Abir Hossain

Abir Hossain This page is Tech Related

 #তিক্ততায়_তৃপ্তি [ ৩য় ও শেষ পর্ব ] লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ নিরব বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আইরিন ভয় পেতে থাকে। তাহলে ...
30/09/2023

#তিক্ততায়_তৃপ্তি
[ ৩য় ও শেষ পর্ব ]
লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

নিরব বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আইরিন ভয় পেতে থাকে। তাহলে কি সত্যিই নিরব আবার বিয়ে করতে যাচ্ছে? তাহলে কি আইরিনের জীবনে সুখ নামক কোনো কিছু নেই? আইরিন এসব ভাবছে আর অঝোরে কান্না করছে। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। নিরব এখনও বাসায় আসেনি। আইরিন নিজের রুম থেকে বেরিয়ে আসে। তখন নিরবের আম্মু আইরিকে ডেকে তার কাছে নিয়ে যায়।

-- বউমা এদিকে আসো।

আইরিন তার শ্বাশুড়ি সাথে শ্বাশুড়ির রুমে চলে গেলো। আইরিনের শ্বাশুড়ি কিছু গহনা বের করে আইরিনের হাতে দেয়।

-- এসব কি মা? আর এতো দামী দামী গহনা আমাকে কেন দিচ্ছেন?

-- এই সব আজ থেকে তোমার। আমি তো অনেক দিন ধরে আগলে রেখেছি এবার তোমার জিনিস তুমি বুঝে নাও।

-- মা এসব আমার দরকার নেই। আর এতো দামী গহনা আমি কখনও পড়িনি। এসব আমার লাগবেনা মা।

-- লাগবেনা বললে তো হবেনা। এসব গহনা তোমার জন্য বানানো হয়েছে। এসব তোমার তুমি রেখে দাও।

-- আমার জন্য কে বানিয়েছে এসব?

-- কে আবার নিরব। নিরব এসব তোমার জন্য অনেক আগেই বানিয়ে রেখেছে।

-- আমি ঠিক বুঝলাম না মা।

-- তোমার এতো কিছু বুঝতে হবেনা তুমি এসব নিয়ে এখন রুমে যাও। আর দেখি আমার বউমাকে কেমন লাগছে। বাহ খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে।

আইরিন পুরো অবাক হয়ে গেলো। তার মাথায় কিছুই ঢুকছেনা। আইরিন এবার নিজের রুমে চলে যায় আর গহনা গুলোর দিকে সে তাকিয়ে থেকে। আইরিন বুঝতে পারছেনা নিরব কেন তার জন্য এসব আগে থেকে বানিয়ে রেখেছে? নিরবের তো অন্য কারোর সাথে সম্পর্ক আছে। আর নিরব তো আইরিনকে বিয়ে করছে প্রতিশোধ নিতে। তাহলে কি নিরব তাকে করুণা করছে? আইরিন এবার গহনা গুলো এই সাইডে রেখে দেয়। ঘড়িতে রাত ১১টা ৫০ বাজে এমন সময় নিরব রুমে আসে।

নিরব রুমে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। আইরিন নিরবের দিকে তাকায়। আর নিরবের আশেপাশে ও তাকায়। নিরব একাই আছে। নিরব এবার রুমের ভিতরে আসে। আইরিন গহনা গুলো হাতে নিয়ে নিরবে কাছে যায়।

-- এসব কি? আমাকে আপনি করুণা করছেন? আপনার এসব আমি চাইনা।

নিরব একটা হাসি দিয়ে বলে -- তোকে আমি করুণা করতে যাবো কেন?

-- তাহলে এসবের মানে কি?

-- সব কিছুর মানে একটু পরেই পাবে। তুমি এখন আমার সাথে চলো।

-- আমি আপনার সাথে কোথায় যাবো?

-- বেশি কথা না বলে চুপচাপ আমার সাথে চল।

নিরব আইরিনের হাত ধরে ছাদের উপরে নিয়ে যায়। পুরো ছাদ অন্ধকার হয়ে আছে।

-- আপনি আমাকে এতো রাতে ছাদের উপরে নিয়ে আসলেন কেন?

-- নিয়ে আসার তো কারণ আছে। তোকে এখন আমি ছাদ থেকে ফেলে দেবো।

নিরবের কথা শুনে আইরিনের গলা শুখিয়ে যায়। আইরিন খুব বেশি ভয় পেয়ে যায়।

আইরিনের ভয় পাওয়া দেখে নিরব মুচকি মুচকি হাসতে থাকে। হঠাৎ করে ছাদের উপরে লাইট অন হয়ে যায়। হঠাৎ করে লাইট অন হতে দেখে আইরিন ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। কয়েকজনের শব্দ শুনে আইরিন চোখ খুলে তাকায়। নিরব একটা ফুলের তোড়া নিয়ে আইরিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল -- শুভ জন্মদিন আইরিন। জন্ম দিনের অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য।

সাথে সাথে ছাদের উপরে আলোর খেলা শুরু হয়ে গেলো। আইরিন সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে খুব সুন্দর ভাবে আইরিনের নাম লেখা লাইটিং দিয়ে। এসব দেখে আইরিন হতবাক হয়ে যায়। এবার নিরবের বাবা-মা এসে আইরিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। নিরব আইরিনের সামনে অনেক বড় একটা কেক নিয়ে আসে। সবাই এক সাথে কেক কাটে। তারপর সবাই নিজের রুমে চলে গেলো। ছাদের উপরে শুধুই আইরিন আর নিরব আছে। আইরিন তো পুরো থ হয়ে আছে। যে নিরব কে সে চিনত এটা কি সেই নিরব?

নিরব আইরিনের কাছে এসে বলল -- আজ থেকে তোমার নতুন জীবন শুরু আইরিন। আগের সব কষ্ট ভুলে নতুন জীবন শুরু করবে। আর কোনো কষ্ট তোমাকে স্পর্শ করতে পারবেনা।

নিরবের কথা শুনে আইরিন আরো বেশি অবাক হয়ে গেলো। আইরিনের মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা।

-- আইরিন। আই এম সরি।

-- সরি কেন বলছেন?

-- এতোদিন তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

-- বাদ দেন এসব আপনার বউ কই? আপনি না বিয়ে করতে গিয়েছেন?

নিরব একটা হাসি দিয়ে বলল -- এসব কিছুই না। এসব আমার সাজানো নাটক ছিলো। আসলে আমি বুঝতে পারতাম তোমার খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলনা। আমি এই রাতের অপেক্ষায় ছিলাম।

-- আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। সব আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনি আমাকে সব ক্লিয়ার করে বলুন প্লিজ। আর আমি গহনার ব্যপারে ও জানিতে চাই।

-- ওকে তাহলে শুনো। আমি গ্রামে এসে যখন প্রথম তোমাকে দেখি সেদিনই তোমাকে আমার ভালো লেগে যায়। বলতে গেলে তোমাকে আমি ভালোবেসেই ফেলি। আমি তোমার ব্যবহারে সব খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি। আমি জানতে পারি তোমার কষ্টের কথা। সৎ মায়ের কাছে থেকে তোমার বেড়ে উঠা। কতো অবহেলা সহ্য করলে। তোমার সৎ মায়ের আচরণ। আমি সব খোঁজ নিলাম। এসব শুনে আমার খুব খারাপ লাগে। তাই আমি আগে তোমার সৎ মাকে হাত করি। আর তাকে টাকার লোভ দেখাই। কারণ আমি জানি তোমার বাবা ও তোমার সৎ মায়ের কথা রাখবে। আমার সব প্ল্যান কাজ করতে শুরু করে। যেদি আমাদের দেখা হয় প্রথম। তোমাকে এসব বলার কারণ একটাই ছিল। আমি জাস্ট তোমাকে দেখাতে চাইছি তুমি কেমন পরিবারে আছো। যেখানে টাকার জন্য তোমাকে বিক্রি করে দিচ্ছে তারা। ঐ দিন তোমাকে এসব বলার পর থেকে আমার কাছেও খুব খারাপ লাগে। কিন্তু কিছুই করার ছিলনা আমার। তোমার সৎ মায়ের একাউন্টে আমি ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। আর উনিও রাজি হয়ে তোমাকে আমার সাথে বিয়ে দেয়। আমি তোমার সাথে সব কিছুই করছি তোমার সব কষ্ট একে বারে মুছে দিতে। আর গহনা গুলো আমি অনেক আগেই বানিয়ে রাখি। কারণ আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো আমি তোমাকে বিয়ে করবই। আর যেসব করছি সব আমার সাজানো ছিল। আইরিন আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমার সব কষ্ট দূর করে দিতেই তোমার জীবনে এসেছি।

আইরিনের চোখের পানি পড়ছে। নিরব আইরিনের চোখের পানি মুছতে যাবে এমন সময় আইরিন নিরবের হাত সরিয়ে দেয়।

-- আমাকে স্পর্শ করবেন না আপনি। আমি আপনাকে ঘৃণা করি।

এই কথা বলে আইরিন চলে গেলো। নিরব ছাদের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আইরিন আবার ছাদে আসে। আইরিনের পায়ের শব্দ শুনে নিরব পিছনে তাকিয়ে আইরিনকে দেখে অবাক হয়ে যায়। নিরবের গহনা পড়ে দাঁড়িয়ে আছে আইরিন। খুব সুন্দর লাগছে তাকে। নিরব কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছেনা।

-- কি দেখছেন এই ভাবে?

-- তোমাকে, তোমাকে আজ অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। যেনো আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা পরি।

নিরবের কথা শুনে আইরিন লজ্জা পেয়ে যায়।

-- ধন্যবাদ আপনাকে।

-- কীজন্য ধন্যবাদ দিলে?

-- সব কিছুর জন্য। এই প্রথম কেউ আমার জন্মদিন পালন করছে এতো সুন্দর করে। আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি আপনি আমার জন্য এতো কিছু করবেন। আজ সত্যি আমি অনেক বেশি খুশি।

-- আইরিন আর কান্না নয়। এখন থেকে তুমি হাসবে। তোমার চোখে আর যেনো পানি না দেখি।

আইরিন কোনো কথা না বলে নিরকে জড়িয়ে ধরে। দু'জন দু'জনকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখে। নিরব আইরিনের কানের কাছে গিয়ে বলল হবে নাকি আজকে রাতে আমাদের বাসর?

নিরবের কথা শুনে আইরিন লজ্জা পেয়ে যায়। নিরব এবার আইরিনকে কোলে তুলে নিজের রুমে চলে গেলো। তারপর আর কি যা হবার তাই হলো। দুজনেই ভালোবাসার সাগরে ডুবে গেলো। এর পর থেকেই আইরিনের সব কষ্টের দিন শেষ হয়ে সুখের জীবন শুরু হয়। নিরব আইরিনের সব খেয়াল রাখে। দুজনেই খুব হ্যাপি।

সমাপ্ত।

আসসালামু আলাইকুম। তিন পর্বের একটা ছোট গল্প এটা। কেমন হয়েছে জানাবেন ধন্যবাদ সবাইকে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

 #তিক্ততায়_তৃপ্তি [ ২য় পর্ব ]লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ আজ আইরিনের বাসর রাত। অথচ তার স্বামী অন্য একটা মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে...
26/09/2023

#তিক্ততায়_তৃপ্তি
[ ২য় পর্ব ]
লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

আজ আইরিনের বাসর রাত। অথচ তার স্বামী অন্য একটা মেয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রুমের সামনে। এক হাত দিয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে আছে নিরব। আইরিন নিরবকে এই ভাবে দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো৷ যতই হোক নিরব এখন তার স্বামী। কোনো স্ত্রী তার স্বামীর পাশে অন্য কোনো মেয়েকে মেনে নিতে পারেনা। নিরব একটা হাসি দিয়ে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করবে এমন সময় আইরিন নিরবের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়া।

-- এই মেয়েটা কে? এই মেয়ে নিয়ে আপনি কেন এই রুমে আসলেন?

-- এটা আমার রুম। এখানে আমি কাকে নিয়ে আসবো সেই কৈফিয়ত কি তোকে দিতে হবে নাকি আমার?

-- এই রুম আগে আপনার ছিলো এখন একা আপনার নয়। ভুলে যাবেননা আমি এখন থেকে আপনার বিয়ে করা বউ।

নিরব একটা হাসি দিয়ে বলল -- বউ! হাহাহা, তোকে আমি কখনও আমার স্ত্রীর অধিকার দেবোনা। আমি তোকে বিয়ে করছি শুধুই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। তুই কি ভাবছিস তোর সেদিনের অপমানের কথা আমি খুব সহজে ভুলে যাবো? এখন তুই বুঝতে পারবি আমার কেমন চরিত্র। তুই রুমের বাহিরে গিয়ে ঘুমা।

-- মানে?

-- তোর কথা কি কানে যায়না নাকি? এই রুম একান্তই আমার। সো তুই রুমের বাহিরে গিয়ে থাকবি।

আইরিন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। নিরব কোনো কথা না বলে বেরিয়ে চলে গেলো মেয়েটাকে সাথে নিয়ে। কিছুক্ষণ পরে নিরব আবার রুমে ফিরে আসে। তখন নিরবের সাথে মেয়েটা ছিলনা। নিরব খাটের উপরে গিয়ে একটা বালিশ আর একটা পাতলা কম্বল আইরিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে ফ্লোরের উপরে ঘুমাতে। এই কথা বলে নিরব অন্যদিকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে।

আইরিন ফ্লোরের উপরে বিছানা করে। বালিশের উপরে মাথা রাখতেই আইরিনের চোখের পানিতে বালিশ ভিজতে থাকে। মেয়েটা না পেলো পরিবারের ভালোবাসা না পেলো স্বামীর ভালোবাসা। কান্না করেই সারারাত কাটিয়ে দিল। খুব সকালে আইরিন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে৷ রুম থেকে বের হতেই দেখে আইরিনের শ্বাশুড়ি রান্না ঘরের দিকে যাচ্ছে। আইরিন ও তার পিছনে চলে গেলো।

আইরিনের শ্বাশুড়ি আইরিনকে দেখে বলল -- বউমা তুমি এতো সকালে এখনে কেন আসলে?

-- রুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম আপনাকে তাই চলতে আসলাম।

-- খুব ভালোই হলো। এখন এক সাথে দু'জন মিলে গল্প করতে করতে রান্না টা বসানো যাবে।

আইরিনের শ্বাশুড়ি রান্না বসায়। আইরিন তাকে সাহায্য করে। দু'জন অনেক কিছু নিয়ে গল্প করে। রান্না শেষ করে আইরিন নিজের রুমে চলে গেলো। রুমে গিয়ে দেখে নিরব খাটের উপরে নেই। মনে হয় ফ্রেশ হতে গেছে। আইরিন সব কিছু গুছিয়ে নেয়। এর মধ্যে নিরব ওয়াশরুমের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে। নিরব একটা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে নিরবের ফোন বেজে ওঠে। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে নাম্বার কারোর নামে সেইভ করা নেই। আইরিন কোনো কিছু না ভেবে ফোন রিসিভ করে। ফোনের ঐপাশ থেকে একটা মেয়ের কণ্ঠ ভেসে আসতেই আইরিন চুপ হয়ে যায়।

-- হ্যালো! কি হলো কথা বলছ না কেন? আজকে আসবেনা? আমি কিন্তু তোমার অপেক্ষায় থাকব। আর আমরা আজকে বিকালে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেবো। আমি তোমাকে ছাড়া আর থাকতে পারছিনা।

এই কথা বলে মেয়েটা ফোন কেটে দিলো। মেয়েটার কথা শুনে আইরিনের চোখের পানি টলমল করছে। এমন সময় নিরব রুমে চলে আসে। আর আইরিনের হাতে তার ফোন দেখে রেগে যায়।

-- তোকে আমার ফোন হাতে নেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? নেক্সট টাইম আমার কোনো কিছুতে হাত দিবিনা বলে দিলাম।

নিরবের কথার মাঝে আবার ফোব বেজে ওঠে। আইরিন তাকিয়ে দেখে সেই নাম্বার থেকে আবার কল এসেছে। নিরব একটা টান দিয়ে আইরিনের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে রিসিভ করে। আর সে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে পড়ে।

আইরিন বুঝতে পারে নিরবের অন্য একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। আর তারা হয়তো আজকেই বিয়ে করবে। আইরিন নিজের চোখের পানি মুছে খাটের উপরে বসে থাকে।

ঐদিকে নিরব ফোনে কথা বলা শেষ করে নাস্তা খাওয়ার জন্য টেবিলে গিয়ে বসে। সাথে নিরবের বাবা আর তার ছোট বোন ও বসে। নিরবের মা বলল -- কিরে বউমা কই?

-- রুমে আছে। আমাকে খেতে দাও তো অনেক খিদে পেয়েছে আমার।

-- তুই তো সাথে করে তোর বউকে নিয়ে আসতে পারতি৷

-- আমার এতো ঠেকা পড়েনি। তার খিদে পেলে সে নিজেই আসবে।

-- তোকে নিয়ে আর পারিনা। নীলা তুই যা তো তোর ভাবীকে ঢেকে নিয়ে আয়।

নীলা রুমের ভিতরে গিয়ে দেখে আইরিন কান্না করছে।

-- ভাবী কি হয়েছে তুমি কান্না করছ কেন? বাড়ির কথা মনে পড়ছে বুঝি?

নীলার কথা শুনে আইরিন নিজের চোখ মুছে বলল -- কই নাতো।

-- আচ্ছা হইছে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে নাস্তা করতে আসো।

-- আমার খিদে নেই তোমরা খেয়ে নাও।

-- আম্মু তোমাকে যেতে বলছে। চলো।

আইরিন এবার নীলার সাথে চলে গেলো। আর সে গিয়ে তার শ্বাশুড়ির পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

-- বউমা তুমি গিয়ে চেয়ারে বসো আমি সবাইকে খাবার দিচ্ছি।

-- মা আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা। আপনারা খেয়ে নিন।

-- চুপচাপ খেতে বসো। খেতে ইচ্ছে করছেনা এই কথা বললে হবে নাকি?

মাঝখানে নীলা বলল -- আম্মু ভাবীর মনে হয় বাড়ির লোকজনের কথা মনে পড়ছে। রুমে গিয়ে দেখি ভাবী কান্না করছিলো।

-- আরে বউমা মন খারাপ করলে হবে নাকি? এটাই মেয়েদের জীবন মেনে নিতে হয়। আমিও তো অন্য বাড়ির মেয়ে ছিলাম। সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে এখন খাবার খেয়ে নাও।

আইরিনের কান্নার আসল কারণ হয়তো কেউ কখনও বুঝতে পারবেনা। তার স্বামী অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করবে।

হালকা খাবার খেয়ে আইরিন নিজের রুমে চলে গেলো। একটু পরে নীলা আইরিনের কাছে মোবাইল নিয়ে গিয়ে বলল -- ভাবী তোমার বাবা ফোন দিয়েছে।

আইরিন নীলার হাত থেকে ফোন নিয়ে কথা বলতে শুরু করল।

-- কেমন আছিস মা?

-- ভালো থাকার জন্য বিয়ে দিয়েছো ভালো তো থাকবই। আমার কথা বাদ দেও বাবা তুমি কেমন আছো?

-- আমি ভালো আছি। ওখানকার সবাই কেমন আছে?

-- ভালো আছে।

-- জামাই কেমন আছে?

-- ভালো আছে।

-- তুই আসলেই ভালো আছিস তো মা?

বাবার কথা শুনে আইরিন কান্না করতে শুরু করে। আইরিনের বাবা বুঝতে পারে তার মেয়েটা ভালো নেই। আইরিন তার বাবার কাছে কিছুই বলতে চাইছে না।

-- বাবা রাখি। ভালো থেকো।

এই কথা বলে আইরিন ফোন কেটে দিলো। তারপর সে নীলার কাছে এসে ফোন দিয়ে দেয়। দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে গেলো। সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে গেলো।

আইরিন রুমে এসে দেখে নিরব কোথাও যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে। আইরিনের সন্দেহ বেড়ে গেল। আইরিন বুঝতে পারে নিরব বিয়ে করতে যাচ্ছে। আইরিন নিরবের কাছে এসে বলল -- আপনি এই সময় কোথায় যাচ্ছেন?

-- আমি কোথায় যাচ্ছি সেই কৈফিয়ত কি তোকে দিতে হবে? আমার কোনো কাজে নাক গলাতে আসবিনা। এসব আমার ভালো লাগেনা। আমি নিজের মতো চলতে ভালোবাসি। নেক্সট টাইম এসব প্রশ্ন আমাকে করতে আসবিনা।

এই কথা বলে নিরব বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো।

চলবে??

তিক্ততায় তৃপ্তি- পর্ব-১ তুমি কি ভার্জিন? আমি তোমার ভার্জিনিটি পরিক্ষা করতে চাই বিয়ের আগেই।হবু স্বামীর এর মুখে এমন প্রশ্ন...
24/09/2023

তিক্ততায় তৃপ্তি- পর্ব-১
তুমি কি ভার্জিন? আমি তোমার ভার্জিনিটি পরিক্ষা করতে চাই বিয়ের আগেই।

হবু স্বামীর এর মুখে এমন প্রশ্ন শুনে ভেবাচেকা খেয়ে বসে আইরিন। মেয়েটার মুখের হাসি নিমিষেই বিলীন হয়ে যায়। কালো মেঘে ঢেকে যায় মেয়েটির পুরো মুখ। সে এমন একটা প্রশ্নের সামনে পড়বে ভাবতেই পারছেনা। চুপ হয়ে মাথা নিছু করে দাঁড়িয়ে থাকে লজ্জায়।

-- কি হলো কথা বলছ না কেন? তুমি কি ভার্জিন? নাকি অন্য পুরুষের সাথেও শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে বিয়ের আগেই? আজকালকার মেয়েদের প্রতি বিশ্বাস নেই।

নিরবের মুখে এমন কথা শুনে আইরিন যেনো স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। এবার আইরিন মুখ খুলে বলল -- আপনি কীসব যা-তা প্রশ্ন করছেন আমাকে?

-- যা-তা প্রশ্ন কখন করলাম? আমার হবু বউ আমার তো জানার দরকার আছে তাইনা? আমি তো আর দেখেশুনে কাঁদায় পা দিতে যাবনা।

-- আশাকরি আপনি আমার ব্যপারে সবধরনের খোঁজ নিয়েই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন! আর আজ আমাদের প্রথম মিট ছিলো। আপনার এই প্রশ্নটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আর আপনি কি ভাবে আমার ভার্জিনিটি পরিক্ষা করবেন? এইটা ঠিক আমি বুঝলাম না।

-- দূর থেকে তো আর বুঝা সম্ভব না।

-- তাহলে?

-- আমি চাই বিয়ের আগে তুমি আমার সাথে এক রাত থাকবে। তুমি যদি ভার্জিন হও তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করব।

-- বাহ! অসাধারণ। আপনার তুলো না হয়না। সরি আমি।

এই কথা বলে আইরিন হাটা শুরু করে।

-- আরে কোথায় যাচ্ছ তুমি? আমার তো এখনও কোনো কিছু জানা হয়নি।

-- আপনি আর কি জানতে চান? আমার সময় নেই তাড়াতাড়ি বলুন।

-- আমিতো এখনও আমার সেই প্রশ্নের উত্তর পেলাম না।

-- হ্যাঁ আমি ভার্জিন। আজ অব্দি আমি কোনো পুরুষের সামনে তো দূরের কথা কথাও বলিনি।

-- বাহ! এই যুগে এমন মেয়ে এখনও আছে? ভাবতেই পারছিনা।

নিরবের গা জালানো কথা আইরিনের কাছে মোটেও ভালো লাগছেনা। আইরিন এবার রাগী কণ্ঠে বলল -- আপনি কেমন মানুষ সেটাও আমার জানা হয়ে গিয়েছে। নিজে যেমন অন্যদের তেমন ভাবেন। আগে নিজের চরিত্র ঠিক করুন তারপর অন্যের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

এই কথা বলে আইরিন নিজের বাসার দিকে চলে গেলো। নিরব এখনও দাঁড়িয়ে আছে। আইরিনের এসব কথা শুনে নিরব রাগে জ্বলতে থাকে। নিরব রেগেমেগে নিজের বাসায় চলে গেলো।

আইরিন পায়ে হেটেই বাসায় যাচ্ছে। ছোট করে আইরিন এর পরিচয় দিয়ে দেই। আইরিনের পুরো নাম, আইরিন রহমান। আইরিন মাত্র ইন্টার পরিক্ষা দিয়েছে। আইরিন তার সৎ মায়ের কাছে বড় হয়েছে। আইরিন আরো পড়াশোনা করতে চায় কিন্তু তার সৎ মা আর তার পিছনে কোনো টাকা খরচ করতে ইচ্চুক না। কারণ তার আরেকটা মেয়ে আছে। তার নাম নুসরাত। আইরিনের বাবা থেকেও না থাকার মতোই। কারণ বাবা তার বউয়ের কথা শুনে বেশি। আইরিনের বাবা রহিম সাহেব আইরিন কে খুব বেশি ভালোবাসে কিন্তু বউয়ের ভয়ে মেয়ের সাথে কথা অব্দি বলতে পারেনা।

এবার মূল গল্পে ফিরে যাই। আইরিন ইতিমধ্যে বাসার সামনে পৌছে গেছে। বাসার দরজায় কলিং বেল বাজাতেই আইরিনের সৎ মা নীলিমা বেগম এসে দরজা খুলে দেয়।

-- কিরে দেখা হয়েছে?

-- হুম হয়েছে। আমি এই বিয়ে করবোনা মা।

আইরিনের কথা শুনে নীলিমা বেগম রেগে গিয়ে বলল -- তুই বিয়ে করবিনা মানে কি? কতো কষ্ট করে একটা ছেলে পেয়েছি। এমন ছেলে লাখে একটা পাওয়া যায়। আর তুই বলছিস বিয়ে করবিনা মগেরমুল্লুক পাইছিস নাকি? জন্মের সময় তো নিজের মাকে খেলি এখন কি আমাদের না খেয়ে তোর শান্তি হচ্ছেনা?

-- মা, ছেলেটা ভালো না।

-- কেন ছেলে কি করছে তোর সাথে?

মা-মেয়ের চিৎকার চেচামেচি শুনে আইরিনের বাবা রহিম সাহেব চলে আসে।

-- কি হয়েছে তোমাদের? এতো চিৎকার চেচামেচি কিসের?

-- তোমার আদরের মেয়ে, ঐ ছেলেকে বিয়ে করবেনা। সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে মহারানী এখন বলে বিয়ে করবেনা।

রহিম সাহেব এবার আইরিনের কাছে গিয়ে বলল -- কিরে কি হয়েছে? তুই বিয়ে করবিনা কেন?

-- বাবা ছেলেটা ভালো না। আমাকে বাজে কথা বলছে।

নীলিমা বেগম বলল -- কি বাজে কথা বলছে শুনি! তুই বল কি বলছে তোকে?

-- মা আমি তোমাদের কি ভাবে বলব? এসব কথা আমি মুখেও আনতে পারছিনা।

আইরিনের কথা শুনে তার সৎ মা রেগে যায় আর আইরিনের চুলের মুঠি টেনে ধরে।

-- তোকে বলতে বলছি, না বলে এতো নাটক কেন করিস?

-- আহহ মা লাগছে ছেড়ে দাও প্লিজ। আমি বলছি।

-- বল তাড়াতাড়ি।

এবার আইরিন মাথা নিচু করে সব বলে দিল। মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে রহিম সাহেব বলল -- ছেলেটার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে আমি দেবোনা। কিছুতেই না।

রহিম সাহেবের কথা শুনে তার স্ত্রী রহিম সাহেবকে একটা ধমক দিয়ে বলল -- তোমার মেয়ে যদি এতোটা ধোয়া তুলসীপাতা হয় তাহলে ওর সাথে রাত কাটালে সমস্যা কিসের? ঐ ছেলের সাথে তো তার বিয়ে হবেই।

আইরিন নিজের চোখের পানি মুছে বলল -- ছিহ মা, তোমাকে আমার কিছু বলার নেই। আজ আমার যায়গায় যদি তোমার নিজের মেয়ে থাকতো তাহলে তুমি এই কথা বলতে পারতে? পারতেনা। আজ আমি তোমার নিজের মেয়ে না বলে এই ভাবে বলতে পারছো। আমি তো তোমাকে নিজের মায়ের মতোই দেখি। আমার ভাবতেও খারাপ লাগছে।

এই কথা বলে আইরিন চলে গেলো নিজের রুমে। আর সে রুমে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই দিকে নীলিমা বেগম রেগে যায়।

-- দেখেছ? তোমার মেয়ে আমাকে কি বলে চলে গেলো?

-- আমি আর কি বলব? এই পরিবারে আমার কোনো কথার কি মূল্য আছে? এটা তোমাদের ব্যাপার তোমরা বুঝবে। আমার কী মনে হয় জানো? তুমি বাড়াবাড়িটা একটু বেশিই করছ।

-- এখন তুমিও শুরু করলে? তোমার জন্যই এই মেয়ে আমার মুখের উপরে এতো বড় কথা বলার সাহস পেয়েছে।

-- নিজের দোষেই শুনেছ কথা।

এই কথা বলে রহিম সাহেব ও চলে গেলো। নীলিমা বেগম রেগে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। আর মনে মনে বলতে থাকে এদের কিছু একটা করতে হবে। দুজনেই খুব বেড়ে গেছে। এসব ভাবতে ভাবতে নীলিমা বেগমের ফোন বেজে ওঠে। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে নিরবের নাম্বার। নীলিমা বেগম তাড়াতাড়ি করে ফোন রিসিভ করে।

-- কেমন আছো তুমি বাবা?

-- আমার কথা বাদ দেন। আপনি জানেন আপনার মেয়ে আমার সাথে কি করছে? আমাকে যা-তা বলে অপমান করছে।

-- বাবা ওর হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। ছোট মানুষ ও,কিছুই বুঝে-না।

-- যে ভাবেই হোক আইরিনকে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে নিন। আগামী শুক্রবার আমি আইরিনকে বিয়ে করতে চাই। আর হ্যাঁ আইরিনের সাথে আমার বিয়ে হলে আপনারই লাভ হবে। আপনার ছোট মেয়ের সব খরচ আমার হবে। আর আমি আপনার একাউন্টে এখনই পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠাচ্ছি। পরে আরো পাবেন। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে আমি আইরিনকে বিয়ে করতে চাই ব্যাস। আমি আবার রাতে কল দেব। আমি যেনো সুখবর শুনতে পাই। আর না হলে বুঝতেই তো পারছেন? বায়।

নিরবের কথা শুনে নীলিমা বেগম খুব বেশি খুশি হয়ে যায়। নিরব কল কেটে দিয়ে নীলিমার একাউন্টে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতো টাকা দেখে নীলিমা যেনো আকাশ থেকে পড়লো। নীলিমা বুঝতে পারে আইরিন এখন তার কাছে টাকার মেশিন।

ঐ দিকে নিরব সব খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে নীলিমার কথা। আইরিন নীলিমার সৎ মেয়ে সেটাও নিরব জানতে পারে। আর নীলিমা যে টাকার জন্য সব করতে পারে সেই খোঁজ ও নিরব নিয়ে নেয়। তাই নিরব বুদ্ধি খাটিয়ে নীলিমা বেগমকে হাত করে নেয়। নীলিমা বেগমের উপরে তার স্বামী ও কথা বলতে পারেনা। নিরব টাকা পাঠিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দেয়।

এই দিকে টাকার লোভে পড়ে নীলিমা বেগম তার হাসবেন্ডকে রাজি করে ফেলে। এবার স্বামী-স্ত্রী দু'জন মিলে আইরিনের রুমে চলে গেলো।

নীলিমা বেগম আইরিনের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল -- মা, তোর সাথে তখন আমার এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস। আসলে আমি বুঝতে পারিনি। কারণ আমাদের অভাবের সংসার। তুই তো জানিস আমরা কতোটা কষ্টে দিন কাটাই। আমি চাইনা তুইও আমাদের সাথে থেকে কষ্ট পাস।

আইরিন কোনো কথাই বলল না। তখন নীলিমা বেগম আবার বলল -- আইরিন নিরব তোকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। আর ও সামনের শুক্রবার তোকে বিয়ে করে তার বাসায় নিয়ে যেতে চায়। আমরা কথা দিয়ে দিছি। তোর বাবাও রাজি। এখন আমাদের সম্মান তোর হাতে।

আইরিন তার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে রহিম সাহেবের চোখে পানি টলমল করছে। রহিম সাহেব মুখে কোনো কথাও বলতে পারছেনা। আইরিন বুঝতে পারে তার আর কিছুই করার নেই। তাই সে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। দেখতে দেখতে নিরবের সাথে আইরিনের বিয়ে হয়ে যায়। সবার থেকে বিদায় নিয়ে আইরিন নতুন শ্বশুর বাড়ি চলে গেলো।

আজ তাদের বাসর রাত। ঘড়িতে ১২ টা বাজে কিন্তু নিরবের কোনো খোঁজ নেই। আইরিন একা একা রুমে নিরবের অপেক্ষায় বসে আছে। হঠাৎ দরজার শব্দ শুনে আইরিন দরজার দিকে তাকায়। দরজার দিকে তাকাতেই আইরিন হতবাক হয়ে গেলো। তার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।

চলবে??

#তিক্ততায়_তৃপ্তি
[ সূচনা পর্ব ]
লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

আসসালামু আলাইকুম। নতুন গল্প নিয়ে ফিরে আসলাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

ছোট পাখি ছোট পাখি সর্বনাশ হয়ে গেছে
20/09/2023

ছোট পাখি ছোট পাখি সর্বনাশ হয়ে গেছে

Address

Benapole

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abir Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abir Hossain:

Share