
21/07/2025
আমি শুধু ভাবছি গতকাল রাত এমন সময়ে হয়তো বাচ্চাগুলোর মায়েরা, ওদের হোমওয়ার্ক, ক্লাসের পড়া রেডি করিয়ে, রাতের খাবার শেষ করে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করতো।কারন সকালে স্কুল আছে,তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।
চলে যাওয়া ফুল গুলোর এই দুনিয়ার পাঠ চুকলো।
আর কোনদিন খুব ভোরে ঘুমঘুম চোখে নাস্তা খেতে হবে না।তাড়াতাড়ি খাও দেরী হয়ে যাচ্ছে বলে বাবা মা আর তাড়া দিবে না।টিফিন না খেয়ে ফিরিয়ে আনলে মা আর চোখ রাঙাবে না। টিফিন খাবে না বাহিরে খাবে তাই বাবার কাছে, মায়ের ভয়ে ফিসফিস করে টাকার জন্য বায়না ধরবে না।
স্কুল থেকে ফিরেই আবার হোমটিউটর,হোমওয়ার্ক, ক্লাসের পড়া রেডি করতে আর কোন ব্যস্ততা থাকবে না।পড়বো না,খেলতে যাবো,টিভি দেখবো,খেম খেলবো বলে আর মাকে রোজ বিকেলে জ্বালাবে না।
ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোন পাগলামি করবে না। বাবা মায়ের আর কোনদিন খেলনা,স্কুল ব্যাগ,ঘুরতে যাওয়া এসবের লোভ দেখিয়ে যুদ্ধ করে পুরোটা খাবার খাওয়াতে হবে না,পড়াতে বসাতে হবে না।
প্রতিদিন ইউনিফর্ম পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়া মা বাবারা আজ কেমনে তাদের কলিজার টুকরাগুলোকে এক খন্ড সাদা কাফনে জড়ানো দেখবে??
সামান্য আগুনের তাপ যেনো না লাগে,তাই রান্নাঘরে যেতে না দেয়া বাচ্চাগুলোকে, কেমনে ঝলসে যেতে দেখবে??
কেমনে সহ্য করবে তারা??
কেমনে???
আল্লাহ সবাইকে শোক সইবার শক্তি দিন।
✍️আখি