”
উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) উত্তর দেন, “না।”

মুগিরা ইবনু শু’বা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন,
“আপনার সাথে সংখ্যায় অনেক এবং আপনি সত্যের ওপর, তারা মিথ্যার ওপর।”

উছমান বললেন,
“আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর পরপর এমন প্রথম ব্যক্তি হবো না যে উম্মাহর মধ্যে রক্তপাত ঘটাবে।”

আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন,
“লড়াই করুন (সেটি হত্যাও), ওয়াল্লাহি, আল্লাহ আপনাকে বরদাস্ত করেছেন।”

উছমান বললেন,
“না! ওয়াল্লাহি, আমি হত্যার হুকুম পালন করব না।”

কিছু সাহাবি গৃহে প্রবেশ করে লড়ার প্রস্তুতি নিলেন, তবে উছমান বাধা দিলেন।
তিনি মনে করিয়ে দিলেন: মুসলিম শাসকের প্রতি আনুগত্য ফরজ।

তারপর উম্মুল মু’মিনীন সাফিয়া (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এক দাসী থাকা খচ্চরের পিঠে চড়ে এলেন উছমান রক্ষা করতে; আশতার মারতে গেলেও খচ্চরকে ফিরিয়ে আনতে বললেন। তিনি বললেন,
“আমাকে ফিরিয়ে নাও, যেন কুকুরটা আমাকে আবদ্ধ করতে না পারে।”

এ থেকে বোঝা যায়—ফিতনাবাজদের কাছে সম্মান নেই।

গৃহবন্দীর শেষদিন উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) স্বপ্নে রাসূলুল্লাহ ﷺ, আবু বকর ও উমারকে দেখতে পান:
“ও উছমান! এসো, আমাদের সাথে ইফতার করো।”

সেদিন সকালে উচ্ছমান রোজা ছিলেন। তিনি নিচের কাপড় শক্ত করে বেঁধেছিলেন যাতে আওরাহ প্রকাশ না হয়। সেই অবস্থায় তাঁকে শহীদ করা হয়।

তিনি মুসহাফ নেন এবং কুরআন পড়তে শুরু করেন—তিনি কুরআন সবচেয়ে বেশি পড়া সাহাবাগণের একজন ছিলেন।

এক ব্যক্তি প্রবেশে তিনি বললেন,
“তোমাদের ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য হলো কুরআন।”
সে চলে যায়।

আরেক ব্যক্তি প্রবেশে বললেন,
“আমাদের ও তাদের পার্থক্য হলো কিতাবুল্লাহ।”
সে গলায় অনড় হয়ে তলোয়ার দিয়ে তাঁকে আঘাত করে—উছমান নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হাত কেটে যায়।

উছমান বললেন,
“ওয়াল্লাহি! এটি সেই হাত যেই হাত দিয়ে প্রথম মুসহাফে লেখা হয়েছিল (আল-হুজুরাত থেকে আন-নাস)।”

পরবর্তীতে অদ্ভুত এক তীর দিয়ে তাকে আঘাত করল, রক্ত পড়লো:

> فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
“তাই, আল্লাহ তোমার জন্য তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট; এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্ববিদ”
[সূরা আল-বাকারা: ১৩৭]

রক্তের এক ফোঁটা আয়াতটির উপরে পড়ে রইল—তাহাই তাঁর মুসহাফে।

তিনি স্ত্রী নাঈলা বললেন,
“তোমরা তাঁকে হত্যা করো বা না করো; তিনি সারারাত জেগে এক রাকাআতে পুরো কুরআন পড়েন।”
তবে তারা তাঁর হাত ও আঙ্গুল কেটে ফেলে।

তারা তার মাথায় ব্যাপক আঘাত করে; একজন তার মাথার পাশে দিয়ে হেঁটে গেলো, মুসহাফ সরিয়ে ফেলে। বললো,
“আমি এমন সুন্দর কাফির মুখ আগে দেখি নাই!”

এই হলো ফিতনাবাজদের ধর্ম—যে তাদের বিরুদ্ধে যায়, তাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। তারা উছমানের সর্বস্ব লুট করে; এমনকি পানি পানের পাত্রটিও না।

এরাই হলো আহলুল ফিতান! যারা প্রতিটি সিদ্ধান্তে দুনিয়ার স্বার্থ খুঁজে।

---

মূল: শায়খ সুলাইমান আর-রুহাইলি (হাফিযাহুল্লাহ)
বঙ্গানুবাদ: মুহাইমিনুর রহমান স্নিগ্ধ

রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জ...
01/06/2025

রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে। এই কৃমিগুলি হাজার হাজার বছর ধরে বরফে আটকা পড়ে ছিল, তবুও গলানোর পরপরই তারা নড়াচড়া ও খাদ্য গ্রহণ শুরু করে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি কৃমির বয়স প্রায় ৩২,০০০ বছর, অন্যটি ৪১,৭০০ বছর। এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি প্রমাণ করে যে কিছু প্রাণী অত্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত অবস্থায় টিকে থাকতে পারে এবং পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

এই কৃমিগুলি নেমাটোড প্রজাতির, যা মাটির মধ্যে বসবাসকারী একধরনের সুক্ষ্ম জীব। এরা অতীতের জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই প্রাচীন জীবগুলির টিকে থাকার রহস্য তাদের দেহের বিশেষ জৈবিক গঠনে নিহিত থাকতে পারে, যা তীব্র শীতল অবস্থায়ও কোষের ক্ষতি রোধ করে।

এই গবেষণা শুধু প্রাণীবিদ্যার জন্যই নয়, জ্যোতির্বিদ্যা ও মহাকাশ গবেষণার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে যদি কৃমিরা হাজার হাজার বছর বরফে সংরক্ষিত থেকে পুনরায় জীবিত হতে পারে, তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে অন্যান্য গ্রহে বা উপগ্রহে, যেমন মঙ্গল বা ইউরোপায়, অনুরূপ প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা কি একেবারেই অসম্ভব !!

আমি জানতে চাই ~

(সংগৃহীত)

হাচিকো (Hachikō) হল জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিত আনুগত্যের প্রতীক। এটি একটি সত্য ঘটনা যা ১৯২০-এর দশকে জ...
31/05/2025

হাচিকো (Hachikō) হল জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিত আনুগত্যের প্রতীক। এটি একটি সত্য ঘটনা যা ১৯২০-এর দশকে জাপানের টোকিও শহরে ঘটেছিল।

# # # **হাচিকোর গল্প**
১৯২৩ সালের ১০ নভেম্বর জাপানের আকিতা প্রদেশে জন্ম নেয় হাচিকো নামের আকিতা ইনু জাতের কুকুরটি। ১৯২৪ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক **হাইডেসাবুরো উএনো** (Hidesaburō Ueno) হাচিকোকে দত্তক নেন। উএনো সাহেবের সঙ্গে হাচিকোর ছিল গভীর সম্পর্ক।

প্রতিদিন উএনো সাহেব যখন কাজে বের হতেন, হাচিকো তাকে টোকিওর **শিবুয়া (Shibuya) স্টেশন** পর্যন্ত পৌঁছে দিত এবং বিকেলে ট্রেন থেকে নামার সময় অপেক্ষা করত। এভাবেই কাটছিল তাদের দিন।

কিন্তু ১৯২৫ সালের ২১ মে, মাত্র এক বছরের মধ্যে, উএনো সাহেব একটি স্ট্রোক করে মারা যান এবং আর কখনোই ফিরে আসেননি।

# # # **অসাধারণ অপেক্ষা**
যদিও উএনো আর কখনো ফিরে আসেননি, হাচিকো প্রতিদিন ঠিক সময়মতো শিবুয়া স্টেশনে যেত এবং মনিবের অপেক্ষায় বসে থাকত। এটি চলতে থাকে দীর্ঘ **নয় বছর, নয় মাস এবং পনেরো দিন!**

এই ঘটনা স্থানীয়দের নজরে আসে। তারা হাচিকোর প্রতি মায়া দেখায় এবং তাকে খাবার দেওয়া শুরু করে। এরপর ১৯৩২ সালে এক সাংবাদিক হাচিকোর কাহিনি পত্রিকায় প্রকাশ করলে পুরো জাপান স্তম্ভিত হয়। ধীরে ধীরে হাচিকো দেশজুড়ে আনুগত্যের প্রতীক হয়ে ওঠে।

# # # **শেষ পরিণতি ও উত্তরাধিকার**
১৯৩৫ সালের ৮ মার্চ, হাচিকো স্টেশনের কাছেই মারা যায়। এরপর তার দেহ সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং তার কঙ্কালকে টোকিওর ন্যাশনাল সায়েন্স মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।

হাচিকোর প্রতি সম্মান জানিয়ে **১৯৩৪ সালে শিবুয়া স্টেশনের সামনে তার একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি** স্থাপন করা হয়, যা আজও বিদ্যমান এবং পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।

# # # **সূত্র:**
- "Hachiko: The True Story of a Loyal Dog" - Pamela S. Turner
- National Science Museum, Japan
- Tokyo University Archives
- The Japan Times

ছবিতে যে লম্বা সাপের মতো প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, একে বলে ‘স্নেক ইল’। একবার একটি ‘গ্রেট ব্লু হেরন’ এই ইলটিকে জীবন্ত অবস্থ...
24/05/2025

ছবিতে যে লম্বা সাপের মতো প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, একে বলে ‘স্নেক ইল’। একবার একটি ‘গ্রেট ব্লু হেরন’ এই ইলটিকে জীবন্ত অবস্থায় গিলে ফেলে। এরপর উড়াল দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঘটে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা—সেই ‘স্নেক ইল’ হঠাৎ হেরনের বুক চিরে বেরিয়ে আসে!

এই চমকপ্রদ ও গা শিউরে ওঠা মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার স্যাম ডেভিস।

স্নেক ইল সাধারণত সমুদ্রের তলদেশের বালিতে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়। এর শক্ত ঠোঁট মূলত সেই খোঁড়াখুঁড়ির জন্যই ব্যবহার হয়। এবার সেই অস্ত্রই কাজে লাগিয়ে হেরনের পেট চিরে পালিয়ে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করে সে।

জীবনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে গিয়েছিল ইলটি, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবাক করা বিষয় হলো—বুকে গভীর ক্ষত নিয়েও হেরনটি তখনও আকাশে উড়ছিল!

এ ঘটনা থেকে যে শিক্ষা পাই৷

* যে জিনিস আমি পারবো না সেটা বর্জন করাই ভালো

* বেঁচে থাকার জন্যে জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত৷

(সংগৃহীত)

গাছ যে নিজেই বৃষ্টি ডাকে – প্রকৃতির গোপন বর্ষাদেবতা!সব গাছ শুধু বৃষ্টি বনেই বাঁচে না,কিছু গাছ নিজেরই বৃষ্টি তৈরি করে!দক্...
22/05/2025

গাছ যে নিজেই বৃষ্টি ডাকে – প্রকৃতির গোপন বর্ষাদেবতা!

সব গাছ শুধু বৃষ্টি বনেই বাঁচে না,
কিছু গাছ নিজেরই বৃষ্টি তৈরি করে!

দক্ষিণ আমেরিকার গভীর জঙ্গলে এক অদ্ভুত গাছ জন্মায়, যার নাম এম্বাউবা গাছ (Cecropia)। বিজ্ঞানীরা এই গাছ নিয়ে যা আবিষ্কার করেছেন, তা যেন গল্পের চেয়েও অবিশ্বাস্য।

এই গাছ দিনে প্রচুর পরিমাণে জল মাটির গভীর থেকে টেনে তোলে এবং পাতার মাধ্যমে তা বাতাসে ছেড়ে দেয় – এই প্রক্রিয়াকে বলে ট্রান্সপিরেশন। কিন্তু এম্বাউবা এখানেই থামে না। যখন অনেক এম্বাউবা গাছ একসাথে থাকে, তখন তারা এতটা আর্দ্রতা ছড়িয়ে দেয় যে সেই জলীয়বাষ্প থেকে আকাশে মেঘ জমে – এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি নামে।

অর্থাৎ, শুধু টিকে থাকার জন্য নয়, এই গাছেরা নিজেদের এলাকা ঠাণ্ডা রাখে এবং নিজেরাই বৃষ্টিও ডাকে!

প্রকৃতি কতটা জটিল ও বিস্ময়কর, এম্বাউবা গাছ তার এক জীবন্ত প্রমাণ।

তাই গাছ শুধু দাড়িয়ে থাকে—এ ধারণা ভুল। কিছু গাছ সত্যিই বর্ষা নামাতে পারে!

(সংগৃহীত)

পার্টনার নয়, আপনার রাত জাগার অপেক্ষায় থাকে কিছু সুবিধাবাদী জীবাণু!সুস্থ মানুষের দেহেও বিভিন্ন ধরণের জীবাণু থাকে। তবে ইমি...
18/05/2025

পার্টনার নয়, আপনার রাত জাগার অপেক্ষায় থাকে কিছু সুবিধাবাদী জীবাণু!

সুস্থ মানুষের দেহেও বিভিন্ন ধরণের জীবাণু থাকে। তবে ইমিউনিটি সক্রিয় থাকায় এরা সুপ্ত থাকে। অপেক্ষা করে ইমিউন দুর্বলতার। এদের বলে 'অপারচুনিস্টিক প্যাথোজেন'। নিউমোনিয়া, যক্ষা, চিকেন পক্স, ঠোঁটে ফোস্কার জীবাণুও এই দলে পড়ে।

এদিকে রাত জাগাকে 'বিপদ' হিসবে শনাক্ত করে দেহ। বিপদে পড়লে দেহ একটা প্রোটিন তৈরি করে। নাম সাইটোকাইন। এই প্রোটিনের কাজ দেহে যুদ্ধ ঘোষণা করা। সমস্ত কোষ সতর্ক হয়ে প্রস্তুতি নেয় সে যুদ্ধের।

যারা নিয়মিত রাত জাগেন, তাদের দেহে সর্বদাই এই 'অবান্তর' যুদ্ধ চলে। এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে ইমিউনিটি। ভেঙে পড়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ফলে সত্যিকার সংক্রমণ বা অসুখ দেখা দিলে তা সারিয়ে তুলতে হিমশিম খায় দেহ।

অন্তত একটি রাত নির্ঘুম কাটালেও এভাবে দেহের ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে যায়। সুপ্ত জীবাণুগুলো এতে পেয়ে বসে সুযোগ। বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি। ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানপ্রিয়।

(সংগৃহীত)

Address

Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Albi Ruhi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share