16/10/2022
এলাকার খুব প্রভাবশালী এক ব্যক্তি মৃত্যুবরন করলেন,
জানাযার নামাজ শুরু হওয়ার মূহুর্তে মৃত ব্যক্তির এক বাল্য বন্ধু এসে ইমাম
সাহেব কে বল্লেন- দাড়ান !
জানাযা পড়ানোর আগে, আমার কথা আছে ওনি আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন, ফেরত পেলে তবেই জানাযা পড়াবেন ।
মৃত ব্যক্তির তিন ছেলে এক মেয়ে,
বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার,
মেঝ ছেলে ডাক্তার এবং ছোট ছেলে পি ইচ ডি হোল্ডার।
এবং মেয়েকে তেমন একটা উচ্ছ শিক্ষিত করাবেন না,
এই মানুষিকা থেকে মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়ালেন, পরে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
ইমাম সাহেব মৃত ব্যক্তির পুত্রদের ডাকলেন।
তিনজন পুত্রের কেউই ঋনের দায়িত্ব নিতে চাইলো না।
তারা সাফ জানিয়ে দিলো-এইরকম কোনো অসিয়ত তাদের পিতা করে যাননি,
অতএব, তারা এই ঋন পরিশোধ করতে বাধ্য নয়।
ইমাম সাহেব মৃত ব্যক্তির ভাই, আত্নীয়-স্বজন সকলকে ডাকলেন,
কিন্তু কেউ ঋনের দায়িত্ব নিলেন না।
ইমাম সাহেব সাফ জানিয়ে দিলেন, ঋনের ফয়সালা হওয়া ব্যতীত, উনি জানাযা পড়াবেন না।
অনেকটা হট্টগোল অবস্থায়।
হঠাৎ বোরকা পরিহিতা এক মহিলা উপস্থিত হলেন, হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে।
মহিলা বল্লেন- ইমাম সাহেব আমি মৃত ব্যক্তির কন্যা।
এই নিন, এই ব্যাগে
বেশ কিছু টাকা ও গয়না রয়েছে,,পাওনাদার কে বলুন, গয়না বিক্রি করে ওনার টাকা নিয়ে নিতে।
আর হ্যাঁ এর পরেও যদি ঋন পরিশোধ না হয়, তাহলে কথা
দিলাম বাকি ঋনের আমি জিম্মাদার। সময় মতো পরিশোধ করে দিবো। ইনশা আল্লাহ্
→জানাযায় উপস্থিত সকল মানুষ অবাক !
এইবার পাওনাদার বল্লেন" ইমাম সাহেব জানাযা শুরু করুন।
আমি ওনার
কাছে কোনো টাকা পেতাম না বরং ওনিই আমাকে ১০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন।
ওনি হঠাৎ করে মারা গেলেন, কিন্তু ওনার অবর্তমানে টাকাটা কাকে ফেরত দেবো- এইরকম কোনো অসিয়ত করে যাননি।
এখন বুঝতে পেরেছি, ওনার কন্যাই হলেন ওনার আমানতের হকদার।
ইনশাআল্লাহ সময় মত ওনার কন্যাকে ওনার আমানত ফিরিয়ে দিবো।
→ শিক্ষা
দিনে রাতে পরিশ্রম করে সন্তানদের সুখের জন্য সম্পদ গড়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু কখনো চিন্তা করে দেখেছেন আপনার সুখের জন্য ও সন্তানদের গড়ে ওঠানোর প্রয়োজন আছে কি।
ছোট থেকে সন্তানদের কে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন।
যা মৃত্যুর পরে আপনার সম্পদ হবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সুসন্তানের বাবা হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন