17/07/2025
গল্পের নাম: “চিঠিতে বেঁচে থাকা ভালোবাসা”
(ভালোবাসার এক নিঃশব্দ অপেক্ষার গল্প)
নদীর ধারে পুরনো একটা বেঞ্চ। সন্ধ্যা হলেই ছেলেটা এসে বসে। হাতে থাকে একটা পুরনো খাম—একটা চিঠি। কেউ জানে না সে কার জন্য অপেক্ষা করে, কাকে লিখেছিল সেই চিঠিটা।
ছেলেটার নাম রাহুল। পাঁচ বছর আগে এখানেই তার পরিচয় হয়েছিল তানিয়ার সঙ্গে। তানিয়া ছিল এক মেধাবী মেয়ে—আলোচনাপ্রিয়, হাসিখুশি, কিন্তু চোখে লুকানো ছিল গভীর বিষাদ।
তারা ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের পথ পেরিয়ে ভালোবাসায় পৌঁছায়। অথচ একদিন তানিয়া বলে,
“রাহুল, যদি কখনো আমি হারিয়ে যাই, তুমি এই নদীর ধারে এসে চিঠিটা পড়ে নিও। হয়তো সেখানে আমি থাকব, অদৃশ্য ভালোবাসায়।”
তারপর একদিন হঠাৎ করেই তানিয়া হারিয়ে যায়। কোনো খোঁজ মেলে না। কেউ জানে না সে কোথায় গেল, কেন গেল। শুধু রেখে যায় একটা চিঠি:
"রাহুল, আমি চলে যাচ্ছি। কারণ আমার জীবনে সময় খুব কম। আমার শরীরের ভেতর একটা যুদ্ধ চলছে, যেটা তুমি কখনো বুঝতে দাওনি। আমি চাই না তুমি কষ্ট পাও, তাই না বলেই চলে যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিদিন সন্ধ্যায় তুমি যদি নদীর ধারে চিঠিটা পড়ো, জেনো আমি শুনি... আমি থাকি..."
রাহুল পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন যায়। চিঠিটা পড়ে। কখনো কাঁদে, কখনো হাসে।
মানুষ ভাবে সে পাগল। কিন্তু সে জানে—ভালোবাসা কখনো মরে না। কেউ যদি সত্যিই ভালোবাসে, সে প্রিয়জনের স্মৃতিতে বেঁচে থাকতে পারে চিরকাল।