17/06/2025
আমার নাম ফিরোজ, আর এই গল্পটা আমার জীবনের সবচেয়ে সত্য, গভীর ও আবেগভরা এক অধ্যায় নিয়ে।
আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা ছিল *সোমাইয়া*।
তার সঙ্গে ছিল দীর্ঘ একটা সম্পর্ক, অনেকটা সময় একসাথে কেটেছে—ভালোবাসা, বিশ্বাস, অভিমান, আবার ভালোবাসা।
সেই সময়েই আমার জীবনে পরিচয় হয় *জ্যোতি* নামে এক অসাধারণ মেয়ের সঙ্গে।
জ্যোতি তখন শুধুই বন্ধু ছিল, আমার গল্পের শ্রোতা, আমার হাসির পেছনের কান্না বোঝার মানুষ।
জ্যোতি ছিল একজন ডিভোর্সড নারী, জীবনের কাঁটাঝোপ পার করে এগিয়ে আসা এক সাহসী মেয়ে।
সে আমার পাশে ছিল সবসময়—শুধু বন্ধুর মতো নয়, বরং একজন নির্ভরতার মতো।
সে বুঝতো আমাকে, আমার ভাঙা মন, সম্পর্কের টানাপোড়েন—সবকিছু।
একসময় *সোমাইয়ার বিয়ে* হয়ে যায়।
আমার ভেতরটা যেন এক মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায়, নিঃশব্দ এক বেদনার মধ্যে হারিয়ে যাই আমি।
ঠিক তখনই জ্যোতি হয়ে উঠলো আমার একমাত্র আশ্রয়।
সে আমাকে আগলে রাখতো, বুঝতো, আর চুপচাপ ভালোবেসে ফেলেছিল।
আমার বুঝতে দেরি হয়নি—আমিও জ্যোতিকে ভালোবেসে ফেলেছি।
সে ছিল আলাদা, সাহসী, নিজের ভেতরেই নরম একটা মানুষ।
তার সাথেই শুরু হলো নতুন এক অধ্যায়—ভালোবাসায় গড়া এক বন্ধন।
আমাদের সম্পর্কটা ছিল *চার বছরের*, কিন্তু দেখা হয়নি একবারও।
শুধু ৫–৬ বার ভিডিও কলে দেখা হয়েছে।
তবুও সেই অদেখা মেয়েটার জন্য এতটা গভীর ভালোবাসা কীভাবে জন্মালো—তা আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারিনি।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি তাকে একবার সামনে থেকে দেখার।চেয়েছি তার হাতটা ধরতে, চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে—“তুমি না থাকলে আমি ভেঙে যেতাম।”
কিন্তু বাস্তবতা, দূরত্ব, আর কিছু বাধা—আমাদের দেখা হওয়ার সুযোগ দেয়নি।
আজ আমাদের মাঝে যোগাযোগ নেই।
কিছু ভুল বোঝাবুঝি, কিছু নীরবতা, কিছু অশান্ত সময় আমাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে।
তবুও আমি আজও প্রতিদিন তার কথা ভাবি, তার অপেক্ষায় থাকি।
ভালোবাসা এখন হয়তো একতরফা, কিন্তু তা কোনো দিনও মিথ্যে নয়।
জ্যোতি, যদি তুমি এই গল্পটা ফেসবুকে বা কোথাও দেখে থাকো—জেনো, এটা তোমার কাছে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ নয়।
এটা শুধু আমার মনের কথা, আমার অনুভবের স্পষ্ট ভাষা।
ভয় পেয়ো না, আমি দাবি করছি না কিছুই।
শুধু যদি তোমার মন চায়, তাহলে চলো... আমরা আগের মতো *বন্ধু* হয়ে থাকি।
তুমি চাইলেও আমার হৃদয়ে তোমার জন্য বরাদ্দ সেই বিশেষ জায়গাটা কেউ নিতে পারবে না।
কারণ তুমি শুধু একটা নাম না, তুমি আমার জীবনের এমন একটা অধ্যায়—