08/04/2025
এটা কোনো আন্দোলন নয়—এটা চুরি, লুটতরাজ।
এটা কোনো প্রতিবাদ নয়—এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
যারা প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে, তারা কখনোই এমন লুটতরাজের পক্ষে নয়।
যারা লুটপাট ভাংচুর করছে তাদেরকে চিহ্নিত করুন। ধরিয়ে দিন। সমাজকে বাঁচান। আন্দোলনকে বাঁচান।
বাংলাদেশে KFC, BATA, Coca-Cola কিংবা অন্যান্য বহুজাতিক কোম্পানির আউটলেটগুলো পরিচালিত হয় বাংলাদেশিদের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে হাজার হাজার পরিবার, এখান থেকেই চালিত হয় কারো বাবার চিকিৎসা, কারো সন্তানের পড়ালেখা, কারো স্বপ্ন।
এই প্রতিষ্ঠান ভাঙলে ক্ষতি হবে শুধু বাংলাদেশের মানুষের—ইসরায়েলের এক টাকাও কমবে না।
আর অসহায় ফিলিস্তিনের কোন উপকারে ও আসবে না।
আপনি যদি সত্যিই কোনো পণ্যের বিরুদ্ধে হন, তাহলে তা ছুঁবেন না, খাবেন না, কিনবেন না।
কিন্তু দোকান ভাঙবেন কেন? লুট করবেন কেন? চুরি করবেন কেন? বয়কট আর লুটপাট এক নয়।
যেটা হচ্ছে, সেটা বয়কট নয়—সেটা হচ্ছে উগ্রতা, সেটা হচ্ছে নৈরাজ্য।
দুঃখজনকভাবে কিছু গোষ্ঠী আন্দোলনের পবিত্রতাকে ব্যবহার করছে নিজেদের রাজনৈতিক বা গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে। তারা সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করছে।
এই নৈরাজ্যবাদীরা যেটা করছে, তা আন্দোলনের বিরুদ্ধে একপ্রকার ষড়যন্ত্র।
আজ যদি দেশের ভিতরে সহিংসতা ছড়ায়, তাহলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
চাকরি যাবে, ব্যবসা বন্ধ হবে—ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের।
এই দেশ আমাদের। এর ব্যবসা, এর কর্মসংস্থান, এর ভবিষ্যৎ—সবই আমাদের।
তাই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান, কিন্তু বাংলাদেশের ভিত নড়িয়ে দিয়ে নয়।