19/02/2025
একজন বাবাজী মহারাজ বললেন,,, প্রভু তো চৈতন্য মহাপ্রভু,, প্রভু তো নিতাই চাঁদ, প্রভু তো অদ্বৈত প্রভু,,,,,আমরা তো দাসানু দাসানু দাস৷
আমি তার কথাকে মান্য করলাম। কিন্তু প্রশ্ন৷
শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর মহাশয় গুরুবন্দনায় গাইলেন,,,
চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে "প্রভু" সেই.....
হা! হা! প্রভু করো দয়া! দেও মোরে পদছায়া....
তাহলে তিনি তার গুরুদেব শ্রীল লোকনাথ গোস্বামীকে প্রভু সম্মোধন করলেন কেন?
আচ্ছা, তার ভজন সব শিষ্যরা গুরুবন্দনায় কীর্তন করে,,,, তাহলে প্রত্যেক শিষ্য তার গুরুকে প্রভু বলে,,, অনন্ত কোটি গুরুবৃন্দ থাকলে কোটি প্রভু
৩ থেকে সবে কোটিতে আসলো।
এবার দেখি প্রভু শব্দের বিশ্লেষন : বিশেষ্য পদ।
পতি, নিযোগকর্তা, নরপতি, পিতা, নেতা, ভগবান৷ বহু অর্থ বাচক৷ যেমন :
স্ত্রী তার স্বামীকে প্রভু বলতে পারবে।
দলপতিকে দলের সবাই প্রভু বলতে পারবে।
নেতৃতাধীন সবাই নেতাকে প্রভু বলতে পারবে।
ছেলে তার বাবাকে প্রভু বলতে পারবে৷
রাজাকে সব প্রজারা প্রভু বলতে পারবে৷
আবার ভক্তরা ভগবানকে প্রভু বলতে পারবে৷
অর্থাৎ ক্ষেত্র বিশেষ একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়৷
স্ত্রী,, তার স্বামীকে
দলপতিকে দলের সবাই
নেতৃত্বাধীন নেতাকে
প্রজারা রাজাকে,,, এরা সবাই যথাস্থানে প্রভু বললে সেসময় কখনোই ভগবানকে ঈঙ্গিত করে না৷
তাহলে একজন ভক্ত যখন অন্য ভক্তকে প্রভু বলে সে কি তাকে ভগবান বোধে প্রভু বলে? আর যাকে বলে সেও কি নিজেকে প্রভু ভাবে?
না,,! বৈষ্ণব মাত্রই গুরু তাই একজন বৈষ্ণকে গুরুপদবাচ্য জেনে তাকে প্রভু সম্মোধন করা যায়৷ সেটাকে কখনোই ভগবান বাচক বলা চলে না৷ ।