Asaduz Zaman Mamun-আসাদুজ্জামান মামুন

  • Home
  • Bangladesh
  • Bhola
  • Asaduz Zaman Mamun-আসাদুজ্জামান মামুন

Asaduz Zaman Mamun-আসাদুজ্জামান মামুন Lecturer in English

04/06/2025

আসুন! একটি দেশে দুর্নীতি কেন বাড়ে তার একটা নমুনা দেখি।

উদাহরন হিসেবে একজন ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাকে নিলাম। বাংলাদেশে ৯ম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৫ সালে দেয়া বেতন কাঠামো অনুসারে ২২০০০ টাকা মূল বেতন পেয়ে থাকেন।

১৫ ই ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ১ ডলার সমান টাকা দাম ছিল ৭৬ টাকা ৩০ পয়সা। ২২ হাজার টাকার বেতনের হিসেবে যা মূলত ২৮৮ ডলারের সমান।

আজ ৩ জুন ২০২৫ সালের ডলার বাজারের হিসেবে ডলারের মূল্য গুগল রেটে ১২২ টাকা ২৩ পয়সা। যদিও খোলা বাজারে অবস্থা আরো করুন। ১২৫-১২৬ টাকা।

আমরা গুগল হিসেব ধরেই আগাই। তাহলে ২২ হাজার টাকা বেতনের একজন চাকুরীজীবি ২০২৫ সালে পেতেন ২৮৮ ডলার। আজকের বাজার হিসেবে সে পাচ্ছে ১৭৯.৯০ ডলার। হিসেবের সুবিধায় আমরা এটাকে ১৮০ ডলার হিসেবে বিবেচনা করলাম।

এবার আসেন বাংলাদেশের মূল্যবৃদ্ধির হিসেবে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ২০১৫ থেকে ২০২৫ অব্দি বাজারমূল্য বেড়েছে প্রায় ৫০%।

তাহলে সেই বিবেচনায় ১৮০ ডলারের বেতনের আজকের প্রকৃত বাজারমূল্য ৯০ ডলার। সরকারের দেয়া ১০% বৃদ্ধিসহ মূল টাকা পৌছাবে ১০৮ ডলারে।

যা আসলে ২০১৫ এর বাজার ধরের হিসেবে আজকের মূল্যে হবে ১৩ হাজার ২০১ টাকা।

তাহলে আমরা বলতে পারি, একজন নবম গ্রেডের কর্মকর্তার ২০১৫ সালের হিসেবে অনুসারে বেতন ১৩ হাজার ২০১ টাকা।
এবার যে যার বেতন হিসেব করে নিয়েন।

কথা হচ্ছে, ইউরোপ বা আমেরিকা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের আশেপাশেও এমন কোন দেশ নেই, আফ্রিকাতেও এমনটা খুজে পাওয়া দুস্কর যেখানে শ্রমের মূল্য এত রুগ্ন।

একজন ৪ জনের পরিবারের মাসের হিসেব করেন। একজন মানুষ পৃথিবীতে কেবলমাত্র খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাকতে আসে না। তার বিনোদন দরকার। কোথায় সেই বিনোদনের মূল্য? কোথায় পরিবার নিয়ে ১ বেলা বাহিরে ডিনার করার খরচ? অথচ বাহিরে বের হলেই সব বিলাসী রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। তাহলে দুটি বিষয় কি সাংঘর্ষিক হয়ে গেল না?

এবার তাহলে আমাকে একজন সরকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি না করার পক্ষে আমাকে ৫ টা যুক্তি দেখান।

তাহলে সিস্টেম আমাদের দুর্নীতিবাজ বানাচ্ছে কিনা?-ভেবে দেখবেন। সরকারী বা বেসরকারী নয়, পেট সবার সমান। সবার আগে শ্রমের মূল্য বুঝিয়ে দেয়ার প্রচলন হোক।
তখন রাষ্ট্র নিজেই চলবে।

Coppied

04/03/2025

রাজনৈতিক মামলায় এলাকার যাদের ধরিয়ে দিচ্ছেন ওদের তো আর ফাঁসি হবে না।
মাস খানেক পর ঠিকই জামিনে বের হবে। ভবিষ্যতে সে বড় নেতাও হতে পারে। সে আপনার প্রতিবেশী হয়েই থাকবে। তবে টাইম বো'মার মতো। বি'স্ফোরিত হওয়ার ক্ষণগণনা করবে।
আপনি যেটা করছেন তার চেয়ে ডবল আপনাকে ফেরত দিবে,,
ওসি সাহেব কদিন পর ট্রান্সফার হয়ে চলে যাবে। কিন্তু যাকে ওসি সাহেবের কোটা পূর্ণ করতে ধরিয়ে দিচ্ছেন সে কিন্তু থাকবে।
আপনার পাশেই থাকবে। মনে রাখবেন প্রতিবেশীকে শত্রু বানিয়ে ভালো থাকা যায় না।
সে কিন্তু আপনার জানাযাতেও থাকবে। তাই ভবিষ্যতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে প্রতিবেশীকে ভালো রাখুন।
মনে রাখবেন গ্রামবাসী একদিন আপনার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে।

রাজনৈতিক শত্রুতাকে ব্যক্তিগত শত্রুতার পরিনতি হবে খুবই ভয়াবহ ও বিভৎস।

নরম কোমল কথামালাপাথরের চাইতে কঠিনহৃদয়কে ও কোমল করে দেয়।কর্কশ  কঠিন কথাবার্তারেশমের চাইতে কোমলহৃদয়কে ও কঠিন করে দেয়।
23/04/2024

নরম কোমল কথামালা
পাথরের চাইতে কঠিন
হৃদয়কে ও কোমল করে দেয়।
কর্কশ কঠিন কথাবার্তা
রেশমের চাইতে কোমল
হৃদয়কে ও কঠিন করে দেয়।

19/04/2024
18/04/2024

প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু শব্দহীন
ব্যথা থাকে যার সাক্ষী সে নিজেই..💔😢

22/03/2024

দুধের দামের চেয়ে দুধের সরের দাম বেশি। আবার সরের চেয়ে মাখন এর দাম আরো বেশি। আবার মাখনের চেয়ে ঘি এর দাম কিন্তু তার থেকেও বেশি। মজার বিষয় হল সর, মাখন, ঘি সবগুলোই কিন্তু দুধ থেকেই তৈরি হয়। অথচ দুধের দাম কিন্তু এদের সবার চেয়ে অনেক কম। কিন্তু কেন? এর কারণই বা কী? পার্থক্যটা কি জানেন? পার্থক্যটা শুধু সময়ের। যে যত বেশি সময় ধরে, যত বেশি কষ্ট করে, যত বেশি তাপ সহ্য করে নিজেকে প্রস্তুত করতে পেরেছে তার দাম কিন্তু তত বেশি। দুধ থেকে ঘি তৈরি হতে কিন্তু অনেকটা লম্বা সময় লাগে। তবেই তার দামটা অনেক বেশি হয়। আমরাও ঠিক তেমনি দুধের মত। এসেছি কিন্তু পৃথিবীতে দুধের মত অবস্থাতেই। সেটাতে যে যত বেশি ধৈর্য ধরেছে, যে যত বেশি কষ্ট করেছে, যত কষ্ট পেয়েছে, সংগ্রাম করেছে সে কিন্তু তত বেশি দাম পেয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুধ কিন্তু ঘি হতে পারে না। তার জন্য বেশ কিছুটা সময় লাগে। বেশ কিছুটা সংগ্রাম লাগে। নিজেকে যদি দুধ থেকে ঘি এর মত বেশি দামী পেতে চাও না, দামি হতে চাও না তাহলে তোমাকে কিন্তু ধৈর্য ধারণ করতে হবে, সময় অবশ্যই দিতে হবে এবং তাপ কষ্টটা সহ্য করতেই হবে। তবেই তুমি ঘি হতে পারবে।

যে কারণে হানাফিই রয়ে গেলাম !ছোট বেলা থেকে না জেনেই হানাফী মাজহাব পালন করে বড়  হয়েছি। নামাজ শিক্ষার যে বইগুলো বাসায় ছিল -...
08/03/2024

যে কারণে হানাফিই রয়ে গেলাম !

ছোট বেলা থেকে না জেনেই হানাফী মাজহাব পালন করে বড় হয়েছি। নামাজ শিক্ষার যে বইগুলো বাসায় ছিল - সব ছিল নিউজপ্রিন্টের। ভিতরে খালি মাসআলা ছিল।কুরআন হাদিসের কোন রেফারেন্স ছিলোনা। ছিল ব্র্যাকেটে ফতোয়ায়ে আলমগিরির রেফারেন্স। যা কি জিনিস জানতাম না।
বড় হলে আহলে হাদীস ও সালাফিদের বই পড়লাম। কুরআন ও হাদিসের প্রচুর রেফারেন্স দেয়াতে খুব ভালো লাগলো। তারা বললো: তুমি এসব মাজহাব ছাড়। সহীহ হাদিস মেনে ইবাদত করো। অন্ধ তাকলীদ করো না।
হানাফীরা ইমাম আবু হানিফা ও অন্যন্য মুকাল্লিদরা অন্যন্য ইমামদের ফিকহ মানে, এর চেয়ে সহীহ হাদিস মানো । একটু এক্সট্রিম কেউ কেউ তাকলীদকে শিরক বললো, বললো বুদ্ধি থাকলে তাকলীদ করতে হবে কেনো। এরকমই আরো কিছু কথা সুন্দর সুন্দর কথা ।
আমার কথা গুলো বেশ মনে ধরলো। হানাফী থেকে আহলে হাদীস ইচ্ছা জাগলো । মাজহাবের তাকলীদ বাদ দিয়ে সহীহ হাদিসের উপর আমল করার ইচ্ছা জাগলো। হাতে টাকা ছিল - জোগাড় করলাম সিহাহ সিত্তাহ, বাংলা-আরবী। আরবী স্কিপ করে বাংলায় সহীহ হাদিস পড়া শুরু করলাম।
কিন্তু ওযু ও গোসল অধ্যায়ই শেষ করতে পারলাম না। নামাজ তো আরো পরে।
রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর ওযুর বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা আছে। কোনটা মেনে ওযু করবো ? ছোট একটা জিনিসই ধরি। কিছু জায়গায় অঙ্গ দুবার করে ধোয়ার কথা বলা আছে , কিছু জায়গায় তিনবার, কিছু জায়গায় একবার। আমি যদি দুবার করে ধৌত করি তাহলে একটা সহীহ হাদিস আমি মান্য করছিনা, তিন বার ধুলে অন্য আরেকটি সহীহ হাদিস মান্য করছিনা ।
প্রশ্ন ১: আমি এই যে কিছু সহীহ হাদিস মানতে যেয়ে অন্য সহীহ হাদিস মান্য করছিনা, সেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে রেফারেন্স দিয়ে কেউ যদি বলে আমি সহীহ হাদিস মানিনা সেটা কি ঠিক হবে ? এর মানে কি আমি সহীহ হাদিস অমান্যকারী ?
এখন আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। আমি পড়ালেখা করেছি, বই পড়ার উৎসাহ আছে, ইসলামের প্রতি ঝোক আছে। এদের কথা ধরেন : আমাদের বাসার বুয়া বা বিল্ডিং এর কেয়ারটেকার পড়াশোনা করতে পারেনা। আমার বন্ধু কয়েকজন যারা পড়ালেখা জানলেও ইসলামী বই অধ্যায়ন করেনা কারণ ইসলামের প্রতি আগ্রহ নেই । আমার ছেলে যার বয়স যখন ৭ হয়েছে। এদের কেউ ওযু পারেনা।
প্রশ্ন ২: তাদের কে শিখানোর জন্য যদি আমি যদি বুখারীর ও অন্যন্য হাদিস গ্রন্হের ওযু অধ্যায়ের সহীহ হাদিস গুলি সিরিয়ালি তাদের কাছে শুধু বাংলায় রিডিং পড়া শুরু করি, তারা কি সেগুলি বুঝে ঠিক মতো আমল করতে পারবে ?
প্রশ্ন ৩: যদি তারা না বুঝে তাহলে তো আমাকে তাদের দেখিয়ে দিতে হবে কিভাবে ওযু করতে হয় । তখন আমি বুখারীর ও অন্যন্য হাদিস গ্রন্হের ওযু অধ্যায়ে উল্লেখিত বাংলা সহীহ হাদিস গুলি সমন্বয় করে বা সেখান থেকে বেছে নিয়ে আমার বুঝ অনুযায়ী তাদের শিখাবো। এতে কি তারা সহীহ হাদিস মানলো নাকি আমার বুঝ ও ব্যাখ্যা মানলো ? এই ব্যাখ্যাই কি ফিকহ না ?
প্রশ্ন ৪: যখন আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি, তখন আমার হাদিসের টেক্সট ও রেফারেন্স দেয়া কি আমার জন্য জরুরি হবে ? বাস্তবেই কি তারা প্রত্যেকটির শিক্ষার পিছনের হাদিসের রেফারেন্স চাবে ? নাকি বলবে শুধু ওযু শিখিয়ে দাও ? এটি কি আমার উপর বিশ্বাস করে অন্ধ তাকলীদ করা নয় কি ? যদি রেফারেন্স দিয়েও দি তাও কি তারা সহীহ থেকে জাল হাদিস পার্থক্য করতে পারবে ?
প্রশ্ন ৫:একটি হাদিস যে আমি সহীহ হাদিস কিভাবে বুঝছি ? ব্র্যাকেটে লেখা আছে বলে। আমার সামর্থ্য নাই হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়ন করে সহীহ যঈফ আলাদা করার। কেউ তাহকীক করে লিখে দিয়েছে। সেটাই চোখ বন্ধ করে মেনে নিচ্ছি। কেউ বুখারী অনুবাদ করে দিয়েছে, আমিও মেনে নিচ্ছি সেটা সঠিক অনুবাদ, কারণ আমার পক্ষে আরবি বুঝে অনুবাদের ত্রুটি ধরা সম্ভব না । এই তাহকীক ও অনুবাদ যে সঠিক মেনে নেয়া হচ্ছে সেটা কি অন্ধ তাকলীদ নয় ?
প্রশ্ন ৬: ওযুর মতো অতি সহজ ব্যাপারে আমার যদি এই অবস্থা হয়, নামাজের মতো অতি জটিল ব্যাপারে কি আমার পক্ষে সহীহ হাদিস পড়ে নামাজ শিক্ষা করা কিভাবে সম্ভব ? যদি আমার পক্ষেই সম্ভব না হয় আমার ৭ বছরের ছেলে কিংবা পড়ালেখা না জানা বুয়ার পক্ষে কিভাবে সম্ভব ?
প্রশ্ন ৭: যদি সম্ভব না হয় তাহলে আমাকে এমন একজনের আলিমের দারস্ত হতে হবে যিনি সব হাদিস পড়ে বুঝে আমাকে নামাজের নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিবেন,তাইনা ? হাদিস গুলির সমন্বয় করে যদি উনি ব্যাখ্যাই করেন তাহলে ফিকহ তো ফিকহই হয়ে গেলো । এই ক্ষেত্রে আমি কি সহীহ হাদিস মানছি নাকি ফিকহ ? এই ফিকহ মানার মাধ্যমে আমি কি বাস্তবে আমি সমন্বয়কৃত সহীহ হাদিসই মানছি না ?
প্রশ্ন ৮: আমি যদি আরেকজন আলিমের কাছে যাই এবং একই অনুরোধ করি হাদিস ঘেটে নিয়ম কানুন বানিয়ে দেয়ার জন্য । উনিও সব হাদিস ঘেটে আমাকে নিয়ম বানিয়ে দিলেন। প্রথম আলিমের নিয়ম গুলি আর দ্বিতীয় আলিমের নিয়ম গুলি কি হুবুহু একই হবে ? নাকি তাদের দুজনের সমন্বয় পদ্ধতি আলাদা হতে পারে ?
একজনের কাছে এক হাদিস বেশি সহীহ অন্য জনের কাছে কম সহীহ লাগতে পারে না ? দুজন একই হাদিসের অর্থ কে দুই ভাবে নিতে পারে ? তারা কি আরবি ইবারত ভিন্ন ভাবে পড়তে পারেনা ? হাদিসের শত শত কিতাবের উনি হয়তো কিছু পড়েছেন অন্যজন কিছু ? রাবী দুর্বল কিনা এই নিয়ে ইখতেলাফ আছেনা ? কারো কারো মতে বুখারী সব চেয়ে সহীহ, কারো মতে মুয়াত্তা ইমাম মালিক, এরকম অচেনা ?
আরো কত কারণ আছে, হাদিস শাস্ত্র কি অংকের মতো যে রেজাল্ট একটাই হবে ? তাহলে দুজনেরই সহীহ হাদিস মানা সত্ত্বেও দুজনের নামাজের নিয়ম দুই ধরণের হতে পারেনা ? আমার কি সেই যোগ্যতা আছে যে আমি বলতে পারবো প্রথম জন বেশি ঠিক না দ্বিতীয় জন ?
প্রশ্ন ৯: ধরেন আমি প্রথম আলিমের কাছে যাওয়ার পর উনি আমার অনুরোধে সকল হাদিস ঘেটে আমার জন্য নামাজের নিয়ম বানিয়ে দিয়েছেন। এখন আমার ভাই যদি তার কাছে যেয়ে একই অনুরোধ করে তাহলে কি তিনি এই কাজটি হাদিস ঘাটার কাজটি কি আবার করবেন ? নাকি আমাকে যে নিয়ম গুলি উনি দিয়েছেন সেগুলিই আমার ভাইকেও দিয়ে দিবেন ? আমার ভাই আজ থেকে ১০ বছর পর গেলে একই নিয়মি তো পাবেন ওই আলিম থেকে তাইনা (কারণ যে হাদিস দেখে নিয়ম তৈরী করেছেন সেই হাদিস তো আর ১০ বছরে পরিবর্তন হয়নি) ? ৫০ বছর পর কেউ গেলে ? এখানে কি নামাজের নিয়ম পরিবর্তন হওয়ার খুব বেশি সুযোগ আছে ? ১৩০০ বছর পর ? নাকি প্রত্যেকবার শুরু থেকে হাদিস ঘাটতে হবে ?
যদি পরে আমরা প্রথম আলিমের বের করা নিয়ম কে মাজহাব বা ফিকহে X ও দ্বিতীয় আলিমের বের করা নিয়ম কে মাজহাব বা ফিকহে Y নাম দি , তাহলে X ও Y ফলো করা কি ১৩০০ বছর পর হারাম হয়ে যাবে, যেখানে এটি ১৩০০ বছর আগে সহীহ ছিল ?
প্রশ্ন ১০: নামাজ তো আর নতুন জিনিস না। এটি ইসলামের শুরু থেকে চলছে। তাহলে এই হাদিস ঘাটাঘাটি করে নামাজের নিয়ম বের করার কাজও তখন থেকেই হওয়ার কথা। তখন থেকেই যদি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বা ইমাম মালিক (রহঃ) বা ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বা ইমাম আহমদ (রহঃ) যদি এই হাদিস ঘাটাঘাটি করে নামাজের নিয়ম বের করার কাজটি করে গিয়ে থাকেন, নামাজের নিয়ম তো আর পরিবর্তন হয়নি, তাহলে এখন সেগুলি মানতে সমস্যা কোথায় ?
ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেব এই যুগে এসে হাদিস ঘাটাঘাটি করে যে নিয়ম বের করেছেন তা ওগুলোর উপর প্রাধান্য পাবে কেন ? ওই চার ইমামের কারো যোগ্যতা কি ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের চেয়ে কম ছিল ?
প্রশ্ন ১১: এখন যদি কেউ বলেন যে সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর ওফাতের পর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় হতে পারে।
হয়তো প্রধান সাহাবীরা যেসব এলাকায় গিয়েছিলেন বা ছিলেন সেসব জায়গায় নামাজ সম্পর্কিত সব হাদিস ছিল। এই ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার কাছে কুফায় বা ইমাম মালিকের কাছে মদিনায় নামাজ সংক্রান্ত সব হাদিস ছিল। এই ক্ষেত্রে তারা এসব বেছেই নামাজের নিয়ম বানিয়েছেন। ওই নিয়ম ফলো করতে আপত্তি কোথায় ?
অথবা . সাহাবীরা যেসব এলাকায় গিয়েছিলেন সেখানে নামাজ সম্পর্কিত সব হাদিস ছিলোনা, কিছু হাদিস ছিল।
তাই কোনো এক এলাকায় যেমন ইমাম আবু হানিফার কুফায় কিংবা ইমাম মালিকের মদিনায় সব হাদিস ছিলোনা। পরে সব হাদিস একত্রিত হয়েছে। তাই সব হাদিস বাছাই করে বানানো ল্যাটেস্ট ইমাম আলবানী সাহেবের নামাজের নিয়ম বেশি শুদ্ধ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ওই সব এলাকায় আংশিক হাদিস থেকে বানানো আংশিক নামাজের নিয়ম পালন করে যদি সালাফ তথা তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈনরা শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম হয় তাহলে ওই আংশিক নিয়ম পালন করলে আমরা কেন ধরা খাব কিংবা সাওয়াব কম পাবো ?
প্রশ্ন ১২: সুন্নাহর বিস্তার এর একমাত্র মাধ্যম কি হাদিস ? এছাড়া কোন মাধ্যম নেই ? ওযুর কথাই ধরুন না। যখন সাহাবীরা তাদের সন্তান বা তাবেঈদের ওযু শিক্ষা দিতেন তখন কি শুধু হাদিস বর্ণনা করতেন ?
নাকি হাতে কলমে নবীজির (দঃ) এর কাছ থেকে শেখা ওযুর মতো করে ওযু করে অন্যদের শিক্ষা দিতেন ?
তাহলে তাবেঈ বা তাবেঈ-তাবেঈনদের সংস্পর্শে এসে প্র্যাকটিকাল নামাজ শিক্ষার পদ্ধতি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কিংবা ইমাম মালিকের (রহঃ) বেশি জানার কথা নাকি ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের।
ইমাম আলবানীর কাছে তো শুধু হাদিস আছে , কিন্তু ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালিকের কাছে হাদিসের সাথে সাথে প্র্যাকটিকাল শিক্ষাও তো ছিল। কার নামাজের নিয়ম বেশি শুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?
প্রশ্ন ১৩ঃ- ইমাম চতুষ্টয়ের বানানো নামাজের নিয়ম প্রায় ১৩০০ বছর ধরে মুসলিম উম্মাহ ফলো করে আসছে। উম্মাহর ইতিহাসের বাঘা বাঘা আলিম এগুলি মেনে নামাজ পড়েছেন । এমন সময় যখন ইসলাম দুনিয়াতে বিজয়ী ছিল, যখন মুসলিমদের ঈমান আমল ও ইখলাস বর্তমান মুসলিমদের চেয়ে বেশি ছিল। আর ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানীর তৈরী নামাজের নিয়ম অপেক্ষাকৃত অনেক কম মানুষ অনেক কম দিনের জন্য ফলো করছে, যখন মুসলিমদের ঈমান, আমল ও আখলাক সব চেয়ে নিচে। প্রথমোক্ত গ্রূপের বহু মুসলিমদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি নাকি দ্বিতীয় গ্রূপের কম মুসলিমদের ?
প্রশ্ন ১৪: কুরআনে বলা আছে শুধু মাত্র বাপ্ দাদারা করতো বলে কোন কিছু করা উচিত না। কিন্তু তা কি মুশরিক বাপ্ দাদাদের ব্যাপারে বলা হয়নি ? বাপ্ দাদা যদি মুসলিম হয় তাহলে তো তাদের মান্য করতে কোনো দোষ আছে ?
যেমন নবী ইয়াকুব (আঃ) মৃত্যুর সময় তার পুত্রদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন তারা তার পরে কার ইবাদত করবে । তার ছেলেরা উত্তর দিয়েছিলেন তাদের বাপ্ দাদাদের উপাস্যের। বাপ্ দাদা সঠিক রাস্তায় থাকলে সেই রাস্তা দিয়ে হাটা যাবেনা এমন কথা কি বলা আছে ? নূহ (আঃ) এর ছেলে যদি এই যুক্তি দিত যে বাপ্ দাদা মেনে আসছে বলে আমরা মানবোনা এটা কি সঠিক হতো ?
এসব প্রশ্নের উত্তর আমাকে সালাফী হতে দিলোনা।
আমি হানাফীই থাকলাম। এবং মন ভরে দুআ করলাম সেই সব আলিমদের যারা আমাদের জন্য নিজেদের সারা জীবন বিলিয়ে দিয়ে সহজ ফিকহের কিতাব লিখে গিয়েছেন, যা মাত্র ১০০/২০০ টাকা দিয়ে কিনে কিংবা আলিমের সোহবতে শিখে আমল করে আমরা অমূল্য অফুরন্ত অনিঃশেষ জান্নাতের জন্য কাজ করতে পারি।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইমামে আজম আবু হানীফা রহ.একজন তাবেয়ী ছিলেন।
Collected
MUHIB KHAN এর ওয়াল থেকে।

11/11/2023

বিপদে টাকা চেয়েছেন কারো কাছে, সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে আপনার জন্য টাকা নিয়ে সে বসে ছিলো। লোকাল বাসে আপনার ভাড়াটা পরিচিত কেউ দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার মানিব্যাগ ভর্তি টাকা আছে। কেউ আপনার খাবারের বিল আগে দিয়ে দিয়েছে, মানে এই নয় যে তার কাছে টাকার পাহাড় আছে।

তার টাকার পাহাড় নেই কিন্তু পাহাড়ের চেয়েও উঁচু একটা মন আছে.. ভালো থাকুক ভালো মনের মানুষগুলো!!❤️‍🩹

07/08/2023

জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতায়! বিল গেটসের টাকায়!!

ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তায়!!! হুমায়ন ফরিদীর ভালোবাসায়!!!!

তাহসানের কন্ঠে কিংবা হৃতিক রোশানের স্মার্টনেসে!

কোন কিছুই নারীকে আঁটকাতে পারে নাই, নারী আসলে কিসে আঁটকায়?🤔🤔

এখানে মহীয়সী নারীদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, এই পোস্ট নারী জাতিকে হেয় করার জন্য নয় কিন্তু।।

14/05/2023

"সব কিছুরই যাকাত রয়েছে, জ্ঞানের যাকাত হচ্ছে নির্বোধদের সহ্য করা"।

Address

Bhola
Bhola

Telephone

+8801718721706

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Asaduz Zaman Mamun-আসাদুজ্জামান মামুন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Asaduz Zaman Mamun-আসাদুজ্জামান মামুন:

Share