15/09/2025
থাইরয়েড নিয়ে কিছু কথা:-
থাইরয়েড দুই প্রকার হয়। হাইপো ও হাইপার।এটি এমন একটি সমস্যা, যেটা বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিন্তু ভেতর থেকে জীবনটাকে নষ্ট করে দেয়। ঘন ঘন মুড সুইং হয়, হঠাৎ করেই মানুষ রেগে যায়।
শরীরে অনেক ক্লান্তি থাকে অথচ ঘুম ঠিকমতো হয় না। অনেক সময় মাথা ঘোরায়, হাত পা থর থর করে কেঁপে উঠে। চোখে অন্ধকার দেখা, শরীরে হুটহাট ব্যাথা অনুভব করা।মাথা কাজ করে না, ভুলে যাওয়া, এক রকম উপস্বর্গ দেখা দেয়। কখনও ওজন বাড়ে, আবার কমে। খাওয়ার অভ্যাসেও পরিবর্তন আসে।
চুল পড়ে, ত্বক শুকিয়ে যায়, কিন্তু সবাই ভাবে হয়তো নিজের যত্ন নেয়া হচ্ছেনা।
মন খারাপ থাকে, কিছুতেই আনন্দ লাগে না, কিন্তু কেউ ভাবে না এটা হরমোনাল ইম্বব্যালেন্স কারণেও হতে পারে।
অন্যরা ভাবে “অলস”, অথচ প্রতিদিন নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই করে চলতে হয়।
যাদের থাইরয়েডের সমস্যা নেই সেই মানুষ গুলো সামাজিকভাবে বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায় না যে এটা কতটা কষ্টদায়ক। তারা ভাবে,
“হাঁটা চলা, খাওয়া দাওয়া সবইতো ঠিকঠাক আছে!!!
“তোমার কষ্ট কিসের?”
“কম খাও, বেশি হাঁটো, সব ঠিক হয়ে যাবে!”
এরা জানে না যে, হাইপোথাইরয়েডিজমে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়, ঘুমের চক্র নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি মনের শক্তিও কমে যায়।।
এটা ঠিক যে, বাইরে থেকে মানুষ না বুঝলেও, হাজার হাজার মানুষ এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে- বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে থাইরয়েডের রোগী যে পরিবারে থাকে সেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাউন্সিলিং করানো হয়। রোগীর সাথে কেমন আচরন করলে তারা স্বাভাবিক থাকবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। কি খেতে পারবে কি খাবে না সব॥অথচ আমাদের বাঙ্গালী বেশীরভাগ পরিবারই এই মুডসুইং,ডিপ্রেশনকে ঢং বলে উড়িয়ে দেয়, মানুষ না জেনে নানান ভাবে জাজ করে।এরজন্য রোগীর আশেপাশের শুভাকাঙ্খী এবং পরিবার পরিজন সবার সচেতনতা দরকার ॥