16/05/2025
"দ্য ক্রুয়েলটি অফ বিইং অ্যারোগেন্ট"
ভিরাট কোহলি যখন টেস্ট থেকে অবসর নিলেন, উপরের ওই শব্দটাই আমার মাথায় বারবার এসেছে। মাঠের কোহলি অ্যারোগেন্ট, প্রেস কনফারেন্সেও তাই, গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও একই গল্প- ভারতীয় মিডিয়া দেখেও কখনো মনে হয়নি, কোহলির সঙ্গে বোর্ড কর্তাদের সম্পর্কটা বড় ভাই-ছোট ভাই!!
বরাবরই মনে হয়েছে, কোহলির ক্ষেত্রে যেকোনো সিদ্ধান্ত বিসিসিআই খুব দ্রুত নিতো। খুব একটা বেনিফিট অব ডাউটও কোহলি কখনো পান বলে অন্তত দূর থেকে মনে হয় না। লন্ডনের বাড়ি বা সেখানে সেটেল হওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়, সিরিজ বা ট্যুর শেষে ঘুরতে যাওয়া নিয়েও হয়, কোহলির পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সাবেকরা পর্যন্ত সমালোচনা করতে ছাড়েননি...
একই ঘটনা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রেও ঘটে। তোয়াচ করে চলেন না বলে, তার সমালোচকের অভাব নাই। তার ক্ষেত্রে সমালোচনাও সহজ, পরিবার-খেলা-বিজ্ঞাপন-ব্যবসা; এমনকিছু নেই যা নিয়ে তার সমালোচনা হয়নি। শুধু তাই না, সাকিবের মতো এনওসি নিয়ে এতটা ভুগেছেন এমন ক্রিকেটার আর কই? জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো দলের সাথে খেলার জন্যও সাকিবকে এনওসি দেওয়া হতো না...
এটা করা হতো সহজ বাংলায় "সাইজ" করার জন্য। উপমহাদেশে সাইজ করতে চাওয়ার প্রবণতা প্রচন্ড। সাধারণত চ্যাম্পিয়নরা উদ্ধত হন, আমার মনে হয় এই গুণের কারণেই তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন, ক্যারেক্টার হতে পারেন, আলাদা হতে পারেন। সেই উদ্ধততা সবাই সহ্য করতে পারেন না, সেজন্যই এই সাইজ করতে চাওয়ার মানসিকতা...
অ্যারোগেন্টরা তাই পদে পদে ভোগেন। সিম্প্যাথি সিকিংয়ের অভ্যাস না থাকায়, কারো কাছে মাথা নত করার মানসিকতা না থাকায় তারা ভোগেন, সেরা হয়েও তারাই সবচেয়ে বেশি ভোগেন...
#