মাফিয়া মুক্ত বাংলাদেশ চাই #we want free from Mafia Bangladesh

  • Home
  • Bangladesh
  • Barishal
  • মাফিয়া মুক্ত বাংলাদেশ চাই #we want free from Mafia Bangladesh

মাফিয়া মুক্ত বাংলাদেশ চাই #we want free from Mafia  Bangladesh we speak for democracy.. always be truthful

22/05/2025

গতকালকে চিফ অফ আর্মি স্টাফের দরবারের বক্তব্য সকল মিডিয়াতে পাবলিশ হয়েছে, ঘটনাটা আপনারা জানতে পেরেছেন কারণ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স চাইছে আপনি ঘটনাটা জানেন।

তারা চাইছে আপনি জানেন, মানবিক করিডর নিয়ে সরকারের সাথে সামরিক বাহিনীর বিরোধ তৈরি হয়েছে।

কিন্তু গত সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আরেকটা মেজর ঘটনা ঘটেছে, যেটা সরকারের সাথে আর্মির বিরোধের প্রধান ইস্যু। আর্মি হায়ার আরকি চায় নাই যে আপনি সেটা জানেন।

কিন্তু, আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে মানবিক করিডোর সাইড শো, প্রধান ইস্যু হচ্ছে, পিএসও ওয়ান জেনারেল কামরুলকে দিয়ে, জেনারেল ওয়াকারকে রিপ্লেস করার একটা ঘটনা ঘটে। সেই দিন একটা তথ্য ছড়ায় যে চিফ অফ আর্মি স্টাফকে সরাতে একটা চিঠি তৈরি করে প্রেসিডেন্টের অফিসে পাঠানো হচ্ছে।

সেই রাতে আর্মিতে কিছু নড়াচড়া হয়।

এইটা সেই দিনের ঘটনা, যেদিন বিকেলে ইন্টারনেট ৪০ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল।

আমি পরের দিন, কয়েকজন সিনিয়র জার্নালিস্ট, এনালিস্ট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনের সাথে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করি, আমি যেটা শুনেছি সেটা গুজব কিনা।

খুব ওয়েল-প্লেসড বেশ কয়েকজন মানুষ আমাকে ঘটনাটা কনফার্ম করেছে। এমনকি এই ঘটনার পরের দিন বিএনপির সালাহউদ্দিন সাহেব নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে উল্লেখ করে একটা ছোট করে বিবৃতিও দেন।
আমি ফেসবুকে লেখালেখি খুব একটা করি না। এবং তথ্য প্রকাশ করা, আমার স্কিল না। আমি একজন ইকোনমিস্ট, কিন্তু প্রয়োজনে পলিটিকাল অ্যানালিসিস করি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে।

কিন্তু আমি দেখলাম, বেশ কয়েকটা পত্রিকার প্রধান সাংবাদিক জানেন, ইউটিউবাররা জানে (তারা প্রায়ই কু এর আওয়াজ দিচ্ছিলেন এবং মানুষ হেসে উড়িয়ে দিচ্ছিল) , রাজনীতিবিদেরা জানেন কিন্তু কেউ ঘটনাটা নিয়ে কথা বলছে না, আমি মনে করেছি এইটা নিয়ে আমার আলাপ করা উচিত। কারন ঘটনার সুত্র কি সেইটা না বুঝলে আমাদের ইন্টারপ্রিটেশান ভিন্ন জায়গায় যাবে।

ঘটনাটা সূত্রপাত নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের এপয়েন্টমেন্টের পর। তিনি পিএসও ওয়ান জেনারেল কামরুলের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করেন।

এবং যেহেতু ড. খলিলের নিয়োগকে বাংলাদেশ আর্মির সিনিয়র কিছু অফিসার পিনাকিদা, ছোটন ভাই ও ফরহাদ মজহারসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির গ্র্যান্ড ডিজাইন হিসেবে দেখে, তখন তারা জেনারেল কামরুলের সাথে সম্পর্কটাকে জেনারেল ওয়াকারের জন্যে হুমকি হিসেবে দেখেন।

ড. খলিল যেদিন হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়োগ পান, সেদিন পিনাকিদা একটা ভিডিও তৈরি করে বলেন যে পিনাকি যদি অর্জুন হয় তাহলে খলিল হলো কৃষ্ণ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণ যেভাবে অর্জুনকে পরামর্শ দিয়ে বিজয়ী করে, খলিল তেমনি পিনাকিকে পরামর্শ দেয়।

এইটা তাদের পারসেপশন। আমি বলছি না, এটা ঠিক বা ভুল।

ফলে, ড. খলিল যখন ড. ইউনূসের প্রচণ্ড আস্থা অর্জন করেন এবং জেনারেল কামরুলের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তখন আর্মি, জেনারেল কামরুলকে এএফডি থেকে ট্রান্সফার করার জন্যে চিঠি পাঠায় বা আবেদন করে ।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সেই অনুরোধ কার্যকর করা হয়নি বরং বলা হয়, একটু অপেক্ষা করতে।

এই অনুরোধ দুইবার করা হয় এবং দুইবারেই প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে বলা হয়, অপেক্ষা করতে।

সেই দিন (এক্স্যাক্ট ডেট খেয়াল নাই, যেদিন বিকেলে ইন্টারনেট ডাউন হলো) একটা গুজব ছড়ায় যে, জেনারেল ওয়াকারকে টারমিনেট করার বিষয়ে একটি নোট প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে রাষ্ট্রপতির অফিসে পাঠানো হয়েছে।

একটা তথ্য মতে জেনারেল ওয়াকার এমনকি তার স্টাফের কাছ থেকেও বিদায় নেন। এবং জানান যে তাকে যেতে হবে।
এইটা সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে প্রচণ্ড রিঅ্যাকশন তৈরি করে।

আর্মি তখন নড়াচড়া করে।
এবং এক্স্যাক্টলি কী কী ঘটে তা জানি না, কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়।

সেই রাতে আমি রমনার পাসেই একটা ডিনারের দাওয়াতে ছিলাম, একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মরত বন্ধুর বাসায়। তিনি বলেন , কিছু টের পাচ্ছেন। রাস্তা বন্ধ। আমি আর্মির গাড়ি যেতে দেখলাম।

তো আর্মির নাড়াচারা সরকারের মধ্যে প্রচণ্ড নার্ভাসনেস তৈরি করে।
দূতাবাসগুলো এনগেজ হয়। এবং সিচুয়েশন কুল ডাউন করার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু এর মধ্যেই আর্মি সম্পূর্ণ হোস্টাইল মোডে চলে গেছে এবং পরের দিনগুলোতে আর্মি চিফ, বিভিন্ন স্তরের কমান্ড নিয়ে বিভিন্ন রকম মিটিং করে—যার অনেক কিছু বিভিন্ন মিডিয়াতে এসেছে এবং আর্মিতে সরাসরি কু শব্দটা উচ্চারিত হয় বিভিন্ন লেভেলে।

এই রাতগুলোতেই কনক সারওয়ারসহ বিভিন্ন ইউটিউবাররা ক্যু হতে পারে, সতর্ক থাকুন ইত্যাদি আলাপ তৈরি করেছেন।আপনারা গুজব বলে হেসে উড়ায় দিয়েছেন। কিন্তু কিছু হচ্ছিল।

তো এই ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতায় গত দিনের দরবারে জেনারেল ওয়াকারের আলোচিত স্পিচ—যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে নির্বাচন ও করিডোর নিয়ে মতামত দিয়েছেন—যা আমরা মনে করি, একটা কু এরই সমান, সেই লেভেলে চলে এসেছে।

কিন্তু সেই দিনটা ছিল বাংলাদেশ আর্মির সাথে সরকারের সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট।

জুলকারনাইন সায়ের বাংলাদেশ আর্মির ভেতরে কী হচ্ছে তা জানার জন্যে সবচেয়ে অথেন্টিক সোর্স। সায়ের একটা স্ট্যাটাসে এই বিষয়ে কিছু লিখেছেন, কিন্তু আমি সারপ্রাইজড যে সায়ের ঘটনাটা আরও ডিটেইলে লেখে নাই।

অথচ ঘটনাটা অনেকেই জানেন।

সেনাবাহিনী প্রধানকে সরানোর চেষ্টা অনেক সময় উন্নয়নশীল দেশে সরকার পতনের সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৯৭৭ সালে পাকিস্তানে, প্রধানমন্ত্রী ভুট্টো জেনারেল জিয়া-উল-হককে সরাতে চাইলে, জিয়া অভ্যুত্থান করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন ও পরে ফাঁসি দেন। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে, নওয়াজ শরিফ মুশাররফকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরাতে গেলে, সেনাবাহিনী তাকে হটিয়ে ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মুশাররফ দেশ চালান। ২০১৩ সালে মিশরে, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোরসি সামরিক বাহিনীর উপরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন এবং সেনাপ্রধান জেনারেল সিসিকে সরানোর চিন্তা করেন। এরপর সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটায় ও মোরসিকে সরিয়ে দেয়, পরে সিসি নিজেই রাষ্ট্রপতি হন।

বাংলাদেশ পাকিস্তান না। বাংলাদেশের মিলিটারি ৯০-এর পর থেকে সরকারের প্রতি লয়াল থেকেছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে মিলিটারি টেকওভারের কোনো ধরনের লেজিটিমেসি নেই। এইটা মিলিটারিও জানে। কিন্তু, এজ আই সেইড, জেনারেল ওয়াকারের গত দিনের দরবার একটি কুর সমান।

এবং যার পরিণতিতে আজকে অসংখ্য সোর্স মতে প্রফেসর ইউনূস তার ক্লোজ সার্কেলে রিজাইন করার কথা বলেছেন, যেটা মনে হচ্ছে অনেক বুঝিয়ে উনাকে ঠেকানো হয়েছে ।

জেনারেল কামরুলকে সরানো নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের সাথে জেনারেল ওয়াকারের এই দ্বন্দ্ব বাংলাদেশের রাষ্ট্রের জন্যে একটা খারাপ টার্ন। কারণ আমরা চাই, আর্মি ৯০-এর পর থেকে যেভাবে সিভিলিয়ান শাসনের প্রতি লয়াল থেকেছে, সেই লয়ালিটি মেইনটেইন করুক। আমরা চাই না বাংলাদেশে আর্মি পাকিস্তানের মতো একটা ছায়া সরকার হয়ে উঠুক।

আমি মনে করি রোহিঙ্গা ইস্যু বা মানবিক করিডোর একটা সাইড শো। এইটা চাপে পড়লে, সরকার এমনিতেই সরে আসবে বা ইতোমধ্যে সরে আসছে।
কিন্তু ইস্যুটা ছিল, জেনারেল কামরুলকে নিয়ে টানা পড়েনোর মধ্যে জেনারেল ওয়াকারের টার্মিনেশন অ্যাটেম্পট নিয়ে একটা গুজব, যেটা আর্মি মনে করেছে গুজব নয় , একটা চিঠি পাঠানো হয়েছে ।

এখন পুরো ঘটনায় আমার আরগুমেন্ট হলো,
বাংলাদেশের মানুষকে কি এতটাই বোকাচো বানায় রাখা হইছে যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অনেকেই জানা সত্ত্বেও, মিডিয়ার বেশ কিছু সিনিয়ার ব্যক্তিদের নলেজ থাকা সত্ত্বেও কোন মিডিয়া ঘটনাটা লিখে নাই, কোন ইউটিবার ভিডিও বানায় না আর আমার মতো একজন ইকোনমিস্টকে এইটা লিখতে হচ্ছে এজ ইফ আমি গোপন কোন খবর প্রকাশ করতেছি।

কিয়েক্টা অবস্থা।।। zia hassan

এনসিপি যখন গঠিত হয়, তখন-ই বলেছিলাম, এই দলটির মেয়াদ মাত্র ছয়মাস। তখন যারা আমার কথা বিশ্বাস করেননি, এখন তারা হাড়ে হাড়ে টের...
27/04/2025

এনসিপি যখন গঠিত হয়, তখন-ই বলেছিলাম, এই দলটির মেয়াদ মাত্র ছয়মাস। তখন যারা আমার কথা বিশ্বাস করেননি, এখন তারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন, কতটা নির্মম সত্য লুকিয়ে ছিল এই ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, আমি এটা কীভাবে বুঝতে পেরেছিলাম। এর জবাব খুবই সোজা-
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আমি এদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ক্লাস নেই। এই সময়ের মধ্যে বিশ লক্ষেরও অধিক মানুষদের সাথে আমার ওঠা বসা। এ কারণে আমি ভালো মানুষদের যেমন অতি সহজে চিনতে পারি, তেমনি লোভী, স্বার্থপর, উদ্ধত ও অহংকারী মানুষদেরও তাড়াতাড়ি চিনে ফেলার এক অদ্ভুত ক্ষমতা অর্জন করেছি।
সুনির্দিষ্ট আদর্শ ছাড়া একটি রাজনৈতিক দল কখনোই টিকে থাকতে পারে না। একটি দেশের জনগণ নিজে যেরকম-ই হোক না কেন, সে কখনোই অসৎ কোনো নেতৃত্বকে মেনে নেয় না। এনসিপি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকাতে খুব দ্রুতই তাদের আসল চরিত্র জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। খুব নিচু পরিবার থেকে উঠে এসে (এই কথাটি বলার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত; তবে কেন বলেছি, সেটা আর একটা পোস্টে ক্লিয়ার করে দিবো) তারা যখন প্রচুর অবৈধ অর্থের সন্ধান পেল, তখন আর লোভ সামলাতে পারলো না। তারা ফেসিস্ট আওয়ামীলীগের পথেই হাটা শুরু করলো। তারা অনেক বেশি উদ্ধত ও অহংকারী আচরণ করতে শুরু করলো। জুলাইয়ে আহত এবং শহিদদের পুঁজি করে তারা নিজেরাই লুটপাট শুরু করে দিলো। তারা গাড়ির বহর নিয়ে শোডাউনে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কেউ কেউ রাতারাতি গাড়ি, বাড়ি আর ফ্ল্যাটের মলিক বনে গেল। অথচ আহতরা চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে; সেদিকে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শহীদদের পরিবারের দিন কাটছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়।
ফেসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে যে দলগুলো মাঠে থেকে জীবনপণ লড়াই করলো, তারা তাদের অবদানকে অস্বীকার করলো। জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে তারা সুস্পষ্ট বিভাজন তৈরি করলো। পুরো কৃতিত্ব নিজদের ঝুলিত নেওয়ার এমন কোনো হীন প্রচেষ্টা নেই যা তারা করলো না। তাদের কেউ কেউতো ইতিহাসকে বিকৃত করে বইও লিখে ফেললো। কী বীভৎস তা-ই না! একটা আন্দোলনকে পূঁজি করে মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে, সেটা হয়তো চোখের সামনে না দেখলে আর কখনোই বিশ্বাস করতাম না।
এখানেই শেষ নয়। তারা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলো। সচিবালয়কে বদলি আর তদবির বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করলো। তাদের কারণে প্রশাসনযন্ত্র আজ বিকল। আইন আদালত নিজেদের ইচ্ছে মতো চলছে। অথচ তারা একবার চিন্তাও করলো না এর পরিণাম কতোটা ভয়াবহ হতে পারে।
আমরা আগেই বলেছিলাম, ইউনূস সরকারের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে ছাত্র উপদেষ্টাদের সরকার থেকে অপসারণ করতে হবে। তাদের কারণেই ইউনূস সরকারের সকল অর্জন আজ ধূলিসাৎ হতে বসেছে; জাতি আজ এক মহা সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
-শামসুল আলম
চেয়ারম্যান, এডুকেশন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ই. আর. এফ); পরিচালক, লহরি একাডেমি।

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কষ্টের টাকায় শখ কইরা ১ কেজি ইলিশ কিনছিলাম। ১ কেজি মাছ কাটার পর পিস হইসে ১৪ টা।বুয়ার হাতে ১৪ পিস মাছ ব...
21/04/2025

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কষ্টের টাকায় শখ কইরা ১ কেজি ইলিশ কিনছিলাম।
১ কেজি মাছ কাটার পর পিস হইসে ১৪ টা।

বুয়ার হাতে ১৪ পিস মাছ বুঝায় দিয়া খাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।
রান্না করে হাতে ময়লার ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার সময় বুয়া কইল, মামা রান্না শেষ। আমি যাই।

ঠিকাসে বইলা বিদায় দিলাম।

বিপত্তি বাধল খাইতে বসার সময়।
মাছ গুইনা পাইলাম মোট ৬ পিস।
স্বাভাবিকভাবে মাথা খারাপ হইয়া গেল।

আজকে খালা যখন রান্না করতে আসল তারে ধরলাম।
কইলাম খালা মাছ দিসিলাম ১৪ পিস, খাওয়ার সময় ৬ পিস হয়ে গেল কেন?

খালার চোখেমুখে আগুন ঝরল।
খালার যে নাতনীটা সাথে আসে সে আগ বাড়ায় কইল,

'আপনেরা হইলেন বেঈমানের জাত,
আমার নানী যদি আপনাগোরে ৬ পিস রান্না কইরা না দিত খাইতেন কি?'

© রেফায়া ইবনে রহমান

প্রোফাইলে নৌকার লোগো চেঞ্জ করেন না কেন?
17/04/2025

প্রোফাইলে নৌকার লোগো চেঞ্জ করেন না কেন?

মাহাথির মোহাম্মদের পাশে ছিল মালয়েশিয়ার জনগণ তিনি মালয়েশিয়াকে পরিবর্তন করে উন্নয়নের চুড়ায় নিয়ে গেছেন।বাংলাদেশের জ...
17/04/2025

মাহাথির মোহাম্মদের পাশে ছিল মালয়েশিয়ার জনগণ তিনি মালয়েশিয়াকে পরিবর্তন করে উন্নয়নের চুড়ায় নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের জনগণ যদি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের পাশে থাকে মালয়েশিয়ার জনগণের মত ! আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাহলে তিনি বাংলাদেশের আমুল পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষ চুড়ায় নিয়ে যেতে পারবেন।
মাওলানা জাহেদ হোসাইন চট্টগ্রাম

আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম,মোট ২ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিস্কুট কোম্পানি বানালাম, এর ন...
17/04/2025

আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম,

মোট ২ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিস্কুট কোম্পানি বানালাম, এর নাম দিলাম "ABC Limited" .

এবার একটা মার্চেন্ট ব্যাংকে গেলাম, সোনালী ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বললাম আমার বিস্কুট কোম্পানি ABC Limited কে স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করতে চাই,

কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জ এর নিয়ম হচ্ছে মিনিমাম ৪০ কোটি টাকার নিচের কোন পেইড-আপ ক্যাপিটাল এর কোম্পানিকে লিস্টেড করা যায় না, কিন্তু আমার কোম্পানি তো মাত্র ২ কোটি টাকার কোম্পানি!!

মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "সমস্যা নাই ভাই, আপনার কোম্পানি আমরা লিস্টেড করে দিবো, কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনি আমাকে ৮ কোটি টাকা দিবেন, আমি কষ্ট করবো, আমার পারিশ্রমিক হিসাবে আপনি আমাকে আলাদা ২ কোটি টাকা দিবেন, এইটা আবার আমার ব্যাঙ্ক যেন না জানে, টোটাল ১০ কোটি টাকা".

আমি জবাব দিলাম, " আমি কিভাবে ১০ কোটি টাকা দিবো !!"

মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "আপনার নিজের পকেট থেকে এক টাকাও দিতে হবে না, আমরা মার্কেট থেকে আপনাকে টাকা তুলে দিবো, আপনি ওখান থেকে আমাকে ১০ কোটি টাকা দিবেন, আপনি আপনার ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার বিক্রি করবেন আর বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার নিজের কাছে রেখে দিবেন".

আমি ওনার শর্তে রাজি হলাম,

এবার ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন অডিট ফার্ম এ গেলো, গিয়ে বললো," এই ABC Limited স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করবো".

অডিট ফার্ম বললো, " কি করতে হবে শুধু হুকুম করেন".

হেড অফ অপারেশন বললেন, "বেশি কিছু না, কেবল এই ২ কোটি টাকার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ভ্যালুয়েশন করে দেখাতে হবে".

অডিট ফার্ম বললো," কোনো সমস্যা নাই, তবে বস এবার কিন্তু একটু বাড়িয়ে দিতে হবে, স্টাফদের স্যালারি দিয়ে মাস শেষে লোকসান হচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার নিচে পারবো না ". শেষ পর্যন্ত নেগোসিয়েশন করে ১ কোটি টাকায় রাজি হলো ২ জন.

এবার হেড অফ অপারেশন সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান এর পিওনকে ফোন দিল ( পিওন ভেবে অর্ডিনারি পিওন ভাবার সুযোগ নাই, এই পিওন বাকি ১০০ টা পিওনের মতো অর্ডিনারি পিওন না , এই পিওন অনেক পাওয়ারফুল). পিওনকে বল্লো নতুন একটা বিস্কুট কোম্পানি মার্কেটে লিস্টেড করতে হবে, কাজ টা করে দিতে হবে, পিওন বললো, " স্যার কিন্তু এখন ২.২০ কোটি টাকার নিচে কোনো কাজ পাশ করে না, এর নিচে কাজ হবে না, আর জিনিষপাতির দাম বাড়ছে, বউ বাচ্চা নিয়ে না খাওয়ার অবস্থা, মেয়েটার ভার্সিটির বেতন বাকি পড়ছে আমার দিক একটু দেইখেন."

হেড অফ অপারেশন বললো, "ওকে ডিল ফাইনাল কাজ করে দেন"

হেড অফ অপারেশন এবার স্টক এক্সচেঞ্জ এর টপ লেভেল এ যোগাযোগ করলো, বলল, " এই বিস্কুট কোম্পানি অপ্প্রভ করে দিতে হবে".

স্টক এক্সচেঞ্জ বললো, " ঠিক আছে কিন্তু ২ কোটি টাকা নিব, এর নিচে হবে না"

২ জনে রাজি হলো, ডিল ফাইনাল

এবার ২ কোটি টাকার বিস্কুট কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা দেখিয়ে আইপিওর জন্য এপলাই করা হলো, ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার মানে ২০ কোটি টাকার শেয়ার মার্কেট এ ছাড়া হলো, প্রিমিয়াম প্রাইস ৫ টাকা যোগ করে, সো ৩০ কোটি টাকা.

মানে ১ কোটি টাকার অরিজিনাল শেয়ার বিক্রি করে মার্কেট থেকে তোলা হলো ৩০ কোটি টাকা.

এবার আমি আমার কথা মতো ১০ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক এর মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বুঝিয়ে দিলাম, আর বাকি টাকা আমার, মানে আমার পকেটে ঢুকলো ২০ কোটি টাকা.

হেড অফ অপারেশন স্টক এক্সচেঞ্জকে ২ কোটি টাকা দিলো, আর স্টক এক্সচেঞ্জ এ যারা আছে তারা এই ২ কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলো, অডিট ফার্মকে দিলো আরো ১ কোটি টাকা,আর বাকি টাকা সোনালী ব্যাংক এর কমিশন হিসাবে নিলো, নিজের জন্য বাকি টাকা.

আর ২.২০ কোটি টাকা দিলো সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান এর পিওনকে, সাথে পিওনের মেয়ের ভার্সিটির বকেয়া বেতন বাবদ দিলে আরো ১০ লক্ষ টাকা

পিওন তার স্যারকে বলল, " স্যার দুনিয়ায় এখন আর মানুষ নাই, সব অমানুষ হয়ে গেছে, আমাকে বলছিলো ২ কোটি টাকা দিবে কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা কম দিছে, আমারে বলছিলো কিছু টাকা দিবে, একটা টাকাও দিলো না স্যার". সে তার স্যারকে ১.৮০ কোটি টাকা দিলো, স্যার পিওনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের কাছে ১ কোটি টাকা রেখে বাকি টাকা কয়েকটা খামে ভরে তার কলিগদেরকে পাঠিয়ে দিলো

এইটুকু পর্যন্ত অনিয়ম আর কারসাজির প্রথম স্টেজ শেষ,

এবার দ্বিতীয় স্টেজ,

ABC Limited মার্কেট এ লিস্টেড হলো আর আইপিও প্রাইস হলো ১৫ টাকা.

ট্রেড শুরু হলো, এক একটা ১৫ টাকার শেয়ার পাবলিক ৫০ টাকা করে বাই করলো,

আমার তো মাথা খারাপ, আমার বাকি অরিজিনাল ১ কোটি টাকার শেয়ার এর মার্কেট ভ্যালু ১০০ কোটি টাকা !!! আর অলরেডি তো ২০ কোটি টাকা পকেটে ঢুকাইছি, এবার আমি আমার বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার ও বিক্রি করা শুরু করলাম, কিন্তু এতো শেয়ার বিক্রি করবো, পাবলিক তো খাবে না, তাই একাউন্টেন্টকে বললাম, " লাস্ট ৩ মাসের আর্নিং দেখাও ২.৪০ কোটি টাকা লাভ".

একাউন্টেন্ট বললো, " স্যার, সারা বছর কোম্পানি লাভ করে ১.২০ কোটি টাকা, আর ৩ মাসে কিভাবে ২.৪০ কোটি টাকা লাভ দেখাবো?".

আমি জবাব দিলাম, " ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে কি নকল করে পাশ করছো? ৩ মাসের লাভ দেখাবা ২.৪০ কোটি টাকা, এরপরের ৯ মাসের আর্নিং এ ১.২০ কোটি টাকা লস দেখিয়ে এডজাস্ট করে দিবা,সোজা হিসাব."

মাত্র ১ পিস্ শেয়ার মানে ১০ টাকার একটা শেয়ার কেবল নিজের কাছে রাখলাম, আর বাকি সব শেয়ার বিক্রি করে দিলাম, নিজের পকেট এ ঢুকলাম আরো ১০০ কোটি.

পাব্লিকের থেকে খাওয়ার আর কিছু নাই,

এবার কোম্পানি ফোকাস করা শুরু করলাম,

ABC Limited প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে.

আমি কোম্পানির এম.ডি. হিসাবে নিজের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৪০ লক্ষ টাকা, বৌ কে বানালাম চেয়ারম্যান, বউ এর স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৫০ লক্ষ টাকা, ছেলে মেয়ে ২ টা আছে, ২ টা কে আরো ২ টা পোস্ট দিয়ে ওদের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ১০ লক্ষ্য টাকা, টোটাল ১ কোটি টাকা আমার ফ্যামিলি স্যালারী/রেমুনারেশন বাবদই নেয়া শুরু করলাম, ABC বিস্কুট কোম্পানির আরো ২০ লক্ষ টাকা লাভ বাকি আছে, এইটা কিভাবে নেয়া যায়!!

কোম্পানির জন্য কষ্ট করতেছি কোম্পানি আমাকে বাড়ি ভাড়া দিবে না? নিজের বাড়িতে থাকি তো কি হইসে!! অন্য কোথাও থাকলে তো ভাড়া দিতে হতো, কোম্পানি থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ চার্জ করলাম, অফিস এ কষ্ট করে আসতেছি আমার ড্রাইভার কত কষ্ট করে গাড়ি চালায় ওর একটা বেতন আছে না? ড্রাইভার এর বেতন ৫ লক্ষ টাকা, গাড়ির তেল খরচ আরো হাবি জাবি খরচ কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা, বাসায় থাকলেই হবে!! খাওয়া দাওয়া করতে হবে না!! বাজার খরচ, কাজের বুয়ার বেতন গ্যাস বিল পানির বিল, ইলেকট্রিসিটি বিল কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা

এলাকার ছেলেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করছে, আমি প্রধান অতিথি, ওখানে টাকা চাঁদা দিতে হবে না!! শুধু টাকা কামালে হবে!! সমাজের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে না? সোশ্যাল ওয়ার্ক বাবদ আরো ৫ লক্ষ টাকা.

বউ বললো গাড়ি পুরানো হয়ে গেছে, এই গাড়িতে হবেনা নিউ মডেলের গাড়ি লাগবে, গাড়ি কিনে দিবো বৌ কে, কোম্পানির ব্যাংক এর রিজার্ভ এর টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে দিলাম আর বাকি টাকা কোম্পানির নামে লোন, বিল করলাম কোম্পানির স্টাফদের ট্রান্সপোর্টেশন বাবদ বরাদ্দ, বাসার ফার্নিচার গুলা পুরানো হয়ে গেছে, নতুন ফার্নিচার দরকার, কোম্পানি থেকে টাকা নিয়ে বাসার ফার্নিচার কিনলাম, বিল করলাম অফিস এর সৌন্দর্য বর্ধন বাবদ বরাদ্দ, এমনকি নিজের ব্যবহার করা আন্ডার-গার্মেন্ট এর টাকা টাও পর্যন্ত কোম্পানি থেকে বিল করে নেই,

আমাদের স্যালারি নেয়ার পর খরচ দাঁড়ালো আরো ৮০ লক্ষ টাকা,
ABC Limited বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে,
কিন্তু খরচ ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মানে কোম্পানির উল্টো লোকসান ৬০ লক্ষ টাকা,

দ্বিতীয় স্টেজ শেষ,

এবার তৃতীয় স্টেজ,

স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন মাসে মাসে ফি দিবো!! ধুর ফি দিবো না, যা পারে করুক, ৬ মাস পর স্টক এক্সচেঞ্জ ABC Limited কে ডিলিস্টেড করে দিলো, এবার আমি দেখলাম আগের মতো আর বিস্কুট ও বিক্রি হয় না, প্রফিট খুব কম, এক কাজ করি ২ কোটি টাকার কোম্পানি এইটা দেখি বিক্রি করতে পারি কিনা ১.৫ কোটি টাকায়,

ABC Limited কে বিক্রি করতে যাবো, কোম্পানির ম্যানেজার বললো," স্যার আপনার কাছে তো কোনো শেয়ার নাই, সব তো আপনি পাব্লিককেই বিক্রি করে দিছেন, তাহলে আপনি কোম্পানি বিক্রি করবেন কিভাবে? আর ব্যাংক ও তো আপনার কাছে ১ কোটি টাকা পায়" .

আমি জবাব দিলাম, " আরে ধুর এইটা বাংলাদেশ, ওই ১ কোটি টাকা ব্যাংককে আজীবন বাকির খাতায় লিখে রাখতে বল".
"আর পাবলিক !!পাবলিক কোর্ট এ দৌড়াবে, রায় আসতে আসতে ওদের নাতি-পুতিও দুনিয়া থেকে চলে যাবে, বুঝ নাই ব্যাপারটা??"

এভাবেই দরবেশ রা হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা আমাদের দেশের শেয়ার ব্যাজার থেকেে আর দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে | আমরা হারিয়ে ছি সর্বস্ব।কেউ কেউ আত্মহত্যার মত নির্মম পথ বেছে নিয়েছে। সাবাশ বাংলাদেশ এগিয়ে যাও |

17/04/2025

গণঅধিকার পরিষদের স্বপ্ন, প্রত্যাশা, হতাশা ও প্রাপ্তি...

শুরুটা ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সামনের সারিতে চলে আসে নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁন, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান।

তাদের পাশাপাশি আতাউল্লাহ, মাহফুজুর রহমান খান, সোহরাব হোসেন, মশিউর রহমান,বিন ইয়ামিন মোল্লা , তারেক রহমান ও মিনা আলামিন ছিল নেতৃত্ব পর্যায়ে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বে রাইসুল ইসলাম নয়ন ও এপিএম সোহেল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাকিল উজ্জামান নেতৃত্বে ছিলেন।

সাত কলেজের নেতৃত্বে ছিল মনজুর মোর্শেদ মামুন,আবু হানিফ, লুত্ফুর নাহার লুমা ও মাহামুদুল্লাহ মধু ভাই।

পর্দার আড়ালে থেকে পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতায় করেছেন ঢাবির শামীম ভাই ও সাইফুল্লাহ ভাই।

ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ,কলেজ, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শহিদুল ইসলাম ফাহিম,চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন আকাশ, নোয়াখালীতে আব্দুজ জাহের, রংপুরে হানিফ খাঁন সজিব, বরিশাল রনি খন্দকার,সিলেট নাজমুস সাকিব ও সুজন,খুলনায় তামান্না ফেরদৌস শিখা সহ একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী।তাদের নেতৃত্বেই ঐসময় আন্দোলন সফল হয়েছে।

১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরপরই ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নুরুল হক নুর ভিপি পদে প্রার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাকে ভোট দিয়ে ডাকসু ভিপি বানায়।

ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের মাথার মুকুট হয়ে উঠে নুরুল হক নুর।

এরই মধ্যে ভারতে মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল আইন NRC ও CAA বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গেলে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সন্ত্রা*সীরা মিলে আমাদেরকে হ*ত্যা*র উদ্দেশ্যে ডাকসুর ভিপির রুমে ঢুকে হামলা চালায়। সেদিন ভিপি নুর ,রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান,আমি, আরিফুল ইসলাম আদিব ও নুরের ছোট ভাই আমিনুল মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাই।
শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছে অসংখ্যবার।

দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যখন আবার ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের নাকের ডগার সামনে মহড়া দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি তখন আমাদের প্রতি মানুষের একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। ভাবতে শুরু করলো হয়তো নুর একদিন বড় কিছু হবে।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের সংকট মূহুর্তে কথা বলা শুরু করে জাতীয় ইস্যুতেও । ধীরে ধীরে ছাত্র নেতা থেকে খুব অল্প বয়সে রুপ নেয় জাতীয় নেতায়।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নুরুল হক নুরের কথা শুনে ছাত্র সমাজের পাশাপাশি তখন দেশের যুব, শ্রমিক, প্রবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকও আকৃষ্ট হয় যায় এবং ধীরে ধীরে মানুষ আমাদের কাছে আসতে শুরু করে। তাঁরা তখন বলতো নুর ভাই আমরা আপনার পাশে থাকতে চাই কিন্তু আপনিতো ছাত্র নেতা কিভাবে থাকবো? তাঁরা আস্বস্ত করতে শুরু করলো নুর ভাই আপনি যদি একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেন তাহলে আমরা আপনার সাথে কাজ করবো।

তখন নুর তার সহযোদ্ধাদের সাথে আলোচনা বসে বললো আমিতো ভিপি হয়েছি ভবিষ্যতের রাজনীতিতে যেখানেই যাই আমার একটা অবস্থান থাকবে। কিন্তু আপনাদের কি হবে ?

যেহেতু আন্দোলন করেছে কারো ভালো সরকারি চাকরি হওয়ার সুযোগ নেই। তখন সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেহেতু এই সরকারের আমলে আর চাকরি হবে না আবার আমাদের প্রতি দেশের মানুষের অনেক দোয়া ও ভালোবাসা আছে আমরা রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পরি।

এর পর থেকে শুরু হলো আমাদের রাজনৈতিক পথচলা !
যেহেতু সবাই ছাত্র তাই ঐ সময়ে রাজনৈতিক দল গঠন করার সাহস করি নাই। আস্তে আস্তে বিভিন্ন ইউনিট ধার করাতে শুরু করলাম।

আতাউল্লাহ ভাইকে যুবকদের সংগঠিত করার দায়িত্ব দিলো। আমরা সবাই যার যার যায়গা থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করলাম।
শ্রমিকদের সংগঠিত করে শ্রমিক অধিকার পরিষদ।
যুবকদের দিয়ে যুব অধিকার পরিষদ।
প্রবাসীদের দিয়ে প্রবাসী অধিকার পরিষদ।

এভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি উইংস হয়ে যায় আমাদের। এরা সবাই নুরুল হক নুরের নেতৃত্বেই কাজ করে।

এইদিকে ফ্যাসিস্ট এর ঘুম হারাম শুরু হয় নুরুল হক নুরকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র। থামানোর জন্য কয়েকটি মিশন হাতে নিয়েছে।

প্রথম মিশনে ছিল ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিছে অসংখ্যবার কিন্তু হামলা করে থামাতে পারেনি।

এরপর ২০২১সালে মোদি বিরোধী আন্দোলনে তার পেটোয়া বাহিনী পুলিশ লীগ লেলিয়ে দেয়।
তখনও রাজনৈতিক দল গঠন হয়নি। আমাদের ছাত্র, যুব শ্রমিক অধিকার পরিষদের ৫৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। রিমান্ডের নামে সবাইকে বেপরোয়া নির্যাতন করেছে ।সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমি ,নজরুল করিম সোহাগ,আল আমিন আটিয়া ও সজল। আমাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে হাতে পিছন দিক থেকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মুখের ভিতর গামছা ঢুকিয়ে পুরো চোখে মুখে কাঁচা মরিচ ঢলে দিছে সেটার যন্ত্রণা সহ্য করাটা অনেক কঠিন ছিলো। এরপর ১,২,৩,৪ নাম্বার আসামি করে ৪ জনকেই জেলে পাঠানো হয়েছে সেখানে টানা ১ বছর জেল খেটেছি। আমাদের অন্য সহযোদ্ধারাও রিমান্ডে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।৫৪ জনের মধ্যে কেউ ৬ মাস কেউ ৩ মাস জেল খেটেছেন।৫৪ জনের মধ্যে বর্তমান এনসিপির সদস্য সচিব আখতার ও এনসিপির নেতা আকরাম হোসাইন ছিলো।

দ্বিতীয় মিশনে ছিল পুলিশ লীগ

পুলিশ লীগের এই মিশনে ঐ সময় আমরা অনেকটা দূর্বল হয়ে যাই।

COVID-19 এর সময় তখনও দল গঠন হয়নি।আমাদের মুল নেতৃত্বর সবাই অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল তেমন বেশি শুভাকাঙ্ক্ষীও ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার। ৫৪ জন নেতাকর্মীর জেল খরচ + পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

জেলে থাকা অবস্থায়ই রাজনৈতিক দল হিসাবে ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় গণঅধিকার পরিষদ। আগ থেকেই দল গঠনে আমরা একজন সিনিয়র সিটিজেন খুঁজে পছন্দের তালিকায় ড. রেজা কিবরিয়াকে নেই ।

ড. রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক ও নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে দল ঘোষণা দেয়। ঐসময়ে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে দল গঠন করা কতটা কঠিন ছিলো যাঁরা আমাদের সাথে ছিলো একমাত্র তাঁরাই ফিল করতে পাবরে। যখন বাংলাদেশে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল মাঠে নামার সাহস পায়নি তখনই এই গণঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। স্রোতের বিপরীতে নেতাকর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ও নুরের কৌশলী নেতৃত্বে যখন দলের অবস্থা তুঙ্গে মানুষ তখন দুই দলের বাহিরে গিয়ে নতুন করে গণঅধিকার নিয়ে ভাবতে শুরু করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা প্রত্যাশা কাজ করতে শুরু করলো গণ অধিকার পরিষদ ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে এবং নুরুল হক নুর দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।

নুরুল হক নুরের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথাটা দেশের সাধারণ মানুষ সহজেই মনের ভিতরে গেঁথে নিয়েছে। এরপর থেকে শুরু হলো সারাদেশে গণঅধিকার পরিষদ জোয়ার।

এই গণজোয়ার থামানোর জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা তৃতীয় মিশন হাতে নিয়েছে।

তার তৃতীয় মিশনে টার্গেট ছিল দল ভাঙ্গা, দলের অন্য নেতাদের টাকা পয়সার অফার দিয়ে দলের ভিতরে ঝামেলা তৈরি করা আর মুল টার্গেট নুরুল হক নুরের ইমেজ নষ্ট করে দেয়া।

এই মিশনে হাসিনা মোটামুটি সফলতার কাছাকাছি গেছিলো।
এই মিশনটা হচ্ছে ঠান্ডা মাথার খেলা।

তৃতীয় মিশন দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং বিভিন্ন টোপ ব্যবহার করে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দল ভেঙ্গে দেওয়া।একটা বিষয় জানা দরকার সেটা হলো সরকারের প্রেসক্রিপশনে কিছু গোয়েন্দা সংস্থার লোক, ২/১ জন র'এর এজেন্ট গুরুত্বপূর্ণ দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকিয়ে দেয়।তাঁরা প্রতিনিধিত্বই করে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করবে এবং দলের সংকট সময়ে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে কৌশলে বিভাজনের ক্যাপসুল পুশ করে দিবে। এভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি করে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে এবং দিন শেষে দলের অভ্যন্তরীণ সমস্ত রিপোর্ট গোয়েন্দাদের হাতে পৌঁছাবে। গণঅধিকার পরিষদের বেলায় অধিকাংশ সময় ঠিক এমনটাই হয়েছে। আরো কিছু বিষয় আছে যেমন টাকার লোভনীয় অফার, কৌশলে নারী কেলেঙ্কারির মত ঘটনা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ঘায়েল করার চেষ্টা করা ইত্যাদি।

যেমনটি হেফাজতের মামুনুল হকের সঙ্গে হয়েছিল।

অন্য দিকে মোসাদ ইস্যুতে নুরুল হক নুরকে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেও পরতে হয়েছে। হাসিনার গোয়েন্দা সংস্থা এটা দিয়ে নুরুল হক নুরের ইমেজ নষ্ট করার ব্যাপকভাবে তৎপরতা চালিয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় ৯৬% মুসলিম কান্ট্রিতে ইহুদীদের এজেন্ট ট্যাগ লাগাতে পারলে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস। যেহেতু নুরুল হক নুরের আলেম সমাজে একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে সে কারনেই গোয়েন্দা এই ফাঁদ তৈরি করেছিল কিন্তু দিন শেষে ব্যর্থ হয়েছে।

নুরুল হক নুরকে ঘায়েল না করতে পেরে তার আশেপাশের নেতাকর্মীদের টার্গেট করলো।
গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের দল ।এই দলের অনেক শীর্ষ নেতাই তরুণ বিদায় অর্থনৈতিক ভাবে অধিকাংশ নেতা দূর্বল ছিল।
পরবর্তী ধাপে
এখানে আরো কিছু কথা উল্লেখ করা দরকার সেটা হলো যিনি আমাদের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন ড. রেজা কিবরিয়া তিনি অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট এবং বাবা ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী।

তাই বাংলাদেশের সাধারণ জণগণের মধ্যে তার প্রতি একটা আকর্ষণ থাকবে আবার যেহেতু বিদেশে পড়াশোনা করছে তার মানে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভালো ভূমিকা রাখবে এটাও ভাবছিলাম।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসাবে রাজনীতিতে খুব পারদর্শী হবে এই ভাবনাটা ও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আবার যেহেতু এলিট তাহলেতো দলের জন্য আর্থিক সাপোর্ট দিতে পারবে পাশাপাশি কিছু এলিট শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে থেকেও দলের জন্য সংগ্রহ করতে পারবে। এইসমস্ত অনেক আশা ভরসা নিয়ে তাকে দলের আহ্বায়ক করা।

কিন্তু সে কোনটার ধারেকাছেও ছিলো না এই কথা গণঅধিকার পরিষদের সব নেতাই সমর্থন করবে।
তবে একটা জিনিস খুঁজে পেয়েছি তার মধ্যে সেটা হলো এলিট শ্রেণীর মানুষ হওয়ায় তার মধ্যে একটা আলাদা ভাবসাব ছিল।

তার আচরণে মনে হত তিনি শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া যে পর্যায়ে তিনিও সে পর্যায়ে আছে আর থাকাটাও স্বাভাবিক কারণ সে তখন আমাদের আহ্বায়ক।এলিট এলিট একটা ভাব ।কেন্দ্রীয় মিটিংয়ে আসলে দশ মিনিটের বেশি থাকতো না। নুরুল হক নুরকে ছাড়া কাউকে মূল্যায়ন করতো না। এ বিষয়ে অন্য নেতাদের মধ্যে একটা ক্ষোভ এবং মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয় বিশেষ করে আতাউল্লাহ ও সাদ্দাম ভাইয়ের।

দলের যেসব নেতারা রেজা কিবরিয়ার মতের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাদের কাউকে সে দু'চোখে দেখতে পারতো না এমনকি তাদেরকে গোয়েন্দার এজেন্ট বানিয়ে দিতেন।

নুরুল হক নুরকে প্রায় সময়ই বলতে শুনেছি ভাই তারা আমার বিশ্বাস্ত সহযোদ্ধা ১৮ সাল থেকে একত্রে কাজ করি তাদের সম্পর্কে আমি ভালো জানি তারা কেউ গোয়েন্দা হয়ে কাজ করে না। ১৮'র সহযোদ্ধাদের পক্ষে কথা বলার কারণে একটা সময় নুর আর রেজা কিবরিয়ার মধ্যে অনেক বৈরিতা সৃষ্টি হয়।
নুরুল হক নুরকে নিয়ে মানুষ যে স্বপ্ন দেখছে আর তরুণরা যেহেতু এই দলের স্টেকহোল্ডার তাই দেশ জাতির স্বপ্নের কথা চিন্তা করে নুরুল হক নুর তার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিল দলটি যাতে না ভাঙ্গে।

দলের পদ-পদবী নিয়ে ১৮'র নবীন নেতা ও দলে নতুন যুক্ত হওয়া প্রবীণ নেতাদের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব আর আহ্বায়কের একঘেয়েমিতায় একটা পর্যায়ে এসে বিস্ফোরণ ঘটে। যে ট্যাগ হাসিনার গোয়েন্দারা লাগানোর চেষ্টা করলো সেই একই ট্যাগ ঐসময় দলের আহ্বায়ক নুরের উপর লাগিয়ে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদ দুটি অংশে বিভক্ত করে ফেলে। এটা হয়তো হাসিনার গোয়েন্দা মিশনের অংশ হতেও পারে জানিনা একেক জনের একেক মত থাকতে পারে।

যা-ই হোক ড. রেজা কিবরিয়ার সাথে আমাদের ১৮'র শীর্ষ নেতা ফারুক হাসান, তারেক রহমান আতাউল্লাহ চলে যায়।

১৮'র সহযোদ্ধাদের চলে যাওয়াতে তখন খুব খারাপ লাগলো ধরে রাখার চেষ্টা করেও পারলাম না। আমার কাছে মনে হয় তাদের নুরুল হক নুরও ব্যথিত হয়েছে।

আগেই বলেছি গণঅধিকার পরিষদ নিয়ে দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র করছে সরকার। হয়তো সেই ষড়যন্ত্রের পরছে তাঁরা অথবা অন্য কিছুও হতে পারে।

যা-ইহোক গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ হওয়াতে ঐসময় যেমন আওয়ামী লীগ খুশি হয়েছে তেমনি বিএনপিও খুব খুশি হয়েছে। বিএনপির সাথে যুগপৎভাবে আন্দোলন করা সত্ত্বেও তাঁরা মনে মনে তবজি পড়তো আর মোনাজাত করতো যাতে গণঅধিকার পরিষদ আর এক না হয়।
রেজা কিবরিয়ার অংশে ফারুক হাসান, তারেক রহমান ছাড়া তেমন কেউ গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তারপরও বিএনপি তাদের মূল্যায়ন করতো অন্যরকম।

যা-ই হোক দিনশেষে হাসিনা সফল।
একটা জিনিস লক্ষ্য করেন ৯০ এর পরে বাংলাদেশে কোন শক্তিধর রাজনৈতিক দল গঠন করতে কেউ পারে নাই।

২০১৮ থেকে শুরু করে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক দাবানল জ্বলেছে এবং গণঅধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে যেটা দেখে আওয়ামীলীগ যেমন আতঙ্কে থাকতো ঠিক বিএনপিও মনে মনে হিংসা করতো।
এটা বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বললাম আর কি।
ঐ সময় আওয়ামী লীগের যায়গায় বিএনপি থাকলে হয়তো এই নুর তৈরিই হতে দিতো না!

অন্য দিকে কিছু পাঁচাটা মিডিয়াও একাংশ একাংশ লিখে মজা নিয়েছিলেন।
আমরা উভয় অংশই প্লেয়ার থেকে বল হয়ে গেলাম সবাই আমাদের নিয়ে খেলতে শুরু করলো!

কিন্তু আমরা সৎ সাহস নিয়ে পাহাড় সমান মনোবল রেখে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নুরুল হক নুরের সাহসী নেতৃত্বে এগিয়ে গেছি যেটা ছিল আমাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস।
একটা সময় ফারুক হাসান তার ভুল বুঝতে পেরে রেজা কিবরিয়ার ব্যতীত ঐ অংশের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পুনরায় নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদে এসে মিলিত হয়েছে। এখন গণঅধিকার পরিষদের পুরোপুরি পূর্ণতা পেয়েছে।
শুরুতেই যাদের নাম বললাম আমাদের ১৮'র সেই চার শীর্ষ নেতাকে একই সারিতে পেয়ে গেলাম। এখন গণঅধিকার পরিষদ একটাই এখন আর কেউ আমাদের নিয়ে খেলতে পারছেনা। এটা অনেক রাজনৈতিক দলের সহ্যই হয় না।

উপরে যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদেরকে দেখে মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল। তাদের মধ্যে গুটি কয়েক বাদে সবাই এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদেই রাজনীতি করছে এবং নুরুল হক নুরের নেতৃত্ব মেনেই রাজনীতি করে।

সব মিশনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ তাদের সংস্পর্শে নেওয়ার জন্য লোভনীয় অফার এমপি মন্ত্রী কোটি কোটি টাকা লাক্সারি জীবন যাপনের সুযোগ সুবিধা সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমান গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। দলের প্রতিক ট্রাক 🚟
বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল।

দল থেকে কোন সহযোদ্ধা চলে গেলে একটু খারাপ লাগবে কিন্তু দলের কোন ক্ষতি হবে না।

***
৫ই আগষ্টের পরে কিছু নেতাকর্মীর অন্য দলে চলে যাওয়ার কারণ।

এখন আসেন ৫ই আগষ্টের পর গণঅধিকার পরিষদ থেকে কেন পদত্যাগ করে অন্য দলে যাচ্ছে। একটা কথা চিরন্তন সত্য সেটা হলো টাকা দিয়ে যেমন রাজনীতি হয়না তেমনি টাকা ছাড়াও রাজনীতি করা যায় না। গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মীর পদত্যাগ করার অনেক গুলো কারণ আছে।
তার মধ্যে প্রথমত কারণ হলো এই দলের শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ মধ্যবিত্ত পরিবারের।
খুব কম সংখ্যক নেতাকর্মী আছে যারা উচ্চবিত্ত।

যেহেতু দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ছাত্র থাকা অবস্থায় দল গঠন করেছে তাই তাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কোন সুযোগই ছিলো না।

গণঅধিকার পরিষদ এদেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে রাজনীতি করে।
দেশের জনগণ কখনোই দখলদার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি পছন্দ করে না।

সরকার পতনের পরে গণঅধিকার পরিষদের কোন নেতৃবৃন্দ দখলদার, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করতে যায়নি।

এখন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পকেটের টাকায় আর কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় গণঅধিকার পরিষদ পরিচালিত হচ্ছে।

তবে দলকে বৈধ পন্থায় কিভাবে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করা যায় সেই বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা চলছে।

আরেকটি বিষয় গণঅধিকার পরিষদ নতুন দল। আর একটা দলে অনেক রকমের নেতাকর্মী থাকে তাদের একেক জনের চিন্তা একেক রকম।পছন্দের পদ না পেলে পদত্যাগ আবার কারো চিন্তা দলকে ব্যবহার করে নিজে সাবলম্বী হওয়া আর সেটার সুযোগ না পেলে পদত্যাগ।

একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন গণঅধিকার পরিষদ থেকে যারা অন্য দলে গেছে তার মধ্যে অধিকাংশই যোগ দিয়েছেন ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিতে। আমার মতে এনসিপিতে যোগ দেওয়ার দুটো কারণ থাকতে পারে।
১/ যেহেতু তারা আমাদের সাবেক সহযোদ্ধা আর দুটোই যেহেতু তরুণদের দল তাই অনেকের চিন্তা এনসিপি আর গণঅধিকার পরিষদ একত্রিত হলে আগামীর সরকার তরুণরা গঠন করবে সেই চিন্তা থেকে দুই দলকে একত্রিত করার জন্য।

২/যেহেতু এনসিপি বর্তমান সরকারের সংস্পর্শে এবং সরকারের তাদের দুজন ছাত্র উপদেষ্টাও আছে সুতরাং ওখানে গেলে হয়তো সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিজেকে একটু সচ্ছল করা।

বাকি যারা গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগ করছে তাদের মধ্যে নুরুল হক নুরের উপর রাগ, ক্ষোভ,অভিমান ও স্বার্থান্বেষী চিন্তা।

প্রথমত নুরুল হক নুরের উপর আমার এবং আমার মতো অনেকেরই রাগ, ক্ষোভ, অভিমান আছে।যেহেতু নেতা হিসেবে আমরা নুরুল হক নুরকে মেনেই রাজনীতি করি তাঁর মানে অভিমানটা তার উপরেই বেশি এটাই স্বাভাবিক।

নুরুল হক নুর দলের প্রধান নেতা হওয়াতে অন্য নেতাকর্মীরা তার কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে যেটা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সে পূরণ করতে পারে না। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দলের প্রধান হওয়ায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। আগেই বলেছি আমাদের শীর্ষ নেতাদের রাজনীতি করতে যে অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োজন সেটার ধারেকাছেও নাই। তাই দল এবং দলের নেতাকর্মীরা প্রধান নেতার উপর বেশি নির্ভরশীল।

তবে তার কিছু খারাপ দিকও আছে তার মধ্যে একঘেয়েমি অভ্যাস চরম পর্যায়ে যেটা তার কর্মীদেরকে মাঝে মধ্যেই হতাশ করে। দলের প্রধানের কাছে যেটা তার কর্মীরা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

আবার আমি এটাও দেখেছি নুরুল হক নুর তার দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং নেতাকর্মীদের চিন্তাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে।শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে থেকে যে সহায়তা পায় তার সবটুকুই দল এবং দলের নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদে ব্যয় করে।

গণঅধিকার পরিষদে আর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে সমবয়সী নেতা হওয়াযর কারণে দলীয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য এখন অনেকটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসছে।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে শৃঙ্খলা আনতে পারলে দলের ৮০% সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করি।
এটার জন্য সভাপতির আরো বেশি কঠোর হওয়া দরকার।

দ্বিতীয়ত নুরুল হক নুরের প্রতি যেমন ক্ষোভ থেকে পদত্যাগ করে অন্যদিকে স্বার্থান্বেষী চিন্তাঊ জন্যেও পদত্যাগ করে।

গণঅধিকার পরিষদের গুটি কয়েক নেতার মধ্যে এগুলো দেখতে পেয়েছি।

উদাহরন হিসেবে গত দু'দিন আগে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ দল থেকে পদত্যাগ করে ডেসটিনির নতুন দলে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। তাদের সেখানে যাওয়া উদ্দেশ্য স্বার্থকেন্দ্রিক চিন্তার যায়গা থেকে।

** আসুন তাদের স্বার্থটা কোথায় জেনে নেই

ফাতিমা তাসনিমের আসন আমার আসন একটাই সেটা হলো পটুয়াখালী -৪। আমরা দুজনেই দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদে আমার ত্যাগ,শ্রম এবং তৃনমুলের আমার জনপ্রিয়তার কাছে তার অবস্থান ১০০%ভিতরে ১০% এর কোটায়।
নারী নেত্রী হিসেবে সবসময় আমরা তাকে স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করতাম।তার স্বপ্ন ছিলো পটুয়াখালী -৪ আসনে নির্বাচন করবে তার জন্য আসন কনফার্ম করার নিশ্চয়তা চায় সভাপতিকে কাছে।
যেহেতু ওখানে আমিও আছি তাই নুরুল হক নুর আস্বস্ত করতে পারছে না। এই কারণেই দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অন্যদিকে সোহেল রানা সম্পদের একই অভিযোগ।

কুমিল্লায় তার আসন আর ছাত্র অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের একই আসন। যেহেতু নাজমুল হাসান সারাদেশে জনপ্রিয় এবং তার এলাকায়ও জনপ্রিয় তাই সম্পদ চিন্তা করে দেখছে তার আসন কনফার্ম না যে কারণে তাদের দলত্যাগ করে অন্য দলে চলে যাওয়া।

অন্যদিকে ডেসটিনির মালিক রফিকুল আমীন একসময় এদেশের মানুষের রক্ত চুষে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল আর সেই অবৈধ টাকায় এখন দল গঠন করে লোভনীয় অফার দিছে। তাঁরাও ঝোপ বুঝে কোপ মারছে।

তবে আমাদেরকে একটা বিষয় খুবই আনন্দ দেয় সেটা হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ নেতা বানানোর কারখানা। এখান থেকে নেতা হয়ে যেমন ফ্যাসিবাদ পতনের নেতৃত্ব দিয়েছে আবার এখান থেকে নেতা হয়ে কেউ কেউ নিজেই একটা দল গঠন করেছে ।

রাজনীতি হচ্ছে একটা দীর্ঘ মেয়াদি মিশন এবং চলমান প্রক্রিয়া। গণঅধিকার পরিষদ বিশ্বাস করে ধৈর্য্য ধরে টিকে থাকলে সফলতা আসবেই।

গণঅধিকার পরিষদ স্বপ্ন দেখে এবং অন্যদেরকে স্বপ্ন দেখায়।
আমরা নুরুল হক নুরের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবো এবং দেশের গণমানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করবো।

১৮'র চার ফোকাস নুরুল হক নুর, রাশেদ খাঁন, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান।
যাদের নেতৃত্বে স্রোতের বিপরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়লাভ করা, আবরার ফাহাদ হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে আন্দোলন,ভারতের NRC CAA প্রতিবাদ,নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্দোলন,মোদি বিরোধী আন্দোলন, তারুণ্যের রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ গঠন,ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদ পতনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারের ভূমিকা পালন করছে।

যে দলকে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র দমন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে এবং দিনশেষে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাকে আর দমন করার সাধ্য কারো নেই।

ব্যক্তি নুরুল হক নুরের অনেক দোষত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু এদেশের রাজনীতিতে নেতা নুরুল হক নুরকে খুব প্রয়োজন।

ব্যক্তি নুরের থেকে নেতা নুর বেশি গুরুত্বপূর্ণ ✌️

আর গণঅধিকার পরিষদে আমাদের একটা নুর আছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া! শুকরিয়া🤲

মোঃ রবিউল হাসান
উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,গণঅধিকার পরিষদ।

Address

Barishal Mohanagar
Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাফিয়া মুক্ত বাংলাদেশ চাই #we want free from Mafia Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share