Core of Nature & History

Core of Nature & History Let's Start Imagintaion.
ইতিহাস, ঐতিহ্য, মানুষের গল্প এবং প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য অন্বেষনে ছুটে চলা এক মুসাফির।

05/05/2025

পথের খোঁজে পথের মাঝে, আছি আমি সকাল সাজে।
ভাওয়াল মধুপুরের পথে প্রান্তরে।
আমার প্রকৃতি ও ইতিহাস আশ্রিত ভিডিও।
দেখার অনুরোধ রইলো।

08/04/2025

ঈশা খাঁর এগার সিন্দুর দূর্গ। বাংলার সুপ্রাচীন জনপদের খোঁজে...

তারে দেখেছিনু খুব কাছ থেকেসালাহউদ্দিন আকন্দজেসিকা আলবার্টার সাথে আমার দেখা হয় জয়নাগাছা ক্যাথলিক চার্চে। টাঙ্গাইলে চাকরি ...
09/12/2024

তারে দেখেছিনু খুব কাছ থেকে
সালাহউদ্দিন আকন্দ
জেসিকা আলবার্টার সাথে আমার দেখা হয় জয়নাগাছা ক্যাথলিক চার্চে। টাঙ্গাইলে চাকরি করার সুবাদে মধুপুর জাতীয় উদ্যানে গিয়েছিলাম ঘুরতে। উপজাতী অধ্যুষিত মধুপুরে যদিও এখন আর তেমন তিব্বতীয় বংশোদ্ভুত গারোদের দেখা যায় না তবে করোটিয়ার পন্নীদের জমিদারির সময় সিংহভাগ আদিবাসিই ছিল গারো। খ্রিস্টানদের মধ্যে ক্যাথলিকদের প্রভাব বেশি থাকায় পৃথিবীতে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের প্রায় সবাই ক্যাথলিক। তাই ক্যাথলিকদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই মূলত চার্চে যাওয়া। তারও আগে বিশপ পুনেন ফাদারের সাথে পরিচয় ছিল। তাই আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। যাই হোক জয়নাগাছা নয়া বাজারে সামান্য চা-বিস্কুট খেয়ে হাটা ধরলাম চার্চের পথে। ডিসেম্বর মাসের আগমনে চার্চ সেজেছে নতুন রুপে। দুই পাশে বাঁশ এবং পিলারের বেড়া দেয়া এবরো -থেবরো মাটির রাস্তা ধরে এগুচ্ছি তখন দুপুর প্রায় ১২ টা বাজে। ১২ টায় নিজের ছায়া মাটিতে পড়ে না। জেসিকার ছায়া আমি দেখিনি, শুধু তাকেই দেখেছিলাম। বাদামী চুলের ঝুলফি সাদা স্কার্ফের দুপাশ দিয়ে দুলছিলো। আমাকে দেখে ঝাউ গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেল সে। আমি ভাবলাম হয়তোবা চার্চের নানরা একটু লজ্জাবতীই হয়। আমি আরেকটু এগিয়ে গেলাম। চারবার পিছনে তাকিয়েছিলাম। তাকে আর দেখতে পাইনি। অবশেষে ফাদারের সাথে দেখা হলো। গল্প করছি, তখন জানতে পারলাম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের জগৎ বিখ্যাত সেইন্ট জাস্টিন চার্চ ( Justinuakirche) থেকে একদল সন্যাসী এসেছে। আমার বুঝতে বাকি রইলো না আমার দেখা মেয়েটা জার্মানি থেকে আসা ওই দলেরই। ফাদার জানালো ওরা ইংরেজি বুঝে না। তাই এখানে একটু অস্বস্থিতে আছে। তারপর আবার দোভাষীও পাওয়া যাচ্ছে না। পরশু ওরা চলে যাবে তাই আমি যদি একটু দোভাষীর কাজটা করে দিই তবে ভালো হয়। আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম! ফাদার বললেন সমস্যা হবে না আমি তোমার ধর্ম প্রকাশ করবো না। আপাদত সালভাদর নামটা তুমি নিয়ে নাও। কেবল তো একদিনেরই কাজ। রাজি হয়ে গেলাম।
জেসিকার সাথে আমি প্রথম কথা ছিল Hallo, ich bin Salvador. এরপর আমাদের আরো অনেক কথা হয়। অনেক অজানা কথাও, যেগুলো আমি বাংলায় অনূবাদ করিনি কখনো। জেসিকার সন্যাসী হওয়ার গল্প, হো'স্ট (HOCHST) শহরে আসার গল্প, আরো অনেক কিছু। আমিও তাকে জানালাম আমার বেপরোয়া জীবনের গল্প, অঘোষিত সন্যাসী হওয়ার গল্প। খুঁজে পেলাম আমাদের মিল কেবল একটা জায়গাতে নয়, বহুকিছুতে। সে নান, আর আমি? আমিও সেই একই পথের পথিক শুধু সেটার বৈধ কোন দলিল নেই। আমরা বই পড়তে ভালোবাসি, কীটস, শেলি কিংবা সেক্সপিয়র-ইয়েটস। ঘটনাটা লেখার কোন ইচ্ছে ছিল না। তবে যেদিন জেসিকার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসি সে এক টুকরো কাগজ হাতে দিয়ে বলেছিল, এটা আমি জার্মানি চলে গেলে পরে খুলে দেখো। আজ যখন এটা খুলি তাতে লেখা ছিল, Wirst du bei mir in Deutschland sein?
বই মেলা দেখার জন্য ফ্রাঙ্কফুর্ট যেতে চেয়েছিলাম। মেইন নদীর পাড়ে বসে একটা রাতে নাৎসি বাহানীর ধংসস্তুপেও টিকে থাকা ১২০০ বছরের পুরনো সেইন্ট জাস্টিনের ক্রুশের ওপরে তারাভরা আকাশটা দেখার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।

25/11/2024

আবৃত্তি করি না বহুত দিন হলো।
আমি কি রকমভাবে বেঁচে আছি
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

17/11/2024

16/11/2024

10/09/2024

২০১৭ সালে লিখেছিলাম।
#বন্যা
১৯৯৮ সালের বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়া একটা ছিন্নমূল পরিবারের শৈশব পেরোনো সুজন নামে এক বালককে চিনতাম । কলাগাছের ভেলায় দুইদিন ভেসে থাকার পর আশ্রয় কেন্দ্রে ঠিকই এসে পৌছায় ওরা । এর দুইদিন পর ডায়রিয়ায় মারা যায় ওর ৫ বছর বয়সী ছোট বোন । দুই মাস পানিবন্ধী থাকার পর যখন বানের জল সরে গেল , খড়ে ছাউয়া মাটির দেয়ালের ঘরটা তখন নিশ্চিহ্ন ।
ঘর বাড়ি হারিয়ে ওরা পাড়ি জমায় ঢাকা শহরে ।টঙ্গীর বোর্ড বাজারে বস্তির খোপড়ির মতো একটা ছোট ঘরে থাকতে শুরু করে । দুই বছরের মাথায় এবার মাটির দেয়ালের সাথে খড়ের চালের পরিবর্তে টিনের ছাপড়া দেয়া একটা ঘর উঠে । ২০০১ সাল ।ক্লাশ টু পর্যন্ত পড়ালেখা করা ছেলেটা তখন সবে ১৩ তে পা দিয়েছে । বাবার সাথে খেতে কাজ করে সংসার ঠিক চলছিল না । বাজারে ছোট একটা চায়ের দোকান দেয়ার সুবাদে সংসার কিছুটা ভালোই চলছিল । স্বাস্থবান গরুকে হালচাষ করতে যেমন কাধে জোয়াল উঠিয়ে দেয়া হয় তেমনি গ্রামে যদি ১৪ থেকে ১৫ বছরের কোন ছেলে রোজকার করতে শিখে ফেলে তাহলে তার ঘাড়েও জোয়াল চাপিয়ে দেয়া হয় ।সাঁকো পেরুলেই যে গ্রামটা ওখানকার এক গৃহস্ত ঘরের ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া রাধিকার সাথে ওর বিয়ে হয় ২০০৪ সালের জানুয়ারীতে ।
গ্রামের আর দশটা পরিবারের মতো ওদেরও তখন তিনবেলা ভাত জুটে । সাথে বিল থেকে ধরা ট্যাংড়া , পুটির তরকারী সাথে কমলি শাক । মাঝে মধ্যে হাস বা বকের গোস্ত ।
আগষ্টের মাঝামাঝি হঠাৎ বিলের জল বাড়তে লাগলো । ৬ বছর পর আবারো বন্যা হবে এটা কেও ভাবতে পারেনি তখনো । সুজনদের গাভীটা তখন কেবল একটা বাচ্চা প্রসব করেছে । ওর বাবার অনেক প্রিয় গরুটা । নিতাই বাবু গাভীটাকে মায়ের তুল্য জ্ঞান করতেন ।হিন্দু ধর্মে গাভীকে মাতৃতুল্য মনে করা হয় । লোক মুখে শুনেছি শ্রীকৃষ্ণ নিজেও গাভীর দুধ পান করেছিলেন । ভয়াবহ বন্যায় যখন সবাই আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটতে তখন মানুষগুলো ছাড়া আর কোন প্রাণিকে তুলে নেয়ার মতো সুযোগ ছিল না । তবু কলাগাছের বেশ বড়সর একটা বেলাতে করে সবাই সেটাতে উঠে পড়লো । পরিবারের সবাইকে পৌছে দিয়ে নিতাই বাবু ফিরলেন গরু, ছাগল নিয়ে যেতে ।
নিতাই বাবু আর আশ্রয় কেন্দ্রে ফিরে যান নি । ওনাকে খোঁজেও পাওয়া যায়নি । বানের পানি নেমে গেলে দুটো কঙ্কাল খোঁজে পাওয়া যায় গ্রামের মন্দিরের পাশের বটগাছের শিকরের ফাকে । বন্যায় বটগাছটাও মাটি থেকে আনুমানিক ১০ ফিট ডুবে গিয়েছিল । গত ১৩ বছরে সুজনের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি । তিন বেল

03/09/2024
এখন উপযুক্ত সময় দেশের সব মেগা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত করা।স্পেশালি চিকেন নেক করিডোরের পাশে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ চীনকে দ...
22/08/2024

এখন উপযুক্ত সময় দেশের সব মেগা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত করা।
স্পেশালি চিকেন নেক করিডোরের পাশে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ চীনকে দিতে হবে। সেভেন সিস্টারসে গণ্ডগোল লাগিয়ে দেয়া ছাড়া উপায় নাই।
তবে তারও আগে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

21/08/2024

#বন্যা
জিওগ্রাফিক্যালি আমরা ভারতের পানির সমুদ্রে পারাপারের সংযোগস্থল।
হঠাৎ ওরা ব্যারেজ খুলে দিলেই আমরা ডুবে যাই। এর জন্য আমরাও কিছুটা দায়ী হোক সেটা দুর্বল কূটনীতির জন্য কিংবা আমাদের পরিকল্পনার অভাব। দুটোই।
কেন বারবার আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবো?
শিলিগুরি করিডোর ছাড়া ভারতের পূর্বাঞ্চলে নিজেদেরই নিয়ন্ত্রন নেই। প্রায় ২.৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটার ভূমি। জিডিপির ৪-১০%, জনসংখ্যার একটা বড় অংশ। ওদেরও ভয় আছে। তবে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের দরকার মহাপরিকল্পনা।
১। হাওরের জলপথ মুক্ত করতে হবে।
২। উপনদীগুলোর নাব্যতা বাড়াতে হবে।
৩। সংযোগ খাল খনন করতে হবে যেন খড়া মৌশুমে পানি পাই আমরা।
৪। ৫৭ টা যৌথ নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে। যেন দ্রুত টানি নিষ্কাশন হয়।
৫। শহরের খালগুলো উদ্ধার করে আরো প্রশস্থ করতে হবে।
৬। প্রচুর খালের ব্যবস্থা থাকতে হবে। নেদারল্যান্ড মডেল অনুসরন করে।
এরপর ট্রানজিট বন্ধ করে কূটনৈতিক খেলা খেলতে হবে।
আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে। ভারতীয়দেরকে চাকরি থেক। বাদ দিতে হবে।
সর্বোপরি আমাদেরকে সৈয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।

Address

Bhaluka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Core of Nature & History posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share