
10/11/2024
মারজিয়া বেতনের ভিত্তিতে পড়াতো মুনতাহাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষক বদল হয়। মারজিয়াকে নিষেধ করা হয়। মারজিয়া ক্ষুব্ধ। পড়ানোর চাকরি চলে গেছে? শোধ নিতে হবে।
কী শোধ নিলো? প্রথমে মুনতাহাদের বাড়ি থেকে কাপড়চোপড় চুরি করেছে। তারপর নানা ঘটনা ঘটেছে। জেদের বশে মুনতাহাকে হ*ত্যা করে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রেখেছে।
এরমধ্যে সারাদেশের মানুষ মুনতাহার নিখোঁজে উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শীর্ষে ছিল এই পোস্ট। এত প্রচারের পর পুলিশ সন্দেহ থেকে ধরে আনে মারজিয়াকে। এই খবর পেয়ে মারজিয়ার নানী মুনতাহার লা*শ অন্যত্র সরানোর জন্য গর্তের কাছে যায়। লোকজন টের পায়। বেরিয়ে আসে নির্মমতার বিরাট দৃষ্টান্ত।
এর আগেও এমন ঘটনা আমরা দেখেছিলাম মুন্সিগঞ্জে। হ*ত্যার পর ডোবায় পুঁতে রাখা হয় ২ মাসের শিশু আযানকে। উদ্ধারের পর জানা যায় বীভৎস ঘটনা।
বাচ্চাদের ব্যাপারে এই দেশে খুব বাজে চর্চা একদম ঘর থেকে উপাসনালয় পর্যন্ত। ঘরে যে বাচ্চা অকারণ ঘেউঘেউয়ের শিকার হয়, একই রূপ ধমক খায় উপাসনালয়ে গিয়ে নিজের অজান্তে কথা বলে ফেললে। সব ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষালয়ে শিশুরা নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়। এর প্রতিকার নাই। কেন? এই সমাজের বিরাট এক অংশ বলবে 'ধর্মে হাত না দিয়ে অন্য অনেক জায়গা আছে হাত দেয়ার'। কতভাবে যে বাচ্চারা নির্যাতিত হচ্ছে, সে আলাপ করলে ফুরাবে না।
যাহোক, বাচ্চাদের একটা নিরাপদ দেশ হলো না। পৃথিবীর অনেক দেশে বাচ্চারা আনন্দে বেড়ে ওঠে। যত প্রতিবন্ধকতা আর শঙ্কা নিয়ে বেড়ে ওঠে তৃতীয় বিশ্বের শিশুরা। আমরা খুব গর্ব করে কেন বলি 'আমরা জাতে উঠেছি, আমরা তৃতীয় বিশ্বের নই'।
মারজিয়া , তার মা এবং নানীর ফাঁ*সি চাই। অতি দ্রুত বিচার সম্পন্ন হোক। বিচার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাক।