Ayaz-King of the laugh

Ayaz-King of the laugh আলহামদুলিল্লাহ

আজকে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোলা ছিল, ...
29/07/2025

আজকে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোলা ছিল, সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা গাফিলতি করে ঠিক করেনি।

আজকে হাঁটু সমান বৃষ্টির পানিতে ঢাকনা আছে কি নাই সেটা দেখার কোন উপায় ছিল না। মহিলাটাও প্রতিদিনকার মতই অফিস থেকে বাসায় ফিরছিল,

কিন্তু ঢাকনা না থাকায় মুহুর্তেই যেন নিচে তলিয়ে গেল ম্যানহোলে। একজন লোক দৌড়ে এসে উনাকে ধরতে চেয়েছিল কিন্তু বাঁচাতে পারেনি।

এরপর ফায়ার সার্ভিস এসেছে, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসেছে কিন্তু মহিলার লাশটা পর্যন্ত খুঁজে পায়নি।

স্থানীয় লোকজন বলছে- ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা একটু খোঁজাখুজির পর না পেয়ে বসে বসে তামাশা দেখছিল।

ফায়ার সার্ভিস দোষারোপ করছিল সিটি কর্পোরেশনকে আর সিটি কর্পোরেশন দোষারোপ করছিল ফায়ার সার্ভিসকে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা বসে বসে অপেক্ষা করছিল কখন ৫ টা বাজে। কারণ ৫ টায় ওদের ডিউটি শেষ হয়, সেই অযুহাত দিয়ে পরে তারা চলে গিয়েছে।

কিন্তু মহিলার লাশটা আর উদ্ধার হলো না। অলরেডি ২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। মহিলাটার ২ টা জমজ বাচ্চা আছে। ওদের নানা নানুও কেউ নেই, একদম একা।

বাচ্চাগুলো বিকেলের দিকে মায়ের জন্যে অপেক্ষা করছিল, কিন্তু যখন পাড়াপ্রতিবেশীরা জানিয়েছে তাদের মা ড্রেনে পড়ে মারা গিয়েছে তখন থেকে তারা মায়ের লাশের জন্যে অপেক্ষা করছে।

কিন্তু সেই লাশও এখনো বাড়িতে এলো না।

এদেশের বিমানে সমস্যা, রাস্তায় সমস্যা, আরও কতকিছুতে সমস্যা।

একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। সেই পানিতে কারেন্টের ক্যাবল পড়ে শক খেয়ে মানুষ মরে, ড্রেনে পড়ে মানুষ মরে কিন্তু ঠিকঠাক আর হয়না।

ফায়রা সার্ভিসের লোকেরা যাওয়ার সময় গড়িমসি করে বলে গিয়েছে - আজকে তো লাশ পাইনি, কাল দেখি সময় হলে একবার আসব।

এমন একটা ভাব যেন বাচ্চাদের সাধারণ কোন খেলনা হারিয়ে গেছে, মন চাইলে খুঁজে দিবে, নয়তো না।

অথচ আজকে উপদেষ্টাদের কোন আত্মীয় ড্রেনে পড়ে গেলে এর পরদিনই রাস্তা সংস্কার করা হতো, ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম দিয়ে সারারাত লাশ খোঁজা হতো।

কিন্তু এই মহিলার বেলায় হচ্ছে না, কারণ তিনি তো আর উপদেষ্টা নন, নিতান্তই সাধারণ একজন।

একটু আগে এই মহিলার বোনের মেয়ে আমাকে নক করে করুণভাবে বলছিল- একটু দেখেন না ভাইয়া কিছু করা যায় কি-না, আমরা শুধু লাশটা চাই আর কিচ্ছু না।

বেশি দেরি হলে পানির স্রোতে লাশটা দূরে কোথাও চলে যাবে, আর হয়তো পাওয়া যাবে না।

মহিলার মাত্র ৮ বছরের দুইটা জমজ বাচ্চা এত রাতেও জেগে আছে। মা মা বলে বারবার হাউমাউ করে কাঁদতেছে । অথচ আজকে মা বাসায় ফিরলে এতক্ষণে খেয়ে ঘুমানোর কথা ছিল ওদের।

কিন্তু দু চোখে ঘুম নেই বাচ্চাগুলোর। জীবিত মা'য়ের আশা করছে না, ওরা কেঁদে কেঁদে মায়ের লাশটা চাচ্ছে শুধু।

বৃষ্টির দিনে আমরা হয়তো আরাম করে ঘুমোচ্ছি কিংবা মুভি দেখছি কিন্তু এই বাচ্চা দুটো অপেক্ষা করছে মায়ের লাশের জন্যে!

তাই একটু আওয়াজ তুলুন, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। মাসুম বাচ্চাগুলোকে তার মায়ের লাশটা পেতে অন্তত সাহায্য করুন।

সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস আর দায়িত্বরত উপদেষ্টারা আপনারা এবার একটু ঘুম থেকে উঠুন, চোখটা খুলে একটাবার দেখুন ছবির এই জমজ বাচ্চা দুটো মায়ের লাশের জন্যে কতটা হাউমাউ করে কাঁদতেছে

~ Ibrahim Khalil Shawon

28/07/2025

একটা ছোটভুল একটা পরিবার শেষ
রাত তখন প্রায় ১টা। একটি শান্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ঘরে ফিরলেন। সবার মতো তারাও ক্লান্ত, একটু বিশ্রামের অপেক্ষায়।
ঘরে ঢুকেই স্ত্রীর প্রথম কথাটি ছিল,
— “একটা অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছো? কেমন যেন গ্যাসের মতো…”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি দেখি রান্নাঘরে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা।”
সে দৌড়ে গেল কিচেনে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে, অবচেতন মনে আলো জ্বালিয়ে ফেললো…
এক মুহূর্তেই সব শেষ।
একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ২০০ মিটার দূরের বাসিন্দারাও জানালার কাঁচ কেঁপে উঠতে দেখেছে।
ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ল।
পুরো বাড়িটা আগুনে পুড়ে ছাই।
স্বামী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। স্ত্রী কিছুদিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন…

এই দুর্ঘটনার কারণ?
রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস, আর সেই গ্যাসের মাঝে একটি সাধারণ সুইচ অন করা – যা তৈরি করেছিল ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকী (spark), আর সেটিই হয়ে উঠেছিল মৃত্যু-ফাঁদ।

গ্যাসের গন্ধ পেলে?
1. কখনোই কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ফ্রিজ চালু করবেন না।
কারণ এতে ইলেকট্রনিক স্পার্ক হতে পারে।
2. সব জানালা-দরজা খুলে দিন। যেন গ্যাস বের হয়ে যায়।
3. পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিন।
4. সতর্কভাবে বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে নিন।

আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে কারো জীবন।।

ইনশাআল্লাহ

©️

16/07/2025

সন্তান যখন আপনার কোলে থাকে, যতটা পারেন আদর করেন। কিছু ভেঙে গেলেও বকা দিয়েন না,পড়তে না চাইলেও বকা দিয়েন না ।আদর করবেন শুধু।গায়ে হাত তুলবেন না কখনো। এই যে ফুটফুটে মুখটা, ছোট্ট হাতটা , একটা দিন আসবে, এই হাত আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে।সন্তান চিরোকাল মায়ের কাছে থাকে না। ওদেরও তো জীবন আছে, স্বপ্ন আছে। ক্যারিয়ার গড়বে।কেউ চলে যাবে অন্য দেশে, কেউ উড়ে যাবে দূরের শহরে।তখন আপনি পড়েই থাকবেন এই বাড়িতে। এক কোণে।কখনো কখনো ফোন আসবে।কথা হবে, ‘মা ভালো আছো?’ আপনি বলবেন, ‘ভালো আছি বাবা।’মনের ভেতর হাজারটা কথা জমা থাকবে, বলতে পারবেন না। কারণ ওদের যে ব্যস্ত জীবন।তখন মনে পড়বে, যখন ও ছিল আপনার কোলে,তখন কেনো যে একটু বেশী আদর করেন নাই! কেনো যে বকা দিয়েছিলেন! তখন যে মেরেছিলেন,বকা দিয়েছিলেন, তার জন্য আপনাকে কাঁদতে হবে।

কাঁদতে কাঁদতে চোখ শুকিয়ে যাবে। তবুও সন্তানকে আদর করতে পারবেননা,কারণ সে তো থাকে আপনার থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে।সন্তানকে কখনো মারবেন না। কখনো রাগের মাথায় কটু কথা বলবেন না।শুধু দোয়া করবেন।কারণ, ৫০ বছর আগেই তো লেখা হয়ে গেছে কে কি হবে। কার জীবনে কী আছে, ভাগ্য কোথায় নিয়ে যাবে।আপনি শুধু আল্লাহর কাছে বলো —
‘হে আল্লাহ, আমার সন্তান যেন ভালো মানুষ হয়।
সুন্দর জীবন পায়। ঈমানের সাথে জীবন কাটায়।’

লেখা- সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।

12/07/2025

গোসল করবেন না!... আপনার ছোট শিশুদের একা রাখবেন না, প্রয়োজনে আপনার সাথে বাথরুমে নিয়ে যান কিন্তু একা ছেড়ে দেবেন না।

"তুমি কি আছো, ছোট্ট মেয়ে?"

ঘটনাটি মাত্র এক মাস আগের, কিন্তু ব্যথাটা এখনও এতটাই তাজা মনে হচ্ছে যেন গতকালই ঘটেছে।

সেদিন আমার স্বামী কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আমাদের তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলাম। সে তার প্রিয় পুতুল আর খেলনা নিয়ে বসার ঘরে আনন্দে খেলছিল। আমি সারা সকাল গোসল করা থেকে বিরত ছিলাম, সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায়। অবশেষে, আমি ভাবলাম, "ও ঠিক আছে... মাত্র কয়েক মিনিট লাগবে।"

আমি তাকে আলতো করে বললাম, "মাম্মা তাড়াতাড়ি গোসল করে আসবে, সোনা। এখানেই থেকো আর খেলো, কেমন?" পুতুল সাজানোয় মগ্ন থাকায় সে তেমন মনোযোগ না দিয়েই মাথা নাড়ল।

আমি বাথরুমের দরজা খোলা রেখে জল ছেড়ে দিলাম। যখন আমার চারপাশে বাষ্প উঠতে লাগল, আমি ডেকে উঠলাম, "তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

সে হাসিমুখে উত্তর দিল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি হাসলাম। ওর ছোট্ট কণ্ঠস্বর সবসময় আমার হৃদয়কে উষ্ণ করত। কয়েক মিনিট কেটে গেল এবং আমি আবার ডাকলাম, শুধু নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

"তুমি কি এখনও আছো, বেবি গার্ল?"

আবারও সে কিচিরমিচির করে বলল, "এখানে, খেলনা মাম্মা!"

আমি জল আরও কিছুক্ষণ চলতে দিলাম, শান্তির এক বিরল মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। হয়তো আরও পাঁচ মিনিট কেটে গেল। তারপর আমি আবার ডাকলাম।

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

কোনো উত্তর এলো না।

প্রথমদিকে, আমি ভাবলাম সে হয়তো খেলায় মগ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু একটা আমাকে টেনে ধরল—এক মায়ের সহজাত প্রবৃত্তি। আমি দ্রুত জল বন্ধ করে, গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম।

যা দেখলাম তা আমাকে চিরকাল তাড়া করে ফিরবে।

সে মেঝেতে শুয়ে ছিল, চোখ দুটি বড় বড় করে খোলা, সম্পূর্ণ স্থির। আমি বারবার তার নাম ধরে ডাকলাম, তাকে তুলে নিলাম, কাঁপতে কাঁপতে, চিৎকার করে, তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনুনয় করতে লাগলাম। কিন্তু সে শ্বাস নিচ্ছিল না।

আতঙ্কিত হয়ে আমি ৯১১-এ ফোন করলাম। প্যারামেডিকরা দ্রুত চলে এলেন, কিন্তু তাদের কিছুই করার ছিল না। যখন তারা আমাকে বলল যে সে আর নেই, আমার পৃথিবী ভেঙে পড়ল।

পরের দিন, ময়নাতদন্তের সময়, তারা কারণটি খুঁজে পেল — সে দুর্ঘটনাবশত তার একটি পুতুলের ছোট স্যান্ডেল গিলে ফেলেছিল। এটি তার শ্বাসনালী বন্ধ করে দিয়েছিল। সে হয়তো পুতুলকে খাওয়ানোর ভান করছিল বা তার সাথে খেলছিল যেমনটা সে সবসময় করত।

আমার স্বামী এবং আমি বিধ্বস্ত হয়ে গেলাম। শোক ভালোবাসার উপর অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। আমাদের মাঝে নীরবতা ভারী হয়ে উঠল, এবং অবশেষে, দোষারোপ, অপরাধবোধ আর দুঃখের ভারে আমরা দূরে সরে গেলাম।

এখন আমি একা থাকি। আমার থেরাপিস্ট আমাকে এটা লিখতে বললেন—ব্যথা মুক্তি দিতে, কোনো ধরনের আরোগ্য খুঁজে পেতে। কিন্তু আরোগ্য যেন একটি মিথ। প্রতিবার যখন আমি বাথরুমের দিকে যাই, আমি জমে যাই। জলের কথা, আবার সেই দরজার পিছনে থাকার চিন্তা আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে।

তবুও, কখনও কখনও আমি সাহস সঞ্চয় করি, এবং যখন উষ্ণ জল আমার পিঠ বেয়ে নামে, আমার ভেতরের একটি অংশ সাহস করে জিজ্ঞেস করে:

"তুমি কি আছো, বেবি গার্ল?"

আর বাষ্প আর নীরবতার নিস্তব্ধতায়, আমি শপথ করে বলতে পারি, আমি এখনও তার ফিসফিস শুনতে পাই:

"এখানে, খেলনা মাম্মা।"
©

30/12/2024

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaz-King of the laugh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share