Efty's Style

Efty's Style Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Efty's Style, Digital creator, Telihara,shakher kola., Bogura.

"আমাদের গ্রাম"লেখক: বন্দে আলী মিঞা আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘর,থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর।পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভা...
23/06/2025

"আমাদের গ্রাম"
লেখক: বন্দে আলী মিঞা

আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘর,
থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর।
পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই,
একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
হিংসা ও মারামারি কভু নাহি করি,
পিতা-মাতা গুরুজনে সদা মোরা ডরি।

আমাদের ছোটো গ্রাম মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ।
মাঠভরা ধান আর জলভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি।
আমগাছ জামগাছ বাঁশঝাড় যেন,
মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন।
সকালে সোনার রবি পূব দিকে ওঠে
পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে।
(সংগ্রহকৃ)

17/02/2025

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি লেখা।

সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, "Compound Interest হল এই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য্য"।
উনার এই কথার সাথে একমত হয়ে SUCCESS Magazine- এর Publisher Darren Hardy একটি বই লিখেন The Compound Effect নামে, যেটি The New York Times Bestseller.
এই বইটিতে কিছু চমৎকার Key Idea আছে যা আমাদের সবাইকে একটা Perfect Life Resolution বানাতে সাহায্য করতে পারে।
আচ্ছা বলুনতো,
কোন মানুষের Successful বা Failure হওয়ার পিছনে Root Factor হিসেবে কাজ করে কোনটা? তার ছোটবেলা, সে কিভাবে বড় হয়েছে, তার পরিবেশ নাকি অন্য কিছু?
লেখকের মতে সেই Root Factor হল তার নিজের নেয়া ছোট ছোট চয়েজগুলো।
এই পুরো পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যেটা যদি আমরা চাই তাহলে পুরোপুরিভাবে কন্ট্রোল করতে পারি, সেটা হচ্ছে আমাদের চয়েজ। আর এই চয়েজগুলোই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আউটকামের জন্য দায়ী।
আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অফিস থেকে ফেরার পর জিমে যেতে পারেন বা সোফাতে শুয়ে টিভিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান কোন কারনে আপনার বউয়ের সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সবকিছু ভুলে পিছনে ফিরে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন বা আপনার ইগোকে প্রশ্রয় দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়েও আসতে পারেন।
এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোই আমাদের সবকিছুর আউটকামগুলোকে নির্ধারন করে: আপনি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবেন নাকি রোগের বয়ে বেড়াবেন, আপনি একটা দীর্ঘ এবং মধুর সম্পর্ক পাবেন নাকি আপনার মেয়েকে জবাব দিতে হবে কেন তার মাকে আপনি ডিভোর্স দিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা এরকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে বেশি মন দিই না, যদি আমি আপনাকে এখন দুটো অপশন দেই: আপনাকে এখন ১ টাকা দিব যেটা আগামী ১ মাস প্রতিদিন দিগুন হবে অথবা এখনই একবারে ১০ কোটি টাকা দিব; তাহলে আপনি এর মধ্যে কোন অফারট নিতে পছন্দ করবেন।
বেশিরভাগ মানুষই, হয়তো প্রায় সবাই ২ নাম্বার অপশন অর্থাৎ ১০ কোটি টাকাই নিবে। আচ্ছা তাহলে আমি ১ নাম্বার অফারটা নিজের কাছে রেখে দিলাম। এবার দেখা যাক ১ মাস পর এর আউটকাম কি আসে।
৫ দিন পর আমার কাছে আছে ১৬ টাকা আর আপনার কাছে ১০ কোটি। ১০ দিন পর আমার কাছে আছে ৫১২ টাকা আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি। ২০ দিন পর আমার কাছে ৫,২৪,২৮৮ আর আপনার কাছে সেই ১০ কোটি টাকা। আপনি এত টাকায় অনেক মজাতেই আছেন।
এবার ৩১ দিন পর আপনার কাছে আছে এখনো সেই ১০ কোটি কিন্তু আমার কাছ আছে ১০৭,৩৭,৪১,৮২৪ অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা। যেটা কিনা আপনার থেকে ১০ গুন বেশি।
এবার তো বুঝা যাচ্ছে আইনস্টাইন কেন Compound Interest ব্যাপারটাকে 8th Wonder of World বলেছেন। সাকসেস জিনিসটাও ঠিক এই প্যাটার্নটাই ফলো করে।
Darren Hardy বলেছেন, "After 31 months or 31 years, the person who uses the positive nature of the compound effect appears to be an overnight success."
যেমন রুপক অর্থে রাশেদ, বিজয়, জুয়েল তিন বন্ধুর উদাহরন দেখা যাক। তিনজনই একরকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই জায়গায় থাকে আর ইনকাম মোটামুটি একই রকম। আর হ্যা ধরা যাক তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে এবং সবারই ওয়াইফের সাথে একটু মনোমালিন্য চলছে।
নতুন মাস বা বছরের শুরু থেকে রাশেদ সবসময় যা করে সেটাই করতে থাকল, কারন তার মনে হয় এটাতেই সে খুশী আছে। হ্যা শুধু কখনো কখনো সবার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করা শুরু করল।
অন্যদিকে বিজয় একটি Daily Checklist বানিয়ে নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট Insignificant Positive Change আনা শুরু করল। যেমন-
১- প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একটা ভাল বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা পড়া।
২- প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার বা ফেরার সময় গাড়িতে বসে বা সুবিধামত সময়ে ৩০ মিনিট কোন Self Help/Motivational ভিডিও দেখা।
৩- নিজের ডেইলি ডায়েট প্ল্যান থেকে ১২৫ ক্যালরি কমালো।
৪- প্রতিদিন এক্সট্রা অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া।
৫- প্রতিদিন ১ মাইল হাটা।
৬- ব্যবসায়ীক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন অন্তত এমন ২/১ জনকে ফোন দিয়ে খোজখবর নেয়া বা সম্পর্কোন্নয়ন।
৭- নিজের বউকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র ১ দিন বাইরে ডিনারের জন্য যাওয়া।
এবার অন্যদিকে জুয়েল কিছু ছোট ছোট Insignificant Negative Change আনা শুরু করল। যেমন:
১- প্রতিদিন লাঞ্চে একটু করে জাংকফুড খাওয়া।
২- কাজের চাপের অজুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন জিম মিস দেয়া।
৩- প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ১ বোতল কোল্ডড্রিঙ্কস খাওয়া।
৪- টিভিতে ফেভারিট শো দেখার জন্য ইভিনিং ওয়াক বন্ধ করে দেয়া।
৫- সময়ের অভাবের অজুহাতে অফিসিয়াল যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া।
৬- ব্যস্ততার অজুহাতে বউয়ের সাথে বাইরে যাওয়াও বন্ধ করে দিল।
পরব্ররতী ৫ মাসে ৩ বন্ধুর তেমন কোন পার্থক্য দেখা গেল না। ১০ মাস পরেও একই। এবার বিজয় একটু একটু ফ্রাস্ট্রেট হতে লাগল। কেননা এখনো সে কোন পজটিভ রেজাল্ট দেখতে পায়নি তাও সে কোনরকমে জেদ ধরে চালিয়ে গেল, যেখানে জুয়েল কম কাজ করে জীবনকে উপভোগ করতে থাকল। আর রাশেদও খুশিতেই আছে।
কিন্তু ২৫ মাস পর হঠাৎই এদের মধ্যে কিছুটা বড় পার্থক্য দেখতে পাওয়া গেল, আর ২৭ মাস পর সেটা আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পাওয়া গেল।
And after 31 months the differences become poles apart.
রাশেদ এখন আরো বেশি কম্পলেইন করে সবার ব্যাপারে। সে বেশিরভাগ সময়ই Bore এবং Purposeless অনুভব করে।
জুয়েল রোজ একটু একটু জাংকফুড খেয়ে এবং জিম বাদ দিয়ে ১৫ কেজি ওজন বাড়ালো, সাথে নানান রোগব্যাধি। যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার ফলে বিজনেসের অবস্থাও খারাপ হতে লাগল। ফলস্বরূপ আর্থিক অবস্থাও খারাপ হয়ে গেল সেই সাথে বউয়ের সাথেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে ডিভোর্সের পর্যায়ে চলে গেল।
Small negative changes compounded for 31 months brought a horrific result.
এবার আসা যাক বিজয়ের ব্যাপারে। এই ৩১ মাসে সে প্রায় ৫০ টি বই এবং ৪৬৫ ঘন্টা উপকারী ভিডিও দেখে নিয়েছে যেটাতে তার Knowledge & Wisdom দুটোই আগের থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেল।
প্রতিদিন শুধু ১২৫ ক্যালরি কমিয়ে আর ১ মাইল হেটে ১৫ কেজি ওজন কমালো যে কারনে সে এখনো আগের মতই স্লিম আর হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন মাত্র ২ লিটার পানি খেয়ে মোট প্রায় দুই হাজার লিটার পানি খেয়ে নিল যা কিনা তার নিজের ভিতরে অনেক রোগকে বেড়ে ওঠা কমিয়ে দিল।
আর প্রতিদিন মাত্র দুইটা কল করে সে মোট ১৮০০ কল দিল যাতে সম্পর্ক ভালো হল ফলে বিজনেসও বাড়তে থাকল।
সপ্তাহে মাত্র একদিন বউকে ডিনারে নিয়ে গিয়ে মোট ১২৪ টা ডিনার ডেট করে ফেলল, যাতে তার বউ খুশী হল, নিজেদের সম্পর্কটাও মজবুত হল।
Strong insignificant changes compounded for 31 months brought an outstanding result for him.
কিন্তু!!
যদি সাকসেস পাওয়া এতটাই সোজা হয় আর আমরা সবাই প্রসেসটাও জানি, তাহলে কেন আমরা এই সূত্রটা ফলো করতে ব্যর্থ হয়ে যাই?
লেখকের মতে চারটি ফাঁদ আছে যার কারনে আমরা ব্যর্থ হই বা Consistency ধরে রাখতে পারি না।
1- Starting Results Are Invisible
ভাবুন যদি আপনি আজ একটা বার্গার খান আর পরদিন সকালে ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়ে ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা বার্গার খেতেন? অথবা আজ একটি সিগারেট খান আর পরদিন সকালে আপনি গলায় ক্যান্সার নিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে কি আপনি কোনদিনও একটা সিগারেট খাওয়ার সাহস করতেন?
কিন্তু সমস্যাটা হল শুরুতে কোন পরিবর্তনই চোখে ধরা পরে না। কিছু মাস বা কিছু বছর পর হঠৎ যেন রাতারাতি কিছু ভয়ানক ফলাফল সামনে এসে যায়, যতক্ষণে সেটাকে আটকানোর আর সুযোগ থাকে না।
এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে, "Every choice you make ignites a butterfly effect" মানে আপনাকে সতর্ক হয়ে প্রতিটা চয়েজ মন দিয়ে নিতে হবে।
2-Deceptiveness
লস এঞ্জেলসগামী কোন বিমান যদি ১ ডিগ্রিও Off Route হয়ে যায় তো সেই প্লেন লস এঞ্জেলস থেকে ১৫০ মাইল দূরে অন্য কোন দ্বীপে গিয়ে ল্যান্ড করবে। এবার আপনি ভাবুন যদি আপনিও নিজের জীবনে শুধুমাত্র ১ ডিগ্রীও Off Route হয়ে যান ১০ বা ১৫ বছরের জন্য, তাহলে জীবনের কোথায় গিয়ে ল্যান্ড করবেন!
এটা থেকে বাঁচার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা খুবই দরকার। যেমন একটা Daily Checklist যেটা একটা ফুটপ্রিন্টের মত আপনাকে On Track থাকার জন্য সাহায্য করবে। যদি আপনি কোন কারনে কিছুদিনের জন্য অফট্র‍্যাক হয়েও যান তখন এই চেকলিস্টটা আপনাকে অন ট্র‍্যাকে ফিরে আসার জন্য অনেকটা সাহায্য করবে।
3- Immediate Gratification
আপনার কাছে দুটো অপশন আছে, ডিনারের পর আপনি একটা হট চকলেট কেক খেতে পারেন বা শুধু ১ গ্লাস পানি খেতে পারেন। আপনি পানি বেছে নিলেন আর আপনার একটা বন্ধু নিল কেক। বন্ধু খুব আনন্দে ওই কেকটাকে আপনার চোখের সামনে মজা করে খেতে লাগল। আর এদিকে আপনি শুধু পানি খাচ্ছেন যেটার এতটুকুও কোন স্বাদ নেই। তখন কেমন লাগবে আপনার?
এটাই ফাঁদ!
যদি আপনি শর্ট টার্মে দেখেন তাহলে কোন ভাল চয়েজ বেছে নিলে তাতে আপনি কিছুই পান না কিন্তু যদি একটা খারাপ চয়েজকে বেছে নেন তাহলে আপনি অনেক খুশী আর মজা লাভ করেন।
Which is a great paradox.
যেমন Darren Hardy বলেছেন,
"Short term pleasures create long term pains and short term pains create long term pleasures.
জীবনে একবার তো আপনাকে কষ্ট করতেই হবে, আপনি এটাকে Skip করতে পারবেন না। এই কষ্ট দুই ধরনের হয়: Pain of Discipline এবং Pain of regret.
কিন্তু ডিসিপ্লিনের কষ্টে ওজন শুধু কয়েক গ্রাম এবং কিছুদিনের যেখানে রিগ্রেটের কষ্টের ওজন কয়েক টন এবং আজীবনের।
এবার চয়েজ আপনার।
4- What is easy to do is also not easy to do.
চেকলিষ্ট Maintain করা, প্রতিদিন শুধুমাত্র দুই বোতল পানি খাওয়া, ১ মাইল হাটা; এইসব কাজ করা খুবই সহজ।
হ্যা সহজ তো বটেই কিন্তু এটা করা অনেকটা মুশকিলও।
লেখক বলেছেন শুধুমাত্র একটা জিনিস এরকম আছে যেটা Successful এবং Unsuccessful দুধনের লোকেদের মধ্যেই Common, তাদের কেউই ভাল চয়েজটা বেছে নিতে ভালবাসে না।
হ্যা এটাই সত্যি!
হট চকলেট কেকের পরিবর্তে শুধু স্বাদহীন পানি খেতে কেউই ভালবাসে না, কিন্তু সাকসেসফুল লোকেরা তাও যেকোন ভাবে তাদের Will Power বা নিজের Why Power- কে কাজে লাগিয়ে সেই কাজটা করে নেয়।
যেমন মোহাম্মদ আলী বলেছেন,
"I hated every minute of training but I love being a world champion."
তো এই ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আপনার ওই Why টাকে খুজে বের করতে হবে। এই Why যত পাওয়ারফুল হবে আপনিও ততটাই পাওয়ারফুল হবেন।
So prepare a Checklist on daily basis, which will guide you throughout the year to stay on the right track.
One thing is fixed that you can never escape from the compound effect, either u earn it or you pay for it.

©

নিউইয়র্কে সাম্প্রতিক একটা শো-রুম চালু করা হয়েছে, যেটার নাম হলো "Husband for Sale"।এখানে বিভিন্ন ধরনের পুরুষরা রয়েছেন, মে...
14/07/2024

নিউইয়র্কে সাম্প্রতিক একটা শো-রুম চালু করা হয়েছে, যেটার নাম হলো "Husband for Sale"।
এখানে বিভিন্ন ধরনের পুরুষরা রয়েছেন, মেয়েরা এখান থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী স্বামী পছন্দ করতে পারবে।
সেখানের নিয়ম হলো--
(১) যেকোনো মহিলা সেখানে একবারই মাত্র প্রবেশাধিকার পাবেন।
(২) এখানে ৬টি ফ্লোর আছে এবং মহিলারা যেকোনো ফ্লোর থেকে নিজের স্বামী নির্বাচন করতে পারবেন।
তবে ২য় ফ্লোর অতিক্রম করে ৩য় ফ্লোরে গিয়ে যদি স্বামী পছন্দ না হয়, তাহলে ঐ মহিলা তার উপরের ফ্লোরে যেতে পারবেন, কিন্তু যে ফ্লোর তিনি ইতিমধ্যে অতিক্রম করে চলে গেছেন সেখান থেকে আর স্বামী নির্বাচন করতে পারবেন না। অর্থাৎ উপরের ফ্লোরের স্বামী পছন্দ না হলে পুনরায় নিচের ফ্লোরে এসে স্বামী পছন্দ করা যাবে না।
এক মহিলা নিজের জন্য স্বামী পছন্দ করতে গিয়ে দেখলেন...
১ম ফ্লোরে লেখা আছে- এখানের পুরুষরা চাকুরীজীবী ও তারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী।
মহিলাটি তারপর দ্বিতীয় ফ্লোরে গেলেন...
২য় ফ্লোরে লেখা আছে- এখানের পুরুষরা চাকুরিজীবী, ঈশ্বর বিশ্বাসী ও শিশু প্রেমিক।
মহিলাটি ধীরে ধীরে ৩য় ফ্লোরের দিকে অগ্রসর হলেন...
৩য় ফ্লোরে লেখা আছে- এখানের পুরুষরা চাকুরিজীবী, ঈশ্বর বিশ্বাসী, শিশু প্রেমিক ও খুব রুপবান।
মহিলাটি আরেকটু ভালো স্বামী নির্বাচনের আশায় ৪র্থ ফ্লোরে গেলেন...
সেখানে লেখা রয়েছে- এখানের পুরুষরা চাকুরিজীবী, ঈশ্বর বিশ্বাসী, শিশু প্রেমিক, রুপবান এবং তারা স্ত্রীকে গৃহ কর্মে সাহায্য করতেও আগ্রহী।
যতই উপরের দিকে যাচ্ছেন গুণধর স্বামীদের সন্ধান মিলছে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে মহিলা ৫ম ফ্লোরের দিকে পা বাড়ালেন...
সেখানে লেখা রয়ছে-
এখানের পুরুষরা চাকুরিজীবী, ঈশ্বর বিশ্বাসী, শিশু প্রেমিক, রুপবান, তারা স্ত্রীকে গৃহ কর্মে সাহায্য করতেও আগ্রহী আর তারা খুব রোমান্টিক ভাবনার পুরুষ।
এখানেই মহিলাটির শেষ গন্তব্য হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তবু তিনি ৬নং ফ্লোরে গেলেন আরো গুণধর স্বামীর সন্ধানের আশায়।
সেখানে লেখা রয়েছে- দুঃখিত এখানে কোনো স্বামী পাওয়া যায় না। এখানে নির্বাচন করার মতো কোনো পুরুষ নেই। এই ফ্লোরটা আমাদের শো-রুমের কোনো অঙ্গ নয়। এই ফ্লোরটা রাখা হয়েছে শুধু এটা প্রমাণ করার জন্য যে মেয়েদের সন্তুষ্ট করাটা কতো বড় একটা অসম্ভব ব্যাপার সেটা প্রমাণ করার জন্য!
মনে রাখবেন,,,
জীবনের চাহিদাকে যতো সীমিত রাখবেন....
জীবন ততোই শান্তিময় হবে....❤️❤️

21/04/2024

ইগো, অহংকার, রাগ এসবের মধ্যে আমরা বন্দি। অথচ সবার ভেতরেই একটা শিশু সুলভ মন আছে। যে মিশতে চায়। মিলে মিশে থাকতে চায়। কম্প্রোমাইজ করতে চায়। শিশুর মতোই একটু পরেই ভুলে যায় সবকিছুই। কারণ এই পৃথিবীতে আমরা অনেক একা। বড় একা।

তারা ভরা রাতে ছাদে শুয়ে নিরিবিলি আকাশের দিকে তাকালে বুঝা যায় কত ছোট আমাদের পৃথিবী। তার মাঝে কত কত ক্ষুদ্র আমরা।

ওই দিন আমার এক ফ্রেন্ড খুব হাইথট একটা কথা বলল। ওর কথাটা আমাকে অনেকক্ষন ভাবিয়েছে।

বলল, তোর হাতের মোবাইলটার মালিক তুই, মানে এই মোবাইলটা তোর কিন্তু মোবাইলটা কিন্তু তুই না। তেমনি এটা তোর হাত কিন্তু হাতটা তুই না। তোর হাতটা কেটে ফেলেও তুই বেঁচে থাকবি। এই পা, মাথা সব কিছুই তোর কিন্তু কোনটাই তুই না। তাহলে তুই কে? হু আর ইউ? হয়ার আর ইউ?

আমি কিছুক্ষন টাসকি খেয়েছিলাম। আসলেইতো আমি কে? আমার পরিচয় কি? আমার দেহের ভেতর তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোথাও আমাকে পাইনি। তার মানে জ্বীন ভুত মানুষের উপর যেভাবে ভর করে আমরাও এই দেহটার মধ্যে ভর করে আছি। ব্রেন আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে। আর ব্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করি আমরা। কিন্তু আমি কে? কোথায় আমি? আমার পরিচয় কি? হাকিম তো আমার দেহটার নাম।
তাহলে আমার হৃদয় ও মনের নাম কি?

পৃথিবীর জন্ম থেকে শুরু করে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর কেটে গেছে। সামনে আরো মিলিয়ন বছর হয়তো টিকে থাকবে। তার মাঝে আমরা মাত্র কয়েকটা বছর থাকব। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র কয়েক ন্যানসেকেন্ড আমাদের স্থায়িত্ব।

তবুও কেন এতো মারামারি, এতো হানাহানি, এতো লোভ, এতো লালসা? এতো বিভেদ, এতো ভেদাভেদ, এতো দূরত্ব?

নিজের পরিচয় জানিনা অথচ অন্যের জাত বংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলি। হাস্যকর না?

মানুষের দেহের গতি খুব বেশি না। কিন্তু মানুষটার গতি বিদ্যুতের চাইতেও বেশি। মানুষ চাইলে মুহুর্তেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা চলে যেতে পারে সেখান ধাম করে মঙ্গলগ্রহে।

মানুষ চাইলে পৃথিবীটাকে মুহুর্তেই ধ্বংস করে ফেলতে পারে আবার চাইলে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে।

ভাল থাকুক মানুষ। ইগো, রাগ, হিংসার হাজতে বন্দি না থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পরুক। একে অপরের সাথে আঠার মত লেগে থাকুক জয় হউক মানবতার।
🤙🤙❣️❣️
©

একটি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এমডি অবসরের ৫ বছর পর তার শহরের একটি শাখায় এসেছিলেন টাকা তুলতে।কেউ তাকে সালাম দিলো না, এগিয়ে এ...
19/03/2024

একটি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত এমডি অবসরের ৫ বছর পর তার শহরের একটি শাখায় এসেছিলেন টাকা তুলতে।কেউ তাকে সালাম দিলো না, এগিয়ে এলো না, কারণ কেউ তাকে চিনতে পারেনি। ব্যাংকটিতে যারা কাজ করছেন সবাই নতুন।

তিনি নিজেকে ঐ ব্যাংকের সাবেক এমডি হিসেবে পরিচয় দেন।পরিচয় পাওয়ার পর একজন অফিসার তাকে চা অফার করেন এবং কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেন, "অবসরের পর আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?”

সাবেক এমডি বলেন,"প্রথম ২/১ বছর খুব খারাপ লেগেছে।নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে।এখন আমি বুঝতে পেরেছি, দাবা খেলা শেষ হওয়ার পরে রাজা এবং সৈনিকদের একই বাক্সে রাখা হয়। পদ, পদবী, উপাধি, শান-শাওকাত সবই অস্থায়ী। মানুষের ভালোবাসাটা স্থায়ী, বিনয় ও সদাচরণ দিয়ে যা অর্জন করতে হয়।”

সময় যার যার জীবনের হিসেব বুঝিয়ে দেয়! এই সত্যটা সময় থাকতে আমরা বুঝতে চাই না! তাই আসুন সময়ের মুল্য দিতে শিখি। সময়ে যা করা প্রয়োজন, সেটার দিকেই বেশী মনোযোগী হই।

ফ্যানে ঝুলে আ"ত্মহ'ত্যা করেছি প্রায় আধঘন্টা পার হয়ে গেছে, এখন অব্দি কেউ বন্ধ ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়েনি। অথচ সবকিছু সুন্দ...
29/01/2024

ফ্যানে ঝুলে আ"ত্মহ'ত্যা করেছি প্রায় আধঘন্টা পার হয়ে গেছে, এখন অব্দি কেউ বন্ধ ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়েনি।
অথচ সবকিছু সুন্দর আর সহজ থাকলেও, এই মুহূর্তে আমার অফিস থেকে ফিরে বিকেলের চা খেতে খেতে পত্রিকা পড়ার কথা ছিলো! স্ত্রী সন্তান নিয়ে হাসিখুশি বিকেলের আড্ডা খুব একটা হয়নি।

রুমকির সাথে আমার যখন বিয়ে হয়, তখন অফিস থেকে ফেরার পর মাঝেমধ্যেই দুজনে মিলে বেশ সময় কাটাতাম।
-----------------
ছাপোষা কেরানীর চাকুরীতে তখন সবে সবে জয়েন করেছি, যেটুকু বেতন পেতাম তার কিছু নিজের হাতখরচ রেখে, বাকিটা অসুস্থ মা কে পাঠাতাম। সেবার ঈদে বাড়ি যাওয়ার পর মা'র ভীষণ পীড়াপীড়িতে, দুঃসম্পর্কের চাচাতো বোনের সাথে খুব ছিমছাম ভাবে বিয়েটা হয়ে গেলো।
গুনে গুনে বিয়ের ঠিক তিনদিন পর মা ওপারে চলে গেলেন। নতুন বিয়ে করা বউকে তো আর একলা বাড়িতে রাখতে পারিনা, নিয়ে আসলাম শহরে আমার এক কামড়ার ভাড়া বাড়িতে।

একা থাকা যেমন তেমন, কিন্তু সংসার সামলানো বিরাট ব্যাপার! আজ এটা লাগে তো কাল ওটা! তবুও দুজনের নতুন নতুন সংসার টেনেটুনে ভালোই চলে যাচ্ছিলো। এক কামড়ার বাসায় ঠিক সংসার টা গোছানো হয়ে ওঠেনা, তাই নতুন বাসা নিতে হলো। সবসময় সাধ্যমতো রুমকি কে খুশী রেখার চেষ্টা করেছি। তবু অভিযোগের শেষ ছিলোনা। ধীরে ধীরে দুজনে দুই সন্তানের বাবা মা হলাম।

আজকালকার দিনে সন্তান মানুষ করা ভীষণ কষ্ট। এতো খরচ সামলাতে আমার মতো ছা-পোষা কেরানীর হিমশিম খেতে হয়। খরচ বাড়ে, কিন্তু পকেটের টাকা বাড়েনা৷ দুটো টাকা বেশী কামানোর আশায় দু'তিন ঘন্টা বেশী সময় কাজ করি। ক্লান্ত এই নিজেকে টেনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রোজ নটা কি দশটা বেজেই যায়।

সেদিনও বাসে ঝুলে, ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে আলুথালু হয়ে বাসায় ঢুকেই দেখি মা মেয়েতে অসম্ভব চেঁচামেচি হচ্ছে! এ নিত্যনতুন কিছু নয়৷ প্রতিনিয়ত ছেলে মেয়ে দুটো হাড় চিবিয়ে খায়! ওদের কোনও সাধ ই তাদের বাবার সাধ্য বুঝে হয়না।

আমাকে দেখেও মা মেয়ে কেউই থামলোনা। আমি পাশ কাটিয়ে শোবার ঘরে এসে হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে বসতে না বসতেই, রুমকি শশব্যস্ত হয়ে ঘরে ঢুকলো৷ ওর চোখে মুখে প্রচণ্ড রাগ আর বিরক্তির ছাপ।
- হ্যাঁ গো, আমাকে না হয় চাকরানির মতে রাখসো,আমি কিছু বলিনা। ছেলে মেয়ে দুটোকেও কি ওরকম রাখবে নাকি? ওরাও তো বড় হইসে, ওদের ও তো অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। খেয়াল রাখো এগুলো কিছুর?
- কি হইসে, আমাকে একটু খুলে বলো তো। না বললে কিভাবে বুঝবো বলো?

- হ্যাঁ তোমাকে তো সব গিলে খাওয়াতে হয়! মেয়ের একটা ল্যাপটপ দরকার, ওদের কীসব কাজ করতে হয়, ওকে কাল পরশুর মধ্যেই কিনে দিবে। পিছিয়ে যাচ্ছে সবার থেকে।

-এখন কীভাবে কি? মাসের শেষ, টাকাও নাই হাতে, গত মাসেই তো অর্নব ফোন কিনলো ওটার ধার ই তো শোধ হয়নি। বোঝনা কেনো?

- এতো বুঝিনা বাপু, টাকা পয়সা না থাকলে, দুটো শখ আবদার মেটাতে না পারলে জন্ম দিসিলা কেনো ওদের?
- আচ্ছা দেখি কি করা যায়।

খেতে যাওয়ার কথা বলে রুমকি রুম থেকে বের হয়ে গেলো। হাতমুখ ধুয়ে খেতে গেলাম। আমার মেয়ে শশী চুপচাপ বসে আছে খাবার প্লেট নিয়ে। আমার দেখেই ভীষণ মায়া লাগলো। আসলেই কতো ছোট হতে হয় ওদের বন্ধুদের সামনে।
- কিরে মা খাচ্ছিস না কেনো?
- বাবা, খাওয়া গলা দিয়ে নামবেনা। মা নিশ্চয়ই তোমাকে বলেছে। আমার জিনিস টা প্রয়োজন দিবে মানে দিবেই। সবসময়ই কিছু দেওয়ার সময় দাওনা, তোমার টাকা থাকেনা। পরশুর মধ্যেই লাগবে আমার।

সাতপাঁচ না ভেবেই মেয়ে কে বললাম আচ্ছা মা দিবো।

পরদিন অফিস শেষে বিজয় সাহেবের কাছে গেলাম, উনার বেশ বড়ো এসবের দোকান। বেশ কিছুদিন আগেই অর্ণবের ফোন উনার কাছ থেকে কিনেছিলাম। কমদামের কিছু ল্যাপটপ দেখাতে বললে, উনি আমাকে কিছু সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ দেখান। কিছু টাকা উনাকে দিয়ে বাকিটা বাকিতে রেখে, শেষমেশ সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ ই কিনে বাড়িতে আসি।

বারবার মনে হচ্ছিলো আহারে মেয়েটা আমার কতো খুশি হবে!
বাড়ি ফিরতেই শশী খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে ব্যাগটা খুলে। কিন্তু সাথে সাথেই মন খারাপ হয়ে যায় ওর!

-এটা কি এনেছো বাবা?? পারবেনা বললেই পারতে, এসব ব্যবহার করা জিনিস কেনো আনবে? এরকম ছোটলোকি করার কোনও মানে হয়না!
মেয়ের এরকম হতবুদ্ধি হয়ে বেয়াদবি করাটা আমি ঠিক নিতে পারিনি। ঠাস করে মেয়েকে সজোরে চড় বসিয়ে দেই।
রুমকি দৌড়ে এসে এ অবস্থা দেখে প্রচন্ড রেগে গেলো!
- নিজে না হয় ফকির এর মতো জীবন কাটাইসো!আমার বাচ্চাগুলাকেও ফকির বানায়ে রাখসো! লাগবেনা তোমার দুই পয়সার জিনিস। চুরি করে হলেও বাপ সন্তানের আশা মেটায়, আর তুমি? আরেক মানুষের ব্যবহার করা জিনিস নিয়ে আসলা? লাগবেনা। শখ পূরন করতে না পারলে মরে যাওনা কেনো?
বলেই সদ্য কিনে আনা ল্যাপটপটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো রুমকি!

চোখের সামনেই ভেঙে ফেললো, এখনো শোধ না হওয়া জিনিসখানা! শাপ শাপান্ত করতে করতে মেয়েকে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো রুমকি।

জানিনা কেনো, অসম্ভব অপমান বোধে আমি চোখের পানি আটকে রাখতে পারছিলাম না!
বার বার মনে হচ্ছিলো কেনো করছি এতসব? কিসের জন্য দু'দন্ড আমি নিজেকে বিশ্রাম দেই না! কেনো এতো পরিশ্রম! সবার কাছে ছোট হয়ে এর ওর থেকে ঋণ করে সংসার চালাই! কাদের জন্য? যাদের কাছে আমার ছিটেফোঁটা সম্মান নেই? শুধু কি দেয়া নেয়ার সম্পর্ক?!

দরজা বন্ধ করে দিই। ফ্যানে ঝুলে আছি আধঘন্টা পার হয়ে গেছে। কেউ আসেনি এখনো! আচ্ছা দেখার পর কি শশী অনেক কাঁদবে? রুমকি কি আছড়ে পড়বে আমার ওপর?!

পরুক, তবু আমি জানবো, এখানে কোন ভালোবাসা ছিলোনা, শুধু দেয়া নেয়া ছিলো!

#ছোটগল্প
লেনাদেনা!
জুবেল আহমদ

19/11/2023

লেখক এর লেখার চাইতে আবৃতি অন্য রকম প্রান সঞ্চার করে@Abbriti@Monmon@viral@facebook_short

ফ্রান্ৎস কাফকা কখনো বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের পার্কে হাঁটছি...
24/10/2023

ফ্রান্ৎস কাফকা কখনো বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের পার্কে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখলেন যে তার প্রিয় পুতুলটি হারিয়ে কাঁদছিল। সেই মেয়েটি এবং কাফকা, দু’জনে মিলে খুব খুঁজলেন হারিয়ে যাওয়া পুতুলটিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তা।
কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তাঁরা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে।
কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন কাফকা ছোট্ট মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, ‘এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’। সে চিঠিতে লেখা ছিল, ‘দয়া করে তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনী তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’
এভাবেই শুরু হয়েছিল একটি গল্পের, যা চলেছিল কাফকার মৃত্যু পর্যন্ত।
ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কাফকার নিয়মিত দেখা হতো। আর যখনই দেখা হতো তখনই কাফকা একটি চিঠি দিতেন মেয়েটিকে, বলতেন সেই একই কথা, ‘চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’, এবং পড়ে শোনাতেন তার প্রিয় পুতুলের বিশ্ব-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা খুব যত্নের সাথে, যে বর্ণনাগুলো মেয়েটিকে ভীষণ আনন্দ দিত।
এর কিছুদিন পর একদিন কাফকা একটি পুতুল কিনলেন এবং মেয়েটিকে দিলেন। বললেন, ‘এই নাও, তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল।’
মেয়েটি বললো, ‘এই পুতুলটি মোটেও আমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের মতো দেখতে নয়।’
কাফকা তখন মেয়েটিকে আরও একটা চিঠি দিলেন যেটাতে তার প্রিয় পুতুলটি তাকে লিখেছে, ‘ভ্রমণ করতে করতে আমি অনেক পাল্টে গিয়েছি।’
ছোট্ট মেয়েটি তখন নতুন পুতুলটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল এবং অপার আনন্দে ভাসল।
এর এক বছর বাদে কাফকা মারা যান।
বহু বছর বাদে, সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন অনেক বড় হয়ে গেছে, তখন সে সেই পুতুলটির ভিতরে একটি ছোট্ট চিঠি পায়। কাফকার সই করা ছোট্ট সে চিঠিটিতে লেখা ছিল, ‘Everything you love will probably be lost, but in the end, love will return in another way.’ ....
★ফ্রান্ৎস কাফকা ছিলেন একজন জার্মান ভাষার উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক। স্বল্পায়ু নিয়ে জন্মানো এই লেখক সম্বন্ধে এই লেখাটি আজ ইন্টারনেটে পড়লাম। পড়ার পর আচ্ছন্ন হয়ে রইলাম অনেকটাক্ষণ। তারপর ভাবানুবাদ করলাম যারা এখনও গল্পটি পড়েননি তাদের জন্য।★

রিপোষ্ট:অনলাইন থেকে প্রাপ্ত।

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস্ উঠেছে।  এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান,...
12/10/2023

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস্ উঠেছে। এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান, নিঃশর্তে। অথচ, স্বামী তার স্ত্রীকে কিছুতেই ছাড়তে চান না।

বিষয়টা এইরকম - চাকরিরতা স্ত্রী, বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছে, হঠাৎ করেই ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন যে, আর সংসার ক'রবেন না তিনি। সংসার করতে তার আর ভালো লাগছে না। তাই, সব কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে নিঃশর্তে ডিভোর্স চাইছেন দাম্পত্য জীবন থেকে। কিন্তু স্বামী চান, স্ত্রীর সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাটাতে। একমাত্র মেয়ে তার নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত, তাই জীবনের বাকি সময়টা স্ত্রীয়ের সাথে একান্তে, আনন্দে কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

কোর্টের চত্বরে বিশাল কৌতূহল - বিচারক কার পক্ষে রায় দেবেন। কার দলিল কতটা পোক্ত জেতার জন্য।

শঙ্খনীল আর অনুপমা, দাম্পত্য জীবনের পঁচিশ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন একসাথে। একটি মাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের সংসারে কেউ কখনো অশান্তি দেখেনি। বাইরে থেকে সবাই জানতো এরা সবাই সুখী। এমনকি, শঙ্খনীল-অনুপমার বন্ধুমহলে ওরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সেরা দম্পতির একটা উদাহরণও ছিল। সেই দম্পতির এমন কাহিনী যেন মেনে নেওয়া যায় না। পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে যখন মানুষ রজত জয়ন্তী বিবাহবার্ষিকী পালন করেন, ঠিক সেই সময়েই অনুপমার এমন আইনি আপিল।

বিচারক জিজ্ঞেস ক'রলেন অনুপমাকে, "আপনার স্বামী কি পরকীয়া করেন ? "

অনুপমার উত্তর, "বর্তমানে আমার স্বামীর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই তার সবচেয়ে কাঙ্খিত নারী।"

বিচারক আবারও জিজ্ঞেস করেন, "তাহলে উনি কি অত্যাচারী ? ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হয় আপনার সাথে ?"

অনুপমা হেসে ব'ললো, "মোটা টাকা মাইনে পাওয়া বৌয়ের ওপরে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স করতে পারেন কোনো স্বামী ? আমার মনে হয় না, সে ক্ষমতা কোনো স্বামীর থাকতে পারে বলে ?"

"তাহ'লে কেন ডিভোর্স চান আপনি আপনার স্বামীর থেকে ? আপনার সাথে কোনো খারাপ কিছু না হ'লে তো আর শুধু শুধু একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন না আপনি ?"

বিচারকের এমন প্রশ্নে অনুপমা উত্তর দিতে শুরু করলো, "আজকের ভালোটুকু দেখেই আপনি বিচার করবেন ধর্মাবতার ? আমার বিগত পঁচিশ বছরের প্রত্যেকটা দিনের কষ্ট, গ্লানি, চোখের জল, অমানসিক শারীরিক পরিশ্রম - তার কি কোনো মূল্যই নেই ?

কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম আসে আমার জীবনে। দীর্ঘ সাত আট বছরের প্রেমের পরে আমাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরেই দেখলাম, আমার স্বামীর মধ্যে থেকে সেই প্রেমিক হারিয়ে গেলো। সে তখন আমাকে তার মায়ের সাথে আপোষ করে চলার শিক্ষা দেয়, রান্না শিখে নিতে বলে, তার রোজকার জীবনের বহুকাজ আমার উপরে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে স্বামী হওয়ার মজা লুটতে শুরু করেন। স্বামীর মায়ের কাছে আমি তখন একজন তুচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র, যাকে রোজ অতি তুচ্ছ কারণে হেনস্থা, অপমান করে আমার শাশুড়িমা মজা লুটছেন আমি কিন্তু তখনও চাকুরীরতাই ছিলাম, ছিলাম অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি সাবলম্বী। তবুও স্বামীকে কাছে পাবার লোভে শাশুড়িমায়ের দেওয়া সমস্ত গ্লানি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। লোভ ছিল একটাই, আমার স্বামীর মধ্যে যে প্রেমিক মানুষটি আছে সে তার প্রেম দিয়ে আমায় ভরিয়ে রাখবে। যতই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হই না কেন, বাজারে তো আর প্রেম বিকোয় না, যে অর্থ দিয়ে তা' কিনে নেবো। তাই নিজের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে, তার সংসারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে, তার মায়ের সামনে নিজেকে চরম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করে আমি সেই প্রেমিকের প্রেম পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি আমি সেই প্রেম।সেই প্রেমিক ভালোবাসার কবরে চাপা পড়ে গিয়ে একজন স্বামীকে ফিরিয়ে দিলো আমার কাছে, যে খুব ভালো সন্তান, যে খুব ভালো ভাই, আবার যে খুব ভালো বাবা, ভালো বন্ধু এমনকি ভালো বসও প্রমাণিত হলো।শুধু হতে পারলো না আমার প্রেমিক। ভালো প্রেমিক চাইনি,, প্রতিপত্তি থাকা, অর্থবান প্রেমিকও চাইনি। শুধু সামান্য একজন প্রেমিককে চেয়েছিলাম যার বিশাল হৃদয়টা শুধু আমার জন্যেই তোলা থাকবে, কিন্তু কিছুই হয়নি।

আমি সেই মানুষটার ভালোবাসার বাঁধনে পড়ে তার সন্তানের মা হলাম। সংসার, সন্তান, চাকরি -- সবকিছু সামলাতে গিয়ে যখন আমি নাজেহাল, যখন প্রতিদিন প্রতি ক্ষনে আমার শাশুড়িমায়ের গঞ্জনায় আমি অতিষ্ট, তখন আমার প্রেমিককে একটু পাশে চেয়েছিলাম, যে আমার পিঠের ব্যথায় তার হাতটা বুলিয়ে দেবে, যে অফিস শেষে তার ক্লান্ত শরীরটা নিয়েই আমার ক্লান্ত শরীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলবে, "চলো, আজ দুজনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলি। আমি মানা করলেও সে বলবে, "ক্লান্ত তো দুজনেই, অফিস তো দুজনেই ক'রেছি, তাহলে ঘরের সবটুকু তুমি একা ক'রবে কেন ?! "

আমি চেয়েছিলাম সেই প্রেমিককে যে তার মায়ের গঞ্জনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, "এর চেয়ে বেশি কিছু আমার অনুপমা করতে পারবে না। তুমি ওকে অপমান করবে না। ভুলে যেওনা, অনুপমা শুধু আমার স্ত্রীই নয়, সে আমার ভালোবাসাও। "

সে বলেনি ধর্মাবতার, আমার হয়ে একটি কথাও খরচ করেনি সে | বরং বাচ্চা হওয়ার পরে যখন তখন আমার শরীরে, পেটে স্ট্রেচের দাগ, পেটটা মোটা, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখের কোণে কালি পড়ে গেলো, তখন আমার সেই কুশ্রী চেহারাটাকে সে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। তার কাছে সে সময় চেহারায় চড়া রঙ মাখা অফিস কলিগটির দুঃখ ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসের পরেও বাড়ি ফিরে এসে তার সাথে চলতো ফোনে বার্তালাপ। আমি সব দেখেও চুপ ছিলাম। বহুবার আমার স্বামীর কাছে কাকুতি মিনতি করে বলেছি -- "আমি তোমার প্রেমিকা হতে চাই। কিন্তু আমার স্বামী তখন অন্য মহিলার মধ্যে প্রেমিকা খুঁজতে ব্যস্ত। আমি তবুও যাইনি আমার স্বামীকে ছেড়ে, বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম -- যদি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকটাকে ফিরে পাই কোনোদিন, এই আশায়।

মেয়েকে নিয়ে আমি তখনও আলাদা হতে পারতাম, কিন্তু হইনি। কারণ, আমি চাইনি, আমার সন্তান তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক। কিন্তু আমার স্বামী কি ভেবে দেখেছিলেন, তার প্রেম, তার ভালোবাসাকে যদি আমি তার মতোই অপমান করতাম, বেচে আসতাম অন্য কোনো পুরুষের কাছে, তাহলে তার কেমন লাগতো? সে ভাবেনি ধর্মাবতার, সে কোনোদিন আমার জায়গায় তাকে বসিয়ে ভাবেনি, আমার কষ্টটা কোথায়? বরং আমার কিঞ্চিৎ প্রতিবাদও তার পৌরুষকে নাড়িয়ে দিতো। আমার সিঁথিতে এক চিলতে করুণার সিঁদুর দিয়েছে বলে সে বহুবার অতি সহজে বলতে পেরেছে , "বৌ, বৌয়ের মতো থাকবে। "

হ্যাঁ, ধর্মাবতার , "বৌ".... বৌ হ'য়ে বেঁচে থাকতে হ'য়েছে আমায়, প্রেমিকা হতে পারিনি। একমাত্র মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব একা বয়ে চলেছি, নিঃশব্দে, যতই কষ্ট হোক না কেন আমার, মুখ ফুটে বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম আমার সব অনুরোধের একটাই উত্তর আসবে, "পারবো না !"

আমার স্বামী আমাকে সেরা বৌয়ের শিরোপা দিয়েছেন তার বন্ধুমহলে। গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেছেন -- "আমার বৌয়ের সাথে আমার কখন ঝগড়া হয় না। আমার বৌ ভীষণ এডজাস্টিভ। আমার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলায় না কখনো। "

কি করে নাক গলাবো বলুন তো? কি করে এডজাস্টিভ হবো না বলুন তো? তার ব্যক্তিগত জীবনটা তো তার একার ছিল। সে বিবাহিত হয়েও বিনা নোটিসে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণের পথে, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতেন নির্বিদ্বিধায়। কখনো জানতে চাননি, অনুপমার তাকে প্রয়োজন আছে কিনা ? তার ব্যক্তিগত জীবনটা যেমন একান্ত তার, আমার ব্যক্তিগত জীবনটাও কি আমার একান্ত ব্যক্তিগত নয়?

আমি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছি, তেইশ বছর ধরে মায়ের ভূমিকা পালন করেছি, যে সন্তানকে নিজে যেচে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলাম, তার প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছি, সাবলম্বী করে দিয়েছি। নিজের জীবনকে শূণ্য করে সবার জীবনকে পরিপূর্ণ করেছি।

কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি -- কিচ্ছু না। বরং প্রতিক্ষনে আমার ভিতরের প্রেমিকাকে একটু একটু করে মরতে দেখেছি আমি , অবসাদে নিঃশব্দে তাকে কাঁদতে দেখেছি আমি। সেই প্রেমিকাকে আমি বাঁচাতে পারিনি ধর্মাবতার। কিন্তু আমার মধ্যে যে মানুষটা বেঁচে আছে এখনও, তাকে আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে দিতে চাই, সেই মানুষটার জীবনে যত শূণ্য আছে, তাকে তৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই তাই জীবন সায়হ্ন -- এ এসে আজ বন্ধন মুক্ত হতে চাই আমি, সংসারের সব মেকি সম্পর্ক থেকে। আমি জানি, আজ আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে চাননা, কারণ, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে আমার সেবা পেয়ে আমার সেবা পাওয়া তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে, আমি আজ তার একটা অভ্যেস, একটা অবলম্বন, বলতে পারেন অন্ধের যষ্ঠীর মতো। কিন্তু অন্ধ হলেই যষ্ঠীর প্রয়োজন হয়, একটা লাঠির প্রয়োজন হয় ; একজন পঙ্গুর জীবনে তার লাঠিটা তার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার ভালোবাসা হতে পারেনা কখনো আমার স্বামীর কাছেও আমি ঠিক তাই। আজ আমি তার একাকিত্ব জীবনে প্রয়োজন মাত্র , তার ভালোবাসা নই।

আমি এখন ইচ্ছেমতো ভোরের সূর্য্য দেখতে চাই, ইচ্ছেমতো পড়ন্ত দুপুর অব্দি বিছানার আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকতে চাই, ইচ্ছে মতো পাহাড় হতে চাই, ইচ্ছেমতো নদী। আমি সারারাত জেগে ডায়েরির বুকে মুখ লুকোতে চাই, লিখে রাখতে চাই মনের সব অভিব্যক্তি। পরেরদিন সকালবেলায় উঠে কাউকে চা জলখাবার করে দেবার তাড়া যেন আমাকে জোর করে ঘুমের কোলে না নিয়ে যেতে পারে, আমি সেই চেষ্টাটাই করতে চাই, আমি স্বাধীন হতে চাই।

খুব বেশি দাবী কি করেছি ধর্মাবতার? একটা মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে, আমৃত্যু শুধু দান করে যাবো, পাবো না কিছুই ? মনুষ্যজীবন তো পেয়েছি ঈশ্বরের কাছ থেকে , তাকে উপভোগ করার অধিকার তো কোনো পুরুষ বা কোনো সমাজ কেড়ে নিতে পারে না আমার কাছ থেকে ?

তাই, বাঁধনমুক্ত হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো জীবনের শেষ কটা বছর নিজের মতো করে বাঁচতে চাই, জীবনের সব ব্যর্থতা আর শুন্যতাকে আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই। তাই, জীবনের সব পিছুটান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই আমি। "

অনুপমার বক্তব্যে আদালতের এজলাস নিঃশব্দতায় ভরে গেলো। সত্যিই কি অনুপমা বেশি কিছু দাবী করেছে ? সত্যিই কি এই দাবী অনুপমার শুধু একার ? এই দাবী কি পৃথিবীর সব অনুপমার নয় ? পৃথিবীর সব অনুপমাই কি স্বামীর মধ্যে একজন প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে ফুরিয়ে যায় না ?

উত্তর জানা নেই কারোরই। বিচারকও স্তব্ধ। জীবনের আদালতে বিচার করা যে শুধু কঠিনই নয়, সে বিচার যে বড়ো বেদনাদায়কও ! cltd...

কৃতজ্ঞতাঃ অনন্যা পোদ্দার

04/10/2023

আমরা কি সত্যি ই অভ্যাস গুলো কে ভালবাসি...!

😁 পড়বেন আর হাসবেন: অবশেষে গিন্নি আর কন্যার যৌথ চাপে কোণঠাসা হয়ে ঝোলা হাতে বেরোলাম। ইলিশের খোঁজে। খোকা বা খুকি ইলিশ চলবে ...
25/09/2023

😁 পড়বেন আর হাসবেন:
অবশেষে গিন্নি আর কন্যার যৌথ চাপে কোণঠাসা হয়ে ঝোলা হাতে বেরোলাম। ইলিশের খোঁজে। খোকা বা খুকি ইলিশ চলবে না, আর হ্যাঁ, চাকা চাকা রাউন্ড পিস করে আনতে হবে, গিন্নির কড়া দাওয়াই।
একটা প্রেসারের ট্যাবলেট সঙ্গে নিয়ে মুখটা মামাশ্বশুরের মত গম্ভীর করে বাজারে চললাম। গোটা মাছের বাজার দু'তিন বার চষে বেরিয়ে একই লোককে ঘুরে ঘুরে দু'তিনবার দাম জিজ্ঞেস করে অবশেষে একজায়গায় থিতু হলাম। ততক্ষনে মাছ বাজারের সমস্ত মাছ বিক্রেতা জেনে গেছে, এক হাড়কিপটে লোক ইলিশ কিনতে এসেছে।

1600 টাকা কেজি দরে 725 গ্রাম মাছ দরাদরি করে 1550 টাকা কিলোতে রাজি হল। কড়কড়ে দুটো পাঁচশ টাকার নোট সকাল সকাল হাওয়া হয়ে গেল। বুকটা বার দুয়েক মুচড়ে উঠল। রিস্ক না নিয়ে সঙ্গে আনা ট্যাবলেটটা গিলে ফেললাম। কেনার আগে শেষবারের মত একবার গিন্নিকে ফোন লাগিয়েছিলাম। যদি দাম শুনে বলে, থাক গে আনতে হবে না। দশ সেকেন্ড কথা হয়েছিল। বিরস বদনে ফোন রেখে মাছওলাকে সম্মতি জানালাম।

এবছর ইলিশের এত আকাশছোঁয়া দাম কেন গো? বঁটিতে ইলিশের আঁশ ছাড়াতে ছাড়াতে মুখ না তুলেই মাছ বিক্রেতা উত্তর দিল, সব ইলিশমাছ তো যশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেজন্য আমদানি কম।
নিজের মনে প্রশ্ন করলাম, সিনেমা ছেড়ে যশ আবার কবে থেকে মাছের ব্যবসা শুরু করল? পরে বুঝলাম উনি বেয়াদব সাইক্লোনের কথা বলছেন, আমি আবার হ্যান্ডসাম যশের কথা ভাবছি।

মাথা ছাড়া মোট সাত পিস হল। তাহলে প্রতি পিসের দাম প্রায় 150 টাকা। মানে এক একটা পিস কেজি খানেক চিকেনের সমান।

পিস দেখে গিন্নি খুশি। সেদিনের মত কড়াইয়ে তিন পিস ভাপা সর্ষে ইলিশ রান্না হল। তিন পিস ইলিশ মানে সাড়ে চারশ টাকা, তেল, সর্ষে, গ্যাস আর খাটনি মিলিযে আরো একশ, টোটাল প্রায় সাড়ে পাঁচশ। ভাতের থালা নিয়ে বসলে মুহূর্তের মধ্যে সাড়ে পাঁচশ টাকা কর্পূরের মত উবে যাবে।

বাটিতে মাছ দেওয়ার পর কড়াইয়ে যেটুকু ঝোল লেগে ছিল তাতে একমুঠো ভাত মাখতে শুরু করলাম। গিন্নি ডাইনিং থেকে গলা হাঁকাল, কড়াইয়ে কিছু অবশিষ্ট নেই, সব চেঁছে তুলে নিয়েছি। কিছু না থাক, গন্ধেরও তো একটা দাম আছে নাকি? আমি উত্তর দিলাম।

ডাইনিং টেবিলে বসে ভাতে একটু ঝোল ঢেলে মাছটা থালায় রাখলাম। আঙ্গুল দিয়ে একটুখানি কেটে নিয়ে কাঁটা সমেতই মুখে পুরে মনে মনে ভাবলাম, কুড়ি টাকা খাচ্ছি। দুটো রসগোল্লা। আবার ছোট্ট একটুকরো জিভে দিয়ে ভাবলাম, একটি নেভি কাট। এইভাবে পকোড়া, চা, কেক, কোল্ডড্রিংকস ইত্যাদির কথা স্মরণ করতে করতে মাছের পিসটির শেষ টুকরোটি মুখে নিতেই মুখ ফসকে মেঝেতে গিয়ে পড়ল। মেঝে থেকে সঙ্গে সঙ্গে তুলে টপ করে মুখে দিতেই গিন্নি বলে উঠল, ছিঃ, ওই নোংরার মধ্যে থেকে তুলে খেলে! আমি বললাম, ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্ক হলে তুলে খেতে না? বউ কোন উচ্চবাচ্চ করল না।
খাওয়া শেষে থালার দিকে চেয়ে দেখলাম, মুখ দিয়ে কুকুরেরও বোঝার সাধ্যি নেই যে, এইমাত্র আমি সর্ষে ইলিশ সাবাড় করলাম।

বিকেলবেলা পেটটা একটু ভার ভার ঠেকছে। মনে হচ্ছে হালকা গ্যাস হয়েছে। একটা ঢেঁকুর উঠতে যাচ্ছিল, জোর করে চেপে দিলাম। আচ্ছা, গ্যাসেরও তো একটা দাম আছে নাকি ???

সংগৃহীত।

Address

Telihara,shakher Kola.
Bogura
5800

Telephone

+8801723059418

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Efty's Style posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Efty's Style:

Share