এসো সত্যের সন্ধানে

এসো সত্যের সন্ধানে Truth is beauty, beauty is truth..

তারকীব খুব বেশি কঠিন কিছু নয়,মাত্র ৩৫টি সূত্র আয়ত্ত করতে পারলে শিক্ষার্থীদের তারকীবভীতি দূর হবে, ইনশাআল্লাহু তায়ালা।-...
22/10/2024

তারকীব খুব বেশি কঠিন কিছু নয়,
মাত্র ৩৫টি সূত্র আয়ত্ত করতে পারলে শিক্ষার্থীদের তারকীবভীতি দূর হবে, ইনশাআল্লাহু তায়ালা।
------------------------------------------------------------
১)مُسْنَد এর সাথে مُسْنَدُ إلَيْهِ আসা আবশ্যক :
إسْنَاد অর্থ সংযুক্ত করা, সম্পর্ক করা।
যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ، نَصَرَ زَيْدٌ
(যায়েদ সাহায্য করেছে, যায়েদ দন্ডায়মান)।
বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে مُسْنَدُ إلَيْهِএবং যাহা বলা হয় তাকে مُسْنَد বলে।
جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ এর মধ্যে ফে‘লকে مُسْنَدএবং
ফায়েলকে مُسْنَدُ إلَيْهِবলে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ(যায়েদ সাহায্য করেছে)।
جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ এর মধ্যে খবরকে مُسْنَدএবং
মুবতাদাকে مُسْنَدُ إلَيْهِবলে। যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ।

২) جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةএর সাথে فِعْلٌএবং فَاعِلٌআসা আবশ্যক:
 যে বাক্য إسم দ্বারা শুরু তাকে جملة اسمية এবং
যেটি فعل দ্বারা শুরু তাকে جملة فعلية বলা হয়।
 কাজটিفعل , কাজটি যিনি করেন فاعل এবং
কাজটি যার উপর পতিত হয় তাকে مفعول বলে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
 جــمـلــة فــعـلــيــة যাহা ‘ফেল-ফায়েল” অর্থাৎ একটি ইসিম এবং একটি ফেল দ্বারা গঠিত হয়।
 جملة فعلية এর মধ্যে ফে‘লকে مسندএবং
ফায়েলকে مسند إليهবলে।
فِعْلُ + فَاعِلُ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন نَصَرَ زَيْدٌ، جَاءَ عُمَرُ، قَرَأتْ فَاطِمَةُ، صَلَّي عَلِيٌّ
অর্থ- যায়েদ সাহায্য করেছে, ওমর এসছে, ফাতেমা পড়েছে, আলী নামাজ পড়েছে, ওয়ালিদ বসেছে।
৩) جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌএর সাথে একাধিক إسمআসা আবশ্যক:
 যে বাক্যটি إسم দ্বারা শুরু হয় তাকে جملة اسمية বলা হয়।
 এমন বাক্যে فعل এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না।
 جـملـة إسـمـيـة যাহা ‘মুবতাদা এবং খবর”
অর্থাৎ দুইটি ইসিম দ্বারা গঠিত হয়।
যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌ (যায়েদ দন্ডায়মান)।

৪) مَـوْصُـــوْفএর সাথে صِــفَــةআসা আবশ্যক:
 বাক্যের মধ্যে দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ বুঝানোকে صفتবলে।
 যেমন: زَيْدُنِ الْعَالِمُ، مَكَّةُ الْمُكَرَّمَةُ অর্থ- যায়েদ একজন জ্ঞানী, পবিত্র মক্কা।
 আর যার দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ বুঝানো হয় তাকে موصوفবলে।
 صفت-موصوف এর জন্য ১০টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি মিল থাকা আবশ্যক (বচন, লিঙ্গ, ইরাব, পরিচিতি)।
১. مُذَكَّر، مُؤَنَّث ২. وَاحِد، تَـثْنِيَّة، جَمَع
৩. مَعْرِفَة، نَكِرَة ৪. رَفَع، نَصَب، جَر.
 معرفة এমন একটি ইসম যাহা কোন নির্দিষ্ট ইসিমকে বুঝানোর জন্য গঠন করা হইয়াছে।
 মা‘রেফা সাত প্রকার :
১. عَلَمُ ২. مُضْمَرَات ৩. مَوْصُوْلَات ৪. اِشَارَات
৫. مُعَرَّف بِالَّلامِ ৬. الاِضَافَةُ ৭. مُنَادَي
 معرفة না হওয়াটাই نكرةএর আলামত, আর নাকিরা কখনো মুবতাদা হতে পারে না। যেমন: رَجُـلٌ عَالِـمٌ
فِعْلُ + فَاعِلُ (مَوْصُوفْ+صِفَةٌ)=جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন: جَاءَ رَجُلٌ مَرِيْضٌ، ذَهَبَ طَالِبٌ زَكِيٌّ، رايت رجلا فقيرا
অর্থ- একজন অসুস্থ লোক এসেছে, একজন মেধাবী ছাত্র গেলো, আমি একজন দরিদ্র মানুষকে দেখেছি।

৫) حَـرْفِ جَــارএর সাথে مَجْرُور আসা আবশ্যক:
 حرف جر অর্থ যের প্রদানকারী হরফ। এ ধরনের তারকীবকে جر ও مجرور বলা হয়।
 مضاف اليه ঐ إسم কে বলা হয়, যাহার সাথে حرف جار দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে সম্বন্ধ করা হয়।
 সেই হরফে জারটি প্রকাশ্য হতে পারে।
যেমন- مَرَرْتُ بِزَيْدٍ
(আমি যায়েদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম)।
 অথবা حرف جر উহ্য হবে।
যেমন- غلام زيدযাহা মূলে ছিল- غلام لزيد
(যায়েদের গোলাম)।
 حُرُوْفِ جَـــر যে ইসিমের পূর্বে সে ইসিমকে মাজরুর বলে।
 حُرُوْفِ جَـــر (ইসিমকে যের প্রদানকারী হরফ) ১৭টি:
بَ، تَ، كَ، لَامْ، واو، مُــنْـذُ، مُــذْ، خَـلَا، رُبَّ، حَـاشَا، مِنْ، عَــدَا، فـِيْ، عَــنْ، عَــليْ، حَــتّٰي، إلٰـيْ.

৬) نَـعَـتএর সাথে مَـنْـعُـوتআসা আবশ্যক :
 صفت-موصوف কে نعت- منعوتও বলা হয়। نعتঅর্থ গুণ, আর منعوتঅর্থ গুণান্বিত।
 نعت বিশেষণ: উহা ঐ تابعযাহা একক অর্থ বুঝায়, যাহা متبوع এবং متبوعএর সংশ্লিষ্ট জিনিসের মধ্যে হইবে। আরنعت কে صفتও বলা হয়।
 প্রথম প্রকার نعتএর জন্য تابع এবং متبوعএর মধ্যে দশটির মধ্যে ৪টি বিষয়ে সমতা থাকা শর্ত।
 যেমন- هَذَا قَلَمٌ جَدِيْدٌ (ইহা একটি নতুন কলম)।

৭) مُــضَــافএর সাথে مُــضَــافُ إلَــيْــهِ আসা আবশ্যক :
 বাক্যে দুইটি বস্তুর সাথে সম্পর্ক প্রকাশ করাকে إِضَافَةবলে।
 যে বস্তুর সাথে সম্পর্ক প্রকাশ করা হয় সে বস্তুকে مُضَافবলে।
 বস্তুর সাথে যার সম্পর্ক প্রকাশ করা হয় তাকে مُضَافُ إلَيْهِবলে।
 বাংলা বাক্যে শব্দের শেষে “র” থাকা إضافةএর আলামত, (করিমের বই, আল্লাহর রাসুল)।
 “মুযাফ” তিন বিষয় থেকে সবসময় মুক্ত : ক) মুযাফের শুরুতে আলিফ লাম হওয়া থেকে মুক্ত,
খ) দ্বিবচন এবং বহুবচনের নূন থেকে মুক্ত, গ) তানভীন (দুই যবর, দুই যের, দুই পেশ) থেকে মুক্ত।
 চার অবস্থায় আরবী শব্দে তানভীন দাখিল হয় না (ফেল, ইযাফত, গায়রে মুনসারিফ, আলিফ লাম)।
مُبْتَدَأ + خَبَرْ(مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ)= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله اَلْقُرْانُ كِتَابُ اللهِ،
অর্থ- কুরআন আল্লাহর কিতাব,
মোহাম্মদ (স:) আল্লাহর রাসুল।

৮) مُــبْــتَــدَإএর সাথে خَــبَــرআসা আবশ্যক:
 মুবতাদা ও খবর: বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয় তাকে مبتدأ এবং যাহা বলা হয় তাকে خبرবলে।
 যেমন: زَيْدٌ قَائِمٌবাক্যে زَيْدٌ মুবতাদা, আর قَائِمٌ খবর।
 মুবতাদা হওয়ার জন্য শর্ত ৭টি :
১. إسْمُ , ২.رَفْع , ৩. إبْتِدَأ, ৪. عَامِلُ مَعْنَوِي ,
৫.مُسْنَدُ إلْيْهِ , ৬.مَعْرِفَةْ ৭.نَكِرَة تَأخِيْر
 বি.দ্র: ছয়টি শর্তের মধ্যে যদি যেকোন একটি না পাওয়া যায় তাহলে মুবতাদা হবে না।
مُبْتَدَأ + خَبَرْ= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- اَلْإسْلَامُ حَقٌّ، اَلْكُفْرُ بَاطِلٌ، اللهُ خَالق، زَيْدٌ عَالِمٌ
অর্থ- ইসলাম সত্য, কুফর বাতিল, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিকর্তা, ইহা একটি কলম, যায়েদ জ্ঞানী।

৯)تَــفْــسِــيْــر এর সাথে مُــفَــسَّــر আসা আবশ্যক:
 যেকোন শব্দের ব্যখ্যা করাকে تَـفْسِيرবলে,
আর যে শব্দের ব্যখ্যা করা হয় তাকে مُــفَــسَّــرবলে।
 حرفُ التفسير (ব্যাখ্যাদানকারী হরফ) ২টি: أيْ- أنْ

১০) بَــيَــانএর সাথে مُــبَــيَّــن আসা আবশ্যক:
 স্পষ্ট করাকে بَيَـانবলে,
আর যে শব্দকে স্পষ্ট করা হয় তাকে مُبينবলে।
 عطف بيان কোন বিশেষণ নয়, বরং এমন একটি تابع (অনুগামী) যাহা দ্বারা متبوع এর অর্থ স্পষ্ট হয়।
 কোন বস্তুর দুইটি নাম থাকলে অধিকতর প্রসিদ্ধ নামটি আতফে বয়ান হয়।
 যেমন : نَصَرَ زَيْدٌاَخُوْكَ
অর্থ- তোমার ভাই যায়েদ সাহায্য করেছে।

১১)فِــعْــلِ لَازِم এর সাথে فَاعِــل আসা আবশ্যক:
 فِعْلُ لَازِم (অকর্মক ক্রিয়া) : যাহা শুধু ফেল+ফায়েল দ্বারাই অর্থ প্রকাশ করতে পারে মাফউল এর মুখাপেক্ষী হয়না এবং যাহাمتعدي এর বিপরীত।
যেমন- قَعَدَ خَالِدٌ، قَامَ زَيْدٌ
অর্থ- খালেদ বসেছে, যায়েদ দাঁড়িয়েছে।
 সকল কাজفعل , কাজটি যিনি করেন فاعل এবং কাজটি যার উপর পতিত হয় তাকে مفعول বলে।
 বাক্যে সাধারণত প্রথমেفعل , তার পর فاعل এবং সর্বশেষمفعول বসে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
অর্থ- যায়েদ খালেদকে সাহায্য করেছে।

১২)فعل متعدي এর সাথে فَاعِــلْ + مَــفْــعُــولِ بِــهِ আসা আবশ্যক:
 فعل متعدي : যাহা শুধু ফেল ফায়েল দ্বারা অর্থ প্রকাশ করতে পারেনা, বরং মাফউল এর মুখাপেক্ষী হয়।
 যার অর্থ বুঝা কর্তা ছাড়া আরও কোন সংশ্লিষ্ট বস্তুর উপর নির্ভর করে।
যেমন: نَصَرَ زَيْدٌ خَالِدًا
অর্থ- যায়েদ খালেদকে সাহায্য করেছে।
فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ به = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন: مَسَحَ خَالِدٌ الْوَجْهَ- نَصَرَ عُمَرُ عَلِيًّا- قرأ زيد كتابا
অর্থ- খালেদ চেহারা মাসেহ করলো,
ওমর আলীকে সাহায্য করেছে, যায়েদ বই পড়লো ।

১৩)فِـعْــلِ مَـجْــهُــوْل এর সাথে نَائِــبُ فَاعِــلআসা আবশ্যক:
 কর্তা উল্লেখ থাকলে কর্তৃবাচ্য (مَعْرُوف),
কর্তা উল্লেখ না থাকলে কর্মবাচ্য (مَجْهُول) ।
যেমন: نُصِرَ زَيْدٌ
 ماضي مجهول এবংمضارع مجهول -এর ক্ষেত্রে প্রথম অক্ষর পেশযুক্ত হবে। যেমন: فُعِلَ- يُفْعَلُ
 অন্যথায় معروف হবে। যেমন: فَعَلَ- يَفْعَلُ

১৪)حَــال এর পূর্বে ذُوالْـحَــالআসা আবশ্যক:
 حال হাল এমন একটি শব্দ যাহা فاعل কিংবা مفعول অথবা উভয়েরই অবস্থা বর্ণনা করে।
যেমন- جَاءزَيْدٌرَاكِبًا
অর্থ-যায়েদ আরোহী অবস্থায় ফিরেছে।
 حال সব সময় نكرة এবং ذوالحال অধিকাংশ সময় معرفة হয়ে থাকে। যেমন- جَاءَنِيْ رَجُلٌ رَاكِبًا
فِعْلُ + فَاعِلُ +ذُوْالْحَالْ+حَالْ= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন- وَجَدْتُ الْاُسْتَاذَ جَالِسًا- جَاءَ خَالِدٌ رَاكِبًا
অর্থ- খালেদ আনন্দিত অবস্থায় এসেছে, শিক্ষককে বসা অবস্থায় পেয়েছি, খালেদ আরোহী অবস্থায় ফিরেছে।

১৫)تَـمِــييـز এর সাথে مُــمَـيـيَّــز আসা আবশ্যক:
 تمييز অর্থ- সন্দেহ নিরসনকারী পদ।
আর مميز অর্থ- যার সন্দেহ দূর করা হয়।
 تمييز এমন একটি نكرة যাহা (সংখ্যা, পরিমাণ, ওজন, দূরত্ব) ইত্যাদি অস্পষ্ট পরিমাণের উল্লেখের পর বর্ণনা করা হয় এবং সেই نكرة শব্দটি ঐ সন্দেহকে দূরীভূত করে। যেমন-
عِنْدِيْ عِشْرُوْنَ دِرْهَمًا- هَذَا خَاتَمٌ حَدِيْدًا
অর্থ- আমার কাছে দশ দিরহাম আছে,
ইহা একটি স্বর্ণের আংটি।

১৬)اداة إسْــتِــثْــنَــاء এর সাথে مُــسْــتَــثْــنَــي + مُــسْــتَــثْــنَـي مِـنْـهُআসা আবশ্যক:
 مُسْتَثْنَي পৃথককৃত, مُسْتَثْنَي منه যাহা থেকে পৃথক করা হয়, حروف إستثناءপৃথককারী হরফসমূহ।
 مُسْتَثْنَي مُتَّصِل ঐ মুসতাছনাকে বলা হয় যাহা الا এবং তাহার সমগোষ্ঠীর (خَلَا، عَدَا، حَاشَا، مَاخَلا، مَاعَدَا، لَيْسَ) দ্বারা সংখ্যা হতে বের করে দেয়া হয়।
যেমন- جَاءَنِيْ الْقَوْمُ اِلَّا زَيْدًاঅর্থ- যায়েদ ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।
 مُسْتَثْنَي مُنْقَطِع ঐ মুসতাছনাকে বলে যাহা الا এবং তাহার সমগোষ্ঠীর পরে বর্ণনা করা হয় বটে কিন্তু তাহা مُسْتَثْنَي منه এর অন্তর্ভূক্ত নয় বিধায় উহাকে مُسْتَثْنَي منهথেকে বের করা হয় না।
 যেমন- جَاءَنِيْ الْقَوْمُ اِلَّا حِمَارًا
অর্থ- গাধা ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।
فِعْل+ مُسْتَـثْـنَي مِنْهُ+ حَرْفُ إسْتِـثْـنَاءَ+مُسْتَـثْـنَي = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ (جَاءَ الْقَوْمُ خَلَا زَيْدًا) جَاءَنِيْ الْقَوْمُ خَلَا زَيْدًا
অর্থ- যায়েদ ছাড়া গোত্রের সবাই আমার কাছে এসেছে।

১৭)بَــدَل এর সাথে مُــبْــدَل مِــنْــهُ আসা আবশ্যক:
 بدل অর্থ পরিবর্তন করা, আর যে শব্দ থেকে পরিবর্তন করা হয় তাকেمبدل منه বলে।
 بدل ঐتابع যে উহার পূর্ববর্তী শব্দকে যার সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে, তাকেও সেই বস্তুর সাথে সম্বন্ধ করা হয় এবং সেই সম্বন্ধের দ্বারা প্রকৃত পক্ষে সেই تابع টি মাকছুদ বা উদ্দেশ্য,متبوع মাকছুদ নহে।
 যেমন : جَاءزَيْدٌ خَالِدٌ অর্থ- যায়েদ এসেছে, যায়েদ।
فِعْلُ + فَاعِلُ (مُبْدَلُ مِنْهُ+ بَدَل)=جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
(اِنْتَصَرَ الْقَائِدُ مُوْسَي- اُحِبُّ الْخَلِيْفَةَ الْمَأمُونْ)
অর্থ- সেনাসদস্য মুসাকে সাহায্য করলো,
আমি খলিফা মামুনকে ভালোবাসি।
১৮) تَاكِيْدএর সাথে مُؤكَّد আসা আবশ্যক :
 تاكيد দৃঢ়তা সৃষ্টিকারী পদ:
যে শব্দকে তাকীদ করা হয় তাকেمؤكد বলে
 এমন একটি تابعযাহা দ্বারা متبوعএর সহিত সম্বন্ধযুক্ত বস্তুর সম্পর্ক দৃঢ় করা কিংবা متبوع এর একক সংখ্যাগুলি প্রত্যেকটি متبوعএর অন্তর্ভূক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
 تاكيدদুই প্রকার : (১) تاكيدِ لَفْظِي (২) تاكيدِ مَعْنَوِي
 تاكيد لَفْظِي প্রথম শব্দটিকে বার বার উল্লেখ করে যে تاكيد করা হয়।
 যেমন- جَاءَ زَيْدٌ زَيْدٌ অর্থ- যায়েদ এসেছে, যায়েদ।
 تاكيد مَعْنَوِيনয়টি শব্দ দ্বারা হয়ে থাকে :
نَفْسٌ، عَيْنٌ، كِلَا، كِلْتَا، كُلٌّ، اَجْمَعُ، اَكْتَعُ، اَبْتَعُ، اَبْصَعُ

১৯)عَــامِــل এর সাথে مَــعْــمُــول আসা আবশ্যক :
 عَامِل-এর পরিচয়: যেসব শব্দের কারণে إسْمُ الْمُعْرَبِ এর শেষে اِعْرَاب (তথা যবর, যের, পেশ অথবা ওয়াও, আলিফ, ইয়া) এর পরিবর্তন সাধিত হয় তাকেعَامِل বলে।
 عَامِل তিন প্রকার। যথা- رَافِعٌ، نَاصِبٌ، جَارٌّ
 যে আমেলের কারণে ইসম এর শেষে عَلَامَةُ الرَّفْعِ যুক্ত হয়, তাকে عَامِلٌ رَافِعٌ বলে।
 যেমন: قَامَ زَيْدٌ অর্থ- যায়েদ দাঁড়িয়েছে। বাক্যে قَامَ ফেলটি হলো عَامِلٌ رَافِعٌ
 مَعْمُول : আর আমেল যে শব্দের উপর আমল করে তাকে مَعْمُول বলে।

২০)فِــعْــلِ مَــدَح এর সাথে فَاعِــلِ مَدَح + مَـخْــصُــوْص بِالْـمَــدَحِআসা আবশ্যক:
 اَفْعَالِ مَدْحُ (প্রশংসাজ্ঞাপক ক্রিয়া) ২টি: نِعْمَ – حَبَّذَا
 যার প্রশংসা করা হয় তাকে فَاعِلِ مَدَح এবং যে শব্দ দ্বারা প্রশংসা করা হয় তাকে مَخْصُوصْ بِالْمَدَح বলে। এগুলো فاعل ও مَخْصُوص بِالْمَدَحকে পেশ দেয়।
 যেমন: نِعْمَ الرَّجُلُ زَيْدٌ
অর্থ- যায়েদ একজন চমৎকার লোক।

২১)فِــعْــلِ ذَم এর সাথে فَاعِــلِ ذَم + مَـخْــصُــوْص بِالذَم আসা আবশ্যক:
 اَفْعَالِ ذم (নিন্দাজ্ঞাপক ক্রিয়া) ২টি: بِئْسَ، سَاءَ
 যার নিন্দা করা হয় তাকে فَاعِلِ ذَم এবং যে শব্দ দ্বারা নিন্দা করা হয় তাকে مَخْصُوص بِالذَّم বলে।
 এগুলো فَاعِل ও مَخْصُوص بِالذَّمকে পেশ দেয়। যেমন: بئس الرَّجُلُ زَيْدٌঅর্থ- যায়েদ খারাপ লোক।

২২)عَــدَد এর সাথে مَــعْــدُود আসা আবশ্যক:
 اسماء العدد ঐ ইসম যাহা বস্তুসমূহের একক সংখ্যাগুলির পরিমাণ বুঝানোর জন্য গঠন করা হয়েছে।
 সংখ্যার মূল ১২টি শব্দ।
এক হইতে দশ পর্যন্ত এবং مائةও الفশব্দদ্বয়।
 আরবী সংখ্যাবাচক সকল বিশেষ্যকে أسْمَاءُ الْعَدَد বলে।
 আরবী প্রতিটি সংখ্যার عَدَدএবং مَعْدُودকে নির্ধারিত কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হয়।

২৩) ظَــرْفٌএর সাথে فَــاعِــلْ ظَـرْف আসা আবশ্যক:
 مَفْعُوْلُ فِيْهِ ঐ স্থান বা কালের নাম যার মধ্যে কর্তার যে কর্মটি ঘটিয়া থাকে তাকেمفعول فيه বলে এবং ইহাকেظرف (পাত্র)ও বলা হয়।
যরফ ظرف দুই ভাগে বিভক্ত : ظَرْفِ زَمَان، ظَرْفِ مَكَان
 ظرف زَمَان وَمَكَان আবার দুই ভাগে বিভক্ত :مُبْهَم، مَحْدُود (অসীম এবং সীমিত)
 ظَرْفِ مَبْنِيَّة (জুরুফে মাবনিয়্যাহ) :
জুরুফে মাবনিয়্যাহ কয়েক ভাগে বিভক্ত।
 প্রথম প্রকার مُضَافُ اِلَيْهِকে বিলুপ্ত করে,
উহাকে اِضَافَتথেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
 ظَرْفِ مَكَان : فَوْقُ، قُدَّامُ، تَحْتُ، حَيْثُ
 ظَرْفِ زَمَان: اِذْ، اَيَّانَ، قَطُّ، اِذَا، اَمْسِ، عَوْضُ، مَتَي، مُذْ، قَبْلُ، كَيْفَ، مُنْذُ، بَعْدُ
 فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ فيه = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ (صَامَ عُمَرُ شَهْرًا، صَلَّي عَلِيٌّ لَيْلًا، سافر خالد يوم الجمعة)
 فِعْلُ + فَاعِلُ + (مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ) مَفْعُوْلُ فِيْهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
(مَاتَ اَحْمَدُ يَوْمَ الْخَمِيْسِ، اَنْزَلَ اللهُ الْقُرْانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ، صُمْتُ شَهْرًا، قُمْتُ لَيْلًا)
অর্থ- আহমাদ বৃহস্পতিবার মারা গেছে, আল্লাহ তায়ালা কদরের রাতে কুরআন নাযিল করেছেন,
আমি মাসব্যাপী রোযা রেখেছি, আমি রাতে দাঁড়িয়ে নামায পড়েছি।
২৪) مُـشَـبَّـهْ بِالْــفِــعْــلِএর সাথে اِسْمٌ এবং خَـبــرٌআসা আবশ্যক :
ঽ حُرُوْفُ مُشَبَّه بِالْفِعْلِ ৬টি :
যেমন- إنَّ، أنَّ، كَانَّ، لَكِنَّ، لَيْتَ، لَعَلَّ
এ হরফগুলি মোবতাদা ও খবরের পূর্বে এসে মুবতাদাকে নছব এবং খবরকে রফা‘ প্রদান করে। এদের মুবতাদাকে إسْمُ إنَّ এবং খবরকে خَبْرُ إنَّবলা হয়।
حَرْفِ مُشَبَّهْ بِالْفِعْلِ+ اسْمِ اِنَّ+ خَبَرِ إِنَّ= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
যেমন- إنَّ زَيْدًا قَائِمٌ- لَعَلَّ خَالِدًا غَالِب- لكن اللهَ عَلِيْم
অর্থ- নিশ্চয় যায়েদ দাঁড়ানো, নিশ্চয় খালেদ অনুপস্থিত, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞানী

২৫) شَــرْطٌএর সাথে جَــزَاءএবং جَــوَابُ الــشَّــرْطِ আবশ্যক :
 حُرُوْفُ الـــشَّـــرْطِ(শর্তবোধক হরফ) ৩টি : إنْ، لَوْ، أمَّا শর্তের পরের প্রতিদানকে جَــزَاءْ বলে।
 حُرُوْفُ الـــشَّـــرْطِ শর্তের হরফ তিনটি হরফ বাক্যের প্রারম্ভে আসে।
 প্রত্যেকটি দুইটি বাক্যের উপর দাখেল হয়, إسْمِيَّةٌহউক অথবা فِعْلِيَّةٌ অথবা ভিন্ন ভিন্ন হউক।
 إن ভবিষ্যতকালের জন্য আসে, যদিও مَاضِي এর পূর্বে প্রবেশ করে।
 অর্থাৎ, তখন উহাকেإسْـتِـفْهَامْ এর অর্থে পরিবর্তন করা হয়।
 যেমন- إنْ زُرْتَـنِي اُكْرِمْكَ অর্থ- যদি আমার সাথে সাক্ষাৎ করো, তবে আমি তোমাকে সম্মান করবো।
 اِنْ تُكْرِمْنِيْ اُكْرِمْكَ- اِنْ تَذْهَبْ اَذْهَبْ- مَنْ يَّعْمَلِ الْخَيْرَ يَدْخُلِ الْجَنَّةَ= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ شَرْطِيَّةٌ /
 حَرْفِ شَرطْ+ فِعْلُ+ فَاعِلُ+ مَفْعُوْلُ بِهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ شَرْطٌ (مَنْ يَّعْمَلِ الْخَيْرَ)
 فِعْلُ + فَاعِلُ + مَفْعُوْلُ بِهِ = جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ جَزَاءُ (يَدْخُلُ الْجَنَّةَ)

২৬)أفْعَالُ مُقَارَبَة এর সাথে اِسْمٌ এবং خَــبــرٌআসা আবশ্যক:
 أفْعَالُ مُقَارَبَة (নৈকট্যজ্ঞাপক ক্রিয়া) : ঐ ফে‘ল যা নিজের ফায়েলকে খবরের নিকটবর্তী হওয়া বুঝায়।
عَسَي، حَرَي، اِخْلَوْلَقَ، كَادَ، كَرُب، اَوْشَكَ

২৭) فِــعْــلِ نَاقِــصএর সাথে اِسْمٌ এবং خَبَـرٌআসা আবশ্যক:
 إسمُ كَانَ وَأخَوَاتِهَا (كَانَ ও তার সমগোষ্ঠীয় শব্দসমূহেরإسم ) : এসব فعل কে أفْعَالُ نَاقِصَةُ বলে।
 এ সকল فعل মুবতাদা ও খবর এর পূর্বে এসে مبتداء কে পেশ দেয় এবং উহাকে إسم كانবলা হয়, আর খবরকে নছব দেয়, উহাকে خبر كان বলা হয়। كان আসার পরে إسم كان মুছনাদ ইলাহি হয়।
 যেমন: كانَ زيدٌ قائمًا اَفْعَالِ نَاقِصَةُ ১৩টি :
كَانَ، صَارَ، اَصْبَحْ، اَمْسَي، ظَلَّ، بَاتَ، مَادَامَ، اَضْحَي، لَيْسَ، مَازَالَ، مَابَرِحَ، مَافَتَي، مَااَنْفَكَ
فِعْلُ نَاقِصْ+إسْمُ اَصْبَحَ+خَبَرِاَصْبَحَ =جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ- (اَصْبَحَ سَعِيْدٌ غَنِيًّا- كَانَ اللهُ عَلِيْمًا- صار زيد غنيا)
অর্থ- সাঈদ ধনী হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানী,
যায়েদ ধনী হয়েছে।

২৮) فِــعْــلِ قُــلُــوبএর সাথে একাধিক مَـفْـعُـول بهআসা আবশ্যক :
 যেই সমস্ত فعلঅন্তরের সাথে সম্পর্ক রাখে অথবা অন্তর থেকে ফায়দা দেয়
 اَفْعَالِ قُـلُوب ৭টি:
حَسِبْتُ– عَلِمْتُ– وَجَدْتُ– خِلْتُ– رَايْتُ– ظَنَنْتُ– زَعَمْتُ
 এগুলো একাধিক مَفْعُول কে যবর দেয়।
فِعْلُ قُلُوب+فَاعِل+ مَفْعُول+مَفْعُول= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
যেমন : عَلِمْتُ زَيْدًا قَائِمًا
অর্থ- আমি জানলাম যে, যায়েদ দাঁড়ানো।

৩০) إسْـمُ إشَــارَةএর সাথে مُــشَــارٌ إِلَــيْــهِ আসা আবশ্যক:
 إسْم اِشَارَة ইঙ্গিতবাচক শব্দ : আর যার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয় তাকে مُشَارٌ اِلَيْهِ বলে
 إسْم اِشَارَة ঐ ইসম যাহা দ্বারা কোন বস্তুকে নির্দেশ করা হয় এবং এই ইঙ্গিতের পাঁচটি শব্দ ছয়টি অর্থের জন্য ব্যবহার হয়।إسْم اِشَارَة এর পরের শব্দ মারেফা হলেই কেবল مُشَارٌ اِلَيْهِ হবে, অন্যথায় খবর হবে।
 যেমন: هَذَا قَلَمٌ، هَذَا الْكِتَابُ الْجَمِيْلُ অর্থ- ইহা একটি কলম, ইহা একটি সুন্দর বই।
ذَا، ذَانَ، ذَيْن، اُوْلَاءِ، اُوْلِيْ، تَا، تِيْ، تَهْ، ذَهْ، ذَهِيْ، تَهِيْ، تَانِ، تَيْنِ، اُولَاءِ، اُوْلِي.
 কোন কোন সময় اسماء اشارةএর শুরুতে هاপ্রবেশ করে। যেমন-هَذَا ইহা একটি (পু:), هَذَانِ ইহা দুইটি (পু:), هَذِهِ ইহা একটি (স্ত্রী.)।

২৯) لَا لِـنَــفْي الجِــنْــسএর সাথে اِسْمٌ এবং خَــبْــرٌআসা আবশ্যক:
ঽ لَا لِنَــفِيِ الـجِــنْـسِ (জাতিবাচক নাসূচক): ইসিমকে যবর প্রদানকারী হরফ ১টি: لا যেমন: لَا رَجُلَ قَائِمٌ
 حَرْفِ نَفِيْ+ إسْمُ لَا+ (حَرْفُ جَارْ+ مَجْرُورْ، مُتَعَلَّقْ مَعْ شِبْهِ فِعْلٍ مُسْتَقَرٍّ)+خَبْرُلَا= لَا رَجُلَ فِيْ الدَّارِ
حَرْفِ لَائِي نَفِيْ لِلْجِنْسِ+ اِسْمِ لَا+ خَبَرِ لَا = جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ
(لَا طَالِبَ حَاضِرٌ- لَاتَاجِرَ غَائِبٌ)
অর্থ- ঘরে কোন পুরুষ নেই, কোন ছাত্র উপস্থিত নেই, কোন ব্যবসায়ী অনুপস্থিত নেই।

৩১)مَا এবং لَا এর সাথেاِسْمٌ এবং خَــبْــرٌ আসা আবশ্যক:
 حرفِ مُـشَــبَّـــهَـتَـــيْــنِ بِــلَيْسَ (لَيْسَ-এর সাথে সম্পর্কিত ما، لا):
ইসিমকে পেশ প্রদানকারী হরফ ২টি: ما – لا
حَرْفِ مُشَبَّهْ بِلَيْسَ+ اِسْمِ لَا+ خَبَرِ لَا= جُمْلَةٌ إسْمِيَّةٌ (لَارَجُلٌ تَاجِرًا- مَا نَعِيْمٌ تِلْمِيْذًا
অর্থ- কোন ব্যবসায়ী পুরুষ নেই, নাঈম ছাত্র নয়।

৩২) مَــوْصُــوْل এর সাথে صِــلَــة আসা আবশ্যক:
 اِسْمُ مَوْصُول (সম্বন্ধবাচক ইসম): এমন একটি ইসম যা তার পরে ব্যবহৃত صله ব্যতীত বাক্যের পূর্ণ অংশ হতে পারে না। আরصله এমন একটি জুমলায়ে খবরিয়া হয়, যাহার মধ্যে موصولএর প্রতি প্রত্যাবর্তনকারী একটি জমীর হওয়া আবশ্যক।
 اِسْمُ مَوْصُولএমন একটি ইসম যাহা তাহার পরে ব্যবহৃত صِلَهব্যতীত বাক্যের পূর্ণ অংশ হতে পারে না।
যেমন- إقْرَأ بإسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ অর্থ- পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।
 বাংলা বাক্যে ইসমে মাওসুলের ব্যবহার- যে, যারা, যিনি, যাকে, যাদেরকে, যেটা, যেগুলো ইত্যাদি।
اَلَّذِيْ، اَلَّذَانِ، اَلَّذَيْنِ، اَلَّتِيْ، اَللَّتَانِ، اَللَّتَيْنِ، اَلَّذِيْنَ، اَلْاُوْلٰی، اَللَّاءِ، اَللَّائِیْ، اَللَّاتِيْ، اَللَّوَاتِيْ، مَا، مَنْ، اَيٌّ، اَيَّةٌ.

 مَا، مَنْ، اَيٌّ، اَيَّةٌ، ذُوْ একবচন স্ত্রীলিঙ্গের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩৩) عَــدْلএর সাথে مَــعْــدُول আসা আবশ্যক:
 عدل (পরিবর্তন): যে শব্দ নিজের রূপ বা আকৃতি থেকে পরিবর্তন হয়ে অন্য রূপ ধারণ করে।
 যেমন: عامر، زافر থেকে عمر، زفر

৩৪) حَـرْفِ عَــطْــفএর সাথে مَــعْــطُــوف + مَــعْــطُــوفُ عَــلَــيْــهِ আসা আবশ্যক:
 حُرُوْفُ عَطْف (দুই শব্দের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী হরফ) দশটি।
যেমন- جَاءزَيْدٌ وَعَمْرٌ
واو، فاء، ثم، حتي، او، اما، ام، بل، لكن، لا
 معطوف টি معطوف عليهএর হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হয়।
 معطوف যদি কোন বস্তুর صفت বা خبرঅথবা صله কিংবা حال হয়. তাহলেمعطوف عليه ও তা হবে।
 عطف بالحروف (সংযোগকারী অব্যয়): এমন একটি تابعযার প্রতি ঐ বস্তুর সাথে সম্পর্ক করা হয়েছে- যার সম্পর্ক করা করা হয়েছে উহার متبوع এর সাথে। ইহাকে عَطْفُ النُّسُقِও বলা হয়।
فِعْلُ+مَعْطُوف عَلَيْهِ (مُضَاف+ مُضَافُ اِلَيْهِ)+مَعْطُوفْ(مُضَافْ+ مُضَافُ اِلَيْهِ)= جُمْلَةٌ فِعْلِيَّةٌ
رَوَي عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودْযেমন-
অর্থ- আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত।

৩৫) تَــابِــعএর সাথে مَــتْــبُــوعআসা আবশ্যক:
 تابع প্রত্যেক ঐ দ্বিতীয় শব্দকে বলা হয় যে শব্দের اعراب একই কারণে পূর্ববর্তী শব্দের اعراب এর মত হয়। অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে একই اعراب হয় এবং উভয়ের মধ্যে ঐ اعرابহওয়ার কারণও অভিন্ন।
 تابع পাঁচ প্রকার : (১)اَلنَّعَتُ، (২) اَلْعَطْفُ بِالْحُرُوْفِ،
(৩) اَلتَّاكِيْدُ، (৪) اَلْبَدْلُ، (৫) عَطْفُ الْبَيَانِ
৩৬) حَـرْفُ نِــدَاءএর সাথে مُــنَــادَي + جَــوَابُ نِــدَاء আসা আবশ্যক:
 حُرُوْفِ النِّدَاءِ মুনাদাকে যবর প্রদানকারী হরফ ৫টি:يَــا، أيَـــا، هَيَا، أيْ، هَـمْــــزَةُ الـْمَـــفْـــتُـــوْحَــةِ
 منادي অর্থ আহুত : منادي এমন একটি ইসম যাহাকে কোন حرف نداء দ্বারা ডাকা হয়।
 সেই حرف نداء শব্দের মধ্যে উল্লেখ থাকতে হবে। যেমন: يا زَيْدُ অর্থ- হে যায়েদ।

17/10/2024

১৮তম শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা প্রশ্ন:

১.প্রশ্ন:নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার বিধান কি?
এবং ইমামের পিছনে মুক্তাদি কী সূরা ফাতিহা পাঠ করবে নাকি চুপ থাকবে?

২প্রশ্ন:জুমার খুতবা এবং দুই ঈদের খুতবা আরবিতে নাকি মাতৃভাষায়?
৩.প্রশ্ন :ইলমুল ফরায়েজকে কেনো নিসফুল ইলেম বলা হয়?
৪.প্রশ্ন:তাভীল পরিচিতি ও তাফসীরের সাথে পার্থক্য কী?
৫.প্রশ্ন : জামে (الجامع)হওয়ার শর্ত কয়টি?

৬.প্রশ্ন: সহীহ আল বুখারীর পূর্ণ নাম কী?

৭.প্রশ্ন:মেশকাত বৈশিষ্ট্য বলুন?

যারা ১৮তম ইবতেদায়ী মৌলভী, সহকারী মৌলভী, প্রভাষক [আদব,তাফসির,হাদিস ও ফিকহ্] এবং আরবি প্রভাষকে ভাইভা দিবেন তারা দেখে যেতে পারেন।

পর্ব-১
আল-হাদিস ও উলুমুল হাদিস।
১.হাদিস কাকে বলে?
উত্তর : নবী করীম (স.) -এর কথা,কাজ ও অনুমোদনকে হাদিস বলে।
২.হাদিসের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি?
উত্তর : দুইটি। যথা: সনদ ও মতন।
৩. সনদ কাকে বলে?
উত্তর: হাদিস বর্ণনার সূত্র কে সনদ বলে।হাদিসের প্রথম অংশে থাকে কতিপয় ব্যক্তির নাম (সাহাবী,তাবি'ঈ অন্যান্য হাদিস বর্ণনাকারীর নাম)এই নামগুলি হল সনদ।
৪.মতন কাকে বলে?
উত্তর: হাদিসের মূল কথাকে মতন বলে।রসূল(স.) -এর কথা,কর্মের বর্ণনা ও মৌনসম্মতি বা অনুমোদনের বর্ণনা হল মতন।
৫.হাদিসে সনদের গুরুত্ব কি?
উত্তর: সনদ যাচাই বাছাই করে হাদিসের শুদ্ধাশুদ্ধি ও মান (সহীহ,হাসান,যয়ীফ ইত্যাদি)নির্ণয় করা হয়।
৬.রাবীর(হাদিসের বর্ণনাকারীর)গুণাবলী অনুযায়ী হাদিস কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর :চারপ্রকার।যথা:
১.সহীহ
২.হাসান
৩.যয়ীফ
৪.মঊদূ’
৭.সহীহ হাদিস কাকে বলে?
উত্তর:সহীহ হাদিস বলা হয়,যে হাদিসের সনদ মুত্তাসিল এবং প্রত্যেক বর্ণনাকারী আদালত ও যবতের যাবতীয় গুণসম্পন্ন। একই সাথে হাদিসটি শায ও ইল্লাতমুক্ত তাকে সহীহ হাদিস বলে।
৮.সহীহ হাদিসের শর্ত কয়টি?
উত্তর: পাঁচটি।যথা :
১.সনদ মুত্তাসিল
২.রাবী আদালত(ন্যায়পরায়ণ) সম্পন্ন
৩.রাবী যবত(স্মৃতিশক্তি) সম্পন্ন
৪.শায নয়
৫.ইল্লাতমুক্ত
৯.হাসান হাদিস কাকে বলে?
উত্তর:যে হাদিসের সনদ মুত্তাসিল তবে বর্ণনাকারীর স্মরণ শক্তি কম এবং হাদিসটি শায ও ইল্লাতমুক্ত তাকে হাসান হাদিস বলে।
১০.যয়ীফ হাদিস কাকে বলে?
উত্তর: যে হাদিসটি শর্ত পূরণের দিক দিয়ে হাসান হাদিসের সমপর্যায় নয় অর্থাৎ হাসান থেকে নিম্নমানের এরূপ হাদিসকে যয়ীফ হাদিস বলে।
১১.মঊদূ’(জাল) কাকে বল?
উত্তর: রসূলের (স.) হাদিস নয় বা হাদিসের অংশবিশেষও নয় বরং নিজের অথবা অন্যের বানানো শব্দ কিংবা বাক্য রসূলের(স.) হাদিস হিসেবে চালিয়ে দেয়াকে মঊদূ’ হাদিস বলে।
১২.মুতাওয়াতির হাদিস কাকে বলে?
উত্তর: যে হাদিসের বর্ণনাকারীর সংখ্যা এত অধিক যে, তাঁরা সকলেই একত্রিত হয়ে মিথ্যা রচনা করা স্বভাবতই অসম্ভব বলে বিবেচিত হয়, তাকে মুতাওয়াতির হাদিস বলে।
১৩.মাশহুর হাদিস কাকে বলে?
উত্তর:যে হাদিসে প্রত্যেক স্তরে কমপক্ষে তিনজন রাবী বা ততোধিক রাবী বর্ণনা করেছেন। তবে তা মুতাওয়াতির এর পর্যায়ে পৌঁছে নি। তাকে মাশহুর হাদিস বলে।
১৪.সহীহাইন কাকে বলে এবং কয়টি?
উত্তর:হাদিসের দুটি বিশুদ্ধ গ্রন্থকে সহীহাইন বলে।সহীহাইন দুইটি,যথা: সহীহ আল-বুখারী ও সহীহ আল-মুসলিম।
১৫.মুত্তাফাকুল আলাইহি কাকে বলে?
উত্তর : যে হাদিসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদিস তাদের নিজেদের কিতাব বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদিস। যে হাদিস সহিহ বুখারি ও সহিস মুসলিম শরিফে পাওয়া যায় তাকেই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদিস বলা হয়।
অথবা যেসব হাদীস একই সাথে ইমাম বুখারী (রহ.) ও ইমাম মুসলিম (রহ.) স্বীয় গ্রন্থে সংকলন করেছেন ।
সেই হাদিস কে মুত্তাফাকুন আলাইহি বলে।
১৬.হাদিস সংকলনের যুগ কয়টি এবং কি কি?
উত্তর:তিনটি। যথা: হিজরির প্রথম শতক,হিজরির দ্বিতীয় শতক, হিজরির তৃতীয় শতক।
১৭.হাদিস সংকলনের স্বর্ণযুগ বলা হয় কোন যুগকে?
উত্তর: হিজরির তৃতীয় শতককে।
১৮.সাহাবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম কে হাদিস গ্রন্থ সংকলন করেন এবং গ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: হযরত আমর ইবনে আল আস(র.)।আস সহীফাতুস সাদিকা।
১৯.তাবেঈদের মধ্যে সর্বপ্রথম কে হাদিস গ্রন্থ সংকলন করেন ?
উত্তর: ইমাম ইবনে শিহাব যুহরী।
২০.কাকে প্রথম পূর্নাঙ্গ হাদিস সংকলনকারী বলা হয়?
উত্তর: ইমাম ইবনে শিহাব যুহরী।
২১.সর্বপ্রথম বিশুদ্ধ হাদিসের গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হতো?
উত্তর: মুয়াত্তা মালেক-ইমাম মালেক (রহ.)।
২২.কুতুবে সিত্তাহ কাকে বলে?
উত্তর: হিজরি তৃতীয় শতকে সংকলিত হাদিসের ছয়টি গ্রন্থকে "কুতুবে সিত্তাহ " বলে।
২৩.কুতুবে সিত্তাহ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: ছয়টি।যথা:১.সহীহ আল বুখারী-ইমাম বুখারী(রহ.)।
২.সহীহ আল- মুসলিম- ইমাম মুসলিম(রহ.)।
৩.সুনানে আবু দাউদ- ইমাম আবু দাউদ(রহ.)।
৪.জামে আত-তিরমিজি- ইমাম তিরমিজি(রহ.)।
৫.সুনানে নাসাঈ- ইমাম নাসায়ী(রহ.)। ৬.সুনানে ইবনে মাজাহ-ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ.)।

২৪.হাদিস সংকলনের বিখ্যাত কয়েক জন ইমাম বলুন
উত্তর : ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ.),ইমাম মালিক(রহ.), ইমাম শাফিঈ(রহ.), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(রহ.), ইমাম বুখারী(রহ.), ইমাম মুসলিম(রহ.), ইমাম আবু দাউদ(রহ.), ইমাম তিরমিজি(রহ.), ইমাম নাসায়ী(রহ.), ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ.)ও ইমাম তাহাবী (রহ.)।
২৫. জান্নাতে কাদের সংখ্যা বেশি হবে ?
উত্তর: দরিদ্রদের ।

২৬.জাহান্নামে কাদের সংখ্যা বেশি হবে ?
উত্তর: নারীদের ।

২৭.কোন সাহাবীকে (রা:) আল্লাহর তরবারী উপাধি দেওয়া হয়েছিলো ?
উত্তর: খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা:) ।

২৮.একজন মুসলিম ও একজন কাফিরের মধ্যে পার্থক্যকারী ইবাদাত কোনটি ?
উত্তর: সালাত ।

২৯. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কে কে ?
উত্তর: আসিয়া (আ:), মারিয়াম (আ:), খাদিজা (রা:), ফাতিমা (রা:) ।

৩০. কোন নবীকে আল্লাহ্ তা'আলা পাখির ভাষা বুঝার ক্ষমতা দিয়েছিলেন ?
উত্তর: সুলাইমান (আ:) ।

৩১. প্রথম রাসূল কে ছিলেন ?
উ: নূহ (আ:) ।

৩২.সর্বপ্রথম অহংকার করে কে ?
উত্তর: ইবলিশ ।

৩৩. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি ?
উত্তর: রজম (কোমর/ গলা পর্যন্ত পুতে ঢিল মেরে হত্যা) ।

৩৪. কোন সূরা কে সূরাতুশ 'শিফা' বলে হয়?
উত্তর: সূরা ফাতিহা ।

৩৫. জীবিত অবস্থাতেই কতজন সাহাবী (রা:) জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন ?
উত্তর: ১০ জন ।

৩৬.মুনাফিদের জন্য কোন কোন সালাত আদায় করা কষ্টকর ?
উত্তর: ইশা ও ফজর ।

৩৭.ইসলামের চারজন খলিফা কে কে?
উত্তর: ইসলামে ৪ জন খলিফা হলেন ১. হযরত আবু বকর (রা.) ২. হযরত ওমর (রা.) ৩. হযরত ওসমান (রা.) ৪. হযরত আলী (রা.)।

পর্ব - ২

১৪.মুশরিক কাকে বলে?
উত্তর : যে ব্যক্তি এক আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার (শিরক) সাবস্ত করে তাকে মুশরিক বলে।
অথবা যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে মুশরিক বলে ।
১৫.শিরক কত প্রকার?
উত্তর :দুই প্রকার।যথা:
১.শিরকে আকবর(বড় শিরক)।যেমন :আল্লাহর স্ত্রী ও ছেলে -মেয়ে আছে বলে বিশ্বাস করা।
২.শিরকে আছগর(ছোট শিরক)।যেমন :রিয়া(লৌকিকতা)।
১৬.শিরক প্রধানত কত প্রকার?
উত্তর :শিরক প্রধানত তিন প্রকার। যথা:

১. আল্লাহর সত্ত্বার সাথে শিরক করা। যেমনঃ আল্লাহর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা আছে বলে মনে করা। এরকম শিরক খ্রিষ্টানরা করে থাকে।

২. আল্লাহর গুণাবলিতে শিরক করা। যেমনঃ নবী, রাসূল ও আওলিয়াগণ গায়েব জানেন বলে মনে করা, কারণ গায়েবের জ্ঞান শুধুমাত্র আল্লাহ তয়ালাই জানেন। সূফীগণ সাধারণত এই ধরনের শিরক করে থাকে।

৩. আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা। যেমনঃ কবর কিংবা মাজারে সিজদা দেওয়া, কোন পীরকে সিজদা দেওয়া। এমনকি! উপাসনার নিয়্যতে কারো সামনে মাথা নত করাও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
১৭.ফাসিক কাকে বলে?
উত্তর :বাংলাতে ‘ফাসেক’ শব্দের অর্থ করা হয় পাপীষ্ঠ। যে ব্যক্তি নিয়মিত কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে অথবা প্রকাশ্যে আল্লাহর নিষিদ্ধ ঘোষিত হারাম কাজ করতে অভ্যস্ত এবং তোওবা করে পাপ কাজ থেকে ফিরে আসেনা, তাকে ফাসেক বলা হয়। ফাসেক ব্যক্তি যদি নামাযী মুসলমান হয়, দ্বীনের অন্য বিধি-বিধান মেনে চলে কিন্তু কিছু কবীরাহ গুনাহতে লিপ্ত থাকে, তাহলে মীযানে তার নেক আমল যদি পাপ কাজের ওজনের চাইতে ভারী হয় তাহলে সে জান্নাতে যাবে। অথবা আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে যদি ক্ষমা করে দেন, তাহলে সে কোন শাস্তি ছাড়াই সরাসরি জান্নাতে যাবে। কিন্তু তার পাপ কাজ যদি নেকীর চাইতে বেশি ভারী হয় এবং আল্লাহর রহমত পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে জাহান্নামে পাপের শাস্তি ভোগ করবে।

১৮.কাফের কাকে বলে?
উত্তর :কাফির শব্দটি ‎‏كفار ধাতু থেকে নির্গত। এর শাব্দিক অর্থ হল ঢেকে রাখা, লুকিয়ে রাখা এবং এর ব্যবহারিক অর্থ হল অবাধ্যতা, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা - ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, কুফর হল ঈমানের বিপরীত। সংজ্ঞাঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত দ্বীন ইসলাম, যেমনঃ কুরআনুল কারীম বা এর কোনো আয়াত, মুহাম্মাদ (সঃ) অথবা কোনো একজন নবী/রাসূলকে অস্বীকার, ইসলামি আক্বিদার মৌলিক কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস বা অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমাণিত ইসলামের এমন কোনো বিধি-বিধানকে অস্বীকার করে, অবিশ্বাস করে, প্রত্যাখ্যান অথবা এইগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্টা/অবজ্ঞা করে, তাকে কাফির বলা হয়।
১৯.মুনাফিক কাকে বলে?
উত্তর :মুনাফিক (আরবিতে: منافق, বহুবচন মুনাফিকুন) একটি ইসলামি পরিভাষা যার অর্থ একজন প্রতারক বা "ভন্ড ধার্মিক" ব্যক্তি। যে প্রকাশ্যে ইসলাম চর্চা করে; কিন্তু গোপনে অন্তরে কুফরী বা ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস লালন করে। আর এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় নিফাক (আরবি: نفاق‎‎)।
২০.হাদিসে মুনাফিকের আলামত কয়টি রয়েছে?
উত্তর :চারটি। যথা:১. সম্পদ গচ্ছিত রাখা হলে তা হনন করে; ২. কথা বললে মিথ্যা বলে; ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে বিস্ফোরিত হয় (فَجَرَ, ফাজারা)/অশ্লীল গালি দেয়/সত্য থেকে বিচ্যুত হয়/অত্যন্ত অবিবেচক, অযৌক্তিক, মূর্খ, মন্দ এবং অপমানজনকভাবে আচরণ করে।"[৪]
অথবা তিনটি। যথা:
(১) কথা বললে মিথ্যা বলে।
(২) ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।
(৩) আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে।’’ মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ’’যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম।’’
(৪)আরেকটা হলো হিংসা করা।


২১. প্রধান ফেরেশতা কারা?
উত্তর: জিবরাঈল, ইসরাফীল, মীকাঈল ও মালাকুল মওত (আঃ)।

২২. ওহী নাযিল করার দায়িত্ব কোন ফেরেশতার ছিল?
উত্তর: জিবরাঈল (আঃ) এর।

২৩. কোন ফেরেশতাকে সকল ফেরেশতার সরদার বলা হয়?
উত্তর: জিবরাঈল (আঃ) কে।

২৪. ইসরাফীল (আঃ) এর দায়িত্ব কি?
উত্তর: আল্লাহর নির্দেশ ক্রমে শিংগায় ফুৎকার দেয়া।

২৫. মীকাঈল ফেরেশতার কাজ কি?
উত্তর: তিনি বৃষ্টি বর্ষণ, উদ্ভিদ উৎপাদন প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত।

২৬ প্রাণীকুলের জান কবজের কাজে নিয়োজিত ফেরেশতার নাম কি?
উত্তর:মালাকুল মওত। (আজরাঈল নাম বিশুদ্ধ নয়)

২৭. কোন ফেরেশতা কি মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ করতে পারে?
উত্তর: না, আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ কারো কোন কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক নয়- ফেরেশতা, জিন, মানুষ- নবী, ওলী কেউ না।
২৮.জান্নাত স্তর কয়টি ও কি কি?
উত্তর : আটটি।যথা:

আট প্রকার জান্নাতের কথাই আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকারগুলো হচ্ছে :

১.জান্নাতুল ফিরদাউস।
২.জান্নাতুন্ নায়ীম।
৩.জান্নাতুল মাওয়া।
৪.জান্নাতুল আদন।
৫.জান্নাতু দারুস সালাম।
৬.জান্নাতুদ দারুল খুলদ।
৭.জান্নাতু দারুল মাকাম।
৮.জান্নাতু দারুল কারার।

√১.জান্নাতুল ফিরদাউস – জান্নাতের সর্বোচ্চ বাগান।[৪] (আল-কাহফ,[১৮:১০৭] আল-মু’মিনূন[২৩:১১])
২.দারুল মাকাম – বাড়ি (ফাতির[৩৫:৩৫])
৩.দারুল কারার – আখেরাতের আলয়(আল-আনকাবূত)[২৯:৬৪])
৪.দারুস সালাম – শান্তির নীড় (ইউনুস,[১০:২৫] আল আনআম[৬:১২৭]
৫.জান্নাতুল মাওয়া – বসবাসের জান্নাত (আন-নাজম[৫৩:১৫])
৬.দারুন নাঈম – নেয়ামত পূর্ণ কানন/বাগান (সূরা আল-মায়িদাহ [৫:৬৫] ইউনুস,,[১০:০৯] আল-হাজ্জ[২২:৫৯]
৭.দারুল খুলদ – চিরস্থায়ী বাগান (আল-ফুরকান[২৫:১৫])
৮.জান্নাতুল আদন – অনন্ত সুখের বাগান (আত-তাওবাহ্‌:[৩:৭২]আর-রাদ[১৩:২৩]
এ আটটি জান্নাতের মধ্যে জান্নাতুল ফিরদৌস হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।
২৯.জান্নাতের দরজাসমূহ কয়টি?
উত্তর :

হাদিস অনুসারে জান্নাতের মোট আটটি দরজা রয়েছে।

১.বাবুস সালাহ
২.বাবুল জিহাদ
৩.বাবুস সাদাকাহ
৪.বাবুর রাইয়ান[৫]
৫.বাবুল হজ
৬.বাবুল কাদিমিনুল গায়িধ
৭.বাবুল ইমান
৮.বাবুজ জিকর
(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৭)।
৩০.জাহান্নামের স্তর কয়টি ও কি কি?
উত্তর :সাতটি। যথা:
জাহান্নামের স্তর ৭ টি। ১.জাহান্নাম ২. লাজা। ৩.হুতামাহ। ৪.সায়ীর। ৫.সাকার্। ৬.জাহিম। ৭.হাবিয়াহ।

[১]জাহীম ("জ্বলন্ত আগুন"[২]), হুতামাহ ("চূর্ণবিচূর্ণকারী"[৩]), হাবিয়াহ ("অতল গহ্বর"[৪]), লাযা, সা’ঈর ("উজ্জ্বল অগ্নিকাণ্ড"[৫]), সাকার,[৬][৭] আন-নার।
৩১.দ্বীন কয়টি বিষয়ের সমষ্টি এবং কি কি?
উত্তর :তিনটি। যথা:
১.আল -ঈমান।
২.আল- ইসলাম।
৩.আল -ইহসান।
৩২.কবরে কয়টি প্রশ্ন করা হবে এবং কি কি?
উত্তর :তিনটি।যথা :
১.তোমার রবকে?
২.তোমার দ্বীন কি?
৩.এই ব্যক্তি (মুহাম্মদ স.) সম্পর্কে তোমার কি মতামত?
৩৩.ইবাদাত কাকে বল?
উত্তর :
ইবাদাত শব্দটি আবাদা শব্দের ক্রীয়ামূল; যার অর্থ আনুগত্য করা, দাসত্ব করা, গোলামী করা, বিনয়ী হওয়া, অনুগত হওয়া, মেনে চলা ইত্যাদি; ইসলামী পরিভাষায়, আল্লাহর একত্ববাদকে মান্য করে চলার নামই ইবাদাত; এর বাইরে বা বিপরীতে যা ‍কিছু করা হোক না কেন, তা ইবাদাত বলে গণ্য হবে না।

ইবাদতের পরিচয় দিতে গিয়ে শাইখুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া (র:) বলেন,

ইবাদাত হচ্ছে রাসুলগণের মাধ্যমে আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন তা মেনে চলা। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ যা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন এমন সকল প্রকাশ্য ও গোপনীয় কাজ বর্জন করা।

শেষ পর্ব
আল কুরআন মাজীদ :

৩৬.মুত্তাকি কাকে বলে?
উত্তর: মুত্তাকি শব্দটি এসেছে 'তাকওয়া' শব্দ থেকে। তাকওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে খোদাভীতি তথা গোনাহ থেকে আত্মরক্ষা করা। অর্থাৎ, যিনি আল্লাহকে ভয় করতঃ সকল প্রকার খারাপ কাজ হতে নিজেকে বিরত রাখেন, তাঁকে মুত্তাকি বলা হয়।
মুত্তাকীন কারা বা মু্ত্তাকী ব্যক্তির পরিচয়
মুত্তাকী (مُتٌَقِىْ ) এমন ব্যক্তি যার মধ্যে তাকওয়া রয়েছে। তাকওয়া একটি অসাধারণ নৈতিকগুণ। আল্লাহর কাছে মর্যাদা প্রাপ্তির এক অনিবার্য উপায়। পরকালীন জীবনে ব্যক্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন কাজ ও বিষয় থেকে বিরত থাকাই তাকওয়া।

৩৭. সূরা আল-বাকারাহ মুত্তাকীদের কয়টি বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী বলা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর :পাঁচটি। যথা:
১. গায়বের প্রতি বিশ্বাসী : মুত্তাকী ব্যক্তির প্রথম পরিচয় হলাে তারা গায়ব বা অদৃশ্য বিষয়সমূহে ঈমান পােষণ করে। আর গায়ব হলাে এমন বিষয় যা ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা যায় না। সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বােঝা যায়।

২. সালাত কায়েমকারী : মুত্তাকীর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন- وَيُقِىْمُوْنَ اصٌَلٰوتَ

৩. আল্লাহর পথে সম্পদ ব্যয়কারী : মুত্তাকীর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন- وَمِمٌَا رَزَقْنَهُم يُنفِقُوْنَ


৪. আসমানি কিতাবে বিশ্বাসী : মুক্তাকী আসমানি কিতাব এর সত্যতায় বিশ্বাস রাখে।

৫. পরকালে বিশ্বাসী : মুত্তাকীরা পরকালে সুদৃঢ় প্রত্যয় পােষণ করে। আল্লাহ বলেন- وَبِا لْاٰ خِرَتِ هُمْ يُوْ قِنُوْن

৪)। ইয়াকিন হলাে অত্যন্ত সুদৃঢ় বিশ্বাস। মুত্তাকীরা বিশ্বাস করে- পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী।

৩৮.সূরা মুমিনুনে মুমিনদের কয়টি গুণের কথা বলা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর: এগারোটি। যথা:
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা মুমিনুনে ইরশাদ করেন।

১. মুমিনরা সফলকাম হয়ে গেছে
২. যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত
৩. যারা অনর্থক কথাবার্তায় নির্লিপ্ত
৪. যারা জাকাত দান করে থাকে
৫. যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে
৬.তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না
৭.অতঃপর কেউ এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী হবে
৮. এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকে
৯.যারা তাদের নামাজসমূহের খবর রাখে
১০. তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে
১১.তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানে চিরকাল থাকবে।

৩৯.সূরা আল -ফুরকনে রহমানের বান্দাহর কয়টি গুণের কথা বলা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর : বারোটি। যথা:
মহান আল্লাহ্‌ বর্ণনা করেছেন পবিত্র কুরআনের সূরা ফুরকনে-

প্রথম গুণ : বান্দা হয় প্রভুর মালিকানাধীন ও তার আদেশ-মর্জি অনুসারী।

দ্বিতীয় গুণ : তারা পৃথিবীতে নম্রতা ও বিনয় সহকারে চলাফেরা করে।

তৃতীয় গুণ : যখন অজ্ঞ লোকজন তাদের সাথে কথা বলে, তখন তারা বলে 'সালাম'।

চতুর্থ গুণ : তারা তাদের পালনকর্তার সামনে সিজদারত ও দণ্ডায়মান অবস্থায় রাত্রিযাপন করে।

পঞ্চম গুণ : সর্বদা আখিরাত ও জাহান্নামের আযাব সম্পর্কে ভয় করে।

ষষ্ঠ গুণ : তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না এবং কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এ দুয়ের মধ্যবর্তী।

সপ্তম গুণ : তারা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না।

অষ্টম গুণ : তারা আল্লাহ্‌ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না।

নবম গুণ : তারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে।

দশম গুণ : তারা মিথ্যা ও বাতিল কাজে যোগদান করে না,

একাদশ গুণ : যখন তারা মিথ্যা ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে এড়িয়ে চলে যায়।

দ্বাদশ গুণ : তাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।
৪০. হযরত লুকমান (আ.) স্বীয় সন্তানকে কয়টি উপদেশ দিয়েছেন ও কি কি?
উত্তর : দশটি। যথা:
১. আল্লাহর সাথে শিরক না করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৩]
২.সলাত কায়েম করো।[সূরা লুকমান-৩১:১৩]
৩.সৎ কাজের নির্দেশ দেয়া।[সূরা লুকমান-৩১:১৩]
৪.অসৎকর্মে নিষেধ করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৭]
৫.বিপদে -আপদে ধৈর্য্য ধারণ করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৭]
৬.অহংকার না করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৮]
৭.মানুষকে অবজ্ঞা না করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৮]
৮.উচ্ছৃঙ্খলভাবে জমিনে বিচরণ না করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৮]
৯.সংযতভাবে জমিনে পদচারণ করা। [সূরা লুকমান-৩১:১৯]
১০.কণ্ঠস্বর নিচু করা।[সূরা লুকমান-৩১:১৯]
৪১.আল -কুরআনে কতজন নবীর নাম উল্লেখ রয়েছে ও কারা কারা?
উত্তর :পঁচিশ জন।যথা:
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নাম:-

১. আদম (আ.)
২. নূহ (আ.)
৩. হূদ (আ.)
৪. ছালেহ (আ.)
৫. ইব্রাহীম (আ.)
৬. লূত্ব (আ.)
৭. ইসমাঈল (আ.)
৮. ইসহাক্ব (আ.)
৯. ইয়াকূব (আ.)
১০. ইউসুফ (আ.)
১১. আইয়ূব (আ.)
১২. শু'আয়েব (আ.)
১৩. মূসা (আ.)
১৪. হারুণ (আ.)
১৫. ইউনুস (আ.)
১৬. দাঊদ (আ.)
১৭. সুলায়মান(আ.)
১৮. ইলিয়াস (আ.)
১৯. আল ইয়াসা (আ.)
২০. যুল-কিফল (আ.)
২১. যাকারিয়া (আ.)
২২. ইয়াহ্ইয়া (আ.)
২৩. ইদরীস (আ.)
২৪. ঈসা (আ.)
২৫. মুহাম্মদ (সা.)
৪২.মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা" আল হুজরাতে "কয়টি সামাজিক বিধিনিষেধ কথা বলেছেন এবং কি কি?
উত্তর : ছয়টি।যথা:
১.কাউকে উপহাস করা।
২.কাউকে দোষারোপ করা।
৩.কাউকে মন্দ নামে ডাকা।
৪.গিবত করা।
৫.অধিক ধারণা করা।
৬.কারো দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা।
৪৩.আস-সিখরিয়া কাকে বলে এবং এর হুকুম কী?
উত্তর :অহংকারবশতব অন্যকে ঘৃণা করা,বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা অথবা বিদ্রূপ করাকে আস-সিখরিয়া বলে।এটা করা হারাম।

৪৪.কাউকে দোষারোপ করা যাবে কী?
উত্তর : না।
وَلَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ

উত্তর : না।

৪৬. গিবত কাকে বলে এবং এর হুকুম কী?
উত্তর :কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ -ত্রুটি বর্ণনা করা।যা শুনলে সে মনে কষ্ট পাবে, যদিও তার মধ্যে উক্ত দোষটি বিদ্যমান থাকে, তাকে গিবত বলে।এটা করা হারাম।

৪৭.অধিক ধারণা করা কী?
উত্তর : পাপ।

اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ.

সূরা আল হুজুরাত -৪৯: ১২।

৪৮.কারো দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা কী?
উত্তর : হারাম।

৪৯. সূরা আল- মুনাফিকূনে মুনাফিকের কয়টি বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে এবং কি কি?
উত্তর :এগারোটি।যথা:
১.তারা মিথ্যাবাদী।[ সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০১]
২.তারা অন্যদেরকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত রাখে।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০২]
৩.তারা বাহ্যিকভাবে ঈমান আনে।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৩]
৪.তারা কুফরি করে।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৩]
৫.তাদের অন্তরে মোহর মারা। [সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৩]
৬.তারা সত্য বুঝেনা।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৩]
৭.তারা যেন(কোন -কিছুতে) ঠেকনা দেওয়া কাঠের মতো।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৪]
৮.যে কোন-হাঁক-ডাককে নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৪]
৯.তারা মুমিনদের চিরশত্রু। [সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৪]
১০.তারা অহংকারবশত মাথা ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৫]
১১.তারা ইসলামের পথে ব্যয় করতে অপারগতা প্রকাশ করে।[সূরা আল -মুনাফিকূন-৬৩:০৮]
৫০.আল -কুরআনে মানব সৃষ্টির কয়টি পর্যায় বলা হয়েছে এবং কি কি?
উত্তর :সাতটি। যথা:
সূরা আল মুমিনে আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন।
১.মাটি।
২.শুক্রবিন্দু।
৩.জমাট রক্ত।
৪.শিশু
৫.কিশোর
৬.যুবক (যৌবন)
৭.বৃদ্ধ (বার্ধক্য)
[আল মুমিন-৬৩:৬৭]
৫১.তাওহীদের কয় রোকন?
উত্তর :তাওহীদের দুই রোকন:
১.তাগুতকে বর্জন করা।
২.দৃঢ়ভাবে এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।



৫২.ঈমান ভঙ্গের কারণ কয়টি?
উত্তর :ঈমান ভঙ্গের কারণ দশটি।যথা:
১.এক. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা।[সূরা নিসা ৪ : ৪৮]
২.দুই. আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে কাউকে মধ্যস্থতাকারী বানানো। [সূরা ইউনুস, ১০ : ১৮]
৩.তিন. মুশরিক-কাফিরদের কাফির মনে না করা।[সূরা নিসা, ৪ : ৬০]
৪.চার.নবী করীম (স.) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তাকে পরিপূর্ণ মনে না করা।[সূরা আল মায়েদা,৫:১১]
৫.পাঁচ. মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা।[সূরা নিসা, ৪ : ৬৫]
৬.ছয়. দ্বীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা।[সূরা তাওবা, ৯ : ৬৫-৬৬]
৭.সাত. জাদু করা।[সূরা বাকারা, ২ : ১০২]
৮.আট. মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা।[সূরা তাওবা, ৯ : ২৩]
৯.নয়. কাউকে দ্বীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা।[সূরা মায়িদা, ৫ : ৩]
১০.দশ: দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া।[সূরা সাজদা, ৩২ : ২২]
৫৩.ঈমানের আরকান বা স্তম্ভ কয়টি?
উত্তর :ঈমানের আরকান ছয়টি:
১.আল্লাহর প্রতি ঈমান।
২.ফেরেশতাগণের প্রতি ঈমান।
৩.আসমানী গ্রন্থসমূহের প্রতি ঈমান।
৪.রসূলগণের প্রতি ঈমান।
৫.পুনরুত্থান তথা কিয়ামত ও আখেরাতে প্রতি ঈমান।
৬.তাকদীরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান।



৫৪.কোন সূরা সময়ে শপথ দিয়ে শুরু হয়েছে?
উত্তর :সূরা আল-আছর।
৫৫.পবিত্র আল-কুরআনের কয়টি সূরা নবীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর :৬টি। যথা :সূরা নুহ (আ.), সূরা ইউনুস(আ.), সূরা ইউসুফ(আ.),সূরা হুদ(আ.), সূরা ইব্রাহিম(আ.), সূরা মুহাম্মাদ(স.)।
৫৬.মক্কা শব্দটি পবিত্র আল-কুরআনের কোন সূরায় এসেছে ?
উত্তর : সূরা আল -ফাতাহ্।


৫৭.পবিত্র আল-কুরআনে মদীনাকে কি নামে অবহিত করা হয়েছে?
উত্তর :ইয়াসরিব।

৫৮.মুমিন ব্যক্তি কার আদর্শে আদর্শবান হবে?
উত্তর :একমাত্র মুহাম্মাদ (স.) এর।


৫৯.পরপুরুষদের সাথে মুমিন নারীরা কিভাবে কথা বলবেন?
উত্তর :কর্কশ ভাষায়।

৬০.ছেলে-মেয়েরা কখন থেকে পর্দা করা শুরু করবে?
উত্তর : ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে(৯-১৩)।



৬১.আল কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ বলা হয় কোন সূরাকে?
উত্তর :সূরা আল-ইখলাসকে।
৬২.কবিদের নামে নামকরণকৃত সূরার নাম কি?
উত্তর :সূরা আশ-শুআরা।
৬৩.পশু-পাখিদের নামে কয়টি সূরা নামকরণ করা হয়েছে?
উত্তর :৫টি।যথা: সূরা আল- বাকারাহ,সূরা আনকাবুত,সূরা আন-নাহল,সূরা আন-নমল এবং সূরা আল- ফীল।

৬৪. পবিত্র আল-কুরআনে সবচেয়ে বড় সূরা কোনটি?
উত্তর: সূরা আল-বাকারা।
৬৫.পবিত্র আল- কুরআনে সবচেয়ে ছোট সূরা কোনটি?
উত্তর : সূরা আল- কাওছার।
৬৬.পবিত্র আল- কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি এবং কোন সূরায়?
উত্তর : সূরা আল- বাকারার ২৮৬ নংআয়াত।
৬৭.পবিত্র আল- কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযিলত পূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তর : আয়াতুল কুরশী।
৬৮.ফরয নামাযের পর কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উত্তর : আয়াতুল কুরশী।
৬৯.পবিত্র আল-কুরআনের কোন সূরাটি পাঠ করলে, কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর : সূরা আল-মূলক।

৭০.পবিত্র আল-কুরআনের কোন সূরার প্রতি ভালবাসা থাকলে, মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?
উত্তর : সূরা ইখলাস।
৭১.পবিত্র আল-কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের চতুর্থাংশের সমপরিমাণ?
উত্তর : সূরা কাফিরূন।
৭২.পবিত্র আল-কুরআনের কোন সূরাটি জুমআর দিন বিশেষ ভাবে পাঠ করা মুস্তাহাব?
উত্তর : সূরা কাহাফ।
৭৩.পবিত্র আল- কুরআনের কোন সূরার প্রথমাংশ তিলাওয়াত কারীকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করবে?
উত্তর : সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত।
৭৪.পবিত্র আল-কুরআনের কোন দুইটি সূরা জুমআর দিন ফজরের নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উত্তর : সূরা সাজদা ও দাহর।
৭৫.পবিত্র আল-কুরআনের কোন দু'টি সূরা জুমআর নামাযে তিলাওয়াত করা সুন্নত?
উত্তর : সূরা আ'লা ও গাশিয়া।
৭৬. পবিত্র আল- কুরআনে কত বছরে নাযিল হয়?
উত্তর :দীর্ঘ তেইশ বছরে।
৭৭. "মুহাম্মদ " (স.) এর নামটি পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তর : চার স্থানে। ১.সূরা আল ইমরান-(১১৪নংআয়াত) ২.সূরা আহযাব-(৪০নংআয়াত) ৩.সূরা মুহাম্মদ-(২নংআয়াত) ৪.সূরা ফাতাহ্-(২৯নংআয়াত)।
৭৮.পবিত্র আল-কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?
উত্তর : সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত।
৭৯. পবিত্র আল-কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণরূপে নাযিল হয়?
উত্তর : সূরা আল- ফাতিহা।
৮০. পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কি ভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উত্তর : সাহাবায়ে কেরামের নিকট।
৮১.পবিত্র আল-কোরআনের সৌন্দর্য হলো -
উত্তর : সূরা আর রাহমান।
৮২.পবিত্র আল-কোরআনের কলব(হৃদয়) বলা হয় কোন সূরাকে?
উপর :সূরা আর রাহমান।
৮৩.পবিত্র আল-কোরআনের ছাদ(আরশ) বলা হয় কোন সূরাকে?
উত্তর : সূরা ইয়াসিনকে।
৮৪.আল -কুরআনে রসূল (স.)-এর কয়টি নাম এসেছে?
উত্তর : দুইটি।যথা: ১.মুহাম্মাদ, ২.আহমদ।

পর্ব-১
♥আল কুরআন মাজীদ :

১.আল-কুরআন কাকে বলে?
উত্তর: পবিত্র আল-কুরআন হচ্ছে আল্লাহর তায়ালা বাণী, যা হযরত জিবরীল আমিন কর্তৃক রসূল(স.)-এর উপর অবতীর্ণ, যাকে মাসহাফ সমূহে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং সন্দেহমুক্ত প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকভাবে রসূল(স.)থেকে বর্ণিত হয়েছে।
২.মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর : কুরআন মাজীদ।
৩.পবিত্র কুরআন মাজীদ সর্বপ্রথম কোথায় নাযিল হয়।
উত্তর : হেরা গুহায় (জাবালে নূরে)।
৪.পবিত্র কুরআন মাজীদ কোন মাসে নাযিল হয়?
উত্তর : রমাদ্বান মাসে
شَهْرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلْقُرْءَانُ.



৫.পবিত্র কুরআন মাজীদ কখন নাযিল হয়?
উত্তর : কদরের রাতে।
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ.



৬.ইসলামি শরী'আতের প্রথম উৎস কি?
উত্তর : পবিত্র কুরআন মাজীদ।

৭.পবিত্র আল কুরআন কার বাণী?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালা বাণী।
৮.আল কুরআনের আলোচ্য বিষয় কি?
উত্তর: মানব জাতি।
৯.পবিত্র আল- কুরআনের আয়াত অস্বীকারকারীকে কি বলা হয়?
উত্তর : কাফির।
১০.পবিত্র কুরআন মাজীদে মোট কয়টি আয়াত রয়েছে?
উত্তর: ৬,২৩৬ টি।
১১. পবিত্র আল- কুরআনের আয়াত কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর :দুই প্রকার।যথা:
১.আয়াতে মুহকামাত (বিস্তারিত বর্ণিত আয়াত)
২.আয়াতে মুহতাশাবিহাত (সংক্ষিপ্তাকারে আয়াত, যার অর্থ আল্লাহ ও তাঁর রসূল ﷺ ই ভাল জানেন)
১২.পবিত্র আল-কুরআন মাজীদে মোট কয়টি সূরা?
উত্তর : ১১৪টি।
১৩. পবিত্র আল- কুরআনে মাক্কী সূরা কয়টি?
উত্তর :মাক্কী সূরার সংখ্যা মোট ৮৬ টি।
১৪.পবিত্র আল- কুরআনে মাদানী সূরা কয়টি?
উত্তর :মাদানী সূরার সংখ্যা মোট ২৮টি ।
১৫.মাক্কী ও মাদানী সূরা বুঝার মৌলিক নীতি কি?
উত্তর :হিজরত।
১৬.আসমানী কিতাব কাকে বলে?
উত্তর :আসমানী কিতাব হচ্ছে ইসলামের পরিভাষায় মানবজাতি হেদায়েতের জন্য কিতাব সমূহ। অর্থাৎ মহান আল্লাহ তালার বাণীসমূহর গ্রন্থগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়।

১৭.আসমানী কিতাব মোট কয়টি?
উত্তর : ১০৪ টি।
১৮.সহীফা মোট কয়টি?
উত্তর :১০০টি।এই ১০০খানা আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়।
হযরত শীস [আ.]-এর উপর ৫০খানা, হযরত ইদ্রিস [আ.]-এর উপর ৩০খানা এবং হযরত ইব্রাহীম [আ.]-এর উপর ২০খানা সহীফা।
১৯.প্রধান আসমানী কিতাব মোট কয়খানা ও কি কি?
উত্তর: চারখানা। যথা : ১. তাওরাত, ২.জাবুর,৩. ইঞ্জিল ও ৪.কোরআন। এই চার বড় গ্রন্থ নাজিল হয়েছে বিশিষ্ট চারজন নবী ও রাসুলের প্রতি। যথা: তাওরাত হজরত মুসা (আ.) –এর প্রতি ইবরানি বা হিব্রু ভাষায়, জাবুর হজরত দাউদ (আ.) প্রতি ইউনানী ভাষায়, ইঞ্জিল হজরত ঈসা (আ.) প্রতি সুরিয়ানি ভাষায়, এবং কুরআন হযরত মুহাম্মাদ (স.) আরবি ভাষায়।
১৮.পবিত্র আল-কুরআন মাজীদের প্রথম সূরা কোনটি?
উত্তর : সূরা আল-ফাতিহা।
২০.পবিত্র আল-কুরআন মাজীদের সর্বশেষ সূরা কোনটি?
উত্তর : সূরা আন-নাস।

২১.পবিত্র আল- কুরআন মাজীদ পড়ার পূর্বে কি পড়তে হয়?
উত্তর : তাআ'উয(আ'উযুবিল্লাহ বলা) ও তাসমিয়াহ্(বিসমিল্লাহ বলা)।
١
২২.ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ইচ্ছে করলে কি বলতে হয়?
উত্তর : ইংশাআল্লাহ (إن شاء الله )

২৩.কেউ সালাম দিলে কিভাবে তার জবাব দিতে হয়?
উত্তর : সুন্দরভাবে (শব্দ বৃদ্ধি করে)।

২৪. কারো গৃহে প্রবেশ করতে হলে সর্ব প্রথম কি করতে হবে?
উত্তর : সালাম দিতে অনুমতি চাইতে হবে।

২৫.কারো গৃহে প্রবেশের অনুমতি না পেলে কি করতে হবে?
উত্তর : চলে আসতে হবে।

২৬.মাফাতিহুল গাইব কয়টি?
উত্তর : পাঁচটি। যথা:
(১) কেউ জানে না যে, আগামীকাল কী ঘটবে।
(২) কেউ জানে না যে, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে।
(৩) কেউ জানে না যে, মায়ের গর্ভে কী আছে।
(৪) কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবে।
(৫) কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে।

২৭.শিশু ও সাবালকদের কয় সময় নিজ গৃহে প্রবেশে অনুমতি নিতে হবে?
উত্তর : তিন সময়। যথা:
১.ফজরের নামাযের পূর্বে।
২.দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখ।
৩.এবং এশার নামাযের পর।

২৮.ওহী কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, “জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে নবী রাসূলগণের নিকট পাঠানো প্রত্যাদেশই ওহী।”

২৯.ওহী নাযিলের পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?
উত্তর :সাতটি। যথা:
ওহী নাযিলের পদ্ধতি
আল্লামা সুহাইলী (রহ.) বলেছেন, ৭ টি পদ্ধতিতে ওহী নাযিল হয়েছে। এগুলো হলো –

১) স্বপ্নযোগে- আল্লাহর রাসূলের নিকট স্বপ্নযোগে অনেক ওহী আসতো। হযরত আয়িশা (রা) বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায়- নুবুওয়াত লাভের প্রাথমিক পর্যায়ে রাসূল (সাঃ) এর নিকট ঘুমন্ত অবস্থায় ওহী আসত।

২) হযরত জিবরাঈল (আঃ) কর্তৃক অন্তঃকর‘ণে ওহী‘ ঢে‘লে দেওয়া‘র মাধ্য‘মে।

৩) ঘন্টাধ্বনির মাধ্যমে- ওহী নাযিলের পূর্ব মুহূর্তে রাসূল (স: ) এর কানে ঘণ্টাধ্বনির ন্যায় আওয়াজ অবিরাম বাজতে থাকতো এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফেরেশতাও কথা বলতে থাকতেন। এটা ছিল ওহী নাযিলের কঠিনতম পদ্ধতি। প্রচণ্ড শীতেও নবী কারিম (স: ) ঘামতেন। এ পদ্ধতিকে সালসালাতুল জারাস বলা হয়েছে।

৪) ফেরেশতার মানবাকৃতিতে আগমন – কখনো কখনো ফেরেশতারা মানবাকৃতি ধারণ করে রাসূল (স: ) এর নিকট ওহী পৌঁছে দিতেন। এ পদ্ধতি ছিল সহজতর।

৫) ফেরেশতা নিজের আকৃতিতে আগমন – কখনো কখনো হযরত জিবরাঈল (আ)-কে মহান আল্লাহ তা‘লা যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন সে আকৃতিতে নবী কারিম (স: ) এর নিকট ওহী নিয়ে আসতেন। মহানবী (স) ৩ বার হযরত জিবরাঈল (আ)-কে স্বরূপে দেখেছিলেন।

৬) পর্দার অন্তরাল থেকে সরাসরি – কখনোও কখনোও মহানবী (স)-এর নিকট জিবরাঈল (আঃ) পর্দার আড়াল থেকে কথা বলার মাধ্যমে ওহী পাঠিয়েছেন।

৭) ইসরাফীল (আ) এর মাধ্যমে ওহী – কখনও কখনও হযরত ইসরাফীল (আ)- নবী কারিম (স: ) নিকট ওহী নিয়ে আসতেন।
৩০.সূরা আল -ফাতিহার নাম কয়টি?
উত্তর : ৩০ টি।
তন্মধ্যে ছহীহ হাদীছসমূহে এসেছে ৮টি। যেমন : (১) উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল)। (২) উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল)। (৩) আস-সাব‘উল মাছানী (সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়াত)। (৪) আল-কুরআনুল ‘আযীম (মহান কুরআন) (হিজর ১৫/৮৭; বুখারী তা‘লীক্ব হা/৪৭০৪; তিরমিযী হা/৩১২৪, আবুদাঊদ হা/১৪৫৭)। (৫) আল-হামদু (যাবতীয় প্রশংসা)। (৬) ছালাত (মুসলিম হা/৩৯৫, নাসাঈ হা/৯০৯; মিশকাত হা/৮২৩)। (৭) রুক্বিয়াহ (ফুঁকদান) (বুখারী হা/৫৭৩৬)। (৮) ফাতিহাতুল কিতাব (বুখারী হা/৭৫৬, মুসলিম হা/৩৯৪, ৮০৬)।
৩১.পবিত্র আল-কুরআনের মৌলিক পরিভাষা কয়টি ও কি কি?
উত্তর : চারটি।যথা:
১.রব।
২.ইলাহ।
৩.দ্বীন।
৪.ইবাদত।

৩২.রব কাকে বলে?

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এসো সত্যের সন্ধানে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to এসো সত্যের সন্ধানে:

Share