06/12/2023
ভাইফোঁটা (Bhai Fota) হলো বাঙালির একটি জনপ্রিয় উৎসব। বাঙালি তথা হিন্দু সনাতন ধর্মের সাথে যুক্ত বারো মাসে তেরো পার্বণ এর মধ্যে ভাইফোঁটা অন্যতম। ভাই ও বোনদের মধ্যে মেল বন্ধন এর পবিত্র উৎসব হলো ভাইফোঁটা।
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর।
ঋক বেদ অনুসারে সূর্য দেবতার যমজ সন্তান হলো যম ও যমুনা।পরবর্তীতে এই যম হল মৃত্যুপুরীর রাজা অর্থাৎ যিনি যমরাজ নামে পরিচিত। কিন্তু বহুদিন যম এবং যমুনার সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণে যমুনা যমকে মর্তলোকে আসার আমন্ত্রণ দেন।
যমুনার এই ইচ্ছা পূরণের জন্য যম বোনের বাড়িতে আসেন। অনেক দিন পর ভাইকে কাছে পেয়ে যমুনা তার ভাইয়ের জন্য মিষ্টি, লুচি, পায়েস ইত্যাদি পদের আয়োজন করেন। তারপর ফেরার সময় যমুনা যমকে ফোঁটা পরিয়ে দেয়।
তখন যম খুশি হয়ে বোনকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, প্রতিবছর কার্তিক মাসের এই শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে যমুনার কাছে ভাইফোঁটা নিতে আসবেন। সেই থেকে রীতি মেনে পৃথিবীতে প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটার প্রচলন হয়ে থাকে।
শ্রীকৃষ্ণ ও সুভদ্রার ভাইফোঁটা
পুরান মতে নরকাসুর নামে এক কুখ্যাত দৈত্যকে বধ করার পর, যখন শ্রীকৃষ্ণ বিজয় উৎসব করতে করতে তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন। তখন সুভদ্রা কৃষ্ণকে বিজয়ী হিসেবে তার কপালে লাল চন্দনের ফোটা দিয়ে বরণ করেন এবং মিষ্টিমুখ করান। সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিন।
ভাইফোঁটার তাৎপর্য (Importance Of Bhai Fota)
প্রত্যেক বোনেরা তাদের দাদা বা ভাইদের দীর্ঘজীবী ও মঙ্গল কামনার জন্য এই ভাইফোঁটা করে থাকে।