
11/02/2025
পা থেকে মাথা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে আবৃতা একজন নারী। কোনো এক সোর্স থেকে খবর পেয়েছেন তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বউ নিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম।
খবর পেয়েই দিশেহারা হয়ে ছুটে গেলেন রেলস্টেশনে। স্বামীর পিছে দিশেহারার মতো ছুটলেন। বুঝানোর চেষ্টা করলেন, থামানোর চেষ্টা করলেন। স্বামী থামলেন না। ট্রেনে উঠে পড়লেন, ট্রেন ছেড়ে দিলো।
দৃশ্যটা সেখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু হলো না। নাছোড়বান্দা স্ত্রী স্বামীকে থামানোর জন্যে ট্রেনে উঠা স্বামীর পা ধরে ফেলতে চাইলেন। না পারতে ধরলেন দরজার হাতল। স্ত্রীকে তাড়ানোর জন্য স্বামী পা দিয়ে অনবরত লা/-থি মা/-র'তে লাগলেন। এক পর্যায়ে লা/-থি খে/-য়ে খে/-য়ে তার হাত ছুটে যায় হাতল থেকে। ট্রেন চলে যায় দৃষ্টিসীমার বাইরে।
মানুষের মন বদলানো কোনো বিরল ঘটনা না। মিনিটে মিনিটেই বদলায়৷ নতুন কাউকে ভালো লাগা, নতুন কাউকে মনে ধরাও হয়তো স্বাভাবিক।
কিন্তু ভদ্রলোকের মাথায় কি একবারও আসেনি এই স্ত্রী কত অগণিত বেলা তাকে রান্না করে খাইয়েছে গরম ভাত, কতরাত তার জন্য অপেক্ষা করে থেকেছে?
এই লা/-থিগুলো যাকে মা/-র-লেন অবলীলায়, সেই স্ত্রীকে তো তার আগলে রাখার কথা ছিলো!
বিক্রমপুরী সাহেবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে আমরা লাইট হিউমার করতেই পারি। কারণ আমরা জানি আমাদের এলিট সোসাইটিকে ওনার এই ডিসিশন বিন্দুমাত্র স্পর্শ করবেনা।
কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন অসহায় অনেক নারী আছে যারা পৃথিবী দেখে তাদের স্বামীর চোখ দিয়ে। যারা বাঁচে স্বামীর জন্য। যারা স্বামীর জন্য ম/-র-তেও প্রস্তুত থাকে।
একদিন ঘুম থেকে উঠে যখন তারা বুঝতে পারে মেয়াদোত্তীর্ণ ছত্রাক ধরা পাউরুটির প্যাকেটের মতো তাদেরকে উচ্ছিষ্ট ঘোষণা করে ছুঁ/-ড়ে ফেলা হয়েছে, তাদের আসলে করার কিছু থাকেনা। যাওয়ারও কোনো জায়গা থাকেনা। বেঁচে থাকার কোনো পারপাসও থাকেনা। একদিন সত্যি সত্যি ম/-রেও যায় অনেকে!
যাদের কাছে স্বামী ভালো মানেই জান্নাত, আর স্বামীর অনাদরই জাহান্নাম! সম্পর্কের শেষ হওয়া দোষের কিছু না। কিন্তু সম্পর্ক শেষ করতে গিয়ে মানুষকে শেষ করে দিলে তার বিচার অবশ্যই জমিনে হবে। আসমানেও হবে।