01/02/2025
#আমি: আচ্ছা নদী মানুষ তোমায় এতো পছন্দ করে কেনো?? তুমি তো মানুষকে কষ্ট দেও, তারপরও মানুষ তোমায় এতো ভালোবাসে কেনো? মানুষ কেনো কষ্ট পেলে তোমার কাছেই আসে, একটু শান্তির জন্য?? তুমিতো মানুষের জায়গা, জমি, ঘর, বাড়ি নিয়ে যাও তোমার ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য। তারপরও তোমায় মানুষ এতো ভালোবাসে কেনো?? জানো, আমার খুব হিংসা হয় তোমায় দেখে। মানুষকে এতো কষ্ট দেওয়ার পরেও মানুষ তোমায় কতোটা পছন্দ করে।
#নদী: এইটা দুনিয়ার আজব একটা নিয়ম, তুমি যাকে কষ্ট দিবে বেশি, সে তোমায় ভালোবাসবেও বেশি, আবার এভাবেও বলা যায়। তুমি যাকে ভালোবাসবে বেশি সে তোমাকে কষ্ট দিবেও বেশি। হিংসে করোনা হিংসে ভালো নায়।
#আমি: নাহ্ তোমায় দেখে আমার খুব হিংসেই হয়।
#নদী: জানো সাকিব মানুষের দুঃখ গুলো আমি নদীর ঢেউয়ের মতো। গভীর সাগর থেকে ঢেউ কতো উচু হয়ে আমি নদীর বুকের উপর দিয়ে পারে এসে যেমন বিলিন হয়ে যায়, মানুষের দুঃখ কষ্টগুলো ঠিক এমনই, ঢেউ সমান উঁচু হয়ে এসে ঠিক একদিন বিলিন হয়ে যায়, তবে ক্ষতটা ঠিক থেকেই যায়। ছোট ছোট ঢেউ যেমন নদীর বিশালতা বাড়ায়, ছোট ছোট কষ্টগুলো মানুষের মনে বিশাল ক্ষত তৈরি করে। তাই মানুষ আমাকে দেখে শান্তি পায়। যখন সে আমার কাছে এসে দাঁড়ায়, আমি নদীর ঢেউ, আমি নদীর শব্দ শুনে তারা একটু মানসিক শান্তি পায়।
#নদী: জানো সাকিব মানুষ আমার কাছে আরো একটা কারণে আসে??
#আমি: জানি না, কেনো আসে বলো।
#নদী: মানুষ তাদের দুঃখ,কষ্ট আমার কাছে জমা রাখতে আসে। যাতে তারা একটু মানসিক শান্তি পায়, মনটা হালকা হয়।
#আমি: আচ্ছা নদী আমার প্রিয় মানুষটি কি তোমার কাছে কোনো দুঃখ জমা রেখেছে??
#নদী: হ্যা, রেখেছে তো।
#আমি: বলতে পারবে আমাকে? আচ্ছা আমার কথা কি কিছু বলেছে তোমাকে?? বলনা প্লিজ।
#নদী: একজনের জমা রাখা দুঃখ অন্যজনের কাছে বলার অধিকার আমার নেই। আমি তোমাকে বলতে পারবো না। কষ্ট পরেওনা সাকিব, এটা আমার অধিকারের বাইরে।
#আমি: নাহ্ কষ্ট পাবো না, পেলেও তোমায় বলবো না, আচ্ছা নদী, মানুষের দুঃখ কষ্টগুলো জমা রাখতে রাখতে কি কখনো তোমার স্টোরেজ ফুল হয়ে যাবে??
#নদী: কেনো বলোতো সাকিব, এই প্রশ্ন কেনো করলা??
#আমি: প্লিজ নদী আমার পছন্দের মানুষটার দুঃখ কষ্টগুলো সবসময় সংরক্ষণ কইরো, তারে কখনো স্টোরেজের লিমিট দেখাইও না। যদি কখনো স্টোরেজের কমতি হয় প্রয়োজনে আমার জমা রাখা দুঃখ গুলো আমায় ফিরিয়ে দিও, তবুও তার কষ্টগুলো জমা নিও।
#নদী: ও আচ্ছা এই ব্যাপার। এতটা পছন্দ তারে?
#আমি: হুম, আচ্ছা নদী তুমি তো তাকে দেখছো খুব কাছ থেকে, তোমায় তো সে ছুয়ে দেখেছে, বলতে পারবে সে কেমন??
#নদী: সাকিব তুমিও তো দেখছো, তার প্রেমে পরছো, ভালোবাসিও বলছো, যদি তোমার প্রশ্ন আমি তোমাকেই করি, তোমার উওর কি হবে??
#আমি: প্রশ্নের পাল্টা উত্তর প্রশ্ন হয় না, তবুও আমি সবসময় বলি আমার আল্লাহর সৃষ্টি বলে কথা অসুন্দর হতে পারে না, তার কন্ঠ এতোটাই সুন্দর যে সে যদি আমাকে সারাজীবন গালি ও দিতো তাহলে আমার খুব বেশি খারাপ লাগতোনা। এর বেশি আর ব্যাখ্যা করতে বইলো না, প্লিজ।
#নদী : তুমি কি তাকে ভালোবাসো??
#আমি: হুম বাসি তো।
#নদী : এটা কেমন ভালোবাসা, যেই ভালোবাসায় তোমার নিজের স্বার্থ থাকে??
#আমি: কি বলো আমার ভালোবাসায় স্বার্থ ছিলো
#নদী : ছিলো।
#আমি: যেমন???
#নদী : স্বার্থ নিয়ে কাউকে ভালোবাসা নিতান্তই অন্যায়, কাউকে ভালোবাসাতে হলে স্বার্থহীন ভাবে বাসতে হয়। কেউ তোমার মানসিক শান্তির কারণ হতে পারে, কিন্তু তুমি তো কারো মানসিক শান্তির কারণ নাও হতে পারো?? কারো সাথে এক কাপ চায়ের আড্ডার ইচ্ছে তেমার হতেই পারে, তাঁরা দেখা গল্প করা ইত্যাদি ইত্যাদি
যদি এরপরে কাউকে ভালোবাসতেই হয়, ভালোবাসি না বলে ভালো রাখবো বলিও, আপনি কি আমার মানসিক শান্তির কারণ হবেন না বলে, আমি কি আপনার মানসিক শান্তির কারণ হতে পারি?? এটা বলিও,
#আমি: oh🙂
#নদী: চুপ কেনো
আমি: জানি না
#নদী: আমার কথায় মন খারাপ হলো
#আমি: মন খারাপ হইলেই কি না হইলেই কি সে তো কখনো আমার হবে না। স্বার্থ থাকলেই কি না থাকলেই কি??
#নদী: রাগ... একজনকে খুঁজে নিলেই তো হয়।
#আমি: যদি আবার কষ্ট পাই, হারিয়ে ফেলি তখন?? ভয় হয়।
#নদী: চেষ্টা করলেই পারবা, আর একবার চেষ্টা করে দেখো।
#আমি: কাউকে ভালোবাসি কথাটা বলার একটাই লিমিট ছিলো!!
#নদী: আল্লাহর কাছে চেয়ে আরো একটা নাও??
#আমি: দিবে??
#নদী: দিবে, চেয়ে দেখো।
#আমি: যদি না দেয়?
#নদী: তুমি এমন কেনো
#আমি: আমি এমনই, তোমার কোনো সমস্যা??
#নদী: দূরের মানুষ দূরেই সুন্দর, তাকে দূরেই থাকতে দাও। কিছু জিনিস কখনো কাছে পেতে নেই। সঠিক মূল্য দিতে পারবা না। যেমন তোমরা তো চাঁদকে ভালোবাসো, চাঁদের নাগাল কি কখনো পাও? আকাশকে ভালোবাসো আকাশ কি কখনো ছুঁতে পারো? পারোনা তো। তবে মানুষকে ভালোবাসলে কেনোই-বা পেতে হবে এবং ছুঁতে হবে? দূর থেকেও তো ভালোবাসা যায়??
#আমি: চাইলে হয়তোবা পারা যায়।
#আমি: আচ্ছা নদী আমি যদি তোমাকে বলি আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি কি আমার হবে?? তাহলে কি তুমি খুব বেশি অবাক হবে? রাগ করবেনা তো??
#নদী: নাহ্ আমি খুব বেশি অবাক হবো না, রাগও করবো না। তবে আমি তোমার একার হতে পারবো না। আমি সবার, কারো একার হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
#আমি: কেনো?????
#নদী: সাকিব এই যে তুমি কতটা সময় ধরে আমার সামনে এসে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে আছো, তুমি কি সারাদিন সারাজীবন এভাবে আমার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকবে?? উত্তর দাও, থাকবে না, চলে যাবে। তখন আমি হয়ে যাবো খুবই একা। তাই আমি কারো একার হতে পারিনা, আমি সবার।
#আমি: আজ পর্যন্ত আমি ছাড়া আমাকে কউ বুঝলোনা, শেষমেশ তুমিও, ভালো। অনেক্ষন তো হলো এবার নাহয় চলে যা-ই?? তুমি তোমার নতুন বন্ধু খুঁজে নিও, কেমন।
#নদী: রাগ কর.......Typing