12/06/2025
🪖 “চাকরি শখের হতে পারে, কিন্তু সুখের নয়।”এটাই ডিফেন্স লাইফের বাস্তবতা। অনেকে দেখে বাহিরটা—
ইউনিফর্ম, সালাম, গর্ব, গাড়ি, রেসপেক্ট।
কিন্তু ভেতরের জীবনটা?
সেটা শুধু আমরা জানি—ডিফেন্সের মানুষরা।
এই পেশায় একবার ঢুকলে—
নিজের চাওয়া-পাওয়া, সময়, আবেগ, পরিবার, স্বপ্ন—
সবই চলে যায় ‘ডিউটির পেছনে’।
⚖️ এখানে সবাই সাজাপ্রাপ্ত আসামি, কিন্তু কেউ দোষি নয়।
কারণ...
সময়মতো বাড়ি ফিরতে না পারাও একপ্রকার “অপরাধ”
পরিবারের আবদার রাখতে না পারাও “দোষ”
সন্তানের স্কুল প্রোগ্রামে না যাওয়া, ঈদে পাশে না থাকা—সবই “ভুল”
আর যদি কোনোদিন ভুল না করেও পরিস্থিতির শিকার হন—তাও দোষ আপনার!
ডিফেন্সে একটাই নিয়ম—
অপরের ভুলও নিজের ঘাড়ে তুলে নিতে হয়।
কারণ আপনি দায়িত্বে আছেন।
এই কষ্টটা বাহিরের কেউ বোঝে না।
একজন সৈনিক, পুলিশ, আনসার, বিজিবি কিংবা কোস্টগার্ডের সদস্য—
সকালে কোথায় পাঠানো হবে, কখন ফিরবেন, ফিরবেনও কিনা—
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো সেও জানে না।
বাড়িতে মা অপেক্ষায়, রান্না করে রেখেছে,
বাচ্চা মুখ তুলে বলেছে "বাবা কখন আসবে?"
আর তখনই মোবাইলে একটা কল—
"সোজা পোস্টে চলে আসেন, রিকল এসেছে।"
কথা ফুরায় না, শুধু দায়িত্ব বাড়ে।
ভালোবাসা কমে না, শুধু দূরত্ব বাড়ে।
🛡️ **ডিফেন্সে চাকরি একটা গর্বের বিষয় কিন্তু এর পেছনে প্রতিটি মুহূর্তে আত্মত্যাগের গল্প লুকিয়ে থাকে।**
তবুও আমরা করি।
কারণ এটা শুধু চাকরি নয়—
এটা দায়িত্ব, এটা দেশপ্রেম, এটা সওয়াবের পথ।
আমরা আছি বলে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
আমরা আছি বলে লাখো মানুষ নিশ্চিন্ত ঘুমায়।
কিন্তু আমরাই ঘুমাই পোস্টে, অস্ত্র হাতে,
নির্জন পাহাড়ে বা উত্তপ্ত সীমান্তে।
**এই জীবন বাহির থেকে হয়তো সম্মানের,
কিন্তু ভিতরে পোড়া কষ্টের দীর্ঘ ইতিহাস।**
তবুও আমরা বলি না কিছু।
কারণ আমরা শিখেছি—
“কঠিন থাকো, কারণ তুমি পাহারাদার।”
যারা ইউনিফর্মের পেছনের গল্পটা জানে।
যারা নিজের পরিবারকে পিছনে রেখে
একটি বড় পরিবারের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে—
"জাতির জন্য, দেশের জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।" 🇧🇩