Akhlaq - أخلاق

Akhlaq - أخلاق This page is for sharing Islamic knowledge and thoughts of some introvert people. 🖤

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩৫ শেষ পর্বরমাদান মাসে গুনাহ বর্জন ও নেক আমলের যে অনুশীলন করেছি, তা থেকে কি জীবনের পাথে...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩৫ শেষ পর্ব

রমাদান মাসে গুনাহ বর্জন ও নেক আমলের যে অনুশীলন করেছি, তা থেকে কি জীবনের পাথেয় অর্জন করতে পেরেছি? আমি কি সফল রোযাদার? রোযার মাধ্যমে আল্লাহর ভয় ও তাঁর আনুগত্যের যে অঙ্গীকার আমি করেছি, তা কি ঠিক রাখতে পারছি? কিছু লক্ষণ দ্বারা আমি নিজেকে যাচাই করে নিই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ :

ক. ঈদের দিন কি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেছি? বা আমার কি জামাত ছুটে গেছে?

খ. ঈদের খুশীর নামে গান-বাদ্য, নাটক-সিনেমা ইত্যাদিতে মেতে উঠেছি? ইন্টারনেটের অপব্যবহার করেছি?

গ. ঈদ উপলক্ষে বেপর্দা, ফ্রি মিক্সিং ও বিনোদনের নামে বিভিন্ন পাপের অনুষ্ঠানে জড়িয়ে পড়েছি?

ঘ. রমযান-পূর্ববর্তী অলসতা-উদাসীনতা কি আবার আমাকে গ্রাস করছে?

প্রকৃত রোযাদার কিন্তু ঈদের দিন আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আদায় করে। এই ভেবে খুশি হয় যে, সে দীর্ঘ এক মাস আল্লাহর হুকুম পালন করেছে এবং ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভ করেছে। আর সাথে সাথে সে এই ভয়েও ভীত থাকে যে, আমার আমল কি আল্লাহর দরবারে কবুল হল? এজন্য সে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করতে থাকে, যাতে তিনি তার আমল কবুল করে নেন এবং তাকে তাঁর মুত্তাকী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

সুতরাং রমাদানের আমল কবুল হওয়ার আলামত হল, বান্দা নিজেকে ঈমান-আমলের ক্ষেত্রে তার পূর্বের অবস্থার চেয়ে উত্তম অবস্থায় পাবে এবং সৎকর্মে আরো বেশি অগ্রগামী হবে।

সুতরাং মুমিন বান্দা শুধু মৌসুমভিত্তিক ইবাদত করেই ক্ষান্ত হবে না; বরং সর্বদা ইবাদত জারি রাখার চেষ্টা করবে।
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ.
"তুমি মৃত্যু অবধি তোমার রবের ইবাদত করতে থাক।"
- সূরা হিজর, আয়াত ৯৯

সুতরাং রমযান মাস শেষ হয়ে গেলেও মুমিনের আমল তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেষ হবে না।

রমাদানের এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সারা বছরের জন্য নেক আমলের ধারা চালু রাখি, অলসতা বর্জন করি। গুনাহমুক্ত জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তুলি।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে ঈমানের উপর দৃঢ় রাখুন, নেক আমলের তাওফীক দান করুন, আমীন।

- মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী (হাফিজাহুল্লাহ)

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩৪এক সময় আমরা রমাদানের অপেক্ষা করেছিলাম, এখন আমরা রমাদানকে বিদায় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩৪

এক সময় আমরা রমাদানের অপেক্ষা করেছিলাম, এখন আমরা রমাদানকে বিদায় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। রমাদান মাস পুরোটাই কল্যাণ ও বরকতের মাস। এই মাস আমাদের উপর মেঘমালার মতো সুশীতল ছায়া দান করছিল, এ মাসের সাওম আমাদের তাকওয়ার অনুশীলন দান করছিল।

এই পর্যায়ে একজন মুমিনের ভেবে দেখা উচিত যে, রমাদান থেকে সে কী পেল, এর কী কী প্রভাব ও ক্রিয়া অন্তর ও মস্তিষ্কে, বোধ ও বিশ্বাসে, কর্ম ও চরিত্রে অবশিষ্ট রইল এবং রমাদানের বিদায়ে কী কী খায়ের-বরকত সে হারালো।

এটা বাস্তব যে, যে ব্যক্তি রমাদানের হক যত বেশি আদায় করেছে, রমাদানের আদবসমূহের প্রতি যত বেশি যত্নবান থেকেছে সে তার কর্মজীবনে রমাদান ও ঈদের প্রভাব ও ক্রিয়া ততবেশি অনুভব করবে। আর যে ব্যক্তি ত্রুটি করেছে সে তার ত্রুটির মাত্রানুপাতে প্রভাব ও ক্রিয়াতেও ত্রুটি উপলব্ধি করবে।

কারো মনে হতে পারে, তাকওয়া শুধু প্রয়োজন আখিরাতের জন্য। কারণ তাকওয়া একটি ধর্মীয় বিষয়। আর ধর্মের উপকারিতা শুধু পরকালে। এই চিন্তা সঠিক নয়।
ইসলাম এমন এক ধর্ম, যা আমাদের দুনিয়া-আখিরাত দু’টোই সুন্দর করে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। তাই তা একটি কামিল তাহযীব ও পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতি উপহার দেয়। এ কারণে ইসলামের একজন প্রাজ্ঞ অনুসারী একজন সভ্য ও সংস্কৃতিবান মানুষ। একজন মুত্তাকীই একজন প্রকৃত সুশীল ও নীতিবান ব্যাক্তি।

তাকওয়ার গুণ যার যতটুকুই অর্জিত হয়েছে তা রক্ষণাবেক্ষণ করে, সযত্নে তা লালন করে সেটি আরো শক্তিশালী করাই হবে রমাদানের নেয়ামতের যথার্থ হক ও শোকর আদায়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
আমীন।

- মাসিক আল কাউসার

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩৩ভাইয়েরা আমার! রমাদান মাস শেষ হয়ে আর অল্প কয়েকদিন বাকি। এই রমাদানের শেষ সময়কে কাজে লাগ...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩৩

ভাইয়েরা আমার! রমাদান মাস শেষ হয়ে আর অল্প কয়েকদিন বাকি। এই রমাদানের শেষ সময়কে কাজে লাগান আল্লাহর কাছে গুনাহ থেকে তাওবার মাধ্যমে, তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করে তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। কেননা, মানুষ গুনাহ ও ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত নয়। প্রত্যেক আদম সন্তান গুনাহ করে তবে সর্বোত্তম পাপী হলো, তাওবাকারী।

আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাণীতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাঁর কাছে তাওবার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ (সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১)

কা‘ব ইবন উজরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন,“তোমরা মিম্বার নিয়ে আসো, ফলে আমরা মিম্বার নিয়ে আসলাম। যখন তিনি মিম্বারের প্রথম সিঁড়িতে উঠলেন, বললেন, আমীন। দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠে আবার বললেন, আমীন। অনুরূপ ভাবে তৃতীয় সিঁড়িতে উঠে বললেন, আমীন। তিনি মিম্বার থেকে নেমে আসলে আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে আমরা আজ যা শুনলাম ইতোপূর্বে কখনও এরূপ শুনি নি। তিনি বললেন, জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার কাছে আসলেন, তিনি বললেন, সে ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমাদান পেলো অথচ নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না, আমি বললাম, আমীন।............."
- মুসতাদরাক হাকিম, হাদীস নং ৭২৫৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৪৫

আল্লাহ তায়ালা বান্দার তাওবাতে খুশি হওয়ার কারণ হচ্ছে তিনি তাওবা ও ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অনুরূপভাবে তিনি এটাও ভালোবাসেন যে বান্দা তার কাছ থেকে পলায়ন করার পর আবার তার কাছে ফিরে আসছে। আল্লাহ যে তাওবার আদেশ করেছেন, তা হলো খালেস তাওবা।
খালেস তাওবার জন্য শর্ত:
১/ তাওবা একান্তভাবে আল্লাহর জন্য হতে হবে
২/ কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত হতে হবে
৩/ তৎক্ষণাৎ সে গুনাহ বর্জন করা
৪/ ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।

আর যদি গুনাহ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে তাদের থেকে নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তাওবা সহীহ হবে না।

আল্লাহ আমাদেরকে এমন আন্তরিকভাবে তাওবা করার তাওফীক দিন; যা আমাদের কৃত পাপসমূহ মিটিয়ে দেবে এবং আমাদেরকে সহজ পথ জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিন। কঠিন পথ জাহান্নামের রাস্তা থেকে দূরে রাখুন।

- শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
বই: রমাদান মাসের ৩০ আসর

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩২আল্লাহ তাআলার হুকুমে বান্দা পুরো মাস সাওম রেখেছে। আল্লাহ যেভাবে হুকুম করেছেন সেভাবে র...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩২

আল্লাহ তাআলার হুকুমে বান্দা পুরো মাস সাওম রেখেছে। আল্লাহ যেভাবে হুকুম করেছেন সেভাবে রাখতেই চেষ্টা করেছে। সাওম রাখতে গিয়ে যে টুকটাক ভুল হয়ে যায় তার কাফফারা স্বরূপ সদাকাতুল ফিতরের বিধান দেওয়া হয়েছে।

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন-
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদাকাতুল ফিতরের বিধান দান করেছেন রোযাদারকে অর্থহীন ও অশ্লীল কথা-কাজ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের খাবারের ব্যবস্থা হিসাবে। যে ব্যক্তি তা (ঈদের) নামাযের আগে আদায় করবে সেটা গ্রহণযোগ্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হবে। আর যে নামাযের পর আদায় করবে সেটা সাধারণ সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে।" -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৬০৯

প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। প্রত্যেকে তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবে।

অতএব নিজের সাওমকে পরিশুদ্ধ করতে ঈদের সালাতে যাওয়ার আগেই সদাকাতুল ফিতর আদায় করি।

তথ্যসূত্র:
মাসিক আল কাউসার
বই- কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমাদান

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩১লাইলাতুল কদরের মতো একটি রাতের ইবাদত যেভাবে একজন বান্দাকে হাজার মাসের দূরত্ব এগিয়ে দি...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩১

লাইলাতুল কদরের মতো একটি রাতের ইবাদত যেভাবে একজন বান্দাকে হাজার মাসের দূরত্ব এগিয়ে দিতে পারে, সে রাতের ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত তো ভিন্নভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। তা সত্ত্বেও হাদীস পক্ষান্তরে এত এত ফজিলত ও মর্যাদা সত্ত্বেও যদি কেউ এ রাতটি গাফিলতির সাথে কাটিয়ে দেয়, তাহলে তার চেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্ত আর কে হতে পারে?

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টই বলেছেন,
"এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।”
- নাসায়ী, হাদীস নং ২১০৬; মুসনাদে আহমদ, ৭১৪৮

তাই আমরা যেন সর্বোচ্চ চেষ্টা করি লাইলাতুল কদরের ন্যূনতম ফযীলত থেকে যেন বঞ্চিত না হই।

- মাসিক আল কাউসার

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_৩০মুমিনের কর্তব্য হল, কদর রজনীর পূর্ণ কদর করা। অন্তত এ রাতে আমল করার ব্যাপারে গাফেল না ...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩০

মুমিনের কর্তব্য হল, কদর রজনীর পূর্ণ কদর করা। অন্তত এ রাতে আমল করার ব্যাপারে গাফেল না থাকা।
রমাদান মাসের ফরয নামাযগুলো জামাতের সাথে আদায় করার মাধ্যমে কদর রজনীর ন্যূনতম কদর হতে পারে।
হাদীস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি এশার নামায জামাতে আদায় করল সে যেন অর্ধ রজনী কিয়াম করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাযও জামাতে আদায় করল সে যেন পূর্ণ রাত নামায পড়ল।
- সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৫৬

তাছাড়া এই এক রাতে কয়েক ঘন্টা ইবাদত করলে হাজার মাস বা ৮৩ বছর ধরে ইবাদতের সমান সাওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন!
আল্লাহু আকবার!

বিভিন্ন ধরনের আমল যেমন জামাতের সাথে তারাবীহ পড়লে ৮৩ বছর তারাবীহ আদায়ের সমান সাওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন।

২ টাকা, ৫ টাকা বা ১০ টাকাও যদি দান সদাকা করেন তাহলে ৮৩ বছর ধরেই দানের সাওয়াব পেয়ে গেলেন।

এই রাতে কয়েক পৃষ্ঠা কুরআন তেলাওয়াত করার মাধ্যমে বিশেষত যেই সূরা গুলো রাতে পড়ার জন্য বলা হয়েছে, এগুলো করলেই আপনি ৮৩ বছরের তিলাওয়াতের সাওয়াব পেয়ে গেলেন।

রাতে কিছুক্ষন যদি আপনি আল্লাহর সামনে দাড়ালেন ও জিকির করলেন, দুআ করলেন ও বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করলেন তাহলে ৮৩ বছর ধরে এগুলো করার সাওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই মহিমান্বিত রাতটি পাওয়ার এবং আমাদের সর্বোচ্চ আমল করার তৌফিক দান করুন।
(আমিন)

তথ্যসূত্র:
মাসিক আল কাউসার
বই- কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমাদান

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৯আম্মাজান আয়েশা (রা.) রসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞাসা করেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, যদি আমি জানতে পার...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৯

আম্মাজান আয়েশা (রা.) রসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞাসা করেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, যদি আমি জানতে পারি, আজ লাইলাতুল কদর, তাহলে আমি কী দুআ করতে পারি?

রসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি বলো-

اللهم إِنّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ.

হে আল্লাহ! আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতেই ভালবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
- জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫১৩

বলাবাহুল্য , দোয়াটি অতি ব্যাপক অর্থবোধক । আল্লাহ তায়ালা যদি নিজ দয়া ও অনুগ্রহে কোনো বান্দাকে ক্ষমা করে দিয়ে পরকালের হিসাব - নিকাশ ও জবাবদিহি থেকে রেহাই দেন , তাহলে আখেরাতে বিশ্বাসী বান্দার জন্যে এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে !

- মাসিক আল কাউসার

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৮রমাদান মাসের শেষ দশকের বেজোড় সংখ্যার রাত্রিগুলোতে প্রত্যেক মুমিনের উচিত লাইলাতুল কদর ...
30/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৮

রমাদান মাসের শেষ দশকের বেজোড় সংখ্যার রাত্রিগুলোতে প্রত্যেক মুমিনের উচিত লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নিজে উক্ত রাত্রিগুলিতে জাগরণ করতেন এবং তিনি সাহাবাদেরকেও লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানের ব্যাপৃত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ﷺ বলেন: "তোমরা শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে এ রাত্রি তালাশ করো।"
- সুনান আত তিরমিযী , হাদীস নং ৭৯২

লাইলাতুল কদর রামাদানের শেষ দশদিনের যে কোন রাত্রে হতে পারে । তবে বেজোড় রাত্রিসমূহের যে কোন একটিতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । অনেক উলামার মতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় হল ২৭ তম রাত্রি । তবে হাদীসের এ ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের কারণে হাদীসবিশারদ উলামায়ে কেরাম বলেছেন , রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বেজোড় রাতেই শবে কদর তালাশ করা উচিত।

তথ্যসূত্র:
মাসিক আল কাউসার
বই- কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমাদান

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৭রমাদানের পুরো মাস জুড়ে বিরাজ করে রহমত ও ক্ষমার ঘোষণা। তবে এ মাসে রয়েছে বিশেষ এক মহিমা...
29/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৭

রমাদানের পুরো মাস জুড়ে বিরাজ করে রহমত ও ক্ষমার ঘোষণা। তবে এ মাসে রয়েছে বিশেষ এক মহিমান্বিত রজনী- লাইলাতুল ক্বদর।
আল্লাহ তাআলা এ রাতের ব্যাপারে বলেন-
"ক্বদর রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সেই রজনীতে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতরণ করেন প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রজনী সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত।"
[ সূরা কদর: ৩-৫ ]

রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন : “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় ক্বদরের রাত্রিতে (সালাতে) দাঁড়ায়, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হল।"
- সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০২

রসূলুল্লাহ ﷺ রামাদানের শেষ দশ রাতে নিজে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকতেন এবং পরিবার পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।
ইমাম মুসলিম আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ ﷺ রামাদানের শেষ দশদিনে আল্লাহর ইবাদাতে এতটা পরিশ্রম করতেন যা তিনি অন্য সময় করতেন না।
- সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৪৫

সহীহ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় আয়েশা (রা.) বলেন: "যখন রামাদানের শেষ দশদিন এসে যেত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরনের কাপড় মজবুত করে বাঁধতেন। (অর্থাৎ দৃঢ়তার সাথে প্রস্তুতি নিতেন) এবং নিজে রাত্রে জাগতেন এবং পরিবার পরিজনকেও জাগাতেন।
- সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯২০ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৮৪৪

তথ্যসূত্র:
মাসিক আল কাউসার
বই- কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমাদান

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৬রামাদান মাসের শেষ দশদিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য লাভ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুর...
29/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৬

রামাদান মাসের শেষ দশদিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য লাভ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হল ইতিকাফ। দুনিয়ার যাবতীয় ব্যস্ততাকে পাশে ঠেলে, একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, আল্লাহর ঘর মসজিদে অবস্থানের এই যে বিধান- নিঃসন্দেহে তা বান্দার প্রতি রাব্বুল আলামীনের অনেক বড় ইহসান। বান্দার উচিত এই মহান বিধানের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া এবং আবেগ ও মহব্বতের সাথে এই আমলের প্রতি উৎসাহী হওয়া।
ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদর লাভের আশায় একবার রমাদানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করেন। এরপর কয়েকবার ইতিকাফ করেন মাঝের দশ দিন। এরপর একসময় শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতে শুরু করেন এবং ইরশাদ করেন-তোমরা রমাদানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২০

ইতিকাফের মাধ্যমে সাওমের যাবতীয় হক ও আদাব রক্ষা করার তাওফীক হয়।
সর্বোপরি ইতিকাফ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি ইবাদত। যার ফায়েদা ও প্রভাব মানুষের মন ও মননে এবং জীবন ও জগতে অনেক গভীর হয়ে থাকে।

লেখা: মাওলানা মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম তায়্যিব হাফিজাহুল্লাহ

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৫কুর'আনের বহু আয়াতে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: ...
29/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৫

কুর'আনের বহু আয়াতে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন: "কে সে, যে আল্লাহ কে করযে হাসানা প্রদান করবে? অতঃপর তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।
- সূরা আল বাকারাহ : ২৪৫

দান করলে আল্লাহ তা'য়ালা সেই দানকে আরও বহুগুনে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ বলেন, "যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস্যবীজ, যা সাতটি শিষ উৎপাদন করে, প্রত্যেক শিষে একশত শস্যদানা। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আর আল্লাহ দানশীল সর্বজ্ঞ।
- সূরা আল বাকারাহ : ২৬১

"দেখ, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহ এর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে। অথচ তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত।"
- সূরা মুহাম্মাদ : ৩৮

-মাসিক আল কাউসার

Muslim's Deed

 #মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ  #পর্ব_২৪আল্লাহর রাস্তায় দান-সাদাকাহ ও ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। সব সময় যাতে সামর্...
29/03/2025

#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_২৪

আল্লাহর রাস্তায় দান-সাদাকাহ ও ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত।
সব সময় যাতে সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গ এ ইবাদাত পালন করে সে ব্যাপারে ইসলাম ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছে। আর রামাদান মাসে যেমন ইবাদাতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব আরো বহুলাংশে বৃদ্ধি পায় তেমনি ভাবে এই মাসে দান-সাদকাসহ সকল উত্তম আমলের সাওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

ইমাম বুখারী (র.) ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণনা করেন যে-
"রসূলুল্লাহ ﷺ সকল মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন । আর রামাদান মাসে যখন জিবরীল তার সাথে সাক্ষাতে মিলিত হতেন তখন তিনি আরো দানশীল হয়ে উঠতেন .....। জিবরীলের সাক্ষাতে তিনি বেগবান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হয়ে উঠতেন।"
- সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩০৪৮

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি (তার) বৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে একটি খেজুর পরিমাণও কিছু দান করে - আর আল্লাহ তো বৈধ অর্থ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণই করেন না - সে ব্যক্তির ঐ দানকে আল্লাহ ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা ঐ ব্যক্তির জন্য লালন-পালন করেন যেমন তোমাদের কেউ তার অশব-শাবককে লালন-পালন করে থাকে। পরিশেষে তা পাহাড়ের মত হয়ে যায়।’
- বুখারী, ১৪১০ ও মুসলিম, ১০১৪

তথ্যসূত্র:
মাসিক আল কাউসার
বই- কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রমাদান

Muslim's Deed

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Akhlaq - أخلاق posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share