Barisal Khabar

Barisal Khabar আলোর পথে জনতার ভাষা "বরিশাল খবর" ভিজিট করুন... www.barisalkhabar24.com

Barisal Khabar known as “Barisal khabar” is a 24/7 hour News of Bangladesh and International

Contact Us:
Email: [email protected],
[email protected]

News update visit our website :
https://www.barisalkhabar24.com

google play stor apps link : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.barisal.khabar.twentyfour. Like barisal khabar on page : https://www.fa

cebook.com/barisalkhabar24/

Join Barisal Khabar on Facebook group:
https://www.facebook.com/groups/barisalkhabar/

Follow instagram : https://www.instagram.com/barisalkhabar/

Follow Youtube :
https://youtube.com/

নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান 👉রাত গভীর হলে যখন শহরের ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে পড়ে, ঘুমন্ত দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে তখনো জেগে থাকে ...
13/08/2025

নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান 👉রাত গভীর হলে যখন শহরের ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে পড়ে, ঘুমন্ত দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে তখনো জেগে থাকে কিছু নিঃশব্দ শিকারি। তারা নয় ছিনতাইকারী, নয় চোর—তারা এক অন্যরকম লুটেরা, যারা ঢুকে পড়ে আপনার যাপিত জীবনের অন্দরমহলে, কেড়ে নেয় আপনার আস্থা, সম্মান, অর্থ, এমনকি আপনার পরিচয়।

এই শিকারিরা আপনার জানালার পাশে এসে দাঁড়ায় না, তারা আসে ইনবক্সের ভেতর দিয়ে। আর তার হাতছানি হয় এক সুদর্শনা নারীর ছবিতে মোড়ানো এক ফাঁদ—যা দেখতে যতটা কোমল, অন্তরে ততটাই করাল।

প্রথম দৃশ্যপটে সে আসে এক নরম ‘হ্যালো’ নিয়ে। নাম—‘পূজা’, ‘সিমরন’, কিংবা ‘মেঘলা’। আপনাকে সে জিজ্ঞেস করে—"Can you send me your WhatsApp number?" আপনি হয়তো ভাবেন, ‘এ আর এমন কী’—ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, প্রভাবশালী কেউ হলে তো এসব আদান-প্রদান হরহামেশাই হয়। কিন্তু আপনি জানেন না, আপনি ঠিক এইখানেই তাঁর পাতা মায়াজালের প্রথম ধাপে পা রাখলেন।

এরপর...

হোয়াটসঅ্যাপে সে আপনাকে নানা প্রশ্ন করে—আপনার পেশা, বসবাস, ব্যবসার ধরণ, পরিচিতজন। কথার ফাঁকে ফাঁকে সে বোঝার চেষ্টা করে আপনি আর্থিকভাবে কতটা স্থিতিশীল। তার দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু আপনি নন, আপনার ‘সামর্থ্য’।

পরবর্তী ধাপে, আসে চতুরতার বুনন। সে আপনাকে ছবি পাঠায়—আলোছায়ায় ভরা দৃষ্টিনন্দন কিছু মুহূর্ত। হয়তো কিছু ভিডিওও। আপনিও আবেগের তাড়নায় তাতে ‘লাইক’ দেন। হয়তো মুগ্ধ হয়ে বলেন, “You look nice!”

এই সময়েই আসে ভিডিও কলের প্রস্তাব। সে আর নিজের শরীর লুকিয়ে রাখে না। এক অস্বস্তিকর সাহসে আপনাকে সে টেনে নিয়ে যায় একান্ত আলাপে, যেখানে আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন—এ সত্যি তো? না কি অভিনয়? আপনি বুঝে ওঠার আগেই আপনি তার চরকিতে ঘুরতে শুরু করেন।

আর যারা এই ধাপে সাড়া না দেন—তাদের জন্য অপেক্ষা করে আরেক ফাঁদ। তারা পায় চাকরির অফার, অনলাইনে আয়ের প্রলোভন, ইউটিউব বা ইনভেস্টমেন্ট লিংকের ছলচাতুরি। আপনি সেই লিংকে ক্লিক করতেই, আপনার তথ্য চলে যায় তার দখলে।

তবে, সাম্প্রতিক কৌশল আরও শাণিত। এখন শুধু ব্ল্যাকমেইল নয়, পুরো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাঁয়তারা!

আপনাকে বলবে—“আপনার ফোনে একটি কোড যাবে, সেটা শুধু ‘Ok’ করে দিন।”
আপনি কিছু না ভেবেই দিয়ে দিলেন। পরক্ষণেই সে চেয়ে বসে WhatsApp-এর পিন নম্বর। আপনি দিয়ে দিলে—অভ্যন্তরীণ দরজা খুলে দিলেন আপনি নিজেই। এখন থেকে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, জিমেইল—সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ তার হাতে।

সে পাল্টে ফেলে আপনার পাসওয়ার্ড। আপনার নামেই টাকা চাইতে শুরু করে প্রিয়জনদের কাছ থেকে। আপনি বুঝতেও পারবেন না কখন, কিভাবে আপনার ছবি, গোপন কথোপকথন, ব্যক্তিগত দলিল তার হাতে পৌঁছে গেল।

আপনার একটি ছোট ভুল, একটিমাত্র ক্লিক—পরিণত হলো জীবনভর অনুশোচনার বিষাক্ত সুরে। আপনি একাকী, ভীত, লজ্জিত—কারণ আপনি জানেন না কীভাবে বলবেন যে আপনি ভুল করেছিলেন।

এই প্রতারণার মূল চালিকা নারীসুলভ রূপ। তার আইডিগুলোতে you'll find খোলামেলা ছবি, কখনো নাম সনাতন রূপে, লোকেশন হয়তো ভা-র-ত দেখাবে। ১০ জনের মধ্যে ৮ জন তার ফাঁদে পা দিয়ে দেয়, কারণ তারা জানে—পুরুষের চোখে ‘সৌন্দর্য’ নামক দরজাটি খুলে দিলে ভিতরে প্রবেশ করা সহজ।

এই কাহিনী শুধু ফেসবুকে নয়—হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, ইনস্টাগ্রাম—সবখানেই চলছে।

এ যেন—এক রঙিন জাল, যার ভিতরে ঢুকলেই আর ফেরা হয় না সহজে। আপনি হতে পারেন শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক—তবুও এই জাল এড়ানো কঠিন, যদি না থাকে সজাগ চেতনা।

তাই জেনে রাখুন—
■ কোনো অপরিচিত আইডি থেকে মেসেজ এলে কখনোই ব্যক্তিগত নম্বর দেবেন না।
■ ভিডিও কলে যাওয়া, লিঙ্কে ক্লিক করা, ওয়ান-টাইম পিন (OTP) শেয়ার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
■ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ‘Two Step Verification’ চালু রাখুন।
■ সন্দেহজনক মেসেজ বা ভিডিও প্রলোভন দেখলেই রিপোর্ট করুন।
■ আপনার সন্তান, ভাই, বন্ধু বা পরিবারের উঠতি তরুণদের সচেতন করুন এই প্রতারণা নিয়ে।

শেষ কথা—এই যুগে প্রতারণা হচ্ছে কৃত্রিম কোমলতার মুখোশে। যে ভালোবাসার মুখোশ পরে আসে, সে আসলে আপনাকে ভালোবাসে না—আপনার ভিতরটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। আপনি যদি প্রতারিত হন, অপরাধ আপনার না, অপরাধ অন্ধ বিশ্বাসের।

তাই আসুন, জেগে উঠি… জেনে রাখি—

“সুন্দরীর হাসির আড়ালে কখনও কখনও দাঁত বের করা হিংস্রতা লুকিয়ে থাকে।”

আমরা যদি না জানি, তবে হারিয়ে যাবে শুধু আমাদের তথ্য নয়—হারিয়ে যাবে আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস, ও এই জীবনের শান্তি।

📢 সচেতন হোন, শেয়ার করুন—আরও অনেককে বাঁচান এই ডিজিটাল দানবের হাত থেকে।

লাশটা বাড়িতেই আছে, কিন্তু ঘরে তার কোনো স্থান নাই. অথচ সেই ঘর বাড়ি সম্পদ সবই তার কষ্ট করে কামাই করা টাকা দিয়ে তৈরি করা।লা...
13/08/2025

লাশটা বাড়িতেই আছে, কিন্তু ঘরে তার কোনো স্থান নাই. অথচ সেই ঘর বাড়ি সম্পদ সবই তার কষ্ট করে কামাই করা টাকা দিয়ে তৈরি করা।

লাশের পাশে থাকা ভাই শুকনো জায়গাতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও লাশটি কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজতাছে, তবুও আমাদের কতো দাপট, কতো বাহাদুরি মানুষ মূলত একা তারপরও মানুষের কত অহংকার।

13/08/2025

"স্বামীর অফিসে স্বামীকেই স্ত্রী’র হা*ম*লা ও নি*র্যা*তন ,একেই বলে পুরুষ নি*র্যা*তন ........
লালমনিরহাট কালচারাল অফিসারের সাথে অভূতপূর্ব ঘটনা ধরা পড়লো সিসিটিভিতে"

গত ৩ জুলাই'২০২৫ তারিখ লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অতিথি কক্ষে কালচারাল অফিসারের ওপর হামলা করেন তার স্ত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিরচর্চা বিভাগের সেলিনা বেগম।

জানা গেছে, তারা দুজনেই স্বামী-স্ত্রী।ঘটনার পর স্বামী কালচারাল অফিসার হাসানুর রশীদ স্ত্রী সেলিনাকে ডিভোর্স দিয়েছেন এবং হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।মামলার কপি কমেন্টে দেয়া হলো।

২০১৫ সালের ৩০ মে গ্রে প্তার করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে। সেদিন বেলা ১১টার দিকে বনশ্রীর বাসা থেকে ...
05/08/2025

২০১৫ সালের ৩০ মে গ্রে প্তার করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে। সেদিন বেলা ১১টার দিকে বনশ্রীর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে বের হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। যদিও এর আগে তাকে তার অফিসে খোঁজ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল। সেখানে তাকে না পেয়ে অফিসের অন্য এক কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই তরুণ বলেন, ধরার পরপরই আমাকে টর্চার করা হয়, যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারে যে আমি ভুল ব্যক্তি। মূলত তারা যাদের খুঁজছিলেন, তাদের কাউকেই আমি চিনতাম না। তাদের উপলব্ধির পর তারা আমার ওপর নির্যাতন বন্ধ করে। তবে আমাকে আট দিন ঘুমাতে দেয়নি। প্রথম দিনে প্রায় এক ঘণ্টা টর্চার করে এবং পরে রিমান্ড চলাকালীনও নির্যাতন চলে। তিনি বলেন, মোট ২৩-২৪ দিনের মতো রিমান্ডে ছিলাম, যা বিভিন্ন মামলায় ৫ থেকে ৭ দিন করে বিভক্ত ছিল। এরপর ১৬৪ ধারার জবানবন্দির সময় আমাকে একটি প্রস্তুতকৃত স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে মামলার বর্ণনা সাজানো ছিল। সেই স্ক্রিপ্টে উল্লেখ ছিল যে, আমাকে আমার বাবার বাসার গ্যারেজ থেকে আটক করা হয়েছে এবং আমাদের কেস পার্টনারদের মধ্যে ছয়-সাতজনকে ওই গ্যারেজ থেকে আটক করা হয়। কারও হাতে ছু রি, কারও হাতে বো মা—এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন আমরা একটি ব্যাংক ডা কা তির জন্য বের হয়েছি। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গিয়ে সত্যটাই বলি। শেষ পর্যন্ত মোট পাঁচটি মামলা হলো, যার ভিত্তিতে আমি ২৩ মাস জেল খাটলাম। এই ২৩ মাসের মধ্যে ডিটেনশন সেলে আট দিন আমাকে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি।

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আমি ব্যবসায় মনোনিবেশ করি। কারণ, আগের ঘটনাগুলোর কারণে চাকরি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি আবারও বিপদের মুখোমুখি হই। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার ফোন দিয়ে জানায়, কালো গ্লাসওয়ালা মাইক্রোবাসে কিছু লোক আমাকে খুঁজতে এসেছে। আমি পালানোর সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু এর ফল হয় ভয়াবহ। র‌্যাব প্রথমে এক গাড়ি নিয়ে আসে, তারপর তিনটি গাড়ি নিয়ে আমার খোঁজে তল্লাশি চালায়। আমার শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

আমাকে না পেয়ে তারা আমার স্ত্রী ও শ্যালককে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন তারা র‌্যাব-১১ এর হেফাজতে ছিল। ওই সময় আমি নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তখন আমাকে বলা হয়, আমি ধরা দিলে আমার স্ত্রী এবং শ্যালককে ছেড়ে দেবে। তখন শর্ত দিই যে, আগে আমার স্ত্রী ও শ্যালককে মুক্তি দিতে হবে, তারপর আমি আত্মসমর্পণ করব। পরে আমার স্ত্রী এবং শ্যালককে ছেড়ে দেয়। এরপর আমি আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েই র্যাবের কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করি। আমাকে গ্রেপ্তার করার পর আমার ধারণা ছিল, তারা হয়তো কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেবে, কিন্তু আমি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় মামলা লিখে ফেলল, আমাকে আদালতে চালান করল, এবং জেলে পাঠাল।

আমার স্ত্রীকে তিন দিন ধরে আটক রাখা হয় র‌্যাব অফিসে। তাকে এমন একটি সেলে রাখা হয়েছিল, যেখানে টয়লেটের সাইডের দেয়াল ছিল না, শুধু সামনের দেয়াল ছিল। সেখানে সিসি ক্যামেরাও ছিল। সেই তিন দিনে তাকে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি, খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো, আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার, ‘জ ঙ্গির বউ’ ও ‘জ ঙ্গি মদদদাতা’ বলে গা লাগাল করা হয়েছে।

তিন দিন পর স্ত্রী ছাড়া পেলেও এবার আমাকে গ্রেপ্তারের পর তিন মাস পরে জামিন দেওয়া হয়। জামিনের পরে ফের আলেপ উদ্দিন আমাকে স্ত্রীসহ তার অফিসে ডাকে। তার অফিসে যাই। সেখানে আলেপের চেম্বারে আমরা দুজন বসেছিলাম। সেই দিন আলেপ আমাকে কিছু নসিহত করে গেস্টরুমে পাঠিয়ে দিল এবং বলল, ‘আপনার স্ত্রীর সঙ্গে একটু ব্যক্তিগত কথা আছে।’ ১৫-২০ মিনিট পর আমার স্ত্রী গেস্টরুমে এলো। আমি প্রথমবার লক্ষ করলাম, তার চেহারা বিধ্বস্ত, ভেঙে পড়া, চোখ ছলছল করছে, হাঁটতে পারছে না। মনে হলো, এমন কিছু তাকে বলা হয়েছে, যা তাকে ভীত ও অমানষিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।

এরপর কয়েকদিন কেটে গেল, কিন্তু আমি লক্ষ করতে লাগলাম যে, আমার স্ত্রী ক্রমশ মনমরা হয়ে যাচ্ছে, অন্যমনস্ক থাকছে। সে আমার সামনে থেকেও নেই, কথাগুলো শুনছে, কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না। বেঁচে থেকেও মৃতের মতো, প্রাণহীন, নিস্তেজ।

এরপর স্ত্রীকে এভাবে মনমরা হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাপ দিতে থাকলাম। একপর্যায়ে আমার স্ত্রী সব ঘটনা খুলে বলে। আমাকে ক্রসফায়ার এবং নির্যাতনের করা হবে—এমন ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে দুবার ধ র্ষণ করা হয়েছে। শ্লী*লতাহানিও করা হয়েছে।

প্রথমে ছোটখাটো ইঙ্গিতমূলক কথা বলত, যেমন—‘আপনি একা একা কেমন আছেন?’, ‘আপনার স্বামীকে সহজে বের করে আনার জন্য কি কিছু করা যায়?’, ‘আসুন, আমরা বসে কথা বলি।’ এ ধরনের কথাবার্তা দিয়ে সে মানসিক চাপে ফেলত। যখন আমি দ্বিতীয়বার গ্রে*প্তার হলাম, তখন আমরা আফতাবনগরে থাকতাম। গ্রে*প্তারের পর আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি, পূর্ব গোড়ানে চলে যায়। আলেপ উদ্দিন তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, ‘আপনার বাসার ঠিকানা মামলায় দেওয়া আছে, তাই ইনভেস্টিগেশনের জন্য আপনাকে বাসায় আসতে হবে।’ এভাবে আমার স্ত্রীকে বাসায় ডেকে আনে। সেই দিনই প্রথমবার আলেপ শ্লী*লতাহানির চেষ্টা করে। বাসার দারোয়ান তখন ছিল এবং আলেপ নিজেকে আমার খালাতো ভাই পরিচয় দিয়ে উপরে উঠে আসে। তবে আমার স্ত্রী দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ করে এবং আশপাশের ফ্ল্যাটগুলোতে মানুষ থাকার কারণে সে সফল হয়নি। এরপর আলেপ বারবার ফোন করে বোঝাতে থাকে, ‘আমি চাই আপনার স্বামী সহজেই বেরিয়ে আসুক। আমি চাই না সে আর কোনো হয়রানির শিকার হোক। আপনার সঙ্গে কথা বললে সব সহজ হয়ে যাবে।’ এভাবে সে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে।

তিন মাস পর যখন আমি জামিনে মুক্তি পেলাম, তখন আবার আমাকে রিঅ্যারেস্ট করা হলো এবং থানায় নেওয়া হলো। এবার আলেপ পুরোপুরি পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল। সে আমার স্ত্রীকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিল, ‘এখন সবকিছু আমার হাতে। চাইলে আমি তোমার স্বামীকে ছেড়ে দিতে পারি, আবার চাইলে নতুন মামলায় ফাঁসাতে পারি এবং চাইলে ক্রস ফা য়ার দিয়ে হ ত্যা করতে পারি।’ এই চাপের মুখে নিরুপায় করে আলেপ আমার স্ত্রীকে তার অফিসে ডাকে। অফিসে দেখা করার পর সে তার ব্যক্তিগত সাদা টয়োটা গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যায়। মাঝপথে ইপিজেড পার হয়ে র‌্যাব অফিসার্স কোয়ার্টারে নিয়ে যায়। সেখানেই ঘটে সেই ভয়ংকর ঘটনা, যা আমার স্ত্রী অনেকদিন পর্যন্ত বলতে পারেনি। সেখানে সে আমার স্ত্রীকে প্রথমবার ধর্ষ ণ করে। ওই সময় আমার স্ত্রী আমাকে ঘটনা জানায়নি। ভেবেছে যদি আমি ভুল কিছু করে ফেলি। কিন্তু বের হয়ে আমি ঘটনা জানার পরে আলেপকে জিজ্ঞাসা করি। তখন সে উল্টো আমাদের ভয় দেখায়। মামলা, ক্রস*ফায়া*রের ভয় দেখায়।

এরপর আমি জামিনে বের হই। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে আলেপ আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করত। দেখা করতে চাইত। না করলে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে। তিনি বলেন, ওই সময়ে রোজার মাস ছিল। শবেকদরের দিন। আমি এতেকাফে বসেছিলাম মসজিদে। তখন আলেপ আমার স্ত্রীকে হুমকি দেয়। সামনের ঈদ মাটি করে দেবে। আমাকে মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে ক্র*সফা*য়ারে দিয়ে দেবে। এমন নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে তুলে নেয়। এরপর ওই কোয়ার্টারেই নিয়ে যায়। প্রথমবার তিনতলার সাত নম্বর রুমে নেওয়া হয়েছিল। এর পরেরবার নিচতলায় ঢোকার সময় বাম পাশে। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে সব ম্যাপ থেকে দেখাইছে। ইচ্ছে ছিল মামলা করব। কিন্তু স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করায় আর মামলা করা হয়নি।

আমার স্ত্রী আর এই ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি। দিনের পর দিন কেবল কান্না করতেন। রাতে মোনাজাতে দুই হাত উঠিয়ে কান্না করতেন। ফ্লোরে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতেন। মানুষটা আমাকে খুব ভালোবাসত। কি সুন্দর সংসার ছিল! সবসময় হাসিখুশি। বেশি চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। কিন্তু সব শেষ করে দিল। বড় বড় মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু উন্নতি হয়নি। তিনি বলেন, যখন আমার স্ত্রী হাসপাতালে। কথা বলতে পারতেন না। তখনো চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে কাঁদতেন। যেন ক্ষমা করে দিই। ঘটনার পর থেকে কখনো আর স্বাভাবিক হতে পারেননি। শুধু আমার কাছে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন।

আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযোগের প্রায় সব অভিযোগেই রয়েছে এমন নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা। কোথাও কোথাও বিকৃত কথাবার্তা বলে মানসিক পীড়নের অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার অনেক ব্যক্তিই বলছেন, আলেপ বিকৃত রুচির মানুষ। সবসময় নারীদের নিয়ে নোংরা কথা বলতেন। ভুক্তভোগীদের পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়েও নানা কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। স্বামীকে ক্র*সফায়ারে হ*ত্যার হু*মকি দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষ*ণের তথ্য পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। তিনি অসংখ্য মানুষকে গু*ম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। ইলেকট্রিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো সব তিনি করেছেন, বলেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক যেটা করেছিলেন, গু*ম করে স্বামীকে হ*ত্যা*র ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে রোজার মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধ*র্ষণ করেছিলেন। এর তথ্য-প্রমাণাদি আমাদের কাছে এসেছে।

সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে রোজা ভাঙিয়ে ধ*র্ষণ করার প্রমাণ পেয়েছে প্রসিকিউশন। ওই নারীকে একবার নয়, তিনি একাধিকবার ধ*র্ষণ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং র‌্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের লালসার শিকার হয়েছেন এমন অনেকে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্তত অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যাদের তুচ্ছ কারণে গুম করা হয়েছিল। এরপর নানা বাহানায় বছরের পর বছর নির্যাতন করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় পারিবারিক বন্ধন। ব্যবসা-চাকরি হারিয়ে এসব মানুষ আজও দিশেহারা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি কেউই।

আল্লাহর কাছে দুআ করি, আওয়ামী লীগ, তাদের সহযোগী এবং তাদের এসব অন্যায়ের সমর্থনকারী কেউ যেন দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি না পায়। এখনও যারা তাদের সমর্থন করে তারাও কেউ যেন দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি না পায়। তারা সবাই যেন সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। আমিন।
(সংগৃহিত)

03/08/2025

আটকৃতদের একজন রাজধানীর সূত্রাপুরের রুপচান লেনের প্রেস ব্যবসায়ী নাম. মোল্লা মোসলেহ এলাহী (৫৭)। সকাল ১০ টার দিকে আট....

বরিশাল মডেল কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের অহেতুক হয়রানীর অভিযোগ,আন্দোলনে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা                             ...
30/07/2025

বরিশাল মডেল কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের অহেতুক হয়রানীর অভিযোগ,আন্দোলনে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা

এ ব্যাপারে বরিশাল মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুন,প্রভাষক মাসুম বিল্লাহ ও শিক্ষক শাহজালালকে কল করা হলে....

বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মিজানুর দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, একই কর্মস্থলে ২৪ বছর
30/07/2025

বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মিজানুর দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, একই কর্মস্থলে ২৪ বছর

মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মোঃ মিজানুর রহমান একই অফিসে দীর্ঘ দুই .....

ওনিও নাকি অধ্যক্ষ ছিলেন।দুদক কি করে। এদের আইনের আওতায় আনা হোক
27/07/2025

ওনিও নাকি অধ্যক্ষ ছিলেন।দুদক কি করে। এদের আইনের আওতায় আনা হোক

Address

Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Barisal Khabar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Barisal Khabar:

Share