09/03/2025
শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যে পদক্ষেপগুলো কাজে আসতে পারে তা হলো।
নারী ও শিশু নির্যাতন, বিশেষত ধর্ষণ, আমাদের সমাজে একটি গুরুতর সমস্যা। এই অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে, যেগুলি বাস্তবায়িত হলে সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রথমত, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া উচিত। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নারীদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে বিচারাধীন মামলাগুলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করে অপরাধীদের শাস্তির হাত থেকে বাঁচার সুযোগ দেয়, যা সমাজের নৈতিকতার জন্য ক্ষতিকর। এক মাসের মধ্যে দ্রুত বিচার, ধর্ষণকারীকে সঠিক প্রমাণের ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই অপরাধকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
দ্বিতীয়ত, ধর্ষণকারীকে সঠিক প্রমাণের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে। এর মাধ্যমে অপরাধীরা বুঝতে পারবে যে, ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ এবং এর ফল অত্যন্ত কঠোর। মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি নিশ্চিত করবে যে, অপরাধীরা তাদের কর্মকাণ্ডের ফলাফল সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে এবং এটি তাদেরকে এমন অপরাধ করতে বাঁধা দেবে।
তৃতীয়ত, সচেতনতা বৃদ্ধি ও ক্যাম্পেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এ বিষয়ে সচেতনামূলক ক্যাম্পিং চালিয়ে যেতে হবে। গ্রামের জনসাধারণের মধ্যে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে, যাতে তারা জানে, কী ধরনের অপরাধ করলে কী শাস্তি হতে পারে। সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই ক্যাম্পেইনগুলোতে বিশেষভাবে বৃদ্ধ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে, কেননা বর্তমানে অনেক সময় এমন মানুষও এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।
এই পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, নারীদের নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।