Farha Islam

Farha Islam ❤️~I Love Allah~❤️

12/07/2025

কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু অসাধারণ।
মা আমাদের শরীরে গঠন করেন…
আর বাবা আমাদের জীবনটা গঠন করেন।

মায়ের গর্ভে ৯ মাস ছিলাম,
বাবার কাঁধে চেপে ছিলাম ২৫ বছর।
তবুও কেন যেন বাবা সবসময় আড়ালেই থাকেন।

মা প্রতিদিন রান্নাঘরে বিনা বেতনে কাজ করেন,
আর বাবা তার মাসের শেষ পয়সাটিও সংসারে ঢেলে দেন।
দুজনেই সমানভাবে ভালোবাসেন,
তবুও মা যেনো ভালোবাসার মঞ্চে এক ধাপ এগিয়ে,
আর বাবা কেমন যেন নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা একটা প্রেক্ষাপট।

মা নিজের হাতে আমাদের প্রিয় খাবার বানিয়ে দেন,
বাবা চুপচাপ দোকান ঘুরে সেই জিনিসটা এনে দেন।
মায়ের ভালোবাসা চোখে পড়ে,
বাবার ভালোবাসা হয়ত মাটির নিচের শিকড়ের মতো,
যা না দেখলে বোঝা যায় না, কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকাটাই তার অবদান।

ফোনে কথা বলার সময় আগে মায়ের খোঁজ নিই,
দুঃখ পেলে মায়ের কাঁধে মাথা রাখি।
বাবা তখন দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন,
শুধু চোখে থাকেন, মনে হয় কিছু বলতে চান,
কিন্তু বলেন না, যেন বলার অধিকারটাও কেমন হারিয়ে ফেলেছেন।

বাচ্চাদের আলমারি রঙিন জামায় ভর্তি,
মায়ের শাড়ির আলমারিও বেশ সমৃদ্ধ।
কিন্তু বাবার আছে মাত্র কয়েকটা জামা,
নিজের প্রয়োজন মেটাতে ভাবেনও না কখনো।
তবুও মুখে কোনো অভিযোগ নেই।

মায়ের গয়নার বাক্স ভর্তি সোনা-রুপা,
আর বাবার আঙুলে সেই একটাই আংটি,
যেটা তিনি বিয়ের সময় পরেছিলেন।
তবুও মায়ের গয়নাতে ঘাটতি থাকলে সে বলতেই পারেন,
কিন্তু বাবার নেই কোনো চাহিদা।

বাবা সকাল থেকে রাত পরিশ্রম করেন সংসারের জন্য,
মাঝে মাঝে অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে ফেরেন,
তবুও ঘরে ঢুকে সন্তানের মুখ দেখেই সব ক্লান্তি ভুলে যান।
স্বীকৃতি চান না, প্রশংসা চান না—
শুধু চান সবাই ভালো থাকুক।

যখন বাবা-মা দুজনেই বয়সের ভারে নুয়ে পড়েন,
তখন সন্তান ভাবে মা অন্তত ঘরের কাজে লাগেন,
কিন্তু বাবাকে বলে “বয়স হয়েছে, এখন আর কিছুই করতে পারেন না।”

হয়তো বাবাই সংসারের সেই নীরব মেরুদণ্ড,
যিনি সামনে থাকেন না, কিন্তু তার কারণেই পরিবারটা দাঁড়িয়ে থাকে।

তাই হয়তো বাবা পিছিয়ে থাকেন না,
তিনি ইচ্ছে করেই সামনে আসেন না—
কারণ তিনি জানেন, তার ভালোবাসা প্রমাণ করতে হয় না।

collected

28/06/2025

আমি ব্যক্তিগত ভাবে যৌথ পরিবার একটুও প'ছন্দ করিনা.... এই লাইনটা শোনার সাথে সাথে যেটা অনেকের মাথায় আসে সেটা হলো....
"নিজের আগে একটা ছেলে হোক তখন দেখবো তখন আর এই কথা বলবানা যে তোম'রা আলাদা থাকো বা তোমার নিজেরই তো ছেলে আছে....
নিজে কী করবা ভবিষ্যতে?" এই কথাটা সবাই বলে...

অধিকাংশ মেয়ে যৌ*বনে একক পরিবারের জন্য আন্দোলন করে আর বু*ড়া বয়সে সে যখন শাশুড়ি হয় তখন শাশুড়ির সেবা করার হাদীস শোনায়...!!😀

আমি যখন বলি ছেলেকে বিয়ে করেই আলাদা করে দিবো... তখন প্রশ্ন আসে আমাদের বু*ড়ো বয়সে সেবা করবে কে...?

তবে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমার দারুণ একটা স্বপ্ন আছে... আমি জানি একটা নিজের সংসার.... একফালি ব্যালকোনি.... একটা কিচেন.... কয়টা রঙিন মশলার কৌটা.... একটা আলতা পরা অলস দিন.... নতুন ট্রাই করা আ"নাড়ি রেসিপিটা.... কয়টা চকচকে বাসন... প্লেট- রূপালি চামচ... এসব একটা মেয়ের জন্য কী....
এসবের মায়ায় একটা মেয়ে ঘর ছে"ড়ে শশুর বাড়িতে নিজের সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখে..! 💞

আমাদের সমাজে একটা বড় সংখ্যক ছেলের বউ শাশুড়ির মৃ**ত্যু*র অপেক্ষায় থাকে... কারণ এরপর তার নিজের একটা সংসার হয়...
অথচ এই সংসারটা বিয়ে করেই তার পাওনা ছিলো...!😊

আমরা ছেলেকে বিয়ের সাথে সাথেই আলাদা করে দেবো ইনশা-আল্লাহ... পাশেই থাকুক না হয় তবে এক সংসারে নয়... পাশের ফ্ল্যাটেই কিংবা বিল্ডিং এর আরেকটা ফ্লোর ওদের হোক...
ছাদে ওরা খুনসুটি করে কাপড় মেলুক... পছন্দের রঙে ঘর সাজাক... আমার এই স্বাধীন জীবনটা আমার ছেলের বউয়ের কেন হবে না...??
দু’জনার একটা রান্না ঘরে আমার স্বামীর সাথে কত যে রূপকথার গল্প জমে রোজ.... তাহলে আমার ছেলে কেন সেই গল্প থেকে ব"ঞ্চিত হবে...?

এরপর রইলো বু*ড়ো বাপ-মার সেবা.... আচ্ছা ছেলে যখন বিয়ে করায় তখন কি বাবা মা একদম বু*ড়ো হয়ে যায়...? বিছানায় পড়ে থাকে..??
কই আশে পাশে তো তেমন দেখি না.... ছেলে বিয়ে যখন দেয় তখনই কোনো শাশুড়ি বা শশুর এতোটাও বু*ড়ো হয়ে যায়না যে তাদের তখনই সেবা করার প্রয়োজন পড়ে...
তবে বিয়ের পরে ছেলে আর ছেলের বউয়ের ঐ সময়টা তাদের আর কখনো ফিরে আসেনা তাই ঐ সময়টা তাদের মতো এ"নজয় করার সুযোগ দেওয়া উচিত...!!

সংসার সুন্দর... বিয়ে সুন্দর... এই ঝ*গড়া*ঝা*টি...., হাজারটা দায়িত্ব.... জাজমেন্ট.... এসব করে একটা মেয়ের সংসারের সৌন্দর্য ন*ষ্ট করা উচিত না..!!❤️‍🩹

বিঃদ্রঃ একান্তই নিজের ছেলেকে নিয়ে নিজের ইচ্ছের কথা লিখলাম...!! যারা ছেলের বউ নিয়ে সুখে শান্তিতে একত্রে থাকছেন বা থাকতে চান তাদের বি*রোধিতা করা হয় নি...!!!

17/06/2025

আমি মনে করি বিয়ের পর পর নবদম্পতির আলাদা বাসায় শিফট হওয়া উচিত যদি সামর্থ্য থাকে।

সামর্থ্য না থাকলেও চেষ্টা করা উচিত আলাদা থাকার ব্যবস্থা করার।

কারণ, বিয়ের পরের সময়টাই আসল সময় নিজেদেরকে ভালো ভাবে জানার বোঝার, আর এই জানাবোঝার জন্য একান্ত সময়ের প্রয়োজন।
যে সময়টা পরিবারের সাথে থাকলে পাওয়া সম্ভব না। এখানে কিন্তু পরিবার আলাদা সময় দিবেনা, ব্যাপার টা এমন না।

পরিবার নবদম্পতিকে আলাদা সময় দিতে চাইলেও সেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনা অনেক কারণে।

ছোটখাটো কয়েকটি উদাহরণ দিই-
রাতভর গল্প করে সকালে দেরিতে উঠলে কেউ কিছু না বললেও নিজের কাছেই গিল্টি ফিল হয়, একই সাথে লজ্জাও লাগে এই ভেবে যে কে কি মনে করলো!

দুপুরের ভাত ঘুমের পর হয়তো একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে গল্প করছে, অমনি কেউ ডাক দিবে, গেস্ট এসেছে নতুন বউকে দেখতে!

সন্ধ্যায় কিংবা মধ্যরাতে বারান্দায় অপরকে বাহুতে জড়িয়ে ধরে বসতে পারা যায়না, কে কখন ডাক দিবে!

দুজনে চা/কফি কিংবা ডিনারে যেতে চাইলে একটা দ্বিধা কাজ করে, পরিবারকে ছাড়া যাওয়াটা কেমন লাগে...ছোট ভাইবোন থাকলে আরও খারাপ লাগে তাদেরকে রেখে যেতে।

৩/৪ দিনের ছুটি পেলে কোথাও ট্যুরে যাওয়ার ইচ্ছে করতে পারে, কিন্তু সেখানেও দ্বিধা, এভাবে হুটহাট যাবো বাসায় কি বলা যায়...তাদেরকে রেখে যাওয়াটা কেমন দেখায়!

যেমন ইচ্ছে তেমন পোশাক পরা যায়না, যা ইচ্ছে তা বলা যায়না, যখন তখন রোমান্স করা যায়না...
সবসময় মাথায় রাখা লাগে সবার মধ্যে আছি!

সময় মতো না উঠলে কে কি ভাবে, এই পোশাক টা পরলে কে কি ভাববে, এই সময় ইন্টিমেট হইলে কেউ যদি বুঝে কেমন লাগবে, এই অবেলায় গোসল করা যায় কি বাহানায়...

কেউ কিছু ভাবুক আর না ভাবুক, ভাবতে পারে বলতে পারে বুঝতে পারে এই ভাবনাতেই নিজেদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা সুন্দর ভাবে কাটানো সম্ভব হয়না!

শুনতে এসব খুব সাধারণ মনে হলেও ঘরে ঘরে এইসব নিয়ে অনেক অশান্তি হতে দেখেছি শুনেছি।

কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, এটাই সত্য যে বিয়ের পর প্রথম কয়েকবছর যে পরিমাণ আগ্রহ একে অপরকে মানসিক শারীরিক ভাবে চেনার জানার কাছে পাওয়ার থাকে তা একেবারেই অন্য লেভেলের!
সময়ের সাথে সাথে এক্সাইটমেন্ট টা পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন জীবন রুটিনের মধ্যে চলে আসে। ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং, ফ্যামিলি প্ল্যানিং, ক্যারিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদির মধ্যে নিজেদের একান্ত চাওয়া পাওয়া গুলা কিছুটা হলেও কমে যায়...

ভালবাসা কমার কথা বলছিনা কিন্তু!
ভালবাসা থাকলে আজীবন ই থাকে।
বলছি ভালবাসার ধরণ পাল্টানোর কথা।

একটা বাচ্চা হয়ে গেলে তখন জীবনসঙ্গী শুধু জীবনসঙ্গী থাকেনা, বাচ্চার বাবা/মা হয়ে যায়। তখন নিজেদের একান্ত সময়ের ভাগ বাচ্চাকে দেয়া লাগে...বাচ্চাকে নিয়ে নানান ব্যস্ততা চলে আসে।

তাই বাচ্চা হবার আগে যতটা সম্ভব নিজেদের সম্পর্কে সময় দেয়া উচিত, বন্ডিং টা শক্তপোক্ত করা উচিত, নিজেদের অভ্যাসের সাথে পরিচিত হওয়া উচিত। বিয়ে/জীবনসঙ্গী নিয়ে নিজেদের স্বপ্ন/ফ্যান্টাসি গুলা পূরণ করে ফেলা উচিত।

আর এইটার জন্য প্রয়োজন আলাদা থাকার। শুধুমাত্র দুজনা থাকলে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে, মায়া বাড়ে, ভালবাসার প্রকাশ বাড়ে, সম্পর্ক মজবুত হয়।

কিন্তু যেখানে ছেলের বিয়ে দিলেই মনে করা হয় পুত্রবধূ এবার ছেলেকে বশ করে নিবে/নিচ্ছে...
সেখানে আলাদা থাকার কথা বললেই তো হাওকাও বেঁধে যাবে!
যেহেতু বিয়ের পর ছেলের পরিবারের সাথেই থাকা হয়, আপত্তিও তাই ছেলের পরিবার থেকেই আসে/আসবে।

এক্ষেত্রে ছেলের দায়িত্ব এই আপত্তি যেন না আসে সেই ব্যবস্থা করা, সবাইকে বুঝানো এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে কেন।

অবশ্য বাঙালি ছেলেরা মুখে প্রগতিশীলতার কথা বললেও নিজের ঘরে সেই আদিমকালের মতো ব্যবহার করতে চায়!
মনে করে বিয়ে করলে সেই বউয়ের দায়িত্ব তার পরিবারের দেখাশোনা করা! অথচ এইটা খুবই অহেতুক চাহিদা!

পুত্রবধূ যদি পরিবারের দেখাশোনা করে, খোজ রাখে, ভালবাসে এইটা তার ভালো মানুষী, ভদ্রতা, মানবিকতা।

কিন্তু এইসব করতে সে বাধ্য না, আর তাকে বাধ্য করা উচিতও না।

এদিকে, অনেক ছেলে বিয়েই করে মা বাবার জন্য কাজের মেয়ে পাবার আশায়! অনেকে তো আরও একধাপ এগিয়ে, বিয়ে করে বউকে বাপ মায়ের কাছে রেখে সে চলে যায় দূরে কোথাও!

এইটা কেমন আচরণ আমি আসলেই বুঝিনা!

একটা মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিয়ে করে। আর যাই হোক স্বামী ছাড়া শ্বশুরবাড়িতে থাকার স্বপ্ন দেখেনা মোটেও!

কিন্তু তাকে বাধ্য করা হয় এমন জীবন যাপন করতে...

এই পর্যন্ত পড়ে অনেকেই মনে করতে পারেন এই মেয়ে দেখি ছেলেকে তার পরিবার থেকে দূর হবার কথা বলছে!

ভুল বুঝেছেন।
পরিবারের সাথে দূরত্ব তৈরি করা আমার উদ্দেশ্য না, আমি সে কথা বলছিও না।
পরিবারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ থাকবে, কথা হবে, দেখা করতে যাওয়া হবে, সময় সুযোগ সামর্থ্য মিললে একসাথে ঘুরতে যাওয়াও হবে...
সবই হবে...

শুধু থাকাটা হবে আলাদা ফ্ল্যাটে, কিংবা আলাদা বাসায়।
ভাবতে পারেন যেমনটা বিয়ের পর একটা মেয়ে তার পরিবারের থেকে আলাদা থাকে, তেমনটা।

এতে কিন্তু সম্পর্ক নষ্ট হবার কোনো চান্স নাই।

একসাথে থাকলে বরং নানান সময় নানান রকমের সমস্যা হবে, সেই সমস্যায় না পারবেন স্ত্রীর সাইড নিতে আর না পারবেন পরিবারের সাইড নিতে..
মাঝামাঝি পিষবেন।

বলতে পারেন ব্যালেন্স করে চলা যায়।
তা যায়, কিন্তু এই ব্যালেন্স করা টা খুবই কঠিন...

অন্যদিকে, দূরে থেকেও ব্যালেন্স করে চলা যায়।

যাজ্ঞে, যার যার নিজস্ব ব্যাপার।
যে যেভাবে ভালো থাকে থাকুক।

আমি শুধু আমার মতামত বললাম, যেটা কেউ জিজ্ঞেস করেনাই।
আমি বললাম আমার ইচ্ছে হইসে তাই।
কে বুঝবে, কে মানবে, কে বুঝবেনা মানবেনা এইসব আমার দেখার বিষয় না।

অনেক লম্বা পোস্ট, যারা পড়বেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন আপনারা, একটাই জীবন, অল্প সময়ের...তাই ভালো থাকা জরুরি এই জীবনে ❤️

16/06/2025

জামাই এর সাথে সারাদিন ঝগড়া হয়েছিল.।
রাতে ঝগড়া মিটমাট করার সময় বলেছিলাম" জানো আজ সারাদিন কিচ্ছু খাইনি "
তারে জাস্ট একটু ইমোশনাল করতে গেছিলাম কিন্তু মিটমাট এর আগেই আমি ঠিল্লা ভরে ভাত খেয়ে টিংটিং হয়ে আছি.
এখন যখন বলছি আমি সারাদিন কিছু খাইনি তো আমার সো কেয়ারিং জামাই শুরু করছে এখনই উঠে খাইতে হবে তাও ভিডিও কলে দেখাই দেখাই.
অনেক ভাবে এড়িয়ে গিয়ে বললাম যে আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা.
নাছোড়বান্দা জামাই মানলোইনা. মাথা মোটা আমারে উঠায়ে ভাত নেওয়ালোই..
ভাবছিলাম দুই এক লোকমা খেয়ে বলব যে আর খাবোনা ইচ্ছা করেনা কিন্তু সে তো দয়ার সাগরে ভাসছিলেন আর বলছিলেন ""যদি পুরো থালা না খাও তাহলে আবার ঝগড়া হবে.". কি আর করা অগত্যা ঠিল্যার উপর আরো এক থালা ভাত ধামাচাপা দেওয়ার পর আমি গাজি ট্যাংক এর মত পেট বানিয়ে পটাং হয়ে শুয়ে পরছি এবার তো আর নড়া যাচ্ছেনা...
তাকে খুব করুন হয়ে বললাম" জান সারাদিন না খেয়ে এখন খেয়েছি তো তাই অনেক দুর্বল লাগছে আমি একটু ঘুমাই?".
তখন সে বললো" আর কোনো দিন যদি ৪ থালা খাইয়াও আমাকে মিথ্যা বলো যে সারাদিন খাওনাই তাহলে আজ তো এক থালা খাওয়াইছি অন্য দিন ৩ থালা খাওয়ামু মনে রাইখো, এখন ডলফিন এর মত না মোড়াইয়া চুপ করে শুয়ে থাকো...

06/06/2025

আমি বাকরুদ্ধ!!! চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো আহহহ 💔
ইনফা*র্টি*লিটি ডক্টর দেখাতে আসছি ঢাকা বার্ডেম ২। সিরিয়ালে বসে আছি। পাশেই বসা এক ভদ্র মহিলার সাথে কথা বলে সময় পার করছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম বিয়ের কত বছর ? বললেন ২৫ বছর।
একটিও বেবী নেই? না।
উত্তর শুনে কিছুক্ষন বাকরুদ্ধ হয়ে ছিলাম।বললাম আপনার হাজব্যান্ড কোথায়?
বলল,নীচে রিসিপশনে গিয়েছে।
একটুপর একজন মধ্যবয়স্ক লোকের দিকে উনি ইশারা করে বলল উনিই আমার হাজব্যান্ড।
মুখ ভর্তি সাদা খোচা খোচা দাড়ি। মাথার চুলেও সিংহ ভাগ বার্ধক্যের ছাপ।
আমি তখন অনেক্ষন কেমন যেনো আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। ২৫ বছর ধরে এই মানুষ দুটি একটি সন্তানের আশায় প্রহর গুনছে। কিভাবে পার করেছে দু যুগেরও অধিক সময়। ভেবেই যাচ্ছিলাম।
কারন আমরাও যে এক নিঃসন্তান দম্পতী। আমি তো ৫/৬ বছরেই ব্যাকুল হয়ে পরেছি।
পি*রি*য়ড হলে কান্নাকাটি করে বুক ভাসাই। কিভাবে সম্ভব এতো বছর এভাবে পার করা।
ভাবতে ভাবতেই আমার সিরিয়াল আসলো।
ড*ক্টর সব রি*পোর্ট দেখে বলল:অনেক দিন ধরেই তো ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। বরের রি*পোর্ট তো ভালো আসছে না।এই রি*পোর্টে বাবা হওয়া পসিবল নয়।একটা কথা বলি আপনারা একটা বেবী দত্তক নিয়ে নিন।
কথাটা শুনে ভিতরে যেনো দু*মড়ে মু*চরে যাচ্ছিলো।
কিন্তু বরকে কিছুই বুঝতে দিচ্ছিলাম না। বাসায় আসলাম। দত্তক নেওয়ার বিষয়টি ভাবলাম।
আমি পর্দা করি। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি।
আর ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পালক সন্তান ঔরসজাত সন্তানের মত নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার সাথে পর্দার বিধান প্রযোজ্য হবে। তাই এই চিন্তে মাথা থেকে বাদ দিলাম।
আমার কোন বোন নেই। ছোট একটি ভাই আমার। একদিন মাকে কল করে কথায় কথায় ছোট ভাইয়ের কথা বললাম,মা ধরো আমার যদি বাচ্চা নাই হয়।
পালকও তো আনতে পারবো না। কারন বড় হলে দেখা দিতে পারবো না।
কিন্তু যদি ওর (ছোট ভাই) বিয়ের পর আল্লাহ দিলে ওর সন্তান থেকে আমাকে একটা ছেলে দেয় তাহলে তো আমি ওর ফুপু হবো।দেখাও করা জায়েজ। এভাবে আমি ওকে নিজের সন্তানের মত লালন করে তুলবো। আর মেয়ে নিলে তো আমার বরের সাথে বড় হলে দেখা করতে পারবে না।
আমার মা আমার বাচ্চা সূলভ অদূর ভবিষ্যতের কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ ছিলো।কান্না জরানো কন্ঠে বলল,আল্লাহ তোমাকেই সন্তান দিবে মা।
তুমি দোয়া করতে থাকো।
ঘটনাটি ২০১৫ সালের।
আজ ২০২৩ সালের জুন মাস।
আমার ১৪ তম বিবাহ বার্ষিকী ১০ই জুন।
বৈবাহিক জীবনের ১৩ টি বসন্ত পার করলাম।১৪ তে পদার্পণ।
আজও আমরা ২ থেকে ৩ হতে পারিনি। এখনও প্রতিটি মাসে আশায় থাকি।মাস শেষে সুসংবাদ পাবো। কিন্তু না।আমার আশা আজও অপূরনীয়।
মাস শেষে যখন পিরিয়ড হয়ে যায়। পাথরের মত হয়ে যাই। এখন আর হাউমাউ করে কাঁদি না। চোখ ২টি ঝাপসা হয়ে আসে শুধু।মুখ ফুটে কোন আওয়াজ বের হয়ে আসে না।
এই ১৪ বছরে কত ডাক্তার কত গাছন্ত ঔষধ, কত কি কি করেছি কত টাকা ভেংগেছি তার কোন হিসেব নেই।
জীবনের এই সময় এসে আমার মনে পরে সেই মহিলার কথা যে ২৫ পরেও মা হতে পারিনি।
সেদিন কি আমি ভেবেছিলাম আমিও ১৪ বছরে সন্তানের মুখ দেখবো না। এই ১৪ সংখ্যা টি ভবিষ্যতে কত সংখ্যায় রুপ নেয় সেটাও জানিনা
জানিনা কতদিন বাঁচবো? কিভাবে কাটবে আমার এই নিঃসন্তান জীবন?
একাকিত্ব ,বিষন্নতা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়।
স্বামীর প্রতি আমার বিন্দুমাত্র কোন অভিযোগ নেই। বড্ড ভালোবাসি এই মানুষটাকে।
একবার এক ড*ক্টর আগের জনের মতই রি*পোর্ট দেখে বলে দিল, নরমালি পসিবল না।আইভিএফ করেন হলে হতেও পারে। আরো কিছু হতাশাজনক কথাবার্তা। সেদিন আমার স্বামী আমাকে বলেছিলো,তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে? ..
তোমাকে ছাড়া কিভাবে বাচঁবো আমি?
তবুও তোমার অধিকার আছে মা ডাক শুনার।যদি তুমি মনে করো আমায় ছেড়ে অন্যত্র কারো বাহুডোরে আবদ্ধ হলে তুমি মা হতে পারবে।তাহলে তোমায় আমি আটকাবো না।
তোমাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।
কথা গুলি উনার মুখ থেকে বের হয়ে আমার কলিজাটাকে যেনো ছিদ্র করে ফেলছে। চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে এলো।উনার মুখের দিকে তাকিয়ে উনার হাত দুটিকে আমার হাতে মুষ্ঠিবদ্ধ করে নিয়ে বললাম।
এই চিনলেন আমাকে?
এক যুগেরও বেশী সময় পার করলাম একসাথে।
এটা সত্য যে আমি সন্তানের মা হতে চাই।কিন্তু যার বাবা হবেন আপনি।আমি আপনারই সন্তান গর্ভে ধারন করতে চাই। আপনাকে ছাড়া আমার পৃথিবীটা অন্ধকারাচ্ছন্ন।
আপনি আমার জন্য প্রভুর দেয়া এক বিশেষ নেয়ামত।
সন্তানের জন্য এই নেয়ামত আমি হারাতে চাই না।
আমার মা আর ছোট ভাই ছাড়া আমার আত্নীয় কেউ জানে না আমার বরের প্র*ব্লেম এর কথা।
জানাতেও চাই না। থাক না কিছু কথা গোপনীয়।
যেই মানুষটিকে উন্মাদের মত ভালোবেসে হৃদয়ের মনি কোঠায় জায়গা দিয়েছি, চাই না তাকে অন্যের সামনে ছোট করতে।
আসলেই মানুষটার প্রতি আমি মুগ্ধ। এই মুগ্ধতায় বিভোর থাকতে চাই আমি আজীবন।
এমন নয় যে,উনার প্র*ব্লেম বলে উনি আমার প্রতি অমায়িক।
প্রব্লেম তো জানতে পারছি ৫/৬ বছর পর।কিন্তু ৫/৬ বছর তো আমি মানুষটাকে দেখেছি।কতটা ভালোবাসে ,কেয়ার করে আমায়।
উনি মাসজিদের ইমাম। মহল্লার থেকে খানা দেয় উনাকে। আমি মাদ্রাসায় জব করতাম।বোর্ডিং এর খানা আমার জন্য কষ্ট হবে ভেবে নিজের খানা থেকে বাঁচিয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসতো।নিষেধ করেলে বলতো,খাওয়ার সময় তোমার কথা মনে হয়।কি করবো বলো?
একদিন এক ছেলেকে দিয়ে টিফিন পাঠিয়ে দিয়ে কল করে বলতেছে,টিফিন খুলে খানা দেখলে বুঝতে পারবা।তোমাকে রেখে খাওয়ার সময় আমার কেমন লাগে?
আমি টিফিন খুলে দেখলাম কই মাছ ভাজা,আর কি তরকারী যেনো মনে নেই। উনার কথার মর্ম তেমন কিছুই বুঝলাম না।কিন্তু যখন মাছ প্লেটে নেওয়ার জন্য হাত দিলাম তখন বুঝলাম।
কারন মাছের এক পিঠ খাওয়া ছিলো।আরেক পিঠ উনি আমার জন্য রেখে দিছে।
অনেক সময় তরকারী, ভাজি এই গুলির মাঝে ভাত ভরানো দেখতে পেতাম।মানে খাওয়ার জন্য প্লেটে নিয়েও আমার জন্য উঠিয়ে রেখে নিয়ে আসতো।
অনেকের কাছে এই বিষয় গুলি খুব তুচ্ছ।
কিন্তু আমি সেই ভাজা মাছেও আমার স্বামীর ভালোবাসার খুজে পেয়েছি।
এই ১৪ টি বছরে আজও কোন কারনে উনি আমাকে "তুই" বলে সম্ভোধন করেনি।কখনো গায়ে হাত তুলে নি। কোন বিষয় নিয়ে আমার রাগ থাকলে আমি কিছু বললেও উনি চুপ করে থেকে আমাকে বুঝায়। নিজেকে উনি দূর্বল ভেবে এমন।বিষয়টা এমন নয়।উনি মানুষটাই এমন।সবাই বলে অনেক ভাগ্য করে নাকি এমন স্বামী পাইছি।
এই মানুষটার সাথে একই বিছানায় আমি বৃদ্ধা হতে চাই।
সেই বিছানায় আমরা বুড়ো বুড়ি আমাদের নাতী নাতনীদের নিয়ে খেলা করতে চাই।
আদৌ আসবে কি সেই দিন?
হতে পারবো তো এক রত্নগর্ভা জননী ?
নির্ঘুম রাত।ফুপিয়ে ফুপিয়ে নিঃশব্দে কান্না করার দিন শেষ হবে কবে?
একজন নিঃসন্তান নারীর মনের ভিতরে বয়ে যাওয়া যন্ত্রনা বুঝার ক্ষমতা কাহারো নেই।
আমি কল্পনায় আমার সন্তান,আমার মাতৃত্বকে ভেবে যাই প্রতিনিয়ত।
কিন্তু বাস্তবতায় যখন ফিরে আসি তার কোন অস্তিত্ব আমি খুজে পাই না। আমার চারপাশটা ভিষন রকম একা।
বিছানায় নিজের পাশে হাত বুলিয়ে এখানে ছোট এক অবুঝ শিশুর হাত পা নাড়িয়ে খেলা করার দৃশ্য আমি দেখতে পাই।
কিন্তু সেটা কল্পনা।
"আমার মাতৃত্ব কল্পনাতেই সুন্দর"
কা"বার মালিক চাইলে এই কল্পনা একদিন বাস্তবে রুপ নিবে। এই আশা বুকে নিয়েই দিন গুলি পার করছি।
আমি দেখছি আমার বরের রিপোর্ট থেকেও অনেক খারাপ রিপোর্ট নিয়ে অনেক মেয়েদের মা হতে।
আমি আমার প্রভুর কাছে আশাবাদী তিনি আমাকেও নৈরাশ করবেন না।
তুমি তো ঐ প্রভু আমার । মারিয়াম আঃকে কুমারী অবস্থায় পিতা ছাড়া পুত্রের জননী করেছিলে তুমি।
তুমি সর্বক্ষমতার অধিকারী।
তুমি আমাকেও সন্তান দিতে সক্ষম।
আমাকে এমন ভাগ্য দান করো যে,আমার মৃত্যুর পর যেনো আমার সন্তান আমার জন্য তোমার দরবারে মাগফেরাত প্রার্থনা করে।
সেদিনটির জন্য হলেও আমি মা হতে চাই।
Collected from 20 Minute Medical Daily( কফি পোস্ট ) (এক বড় আপুর আত্মজীবনী থেকে নেওয়া)

04/06/2025

"নারীর রূপ দেখে সবাই মুগ্ধ হয়!কিন্তু ভাগ্য ভালো না হলে সেই রূপও বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।

রূপসী হলেও ভুল মানুষ পাশে থাকলে জীবন বিষাদময়।তাই নারীর শরীর নয়-ভাগ্য সুন্দর হওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি!

31/05/2025

আজ ১৭ নম্বর আদালতের এজলাসে এক অদ্ভুত মামলা উঠেছে।

এক নারী, বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, হঠাৎ করে জানিয়ে দিলেন—তিনি আর সংসার করতে চান না। তিনি চুপচাপ নিজের মত বাঁচতে চান। সব সম্পর্ক থেকে নিঃশর্ত মুক্তি চান। কিন্তু বিপরীতে, তার স্বামী এই বিচ্ছেদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তার যুক্তি—মেয়ে বড় হয়েছে, সংসার অনেকটাই গুছেছে, এখন সময় শুধু দু’জন মিলে একসাথে কাটানোর। তবু অনুপমা, সেই নারীর নাম, তাঁর নিজের মত করে বাঁচতে চাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

শঙ্খনীল আর অনুপমা—এই দম্পতির গল্প অনেকেই জানে। সমাজে তারা ‘সুখী দম্পতি’র উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। পঁচিশ বছরের সংসার, একটি মেয়ে—সব মিলিয়ে বাইরের চোখে নিখুঁত পরিবার। অথচ, আজ অনুপমা দাঁড়িয়েছেন বিচ্ছেদের জন্য, কোর্টের রায় চেয়ে।

বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনার স্বামী কি অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িত?”

অনুপমার হাসি মিশ্রিত উত্তর, “আজও ওর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই ওর সবচেয়ে প্রিয়।”

“তাহলে কি কোনো নির্যাতন? গায়ে হাত তোলেন?”

“না। ওরকম কিছু না। আমি নিজেও আয় করি, একজন কর্মজীবী নারী—আমার ওপরে অত্যাচার করার সাহস হয়তো ওর হতো না,” বললেন অনুপমা।

“তাহলে কেন?” — বিচারকের এই প্রশ্নে যেন জমে থাকা এক নদীর জল একসাথে বয়ে গেল।

“আজকের ভালোটা দেখেই আপনি বিচার করতে চাইছেন, বিচারক মহাশয়। কিন্তু কেউ দেখেছে আমার গত পঁচিশ বছরের ক্লান্তি, প্রতিটি দিনের অভিমান, প্রতিটি রাতে চুপচাপ কাঁদা? আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ, ভালো বাবা, ভালো অফিসার। কিন্তু ভালো প্রেমিক? না, সে কোনোদিন হতে পারেনি।

আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এই সম্পর্কটা হবে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, যত্নে মোড়া। কিন্তু বিয়ের পর সেই প্রেমিক হারিয়ে গেল। বউ হওয়া মানে রান্না শেখা, কাজের ভার নেওয়া, শাশুড়ির অপমান সহ্য করা—এসবই যেন ‘স্বাভাবিক’ হয়ে গেল। আমি তখনও আয় করতাম, তবু সংসারের প্রতিটি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলাম এই আশায়—প্রেম ফিরে পাবো। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শাশুড়ির গঞ্জনা, শারীরিক কষ্ট, অফিস আর ঘরের চাপ—সবকিছুর মাঝেও আমি চাইতাম, আমার স্বামী একটিবার পাশে এসে বলুক, ‘চলো, আজ দুজন মিলে কাজ করি।’ কিন্তু সে চুপ থেকেছে।

সন্তান হওয়ার পর শরীরে কিছু বদল এল, চোখে ঘুমের অভাবে কালি, গায়ে ক্লান্তি—তখন আমি বুঝলাম, তার দৃষ্টিতে আমি কেমন যেন অচেনা। অফিসের চটকদার সহকর্মী তার কাছে হয়ে উঠলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু এক সংসার

26/05/2025

আমি কখনোই মেয়ের মা হতে চাইনা। একটা জীবন্ত পুতুলকে বছরের পর পর আদর যত্ন করে বড় করব। জীবনের সবটুকু ভালোবাসা রং দিয়ে তাকে রাঙিয়ে তুলব আর কোনো একদিন ভালোরাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেউ এসে নিয়ে যাবে কিন্তু কথা রাখবেনা এই বিষাদ কিভাবে সইব!😥
যে পুতুলটাকে মা এতো আদরে বড় করল তাকে কেউ এসে কথায়, কাজে আঘাত করবে কিন্তু আমি কোনো প্রতিবাদ করতে পারবনা সেই মা আমি কখনোই হতে চাইনা।
যে জীবনটাকে রঙিন করতে মায়ের জীবনের সবটুকু রং ঢেলে দেয়া হয় সেই জীবনটাকে এসে কেউ একজন বিবর্ণ করে দিবে কিন্তু আমি তো মেয়ের মা কোনো কথাই বলা যাবে না সেই মা কখনোই হতে চাইনা!💔😓

একটা হাতি আর একটা কুকুর একই সাথে প্রেগনেন্ট হলো। ৩ মাসের ব্যবধানে কুকুরটি ৩টি ছানা প্রসব করলো। ৬ মাস পরে কুকুরটি আবার প্...
08/05/2025

একটা হাতি আর একটা কুকুর একই সাথে প্রেগনেন্ট হলো। ৩ মাসের ব্যবধানে কুকুরটি ৩টি ছানা প্রসব করলো। ৬ মাস পরে কুকুরটি আবার প্রেগনেন্ট হলো আর নয় মাস পরে এক ডজন বাচ্চা প্রসব করলো। এই ভাবে পালাক্রমে চলতেই থাকলো। ১৮ তম মাসে, কুকুরটি হাতিটিকে বললো, "তুমি কি নিশ্চিত যে তুমি প্রেগনেন্ট? আমরা একই সাথে প্রেগনেন্ট হয়ে ছিলাম, এর মাঝে আমি ৩ বারে ডজন খানেক বাচ্চা প্রসব করেছি,আর সেগুলো এখন প্রাপ্ত বয়স্কও হয়ে গেছে, , কিন্তু তুমি এখনও প্রেগন্যান্ট" মা হাতিটি উত্তর দিলো, আমার পেটে কুকুর ছানা না, হাতি ছানা বেড়ে উঠছে, আমি দুই বছর পর পর বাচ্চা প্রসব করি, যখন বাচ্চাটা পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করে, পৃথিবীর মাটি বুঝতে পারে, যখন বাচ্চাটা বড় হয়ে রাস্তা পার হয়, লোকজন দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখে, যে বাচ্চাটা আমি পেটে ধারন করি, সেটা মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়।
গল্পটা এইজন্য বলা, যখন আসে পাশের মানুষের আশা পূরণ হতে দেখবেন, তাদের সফলতা দেখবেন, হতাশ হবেন না। নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সফলতা নির্ধারণ করে রেখেছেন, যখন আপনার জন্য বরাদ্দ সেই মুহূর্ত আসবে, পৃথিবী আপনার কাজের দিকে মুগ্ধ হয়ে থাকবে। অপেক্ষা করুন, পরিশ্রম করুন আর প্রার্থনা করুন.।
Collected

30/04/2025

আমরা শা*রী*রি*ক সম্পর্ক ছাড়া একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরিনা, এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই
কিন্তু মানুষটার কাছে যাওয়া যায়না...

দুজন মানুষ ১০০ স্কয়ার ফিট একটা রুমের ভেতর বছরের পর বছর থেকেও মাঝে মাঝে কাছে আসতে পারেনা!

আমি এরকম বেশ কিছু দম্পতিকে চিনি,
যারা বহু বছর পরও সংসারের মানে বুঝে উঠতে পারেনি!!

সংসার করতে করতে একসময় মানুষ ধরে নেয়,
একই বালিশে ঘুমানো,একই টেবিলে খাওয়া,
একই রুমে ঘুরাঘুরি করা আর মাঝে মাঝে সঙ্গমে অংশগ্রহন করাটাই হয়তো সংসার!! ব্যপারটা কি আসলে তাই?

তাহলে, কিছু সংসার কখনো কখনো টিকে না কেন???
তারাও তো একই বিছানায় ঘুমায়,একই টেবিলে খাবার খায়, একজন অন্যজনকে সঙ্গ*মে কো-অপারেট করে!
তবুও, সংসারগুলো ভাঙ্গে কেন???

তুমি একটা মানুষের সাথে আছো-পাশে আছো,
চোখের সামনে আছো-তবুও মাঝখানে একটা দূরত্ব থাকে... এই দূরত্বটা ভীষণ অন্যরকম___
বলা যায় না,বুঝানো যায় না,সহ্যও করা যায় নাহ ;
কারো বুকের উপর শুয়ে থেকেও
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব একা লাগে!!

"দাম্পত্য জীবনে আসলে আমি কি চাই?"
সবই চাই, যা যা সবাই চায়!!
তবে আমি সেটাও চাই ; যেটা অনেকেই বুঝতে চায় নাহ!!

সংসার মানে আসলে অভ্যাস,
এই কনসেপ্টটা থেকে আমরা কেন জানি বের হতে পারি না ; অভ্যাস অবশ্যই, তবুও সবই কি অভ্যাস?
নতুন কিছুই কি থাকে না???

আমরা একই ছাদের নিচে থাকি,
অথচ কখনো একসাথে আকাশ দেখি না...
কখনো সমুদ্র পাড়ে বসে কফির মগ হাতে নিয়ে নির্ভরশীলতার কাঁধে মাথা রাখি না!!

আমরা কখনো জিজ্ঞাসা করিনা
"তুমি কেমন আছো?/তোমার মন খারাপ কেন?"
আমরা হাত ধরে বসে থাকি না!
আমরা সঙ্গম ছাড়া একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরি না!!

আমরা কিছুতেই বুঝতে চাই না যে-আমার সমস্ত সময় তার সাথে কাটানোর পরও তাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন!!

আমরা হয়তো শরীরের দিক থেকে কাছে আসি রোজ ; অথচ,আমাদের মনের দূরত্ব বেড়েই চলে...

রান্না করার জন্য দিদি রাখলেও হয়,
সঙ্গমের জন্য পতিতাই এনাফ ;
তবুও সংসার কেন করা লাগে বলতে পারেন??
সংসারের ডেফিনেশনটা শুধু নিঃশ্বাসের আদ্রতা অনুভব করার মাঝেই সীমাবদ্ধ না,এর বাইরেও অনেক কিছু থাকে!!

আমি একা! তুমি একা! আমরা একা! প্রচন্ড রকমের একা!!

অথচ___
"দিনশেষে আমার একটা আশ্রয় প্রয়োজন হয়,
একজন ব্যক্তিগত মানুষ প্রয়োজন হয় ;
একটা নির্ভরশীলতার জায়গা প্রয়োজন হয়...
সমঝোতা প্রয়োজন হয়, কারো কন্ঠস্বরে আমার জন্য
গভীর ভালোবাসার প্রয়োজন হয়!!

একটা পবিত্র স্পর্শ প্রয়োজন হয়,
এই

30/04/2025

শোনো
আমাকে ভালোবাসো মানে
যতক্ষণ আমি জেগে আছি
আমাকে সঙ্গ দিতে হবে

আমাকে ভালোবাসো মানে
পাবলিক প্লেসে তোমার গাঁয়ে ঢলে পরলেও
তোমার প্রশয় দিতেই হবে

আমাকে ভালোবাসো মানে
আমার ইমম্যাচিউরিটি
সহ্য করতে হবে তোমাকেই

আমাকে ভালোবাসো আর
এসবের কিছুই সহ্য করতে পারবে না
তবে ভালোবাসার প্রয়োজন নেই।💜

24/04/2025

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হলো মা ও মেয়ের সম্পর্ক🥰 মেয়ে জানে, পৃথিবীর সবাই তাকে কষ্ট দিলেও, একমাত্র মা তাকে কখনোই কষ্ট দিবে না💝

Address

Bogura

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farha Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share