26/03/2025
করোনা (COVID-19) ও জীবিকা: বিশ্ব ও বাংলাদেশ
শ্রমিক ছাঁটাই, চাকরী হারানো সারাবিশ্বে এখন নির্মম বাস্তবতা |
উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতেপারি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর শোচনীয় অবস্থা |
ইউএসএ তে- ৩৩ মিলিয়ন লোক কর্মহীন বা হবে (২% মোট কৰ্মশক্তির )|
চীনের কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭% বৄদ্ধি পেয়েছে যা দেশটির জন্যে নতুন রেকর্ড |
কানাডার প্রায় ৮ মিলিয়ন ( ১৩% )
জরুরী কর্মহীন সাহায্যের জন্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছে|
জাপান ১.৭৫ মিলিয়ন (২.৫% )|
ইউকে ২ মিলিয়ন ( 8% )|
ফান্স ১০ মিলিয়ন|
জার্মানী ৩৭৩০০০ ( ৫.৮%) এবং
ইটালী ২৬৭০০০ ( ৮.8% ) |
বিশ্ব্ব শ্রম সংস্থা (এই এল ও) এর ধারণা, করোনা প্রভাবে সারা বিশ্বে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পূর্নকালীন চাকুরীজীবি কর্মহীন হবে যা ২০০৮- ০৯ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার চেয়ে ও খারাপ হবে। উল্লেখ যে, করোনা প্রভাবে বিশ্বে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০ মিলিয়ন (পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি) |
ভাবতেই পারছেন গোটা পৃথিবীর কী দুঃসময় যাচ্ছে | কিন্তুু এসব উন্নত দেশে চাকরী হারালে সরকার বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে সহায়তা করে থাকে | বাংলাদেশ সরকার ও চমৎকার উদ্যোগ নিয়েছে ক্যাশ সহয়তা করেছে ৫০ লক্ষ পরিবারকে | সরকার সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে | যা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ, যার জর্ন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে এবং দেশের বাইরে প্রশংসিত হয়েছেন |
কিন্তুু প্রধান রফতানিকারক সেক্টর গার্মেন্টেস শ্রমিকদের অবস্থা কী হবে | ইতোমধ্যে অনেক শ্রমিক কর্মহীন, আর আজ বিজিএমই সভাপতি বলল, আরো শ্রমিক ছাঁটাই হবে | কত শ্রমিক যদি ধরি উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে গেছে এশিল্পে, তাহলে প্রায় অর্ধেক শ্রমিক ছাঁটাই হবে ? যদি তা হয়, সংখ্যা কত? কম-বেশি ২০ লাখ তার মানে প্রায় ২০ লাখ (যদি মোট শ্রমিক ৪ ০ লাখ হয়)| ধরে নিলাম তারও কম কিন্তুু তারপর ও এ বিশাল শ্রমিক ও তাদের পরিবারের অবস্হা কী হবে ?
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ? এ একজন মানুষ আর কত করবে| শ্রমিকদের বেতনের কথা বলে নিলেন ৫ হাজার কোটি টাকা মাত্র ২% সার্ভিস চাৰ্জে | এ টাকা পেয়ে তারপর ফ্যাক্টরি খোলার তোড়জোড় শুরু হলো। এর মাঝে শ্রমিকদের নিয়ে নির্মম অনেক নাটক দেখেছে আমাদের মত বোকা দর্শক। জনগনের টাকায় যদি আবার কর্মহীন শ্রমিকদের সহায়তা দিতে হয় তাহলে প্রণোদনার টাকাও জনগন ফেরত চাইতে পারে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের প্রণোদনার জন্য | আর গরীব কী ? আপনারাও কিন্তুু জনগনের (সরকার) কাছে সাহায্য চান এবং পেয়েছেন | তাই অৰ্থনৈতিকভাবে আপনারা এখনও গরীব |
মোটকথা, শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহের কোন রকম ব্যবস্থা না করে ছাঁটাই সত্যিই আমানবিক | কিন্তু মালিকরা কিছু না করতে পারলে আবার ও এ বিষয়টি সরকারকে চাপে ফেলবে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ভাবে | কারন সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া এদের জীবন-জীবিকা চলবে কী করে ?
তবে এ বিশাল শ্রমজীবি মানুষের জন্য সরকার তথা রাষ্ট্রকে আৱো নতুন করে (বিশেষ করে শ্রম নিরপত্তা) ভাবতে হবে, নইতোবা প্রধান রফতানিকারক শিল্পের শ্রমিকরা আজীবন অপ্রধান হয়ে থাকবে | পৃথিবীর সব পুঁজিবাদী সমার্জে তা হচ্ছে আর বাংলাদেশে তা ভয়ষ্কর ( বিশেষ করে নিম্ন মজুরী ও অন্যান্য মানবিক সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা )|
সবাই ভাল থাকবেন, সাবধানে থাকবেন |
2025 এ করুন পরনিতি।