
16/05/2025
আসসালামু আলাইকুম
ব্যবসা আপনার ব্যান্ড বানানোর দায়িত্ব আমার।
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিক্রয় করা হয়। এটি মূলত অনলাইন মাধ্যমে ঘটে থাকে, যেমন:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) – ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, লিংকডইন ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) – গুগলে ওয়েবসাইটকে উপরের দিকে আনার কৌশল। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) – গুগল অ্যাডস। ইমেইল মার্কেটিং – ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখা।
কনটেন্ট মার্কেটিং,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে ব্যবসায়িক জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কম খরচে বেশি মানুষকে পৌঁছাতে সাহায্য করে
পুরো পৃথিবীতে বা বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এবং এর পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে
বর্তমানে বিলিয়নের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। মানুষ অনলাইনে সময় কাটায়, তথ্য খোঁজে, পণ্য কেনাকাটা করে। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মানুষ মোবাইল ফোনে এখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটক ইত্যাদি ব্যবহার করছে।এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন দেওয়া এখন সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম।গ্লোবাল মার্কেট এক্সেস
একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে দেশ বা মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে গ্লোবাল কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারে
বর্তমান ও ভবিষ্যতের মার্কেটিং মানেই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং
ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব বর্তমানে অত্যন্ত ব্যাপক ও অপরিহার্য।
বৃহৎ দর্শকসংখ্যায় পৌঁছানোডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা খুব সহজেই বিশ্বব্যাপী বা নির্দিষ্ট টার্গেট মার্কেটের কাছে পৌঁছাতে পারে, যা প্রচলিত প্রচারের মাধ্যমে সম্ভব । টিভি বা প্রিন্ট মিডিয়ার তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক সাশ্রয়ী। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগল অ্যাডস-এর মতো প্ল্যাটফর্মে সীমিত বাজেটেও কার্যকর প্রচার চালানো যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট বয়স, এলাকা, আগ্রহ ও আচরণ অনুযায়ী গ্রাহকদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ দেয়।
Google Analytics, Facebook Insights-এর মতো টুল ব্যবহার করে সহজেই ক্যাম্পেইনের ফলাফল পরিমাপ করা যায় – কতজন দেখেছে, ক্লিক করেছে, অর্ডার দিয়েছে ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও ফিডব্যাক গ্রহণ সম্ভব, যা পণ্যের মান ও গ্রাহকসেবা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়মিতভাবে ব্র্যান্ডকে মানুষের চোখে আনে, ফলে ব্র্যান্ড সচেতনতা ও বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পায়