MD Naeem

MD Naeem নিসংকোচে আপনার মতো করে বলুন!

29/05/2025

🔥 আমরা অনেকেই বলি —
🗣️ "Write a blog"
🗣️ "Give me a title"

এভাবে vague প্রম্পট দিলে, AI-ও এভারেজ একটা উত্তর দিয়ে দিবে আপনাকে :/

👇 এই ৭টি proven prompt-writing technique, যেগুলো use করলে আপনার আউটপুট হবে sharp, smart & powerful! :)

🔹 1️⃣ ADD CONTEXT
কন্টেক্সট দিবেন বা এআইকে একটা রুল-প্লে করতে বলবেন।
🧠 Prompt: “You are an experienced SEO article writer writing for an Internet-based FOOD Venture.”

এইখানে ইন্টারনেট বেইজড ফুড ভেঞ্চার একটা মেজর কন্ট্যাক্সট যেটা এআই তার মেমরিতে রেখে দিবে যখন আপনার জন্যে আর্টিকেল লিখবে। এইজন্যে একটা চ্যাটবক্সেই সিমিলার সব আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন!

🔹 2️⃣ BE SPECIFIC
ধোঁয়াশা বাদ দিয়ে একদম স্পষ্ট করে বলবেন আপনি কী চান।
🎯 Prompt: “Create a 3-step Airtable layout for managing deep work.”

এখানে দেখেন আমি স্টেপগুলোও বলে দিয়েছি।

🔹 3️⃣ ADD CONSTRAINTS
Limit করে দিবেন যেন AI একটা নির্দিষ্ট রেঞ্জে কাজ করে।
📏 Prompt:
• Max 12 words per sentence
• Avoid buzzwords
• Format like a Justin Welsh post

🔹 4️⃣ GIVE EXAMPLES
যেমন আউটপুট চান, তেমন উদাহরণ বা টোন দেখিয়ে দিন — AI জাস্ট সেটা অনুসরণ করে কাজ করবে।
📋 Prompt: “Write in the same tone and structure as this paragraph: [Paste example]”

আমি অলওয়েজ উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করি। It works every single time!

🔹 5️⃣ USE ROLES
AI কে একজন এক্সপার্ট হিসেবে ইম্যাজিন করতে বলবেন।
👔 Prompt: “You are a Harvard admissions officer reviewing applications.”

🔹 6️⃣ BREAK IT INTO STEPS
একসাথে সব চাইবেন না। ধাপে ধাপে কাজ করান। ধরুন আপনি ChatGPT দিয়ে একটা আর্টিকেল লিখছেন। তো একবারেই সব না করে সেকশন বাই সেকশন কাজ করান। যেমনঃ
🔧 Prompt:
• First, create an outline.
• Then expand each point.
• Then format the output.
• Finally, polish the language.

🔹 7️⃣ TWEAK & RERUN
একবারেই perfect হবে না আপনার প্রম্পট বা আউটপুট — তাই tone, structure, format বারবার পরিবর্তন করে try করবেন।
🔁 Prompt: “Rephrase this with a more casual tone and shorter sentences.”

📌 Bonus Tip:
এ পোস্টটি সেভ করে রাখুন এবং যারা AI নিয়ে কাজ করে, তাদের সাথে শেয়ার করুন! Prompt Engineering নিয়ে একটা বই লিখেছি, ডাউনলোড করে নিন এখান থেকেঃ https://www.facebook.com/share/v/1G8KjFbAjA/

📤 শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং :)

19/05/2025

🎯 ২০টি AI টুল যা আপনার Productive লাইফ ১০গুণ বাড়িয়ে দেবে! 💥
একবার ব্যবহার করলেই বুঝবেন—অনলাইনে আমার যেসব কাজ করি, সেগুলো এখন কত সহজ, দ্রুত আর আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভলি করা যায়!

🔵 1. Perplexity – ChatGPT এর মোবাইল অ্যাপ ভার্সন, রেফারেন্সসহ সার্চ করে
🟣 2. ChatPDF – যেকোনো PDF ফাইলের সাথে কথোপকথন করুন
🟢 3. The Rundown AI – AI টুল, ট্রেন্ডস আর নিউজের সবকিছু এক জায়গায়
🟠 4. Supertools – সব AI টুলের সুন্দরভাবে ক্যাটাগরাইজড ডিরেক্টরি
🔵 5. Wondercraft – ব্লগ বা লেখা দিয়ে অটো পডকাস্ট তৈরি করুন
🟣 6. ElevenLabs – রিয়ালিস্টিক টেক্সট-টু-ভয়েস AI
🟢 7. Gamma – PowerPoint বানানোকে করে অনেক সহজ। এইটা নিয়ে অলরেডি ডিটেইল্ড ভিডিও করেছি Nasir Uddin Shamim পেইজে।
🟠 8. Feathery – শক্তিশালী AI ফর্ম বিল্ডার, মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই ফর্ম তৈরি
🔵 9. Replika – আপনার AI বন্ধুর সাথে কথা বলুন!
🟣 10. Motion – নিজের কাজের সময়সূচি অটোভাবে সাজিয়ে দেয়
🟢 11. Midjourney – টেক্সট দিয়ে তৈরি করুন পাগল করা ছবি
🟠 12. Rewind AI – যা বলেন/দেখেন/শোনেন সব রেকর্ড করে এবং সার্চযোগ্য করে
🔵 13. Mynd – নিজেকে জানার জন্য AI জার্নালিং অ্যাপ
🟣 14. Adobe Podcast AI – অডিও রেকর্ডিং ও এডিটিং একসাথে। ফ্রিতে এর চেয়ে ভালো পডকাস্টিং টুল এখনো আর দ্বিতীয়টা নাই।
🟢 15. MyHeritage Reimagine – পুরোনো ছবিকে এনিমেট করে দিন নতুন জীবন
🟠 16. Synthesia – AI অ্যাভাটার দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি
🔵 17. Vimcal – AI ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট টুল
🟣 18. Ogimi – AI মাইন্ডফুলনেস ওয়ার্কআউট কোচ
🟢 19. InterviewMe AI – AI দিয়ে ইন্টারভিউ অনুশীলন
🟠 20. Opus Clip – বড় ভিডিও ক্লিপকে কাটুন ছোট ছোট ভাইরাল শর্টসে। আমি এর পাশাপাশি Minvo ইউজ করি।

📌 কোন টুলটি আপনার ফেভারিট?
💬 নিচে কমেন্ট করুন

📤 বন্ধুদের শেয়ার করে দিন – এবং আপনার প্রোফাইলেও সেইভ করে রাখুন ভবিষ্যতের জন্যে :)

26/04/2025
23/04/2025
৩০টি ফ্রি AI ভিডিও টুল! ভিডিও এডিটিং না জানলেও এখন আপনি নিজেই বানাতে পারবেন প্রফেশনাল ভিডিও!আপনি কি ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্...
23/04/2025

৩০টি ফ্রি AI ভিডিও টুল! ভিডিও এডিটিং না জানলেও এখন আপনি নিজেই বানাতে পারবেন প্রফেশনাল ভিডিও!

আপনি কি ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানান? ভিডিও এডিটিং শেখা না থাকলেও এখন ৩০টি ফ্রি AI টুল দিয়ে আপনি নিজেই বানাতে পারবেন চমৎকার প্রফেশনাল ভিডিও!

চলুন জেনে নেই কোন টুল কী কাজে লাগে:

১) Pictory – শুধু লিখে দিলেই ভিডিও বানিয়ে দেয়, ভয়েসসহ।
২) Lumen5 – ব্লগ বা আর্টিকেল থেকে অটো ভিডিও তৈরি করে।
৩) Runway ML – ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, ভিডিও রিস্টোর, স্মার্ট কাটসহ আরও অনেক কিছু।
৪) Synthesia – AI স্পিকার দিয়ে যেকোনো ভাষায় ভিডিও তৈরি।
৫) InVideo – টেমপ্লেট দিয়ে সহজে মার্কেটিং ভিডিও বানানো যায়।
৬) Descript – টেক্সট দিয়ে ভিডিও এডিট করা যায়, ভয়েসও এডিট করা যায়।
৭) Veed.io – অনলাইন ভিডিও এডিটিং, সাবটাইটেল অটো যুক্ত করে।
৮) Flexclip – সহজ ইন্টারফেসে স্লাইড ভিডিও, টেক্সট ও অডিও যুক্ত করার সুযোগ।
৯) CapCut (AI) – স্মার্ট কাট, রিমুভাল, এফেক্টসসহ অসাধারণ টুলস।
১০) Magisto – অটো ভিডিও তৈরি করে AI দিয়ে।
১১) Wisecut – ভিডিও থেকে নিরবতা কেটে সাবটাইটেল যুক্ত করে।
১২) Animoto – ফটো থেকে ভিডিও বানায় প্রফেশনাল লুকে।
১৩) Steve.ai – স্ক্রিপ্ট দিলেই ভিডিও তৈরি করে কার্টুন বা লাইভ অ্যাকশন ফর্মে।
১৪) Kaiber – ছবি ও ভিডিও থেকে সিনেমাটিক এফেক্টস যুক্ত করে।
১৫) DeepBrain – ফেস ও ভয়েস দিয়ে প্রেজেন্টেশন ভিডিও তৈরি।
১৬) Heygen – বাস্তবধর্মী ভিডিও তৈরি করে মুখে ভাষা বদলে।
১৭) Rephrase.ai – ভিডিওতে কাস্টমাইজড AI মুখ ব্যবহার করে।
১৮) Synthesys – রিয়েলিস্টিক ভয়েসওভার ও মুখ নিয়ে ভিডিও তৈরি করে।
১৯) Elai.io – প্রোডাক্ট ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন বানাতে ভালো।
২০) Clipchamp – উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য সহজ ভিডিও এডিটিং টুল।
২১) Powtoon – অ্যানিমেটেড প্রেজেন্টেশন ও ভিডিওর জন্য বিখ্যাত।
২২) Tome – ভিজ্যুয়াল ও ইনফোগ্রাফিক ভিডিওর জন্য আদর্শ।
২৩) Designs.ai Videomaker – সহজে প্রোমো ভিডিও বানানো যায়।
২৪) Murf.ai – ভয়েসওভার দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে সহায়ক।
২৫) Wave.video – সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও মার্কেটিংয়ের জন্য দারুণ।
২৬) Veed Studio – ফিচার-সমৃদ্ধ ভিডিও এডিটিং প্ল্যাটফর্ম।
২৭) AutoDraw + Video – হাতে আঁকা ছবিকে ভিডিওতে রূপান্তর করে।
২৮) Kapwing – ভিডিও কাট, সাবটাইটেল, ট্রান্সলেশন—সব এক জায়গায়।
২৯) Canva Video Editor – প্রেজেন্টেশন ও রিল টাইপ ভিডিও বানানো যায় সহজে।
৩০) Remove.bg + Canva – ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে ভিডিওতে যুক্ত করতে সহজ টুলস।

এইসব টুল ব্যবহার করে আপনি নিজের কনটেন্টকে এক লেভেল ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন—একেবারেই ফ্রি!

#বাংলায়ভিডিওএডিট #ভিডিওবানান #ডিজিটালবাংলাদেশ

20/04/2025

চাকরী পাওয়া সহজ করবে যেসব AI ওয়েবসাইট:
🟣 Kickresume
দারুন প্রফেশনাল Resume কিন্তু বানিয়ে ফেলতে পারবেন এখানে সহজেই!
🟣 JobscanCo
আপনার আগের Resume স্ক্যান করে কোথায় সমস্যা সেটা বলে দেব! এরে ATS এ আপনার Resume বাদ পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে
🟣 IntrvwBuddy
আসল ইন্টারভিউতে গিয়ে বাদ পড়ে যাবার ভয়? এখানে AI এর সাথে মক ইন্টারভিউ দিতে পারবেন।
🟣 ProPhotos
Resume বা LinkedIn এর দেবার জন্য প্রফেশনাল হেডসট খুব সহজেই AI দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন!
🟣 Wonsulting
আপনার স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্সের উপর ভিত্তি করে AI আপনাকে পারফেক্ট জব খুজে দেবে!
🟣 CareerHub
বিনা' মুল্যে পেয়ে যাবে আপনার ক্যারিয়ার রিলেটেড গাইডলাইন আর AI পাওয়ার্ড জব সার্চ ত আছেই
🟣 CoverDoc
প্রত্যেকটা জবের জন্য আলাদা করে Cover লেটার লেখা অনেক ঝামেলার, তাই না? আপনি কিন্তু এই ওয়েবসাইটের হেল্প নিয়ে এটা খুব সহজেই AI এর হেল্প নিয়ে করে ফেলতে পারবেন।
🟣 Yoodli
আপনার কথা বলার আর প্রেজেন্টেশন স্কিল বেটার করতে পারবেন এই ওয়েবসাইটের AI কোচের মাধ্যমে কথা বলতে বলতে! দারুন না?
🟣 ChatGPT
এর কথা আর নতুন করে কি বলবো? আপনি চাইলে ChatGPT কে আপনার কথা বলার সংগী বানাতে পারেন। ক্যারিয়ার এডভাইস ই বলেন, আর ইংলিশ স্পীকিং ই বলেন। চাইলে মক ইন্টারভিউ ও করতে পারেন এর সাথে
🟣 Existential
এই ওয়েবসাইট শুরুতে আপনার ব্যাপারে ভালো করে জানবে। এরপর সেই অনুযায়ী আপনাকে জব সাজেস্ট করবে, তার পাশাপাশি রোডম্যাপ ও দিয়ে দেবে!
[ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন, সামনে AI নিয়ে এমন আরো কিছু নিয়ে আসার ইচ্ছে আছে]

16/04/2025
ইসলামপন্থীদের বিকল্প বর্ষবরণ!বাংলা বর্ষবরণ একটি সার্বজনীন উৎসব। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ একসাথে এই উৎসব পালন করতে পারে। সবা...
16/04/2025

ইসলামপন্থীদের বিকল্প বর্ষবরণ!

বাংলা বর্ষবরণ একটি সার্বজনীন উৎসব। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ একসাথে এই উৎসব পালন করতে পারে। সবাই সবার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, রুচি ঠিক রেখে এই উৎসবে সামিল হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ দিন উৎসবটি একটি 'শ্রেণী উৎসব' বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। প্রতিবাদের নামে উদভট পৌত্তলিক সংস্কৃতির চর্চা করা হতো। ইতর প্রাণীর অবয়ব বানিয়ে নাচানাচি করা হতো। যার সথে আমাদের দেশের মানুষের চেতনা, সংস্কৃতি, রুচিবোধের মিল নেই।

এবারও চারুকলার উৎসবে ইতর প্রাণীর অবয়ব বানানো হয়েছে। বিশেষ করে এক ভয়ঙ্কর ইতর প্রাণীর অবয়ব বানানো হয়েছে, যা দেশের কোটি কোটি মানুষকে সুড়সুড়ি দিয়েছে। কিন্তু আমার মতে বর্ষবরণের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। বর্ষবরণ যদি হয় পুরনো জরা ঝেড়ে নতুনের শপথ নেয়া, তবে কেনো 'পুরনো ময়লা' ঘাটতে হবে বছরের প্রথম দিনে? কেনো প্রতিবাদের নামে ঘৃণা ছড়াতে হবে? প্রতিবাদ করার, ঘৃণা করার সময়, ক্ষেত্র কী আর নেই? বর্ষবরণের সময়টাকেই কেনো বেছে নিতে হবে?

দেশের ইসলামপন্থীরা এতো দিন বর্ষবরণের নামে সাপ, বেজি, প্যাঁচার উদভট মেলার সাথে একত্ব হতে পারতেন না। আবার বিকল্পও করতেন না। এ বছর করেছেন। জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ব্যানারে বৈশাখ উদযাপন করেছেন ইসলামপন্থীরা।

'বাঙলা নবযাত্রা ১৪৩২' শিরনামে রেলি করেছে মাদরাসার ছাত্ররা। যেখানে কোনো ইতর প্রাণী ছিলো না। পৌত্তলিক সংস্কৃতি ছিলো। কাউকে কটাক্ষ করা, উস্কানী দেয়া বা ঘৃণার চাষাবাদ ছিলো না। খাঁটি দেশি সংস্কৃতি তুলে ধারার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করা হয়।

জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, দেশের মানুষ একটা বিকল্প পাবে। যারা পৌত্তলিক সংস্কৃতির বর্ষবরণ পছন্দ করে না তাদের যাওয়ার একটা জায়গা হবে।

আমাদের ইসলামপন্থীরা শুধু সমালোচনা করেই দায়িত্ব শেষ করলে চলবে না, মানুষের সামনে বিকল্প হাজির করতে হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে। শুধু সমালোচনা করে তাগুত মোকাবিলা করা যায় না।

যদিও কঠিন হবে। অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক বন্ধুর পথ মোকাবিলা করতে হবে। স্ববিরোধীতাও আসতে পারে কিন্তু, হাল ছাড়া যাবে না। মানুষের সামনে 'বিকল্প' দিতে হবে।

কবি মুহিব খান, শাহ ইফতেখার তারিকরা যার সাথে আছে, তা মুখথুবড়ে পড়বে না আমার বিশ্বাস।

palash rahman

16/04/2025

যারা পহেলা বৈশাখ ও জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে একাকার করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের সমীপে কিছু জবাব - প্রথম পর্ব ⤵️

প্রচলিত বাংলা নববর্ষের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে মুক্তাঙ্গন থেকে শাহবাগ, কাকরাইল ও রমনার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে স্লোগান দিলাম।

মূর্তির সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
প্যাঁচার সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
কোলকাতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
ভারতের সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।

অথচ আমরাই নাকি প্রচলিত নববর্ষ উদযাপন করেছি। দূর থেকে না দেখে, না বুঝে, না জেনে সমালোচনা করা অন্যায়। আমরা মূলত যেটা চেয়েছি সেটা ছিল কলকাতার সংস্কৃতি বর্জন করে বাঙালি সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হোক। যেখানে থাকবে না প্রচলিত পহেলা বৈশাখের মতন শিরক, কুসংস্কার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা যা সরাসরি ৯০% মুসলমানের দেশে চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি। আমাদের প্রত্যেকটি স্লোগান ছিল প্রচলিত পহেলা বৈশাখের বিপক্ষে। একেকটি স্লোগান যা বুলেটের চেয়ে মারাত্মক। স্বৈরাচারের আমলে এই স্লোগানগুলো দিলে সাথে সাথে জঙ্গিবাদের ট্যাগ লাগিয়ে আয়না ঘরের অন্ধকার জগতে রেখে দিত।

স্লোগানগুলো একটু লক্ষ্য করুন ⤵️
আমরাই বাঙালি আমরাই বাংলাদেশ।
আমাদের নববর্ষে আমাদের সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের মুসলিম আমি বাঙালি মুসলামন।
মূর্তির সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
প্যাঁচার সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
কোলকাতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।
ভারতের সংস্কৃতি বন্ধ হোক বন্ধ হোক।

কিছু দ্বীনি ভাই মনে করছেন আমরা প্রচলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা।

১ - প্রতিবছর যে নববর্ষ উদযাপনের নামে
শিরক, কুসংস্কার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা হয় যা সরাসরি ৯০% মুসলমানের দেশে চাপিয়ে দেওয়া হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি এর বিরুদ্ধে আপনার অবদান কি?

শুধু মসজিদ মাহফিলে হারাম হারাম ঘোষণা করা।
নাকি রাজপথে নেমে এর প্রতিবাদ করা। আমরা সেই প্রতিবাদ টুকুই করেছিলাম। যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত করেছি

📚 এ বিষয় আল্লাহ তা'আলা কুরআনে কারীমে বলেন।
اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ السَّیِّئَۃَ
যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত কর।
সুরা আল মুমিনুন, আয়াত নং -৯৬

২ - যে সমস্ত দ্বীনি ভাইয়েরা আমাদের মিছিলের পিছনে মূর্তি লাগিয়ে পোস্ট করেছেন তাদের জন্য ধিক্কার, আমাদের আন্দোলন ছিল প্রচলিত নোংরা সংস্কৃতি ও মূর্তির বিরুদ্ধে অথচ আপনারা মূর্তির ট্যাগ লাগিয়ে আমাদের সম্মানহানী করলেন। এটাতো বিগত স্বৈরাচারের আমলের কাজ যা আপনারা পুনরায় আবার দেখালেন। অথচ আমাদের মিছিলে বাঙালির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র ছিল, রেহাল, লাঙ্গল, ৫ই মের রক্তাক্ত শাপলা, তসবিহ, হালখাতা ইত্যাদি।
এগুলো প্রচার না করে সেখানে মূর্তির ট্যাগ লাগিয়েছেন যারা তারাতো নাস্তিক তসলিমা নাসরিনের ডাইরেক্ট সহযোগী।

📚 যারা অপপ্রচার করেন তাদের বিষয়ে হাদিস শরীফে এসেছে।

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سمع» . رَوَاهُ مُسلم

উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোকের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে (সত্যতা যাচাই না করে) তা-ই বলে বেড়ায়। (মুসলিম)

৩ - আমাদের এই মিছিল স্রেফ প্রতিবাদ ছিল উদযাপন ছিল না। এবং সঠিক মেসেজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্য সামনে রাখলে কখনোই তা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না। যেমনটি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সম্মানিত খতিব
✒️ মুফতি আব্দুল মালেক সাহেব দা.বা. তার বক্তব্যে বলেছেন - পহেলা বৈশাখ বাঙালি রীতি হিসেবে ধরলে সেটা বৈধ হবে এতে কোন আপত্তি নেই এটাকে শরীয়ত আপত্তি করে না।
তবে শিরিক, বিদআত ও কুসংস্কার থাকা যাবে না এবং শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান নামাজ, রোজা, হজ্ব যাকাতের মতন বৈধ মনে করা যাবে না।তাহলে এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ।
(গত জুমআর বয়ান)

✒️ মুফতী হারুন ইজহার সাহেব বলেন,
আমাদের আপত্তি বৈশাখ নিয়ে নয়, বৈশাখবাদ নিয়ে। বৈশাখ আমাদের চেতনার পরিপন্থী না, কিন্তু বৈশাখবাদ আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া শিরক, অপসংস্কৃতিতো বটেই। বৈশাখি মেলা আর মঙ্গল যাত্রা এক না। ইসলাম আইয়ামে জাহেলিয়‍্যার চেতনা ও সংস্কৃতি নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু জাহেলি যুগের 'ওকাজ' ও 'মিজাল্লাহ' ও 'যুল মজায' মেলা বহাল রেখেছে কুরআন।

৪ - যারা বলতে চাচ্ছে আমরা প্রচলিত নববর্ষ কে উদযাপন করেছি তাদের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণীত তাদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের কাজকে বিতর্কিত করা,যার ফলে তারা হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক হিসাবে উপস্থাপন করছে।

তারা এই হাদিসটি দলিল হিসেবে দিচ্ছেন ⤵️
وَعَن أَبِي مُوسَى الأَشعَرِي أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।
(বুখারী ৬১৭০, মুসলিম ৬৮৯০)

ঐ সমস্ত দ্বীনি ভাইদেরকে আমি বলব ইসরাইলের বিপক্ষে গিয়ে আমরা যেভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছি ঠিক তেমনি ভাবে শিরিক ও হিন্দুআনী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা মিছিল ও সমাবেশ করেছি। এ বিষয়টি সাধারণ একজন মুসলমান উপলব্ধি করতে পারবে কিন্তু আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই জেনে শুনে না বোঝার ভান করছেন। আমরা কখনো তাদের সংস্কৃতি বা তাদের কালচার গ্রহণ করিনি।

৫ - জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে যারা আছেন অধিকাংশই বাংলাদেশের একেক জন ইসলামী সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন লেখক, কবি ও গবেষক। তারা জেনে শুনে কখনোই কোরআন ও হাদিসের বিপক্ষে গিয়ে কিছু করবেন না এটাই প্রত্যাশী। কিন্তু কিছু সংখ্যক ইসলামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের পোস্টে জঘন্য জঘন্য কথা ফুটে উঠছে যেগুলো অপ্রত্যাশিত ও গর্হিত।

আগামীতে তাদেরকেও আমরা পাশে পাবো ইনশাআল্লাহ। হয়তো তারা জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নেই অথবা সরাসরি মিছিল ও আন্দোলনে এবার থাকতে পারেননি আশাকরি আগামীতে তাদের সু-বুদ্ধি উদিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সম্পূর্ণ আলোচনার সারমর্ম ⤵️
১১ টা থেকে মুক্তাঙ্গন থেকে প্রচলিত নববর্ষের বিরুদ্ধে মিছিল শুরু হয়ে যোহরের আগে সমাপ্ত হয়েছে। তারপর দুপুরের লাঞ্চে গরুর গোশত ভাত ডাল ছিল। বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ইসলামিক নাশিদ শিল্পীদের অংশগ্রহণে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শুরুতেই মহাগ্রন্থ আল কুরআনে কারীমের তেলাওয়াত হয় পর্যায়ক্রমে হামদ - নাত ইসলামী সংগীত ও দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন হয়। সর্বশেষ জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি জাগ্রত কবি মুহিব খান এর গজল পরিবেশনা ও দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এখানে টুপিওয়ালার চেয়েও বাহিরে লোকের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতন।
তারা আমাদের অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে এবং অশ্লীলতা বেহায়াপনা অনুষ্ঠানকে বর্জন করেছেন।
এটাও আমাদের ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের একটি বড় সফলতা।

আবারও বলছি......
আমরা প্রচলিত বাংলা নববর্ষ উদযাপন করিনি বরং বিরোধিতা করেছি এবং সঠিক মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছি যা উপরে পয়েন্টে পয়েন্টে উল্লেখ করেছি আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুক আমিন।

আবারো বলছি হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি ও কলকাতার সংস্কৃতি বাংলাদেশে বন্ধ হোক বন্ধ হোক।

বার্তা প্রচার -
মুফতি হুজাইফা আল মাহদী
কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক
জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ( জাসাক )
লেখার সময় - ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং,সন্ধ্যা সাতটা , রোজ বুধবার।

Address

Barishal
8205

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Naeem posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share