16/07/2025
নিশ্চয়! নিচে একটা সুন্দর রোমান্টিক গল্প দিলাম, যেখানে প্রেম ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক অদ্ভুত, কিন্তু মধুর পরিস্থিতিতে—
---লেখক- রাজু
"চায়ের কাপ আর চোখের ভাষা"
নাম তার রাইহান। নরসিংদী সরকারি কলেজে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ে। বরাবরের মতোই শান্ত, বইপ্রেমী, আর একটু ঘরকুনো স্বভাবের ছেলে। তার প্রতিদিনের অভ্যাস— ক্লাস শেষে কলেজের পাশের ছোট্ট চায়ের দোকানে বসে এক কাপ লাল চা আর রবীন্দ্রনাথের কবিতার বই।
একদিন সে দেখলো, পাশের বেঞ্চে নতুন একটা মুখ। মেয়েটির নাম ছিলো আয়েশা। হিজাব পরা, চোখে একরাশ কৌতূহল, আর হাতে একটা ইংরেজি উপন্যাস। রাইহান একটু অবাক হলো— এই জায়গায় সাধারণত কেউ বই নিয়ে আসে না। তার চোখ বারবার চলে যাচ্ছিল মেয়েটার দিকে। আবার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, যেন অপরাধ করছে।
দিন যায়, মেয়েটি প্রতিদিনই আসতে শুরু করে। তারা দুজনই একে অপরকে লক্ষ্য করত, কিন্তু কথা বলার সাহস কেউই করত না।
একদিন হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলো। রাইহানের কাছে ছাতা ছিল না। আয়েশা এগিয়ে এসে বলল,
— "আমরা একসাথেই যেতে পারি, ছাতা ভাগ করে নিতে পারো চাইলে।"
সেই এক কথার পর তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্ব থেকে প্রতিদিনের গল্প, কবিতা ভাগাভাগি, আর হাসির মুহূর্ত— একসময় চোখের ভাষাই বলে দিচ্ছিল, তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেছে।
তবে কেউ মুখে বলছে না। দুজনেই ভয় পায়, যদি সম্পর্কটা বদলে যায়?
একদিন আয়েশা চায়ের কাপের নিচে একটা চিরকুট রেখে যায়।
তাতে লেখা ছিল—
"তোমার চোখে আমি যত কবিতা খুঁজি, আমার মনে হয় তুমি নিজেই একটা কবিতা।"
রাইহান আর দেরি করেনি। পরদিন সে চায়ের দোকানে গিয়ে আয়েশাকে বলল—
"তোমাকে চা খাওয়াতে চাই... সারাজীবনের জন্য।"
আয়েশা হেসে বলল—
"শুধু চা? কবিতাও দিতে হবে প্রতিদিন!"
তাদের প্রেমটা এক কাপ চা থেকে শুরু হলেও, এখন তা জীবন জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে— একসাথে পড়া, স্বপ্ন দেখা আর হাত ধরে হাঁটার গল্পে।
---
চাও যদি, এই গল্পের পরবর্তী পর্ব বা তাদের বিয়ের আগে-পরে নিয়ে আরও রোমান্টিক কাহিনি লিখে দিতে পারি। বলো কেমন লাগল? 💛