
30/03/2025
#মহিমান্বিত_রমাদান_সিরিজ
#পর্ব_৩৫ শেষ পর্ব
রমাদান মাসে গুনাহ বর্জন ও নেক আমলের যে অনুশীলন করেছি, তা থেকে কি জীবনের পাথেয় অর্জন করতে পেরেছি? আমি কি সফল রোযাদার? রোযার মাধ্যমে আল্লাহর ভয় ও তাঁর আনুগত্যের যে অঙ্গীকার আমি করেছি, তা কি ঠিক রাখতে পারছি? কিছু লক্ষণ দ্বারা আমি নিজেকে যাচাই করে নিই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ :
ক. ঈদের দিন কি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেছি? বা আমার কি জামাত ছুটে গেছে?
খ. ঈদের খুশীর নামে গান-বাদ্য, নাটক-সিনেমা ইত্যাদিতে মেতে উঠেছি? ইন্টারনেটের অপব্যবহার করেছি?
গ. ঈদ উপলক্ষে বেপর্দা, ফ্রি মিক্সিং ও বিনোদনের নামে বিভিন্ন পাপের অনুষ্ঠানে জড়িয়ে পড়েছি?
ঘ. রমযান-পূর্ববর্তী অলসতা-উদাসীনতা কি আবার আমাকে গ্রাস করছে?
প্রকৃত রোযাদার কিন্তু ঈদের দিন আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আদায় করে। এই ভেবে খুশি হয় যে, সে দীর্ঘ এক মাস আল্লাহর হুকুম পালন করেছে এবং ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভ করেছে। আর সাথে সাথে সে এই ভয়েও ভীত থাকে যে, আমার আমল কি আল্লাহর দরবারে কবুল হল? এজন্য সে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করতে থাকে, যাতে তিনি তার আমল কবুল করে নেন এবং তাকে তাঁর মুত্তাকী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
সুতরাং রমাদানের আমল কবুল হওয়ার আলামত হল, বান্দা নিজেকে ঈমান-আমলের ক্ষেত্রে তার পূর্বের অবস্থার চেয়ে উত্তম অবস্থায় পাবে এবং সৎকর্মে আরো বেশি অগ্রগামী হবে।
সুতরাং মুমিন বান্দা শুধু মৌসুমভিত্তিক ইবাদত করেই ক্ষান্ত হবে না; বরং সর্বদা ইবাদত জারি রাখার চেষ্টা করবে।
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ.
"তুমি মৃত্যু অবধি তোমার রবের ইবাদত করতে থাক।"
- সূরা হিজর, আয়াত ৯৯
সুতরাং রমযান মাস শেষ হয়ে গেলেও মুমিনের আমল তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেষ হবে না।
রমাদানের এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সারা বছরের জন্য নেক আমলের ধারা চালু রাখি, অলসতা বর্জন করি। গুনাহমুক্ত জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তুলি।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে ঈমানের উপর দৃঢ় রাখুন, নেক আমলের তাওফীক দান করুন, আমীন।
- মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী (হাফিজাহুল্লাহ)
Muslim's Deed