
05/05/2025
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাবরি চুল (লম্বা কোঁকড়ানো চুল ছিল কিন্তু অনেকটা পার্থক্য, বেশি কোঁকড়ানো না, আবার বেশি টান ও না, এমন ছিল, পানি ঢেউ বিশিষ্ট, ) ছিল তাঁর সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব এবং বরকতের প্রতীক। সাহাবারা সেই চুলকে এতটাই ভালোবাসতেন ও সম্মান করতেন, যে তারা তাঁর কাটা চুল সংরক্ষণ করতেন। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছি:
---
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চুলের গঠন:
তাঁর চুল ছিল মাঝারি লম্বা, কখনো কাঁধ পর্যন্ত হতো।
কখনো মাথার মাঝখানে থেকে দুই পাশে বাবরি করে ঝুলতো।
চুল ছিল ঘন, কালো এবং হালকা কোঁকড়ানো (মসৃণতার দিকে ঝুঁকে থাকা)।
---
২. চুলের প্রতি সাহাবিদের ভালোবাসা:
উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন: "রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর চুল আমার কাছে ছিল। যখন কেউ অসুস্থ হতো, আমি সে চুল দিয়ে পানি মিশিয়ে দিতাম এবং তা দিয়ে রুকিয়া করতাম।"
(সহিহ মুসলিম ৫৭৯৫)
হজরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) রাসূল (সা.)-এর একগুচ্ছ কাটা চুল নিজের টুপি বা হেলমেটের মধ্যে রাখতেন। তিনি বলতেন, এতে বরকত এবং সাহস পাওয়া যায়।
---
৩. বাবরি চুল সংরক্ষণের কারণ:
রাসূল (সা.)-এর শরীরের কোনো কিছুই ছিল না, যা সাহাবারা ভালোবাসেনি — কারণ তা ছিল বরকতময় ও নবি-স্মৃতি বহনকারী।
কেউ কেউ তাঁর চুলকে রেখে দিতেন তাবাররুক (বরকতের জন্য), তবে এটি শরিয়তের মধ্যে সীমারেখা বজায় রেখে হতে হতো।
---
৪. বর্তমান যুগে:
এখনো কিছু জায়গায় রাসূল (সা.)-এর বাবরি চুল সংরক্ষিত বলে দাবি করা হয় (যেমন: তোপকাপি মিউজিয়াম, তুরস্কে)। যদিও এর প্রমাণ একান্তভাবে নিশ্চিত নয়, তবুও মুসলমানদের আবেগ ও ভালোবাসা এতে প্রকাশ পায়।
---
উপসংহার:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাবরি চুল মুসলমানদের জন্য স্মরণীয়, প্রেমময় ও বরকতময় প্রতীক। এটি ছিল শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের অংশ না, বরং তাঁর সত্তার প্রতি উম্মতের গভীর ভালোবাসার নিদর্শন।